সারেং বৌ – শহীদুল্লাহ কায়সার

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………এর মাঝেও রসিকতা করে শরবতি। সাধে কি চোখ লেগেছে লন্দর শেখের। নবিতন বুয়া, তোর গায়ে যে জোয়ানকির ঢল। আমারই চেয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।

শুনে যেন ফুর্তি আরো বেড়ে যায় নবিতনের। মাথাটা ঝাকিয়ে কোমড়খানি দলিয়ে ঢেউটির মতো ঢলকে পড়ে ঢেকির উপর। যুগির বানানো মোটা শাড়ীখানাও ধরে রাখতে পারে না ওর ছলকে ঝলকে উছলে পড়া জোয়ানকি। বাধন মানে না নিতম্ব দোলা। শাসন মানে না জোড়া বুকের উদ্দাম নাচন। সারেং বৌর দেহের ভাঁজে ভাঁজে এ বুঝি জোয়ানকির উথালি পাধালি নাচন, কলকল জোয়ার। আর সেই নাচের ছন্দে দ্রত বোল তলে যায় ঢেকিটা ঢেককুর টুকটেককুর ঢুক।………..

…….মুহুর্তের বেশী ইতস্তত করল না নবিতুন। কদমকে কোলে নিয়ে বকের কাছে তুলে আনল কদমের মুখ। সে মুখে পরম যত্নে পরে দিল স্তনের বোঁটা। বুঝি স্তন চুষবার শক্তিটাও নেই কদমের শরীরে। নবিতুন স্তনটা টিপে টিপে দুধ ঝরিয়ে দিল কদমের মুখে। তারপর স্তনের বোটাটা পুরে রাখল ওর মুখের ভেতর। শিশুর মতন নবিতুনের বুকটা আকড়ে থাকল কদম। উদার আকাশে কি আজ অনেক স্নেহ। উদার আকাশটা স’-স্নেহমাখা হাতে প্রলয় বিধবপ্ত এ পথিবীর ক্ষতে বুলিয়ে চলেছে প্রীতি-উষ্ণতার আরোগ্য-পরশ বুঝি মুছে দেবে সব ক্ষত, সব ক্ষতি।

আনন্দে বিস্ময়ে ক্লান্তিতে এখনো কাঁপছে নবিতুন। কাঁপা হাতে বুকের উপর ধরে রেখেছে কদমের মুখখানি। অনিমিষ চেয়ে চেয়ে দেখছে নবিতুন, কদমের মুখে ফুটে উঠেছে প্রাণের আভাস, ওর কপালের শিরায়, ওর খোঁচা খোঁচা দাড়ির অন্তরালে মুখের ত্বকে ধীর রক্ত চলাচলের ক্ষীণ দুতি।………

Leave a Reply