দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদ : অনীশ দাস অপু

……….ক্যাথেরিনের মাসিক শুরু হয়ে গেছে। ক্রমে নারীতে রূপান্তর ঘটছে তার। সে এখন তার প্রয়ােজন জানে, বুঝতে পারে কিসের জন্য তার আর্তি। তবে এই চাওয়া শারীরিক নয়, এর সঙ্গে জড়িত নেই যৌনতা। ………ক্যাথেরিন সেন হাইস্কুলে সিনিয়র ইয়ার পার করছে। তার ব্রন-শত্রু, আয়না অবশেষে হয়ে ওঠে তার বন্ধু। আয়নার মেয়েটিকে ভারি সুন্দর লাগে ক্যাথেরিনের। কুচকুচে কালাে কেশরাজি, ক্রিমের মতাে সাদা নরম ত্বক, মেদহীন, সুঠাম শরীর, চমৎকার আবেদনময় মুখের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে গেছে। ঝকমকে, বুদ্ধিদীপ্ত চোখজোড়া। তার বক্ষজোড়া শ্বাসরুদ্ধকর রকম আঁটসাট, নিতম্বের বাঁক ঘুরিয়ে দেয় মাথা, লম্বা পাজোড়া থেকে দৃষ্টি ফেরানাে যায় না। তার গােটা অবয়ব আর দশটা মেয়ের থেকে আলাদা, আয়নায় প্রতিফলিত হয় এমন ধরনের এক বৈশিষ্ট্য যার সঙ্গে ঠিক যেন পরিচিত নয় ক্যাথেরিন। ……..

……….‘অ্যালেক্স-এর সঙ্গে আজ রাতে ডেটিং আমার। কী করা যায় বলাে তাে?

‘ওকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। গত হপ্তায় আমাকে সৈকতে নিয়ে গিয়েছিল অ্যালেক্স। আমার প্যান্টি খুলেই চাটাচাটি শুরু করে দিল। আমিও ওরটা চাটতে চাইলাম। কিন্তু জিনিসটা খুঁজেই পেলাম না। তারপর বাঁধভাঙা হাসিতে ফেটে পড়ল দু বান্ধবী।

ওদের কথা অশ্লীল এবং বমি ওঠার মতাে শােনালেও একটা শব্দও মিস করতে চায় না ক্যাথেরিন। মেয়েরা যখন তাদের সরস যৌন অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে, ক্যাথেরিন কল্পনায় দেখে সে একটি ছেলের সঙ্গে বিছানায় গেছে, মেতে উঠেছে আদিম উন্মাদনায়। কুঁচকিতে কেমন ব্যথা অনুভব করে ক্যাথেরিন, উরুতে জোরে জোরে ঘুসি মারে। কুঁচকির ব্যথাটা ভুলতে নতুন ব্যথার সৃষ্টি করে।……..

………নিঃসঙ্গ বিছানায় রাতে শুয়ে সেইসব মেয়ের কথা চিন্তা করে ক্যাথেরিন, যারা মিলিত হচ্ছে তাদের বয়ফ্রেন্ডদের সঙ্গে। সে রন পিটারসনকে নিয়ে ভাবে । কল্পনায় রন তার কাছে আসে, তাকে নগ্ন করে। ক্যাথেরিন আস্তে আস্তে রনের গা থেকে খুলে নেয় সমস্ত পােশাক। যেমনটি সে রােমান্টিক উপন্যাসে পড়েছে। রনের শার্ট খােলে ক্যাথেরিন, বুকে নরম হাত বুলায়, তারপর খুলে ফেলে ট্রাউজার্স, কোমর থেকে টেনে নামিয়ে দেয় শর্টস। রন ক্যাথেরিনকে পাজাকোলা করে তুলে নেয়, এগােয় বিছানার দিকে। .

…….নােয়েলের বাবা-মাও তাঁদের মেয়ের অপূর্ব সৌন্দর্যে বিমােহিত, বিস্মিত। তারাও বুঝতে পারে না এ মেয়ে কী করে তাদের ঘরে এল। নােয়েলের মা ভারী শরীরের এক চাষার মেয়ে, তার বক্ষ ঝুলে পড়েছে, উরুজোড়া মােটা, পাছাও থলথলে।……….

………সতেরাে বছর বয়সে পূর্ণ যুবতীতে রূপান্তর ঘটল নােয়েলের। অপূর্ব সুন্দর তার চেহারা, টলটলে পরিষ্কার বেগুনি চোখ, ছাই-সােনারঙা কেশ। তার ত্বক অত্যন্ত মসৃণ, তাতে সােনালি একটা আভা সবসময় চকচক করে। যেন এইমাত্র মধুর পুকুরে ডুব দিয়ে এসেছে নােয়েল। তার শরীর দেখার মতাে। নিটোল, খাড়া, উদ্ধত একজোড়া বক্ষের অধিকারিণী সে, সরু কোমর, গােল নিতম্ব, লম্বা, সুঠাম পা। তার কণ্ঠ নরম, জলতরঙ্গের মতাে বাজে শ্রবণেন্দ্রিয়তে। ……

………একদিন দোকান বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে আগে একজন খদ্দের এল। ল্যানচন নােয়েলকে কয়েকটি ড্রেস দেখাতে বলল। নােয়েলের যখন কাজ শেষ হল ততক্ষণে সবাই চলে গেছে শুধু ল্যানচন আর তার স্ত্রী বাদে। সে অফিসে বসে নােট লিখছে। নােয়েল খালি ড্রেসিংরুমে ঢুকল পােশাক পাল্টাতে । ব্রা এবং প্যান্টি-পরা অবস্থায় সে, এমন সময় সেখানে আবির্ভাব ঘটল ল্যানচনের। সে নােয়েলের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকল। নােয়েল পােশাকের দিকে হাত বাড়াল। তবে জামা পরার আগেই বিদ্যুৎ পদক্ষেপে তার দিকে এগিয়ে এল ল্যানচন, নােয়েলের দুই পায়ের ফাঁকে গলিয়ে দিল হাত। ঘেন্নায় রি রি করে উঠল শরীর, যেন একটা পােকা হেঁটে বেড়াচ্ছে গায়ে। হাতটা ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইল নােয়েল কিন্তু ল্যানচনের গায়ে অনেক শক্তি। সে খামচে ধরে থাকল নােয়েলের দুই উরুর সন্ধিস্থল। ব্যথায় চোখে সর্ষেফুল দেখল নােয়েল।

‘তুমি সুন্দর, ফিসফিস করল লােকটা। অপূর্ব!’……….

………..হােটেলকক্ষটি ডাবল বেডের। বেশ বড় বিছানা। ঘরে সস্তা আসবাব, এককোনায় ওয়াশস্ট্যান্ড এবং বেসিন রয়েছে। মশিউ ল্যানচন খােলামকুচির মতাে টাকা ওড়ানাের বান্দা নয়। সে বেলবয়কে যৎসামান্য বকশিশ দিল। ছেলেটা চলে যাওয়ামাত্র সে লাফ মেরে চলে এল নােয়েলের সামনে, টান মেরে ছিড়তে লাগল জামা-কাপড়। গরম, ভেজা হাত দিয়ে চেপে ধরল নােয়েলের বুক, মুচড়ে দিল জোরে।….

……মাই গড, তুমি যে কী সুন্দরী! হাঁপাচ্ছে সে। কোমর থেকে টান মেরে নামিয়ে আনল নােয়েলের স্কার্ট এবং প্যান্টি। ধাক্কা মেরে শুইয়ে দিল বিছানায়। নােয়েল চিৎ হয়ে শুয়ে থাকল। নড়াচড়া করছে না, যা ঘটছে সে-ব্যাপারে যেন সচেতন নয়, যেন একধরনের শকের মধ্যে আছে ও। গাড়িতে বসে একটা কথাও বলেনি সে। ল্যানচন দ্রুত কাপড় ছাড়ল, ছুড়ে ফেলে দিল মেঝেতে, তারপর বিছানায়, নােয়েলের পাশে উঠে এল। যা ভেবেছিল তার চেয়েও দারুণ শরীর নােয়েলের। | ‘তােমার বাবা বললেন তােমাকে নাকি এখন পর্যন্ত কেউ করেনি, খিকখিক হাসল ল্যানচন। পুরুষের শরীর কী জিনিস আজ তুমি তা টের পাবে।’ বেলুনের মতাে ফোলা পেট নিয়ে সে চড়ে বসল নােয়েলের গায়ের ওপর, দু পায়ের ফাকে ঢুকিয়ে দিল শক্ত পুরুষাঙ্গ। জোরে জোরে কোমর নাড়তে লাগল। নােয়েল কিছুই অনুভব করছে না। তার মনে পড়ে যাচ্ছে বাবাকে। বাবার চিৎকার ভাসছে কানে :……..

……মশিউ ল্যানচনের দিকে মনোেযােগ ফেরাল সে। লােকটার নিচে শুয়ে আছে নােয়েল এখন টের পাচ্ছে পুরুষাঙ্গ কী জিনিস এবং ওটা নারীদের কী করতে পারে।

এত সুন্দর একটা শরীর পেয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে ল্যানচন। লক্ষ্যও করেনি নােয়েল স্রেফ শুয়ে আছে তার হোঁৎকা মােটা দেহের নিচে। তবে এতে কিছু আসে যায় না ল্যানচনের। নােয়েলের চোখের দিকে তাকিয়েই সে যেরকম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এমন তীব কামনা গত কয়েক বছরে কারাে প্রতি অনুভব করেনি। মধ্যবয়সী স্ত্রীর ঢলঢলে শরীর আর মার্সেইর বেশ্যাগুলাের ক্লান্ত দেহ ছেনে অভ্যস্ত ল্যানচন হঠাৎ এই তাজা, তরুণীকে পেয়ে ভাবছে তার জীবনে যেন একটা মিরাকল ঘটে গেছে।

তবে ল্যানচনের জীবনে মিরাকলের মাত্র শুরু। নােয়েলের সঙ্গে দ্বিতীয়বার মিলিত হবার পরে মেয়েটি তাকে বলল, “চুপচাপ শুয়ে থাকুন। সে নিজের জিভ, মুখ এবং হাত দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে দিল। ল্যানচনের শরীরের সংবেদনশীল এলাকাগুলােয় ঘুরে বেড়াতে লাগল নােয়েলের জিভ, মুখ এবং হাত। ল্যানচন প্রবল আনন্দে ‘আহ্! উহু করে গােঙাতে লাগল। মােচড় খাচ্ছে শরীর। কাজটা খুব সহজ। এটা নােয়েলের স্কুল, এটা তার শিক্ষা। এটা ক্ষমতার শুরু।

তিনদিন থাকল ওরা ওই হােটেলে। তবে ল্যানচন নােয়েলকে নিয়ে লাে পিরামিডে গেল না। পুরােটা সময় তারা হােটেলে কাটাল। সারা দিনরাত ল্যানচন সেক্স সম্পর্কে যেটুকু জানে তা শেখাল নােয়েলকে।………

…….রন সপ্রশংস দৃষ্টিতে দেখছে ক্যাথেরিনকে। ওর সুন্দর মুখ ছুঁয়ে চোখ নেমে এল উদ্ধত বুকে। দুই বুকের খাঁজে অনেকক্ষণ আটকে রইল দৃষ্টি। আমারও একইরকম অনুভূতি হচ্ছে, বলল ও।

কাপড় খােল, ঘরঘরে গলায় বলল রন। ক্যাথেরিনকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে এল এক কদম। ব্যস্ত হাতে খুলছে নিজের জ্যাকেট।
‘না,’ বলল ক্যাথেরিন, আমাকে খুলতে দাও, ওর কণ্ঠে নয়া আত্মবিশ্বাস। ও রনকে এমন সুখ দেবে যা রন কল্পনাও করেনি। জ্যাকেট খুলে ফেলে দিল । বিছানায়। হাত বাড়াল টাইয়ের দিকে।

‘দাঁড়াও,’ বাধা দিল রন। “আমি তােমার শরীর দেখতে চাই।’

ক্যাথেরিন স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল রনের দিকে, ঢােক গিলল। ধীরে ধীরে হাত এগিয়ে গেল জিপারে, মাথা গলিয়ে খুলে ফেলল জামা। রনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকল ব্রা, স্লিপ, প্যান্টি আর মােজা পরে। ‘খােললা,’ আদেশ করল রন। একমুহূর্ত ইতস্তত করল ক্যাথেরিন। স্লিপ থেকে মুক্ত করল নিজেকে। ‘দারুণ। চালিয়ে যাও।’

ধীরে ধীরে বিছানায় বসল ক্যাথেরিন। সেক্সি একটা ভঙ্গি ফুটিয়ে তুলে খুলল জুতাে এবং মােজা। হঠাৎ টের পেল ওর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে রন। খুলছে ব্রা’র ফিতে। বিছানায় বক্ষবন্ধনী খসে পড়তে দিল ক্যাথেরিন। ওকে খাড়া করাল রন, কোমর থেকে টেনে নামাচ্ছে প্যান্টি। গভীর দম নিয়ে চোখ বুজল ক্যাথেরিন, কল্পনা করল সে অন্য কোথাও আছে, অন্য কোনাে পুরুষের সঙ্গে, যে ওকে ভালােবাসে, যাকে ও ভালােবাসে, যে ওর সন্তানের পিতা হবে, যে ওর জন্য লড়াই করবে, ওর জন্য খুন করতেও দ্বিধা করবে না, যে সবসময় প্রয়ােজনে ওর দিকে বাড়িয়ে রাখবে সাহায্যের হাত… যে রন পিটারসনের মতাে হারামজাদাকে খুন করবে। কারণ এই বিশ্রী, দমবন্ধ করা ঘরে ক্যাথেরিনকে নিয়ে আসার সাহস দেখিয়েছে রন। মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দেয়া হল ক্যাথেরিনের প্যান্টি। চোখ মেলে চাইল ও।

বেল্ট খুলে ফেলল রন, খুলল টাউজার্স। বিছানায় বসে জুতাে এবং মােজা খুলতে লাগল। আই মিন ইট, ক্যাথেরিন, আবেগে কেঁপে গেল ওর গলা। তােমার মতাে খাসা শরীর জীবনেও দেখিনি আমি।

ওর কথাগুলাে ক্যাথেরিনের কুঁচকির যন্ত্রণাটা বাড়িয়ে তুলল। সিধে হল রন, মুখে চওড়া হাসি। শরীর থেকে খসে পড়তে দিল শর্টস। ওর পুরুষাঙ্গ লৌহকঠিন হয়ে দাড়িয়ে গেছে। বিশাল। চারপাশে লােমের জঙ্গল। এমন প্রকাণ্ড অবিশ্বাস্য জিনিস জীবনে দেখেনি ক্যাথেরিন।

‘কী, কেমন দেখছ?’ অহংকার রনের কণ্ঠে। কিছু না-ভেবেই ক্যাথেরিন বলল, স্লাইসড অন রাই। হােল্ড দ্য মাস্টার্ড অ্যান্ড লেটুস।’

নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল ক্যাথেরিন। দেখল উথিত জিনিসটা ধীরে ধীরে নামিয়ে নিল ফণা, মিইয়ে যাচ্ছে।………..

……..তবে নােয়েলের ক্ষেত্রে এসব নিয়মকানুন কিছুই অনুসরণ করা গেল না। কারণ একরাতের সম্পর্কে পারফিউম বা মিউজিকের প্রয়ােজন নেই। ও এখানে এসেছে স্রেফ শয্যাসঙ্গিনী হতে। মেয়েটা যদি ভেবে থাকে দু পায়ের আমন্ত্রণে আরমন্দ গটিয়েরকে মুগ্ধ করে ফায়দা লুটবে, তাহলে মস্ত ভুল করেছে সে। | নােয়েলের গায়ে উঠতে যাচ্ছে গটিয়ের, ওকে বাধা দিল নােয়েল। দাড়াও, ফিসফিস করল ও।

গটিয়ের বিস্মিত হয়ে দেখল বিছানার ধারের টেবিলে রাখা একজোড়া টিউব হাত বাড়িয়ে তুলে নিয়েছে নােয়েল। এক হাতে টিউবের জিনিসটা মাখাল সে, তারপর গটিয়েরের লিঙ্গে ওটা ঘষতে লাগল।

কী এটা?’ জিজ্ঞেস করল গটিয়ের। হাসল নােয়েল। দেখতে পাবে। সে গটিয়েরের ঠোটে চুমু খেল, দ্রুত মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল জিভ। তারপর চাটতে শুরু করল ওর পেট, সারা শরীর। যেন হালকা মখমলের আঙুল ছুঁয়ে যাচ্ছে। গটিয়ের টের পেল তার পুরুষাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। পা থেকে আঙুলে নেমে এল জিভ, চুষতে থাকল আঙুল। গটিয়েরের পুরুষাঙ্গ ভয়ানক শক্ত এবং খাড়া হয়ে গেছে। এবার ওর গায়ের ওপর উঠে বসল নােয়েল। গটিয়েরের পুরুষাঙ্গ ঢুকে গেল নােয়েলের যােনিতে। উষ্ণ, নরম যােনি। নােয়েলের মাখানাে ক্রিম গটিয়েরের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। সেইসঙ্গে তীব্র সুখবােধ হচ্ছে ওর। নােয়েল শরীর নাড়াতে লাগল। তার বাম হাত ব্যস্ত থাকল গটিয়েরের অণ্ডকোষে। প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে উঠল ওদুটো। তীব্র সুখে জ্ঞান হারাবার দশা হল গটিয়েরের।

সারারাত প্রেম করল ওরা। এবং প্রতিবারই মিলনের ভঙ্গি পাল্টাল নােয়েল। এরকম উত্তেজক অভিজ্ঞতা জীবনে হয়নি গটিয়েরের।……..

……….সুযােগ করে দিয়ে গেছেন যাতে বিব্রতবােধ না করে ক্যাথেরিন। দ্রুত পােশাক খুলতে শুরু করল ও। এক মিনিট পর নিজের নগ্ন শরীরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল, বিদায় সন্ন্যাসিনী ক্যাথেরিন। বিছানায় গেল ও, ঢুকে পড়ল চাদরের নিচে।……..একথার মানে কী জিজ্ঞেস করার জন্য মুখ খুলেছিল ক্যাথেরিন, কিন্তু ফ্রেজার ওর ঠোটে আঙুল চাপা দিলেন, তাঁর হাত ওর শরীরে ঘুরতে শুরু করেছে। আবিষ্কার করছে ক্যাথেরিনের অনাঘ্রাতা যৌবন। সবকিছু ভুলে শুধু বর্তমান নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকল ক্যাথেরিন। ওর সমস্ত মনােযােগ নিজের শরীর নিয়ে। টের পেল ফ্রেজার ওর শরীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন, কোমর নাড়ছেন, জোরে ধাক্কা দিচ্ছেন, অপ্রত্যাশিত তীক্ষ্ণ ব্যথার একটা স্রোত ছড়িয়ে পড়ল ক্যাথেরিনের দেহে, তারপর ওটা জায়গা করে নিল গােপন গুহায়। ফ্রেজারের কোমর চালানাের গতি দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে উঠল । একটা ছন্দ সৃষ্টি হল। ফ্রেজার প্রবলবেগে মন্থন করে চলেছেন। একপর্যায়ে ঘরঘরে গলায় জানতে চাইলেন, তুমি প্রস্তুত? কিসের জন্য তিনি প্রস্তুত হতে বলেছেন জানে না ক্যাথেরিন, তবু বলল, ‘প্রস্তুত। পরমুহূর্তে গুঙিয়ে উঠলেন ফ্রেজার। “ওহ্, ক্যাথি!’ শেষ প্রচণ্ড একটা ধাক্কা মারলেন তিনি, তারপর নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকলেন ওর বুকে। অবশেষে সাঙ্গ হল মিলনমেলা। ফ্রেজার বলছিলেন, “দারুণ লেগেছে, না?’………

………..ল্যারি ওর হাত ধরল। চুমু খেল। ক্যাথেরিনের গায়ে যেন আগুন ধরে গেল। কোনাে শব্দ ব্যয় না করে ওকে নিয়ে বেডরুমে চলে এল ল্যারি। নীরবে এবং দ্রুত নগ্ন হল ওরা। বিছানায় শুয়ে পড়ল ক্যাথেরিন, তার পাশে ল্যারি।  ‘ল্যারি—’ কিন্তু কথা শেষ করতে পারল না ক্যাথেরিন। ওর অধরে চেপে ধরেছে ল্যারির নিষ্ঠুর ঠোট। হাত ঘুরে বেড়াতে লাগল ওর শরীরে, আবিষ্কার করছে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। সবকিছু ভুলে গেল ক্যাথেরিন শুধু নিজের শারীরিক | আনন্দটুকু ছাড়া। ও-ও আদর করতে লাগল ল্যারিকে। আগুনের মতাে গরম, (লোহার মতাে শক্ত হয়ে গেছে ল্যারির পৌরুষ, আঙুল ঢুকিয়ে দিল ক্যাথেরিনের যোনির ভেতরে, তারপর ফাক করে ধরল দু’পা, উঠে এল গায়ের ওপর। অদ্ভুত আনন্দে বিস্ফোরিত হল ক্যাথেরিন যা স্বপ্নেও ভাবেনি সে। প্রচণ্ড গতিতে, ছন্দায়িত ভঙ্গিতে শরীর নড়তে লাগল ল্যারির, সেইসঙ্গে তাল মিলিয়ে গেল ক্যাথেরিন। গােটা ব্রহ্মাণ্ড যেন ওদের সঙ্গে ছন্দে নাচছে। অবিশ্বাস্য ভ্রমণের শেষে পৌছে গেছে। ঘটল বিস্ফোরণ। তীব্র সুখ ও আনন্দে শরীরের সমস্ত রােমকূপ দাঁড়িয়ে গেল। | মিলনের পরেও ক্যাথেরিন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকল ল্যারিকে, ওকে কোথাও যেতে দেবে না, এই সুখকর অনুভূতির অবসানও চাইছে না। পুরুষশরীর এমন তৃপ্তি দিতে পারে, কল্পনাতেও ছিল না ওর। ……

………ওকে নিয়ে বাথরুমে ঢুকল ল্যারি। ছেড়ে দিল শাওয়ার। দেয়ালের হুক থেকে একটা শাওয়ার ক্যাপ নিয়ে ক্যাথেরিনের মাথায় পরিয়ে দিল। তারপর সাবান মাখাতে লাগল ওর গায়ে। ঘাড় দিয়ে শুরু করল, হাত হয়ে উঠে এল আশ্চর্য সুন্দর বুকে, সেখান থেকে নেমে এল মসৃণ পেট, তারপর ধবধবে সাদা ঊরুতে। দুই উরুর মাঝখানটা গরম ভাপ ছড়াতে লাগল, ক্যাথেরিন ল্যারির হাত থেকে সাবান নিয়ে ওর গায়ে মাখতে লাগল। বুক পেট ছুঁয়ে দুই পায়ের মাঝখানে। ওর নরম হাতের ছোঁয়ায় শক্ত হয়ে দাড়িয়ে গেল ল্যারির পুরুষাঙ্গ।

ক্যাথেরিনের দুই পা ফাক করল ল্যারি, এক ধাক্কায় নিজের পৌরুষ প্রবেশ করিয়ে দিল ওর শরীরে। আবার সুখের স্বর্গে ভ্রমণ শুরু হয়ে গেল ক্যাথেরিনের, অসহ্য পুলকে গােঙাতে লাগল।………

…..কর্নেল মুয়েলার সরাসরি নােয়েলের চোখের দিকে তাকাল, সেখান থেকে দৃষ্টি নমে এল নগ্ন বুকে, পেটে এবং সবশেষে প্যান্টিতে। আবার নােয়েলের চোখে। উঠে এল চোখ। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। আমি সুন্দর জিনিস ভালােবাসি।’ নরম গলা ৩ার। আপনার মতাে সুন্দরীর ধ্বংস দেখতে মােটেই ভালাে লাগবে না।……….

………বাথরুমে কিসের শব্দ হল। ল্যারি পা বাড়াল ওদিকে। বাথরুমের দরজা খােলা। ল্যারি ভেতরে ঢুকল, ঠিক তখন শাওয়ার থেকে বেরিয়ে এল নােয়েল পেজ। মাথায় শুধু টার্কিশ তােয়ালে জড়ানাে, এছাড়া বাকি শরীর সম্পূর্ণ নগ্ন ।…….ল্যারি নােয়েলকে পাজাকোলা করে নিয়ে এল বেডরুমে। | ল্যারির মনের কোথাও একটা কণ্ঠ চিৎকার করে ওকে থামতে বলছিল, বলছিল নােয়েলের কাছে ক্ষমা চাইতে, বলতে সে মাতাল হয়ে এমন কাণ্ড করে ফেলেছে। কিন্তু ল্যারি জানে দেরি যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। নােয়েলকে দড়াম করে বিছানায় ফেলল ল্যারি। এগােল ওর দিকে। | নােয়েলের শরীরে মনােনিবেশ করল ল্যারি, ভুলে যেতে চাইল সে যা করছে তার জন্য কী মারাত্মক শাস্তি অপেক্ষা করছে। সে জানে ডেমিরিস ওকে চাকরিচ্যুত করেই ক্ষান্ত হবেন না, গ্রিক টাইকুনের প্রতিশােধ হবে আরাে ভয়ংকর। এসব জেনেও নিজেকে থামাতে পারছে না ল্যারি। নােয়েল বিছানায় শুয়ে আছে , আগুন জ্বলছে চোখে। ওর শরীরের ওপর উঠে এল ল্যারি, প্রবেশ করল শরীরের ভেতরে। ল্যারি টের পেল ওর ঘাড় জড়িয়ে ধরেছে নােয়েল, টানছে নিজের দিকে, যেন ওকে ছাড়বে না, সে বলল, ‘ওয়েলকাম ব্যাক।……..

Please follow and like us:

Leave a Reply