স্পিসিজ – ইভন নাভারাে

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

………আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল সিল। আয়নায় লম্বা, নমনীয় শরীরের দারুণ সুন্দরী এক নারীর প্রতিবিম্ব ফুটে আছে। সিল-এর চুল ঝলমলে সােনালি, পটল-চেরা আকাশের মতাে নীল চোখ, ভারী, উদ্ধত একজোড়া বক্ষ। তার গায়ের রঙ ফর্সা, ত্বকে কোনাে দাগ নেই। চোয়ালের হাড় সামান্য উঁচু, পাখির ডানার মতাে একজোড়া ভুরু। সরু কোমর। নিতম্বজোড়া বেশ ভারী এবং লম্বা পাজোড়া অত্যন্ত লােভনীয়। আয়না থেকে দৃষ্টি সরল বিছানায়। ওখানে সাটিনের আন্ডারওয়্যার এবং ব্রা আছে। এগুলাে পত্রিকা দেখে দোকান থেকে কিনে এনেছে সিল। একজোড়া কালাে প্যান্টি তুলে নিল ও। হাত উঁচু করে দেখছে। এগুলাে পরলে ওকে দারুণ দেখাবে।………

…….ছােড়ার সামনে এসে দাঁড়াল। ছােকরা লােভাতুর চোখে ওকে দেখল। লাে-কাট কালাে ব্লাউজ ছুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে সিলের পিনােন্নত পয়ােধর। মিনি স্কার্ট নুগঠিত ঊরুর অনেক ওপরে এসে শেষ হয়ে গেছে। সিল অবশ্য লােকটার নােংরা চাউনি লক্ষ করল না।…….

……সেক্সি ছবি দেখাচ্ছে। সিলিং-এর সমান উচ্চতায় দুটি মেয়ে নগ্ন হয়ে নাচছে,বর্ণিল আলােকচ্ছটায় রঙিন তাদের শরীর। দর্শকরা তাদের উদ্দেশ্য করে সিটি বাজাচ্ছে।

বার-এর দিকে এগােল সিল। একজন আসন ছেড়ে চলে যেতে জায়গাটা দখল করল ও। চারপাশে চোখ বুলাতে লাগল। আশপাশের মহিলাদের লক্ষ করে বুঝতে পারল তাদের তুলনায় গা-ঢাকা পােশাক পরেছে সে। এক পায়ের ওপরে আরেকটা লম্বা পা তুলে দিল সিল। ফর্সা উরু আরও খানিকটা উন্মুক্ত হলাে, তবে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতাে নয়। সােনালি চুলের এক মহিলা, সিলের মতাে দেখতে, পাশ দিয়ে হেঁটে গেল নিতম্বে ঢেউ তুলে। অনেক পুরুষই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল তাকে। সিল লক্ষ করল পুরুষদের চোখ সেঁটে রয়েছে মেয়েটির নিতম্ব এবং বুকে। মেয়েটি টাইট, চেরিরঙা ট্যাঙ্ক-টপ পরেছে। জামা ছিড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সুউন্নত বক্ষ। সিলের ব্লাউজও টাইট, তবে তার ঊর্ধ্বাংশ ঢেকে আছে অনেকটাই। সিল ব্লাউজ খুলে ফেলল। ভেতরে শুধু ব্রা। সিল বার-এর টুলের নিচে ফেলে দিল………

…….হঠাৎ একটা মেয়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে এল, প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল সিলের পাশে দাঁড়ানাে লােকটার গায়ে। মেয়েটি বেশ সুন্দরী। মদ খেয়ে টাল হয়ে আছে। তার ঘন পিঙ্গল কেশ ঢেউয়ের মতাে ছড়িয়ে আছে কাঁধজুড়ে। চামড়ার ভেস্ট ফুড়ে মাথা তুলতে চাইছে স্তন। যুবক মাতাল যুবতীর হাত ধরে ফেলল, তাকে সােজা হয়ে দাঁড়াতে সাহায্য করল। মেয়েটা যুবকের দিকে তাকিয়ে মদির ভঙ্গিতে হাসল ।…..

…….মাতাল মেয়েটি একমুহূর্তের জন্যে ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাঁড়াল, টাইট লেদার ভেস্টের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিল। বুকজোড়া ভেস্টের ওপরের দিকে ঠেলে দিল সে। তার ফর্সা বুক এখন অনেকটাই উন্মুক্ত।…….

……..জন সিলের উদ্ধত বুকে হাত রাখল। জনের আরাে কাছে চলে এল সিল, আরাে জোরে চুমু খেল। ওর একটা হাত খুঁজে পেল জনের পেটের মখমলের মতাে পেলব লোম, আঙুলগুলাে কিলবিল করে নিচে নামতে লাগল । জন চট করে ধরে ফেলল সিলের হাত। অ্যাই, নার্ভাস শােনাল ওর কণ্ঠ। এটা খুব বেশি দ্রুত হয়ে যাচ্ছে।’…..

………সে দরজায় টোকা দেয়া মাত্র গাঢ় বাদামি চুলের লােকটি তার হােটেলরুমের দরজা খুলে দিল। যেন তার জন্যেই অপেক্ষা করছিল সে! যেন জানত ও আসবে। দরজার একপাশে সরে দাঁড়াল লােকটি, ওকে ভেতরে ঢােকার ইঙ্গিত দিল। তীব্র কামনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ওর শরীর। ও লােকটির মুখ চেপে ধরল দুহাতের চেটোতে, লােকটি সরে গেল না। স্রেফ দাঁড়িয়ে রইল জায়গায়, তাকিয়ে আছে ওর দিকে, অপেক্ষা করছে। তবে ও চুমু খেলে বিস্মিত দেখাল তাকে। হঠাৎ ভয় পেল ও। এ লােকটিও হয়তাে অন্যদের মতাে তাকে প্রত্যাখ্যান করবে। ও তারদিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল, হাত বাড়িয়ে দিল আকুল ভঙ্গিতে, ওর নীল চোখজোড়া বিস্ফারিত।

এরপর দুজনে উঠে পড়ল বিছানায়, ওদের শরীর ইতিমধ্যে মিলনের ভঙ্গি পেয়েছে, লােকটি নিচে, ও ওপরে। আনন্দ ও তৃপ্তির চরম শিখরে উঠে যাচ্ছে ও, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, ঝিমঝিম করছে মাথা। লােকটির শরীর শক্ত, ওকে জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে। ও শরীরের ভেতরে লােকটির লৌহ কঠিন পৌরুষ অনুভব করছে, লােকটির নিতম্বের প্রতিটি আঘাত ওকে আরাে উত্তপ্ত করে তুলছে। যখন চোখ বুজল লােকটি, ও ভাবল লােকটির বােধহয় স্খলন হতে চলেছে, তার শরীর আড়ষ্ট হয়ে উঠল, তার নিজের রেতঃপাত ঘটছে, সুখে গােঙাচ্ছে ও। ওকে কোলে নিয়েই উঠে বসল লােকটি, জড়িয়ে ধরল দুহাতে, মেলল চোখ। ও তার চোখের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল নাকে নাক ঠেকিয়ে, প্রায় কালাে চোখ তার। ও বিস্মিত হয়ে দেখল লােকটির চোখের রঙ কেমন বদলে যাচ্ছে, হালকা হয়ে যাচ্ছে, বাদামি থেকে নীল, নীল থেকে সবুজ, তারপর ধূসর। এরপর মনে হল চোখে কোনাে রঙ নেই, বর্ণহীন অক্ষিকোটর চেয়ে আছে ওর দিকে।

ও যে রতিসুখ পেয়েছে তা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেল তীব্র ভয় পাবার কারণে।………..

………দুহাত বাড়িয়ে দিল সিল। আর আমন্ত্রণ জানানাের প্রয়ােজন হল না। সিলের শরীরের সঙ্গে সেঁটে গেল স্টিফেন। আর দুহাত ঘুরে বেড়াতে লাগল সিলের নগ্ন শরীরে। শার্টের বােতাম খুলতে দেরি হচ্ছে দেখে অধৈর্য সিল একটানে ছিড়ে ফেলল জামা। স্টিফেনের নগ্ন বুকে ঠেসে ধরল কামনায় শক্ত হয়ে ওঠা স্তনের বোঁটা। ওরা উত্তেজনার চোটে প্রথমে ড্রেসারে ধাক্কা খেল, তারপর দেয়ালে, শেষে বিছানায় গড়িয়ে পড়ল দুজনে।…….

………সিলের হাত স্টিফেনের শরীরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্টিফেনের ত্বক মসৃণ, কালাে লােমগুলাে নরম। সিল স্টিফেনের শরীরে নিজের শরীর ঘষছে, উপভােগ করছে নরম লােমের পেলব ছোঁয়া। স্টিফেনের মুখ এবং ঠোট সিলের শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি আবিষ্কারে ব্যস্ত। গােঙাচ্ছে ও। আর সহ্য করতে পারল না সিল, স্টিফেনকে চিৎ করে ফেলল। ওর গায়ের উপর উঠে পড়ল। প্যান্টির বাঁধন থেকে অবমুক্ত হয়েছে আগেই।

‘দাঁড়াও!’ ককিয়ে উঠল স্টিফেন সিলকে ওর দুই উরুর মাঝখানে জুৎ হয়ে বসতে দেখে। প্রটেকশনের কী হবে?’

প্রটেকশন? সে আবার কী? প্রশ্নটা অগ্রাহ্য করল সিল, ঝুঁকে এল। চুমু খেল স্টিফেনকে। ওর বুকের সঙ্গে ঘষা খেল সিলের পিনােন্নত পয়ােধর। সিল খামচে ধরল স্টিফেনের উরুর মাংস। তারপর শুরু হল মন্থন।…………

Please follow and like us:

Leave a Reply