…….রাত্তিরে অনিবার্য রমণ। লােকটার খিদে খুব। পেটে ও তলপেটে। লম্বাচওড়া। পেটানাে স্বাস্থ্য। বড়লােকের বড়-বড় কুকুরদের সহবত শেখায়। খুব তেজ। কুকুরের মালিকদের কাছে নিস্তেজ অবশ্য। ভারী বিনয়ী। ভদ্র ও সুশীল। চৌকাঠ পেরিয়ে নিজের ঘরে ঢােকে যখন, সর্বাঙ্গে কুকুরের গন্ধ ও ভাদ্রকাল্যৈ আকাঙ্ক্ষা। মনে কুকুরের রাত্রিকালীন একরােখা তেজঃপুঞ্জ যার খানিকটা ছড়ি দিয়ে গড়ায় পুত্র সন্দীপ ইস্কুল পালালে, কোনও বদমায়েশি করেছে নালিশ এলে। বাকি তেজঃরাশি ফোয়ারার ফেনা তুলে উৎক্ষেপণ করার যন্তর তাে ভগবানের দান, ছােটখাটো বউটার হাঁসফাঁস দশা হত সামলাতে। ধামসা মাদলের শব্দে জেগে ওঠা সানি জোরে চোখ বন্ধ করে কুঁকড়ে থাকত বিছানার কোণে যেন জাগেইনি, কোনওদিন জাগবেও না।…….
………সেদিনকার হঠাৎ আবেগ এখন থিতিয়ে অভ্যাস। মাঝে-মাঝে পাঁচজনেই যায় তারা। বসন্তর সঙ্গে মাল খায়। দেবশ্রী বড়া ভাজে কোমরে আঁচল জড়িয়ে, কিংবা, ম্যাক্সিটা তুলে শায়ার খাঁজে খুঁজে নেয়! সানি ছুতাে করে উঠে যায় তার কাছে। সােজা হাত ঢুকিয়ে দেয় ঢিলে ম্যাক্সির ফাঁক দিয়ে। একদিন হঠাৎ সে দেবশ্রীকে চুমু খেতে শুরু করেছিল। তারপর বিস্ফোরণ হল। চ্যাটচেটে যুদ্ধশেষে সানির বন্ধ চোখের তলায় পুরনাে দৃশ্যের সারি। ধামসা মাদলের শব্দ। পরিত্যক্ত সন্তান হওয়ার ধামাকা বিবমিষা হয়ে উঠছিল ভিতরে। তখন তার কানের গর্তে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেবশ্রী বলছিল, “আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান। প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ। শুনেছ সন্দীপ? প্রেম থাকলে সব অন্যরকম। সব স্পর্শ সুখ দেয়। সব শব্দ মধুর লাগে। সব গন্ধ বিমােহিত করে। এত আনন্দ আমি পাইনি গাে।”……
….কলাবাগান বস্তি হল ছাম্মা ছাম্মা জায়গা। সারাক্ষণ এ ওকে কামড়াচ্ছে। সে তার পেটে ছুরি মারছে। বর বউয়ের কামাই পেটকাপড় খিচে বের করে চুলু খেতে নীলুর ঠেকে যাচ্ছে। প্রেমিক প্রেমিকার যৌবন সরসী নীরে নাইতে-নাইতে নাইকুণ্ডুলিতে জিভ ঠেকিয়ে বলছে, জানু! মেরি জান!তুমি আমার প্রাণ!
প্রেমিকা কাচ্চি হলে ভাবে সত্যি। তারপর পেটান্বিতা হলে চোখের জল মুছতে-মুছতে দাস লেনের কোনও নার্সিংহােম থেকে সারাই হয়ে আসে।…….
……..মাঝে-মাঝে তার মনে হয়, ওই সন্দীপ আসলে সে নয়। অন্য কেউ যে দেবশ্রীর বুকের ভিতর থাকে। না হলে সে কেন নিজের মধ্যে মােমের কণাটুকুও খুঁজে পায় না? ঢিঙ্কানানা চ্যাটচেটি শেষ হলে তার মনে হয় মেয়েটাকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। মনে হয় অসহ্য। মাংসের তাল ছাড়া আর কিচ্ছু না। তােমার চোষা হাড্ডি মেঝে থেকে তুলে তােমাকেই চুষতে বললে ভাল্লাগবে?…….
…..খাওয়া শেষ করে উঁচু পালঙ্কে উঠে বসল সানি। এই পালঙ্ক তাদের সমস্ত চিনিক পিনিকের সাক্ষী। সে শরীরের মধ্যে তার উত্তপ্ত আভাস পেল। তার গায়ে গা লাগিয়ে বসল দেবশ্রী।…….সানি খাট থেকে লাফিয়ে নেমেছে। খুলে ফেলেছে জিসের জিপার। এক হাতেই। নামাচ্ছে জীর্ণ ছিদ্রময় অন্তর্বাস। অন্য হাতে সাঁড়াশি চেপে আছে দেবশ্রীর দুই হাত। গাঁটালাে শক্ত আঙুল। উম্বাে ধুম্বাে জোর এসে গেছে গায়ে। হ্যাঁচকা টানে ঘুরিয়ে নিল পালঙ্কের কিনার ঘেঁষে। দুই পা ধরে এমন চড়াক ফাঁক করল, ছি ছি ছি ছি শব্দ করে ফেটে গেল নরম ম্যাক্সির সুতি কাপড়। তিন মিনিটের গাবানাে আর দাবানাে শেষ। গ্রীষ্মের কুত্তার মতাে হ্যালল হ্যালল হাঁপাচ্ছে দাঁড়িয়ে কাজ সারা সন্দীপ ঘােষাল।
আর নিজেকে হিচড়ে, ছেড়া ম্যাক্সি দিয়ে উথলানাে উদর ঢাকতেঢাকতে, ফোঁপাতে ফোঁপাতে পালঙ্কের কোনায় চলে যাচ্ছে দেবশ্রী। এবার ভেঙে পড়ছে তরলায়িত কান্নায়।……
…..দরজা খুলে গেল। এক তেলচুকচুকে মহিলা। পানের রসে ঠোঁট লাল। নীল পাড় সাদা শাড়ি পরা। ষাঁড়াষাঁড়ির বান লাগা স্তনদ্বয়। ধুমসাে পশ্চাৎ। সানি না দেখে পারল না। তার ভালও লাগল। সে এক চিলতে হাসল।….