সন্ধের পরে – বুদ্ধদেব গুহ

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-৩৫ঃ

……..বলেই দ্রুত হাতে নাইটিটি খুলতে খুলতে হাত বাড়িয়ে বাতির সুইচটা নিবিয়ে দিলাে ঘরের । তারপর লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে বললাে, দরজাটা তুমি বন্ধ করাে উঠে । ……. প্রায়ান্ধকারে ভূগুর কালাে নগ্ন পশ্চাৎদেশকে দুটি বাঁয়ার মতাে মনে হচ্ছিলাে । গিগির ইচ্ছে হলাে, আজ দুহাতেই বায়া বাজায় । আনন্দর দিন । ……ভৃগু দুধ-সাদা বিছানার চাদরে ঢাকা খাটের দিকে গুহামানবের ……..খাটে পৌঁছে প্রায়ান্ধকার ঘরে গিগির আলফানসাে আমের মতাে গড়নের ও রঙের বুকে, মুখ রেখে ফিসফিস করে আদুরে গলায় বললাে,অ্যাই একটা কতা বলব ?

 না। এখন কোনাে কথাই বােলাে না সত্যি। একটা কাজেও তােমার কনসেনট্রেশন নেই। | ভালাে লাগে না আমার । জীবনে কিছুই হবে না তােমার। যার কনসেনট্রেশান নেই তার …খুব নিচু গলায় বললাে গিগি । নিঃশ্বাস ফেলারই মতাে করে । বলেই, তার নিজের করমচা-রঙা স্তনবৃন্তে ভৃগুর গরম ঠোটের পরশ দিতে নিতে বলল, কি কথা ? হঠাৎ মনে পড়লাে ?…… ভৃগু তার নিজের দুহাঁটুর উপরে উঠে বসলাে। মনে হলাে, এক্ষুনি যেন খাটের উপরে কুম্ভক আসন করবে।…….তারপর গিগি ভৃগু শরীরের মধ্যভাগে হাত বাড়াতে বাড়াতে বললাে, ‘ওরা ওরা, আর তোমার না, মা। ………ভৃগু আবার উপুর হয়ে গিগির সুস্নাত, সুগন্ধি শরীরের উপর হামলে পড়ে দাম্পত্যকর্তব্যে লেগে পড়লাে।……….

 

Leave a Reply