…….একদিন মজিদ বিয়েও করে। অনেকদিন থেকে আলি-ঝালি একটি চওড়া বেওয়া মেয়েকে দেখছিল। দেহে যৌবন যেন ব্যাপ্ত হয়ে ছড়িয়ে আছে, বিশাল তার রূপ । দূর থেকে আবছা আবছা তার প্রশস্ত দেহ দেখে শীর্ণ মজিদ জ্বলে উঠেছিল।……. শেষে সে-প্রশস্ত ব্যাপ্ত-যৌবনা মেয়েলােকটিই বিবি হয়ে তার ঘরে এল। নাম তার রহিমা। সত্যি সে লম্বা-চওড়া মানুষ। হাড়-চওড়া মাংসল দেহ।………
……পুকুরে গােসল করে সিসনে উঠানে দাড়িয়ে রহিমা যখন চুল ঝড়ে তখনাে চেয়ে চেয়ে দেখে মজিদ। বিছানার পাশে যে-দেহটির তাল পায় না, সে-দেহটিই এখন সিক্ত কাপড় ভেদ করে অদ্ভুত সুন্দর হয়ে ওঠে। তার চোখ চকচক করে। কিন্তু রহিমার চেতনা নেই।……….
……সচকিত হয়ে রহিমা হাত নাবায়, বুকে ভালাে করে আঁচল দেয়, পেছনে সাপটে থাকা | কাপড় আলগা করে দিয়ে এধার-ওধার যেন বেগানা-বেগায়ের লােকের সন্ধানে তাকায়।…..
……..ঝাপটা খুলে মজিদ দেখল, লাল কাপড়ে আবৃত কবরের পাশে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে পড়ে আছে জমিলা, চোখ বােজা, বুকে কাপড় নাই। চিৎ হয়ে শুয়ে আছে বলে সে-বুকটা বালকের বুকের মতাে সমান মনে হয়।……..