মধ্য বয়সের সঙ্কট – মিনা ফারাহ

›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

….অবাক লাগে, সে-সময়েও মানুষের দৃষ্টি ছিল কত উদার। মন কত মুক্ত। সমাজ কত অরক্ষণশীল এবং কত খোলামেলা। মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ-অর্ধউলঙ্গ বিভিন্ন চরিত্র, প্রেম ও কামের ছবি বিভিন্ন আসনে নারী ও পুরুষের, স্তন-যোনি এবং লিঙ্গের বিভিন্ন ভঙ্গিতে খোদাই করা ছবি মন্দিরের গায়ে শোভা পাচ্ছে। আধুনিক যুগের মানুষেরা সেগুলো দেখে কি অবাক হয় না? ভাবুন যে, সে যুগের মানুষেরা কত খোলাখুলি, কতটা মুক্তমনে প্রেম করেছে। তাদের আফসোস হয় না কি এসব দেখে, হায়! এত বছর ধরে বিবাহিত জীবনযাপন করলাম। কতবার প্রেম করলাম। কিন্তু একী! আজ অবধি পেটিকোটের ফিতে কিংবা ব্লাউজের বোতামটা খুলে কখনও দেখিনি আমার প্রিয়ার শরীরের সৌন্দর্য, সে কেমন?…..

…..মিডলাইফ, সে-কি চিহ্ন, দুঃখের! সে-কি সুখের! সে-কী? কীসে? বার্ধক্যের প্রথম চিহ্ন দেখে আমরা কি ভয়ে চমকে উঠি না? মেয়েদের বেলায়, ঋতুতে অনিয়ম। যৌনাঙ্গে শুষ্কতা। হাঁটুতে ব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা। ব্যথা সর্বত্রই। ডাক্তার-ওষুধ, পথ্য। মাথায় পাকা চুল। দাঁতের মাঢ়িতে নেকলেসের মতো কালো কালো পাথর। পুঁজ, রক্ত, দুর্গন্ধ। দুই দাঁতের মধ্যে কালো অর্ধচন্দ্র গর্ত। ছেলেদের বেলায়, লিঙ্গ শিথিল হয়ে আসতে শুরু করে। রতিক্রিয়ার সময়ে পুরুষেরা ঠিক আগের মতো শক্তি পায় না। স্ত্রী, স্বামীকে দায়ী করে, কেন তুপ্তি হলো না। ……

….বিপত্নীক ষাটোর্ধ্ব পুরুষের বেলায় তা আরো মজার। তারাও বিয়ে করে। শিথিল লিঙ্গ বা স্বল্প বীর্য ওদের সমস্যা নয়। ওদের জন্য ওরাল সেক্স একটা সুন্দর বিকল্প ব্যবস্থা। ৩৫-৪০-৪৫-এ বিধবা নারী যা ভাবতে পারে না, ৬৫তেও বিপত্নীক পুরুষ তা পারে। আর মধ্য বয়সের যে-কোন বিপত্নীক পুরুষও! বিয়ে করবেই। সমাজই দেবে। মেয়ের বাবা এসে ঘুরঘুর করবে। কিন্তু একথা ক’টা বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীর বেলায় সত্য!…..

….আরবের মেয়ে বিয়ন্ড দ্য ভেইল

আরবের মেয়েদের জীবনে ধর্ম ও পুরুষের নিষ্ঠুরতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তার একটি চিত্র পাওয়া যায় ‘বিয়ন্ড দ্য ভেইল’ বইটিতে। বইটির লেখক ড. স্যামুয়েল গ্রে। যেহেতু ওদের জন্যে পরপুরুষের কোনও রকম ছায়া ও ছোঁয়া নিষিদ্ধ, সেহেতু ওরা গোপনে যা করে তা আরো বীভৎস। নিষিদ্ধ বলেই ওরা যায় আরো গভীরে। অধিক নরকে। ড. গ্রের বইটিতে চার দেয়ালের ভেতরে ওদের যৌনজীবন আপন চাচা, মামা, খালা, মাসি, ভাগ্নী, ভাইপো, সবার সঙ্গে সবার, কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবার অবাধ যৌনাচার। যা ঘরে ঘরে বেশ্যালয়ের তুল্য।

….বাংলাদেশি কাজের মেয়ে এবং পুরুষ ড্রাইভার সমাচার

…….কি বীভৎস! পুরুষ বঞ্চিত, অবরুদ্ধ, হতাশাগ্রস্ত সৌদির মেয়েগুলো পুরুষের একটু স্পর্শ পেতে গোপনে শরণাপন্ন হয় পুরুষ ডাক্তারের। আশা, ডাক্তাররা ওদের বুকে, পেটে, হাতে পুরুষের আঙুল বোলাবে। তাই ওরা মিথ্যে অসুখের ভান করে ছোটে ডাক্তারের চেম্বারে। টাকা দিয়ে একটু স্পর্শ নিতে যায় পুরুষের কাছে আর যা মেলে না কিছুতেই।

সৌদি মেয়েদের যৌনজীবন দরিদ্র এবং সংরক্ষিত। একেক পুরুষের কয়েকজন নারী। তারা স্বামীর সঙ্গ, সঙ্গম যথেষ্ট পায় না। এই অবস্থায় পবিত্র দেশে বাংলাদেশি ড্রাইভারদের দুরবস্থার একটি কারণ হলো, স্বামীর পর তারা ড্রাইভারকেই বেশি দেখে। দেখার সুযোগও পায়। সেক্ষেত্রে গোপনে একটি পুরুষ ড্রাইভারকে প্রতিদিন ৪/৫ জন নারীকে তৃপ্ত করতে হয়।

দল বেঁধে ক্ষুধার্ত মেয়েরা আসে। মালিকের বৌ, মেয়ে, বান্ধবী। না হলে চাকরি থাকবে না। জানালে, মুণ্ড ঘ্যাচাং। আর পালালে যাবে কোথায়। ভগ্ন স্বাস্থ্য, দুর্বল ধাতু, আগা মোটা-গোড়া চিকন হয়ে ওরা ফিরে আসে দেশে। কান মলে দিয়ে বলে আর যাবে না পবিত্র দেশে। অমন জন্তুর মতো ক্ষুধার্ত মেয়ে, আর নয়! প্রতিদিন ৪/৫ জনের ক্ষুধা মেটানো অসম্ভব! তার চেয়ে বরং না খেয়ে দেশে থাকবো। এরকম দুস্থ ড্রাইভারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কথায় আছে, প্রায় প্রতিটি সৌদি গৃহই একেকটি ছোটখাট পর্নো হাউজ।……

…..অকাল বিধবা হেমলতার সঙ্গে রাতের বেলায় ঘুমোত এগারো বছরের এক কিশোর। হেমলতা তাকে মহাভারত পুরাণের গল্প শোনাত। সজল–হেমলতা ছাড়া অন্য ঘরে ঘুমোবে না। বাবা-মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও না। মায়ের তৃতীয় চোখ। বাবা। বললো স্রেফ অপত্য স্নেহ। সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত মা বলে-না। একদিন গভীর রাতে উঁকি দিয়ে দেখলো সজল হেমলতার স্তনে মুখ দিয়ে। কারো শরীরেই কাপড় নেই। জানি, এর উত্তর নেই। তবে বিধবা হলেই যে রতি মরে যাবে, একথা ভুল। বিধবারা যাবে যাবেই। রতির তাড়না তাকে নিয়ে যায়। সন্তানের বয়সী থেকে গোয়াল ঘরে এমনকি ষাড়ও সই……

….ঘটনাক্রমে প্রদীপের সঙ্গে বেবীর মাত্র দু’বার যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। প্রদীপ, বেবীকে যেভাবে নিয়েছিল, যে কারুকার্যে সে ফুটিয়ে তুলেছিল ওর নারীত্বের অলঙ্কারগুলো! বিছানায় বেবী নিজেকে মাত্র দু’বার যেভাবে আবিষ্কার করেছিল প্রদীপের সঙ্গে, সালমানের সঙ্গে তা দশ বছরে একবারও ঘটেনি। সালমান শুধু শরীর কিন্তু প্রদীপ বোঝে প্রেম। সেই থেকে বেবীর জীবন, সালমানের সঙ্গে কখনো আর এক হলো না।…..

…মেয়েদের যৌনজীবন সম্পর্কে এখনো আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। আমরা ভাবি, সংসারের অন্য অনেক দায়িত্বের মতোই নারীর যৌনজীবনটাও যেন সন্তান উৎপাদন যন্ত্র আর স্বামীর সুখের গর্ত।….

…আমার মার মুখে শোনা। সব বারো বছর বয়সের নিচে বা ওপরে, বিদ্যাসাগরের যে-কোনও বিধবা পিসিরা, অন্তত বারোবার গর্ভপাত ঘটাতেন। কেন এরকম হয়? কত উদাহরণ? পাশে জলজ্যান্ত রূপসী বৌ রেখে হিরু প্রতিদিন যেত কুৎসিত শেলীর কাছে। ওরা মাগ ভাতারে। বিপত্নীক ফারুক ভাই শুধু গার্লফ্রেন্ড খুঁজে বেড়ান আর একে ওকে বিরক্ত করে। ছেলেদের হাতে মার খাওয়ার আগেই চুপে চুপে কাজ সেরে ফেলে বিপত্নীক চর্চা, কাজের মেয়ে রোকেয়ার সঙ্গে। রোকেয়া, মেয়ের বয়সী। ফিরোজ, ঘরে বৌ রেখে হস্তমৈথুনে অধিক তৃপ্ত। শামীমও। রিতাও। কালামের মায়ের বয়সী নারী না হলে রোচে না। শিল্পী, রুবেলের মধ্যে আজীবন রবীন্দ্রনাথ দেখলো। আর শেতুলী দেখলো, কবি নজরুল। সত্য হলো না তাই –ভগ্নহৃদয়ে ফিরে গেল। প্রবাসী রুমার আর আনস্মার্ট বঙ্গপুরুষ ভালো লাগে না। বিধ্বস্ত যৌনজীবনের সেলিমা, মাঝ বয়সে এসে প্রথম আবিষ্কার করলো, সে বাইসেক্সয়াল। সলিল ইচ্ছা করেই ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়, গাউছিয়া মার্কেটে মেয়েদর স্তন আর যোনি পিষতে। প্রদীপ, কামনা করে সন্তানসমেত কিশোরীকে। সাইফুল চায় একসঙ্গে একাধিক শরীর। সেজন্যে সে অনেক টাকা খরচা করে। তার আনন্দ, শৃঙ্গারের দৃশ্য। রচনার চাই একসঙ্গে একাধিক পুরুষ। বৃদ্ধ বয়সেও চার্লি সেক্সের চেয়েও সেক্সের দৃশ্য উপভোগ করে। চার্লির ঘরে ব্লু ফিল্মে ঠাসা। পর্নো ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহে ন্যুডবার। আর সমীর সারাদিন বাসে চড়ে বেড়ায়। মেয়েদের স্তন পিষতে পিষতে সে সিট বদলায়। আর ইচ্ছে করে ভিড়ের মধ্যে বাদুর ঝুলতে ঝুলতে লিঙ্গটা ঠেকিয়ে রাখে ভদ্রমহিলার অকুস্থলের সই সই। এরিক গার্সিয়ার প্লাস্টিকের নারী না হলে হয় না। মানেকার, প্লাস্টিক পুরুষ। মুনির চাচা তার ষাটের শুরুতে দারুণ উত্তাল। সে ওরাল ছাড়া কিছু বুঝতে চায় না। নাম্বার ৬৯’ তার নেশা। মিসেস সেন তার ষাটের শুরুতেও উত্তাল। তিনি শুষ্কতার কারণে বিদেশ-দেশে ভালো ভালো দামি ক্রিম, পিচ্ছিল, আনিয়ে রাখেন। একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে কাম, হস্ত মৈথুন, বেশ্যাবাড়ি, সত্ত্বেও সালামতের যথেষ্ট হলো না।…

…প্রিয়ার কণ্ঠের সাতনরী। বা কমলার কোয়ার মতো তার ঠাসা পুরু এক জোড়া অর্ধচন্দ্র ঠোঁট। এই তো কৈশোর। এর মানেই কণ্ঠস্বর ভাঙা। মানেই বয়োসন্ধির আয়োজন। স্বপ্নে জাগরণে রতি সুখ। কিশোরের ঠোঁটে গোফের রেখা। কিশোরীর বক্ষে এক জোড়া পর্বত চূড়ার আগাম আবছা আভা। কিংবা নাইকুন্ডুলীর নিচের অমসৃণ উপত্যকায় মাতৃত্বের ফাটলে মাসিক শিশুর লাল রঙের চিৎকার। শরীরে ইলেকট্রিক শকের মতো সুখ যন্ত্রণা যা মাথা থেকে পা অবধি কালো পশমাবৃত উপকূল বেয়ে নেমে যায় কত রিক্টার স্কেলে কে জানে! ভেজে নিম্নভূমি। ভেজে পুরুষ। ভেজে নারী। সব ভালো। সব ভালো লাগে। তখন সবকিছুই ভালো লাগে যখন স্বপ্নসুখে আমূল উত্তাল হয় পুরুষ, হয় নারী। এই মধুক্ষণে মনে হবে পৃথিবীর সব অন্যায় ক্ষমার যোগ্য। মানুষই দেবতা। সব মানুষ, দেবতা। মনে হবে পৃথিবীর সব সুখ শুধু শরীরভিত্তিক।….

…খুব ভালো লাগছে মেয়েটির তাকানোর ভঙ্গিটি। সুন্দরী আর কাকে বলে। এককথায়, অপূর্ব। গলার দু’পাশে কলার বোন দুটো তীরের মতো খাড়া। চিবুকের মাঝখানে গাঢ় তিল। গালে টোল। কালো স্কিনটাইট গেঞ্জির ভেতর দিয়ে হাতের মুঠির মাপে সুডোল একজোড়া স্তনের উঁকিঝুঁকি। জিনসের প্যান্ট আর গেঞ্জির মাঝখানে ছ’আঙুল মাপের মেদবিহীন সমতল নাভিমূল। মেনিকিওরড হাতের আঙুলে দু’রঙের নেইল পলিশ দিয়ে ডিজাইন করা নোখ। ক্ষীণ কটিদেশ। কাম জাগানো ভারি নিতম্ব আর পাকা কামরাঙার মতো রসালো পুরু দুটো ঠোঁট। সব মিলিয়ে তন্বী মেয়েটির তত শরীরে যাদুকরী সৌন্দর্য।….

….যারা ফ্যানের নিচে শুয়ে রাতের সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত শরীর মেলে দিতে পারে না। স্ত্রীর করুণা ও স্নেহের করতলে বা গভীর রাতে শান্তি খুঁজে পেতে নেই বিশাল বক্ষ জুড়ে এক জোড়া স্তন, যেখানে মুখ খুঁজে পড়ে কি নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়।…..

…..এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া কঠিন, যে বাড়ির পুরুষ কাজের মেয়ের মশারির তলায়, ঢোকেনি! ক’জন। পুরুষ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে তারা কোনও না কোনও অজুহাতে, কাজের মেয়ের শরীর ছোঁয়নি! এমনকি নাবালিকার স্তনের কুঁড়ি আর সদ্য ফোঁটা প্রত্যঙ্গে জননেন্দ্রিয় ছলে-বলে-কৌশলে একবারও তার হাত ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেনি এমন পুরুষ ক’জন আছেন বলা কঠিন! আমার বিশ্বাস, সংখ্যায় তারা নিতান্তই অঙ্গুলিমেয়।….

….কাজের শেষে সবাই ঘুমোতে গেলে ওরা যে যার সুবিধেমতো বেরিয়ে আসে। পা টিপে টিপে গীতার বাবা ঢেকে রেনুর মায়ের মশারির ভেতরে। রেনুর মা সব কাজশেষে নারকেল তেলের কৌটো নিয়ে অপেক্ষা করে বসে থাকে। শুষ্ক যোনিতে পুরুষাঙ্গটিকে তেল না খাওয়ালে কষ্ট হয়। কিংবা রেনুর মা যখন গভীর ঘুমে। মাত্র নতুন কাজে এসেছে। আর গীতার বাবা পা টিপে টিপে এসেই রেনুর মায়ের মশারি তুলে বলছে, চোপ, একটা কথাও কইবা না। কইলেই …, বলে বিশ টাকার নোটটি হাতে গুঁজে দিয়েই, স্তনে মুখ গুঁজে দেয়। আর রেনুর মাও স্বতশ্চল হয়ে যান্ত্রিকভাবে দু’পা বিযুক্ত করে দেয়। আর পুরুষটি প্রবিষ্ট হয় যোনিতে। রেনুর মা জানে কখন কি তার করণীয়। অবস্থা বুঝে। কারণ এই জীবন তার অজানা নয়।….

….একা এবং সুযোগ পেলেই নাগালের মেয়েগুলোর স্তন টেপাটেপি করতে যেন আর তর সয় না কামার্ত পুরুষগুলোর। তা সে দুই বছরই হোক ষোল বছরই হোক। আদর করার নাম করে ঘরের দরজা বন্ধ করে কোলে বসিয়ে নিয়ে নিজেদের পুরুষাঙ্গটি ঘষতে থাকে অপ্রাপ্ত বয়সীর যোনিদেশে।….

….মামি আর লোকটাকে দেখলাম বাড়ির শেষ মাথায় ছোট ঘরটায়, কদম গাছের ঠিক নিচে, ওখানে গিয়ে ওরা দু’জন নিবিড় হয়ে বসলো গল্প করতে। চৌকিটা ছোট এবং তাতে একটা পুরোনো তোশক বিছানো। বাড়িতে কারো চোখেই ধরা পড়লো না, দু’জনের মধ্যে একটা অস্থিরতা একা হওয়ার। ওরা ঘরে ঢুকে দরজা অর্ধেক চাপিয়ে দিল। আর আমি হামাগুড়ি দিয়ে অন্য দরজা খুলে লুকিয়ে গেলাম চৌকির নিচে। নিশ্বাস নিতে থাকলাম খুব আস্তে আস্তে। কান রইলো খাড়া। শুনলাম ওদের পর্নালাপ।

লোকটাকে মামি অবলীলায় বলছে মামার অসুস্থতার কথা। কি-কি কারণে তার জীবন সুখের নয়। বলছিল তার ঋতুর কথা। তার গর্ভাবস্থা। তার রাত্রিবেলার দুর্ভোগ। তার মিডলাইফ ক্রাইসিস। তার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত স্বামীর রাত্রিবেলার কঠিন স্নায়ু যুদ্ধ, যৌনজীবনের সঙ্গে। বললো স্বামীর শিথিল অঙ্গের কথা। লোকটিও জানালো তার অনুভূতি। তার অভিজ্ঞতা, গ্রামের দুই নারীর সঙ্গে। যাদের একজন বয়স্ক বিধবা, তারপর শুরু হলো দু’জনের মৃদু শারীরিক আদান-প্রদান। দরজার খিল লাগানো। এলো চুম্বনের শব্দ। প্রথমে ধীরে-সুস্থে পরে সজোরে। আমি যতই শুনি ততই অস্থির হতে থাকি। চুম্বনের শব্দে হৃৎপিণ্ড উত্তেজিত হয়। অজান্তেই শরীরের কোথাও কোনও স্পন্দিত আলোড়ন হয়। আমার পাজামা ভেজে, নাইকুণ্ডলীর নিচের ঢেকে-টুকে রাখা কোনও এক বিশেষ জায়গা থেকে।…..

….মেয়েদের জামার মাপ দেয়া খুব বড় ধরনের একটা সমস্যা। খলিফাঁদের ফিতে বালিকাদের বুকের কাছে এসে আর নড়তে চাইতো না। সরতো না। ফিতে আর আঙুল, আমাদের সুপুরি বুকের আশপাশে ঝড়ে বিধ্বস্ত পাখির মতো স্থির হয়ে বসে থাকতো। পাখিটা নড়েচড়ে উঠলে, ব্যথায় কুঁকড়ে উঠতাম। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে চেপেও যেতাম, ভয়ে। পোশাক তৈরি করতে গিয়ে, এমন অভিজ্ঞতা, প্রচুর। এ শুধু লতা আর আমার নয়। এ অভিজ্ঞতা অনেকের।…..

….তখন গভীর রাত। মাসি ঘুমে অচেতন। বাইরে ঝিঁঝি আর শেয়ালের সরব উপস্থিতি, ঘরে কালো কুচকুচে অন্ধকার। আর এই গভীর আকাশ কালো রাতে, আমি ঘুমাতে পারছি না। পারছি না কারণ, কার সঙ্গে যেন আমার যুদ্ধ হচ্ছে। কিসের যেন এক প্রতিযোগিতা অথচ প্রতিযোগীকে আমি দেখতে পারছি না। সে হাত দিয়ে কিছু ধরতে চায়। হাতের সঙ্গে যুদ্ধ করে হাত ফেরাই। মাসির ওপাশ থেকে, মাসিকে ডিঙিয়ে আমার বুকের ওপর দিয়ে হাত হাটে। যতবারই সরিয়ে দিই, হাত সরে না। বরং ফিরে ফিরে বুকের উপর মুঠি পাকিয়ে এলেই হাতটা জাপটে ধরি। ফিরে যায়। আবার ফিরে আসে। হাত দুটো, আমার হাত এড়িয়ে, বুকের ওপর দিয়ে, এঁকেবেঁকে যায়। বুকে বাধা খেয়ে হাত যায় তলপেটে। পেট থেকে যায় আরো গভীরে-নিচে। কি করে একে থামাই! মনে তখন শুধু লজ্জাই নয়, ভয়ও। যদি সবাই জেনে যায়! এবার মেসো শুলো ঘুরে। আমার দিকে আরো এগিয়ে মাথাটি উল্টো করে দিয়ে। ওপাশ থেকে এবার একটা শক্ত লাঠির মতো কি যেন আমাকে তো দেয়। সারারাত যুদ্ধ এবং এমনি যুদ্ধ করে করে না ঘুমিয়ে সকাল হলো। মাসি উঠে দুয়ারে গেল। মেশো আগেই। উঠে গেছে। আমার মন ভীষণ খারাপ।

সকাল হতেই দাদুবাড়ি ফিরে আসার জন্য জেদ ধরলাম। মাসি বললেন, আজ না, কাল যাবি। আমি বলি, না। মেসো দাঁড়িয়ে। ওর দিকে তাকাতে ঘেন্না হচ্ছে। মনে হলো পা থেকে জুতো খুলে মারি! কিন্তু চুপ করেই রইলাম। বলার ভাষা জানা নেই। মাসি দুঃখ করে বলল, আমি না তোর মাসি! কেন যাবি এত তাড়াতাড়ি! মাসিকে আমি তবুও বললাম না, কেন চলে যেতে চাইছি। মেসো একটি টাকা হাতে দিয়ে লোকটি বললো, এই নেও। রাস্তায় তিলে খাজা কিনা খাইও। আমি টাকাটা নিলাম না। অনেক সাধলো। শেষ পর্যন্ত জোর করে খুঁজে দিলো। আমি ফেলে দিলাম। মাসি আমার দুর্ব্যবহারে কাঁদতে শুরু করলো। আমার বুকে টনটনে ব্যথা। আর মুহূর্তও বেশি দেরি না করে রওনা দিলাম। কাকা আর আমি হাঁটছি আর হাঁটছি। চার মাইল পথ কি সেদিন আমার আর শেষ হয়? যেতে যেতে পায়ে আটকে ধরে ছোট ছোট কাঁটা। আমি কাঁটার সাথে যুদ্ধ করে দাদুবাড়ির দিকে এগোই আর ভাবি গেল রাতের দুঃস্বপ্নের কথা। একটা হাত। হাত নয় যেন, সাপ। এঁকেবেঁকে হাঁটে সমস্ত শরীরে। …..

Leave a Reply