কোকিল ও লরিওয়ালা
…….আমি এক যুবকের পাশে চলন্ত এক যুবতিকে দেখি। প্রথমে তার মুখ, তারপর পর্যায়ক্রমে তার বুক, কোমরের খাঁজ ও তার চলার ছন্দ, আবার তার বুক। তারপর যুবকটিকে। আবার সেই যুবতির কোমরের খাঁজ, বুক ও মুখ। ………
………তারপর টানা তিন বছর আমি সেই মেয়েটিকে ছায়ার মতন অনুসরণ করেছি। কথা বলিনি কোনােদিন। সে আমাকে চিনেছিল ও জেনেছিল। কখনাে কখনো সে খুব কাতর ও মিনতিভরা নিঃশব্দ চোখে তাকাতাে আমার দিকে। আমি হাসতাম। ততটা বেশি হাসি নয়, যা পরিচয় দাবি করে। পাতলা, সরু মতন হাসি, যা হাওয়ায় উড়ে যায়। তারপর একদিন বাথরুমে মেয়েটির সঙ্গে নিবিড় ও প্রবলভাবে সঙ্গম করে (মনে মনে) তাকে মুক্তি দিয়েছিলাম। আর পাঁচদিন পরেই ছিল তার বিবাহ।………..
রানি ও অবিনাশ
…….তােকে মনে হত একটা রহস্যের সিন্দুক। তােকে চুমাে খেয়েছি, তাের জামার বােতাম খুলে বুকে মুখ চেপে ধরেছি—কি অসম্ভব উথাল-পাথাল করতে তখন মাথার মধ্যে। ………
আমাদের মনােরমা
………ভণ্ডদা আর মনেরমাকে নিয়ে বদনামটা রটবার পর কিন্তু জগুদার দোকানে ভিড় বেশ বেড়ে গেলো! এক একসময় এসে আমরাই জায়গা পাই না। মনোরমার মুখখানা নাই বা সুন্দর লে তার জামা উপছােন বুক আর ভারী পাছার দিকে নতুন খদ্দেররা হ্যাংলার মত তাকিয়ে থাকে। ……..
নীল পরী
……….আমি আঁতকে উঠলুম। মেয়েটার সরল মুখ, কোনো বিকার নেই, তাজা, ফুলের মতন স্বাস্থ্য। যতই বয়েস হােক, তবু ওর পাতলা জামা ভেদ করে যে স্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে—তার সঙ্গে সদ্য ফোটা গােলাপের উপমাই মনে পড়ে। মেয়েটাকে পাগল বলেও তো মনে হয় না………
আমার একটি পাপের কাহিনী
………খুব নরমভাবে আমি মােনিকার কপালে হাত বুলােলাম একবার। মােনিকা একটু কেঁপে উঠে ঘুমের ঘােরেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি শুয়ে ওর কপালে একটা চুমু খেলাম! মেনিকা চোখ মেলে তাকালো, বললাে, উঃ বড্ড শীত করছে। আরও দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গন করতেই এক নিমেষে চলে এলো উষ্ণতা। পাখির বাসার মতন গরম ওর বুক~ সেখানে মুখ খুঁজে কাতরভাবে আমি বলাম, মােনিকা, তুমি আমার ওপর রাগ করো নি। আমার গানের কাছে মুখ এনে মেনিকা বাংলায় বললো–সুনীল, আমি টোমাকে বালোবাসি।
আমি জ্ঞান হারাম। আমাদের দুজনের পোশাক ছিটকে পড়লো খাটের বাইরে। চুমু খেতে খেতে আমার জিভ ওর আলজিভ স্পর্শ করতে ছুটে গেল। আমার পিঠে এমন খিমচে ধরলে শেনিকা যে স্পষ্ট টের পেলুম সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। এক ধরনের অসহ্য সুখের যন্ত্রণায় গােঙাতে লাগলাম আমরা দুজনেই।……….
……….নেশার ঝেকে অনেকেরই অবস্থা বেসামাল! ঘরের আলােটা নিবিয়ে দিয়ে শুধু টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে রেখেছে। দরজা জানলা সব বন্ধ, ধোয়ায় গুমট আবহাওয়া, এর মধ্যে অতগুলি সুগঠিত স্বাস্থ্যবান প্রায় নগ্ন নারী-পুরুষ, এক অকল্পনীয় বিস্ময়কর দৃশ্য। দু’চারজন পরস্পরকে জড়িয়ে শুয়ে পড়েছে মেঝেতে, অনেকেই কিন্তু মুখোমুখি বা স্পৃিহের মতন গল্প করে যাচ্ছে। আমি ছিলাম, জানলার কাছে। এই সময় কারেন বলে একটা মেয়ে আমার কাছে এসে বললো—এ-ই, তুমি একা একা অমন প্লাম ফেসেড় হয়ে বসে আছাে কেন?
আমি উত্তর না দিয়ে শুধু একটু হাসলাম! ক্যাবােলিনের বিশাল চেহারা, শক্ত উন্নত স্তন, কলাগাছের মতন দুই উরু, শিল্পীদের মডেল হয় ক্যারােলিন। কথা নেই বার্তা নেই ক্যারোলিন আমার কোলের ওপর বসে পড়ে গল!
জড়িয়ে ধরে বললো, হ্যালো সু-ই-টি!…….
সােনামণির অশ্রু
……….লােকটির স্ত্রী বাংলা মাসিক পত্রিকা পড়ছিল বিছানায় শুয়ে। মােটার দিকে গড়ন, দুপুরে ব্রা পরে না। এই তাে একটু আগে স্নান সেরে এসেছে, দুপুরবেলা এই সময় প্রত্যেক দিন তার স্বামী দোকানে অন্য কর্মচারী বসিয়ে রেখে বাড়িতে ভাত খেতে আসে।…….
…….খাট থেকে নেমে তক্ষুনি সে রান্নাঘরের দিকে না গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াল। গুমােট গরম, দু চারটি ঘামাচি হয়েছে তার বুকে, বাঁ হাত দিয়ে নিজের বাম স্তনটি চেপে ধরে সে ডান হাত দিয়ে ঘামাচি মারতে লাগল।…….
…….মেয়ে দরজা খুলে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, বাবা, কী এনেছ? কী এনেছ? ঠোঙাটি মেয়ের হাতে দিয়ে লােকটি তার গাল টিপে একটু আদর করল তারপর ঢুকল শয়ন ঘরে।
রক্ত মাংসের স্ত্রীর শরীরের চেয়েও আয়নায় আধাে উন্মুক্ত বেশ বড় একটি বর্তুল স্তন তাকে মুগ্ধ করল বেশি। সে মৃদু মৃদু হাসতে লাগল।………
সুর সুন্দরী
……..স্ত্রীলােকটির এক উরুর ওপর থেকে শাড়ি সরে গেছে, এখানে এরা বিচিত্রভাবে শাড়ি পরে, প্রায়ই এক উরু খােলা দেখা যায়। বিশেষ করে তেলেঙ্গিরা এই রকম শাড়ি পরে। তাছাড়া, স্ত্রীলােকটি বোধহয় ভেবেছে, বাড়িতে কেউ নেই। বেশ মসৃণ, তৈলাক্ত উরু, রঙটা বীরেনের চশমার ফ্রেমের মতন। স্ত্রীলােকটির মাথার চুলও অনেক, পিঠের ওপর ঢাল দেওয়া, বয়স বেশি নয় বােধহয়।……..
……….সুন্দরী মৃর্তির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হঠাৎ উতলা হয়ে পড়েন। তার দুটি হাত রাখেন সেই পাথরের মুর্তি স্তনে, তারপর সেই মূর্তির ওষ্ঠের হাসিটুকু তুলে নেবার জন্য তিনি সেখানে নিজের ঠোট ছোঁয়ালেন। ………
……ওদের কাটিয়ে একটু নিরাল পাবার পর বীরেন সতৃষ নয়নে তাকিয়েছিলেন ওপরের সুর সুন্দরী মূর্তির দিকে। এখনো সেই অম্লান হাসি। সেই বিপুল নিতম্বিনী, পৃথুল স্তনী রমণী যেন তাকে ডাকছে।…..
……মেয়েটি বেশ লম্বা, ভারীর ওপরে গড়ন, তব বন্ধনীহীন দুটি বুক শাড়ির আঁচল চাপিয়ে স্পষ্ট, দুটি উরুই এখন ঢাকা অবশ্য। চোখ দুটি গভীর কালাে কাজল টানা মনে হয়। যদিও কাজল দেয়নি নিশ্চয়ই। ……..
……..পদ্মার কাঁধে হাত দিয়ে তিনি কয়েক মুহূর্ত দ্বিধা করলেন। পদ্ম কি চেচিয়ে উঠবে? কাব থেকে হাত সরিয়ে দেবে?……..বীরেন এবারে পদ্মায় আঁচলটা ফেলে দিলেন বুক থেকে। পদ্মার স্তনদ্বয় ফরাসি শিল্পী রেনােয়া-র নারীদের লজ্জা দেবে। বৃত্তদুটি জীবন্ত হয়ে কাপছে।
বীরেন পদ্মার কোমরে হাত দিয়ে বললেন, একটু বেঁকে দাড়াও তাে! এই, এই রকম।………..