সংক্রান্তি – সৌরভ মুখােপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………ভাল করে কিছু বুঝে উঠতে পারল না রীতা, তার আগেই লম্বা হাতটা বাড়িয়ে আলাের সুইচটা নিভিয়ে ফেলল বিপ্লব। তারপর ঝড়ের মতাে আছড়ে পড়ল রীতার শরীরে! মেঝের উপর শুইয়ে ফেলে ক্রুদ্ধ ক্ষিপ্রতায় খুলে ফেলল শাড়ির রষি, এক হ্যাচকায় সরিয়ে ফেলল আঁচল। ব্লাউজের বােতাম যেন এক নিমেষে উড়ে গেল। একথাবায় ডান দিকের স্তনটা পিষতে-পিষতে বিপ্লব তার দাঁত বসিয়ে দিল বাঁ দিকের বৃন্তে। ঘটনাটার আকস্মিকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে রীতা প্রাণপণ বাধা দিচ্ছিল, আর তত অদম্য হয়ে উঠছিল বিপ্লবের পীড়ন।

“আঃ, লাগছে, ছাড়াে। জানােয়ারের মতাে করছ কেন, উফ!” হাত পা ছুড়ে প্রতিরােধ করতে চাইছে রীতা। সত্যিই লাগছে তার, কঠিন মেঝেতে তাকে ঠেসে ধরে সম্পূর্ণ নগ্ন করে ফেলেছে বিপ্লব, দাঁতে নখে ছিড়ে-খুঁড়ে ফেলতে চাইছে যেন!

“উফ, রেপ করছ আমাকে তুমি, রেপ!”

গরম শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে দাঁত ঘষার আওয়াজ করে বিপ্লব, এ ‘মারা সাদ’ নাটকের লাস্ট ডায়লগটা শুনবে? রেভােলিউশন, কপুলেশন। রেভােলিউশন, কপুলেশন!”

“ইতর, পশু একটা! ছাড়াে, লাগছে। আঃ, এই তােমার আসল চেহাৱা।”

রীতার দুই অনিচ্ছুক উরুর বাধা সরিয়ে প্রবল পৌরুষ আছড়াতে থাকে বিপ্লব। ঘড়ঘড়ে গলায় বলে, “পুরুষের আসল চেহারা তাে মেয়েমানুষই বুঝতে পারে সবচেয়ে ভাল, তাই না? যখন গায়ে একটা সুতােও নেই, এমনকী কমিউনিজম পর্যন্তু নেই দুজনের মাঝখানে। হাঃ হাঃ।”  রীতার আর্তনাদ বন্ধ করার জন্য তার মুখে একটা বলিষ্ঠ থাবা চাপা দিয়ে দেয় বিপ্লব, তারপর আরও উন্মত্তের মতাে ওঠানামা করাতে থাকে তার শরীর। প্রতিটি উত্থানপতনের তালে-তালে দাঁতে দাঁত ঘষে শুধু বলে চলে, “রেভােলিউশন কপুলেশন! রেভােলিউশন কপুলেশন। রেজােলিউশন…”………..

Leave a Reply