…..রুষার মুখের রঙ কি বদলে গেল? অন্ধকার ঘরে দেখা গেল না। একজোড়া লাল আপেলের মতো তার বুক-দুটি জোরে জোরে ওঠানামা করতে লাগল।…..
…..রিপু অথবা অনুশোচনা-তাড়িত কচিৎ-রুষা পাশ ফিরে উদাস পৃথুর শরীরের উপর তার আধখানা উদোম্ উচ্ছিষ্ট শরীর উপুড় করে দিল। উচ্ছ্বাসে।
কিন্তু শুয়োরটা কার? যে কপি খেতে এসেছিল? ভাবছিল পৃথু। কার কপিক্ষেতে?
মুখ হঠাৎ বলল, আচ্ছা! কী কপি? ফুল না বাঁধা?
রুষার বাম স্তনবৃন্তে তর্জনী দিয়ে তাড়ন করতে করতে পৃথু শুধোল।
ফিল্ম ফেস্টিভালের একটি ফরাসী ছবিতে এইরকম আদর দেখেছিল। অনেকদিন আগে। কোলবালিশের উপর শ্যাডো-গ্র্যাকটিস্ করে করে আঙুল পাকিয়েছে।
তারপরই হল এক কাণ্ড! কাণ্ড বলে কাণ্ড! ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে দু হাতের পাতা, পাতায় পাতায় জড়ো করে, পৃথুকে দু পাতার মধ্যে নিয়ে স্বর্ণচাঁপাকে দেখতে দেখতে গ্রাণ্ড ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা করে তুলল রুষা।
নারীদের আসলে বোধ হয় কোনও শ্রেণীভেদ নেই। পৃথুর মনে হল। এক নারীই বিভিন্ন পুরুষের অঙ্কশায়িনী হয়ে বিভিন্ন রাতে পদ্মিনী, হস্তিনী বা শঙ্খিনী হয়ে ওঠে। বহুরূপীর মত।) অঙ্কশায়িনী নারীর অঙ্কর উত্তর কখনও মেলে, কখনও মেলে না।
রুষা, উথাল-পাথাল, ভারী উষ্ণ নিঃশ্বাসের সঙ্গে বিরক্তির গলায় বলল, এত বছরেও…চিনলে না, সত্যি!…চিনলে না তুমি না…ইন্করিজিবল্……..
…..ব্রিলিয়ান্ট ছেলে ইদুর। ও পাগলেরই মতো ভালবাসে রুষাকে। আগে ভাবী বলে ডাকত। এখনও তাইই বলে।
সে রাতে, ইদুরকে শুধু একটুই দিয়েছিল। ওর স্তনসন্ধিতে মুখ রেখেছিল ইদুর, ঠোঁটে চুমু খাওয়ার পরে। সবকিছুই একটু একটু করে দেওয়া ভাল। তাতেই মোহ থাকে, মজা থাকে, বাঁচার ফান অটুট, আনস্পয়েন্ট থাকে। উত্তেজিত, ভীত রুষা ওকে বলেছিল, আর নয়; অ্যাই! আজ আর নয়।
পরে, পরে কখনও…।
রুষার শরীর বলে যে কোনও একটা ব্যাপার, এমন সুন্দর একটা ব্যাপার এখনও আছে, এমন জীবন্তভাবে আছে; তা মধ্য তিরিশের রুষা একেবারে ভুলেই গেছিল। পৃথুর সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক তো নেই-ই বলতে গেলে। পৃথুর হাতের আর শরীরের ছোঁওয়া তার কাছে নতুন কোনও কিছুই আর বয়ে আনে না। কী করে যে আদর করতে হয়, মেয়েরা কী যে চায়, কতটুকু চায় একজন পুরুষের কাছে, কেমনভাবে পেতে চায়, তার কোনও খোঁজই রাখে না পৃথু। একটা জংলি। উল্ফ-চাইল্ড। বড়লোকের স্পয়েল্ট-ওয়ার্ড। হাফ-উইট লুনাটি। কী করে বিলেতে ছিল, কী করে পাশ করল এঞ্জিনীয়ারিং কে জানে!
যখন রুষার পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে ইদুর ওর বুকে মুখ রেখেছে, যখন বহু বহু বছর পর, সারা শরীর থরথর করে শরত-ভোরের শিউলির মতো নরম নরম ফুল ঝরাচ্ছে, ভালোগায় তিরতির করে কাঁপছে জরি-মোড়া জরায়ু, ঠিক অমনি সময় আবার গেট খোলার আওয়াজ হল।
ইদুর শোনেনি। ও পাগলেরই মতো ঘোরে ছিল। গভীর ঘোর। অভিজ্ঞ এবং সাবধানী রুই শুনেছিল শুধু।…..
…..রুষার ভীরু, সাদা পায়রার মতো বুকের দিকে চেয়ে ভিনোদ বিড়বিড় করে শায়ের আওড়াল। পিংক-জিন-এর এবং রুষারও নেশার দারুণ ঘোরে।…..
…..ভিনোদ রুষার স্তনসন্ধিতে মুখ রেখে ভাবছিল, মেয়েদের মুখের ‘অসভ্য’ কথাটার মতো এত বড় কমপ্লিমেন্ট আর হয় না।…..
….মানে হচ্ছে, হিন্দীতেই বললেন তান্ত্রিক : কেবলমাত্র মাতৃযোনি পরিত্যাগ করিয়া অন্য সমস্ত কুলযুবতীর যোনিতেই তাড়না প্রশস্ত। বারো বছরের বেশি বয়সী হলেই চলবে, সেই সব কুলযুবতীদের যোনিপীঠে সাধক নিজের ষাট বছর বয়স পর্যন্ত পঞ্চতন্ত্র দ্বারা যথাবিধানে পূজা করিবে।
যোনিপীঠ দর্শনমাত্রই কোটিতীর্থ দর্শনের লাভ হয়।…..
….অনেকক্ষণ পর বলত, চলো, এবার আমার কাঠবিড়ালিকে একটু আদর করি, কতদিন হাতে নিই না আমার সুন্দর পায়রা দুটিকে! কেমন আছে গো তারা?
রুষা হেসে, মুখে বলত অসভ্য।…..
…..রুষার গেরোবাজ পায়রার মতো উদ্ধত কিন্তু মসৃণ রেশমিকোমল স্তনে হাত রেখে পৃথু বলেছিল।….
…..পিস্তলের বাটটা হাতের মুঠোয় ধরলেই, কুর্চির অদেখা ভরা-মুঠি স্তন ধরারই অনুভূতি হয় যেন। আশ্চর্য!….
…..চুমু খাওয়ার পর্ব শেষ করেই বিজ্লী পৃথুকে জড়িয়ে ধরে তার বুকে মুখ রাখল। বিজ্লীর নরম অথচ দৃঢ় বুকের ছোঁওয়া লাগল পৃথুর বুকে। কম্বলের আড়াল ভেদ করে।….