……..আসলে, ফেসবুক নয়, সেক্সবয় প্রতিদিন যে বলছে চৈতালির সঙ্গে বিছানায় সে কী কী করবে, কী করে চৈতালির সারা শরীরে চুমু খাবে, কী করে ঠোটে, বুকে আদর করবে, কী করে চৈতালির স্বাদ নেবে, আর তাকে ঘন ঘন শীর্ষসুখ দেবে… সেসব পড়ার নেশা। ……. বিজয়কে ছুঁয়ে দেখতে চায় চৈতালি। সত্যিকার মৈথুন চাই, হস্তমৈথুন শরীর আর নিতে চাই না।……..
……..চৈতালি একটা নীল রঙের শাড়ি পরেছে। ইচ্ছে করেই খুব বড় গলার ব্লাউজ পরেছে। স্তনজোড়া উঁকি দিচ্ছে, দিক। লরিয়েলের কালাে রঙ চৈতালির চুলে।……….
………..চৈতালির কাছে বিজয় সম্ভবত আস্ত একটি পুরুষাঙ্গ ছাড়া আর কিছু নয়। সে বলে-কয়েই সাতদিন শুতে আসছে চৈতালির সঙ্গে। শুধু শরীরের আকর্ষণকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে একটা সম্পর্ক। চৈতালি ভাবে, সবসময় যে আগে মন, পরে শরীর হতে হবে তারইবা কী মানে, শরীর আগে, মন পরে হওয়াটাই বরং বেশি যৌক্তিক। দরজা খােলার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চয়ই বিজয় ওকে জড়িয়ে ধরে গভীর করে চুমু খাবে। তারপর সােজা শােবার ঘরে……..
……..দু’জন হাই বিজয়, হাই চৈতালি বলে হাত মেলাল। শােবার ঘরে নেওয়ার বদলে চৈতালি বসার ঘরে নিয়ে এল বিজয়কে। দু’সােফায় মুখােমুখি বসল দু’জন। একটুখানি দৃষ্টি বিনিময়। একটুখানি হাসি দুজনের ঠোটে। চৈতালি বসে আছে বিজয় উঠে এসে ঠিক স্কাইপেতে যেমন বলত, “ইউ লুক সাে হট হানি। কাম অন, লেটস হ্যাব সেক্স’ বলে কিনা বিজয় নিজেই কাপড় খুলে ফেলত, ক্যামেরাকে নামিয়ে দিত উরুসন্ধির দিকে, আর চৈতালিও খুলত বুকের কাপড়। দু’টো যৌনকাতর নারী-পুরুষ আজ মুখােমুখি বসে আছে। দু’টো শরীরের বাসনা আজ পূর্ণ হতে যাচ্ছে। তবে দুজনের কথােপকথনে যৌনতার তিলমাত্র কিছু নেই।………