খুব চেষ্টা করেছিল সেলিম – অমিতাভ দাশগুপ্ত

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

‘একটা ছােট্ট কুঠরিতে সুতপার ভেতরে যখন গরম ডিমসেদ্ধ পুরে দিচ্ছিল গদাই নিয়ােগী, মেয়েটি টু শব্দ পর্যন্ত করেনি। তার হাত চারেক দূরে দাঁড়িয়ে মলিনা, গুদাইয়ের নির্যাতনের জনা অপেক্ষারতা, সব দেখছিল এবং দেখতে দেখতে অন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।…….

………বেঁচেবর্তে থাকবি তাে তুই? বলেই বাটি, যেন জন্মে আর চান্স পাবে না এভাবে মলিনার দু-স্তনে দাঁত ও যোণীতে দশনখ বসাতে বসাতে একসময় তার ভিত উপড়ে ফেলেছিল। সেই মলিনা, বান্টির পই পই বারণ না শুনে চারুপার পার্টি করা-মলিনা লিটারালি অন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কারণ উদোম সুতপার ভেতরে গদাই নিয়ােগীর ওই গরম ডিম পুরে দেওয়ার ব্যাপারটা দেখে অন্ধ না হয়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব ছিল।

বানটির আর সব ভাল। কিন্তু যাকে বলে—কাম, সেই রিপূতাড়না বড্ড বেশি। ফ্ল্যাটে আশাতীতভাবে ফাকা পেয়ে গেলেই মলিনাকে আশিরনখর চেটেপুটে খাওয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে অসম্ভব কষ্ট হয়, ব্যথায় নীল হয়ে ডুকরে ওঠে। একদিন আর সইতে না পেরে বুনাে কুকুরের মত সঙ্গমরত বানটির বুকে জোড়া পায়ে লাথি বসাতেই হয়েছিল মলিনাকে। কিন্তু নির্যাতনের যাবতীয় বি-ফিফটি টু ও নাপাম নিয়ে সুতপার ওপর হানাদার গদাই নিয়োগির আডভান্সের কাছে বানটির পরাক্রম নিছক আপসে কাজিয়া বলে মনে হয়ে গিয়েছিল মলিনার। এবং তখনই একজন কনস্টেবল সাঁড়াশিতে গরম জলের বাটিতে ফুটন্ত তিনটি নতুন ডিম সমেত কুঠরিতে ঢুকে পড়েছিল। যদিও গদাইয়ের তখনও সুপতা-চ্যাপ্টার পুরােপুরি শেষ হয়নি। ………

Please follow and like us:

Leave a Reply