………রায়সাহেব পাশের ঘরের চৌপাই থেকে একটি তােশক তুলে এনে বসার ঘরের কার্পেটে বিছিয়ে দিলেন। একেবারে আগুনের সামনে। তারপর মেয়েটির জামা-কাপড় ছাড়িয়ে একেবারে আগুনের গায়ে লেগে তাকে কোলের মধ্যে নিয়ে তােশকে শুলেন। এসব মেয়েকে নিয়ে নিজের খাটে শোওয়া যায় না।…….মেয়েটি বেশ। কিন্তু ওর গায়ে বনতুলসী আর পুটুস ফুলের উগ্র গন্ধের মত একটা ঝাঁঝালাে গন্ধ। উঠে গিয়ে, ইন্টিমেট এনে ভালাে করে সর্বাঙ্গে স্প্রে করে দিলেন। দুর্গন্ধ বা বিজাতীয় গন্ধ কোনাে অভিজাত লােকই সহ্য করতে পারেন না। এই সাধারণ মহুয়াকুড়ােনাে খুঁটে দেওয়া ভিখারিণীকে রায়সাহেব উড়নট হ্যাভ টাচড় উইথ আ পােল্। কিন্তু জংলী ফলের স্বাদ একটু তিক্ত কষায় তাে হবেই। সব তিক্ততার গভীরেই মধু থাকে। রুক্ষতার আড়ালে পেলব নিভৃত আর্দ্রতা। রায়সাহেব তা জানেন।………রায়সাহেব এসব আলােচনায় সময় নষ্ট করতে রাজী ছিলেন না। উনি মেয়েটিকে আরাে কাছে টানলেন। সব ব্যাপারেই হাথী । যত্তসব,
অতখানি রাম খেয়ে মেয়েটি বিবশ হয়ে পড়েছিল। ওকে যা যা করতে বললেন ও তাই করল রায়সাহেবের কথা মত। আসলে মেয়েটি তাড়াতাড়ি ছুটি পেয়ে তার মাটির ঘরের চৌপাইয়ের দুর্গন্ধ কাঁথার নীচে ফিরে যেতে চাইছিল। বড় ঘুমকাতুরে মেয়েটি। রাম না খেলে আধ-ঘুমন্ত শীতার্ত শরীরের দরজা জানালাগুলির একটিও খুলতাে না। রায়সাহেব ভাবলেন।
আস্তে আস্তে সমস্ত শরীরের অনুপরমাণু গরম হয়ে উঠতে লাগল রায়সাহেবের। এইই পরম উষ্ণতা। পৃথিবীর কোনাে আগুনই এই উষ্ণতা দিতে পারে না কোনাে পুরুষকে। যা একমাত্র পারে নারীর স্তনবৃন্ত, তার তলপেটের পেলব নিটোল বেলাভূমি, তার উষ্ণ রােমশ। কোমল কাঠবিড়ালীর গা সিরসিরানাে দশ্য। তিনি জানেন তা।
রায়সাহেবে, বয়স তিরিশ বছর কমে গেলাে। ঐ ন্যক্কারজনক দুর্গন্ধ ইংরিজি না-জানা ভিখারিণীকে ক্ষণিকের জন্যে তাঁর রানীর মর্যাদা দিলেন রায়সাহেব। রায়সাহেব জীবনে রাজা হয়েও এই প্রথমবার প্রজার মত ব্যবহার করলেন। মেয়েটিকে তার পেটের হাওদায় বসিয়ে, নিজের শরীরটাকে সেই চিলবিল গাছের মত মসৃণ দুই উরুর নিচে সঁপে দিলেন। এই প্রথমবার জীবনে এক আদিম অথচ চির-নূতন ক্রীড়াভূমিতে নিজে ক্রীড়নক হলেন।………