দেহ
………..সেই আমার প্রথম নারীসান্নিধ্য। পাঠকেরা ভুল বুঝবেন না। নারীসান্নিধ্য মানে নিবিড়ভাবে বুকে জড়িয়ে ধরা । চুমাে দেওয়া শিখি নি তখনাে। সুরমাই ঝট করে তার ঠোট নামিয়ে এনেছিল আমার ঠোটের ওপর। সেই-ই আমার জীবনে প্রথম চুমাে খাওয়া। ও হ্যা, আর একটা কাজ করেছিলাম আমি, সেটা না বললে পাপ হবে আমার। ওই যে বলেছি, যা বলিব সত্য বলিব। আমি সেই সন্ধেয় গভীর গহিন নিবিড়তার মধ্যে সুরমার বুকে হাত দিয়েছিলাম। স্তন আমার কাছে নারীদেহের সবচাইতে আকর্ষণীয় অঙ্গ বলে বিবেচিত। সেই কিশাের বয়সে যেমন, এই ষাটোর্ধ্ব বয়সেও তেমনি। আমার ধারণা ছিল—নারীস্তন তুলতুলে তুলাের মতন। কিন্তু সুরমার স্তনে হাত দেওয়ার পর বুঝলাম—আমার ধারণা মিথ্যে। ঝুনা নারকেলের মালার দুটো অংশ উপুড় করে বসানাে যেন সুরমার বুকে। এই-ই ছিল আমাদের প্রথম প্রেম, মানে প্রথম দেহপ্রেম ।…………
…….সম্পূর্ণ একা বললে ভুল হবে। পদ্মা নামের এক নারী আমার দেখভাল করে এখন । চল্লিশের কাছাকাছি বয়স তার। বিধবা। মাঝারি ফর্সা। স্বামী ছাড়লে কী হবে যৌবন পদ্মাকে ছেড়ে যায় নি। নিবিষ্ট মনে সে ঘরের কাজগুলাে করে যায়, আর নিবিড চোখে আমি তার দিকে তাকিয়ে থাকি। আঁচলের ফাক দিয়ে কখনাে কখনাে তার ব্লাউজঢাকা স্তন উঁকি মারে, আমি গােয়ালঘরের সুরমার কাছে ফিরে যাই। সে ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে ফ্লোর মােছে, তার নিতম্ব দোলে এদিক থেকে ওদিকে। আমার লােল জিহ্বা তার নিতম্বের তলায় তলায় ঘােরে।
আমি বাসনার গলা চেপে ধরি, খবরদার, আর যদি চোখ দাও পদ্মার দিকে, তাহলে তােমার একদিন কি আমার একদিন।
তারপরও আমার চোখ যায় পদ্মার হাতকাটা ব্লাউজের নিচের অংশে। চেকনাইকোমরে চোখ আটকে যায় আমার । অজান্তে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, আহা! কী মনােলােভা!…………….