……এর পর একদিন মাঝরাতে দেবকীর ঘুমন্ত শয্যা জেগে উঠল। বিজয়কেতন সব বাধা দূরে সরিয়ে কাছে চলে এসেছেন, প্রিয়তমা পত্নীর একেবারে কাছে। বিস্মিত দেবকীর গলা জড়িয়ে তাকে বুকের মধ্যে গ্রহণ করলেন বিজয়কেতন। প্রত্যাখ্যান বা সম্মতি, বিরাগ বা অনুরাগ, কোনও বিষয়েই একটিমাত্র শব্দও উচ্চারিত হতে দিলেন না দেবকীর মুখ থেকে। গভীর চুম্বনে ঠোট দু’টি ঢেকে দিয়ে স্ত্রীর কানেকানে বলে উঠলেন, “অষ্টম গর্ভের সন্তান চাই আমার।” দেবকী কোনও প্রতিবাদ করল না। বহুদিন পর দু’টি নরনারী বিপুলভাবে জেগে উঠল একে-অপরের মধ্যে। আজও কত সুন্দর দেবকী, কত সুপুষ্ট তার যৌবন। জোয়ার এলে সে শরীর আজও কেমন কানায় কানায় ভরে ওঠে। বিজয়কেতন আজ তাঁর সমস্ত শৌর্যবীর্যকে এক করে বিহারে রত হয়েছেন। প্রিয় নারীর শরীর থেকে শুধু সুখই অন্বেষণ করছেন না আজ। আজ যেন তিনি সেই শরীরকে পুজো করছেন। দেবকী ও স্বামীর শরীরে এক নব উত্তরণ অনুভব করছে। নিজের অঙ্গের প্রতিটি অণু-পরমাণু দিয়ে সে স্বামীকে গ্রহণ করছে আজ। দুজনেই অনুভব করছে বিগত শত-শত রমণশয্যা আজকের তুলনায় নিতান্তই নিষ্প্রভ ছিল। আজকের মতাে আনন্দ, আজকের মতাে সুখ, আজকের মতাে তৃপ্তি বুঝি বা অভাবিত ছিল। এই রাতটি যদি না আসত, তা হলে উভয়ের যৌথ জীবনে, যৌনজীবনে না-পাওয়া এমন কিছু থেকে যেত, যা শুধু চমৎকার নয়, অপূর্ব! যখন ভাের হয়ে এল, তখনও তারা আলিঙ্গনাবদ্ধ। হয়তাে কিছুটা শিথিল কিন্তু বিশ্লিষ্ট নয়। আরও পরে দিনের আলােয় এবং সারাদিন ধরে ওরা অনুভব করল, আজ বিজয়কেতনের বড় আকাঙক্ষার। গর্ভধারণ হল দেবকীর। তার অষ্টম গৰ্ভ।……
…..“তােমার মুখ সুন্দর, সত্যিই সুন্দর,” এই বলে রামপদ স্ত্রীর মুখচুম্বন করল। তারপর প্রীতির বুকের মাঝখানে হাত রেখে বলল, “তােমার মন ও সুন্দর। একটা চুমু দিল সেখানে। যে প্রীতিকে ভােলাচ্ছে। তারপর বুকের দুপাশের সুডৌল স্থানে দু’হাত রেখে বলল, “এটাও সুন্দর।” বলে চুমু দেওয়ার জন্য আবার ঠোট নামিয়ে
প্রীতি তাকে দুহাতে ঠেলে দিয়ে বলল, যাও!”…..