আল মাহমুদের কিছু কবিতার অংশ

›› কবিতার / কাব্যের অংশ  

দোয়েল ও দয়িতা; দোয়েল ও দয়িতা

……তাকে কেবল স্তন বললে কী করে পোষায়
আমি তাকে সঙ্গীতই বলি। গানের বিরুদ্ধে গান।
ঐ তো ব্লাউজে উঁচু হয়ে আছে বাণীর আভোগ।……

কবির বিষয় : অদৃষ্টবাদীদের রান্না

…..আমার বিষয় তাই , যা গরীব চাষীর বিষয়
চাষীর বিষয় বৃষ্টি ফলবান মাটি আর
কালচে সবুজে ভরা খানা খন্দহীন
সীমাহীন মাঠ ।
চাষীর বিষয় নারী ।
উঠৌনে ধানের কাছে নুয়ে থাকা ।
পুর্নস্তনী ঘর্মাক্ত যুবতী । ……

…..পুরুষ চালায় হাল আলভেঙ্গে ঠেলে যায় ফাল
মাটি মাখন করে গোঁজে বীজ গোঁজে জন্মকণা
নারীর কোষের মাঝে রাখে কীট
কালোত্তীর্ণ প্রাণের কীটানু।……

মাংসের গোলাপ : কালের কলস

….আঘাত থেকে আসবে ছেলেগুলো
নাভির নিচে উষ্ণ কালসাপ…….

অস্পষ্ট স্টেশন : আরব্য রজনীর রাজহাঁস

…..দাঁড়িয়ে থাকা দেবদারুর মত দেহ তার। চোখ যেন
রাজা মহিপালের দীঘি। আর বুক দুটি
মিথুনরত কবুতর।
তার নাভি রন্ধ্রের ভেতর একটি ভরত পাখির মত আমি
অনন্তে হারিয়ে গেলাম।………

আষাড়ের রাত : আরব্যরজনীর রাজহাস

….রের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ
উগোল মাছের মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ ।…..

বিরামপুরের যাত্রী : কাকস্য পরিবেদনা

……এই নারীরা আমার বাসনার ডালপালা। এদের নাভী আমার চোখ
যেমন মাছে চোখে কোন পলক পড়ে না তেমনি অজস্র নাভীর ছিদ্র দিয়ে
তীর্যক হয় আমার দৃষ্টি। আমি কেবল দেখি আমার দৃষ্টির নিচেই
সমস্ত কুমারীর প্রসবকালের যাতনা। আমার দৃষ্টিই জগতের
তাবত ঐশ্বর্য অবলোকনের প্রতিচ্ছবি।…….

বিরামপুরের যাত্রী : কে কার উপমা

…..ভাব, তোমার ঊরু যুগলের কথা। মনে হয় যেন
পেসিফিকের শান্ত সন্ধ্যার সৌন্দর্য অতিক্রম করে,
একটি মাত্র পালতোলা জাহাজ বন্দরের কাছে এসে পড়েছে।……..

…..আমার চোখের জন্য তৃপ্তিকর ক্লোরোফিল খুঁজতে গিয়ে
নগ্ন পৃথিবীকে দেখলাম হুবহু যেন তুমি
দেখ আমি আর উপমার দিকে যাই না।
আমি বলি না তোমার স্তন বিন্ধ্য পর্বতের মতো
যা অগস্ত মুনির আশীর্বাদ ধন্য হয়ে একটু নুয়ে আছে…….

বখতিয়ারের ঘোড়া : নীল মসজিদের ইমাম

…..তোমার আব্রু ঠিক করে নাও। এই তো ছতর ঢাকার সময়
কোথায় হারিয়ে এসেছে তোমার বুকের সেফটিন?
আজ ইবলিসকে তোমার ইজ্জত শুকতে দিও না।……..

সিম্ফোনি : লোক লোকান্তর

……শঙ্খমাজা স্তনদুটি মনে হবে শ্বেতপদ্ম কলি…….

অভিযোজনাঃ আমি , দুরগামী

…..ইস্পাহানের হলুদ আপেল বাগান আমার হাতে দুলে দিয়েছে
তার সুপক্ক দুটি সোনালি ফল ।
তোমার ব্লাউজের বোতাম খো্লো……..

অহোরাত্রঃ লোক লোকান্তর

…..আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো বুকের গঠন
লুকানো যায়না তবু অনিবার্য যৌবনের ফুলপ্রতীকের মত যেন জেগে থাকে তোমার জঘন……….

শিল্পের ফলক : ঐ

….সর্প বিতানের কোনো ফলবান বৃক্ষের শিকড়ে
খুলে দিয়ে দুটি উষ্ণ উরুর সোপান
ঢেকে আছে নগ্নযোনি গহরফলক……

….আবার বুকের কাছে মুখ । ঘামে ভেজা মাংসের কিষান
তৃপ্ত করে জ্যামিতির গুল্মময় ত্রিকোন কর্দম ।….

খরা সনেট ৪: দোয়েল ও দয়িতা

…..তবুওতো চাদ উঠে জনপদে । ব্রাকের
আপার মতো ঠাট
চান্দেরী শাড়ির নিচে জোছনা দেখানো গুঢ রাত ।…..

Leave a Reply