শত সুন্দরী ও এক পাইলট
…….. চার-চারটি অনিন্দ্যসুন্দর দেহ সুষমার অধিকারী যুবতী নারী ঝুকে দাড়িয়ে তাকে দেখছে। দেখে মনে হয় বছর কুড়ির মধ্যে বয়েস এই কুমারী মেয়েগুন । পীনােত পয়ােধরা তরুণীদের দেহ আবৃত রয়েছে উজ্জ্বল রঙের লালাভা, ( স্বল্পপরিসর লুঙ্গির মত পাতলা বস্ত্রখণ্ড)।…….
………..মহাসাগরের কোন এক অজ্ঞাত দ্বীপে এবং যে দ্বীপবাসিনীরা সবাই মেয়ে এবং সবাই রূপসী তরুণী। ডজন ডজন প্রায় একই বয়সের সুন্দরীরা কোথা থেকে এসে ওকে ঘিরে ভিড় করে দাঁড়ালো। কিছু মেয়ে স্তন অবধি ঢাকা মিনি লুঙ্গি ধরনের ছাপা লাভ-লাভা পরেছে। আর কিছু কিছু মেয়ের ঊর্ধ্বাঙ্গ একেবারে নিরাবরণ, শুধুমাত্র কোমরে ক্ষুদ্রকায় বস্ত্রখণ্ড জড়ানাে। এই দুঃখবেদনার মধ্যেও মাইকের মনে হল সে এসে উঠেছে এক প্যারাডাইসে, স্বর্গভূমিতে। যেখানকার বাসিন্দা বুঝি সবই অর্ধ বা প্রায় উলঙ্গ অজস্র সুন্দরী তরুণী। একি স্বপ্ন ? না মায়া ? নাকি মরীচিকা?……….
………..বিনা বাক্যব্যয়ে মাইক তা পান করলাে সকৃতজ্ঞ চিত্তে, হাসিমুখে। মেয়েটির বয়েস হবে বড়জোর যােল সতের। কুমারী মেয়েটির দেহসুষমাও অপূর্ব। পীনােত পয়ােধর, ক্ষীণ কটি, ভারী নিতম্ব, মিষ্টি কচি মুখ। বললে, এখন একটু ভাল বােধ করছেন তাে, মানাইয়া?………..
………..ওর কুটির (পপুই)-এর সামনের মাঠে দেখলাে আশি-নব্বইটি তরুণী বিভিন্ন গ্রপে দাড়িয়ে নানাবিধ প্যারেড ড্রিল করে চলেছে। সামনে তাদের প্রত্যেক দলের একজন করে বয়স্কা নেত্রী চাবুক হাতে তদারক করে যাচ্ছে। একপাশে জনা বারাে নগ্ন মেয়ে একটা মরা শূকরকে ডামি বানিয়ে বর্শা দিয়ে খোচাননা প্র্যাকটিস করছে। আর একস্থানে কতকগুলো মেয়ে ঘিরে বসে কুস্তি দেখছে। ঘণ্ডামার্কা দুটো মেয়ে উলঙ্গ দেহে কি এক প্রকার জান্তব তেল গায়ে মেখে একে অপরের সঙ্গে কুস্তি লড়ে যাচ্ছে। মজা এই যে, মাইককে দেখেও বিবসনা তরুণীদের কেউ কোন সংকোচ বা দ্বিধা প্রকাশ করছে না। সামনের লেগুনে একদল মেয়ে ক্যানন নোকোতে বাইচ প্রতিযােগিতা চালাচ্ছে।…….
…….মাইক সম্মান প্রদর্শনের ভঙ্গী করলাে। গম্ভীরমুখে আউনিয়াও প্রত্যভিবাদন করলাে। বললে, আপনি এখানে এসে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাকেও আরও কিছু আশীষ প্রদান করতে হবে আমাদের। আমাদের বেশ কিছু দেবশিশু দিতে হবে। যার ফলে আমাদের জাতি আরও বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
শ্বেতাঙ্গ মানুষ এদের কাছে দেবতুল্য। এসব দ্বীপের অঞ্চলে শ্বেতকায়রা প্রকৃতই বিরল। এই মেয়েগুলাে তাহলে কি তাকে প্রজনন যন্ত্রস্বরূপ ব্যবহার করতে চায়? ওহ, গড! এ যে অবিশ্বাস্য অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার!
এখানে প্রায় শতাবধি তরুণী বাস করছে। তারা কি প্রত্যেকে দেহদান মারফত তার কাছে দেবশিশুর জন্ম কামনা করছে নাকি? সর্বনাশ! মিলিটারী মেয়ের পালকে এক এক করে দেহজ ক্ষুধা মিটিয়ে দেবশিশু প্ৰদন করা। যে এক ভয়াবহ দানবিক কল্পনা। এ যে লৌহমানবের দৈহিক শক্তিরও বাইরে।……..
……….যা ভেবেছে তাই। এ দ্বীপস্থ প্রতিটি যুবতী প্রায় তার সঙ্গ কামনা করে, দেহদানে উন্মুখ হয়ে উঠেছে। সুস্থ হওয়া অবধি তার ধৈর্য ধরে ছিল, কিন্তু এখন আর সময় নষ্ট করতে রাজী নয়।
সেদিন রাত্রিতেই তার কুটিরে একটি যুবতী এল। লাজুক-লাজুক মেয়ে হলেও, যে উদ্দেশ্যে আসা সে সম্বন্ধে সে যেন স্থিরপ্রতিজ্ঞ। বাধা দেওয়া নিষ্ফল। পড়েছে যখন যবনের হাতে দেহজ খান। তাকে খেতেই হবে সাথে।
প্রথমার সঙ্গে মিলন, বলাই বাহুল্য, খুবই আনন্দদায়ক হল। কিন্তু এই অভিসারিকা চলে যাওয়ার ঘণ্টা চারেক বাদে দ্বিতীয় এক যুবতী এসে তার ঘুম ভাঙালো। চালের ফুটো দিয়ে আসা চাঁদের আলােয় সে দেখলাে দ্বিতীয়া কালবিলম্ব না করে তার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। মেয়েটার বড়জোর বছর যােল বয়েস। বক্ষলগ্না বিবস্ত্র মেয়েটি কাতর মিষ্টি কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে ওঠে, আমাকে একটি সন্তান দিন মানাইয়া। আমাকে একটি ছেলে দিন, যে একদিন চীফ হবে, চালাবে আকাশ পাখি।
তারপর আসে রাত্রি। যােদ্ধা মেয়েদের এটা বিশ্রামের কাল। কিন্তু বিশ্রাম নেই মাইক-এর। দুটি তাে বটেই, প্রায়শ:ই তাকে তিনটি যুবতীর কামলালসা মেটাতে হয় প্রতি রাতে। যেহেতু অভিসার চলতাে অন্ধকার নিশীথে, তাই মাইক বুঝে উঠতে পারত না পরপর আলাদা আলাদা মেয়েই আসছে, না কি একই মেয়ে একাধিকবার এসেছে। তবে এরা যেমন ডিসিপ্লিন মানা দল তাতে মনে হয় প্রতিটি মেয়েকেই একবার করে মানাইয়া বা শ্বেতকায় দেবতার কাছে দেবশিশু কামনায় পালা করে পাঠানো হতাে।
দেহজ আনন্দেরও বুঝি একটা সীমা আছে। কালক্রমে তা ভয়াবহ বিভীষিকায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। মাইক হাঁপিয়ে উঠলাে, পাগল হয়ে উঠলাে মাসখানেক এই ধরনের নারীদেহময় জীবনযাপন করতে করতে। এখন শুধু একই চিন্তা, একই ধ্যান, কি করে এই যৌনক্ষুধার্ত পুরুষ-শিকারী একপাল মেয়ে নেকড়ের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কিন্তু পাণ্ডববর্জিত সাউথ প্যাসিফিকের এক অতি নিরাল দ্বীপ থেকে হাজার হাজার মাইল অম্বুরাশি পার হয়ে কিভাবে সে তার সভ্য সমাজে পাড়ি জমাবে? নারীদেহের প্রতি তার ঘেন্না ধরে গেছে। এখন উন্মুক্ত উন্নত স্তন, লােভনীয় নিতম্ব, যৌন আবেদনের ছলা-কলা কোন কিছুই তাকে আর উত্তেজিত করতে পারে না। নারী-মিলনের প্রতি পরিপূর্ণ বিগতস্পৃহ হয়ে উঠেছে সে।……..
শত পত্নীর নায়ক এক আজব নাবিক
………..ক্রমে ক্রমে মূর্তিটা যখন ছায়া ছেড়ে জ্যোৎস্নায় এসে পড়লাে, চমকে উঠলাে অস্কার। আরে! এ যে হামাগুড়ি দিয়ে নিঃশব্দে তার পানে এগিয়ে আসছে সুন্দরী এক নেটিভ যুবতী। জংলী যুবতী ! সেই ঈষদুষ্ণ জুই-এর গন্ধ ভরা জ্যোৎস্না রাতে তার কাছে এগিয়ে এল কিনা এক সুন্দরী জংলী কন্যা। বিস্ময়ের উপর বিস্ময়, সেই রূপবতী কন্যার কেশরাশিতে কিছু সাদা জংলী ফুল ছাড়া আর তার দেহে কোন প্রকার আবরণ নেই। মেয়েটিও সম্পূর্ণ বিবস্ত্রা। সঙ্কোচে যেন কুঁকড়ে গেল উলঙ্গদেহী অস্কার নিয়েলসেন। একি স্বপ্ন, না সত্যি। | জংলী যুবতী একেবারে ওর কোলের কাছে এসে উপস্থিত হল। মুখে তার বিচিত্র মাদকতাময় অর্থবহ হাসি আর চোখে অবৈধ প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত। মদালসা কামনা ফেনিল দৃষ্টি।
প্রায় মিনিট দুই সম্মােহিত প্রাণীর মত অস্কার দেহাভ্যন্তরে রক্তের তােলপাড় চাঞ্চল্য নিয়ে তাকিয়ে রইল অদম্য যৌন আবেদনময়ী এই পূর্ণাঙ্গ যুবতীর বিবস্ত্র দেহবল্লরীর পানে। আশ্চর্য জংলী মেয়েটার কৃষ্ণকেশ জ্যোৎস্নার প্লাবনে যেন সােনালী মনে হচ্ছে। আর—আর ওর জলপাই রাঙের গাত্রবর্ণ যেন মাখনের মত হয়ে গেছে, হুবহু তার সেই জন্মভূমি নরওয়েবাসিনী প্রিয়া হার্থারের রূপ ধারণ করেই এই জংলী কন্যাটি এসেছে তার কাছে অভিসারে।
সমস্ত অতীত তার শপথবাক্য ও একনিষ্ঠতা নিয়ে প্রচণ্ড এক কামতাড়নায় ভেসে গেল। এক ঝটকায় জংলী যুবতীকে অস্কার বুকে টেনে নিয়ে গভীর আলিঙ্গনাবন্ধ করে ফেললো। জ্যোৎস্না রাত নিমেষে মদির হয়ে গেল।
একটানা দু সপ্তাহ ধরে এই সুন্দরী কন্যাটি প্রতি রাতে এল ওর কাছে। তারপর অভিসারিকা বদল হল। এল অপর একটি রূপসী কন্যা। দ্বিতীয়া প্রথমার চেয়েও উদগ্র যৌবনা এবং সমধিক আকর্ষণীয়।
নায়িকা বদল হতে লাগলো এই ভাবে অজ্ঞাত এক কারণে। তৃতীয় এল। সে দ্বিতীয়ার চেয়েও মধুরা এবং কলাবতী। আবার এক সময় এক চতুর্থা, তৃতীয়াকেও হার মানিয়ে শারীরিক চাতুর্যে।
এইভাবে চললাে এক, দুই, তিন, চার নয়..”বারো দীর্ঘ নয় মাস এইভাবে অতিবাহিত হবার পর সর্দার কাবাকিয়া বেশ হৃষ্টপুষ্ট একমাথা লাল ঝাঁকড়া চুল সমন্বিত তামাটে রঙের এক বাচ্চা কোলে নিয়ে একদিন অস্কারকে দেখতে এল।
আর তখনই নরওয়েবাসী এই রূপবান অস্কারের বােধগম্য হল অবিরাম অভিসারের উদ্দেশ্য। এই জংলী উপজাতীর মধ্যে নতুন রক্ত প্রবাহিত করে নতুন সন্তান উৎপাদনের ব্যাপারে তাকে কাজে লাগানাে হয়েছে এই অভিনব প্রক্রিয়ায়।
পরে সে হিসেব করে দেখেছিল যে ঐ জংলীদের গ্রামে তার দীর্ঘ পাঁচ বছরের বন্দীদশায় সে একশ’র উপর সন্তানের পিতৃত্বের অধিকারী হয়েছে।……….
………এই দুরন্ত রূপবান নরওয়েবাসী যুবক তীরে নামবার সঙ্গে সঙ্গে মধুমক্ষিকার মত পলিনেসিয়ান রূপবতী যৌবনবতী কন্যার ওকে পাবার জন্য যেন লাইন দিল। চৌত্রিশ বছরের বলিষ্ঠ নওজোয়ান অস্কার এখন নারীঘাতী প্রেমিকে পরিগণিত হয়ে গেছে। কাউকে আর সে সজ্ঞানে ফেরালাে না।
সে হয়ে বসলো সুন্দরীদের আবাসস্থল মনােম ক্ষুদ্র দ্বীপ মালেকুলা নামক স্থানের “রাজা”।
পাকা ছয় বছর অস্কার নিয়েলসেন সেই আগ্নেয় দ্বীপে অগ্নির মত দুর্দান্ত যৌন জীবনযাপন করে লাল ও সােনালী চুল সমন্বিত প্রায় ১৫০টি ছেলে মেয়ের পিতৃত্ব লাভে ধন্য হল। | সমস্ত দ্বীপটির একচ্ছত্র সম্রাট হয়ে ক’বছর রাজকীয় মধুর জীবনযাপন করল এই শ্বেতাঙ্গ মানুষটি। স্থানীয় পুরুষগুলি তার পিস্তল ও ঘুষির কাছে বশ্যতা স্বীকার করে কুকুরের মত রইল। আর তাদের মেয়েদেব নিয়ে ছিনিমিনি খেলে পঞ্চশরের যৌবন ঢলঢল দিন ও রাত্রি কাটিয়ে গেল সৌভাগ্যবান অস্কার।………..
ডাক্তার বর্গের আজব ক্লিনিক
………তরুণীর বয়েস সাতাশ আঠাশ। চোখের দৃষ্টি কখনাে উদাস, মাদকতাময়, কখনাে শূন্য, কখনো তীক্ষ সন্ধানী। নীল সিল্কের অত্যন্ত আঁটোসাটো গাউনে শারীরিক যাবতীয় আকর্ষণ যারপরনাই পরিস্ফুট হয়েছে যুবতী দেহের । কথা শুনে, গলার স্বর শুনে সাংবাদিকরা চমকে উঠলাে। এ কণ্ঠস্বর যেন সারা দেহমনে সুড়সুড়ি দেয়। তবে কি কণ্ঠস্বরেও যৌন আকর্যণ বিদ্যমান ?
—ভদ্রমহােদয়গণ, আমি আজ মিসেস ওয়েনরাইটকে আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি। বহু ফ্রিজিড (কামশীতল ) মহিলার মত ইনিও আমার দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপযুক্ত মন্ত্রণ এবং চিকিৎসার জন্য।……..
………..অতঃপর সেই তরুণী দ্বিধাহীন ভাষায় সেই অতি ভদ্র সংযত সুইস সাংবাদিকদের কাছে, সুনির্বাচিত ডাক্তারী শব্দ সহযােগে বর্ণনা করে যায় কিভাবে হােরেস বর্গ-এর সুচিকিৎসায় এক উদাসীন, বীতস্পৃহ, বিগতকাম তরুণী থেকে সে চঞ্চল যৌনােচ্ছল কামনাতী পূর্ণ যুবতীতে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে।………
………এরপর আরও এমন কিছু তথ্য বলে যায় তরুণী যাতে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখ চোখ লজ্জায় আরক্ত হয়ে ওঠে। শুধু কথা নয়, অবশেষে প্রফেসর হোরেস বর্গের সঙ্গে লালসাপ্লুত আলিঙ্গনাদির দৃশ্যাভিনয়ের দ্বারা সকলকে নিদারুণ বিব্রত করে তুললাে এই মহিলাটি। ……….
………-দেখুন, এর পর মহিলাটি সেদিন অঙ্গ থেকে অধিকাংশ পােশাক খুলে নিয়ে পরীক্ষা-টেবিলে শুয়ে পড়লেন। আমরা যেন ছাত্র, এমনিভাবে প্রফেসার’ বর্গ বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় নরনারীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও যৌনজীবনের উপর দেহ ও মনের প্রভাব এবং নরনারীর মিলন সংক্রান্ত অজস্র গােপন তথ্য উদাত্ত কণ্ঠে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বর্ণনা করে গেলেন। ভদ্রমহিলাও বক্তৃতানুযায়ী প্রয়ােজনানুসারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গাদি হেলন ও সঞ্চালনের দ্বারা প্রফেসার’-কে সাহায্য করে গেলেন।……..
……..শেয়ালের মত মুখাকৃতি বর্গের মুখে এক অবৈধ হাসি সঞ্চারিত হল, সে উঠে গিয়ে চেম্বারের দরজা নিঃশব্দে লক করে দিল। তারপর পােলিশ ভদ্রমহিলা কিছু বুঝে ওঠবার পূর্বেই দেখা গেল সে এই ডাঃ বর্গের দৃঢ় আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় শেঠির ওপর শায়িত হয়ে গিয়েছে। ভেতরে যখন এই আজব চিকিৎসা সুরু হল, বাইরে তখন অধৈর্যভাবে পায়চারিরত ডরােথীর পক্ষে ভেতরের কোন কিছু শ্রবণ বা দর্শন করে গুপ্তচরবৃত্তি করবার উপায় রইল না।
আশ্চর্য কাণ্ড, ম্যাডাম মেরীউইকজ এই অবৈধ চিকিৎসায় সত্যি সত্যি পরম তৃপ্তি লাভ করল। মুখ ফুটে বলেই ফেললো, ওয়াণ্ডারফুল আপনি ডাঃ বর্গ। অশেষ ধন্যবাদ। আমি কত বছর পর যে শাস্তি পেলাম, তা আর কি বলব। প্লিজ আমায় আপনার ক্লিনিক-এ থাকতে দিন। আমার কত কিছু এখানে শেখবার আছে।…..
………প্রথমে মনে হয়েছিল রাজযােটক বুঝি। যেমন দেবা, তেমনি দেবী। অর্থাৎ এই গ্রীক রমণী বােধ করি নিঃসীম কামাচারী বর্গ-এর উপযুক্ত দোসর, যােগ্য সঙ্গিনী। কিন্তু কার্যকালে সমুৎপন্নে দেখা গেল সীমাহীন কামনা বাসনার অধিকারিণী এই হেলইস স্প্যাগনেস নামক নারীটিকে তৃপ্তিদান করা বর্গের অসাধ্য। দুঃখের সঙ্গে সে তার এই নতুন পেশেন্টকে ওলন্দাজ লুব্বার হাতে ফেলে রাখলো তিন দিন তিন রাত।
চতুর্থ দিন লুব্বা রণে ভঙ্গ দিয়ে ক্লান্ত কম্পিত দেহে বেরিয়ে এসে বর্গকে নিবেদন করল, মাইনহিয়ার, ভদ্রমহিলা সাংঘাতিক। আমায় ক্ষমা করবেন। ওকে বরং ফরাসী-দাদার দ্বারা চিকিৎসা করান।
সেও চতুর্থ দিনের শেষে হাউমাউ করে এসে নিবেদন করল, ম-ভিউ। মাফ করুন প্রফেসর। এ ধরনের দ্বিতীয় পেশেন্ট আমার কাছে পাঠালে আমি এ চাকরি ছেড়ে চলে যাব। অকালে প্রাণে মরা পড়ব নাকি স্যার!………
দেহপ্রহরণে শিকার কাহিনী
…….নিজের ঢলঢল যৌবন। যমজ দুটি কন্যাকে ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে এই আটত্রিশ বছর বয়স্কা জার্মান মহিলাটি। যুদ্ধকালীন জার্মানীতে যে “অপারেশন লাস্ট” (কাম-লালসার অভিযান চালিয়েছিল, যার একটি পর্যায়ে ছিল ব্ল্যাকমার্কেটের প্রবঞ্চনা, অপর পর্যায়ে ছিল দেহবিহ্বল করা কামাচার।……..
……—ইভ! গ্রেটা! চিৎকার করে ডাকতে ডাকতে ওপরে উঠে এল। ওদের মা মার্গট মুলার।
ইভা তখন ট্যাঙ্ক-ড্রাইভারের কোলে বসে পরম্পর উত্তেজনাবশে চুম্বনাদিতে ব্যস্ত। একই ঘরে অদূরে অপর একটা কৌচে বসে তখন অপর বােন গ্রেটা এক গােলন্দাজ সার্জেন্টকে নিয়ে কামকেলীর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল মত্ত। ১৯ বছর বয়স্কা যমজ এই কন্যাদ্বয়ের কানে মায়ের ডাক প্রবেশ করলেও লালসাবধির তারা সে ডাকে পাত্তা দিল না।
সারা অঞ্চল কাপিয়ে রাইন এলাকায় একটি বােম পড়লো। ইভা। গ্রেটা! ওদের মা ঘরে ঢুকে পড়েছে তখন। প্রেমিক-প্রেমিকায়ের তখনো হুশ নেই। অসহ ক্রোধে মা এবার এক বালতি জল উভয় প্রেমিক সহ কন্যাদ্বয়ের গায়ে ঢেলে দিলাে। আচমকা ঠাণ্ডা জলের ঝাপটায় সীমাহীন কামাচারী তথাকথিত নিম্ফোম্যানিয়াম মেয়ে দুটি প্ৰেমালিঙ্গন থেকে মুক্ত হয়ে সবিরক্তি চাউনি নিয়ে মায়ের পানে তাকালাে।……….
……..গ্রেটার স্বাস্থ্য ভাল কিন্তু বুদ্ধি কম। বয়স অপেক্ষা দেহ প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে লাউডগার মত যনফনিয়ে। ওকে বক্ষে ধারণ করলে নাকি তিরিশ সেকেণ্ডের মধ্যে সমাজ সংস্বার যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদির যাবতীয় ব্যাপার ভুলে যেতে হয়। অপর বােন ইভার বর্ণনাও একইভাবে দেওয়া চলে। দুজনেই নিম্ফো জাতীয় যুবতী।…….
…….মা মালার যত্রতত্র যার তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা করতে দিত না মেয়েদের। নিম্ফো মেয়েরা এবার মায়ের অজ্ঞাতে বাড়ির যুবক বাটলারকে নিয়ে পড়লো! বৃষস্কন্ধ বলিষ্ঠ যুবক বাটলার ক্রমান্বয়ে ইভা ও গ্রেট। নামী দুটি সীমাহীন লালসাময়ীদের তৃপ্তিদানের ফিল প্রচেষ্টায় কদিনের মধ্যেই কঙ্কালসার অবস্থায় উপনীত হল।……
…….তার দৌলতে ব্যবসা আরও ফুলে ফেঁপে উঠলো। মেয়েরা পুরােদমে লেগে | গেল বিভিন্ন শিকারদের দেহরঞ্জনে। তাদের লাভ ছিল তাদের অপার লালসার কৃপ্তি। তাদের খদ্দের ক্রমশই বেড়ে গেল মায়ের ব্যবসার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। একই সময়ে বিভিন্ন ঘরে তাদের বিভিন্ন পুরুষের মনােরঞ্জন করতে হয়েছে নানা অছিলায়। অন্ধকার ঘরে যমজের এক বােনের প্রেমিককে অাতে প্রক্সি দিয়েছে অপর বােন।………
“ক্লিওপেট্রা ও কলগার্লদের কাহিনী
……..–কতদিন ধরে তুমি বেশ্যাবৃত্তি শুরু করেছ? রােম নগরীর এক হােটেলের ভাড়া করা ঘরের অভ্যন্তরে ধনী ব্যবসায়ী রসিক নাগর, শয্যায় তার কণ্ঠলগ্না উদ্ভিন্ন-যৌবনা দেহােপজীবিনীকে প্রশ্ন করে।
—বেশি দিন নয়, কৃষ্ণকেশী যুবতী জবাব দেয়, বছর খানেক মাত্র। তার আগে আমি সিনেমার ছবিতে কাজ করেছি। | অবিশ্বাসের কণ্ঠে রসিক নাগর জিগ্যেস করে, সিনেমা? কোন সিনেমা ?
‘ক্লিওপেট্রা। আধ ঘণ্টা পূর্বে রােমের কুখ্যাত অঞ্চল ভিয়া ভেনেতােতে সাক্ষাৎ পাওয়া কলগার্লটি বলে চলে, আমি ‘ক্লিওপেট্রা’ মুভি-তে ছিলাম।………….
……….যেসব অজস্র উত্তঙ্গ যৌবনময়ী ‘এক।’ রাম-এ ভােলা মার্কিন ছবি “ক্লিওপেট্রা” ছবিতে কাজ করেছিল, এই গণিকাবৃত্তিতে নামা তরুণীটি তাদের অন্যতম। টইটম্বুর সেক্স-এ মাখাে মাখাে করে ছবিটিকে গঠিত করতে এইসব যুবতী তরুণীবা হাজারে হাজারে এসে জড়াে হয়েছিল রােমে। তারা সারা ইয়ােরাপ, আমেরিকা এবং উত্তর আফ্রিকা প্রভৃতি স্থানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সিনেমা স্টার হবার বাসনায় উড়ে এসে পড়েছিল সেখানে।
স্থানীয় ইতালীয় ছুকরিয়া তাে ছিলই, এছাড়া হলিউডের মেয়েরা তাে এসেছিল চাকুরির শর্ত অনুযায়ী। কত দেশের নাম, কত রুপের হাট। ইংল্যাণ্ড, ফরাসী, স্পেন, হল্যাণ্ড, জার্মানী, ডেনমার্ক, সুইডেন, আলজেরিয়া, মরক্কো, মিশর এমন কি ফরমােস চীন থেকেও দুকুলপ্লাবি যৌন-যৌবনময়ী মেয়েরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিল তখন। কেউ ব্লণ্ড, কেউ ব্রুনেট, কেউ রেড হেগস, কারুর গায়ের রঙ সাদা, কারুর খাম, কারুর বাদামী, কারুর সােনালী।
সে এক যুবতীর হাট, যুবতীর মেলা।
তাদের মধ্য থেকে শত শত মেয়েকে একা হিসেবে ভাড়া করা হয়েছিল। সিনেমায় তারা ক্লিওপেট্রা’র পরিচারিকা, ক্রীতদাসী এবং নর্তকী হিসেবে কাজ করেছিল। সিজারের প্রাসাদের ব্যাঙ্কোয়েট হল-এ উৎকট → ৰ্তিফার্তা সুরা উৎসব নৃত্যানুষ্ঠান সহ মাইফেলিয় দৃশ্যে বিশালকায় সেটটি পূর্ণ করা হত শত শত অর্ধনগ্ন। এইসব যুবতীদের দ্বারা।…..
…….সিনেমায় এই জাতীয় যৌন উন্মাদনাময় দৃশ্যাদির প্রচলন করে বক্স অফিসকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হলিউডি ও এক পুরনে। টেকনিক বিশেষ। আর এই বইটির জন্য প্রস্তুত মাইফেলিয় দৃশ্য বুঝি পূর্বতন অপরাপর যৌন উন্মাদনাময় দৃশ্যের চেয়ে শতগুণে বেশি আকর্ষণীয় করা হয়েছিল। এইসব কলহাস্যধ্বনিত চলমান ঝরণা-সদৃশ যুবতীদের কোমরের উধ্বে কোন আবরণ ছিল না, আর কোমরের নিচে গতি অকিঞ্চিৎকর বস্ত্রখণ্ড দিয়ে শালিনতা বাঁচানো হয়েছিল মাত্র।
এই অভূতপূর্ব দৃশ্যকে পরিপূর্ণ নিখুত করে তুলতে স্বয়ং ক্লিওপেট্রা’কেও অর্থাৎ উক্ত চরিত্রে অভিনয়কারিণী এলিজাবেথ টেলরকে ও প্রায়-নগ্নিকা হতে হয়েছিল।
এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল, পরিপূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় নগ্ন দৃশ্যের ব্যাপারে ইওরােপীয় কোন দেশের সেন্সরেরই আপত্তি নেই, তারা তাতে ক্ষেপও করে না, বরং রসিয়ে রসিয়ে তা উপভোগই করে থাকে। কিন্তু শুনলে অবাক লাগে আমেরিকার সেন্সর বড় কড়। এ বিষয়ে। তাই ক্লিওপেট্র। ছবিটিকে দুটি ভার্সনে তােলা হয়েছিল নাচগান মাইফেলীয় দৃশ্যগুলিকে। আমেরিকান ভার্সানে নর্তকী মেয়েদের একটি করে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতে হয়েছিল। আর ইয়ােরােপীয় ভার্সানে একেবারে উদোম।……….
…….মেয়েরা সেট-এর বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে যে যৌন-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছিল তা বুঝি চলচ্চিত্রের দৃশ্যকে এক টিপে নস্যির সামিল করে ছেড়েছে।
সিনেমার এইসব একা’ যুবতীরা স্টুডিওর বাইরে আজগুবি মুল্যে ঘণ্টার ও রাত্রিভর চুক্তিতে নিজেদের বিক্রী করে দিত নারী মাংসলােভী বিভিন্ন নর-নেকড়েদের কাছে। হােটেলে-মােটেলে ধনীদের বাগানবাড়িতে গড়ে উঠতে স্মৃতি মহল।
………যথারীতি যৌন-সন্ধানীরা জুটে গেল দলে দলে। শুলুকসন্ধানীর দল, দালাল, বদমাইস, নারী মাংসলােভীদের নজর পড়ে গেল এই শত শত প্রস্ফুটিত যুবতী পুস্পের প্রতি। দেশ-বিদেশের সেরা সুন্দরীদের প্রতি। নেকড়েদের জিভে লালা নিঃসরণ বেড়ে গেল। তারা আঘাত হানলো, নানা রূপে, নানা ভঙ্গিতে মেয়েগুলিকে আদিম পেশায় নামাবার কুমানসে।……
……..ভূয়া স্ক্রীন’ টেস্টের মহড়া দেওয়া হত হােটেল রুমের অভ্যন্তরে। সেখানে | মেয়েদের বিবস্ত্র হতে নির্দেশ দিয়ে বহুবিধ অশােভন ও আপত্তিকর পােজ-এ মুভি এবং ষ্টিল দুবকম ফটোগ্রাফই নেওয়া হত। পরে এই সব কুৎসিত ছবি দ্বিবিধ কাজে লাগাতে ঐসব গুণ্ডা মানুষেরা। পরনােগ্রাফি এবং ব্ল্যাকমেলিং দুই ভাবেই লাগতাে সেগুলােকে। মেয়েদের শাসানো হত তারা যদি এই দুষ্টচক্রের সঙ্গে সহযােগিতা না করে তাে এই সব ফটোর কপি তাদের বাড়ির লােকেদের কাছে পাঠানাে হবে।
এই ভাবে ছলে-বলে-কলা-কৌশলে বদমাইসেরা প্রায় ৫০/৬০ জন ‘ক্লিওপেট্রা’ ছবির এক্সট্রাকে লাইনে নামিয়ে ভাল ব্যবসা শুরু করে দিল।………..
ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
…….—আহা রে! সত্যিই ক্লান্ত ছেলে, নাও আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমােও বলে টোসিই তার সুপুষ্ট নধর বক্ষে দুহাতে জোর করে লেগ-এর মাথাটা চেপে ধরলো।
মেয়েটা যেন ক্ষেপে গেছে। দু’পা দিয়ে অষ্টোপাসের মত জড়িয়ে ধরেছে লেগে-এর পা। লেগ জোর করে ছাড়াতে গিয়ে চিৎ হয়ে গেল। মেয়েটা আধাআধি উপরে উঠে এল, আধাে আধাে আদুরে গলায় বললে, নাও চুমু খাও। আমায় কামড়াও।……….
তিন টেক্কা এক রাণী
………তথাকথিত ইয়ােররাপের নগ্ন ‘দিল কা রাণী’ উনিশ বছর বয়স্কা অপরূপা তরুণীর ঢং ঢং ও দেহাবয়ব ছিল মেরিলিন মনরো, জেন ম্যান্সফিল্ড ও লিলি সেন্ট সি-র যাবতীয় হাইপার যৌন আবেদনরূপী আকর্ষণ। যেমন রঙ, তেমন ঢং, তেমন স্তন, তেমনি নিতম্ব এবং নগ্ন নাচের যাদুমাখা ভঙ্গি।
এই মেয়ে ভাগ্যান্বেষণে এসে প্রথম মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করে প্যারিসের প্রসিদ্ধ ফোলি বাজারেতে। ইতিপূর্বে সে বহু নামকরা স্থানে নিজের নগ্ন দেহ দেখিয়ে মডেলের কাজ করে এসেছে। এ মেয়ের দেহ সৌষ্ঠব এমনই চটকদার ও নিদারুণ আকর্ষণীয় ছিল যে অপরাপর নগ্নিকা যুবতীদের অনায়াসে পেছনে ফেলে সে বিজয় গর্বে এগিয়ে গেল। ওর দেহে তুলনা বুঝি বেহেস্তের হুরী, প্যারাডাইসের অ্যাঞ্জেল বা স্বর্গের উর্বশী। দুর্নিবার দেহলতার অধিকারিণী। যেখানেই তার বিবস্ত্র দেহ প্রদর্শন করেছে, সেখানেই দর্শক সাধারণ ওর রূপ হেরি পাগলপার হয়ে গিয়েছে। নাচিয়ে গাইয়ে মেয়েরাও হার মেনেছে ওর কাছে। কাজেই অতি দ্রুত এ মেয়ে কমােন্নতির পথে এগিয়ে গেল কাঙ্ক্ষিত তার নিশানায়।
ফোলি ছেড়ে বাঘা বাঘা প্যারিসের নাইট ক্লাবে ক্লাবে বারবাবা ণর দেহকে বস্ত্র শূন্য করে দর্শাতে লাগল কামােন্মাদ নাইট ক্লাবের পেট্রনদের লুব্ধ | দৃষ্টির সামনে। শুধু বস্ত্র ত্যাগ নয়, নগ্ন দেহকে সে এমন ভাবে অভূতপূর্ব কামনা ফেনিল ভঙ্গিতে খেলতে লাগল যে প্যারিসের রসিক সমাজেব চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসার দাখিল হল।
যে সময় প্যারিস-এ স্ট্রিপটিজ অর্থাৎ নগ্ন নৃত্যের ফ্যাশনে মানুষজন পাগল হয়ে গিয়েছিল, ঠিক সে সময়েই ঐ লাইনে এ পেশায় বারবারার আবির্ভাব। যখন নগ্ন নর্তকীরা প্যারিসের সিনস্পটের ক্যান ক্যান কার্লকের স্থান অধিকার করে নিল, তখন বারবার নিজ গুণে নগরীর শ্রেষ্ঠা নগ্ন মেয়ের মুকুটধারিণী হিসেবে গণ্য হয়ে গেল। সে যে কোন হাউসেই যেত সেখানেই হাউসফুল হয়ে যেত রাতের পর রাত। এমন কি যে প্যারিসীয় যুবকেরা বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার জন্য নাইট ক্লাবসমুহে যাতায়াত ছেড়ে দিত, তারাও বারবারায় কন্যাগ মসৃণ ত্বক ও মােহময়ী যৌন আবেদনের আকর্ষণে বারবারার নাইট স্পটে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ত। | প্যারিস থেকে বারবার। এক সময় চলে গেল সুইজারল্যাণ্ডের প্রখ্যাত জেনেভার বাটাফ্যান নাইট ক্লাবে তার নগ্ন সৌন্দর্য দর্শাতে।………….