……….দুটো বেডরুম কেন?
আমার যে দুজন সঙ্গী। এক সঙ্গে দুজনের সঙ্গে সােব কী করে! তিন দিন তিন দিন করে শুই। বদলে বদলে। রবিবার অফ ডে। আমি একলা ই হাত-পা ছড়িয়ে আর ওরা দু-বন্ধু এক সঙ্গে শােয়। রাম-টাম খায়। টিভি দেখে, বসার ঘরে বসে। মেয়েদেরই মতাে ছেলেদেরও অনেক নিজস্ব গল্প থাকে, যা মেয়েদের সামনে করতে বাধে। তবে ভবিষ্যতে আরও একটা ঘরের হয়তাে দরকার।……..
………..মৃগেনটাও একটা ম্যাদামারা। মিথ্যে বলবেন না, হরপ্রসাদের যৌবনে বাসবীর সঙ্গে একটু মাখােমাখাে হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য বাসবীরই প্রবল আগ্রহে। এইচ, পি-র দিক দিয়ে সেই সম্পর্কটা ছিল কনভিনিয়েলেরই। মহিলা নিমফোম্যানিয়াক ছিলেন যৌবনে। তাই কয়েক বার শারীরিক সান্নিধ্যে আসতে হয়েছিল। বিবেকের কাছে তিনি পরিষ্কার। কিন্তু সেই সম্পর্কে কোনাে মাধুর্য ছিল না বরং পুরাে নারী জাতির ওপরেই এক গাঢ় বিদ্বেষ জন্মে গেছিল চ্যাটার্জি সাহেবের। উনি এমনিতে খুবই সুক্ষ্মরুচির মানুষ। বাসবীর শরীরী প্রেম তার সেই রুচিকে আহত করেছিল। এসব জিনিস বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে বলার নয়, নীরব অনুভূতির। যারা বােঝার, তারা বুঝবেন।……….
……….যখন দরজা খুলে ভিতরে ডাকল তাকে দেবী তখন কামরাটা সুগন্ধে ম-ম করছিল একটি হালকা-বেগনি রঙা কটন-এর নাইটি পরে আছে দেবী। স্লিভলেস। বুকের, গলার ও ঘাড়ের কাছে লেস এর ফ্রিল দেওয়া।………..ওর এই ঘরােয়া ফলসা রূপ অ্যাটেন্ড্যান্টও দেখবে এটা ওঁর পছন্দ হল না। দুটি অনাবৃত সুডৌল উজ্জ্বল বাহু, সুগঠিত দুটি কবুতরি স্তন, যদিও নাইটিমােড়া। তবুও। না, উনি দরজা একটু খুলে দাঁড়িয়ে রইলেন, তারপর ওইভাবেই হাত বাড়িয়ে সােড়াটা নিয়ে দরজা লক করে দিলেন।…………….