……….মেয়েটা হতে পারে কিশোরী। কিন্তু এ বিষয় নিশ্চিত ওর ছােট স্তন দুটো চমৎকার। কথাটা ভাবতে সে শ্বাস ফেলল। নিজের বিদঘুটে চেহারাটার কথা মনে করে দুঃখ পেল।……
……সে ছােট একটা পাক খেলো ঘরের মধ্যে। নিতম্ব দোলাল। হাত দুটো দিয়ে কাপড়টা ধার মাথার ওপর তুলে ও একটা হাটু ভেঙে বসল। তারপর অন্য হাটুতে ভর দিয়ে, কয়েক চক্রাকারে ঘুরল, তারপর সে কাপড়টা ফেলে দিল একপাশে। কয়েক পা ফেলে সে হাত দুটো তার কোমরে জড়ানো বগলেশে রাখল। বগলেশটা খুলে ফেলল। ফেলে দিল একপাশে। এর পর সে স্কার্টটা ক্রমশ ওপর দিকে তুলতে লাগল। এক সময় সেটাও খুলে মাটিতে ফেলে দিল। ব্রেসিয়ার অর জাঙ্গিয়া পরে সে দাড়িয়ে রইল।
‘এর চেয়েও আমরা একটু অন্য ধরনের পোশাক চাই। এরকম পােশাক নয়। আমরা বোতামহীন পশমী গেঞ্জি পড়ব। একটা চমৎক র ব্রার সঙ্গে ছােট ফ্রক । কিন্তু দ্যাখাে আমি এইভাবে তা করব।
সে প্যান্টি পরেই ঘরে পাক খেতে লাগল । কখনও সে লােলিটার সামনে ফিরল। কখনও পেছনে। সীনার পাছা আর উরু দেশ শক্তপােক্ত আর সুন্দরভাবে মাংসল। ওকে কত সুন্দর দেখতে লােলিটা ভাবলো, নিজের সঙ্গে সে তার তুলনা করল।
– ‘চমৎকার!’ গ্রেগরি বলল হাত দুটো ঘষতে ঘষতে । ভীষণ চমৎকার।
সীনা তার বক্ষবন্ধনী খুলে নিয়ে ফেলে দিল। আরো কিছুক্ষণ নাচের ভঙ্গীতে পা ফেলে চক্রাকারে ঘুরল। তারপর সে তার প্যান্টির কোমরবন্ধনীটা অগল করে দিল। একটু পরেই সেটা পায়ের গোছের কাছে নামিয়ে দিল। নাইলস আর সাসপেণ্ডার বেল্ট শুধু এখন ওর দেহ। সেই ভাবেই ও কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইল। পরে সে পা ছুড়ে প্যান্টিও ছুড়ে ফেলে দিল।
সে বলল, তুমি জানো কিনা জানি না গ্রেগরি, এটা করে আমার খুব ভালো লাগে। আমার মনে হয় আমার কিছু দেখাবার অাছে । কি, তুমি কি মনে কর না যে আমার একটা সুন্দর শরীর আছে ?
– ‘নিশ্চয় তা তোমার আছে।’ রুদ্ধশ্বাসে বলল এলসি। সীনার কৃতিত্বে সে ভাষণ মুগ্ধ। কিন্তু এতে ওর একটু যন্ত্রণা হল। যন্ত্রণা হল তার আর সনার ফতের কথা ভেবে। দুজনই স্ত্রী। জাতির মধ্যে পড়ে। কিন্তু তুলনায় সীনা একজন চমৎকার দেহের মেয়ে আর যে বিদঘুটে মোটা।
…. ফিরল লোলিটার দিকে। এবার ছােট মধুমক্ষিকা, তােমার পালা। তুমি আমাদের দেখাও।’
-“আমি যা পড়ে আছি তা দিয়ে আমি এটা করতে পারব না।’ নিজের পােশাকের কথা ভেবে লজ্জা পেয়ে সে ললিটা ‘তুমি বললে না যে তুমি আমাদের সুন্দর সব পোশাক দেবে। তাই তাে মিঃ গ্রেগরি ?”
– আমি তোমাদের সব কিছু দোব। ওড়না, সুন্দর সুন্দর সব প্যান্টি আর ব্রা। চমৎকার দেখতে অনেক মােজা। ……
গ্রেগরি .. ভাবল সীনা আর লোলিটা তার হিসেব করা যোগতারও বেশী। ওরা দারুণ। শুধু রূপই না, দৈহিক গড়নেও ওরা চমৎকার। সীনার তাে অাটাসটো ছিমছাম পুরুষ্ট দেহটা খদ্দেরদের জাদু মন্ত্রর মোত বার বার টেনে অনবে। গ্রেগরি এসব ভেবে চলল। আর লেলিটা? ও তাে এখনো কচি আছে। জোয়ার এসেছে বটে তবে সীনার মতো এখনো কুল ছাপায় নি। তবু এই বয়সেই ওর যা দেহের গড়ন, শরীরের যে ঝাঝালাে ভাজ তা খদ্দেরদের জিভে জল এন দেবে।………
………সে দেখল ঘরের মাঝখানে বিছানাে বড় চৌকো কম্বলটার ওপর সীনা দাড়িয়ে। যেন ওটা একটা মঞ্চ। সীনা হাত দুটো জড়ো করে মাথার ওপর তুলল। যাতে সে তার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত শরীরের অংশটাকে সামনের দিলে ঝুকিয়ে আনতে পারে। তারপর ক্রমশঃ ধীরে ধীরে ঘুরতে লাগল। প্রথমে সে একটা পা ছুড়ল। পরে অন্যটা। তারপর সে তার কাধে জড়ানো পাতলা বুননের অবগুণ্ঠনটা ঘােরাতে লাগল। ওটা সুগন্ধিত করা ছিল। সে সেই সুগন্ধী অবগুণ্ঠনটা লোকটার সামনেই ওড়াতে লাগল। গন্ধটা তাকে আচ্ছন্ন করে দিল।
অগুণ্ঠনটাকে ঘােরাতে ঘােরাত উড়িয়ে দিল। এর পর সে ওড়নাটা তুলে নিল। সেটা কাঁধের ওপর রাখা ছিল গলায় জড়িয়ে। সীনাকে ভীষণ দায়িত্বশীল করিৎকর্মা দেখে লােলিটা খুশি হল। ওর মনে হল ও যেন একটা ব্যালেট-নৃত্যপটীয়সী। লােলিটার চোখ দুটো উল্লসিত হয়ে উঠল। | লেলিটার চোখের সামনেই সীনা ধীরে ধীরে পােশাক খুলতে লাগল। …..
সীনা একটার পর একটা পোশাক খুলে চলল। তারপর এলসির ঘরে মহড়া দেবার সময় যেমন সে করেছিল ঠিক তেমনি ভাবেই সে বিবস্ত্র করে ফেলল নিজেকে। লোলুপতায় লোকটার লাল মুখ যেন আরো লাল হয়ে উঠল। বিবস্ত্র হয়েই দ্রুতগতিতে সীনা ঝুকে পড়ে খুব বড়সর একটা অবগুণ্ঠন তুলে নিল। ভেতরে চলে এল সেটা নিয়ে।……
……..পরিবেশটা এমনই হয়েছিল যে এটা মােটেই একটা শিল্পের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক নয়। কিন্তু ডালসি পুরোদমেই ওর কৃত্রিম হাসি মুখে ফুটিয়ে রাখল। এরপর ও বার কয়েক নিতম্ব দুলিয়ে ওর প্রথম আবরণটা উন্মোচন করল। সেটাকে উড়িয়ে দিল। সেটা পড়ল গিয়ে কাছেরই দর্শকদের ওপর।
একজন আধমাতাল দর্শক সেটা ধরে নিল। চোখ কান বুজে সে সেটা কোটের ভেতর ঢুকিয়ে নিল। ওর সঙ্গী ডালসির দিকে নেকড়ের মত চেয়ে রইল । পরের উন্মোচিত আবরণটার জন্যে।……….
ডালসি যখন ওর শেষ পােশাকটা খুলে ফেলল চারদিক জুড়ে একটা অট্টহাসি উঠল। লালচে দেহটা নিয়ে ও নগ্ন হয়ে দাড়িয়ে রইল । কর্কশ গলার দর্শকদের ওপর লোলিটার একটা প্রচণ্ড রাপ হল। ও বুঝল দেখবার মত কোন ইচ্ছাই নেই। যদি ওদের শিল্প সম্পর্কে একটা ধারণা থাকত তাহলে এরকম হতো না।
ডালসি কিছু মনে করেছে বলে মনে হল না। প্রাণপণেই সে এটা পরিস্কার ভাবে করেছে। একসময় ডালসির কাজ শেষ হল। তবে সেই আধমাতাল লোকটার থেকে ওড়নাটা নিতে ওর ভীষণ কষ্ট হল। লােকটা কিছুতেই সেট। ছাড়তে চাইছিল না নিজের দাবি থেকে ।…….
…..লেলিটা …….ও আস্তে আস্তে এগোতে লাগল মঞ্চের দিকে। পেছন দিক থেকে ওর পিঠে কেউ চড় কষল। কেউ একজন চিৎকার করে উঠল। বাছা তুমি নাচবে। ও সে সবের মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রথম সারির চেয়ারগুলাে আর মঞ্চের মাঝখানে গিয়ে দাড়াল। পিয়ানাে বাদক বাজাতে শুরু করল।
লােলিটা পরিষ্কার ভাবে জানত না কি করতে হবে। ওর গােটাকতক বড় ওড়না ছিল, যেগুলাে ওর জ্যাকেটের ওপর দিয়ে পর পর জড়িয়েছে। প্রতিটা হাতে ও একট। হলদে আর একটা লাল রঙের উড়নি নিয়েছিল।
লােলিটা যদিও বুঝতে পারছিল না কি করবে না করবে তবু বাজনা যখন শুরু হল ও তার তালে তাল রেখেই সময় মত কৃত্রিম ভাবে পা ফেলতে শুরু করল। ধীরে ধীরে ও ঘুরতে লাগল । ছোট পরিসরের মধ্যে যতটা পারলে নিতম্বকে দোল খাইয়ে ও ছন্দবদ্ধ ভাবে ঘুরতে লাগল।
সামনে থেকে কে একজন বলল, ‘ও তাে দেখছি বাচ্চা, কিন্তু বেশ ভালােই নাচছে তাে হে।’ আশ্চর্যজনক ভাবে বারের সমস্ত কোলাহল হঠাৎ থেমে গেল। নিজেদের মদের পাত্র আর মদ ঢালার পাত্রের দিকে তাকাতে ভুলে গিয়ে ওরা মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে রইল লােলিটার ছলায়িত দেহটার দিকে।
লােলিটা আরো বেশী করে উৎসাহিত হয়ে উঠল। ও কোমর দোলাতে দোলাতেই ওড়নাগুলো খুলতে লাগল। সেগুলাে পিয়ানাে বাদকের মাথায় ছুড়ে দিতে লাগল। আর তা দেখে হাসির হল্লা উঠতে লাগল। ও বাজাতে বাজাতেই মাথা হেঁট করে চোখে এসে পড়া ওড়নাগুলো এড়িয়ে যেতে লাগল।
তারপর ওর গায়ে জড়িয়ে রাখা ওড়নাগুলো গা থেকে খসিয়ে দিল। সেগুলো সে ফেলতে লাগল দর্শকদের ওপর। শেষে ও শুধু জ্যাকেট আর স্কাটটা পড়ে দাঁড়িয়ে রইল। খদ্দেররা এখনো পর্যন্ত এরকম একজন দ্বীপ-টাসার কে দেখেনি যে ঘরের সাধারণ পােশাক কিংবা রাস্তায় বেরােবার পােশাক খুলে নাচ দেখিয়েছে।
লারির সামনে লােলিটা যেমন করে দেখিয়েছিল ও এখন তারই পুনরাবৃত্তি করল। ও দেখল যখনই পারছে পেছনে ওর মালিক লারি দাড়িয়ে পড়ছিল। ওর দিকে তাকাচ্ছিল।
এরপর আস্তে আস্তে ও ওর জ্যাকেট আর স্কার্টও খুলে ফেলেছিল। এখন ও শুধু প্যান্টি পরেই কোমর দোলাতে লাগল। সমস্ত লাউঞ্জ জুড়ে ওকে তারিফ করার একটা গুঞ্জন ধ্বনি উঠল। দর্শকরা প্রায় রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠল। ওর যৌবন মদির নগ্ন দেহ ওদের যৌন ক্ষিদে চাঙ্গা করে দিল। অনেক দর্শকই ওদের পেছনে বসার জায়গায় বসে না থাকতে পেরে উঠে এলাে। চুড়ান্ত ব্যাপার দেখবার জন্যে ওরা সামনে ভিড় করে দাড়াল ।
এরপর লােলিটা ওর পোশাক পরিচ্ছদগুলো জড়াে করল। নিজেকে আবরণ দিয়ে জড়িয়ে ঢেকে নিল। তারপর তড়িঘড়ি ফিরে এল পর্দার পেছনে। ও জনগরনের পরিপূর্ণ প্রশংসা পেল হাততালি আর কোলাহলের মধ্যে দিয়ে।……ওর শরীরে তেমন একটা মাংস নেই।’ ওর নিজের অাতে ঘা লেগেছিল। ও লোলিটার দিকে হিংসুটে দৃষ্টিতে চেয়ে রইল।
পর্দার কাছ থেকে কেউ একজন বলল, ‘আমি ওটাকে প্রকৃত ভালো বলেই জানি। এটা দেখে মনে হল আমি যেন কোন গৃহস্থ বাড়িতে ন্যাংটো মেয়েকে দেখলাম।’ …………