মাঝে মাঝে কার কাছে যাব – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

›› সম্পুর্ণ গল্প  

আমার তিন নম্বর প্রেম প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ার পর মহীনের কাছে আবার আমি | পুরােপুরি আত্মসমর্পন করলাম। শেষবারের চেষ্টা ছিল তিন বছর জুড়ে এবং তিনতিনটি বছর আমি ওর সঙ্গে যােগাযােগ রাখিনি। তিন বছরে ফোন করিনি একদিনও। না-বাড়িতে, না-অফিসে। রাস্তাঘাটেও যাতে দেখা না হয়, সেজন্য রুট বদল করেছিলাম। অবশ্য, মুখােমুখি পড়ে গেলে আলাদা কথা। তিন-তিন বছর এবার তাও হয়নি।

এর আগের দুবার যখন এমন হয়েছিল প্রথমবার ছ’মাস এবং দ্বিতীয়বারে ঝাড়া একটি বছর পার করে তারপর যােগাযোেগ করেছি। তাও ফোন-টোন করে গেছি যে, তা না। | দু’বারই অফিসে ঢােকার মুখে মহীন দূর থেকে দেখতে পেয়েছে আমাকে। কোলের ওপর হাত দুটি জড়াে করে রিসেপশানে আমি চুপটি করে বসে আছি। | ওদের অফিসের রিসেপশান থেকে দূর গেট পর্যন্ত সবটা দেখা যায়। গেটের দু’দিকে দুই পাম গাছ। মধ্যিখান দিয়ে মহারাজকে এগিয়ে আসতে আমি দেখিনি কোনদিন। দেখব কী করে। আমি তাে কোলের ওপর রাখা হাত দুটির দিকে চেয়ে থাকি।

ও-ই প্রথম আমাকে দেখেছে। বরাবর। দু’বারই প্রশ্ন একটাই। ‘কী ব্যাপার, কতক্ষণ? অথচ ছ’মাস দেখা নেই। আমি অবশ্য তিনবারই সব জানিয়ে, বলে-কয়েই গেছি। এবং একদিনও ফোন করিনি। আর মহীন তাে নিজের থেকে যােগাযােগ করেই না। আমার এসব বিয়ােগান্ত গল্প নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি।

প্রথমবার ছ’মাস পরে আমাকে দেখে অফিসে আর ঢােকে-টোকেনি। আমার সঙ্গেই বেরিয়ে পড়ল। এদিক-ওদিক করে কিছুক্ষণ, ভরদুপুরে তারা দেখার প্রস্তাব করল। তারা মণ্ডলের ভেতরে অবশ্য তখন অমাবস্যার রাত। শুধু গভীর কৃষ্ণ আকাশ আর অমাবস্যার অগুন্তি তারা।

বলল, আমার প্রতি তােমার আনুগত্যের পরিচয় দাও।

যা করতে বলছে, কিন্তু মুখে বলছে না, আমি তাই করলাম। আমি ব্লাউজের তিনটি বােতাম খুলে দিলাম। চার নম্বরটি না হয় ও নিজেই খুলুক। যতদূর যেতে পারে গেল। আমিও বুঝলাম, কত অনুগতভাবে ও এখনাে আমাকে চায়। আমার শরীরকে । তা হােক। তবু আমারই শরীর। ওর বউ গীতিকার নয়।

দ্বিতীয়বারে তাে লম্বা ছুটি। এক বছর দু’মাস। আমি তাে কবরই না, পরীক্ষা দিচ্ছি। চৌদ্দটা মাসে একটি দিনের জন্যও কি যােগাযােগ করতে নেই? মহীন করেনি। ভাবা যায় ?

ঝাড়া এক বছর দু’মাস তেরাে দিন পরে রিসেপশানে দেখে শুধু বলল, কী ব্যাপার, কতক্ষণ।

বিকেলে আসতে বলল।

ট্যাক্সি করে নিয়ে গেল সল্টলেকে। ওর বন্ধু রতন বসুমল্লিকের ফ্ল্যাটে। গিয়ে বুঝলাম, বলা-কওয়া রয়েছে। রতন দরজা খুলেই একটুও সময় নেই, এত দেরি করে বলতে বলতে ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে বেরিয়ে গেল। যাবার আগে কিচেনের ড্রেনের ঢাকনা খুলে মনে করিয়ে দিয়ে গেল, রাবার-টাবার ইউজ করলে কোথায় ফেলতে হবে।

অবশ্য তার দরকার নেই। এবার ফিরে আসতে বছর কাবার হয়েছে। এবার আনুগত্যের ফিস ঢের বেশিই চাইবে। আমারও আপত্তি নেই। ছিলও না কোন দিন। আমি ইনস্ট্যান্ট ট্যাবস নিয়ে গিয়েছিলাম। | রতনের ফ্ল্যাটে আগেও এসেছি। তবে তখন ও ব্যাচেলর ছিল। ও যাকে বিয়ে করল, সেই সুষমার সঙ্গে রতন ও-ঘরে। আমরা এ-ঘরে। রতন পাশের ঘর থেকে চেঁচিয়ে বলত, ‘ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। সঙ্গে সুষমার খিলখিল হাসি। যেই-না সিঁদুর পরল মাথায় সুষমা সব বন্ধ করে দিল। ওটা রাতারাতি হয়ে গেল গেরস্ত বাড়ি।

তখন আমিই বরং খোচাতাম ওকে। ‘এ তাে খালি রেস্তরাঁয় খাচ্ছি আর মােটা হচ্ছি। রতনের বিয়ে হয়েছে তাে কী হয়েছে। অন্য ব্যবস্থা কিছু করাে। সপ্তাহে অন্তত একদিন না হলে গা গুলােয়। | কাগজের অফিস। ওর ডেস্কে কাজ। রােজই নাইট ডিউটি। মেয়ের স্কুল বাস আসে দশটায়। একই স্কুলের মহীনের ইতিহাসের টিচার গীতিকা খানিক আগেই স্কুল বাসে উঠে পড়ে। ওই মাঝখানের সময়টা না জলপাইগুড়িতে যখন সকন্যা গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে ওর বউ বাপের বাড়ি যায়—মহীন বহুবার বলেছে আমাকে যেতে। এইসব সরকারি ফ্ল্যাটবাড়ির মৌচাকের কোন গর্তে কে ঢুকছে আর কে রেরিয়ে যাচ্ছে, কেইবা খবর রাখছে। খুন করে খুনী বেরিয়ে গেলেও তাে কেউ জানতে পারে না।

কিন্তু গীতিকা আর ঝুমির অবর্তমানে আমি কখনও যাইনি। বলেছি, না, ওটা তােমার বাড়ি। রতনের ফ্ল্যাটে যেতাম। সুষমাও তাে যেত তখন। কিন্তু যেই বিয়ে হল—দেখলে !

ওদের ফ্ল্যাটে প্রথম যেতে তিন বছর লেগে গেল। যখন ঝুমির স্কুল ফাইনাল। মাইনে নিতাম না। ফাইনালে অংকে লেটার পেতে ওর বউ আমাকে দিয়েছিল বালুচরি শাড়ি। জিমিজ কিচেনে সেলিব্রেট করেছিলাম আমরা তিনজনে। মহীন ছিল না। ওখানে গীতিকাদি যখন আমার হাত দুটো টেনে জোর করে পরিয়ে দিল বি. সরকারের দোকান থেকে কেনা সবুজ আর লাল মিনে করা দু’গাছা রুলি, হাত থেকে মেটালের ড্রাগনমুখাে তিব্বতি বালাটা খুলিনি কিছুতেই। ওটা কালিম্পঙের কিউরিও শপ থেকে কিনে এনে মহীন আমাকে দিয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪। আমাদের পরিচয়ের দ্বিতীয় বছর। সেই থেকে শাখার মতন পরে আছি।

কিন্তু বউ-মেয়ের অবর্তমানে আমি মহীনের ফ্ল্যাটে কখনাে যাইনি। আসলে কাউকে ঠকানাে বা ফাঁকি দেয়া আমার স্বভাবে নেই। তিন-তিনবার তিন-তিনজন পুরুষের সঙ্গে আমার বিবাহ-প্রয়াস চলেছে আপ্রাণ, আমি মহীনের সঙ্গে কোন প্রকার, প্রত্যক্ষ তাে নয়ই, পরােক্ষেও কোনও যােগাযােগ রাখিনি তাে। তা সে ছ’মাস, দু’বছর বা তিনবছর যতদিনই হােক।

এক সঙ্গে দু’জন ? ছিঃ।

আমার তৃতীয় উদ্যোগ ফ্লপ করতে, আগেই বলেছি, সময় লাগে দু’মাস কম তিন বছর। ইতিমধ্যে একটা গােটা শতাব্দীর শেষ দিন বলেই বােধহয় মহীন আর পারেনি।

সেদিন ফোন করেছিল বাড়িতে। আমি বললাম (গলা নামিয়ে), কী বলছ বলাে? ও তাে এখানে বসে। ‘ও? ইন্দ্র। আজ বাড়িতে জানাতে এসেছে।

ওদিক থেকে শুধু মহীনের নিঃশ্বাসের শব্দ। একবার মনে হয়েছিল, এত জোরে আর এমন থেমে থেমে শ্বাস তাে আগে নিত না, যা টেলিফোনে এমন সা-সাঁ শব্দে শােনা যায়। কিন্তু, তখন ইন্দ্র এসেছে বাড়িতে। বউদি দাদা তার সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করছে। এ নিয়ে ভাববার তখন সময় নয়। | ‘কী বলছ, বলাে? আমার বিয়ের নােটিশ দিয়েছি।

ও পাশে থেকে শুধু, বুনােহাঁস পাখা মেললে যেমন, পাজর ঝাপটার সাঁই-সাঁই শব্দ। তবে, মহীন যতক্ষণ না কেটে দেয়, আমি রিসিভার ছাড়িনি।

প্রায় তীরে এসে এ তরীটাও ডুবে গেল। আসলে, ইন্দ্রর আর একটা বিয়ে আছে, যা সে শেষ মুহূর্তে বলল।

হিস্টেরকটমির পর থেকে ওর স্ত্রী যৌন-অক্ষম। ডিভাের্স দেয়নি এবং দেবেও না। এক্ষেত্রে, বলি-বলি করেও ও যা বলতে পারেনি, আমি যদি লিভ-টুগেদার করতে রাজি হই তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়। আমার সঙ্গেই থাকবে। ওর একটা আলাদ ফ্ল্যাটেও আছে। ফ্ল্যাটটা আমার নামে লিখে দেবে। ফ্ল্যাট ছাড়া ওর একটি পুত্র সন্তানও আছে।

এবার দু’বছর দশমাস দশদিন পরে ওর অফিসে এসেছি। আজ হােক, কাল হােক, আনুগত্যের দাম এবার বেশ মাঙ্গা পড়বে। ওরালে রাজি হইনি আগে। এবার হয়তাে সেই মূল্য দাবি করবে। | ভিজিটর্স রুমে বসে আছি তাে আগেই। অনেকের ভিজিটরই এসে দাঁড়াল এবং বেরিয়েও গেল। আমি অবশ্য চোখ তুলিনি। নতুন জুতাে পরে এলেও, মহীনের পা? সে আমি ঠিকই চিনব। শেষে রিসেপশান জানাল, মহীন হালদার মাসখানেক হল ছুটিতে।

সামনেই পুজো। ফি বছর সপরিবারে কোথাও না-কোথাও যায়। এবার একটু আগে-আগেই বেরিয়ে পড়ল নাকি?

অপারেটর অঞ্জলি সেন আমাকে চেনে। আমাদের বহু কথাবার্তা আঁড়ি পেতে শুনেছে এবং অনেক গােপন অ্যাপাের কথাও জানে। কানেকশান দেবার আগে একবার জানতেও চেয়েছিল, জোকার ফারুকস রিসর্টটা কেমন এবং আমাদের চেনাজানা কিনা। চার্জই বা কত। | আজ অফিসের ইন্টারকমে অঞ্জলি বলল, “ওমা, আপনি জানেন না? উনি তাে হসপিটালাইজড। ওর লাং-টিউমার। একটু চুপ করে থাকে, গলা নামিয়ে, ম্যালিগন্যান্ট।

এবার মহালয়া থেকেই বৃষ্টি। আজ সকালে কিছুক্ষণ ধরে শেষ জলটুকু নিঙড়ে দিয়ে আকাশ আবার নীল হয়েছে। ফুরফুরে মেঘের দল আবার দেখা দিয়েছে। পিজির উডবার্ন ওয়ার্ডের সামনে ভিজে গাছ থেকে নেমে এসে বিকেলের রােদে এক্কা-দোক্কা খেলছে দুটি চড়াই।।

দোতলায় ভিজিটরদের জন্য ঘেরা বারান্দায় গীতিকাদি চুপ করে বসেছিল। আর কেউ ছিল না। আমি পাশে গিয়ে বসতে ঘর দেখিয়ে বলল, “এখুনি আসবে। সিটি স্ক্যান করতে, নিজের মাথা-দেখিয়ে, নিউরােলজিতে নিয়ে গেছে।

মাথা? মাথাতেই। লাং-এ সেকেন্ডারি স্টেজ’। আমি শেষ টেলিফোন মহীনের শ্বাস টানার সাঁই-সাঁই শব্দ শুনতে পেলাম।

একটা ট্রলি বেরুচ্ছে লিফট থেকে। নার্সের হাতে উঁচু করে ধরা বােতল থেকে ডিপ, মুখে অক্সিজেন মাস্ক। ট্রলি ঘরে ঢােকার সময় এক পলক দেখতে পেলাম মুখটা সবুজ।

সঙ্গে একজন নয়, দুজন ডাক্তার। উঠে দাঁড়াতে গিয়ে আমি বসে পড়লাম। গীতিকাদি বলল, যাও। যাও না তুমি। তােমাকে ও খুঁজেছে।

আমার নার্ভাস হতে যেটুকু বাকি ছিল তােমাকে ও খোঁচাটুকুতে তা সম্পূর্ণ হল। ‘আপনিও চলুন।

‘না।’ সাইডব্যাগ খুলে একগােছা ইনল্যান্ড বের করে আমার হাতে দিল গীতিকাদি, ‘আজ সকালে তােমার ফোন পেয়ে এগুলাে নিয়ে এলাম। ওর অফিসের ড্রয়ারে ছিল এতদিন।। | ইন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেছে—এমন সময় ওর ফোন পেয়ে আমি একটু ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। কঁচিয়ে দেবে নাকি, খোঁজখবর করে! যদিও জানতাম, সে ধাতুতেই তৈরি নয়। তবে সব কিছুরই ভাংচুর আছে। কফিনে শেষ পেরেক মারার মতাে তাই ওর লেখা চিঠিগুলাে কুরিয়ারে ওর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেইসব খােলা চিঠি গীতিকাদি পড়েছেন জেনে আমার ভেতরটা হঠাৎ মূক হয়ে গেল।

কোলের ওপর হাত জড়াে করে আর সেখান থেকে চোখ না তুলে আমি বসে রইলাম।

‘মারি স্টোপসে’ গীতিকাদি বলল, তুমি আবাের্সন করাতে গিয়েছিলে? সঙ্গেও ছিল ?

মাথা আমার আরও হেট হয়ে এল, কোলের দিকে। সেই অবস্থায় যেন নিজেকে শােনাতেই আমি বিড়বিড় করে বলে গেলাম, সে তাে আমার সঙ্গে বি.বি.আই ক্লিনিকেও গিয়েছিল। ল্যান্সডাউনে। ডা. ইয়াসিন অ্যাট্রোফিন দেবার আগে বললেন, সঙ্গে লােক আছে তাে। সেদিন হাত ধরে আমাকে রাস্তা পার করিয়ে দিয়েছিল মহীন। মহীন আমাকে—এইখানে আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি।

এই সময় নার্স এসে বলল, ৬ নং রুমের ভিজিটর কে কে আছেন আসুন। ডাক্তার বাবু ডাকছেন। | তুমি যাও শুচিস্মিতা। গীতিকাদির হাত আমার পিঠে, “ও তােমাকে অনেক খুঁজছে। এমনকি আমাকেও বলেছে, তােমায় ডেকে আনতে। কিন্তু আমি

‘আপনারা শিগগির করুন। নার্স বলল, “সিটি স্ক্যান রুমেই আপনাদের পেসেন্ট এক্সপায়ার করেছে।

আমার হাত ছেড়ে গীতিকাদি ঘরের দিকে দৌড়ল। ওর সঙ্গে লুটোতে লুটোতে চলল কাঞ্জিভরমের একখানা জমকালাে আঁচল। | আমি লিফটের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। আমার সামনের নিচে থেকে উঠে এসে লিফটের আলােকিত দরজা বারবার খুলে যাচ্ছে আর বন্ধ হচ্ছে। ওপরে উঠে যাচ্ছে। বারবার সেই একটাই ছবি লিফটের ভেতরে। একটা ফ্যামিলি অ্যালবাম। বুড়ােবুড়ি, ছেলেমেয়ে, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতি-নাতনী—সব মিলিয়ে জনাকুড়ি তাে হবেই। গাদাগাদি ভিড়ে ভীষণ মােটা, মুখ নিচু মেয়েটিই সবার আগে চোখ টানে।।অনেকবার এমন হল। এমনটা হতেই থাকল। জায়গাও নেই। তাছাড়া, লিফটের লােজনদের আমায় কেমন কিছুতেই পছন্দ হয় না।

তারপর…একবার দেখি, নিচে থেকে উঠে এসেছে বিলকুল ফাঁকা লিফট। দরজা খুলে গেল। কিন্তু এবার লিফট আর ওঠে না। উঠবে কী করে। লিফটম্যানই নেই। ব্রিটিশ আমলের বিশাল ও কারুকার্যময় ওক কাঠের লিফট। এক এক ট্রিপে কুড়িজন তাে ধরেই। এসব লিফট অটোমেটিকে চলে না।

হঠাৎ দেখি, ভােরের আলাের মতাে অনুজ্জ্বল, এক অদ্ভুত আঁধারের মধ্যে, লিফটের ভেতর, কলির কেষ্টটির মতাে দু’পা মুড়ে মহীন দাঁড়িয়ে।

তার সর্বাঙ্গ থেকে পাইডার-মিনি মাটি ঝরে পড়ছে ঝুরুঝুরু। জীবনের শেষ অভিব্যক্তির মতাে তার মুখে মৃদু হাসি লেগে আছে। লিফট ওঠাবার পেতলের হ্যাণ্ডেল তার মুঠোয়। মহীন বলল, ওপারে যাবে না?

যুগান্তর। ঈদ সংখ্যা

Leave a Reply