মধুময় – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………..মুক্তো পরে আছে শুধু একটা কালাে শায়া আর একটা সাদা ব্রেসিয়ার। তার স্বাস্থ্য বেশ ভরাট, ব্রেসিয়ার উপছে বেরিয়ে আছে দুই স্তন। এইরকম পােশাকে কোনও মেয়ে যে পুরুষের সামনে আসতে পারে, সিনেমায় নয়, বান্ধব জীবনে, এরকম ধারণাই ছিল না মধুময়ের। এ জন্য বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ নেই মুক্তোর, এমনকি হরিয়ার মতন একজন ভৃত্য শ্রেণির লােক যে বসে আছে, তা-ও গ্রাহ্য করছে না।

—আজ আবার এ কাকে নিয়ে এসেছ? মুক্তো প্রশ্ন করল রতনকে। রতন বলল, এ আমার এক বন্ধু, একটা কয়লাখনির মালিকের ছেলে… মুক্তো খিলখিল করে হেসে উঠল। হাসির সঙ্গে সঙ্গে তার স্তন দুটি কাপতে থাকে।…….

…….মধুময়ের দ্বিধা দেখে মুক্তো বলল, ঠিক আছে, তােমার নাম বলতে হবে না, আমিই তােমার নাম দিয়ে দিচ্ছি। তােমার নাম দিলাম আমি নাড়ুগােপাল বলেই সে হাসতে-হাসতে ঢলে পড়ল মধুময়ের বুকে। দু-হাত দিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে বলল, কি আমাকে পছন্দ নয় ?

মধুময়র এইটুকু জীবনে কোনও নারী তার এত ঘনিষ্ঠ হয়নি। কারও স্তনের স্পর্শ লাগেনি তার বুকে। কেউ তার গলা জড়িয়ে ধরেনি এমনভাবে। স্বপ্না ছাড়া আর কোনও মেয়ের সঙ্গে মেশেনি সে। স্বপ্নার সঙ্গে এরকম শারীরিক ঘনিষ্ঠতার কথা কল্পনাই করা যায় না। উত্তেজনায় তার চোখের কোণ, চিবুক ও কানের লতিতে যেন জ্বালা করতে লাগল। সে কোনও কথা বলতে পারল না।………

Leave a Reply