রূপান্তরঃ শেখ আবদুল হাকিম
…..‘আমি রয়েছি কি করতে। গায়ের চাদর ছুঁড়ে ফেলে দিল জেন, লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়ল। সুতি কাপড়ের ম্যাক্সির ভেতর তার স্তনজোড়া লাফিয়ে উঠল। সেদিকে এলিস তাকিয়ে আছে লক্ষ্য করে মাথা ঝাকিয়ে কালাে লম্বা চুল বুকের ওপর এনে ফেলল সে।….
“ওহ! জা পেরি! কি যে আনন্দ লাগছে!’ কৃতজ্ঞতায় টেবিলের তলা দিয়ে পেরির একটা হাত চেপে ধরল স্বর্ণকেশী।
মেয়েটা সামনে ঝুঁকে পড়ায় তার সােয়ােটারের ভেতর পুরুষ্ট স্তন জোড়া দেখা গেল। মুহূর্তের জন্যে একটা লােভ জার্মল পেরির। হাসপাতলের পুব প্রান্তে একটা স্টোররুম আছে, সন্ধ্যের আগে সেটা খােলা হয় না।…..
…..একাধারে জয় ও আশায় দুলছে জেনের মন। নিজের দিকে খেয়াল নেই, ব্লাউজের দুটো বােতাম খােলা, ফুলে ঢােল হয়ে থাকা স্তনজোড়া অনাবৃতই বলা চলে।….
….লােকটার দৃষ্টি লক্ষ্য করে তার আক্রোশের কারণটা উপলব্ধি করতে পারল । লােকটার দৃষ্টি তার বুকের ওপর স্থির হয়ে আছে। বিদেশী একটা মেয়েকে, যাকে নষ্টা মেয়েমানুষ বলেই জানে সে, বুক খােলা অবস্থায় দশ বছরের একটা ছেলের মাথা কোলে নিয়ে নির্জন পথের ওপর একা বসে থাকতে দেখে তার নােংরা মন উদ্বেগে এতটাই ব্যাকুল হয়ে উঠেছে যে মনে হলাে পাগল হয়ে যাবে। ……..
……. ‘অন্য একটা গর্তের কথা বলে শুধু আমাদের মােল্লারটা আবার চিৎকার করল জাহারা, আশপাশের সবগুলাে মেয়ে খিল খিল করে হেসে উঠে পরস্পরের গায়ে ঢলে পড়ল।…..
…….জাহারার শারীরিক কাঠামাে ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আর দশটা মেয়ের চেয়ে অন্যরকম। তাকে দেখে জেনের বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না এ মেয়ে একা রাত কাটাতে পারবে। উপমহাদেশে কোনােময়র শারীরিক চাহিদা বিপুল হলে তার ভােগান্তির সীমা থাকে না, সেটা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে স্বামী যদি বেশিদিন বিদেশে থাকে বা মারা যায়……..