রানিসাহেবা – কুণাল ঘোষ

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..প্রাণটা যেন হু-হু করে উঠল। জড়িয়ে ধরল মৌসুমীকে। মৌসুমী বাধা দিল না। মৌসুমীর বুকের মাঝখানে নিজের মুখটা চেপে ধরল অনির্বাণ। মৌসুমী গান অব্যাহত রেখে আস্তে-আস্তে আঁচলটা সরিয়ে দিল। তার দুই স্তনের মাঝখানের উপত্যকার উত্তাপে নিজেকে ডুবিয়ে রাখল অনির্বাণ। আস্তে-আস্তে মুখ সরিয়ে দু’পাশের স্তনের উপর রাখল। যখন ডানদিকের স্তনে তার মুখ, মৌসুমীও তার মাথার পিছনে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে টেনে নিল নিজের বুকে। কিছুক্ষণ ওইভাবে থাকা। ব্যস। গান শেষ হতে হেসে বলেছে মৌসুমী, “চলাে, ঘুমােনাে যাক।”……

…….অনির্বাণ দু’ হাতে প্রায় জড়িয়ে নিল মৌসুমীকে। হ্যাঁচকা টানে | মৌসুমী হতচকিত। তার মুখের উপর নিজের মুখ নামিয়ে আনছে অনির্বাণ। দু’জনের মুখ থমকে শুধু স্পর্শের দূরত্বে। অনির্বাণ তার ঠোঁট দিয়ে মৌসুমীর ঠোট পিষে ফেলতে লাগল। নিজেকে ছাড়ানাের সামান্য চেষ্টা করে থেমে গেল মৌসুমী। আস্তে-আস্তে তার হাত দুটো উঠে এল অনির্বাণের পিঠে। আকর্ষণ অনুভব করল অনির্বাণ। ঠোঁটের স্পর্শ ক্রমশ পরিণত হয়েছে জিভের স্পর্শে। দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে। গােটা শরীরে বিদ্যুৎকণার ছুটোছুটি। আগ্নেয়গিরির উত্তাপ। মৌসুমীর বুক মিশে যাচ্ছে অনির্বাণের বুকে। পায়ে-পায়ে পিছিয়ে বিছানায় নিজেকে ফেলে দিল মৌসুমী। এখনও সে অনির্বাণের বন্ধনে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরস্পরের পরশমাখা। চুম্বন থামল। মাথা একটু তুলে একবার মৌসুমীকে দেখল অনির্বাণ। তারপর আবার চুম্বনে ভরিয়ে দিতে লাগল কপাল, গাল, ঠোট, চিবুক, গলা আর সবশেষে দুই স্তন। মৌসুমী আবেগে চেপে ধরছে অনির্বাণের মাথা। দুই ভরাট স্তনে মুখ ডুবিয়ে দিচ্ছে অনির্বাণ। স্পষ্ট অনুভব করছে নাইটির মধ্যেও জেগে উঠেছে দুই স্তনবৃন্ত। মৌসুমী এবার নিজেকে নিরাবরণ করতে চাইছে। কাঁধ থেকে সরাতে চাইছে। নাইটির স্ক্র্যাপ। অস্ফুটস্বরে বলল, “খুলে দাও।”……….

Leave a Reply