মরীচিকা – সমরেশ বসু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..এখন ওর পােশাক আলাদা। শরীরের প্রতিটি প্রত্যঙ্গকে, নির্ভাজ জড়ানাে একটি কচি ঘাস রঙের ম্যাকসি, উচু হিল জুতো পরা, পায়ের পাতার গোড়ালি জড়িয়ে মাটি ছুই ছুই করছে। কটি থেকে নাভিস্থল পর্যন্ত আঁট বন্ধনী অনেকটা চওড়া বেল্টের মতাে। যদিও বেল্ট নয়, ম্যাকসির কারিগরি ওর মেদহীন কটিদেশ ও নাভিস্থলকে নিখুত আর নির্ভাজ বেষ্টন করেছে, আর ওর অনতিগুরু নিতম্বকে প্রতিটি রেখায় জীবন্ত করে, উরুস্তম্ভের নীচে নেমেছে, এবং অনতিগুরু নিতম্বের সঙ্গে আশ্চর্য পরিমাপের বক্ষযুগলকেও ঢাকা দিয়েছে যেন এক বিপদ সীমার রেখা ছুয়ে।

বিপদ সীমাই বলতে হবে, কারণ ওর স্তনান্তরের গভীর রেখাটি ঈষৎ অনাবৃত। একটি মাত্র মুক্তার হার ওর গলা থেকে নেমে এসেছে দুই বক্ষচুড়ায়। তুলনা দিলে বলতে হয়, “তব স্তনহার হতে নভস্থলে খসি পড়ে তারা। অকস্মাৎ পুরুষের বক্ষোমাঝে চিত্ত আত্মহারা, নাচে রক্তধারা।”…..

Leave a Reply