মকরক্রান্তি – হেনরি মিলার

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আবু কায়সার

…….ভ্যালেসকা আর আমি অনেক কষ্টে ওকে ঘুম পাড়ালাম। সে যখন পাশের ঘরে ঘুমুচ্ছিলাে ভালেসকা আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলাে। চুমুও বটে। মনে হচ্ছিলো, তার জিহ্বাটা আমার গলার ভেতরে ঢুকে গেছে। আমার হাত চলে গেলাে তার দুপায়ের মাঝামাঝি জায়গায়। আমি যখন টেবিলের ওপর তাকে চিৎ করে শোয়ালাম, সে আমার শরীরের দু’দিকে পা বাড়িয়ে দিলাে। ……বউটা নিশ্চয় ফিরে এলাে কসাইখানা থেকে । আমি ভ্যালেসকার ওপর থেকে উঠে—ফ্লাইয়ের বােতাম লাগাতে লাগাতে হলঘর পেরিয়ে দরজা খুলে দিলাম।…..

….সেদিন হাভাতের মতো ঘুরছিলাম একটা শিকারের আশায়। ক্ষুন্নমনে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ এক বন্ধুর বােনের সঙ্গে দেখা। সে আমাকে তার সঙ্গে ডিনার খেতে বাধ্য করলাে। ডিনারের পর আমরা ঢুকলাম সিনেমা হলে। প্রেক্ষাগৃহের আধাে অন্ধকারে আমরা ছবি যতােটা দেখছিলাম তার চেয়ে বেশি হাতড়াচ্ছিলাম পরস্পরের শরীর। শেষে উভয়ই এমন একটা পর্যায় এসে গেছিলাম যে হলের মধ্যে বসে থাকার মতাে ধৈর্যটুকুও আর রইলাে না। হল থেকে বেরিয়ে ওকে নিয়ে ঢুকে পড়লাম আমার অফিসে। তারপর মেয়েটিকে শোয়ালাম আমার পুরোনাে বন্ধু সেই জিঙ্ক টেবিলটার ওপর।….

……..এরকম অসময়ে আমার কাছে কী তার এমন জরুরী কথা! ওর বাসায় ফিরে দেখি, এক সুন্দরী যুবতী চিন্তিত মুখে বসে আছে বিছানার ওপর। ভ্যালেসকার চাচাতাে বোন। …….তারা দু’জনেই আমার ওপর থাবা চালাতে লাগলো এবং কেউই আমাকে নিয়ে কাউকে কিছু করতে দিলো না সারা রাত। ফল হলো এই যে, আমি দু’জনকেই ন্যাংটো করে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলাম। তারা জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে পড়লাে। আর আমি আস্তে আস্তে বেড়িয়ে এলাম বাইরে। ভাের হয়ে গেছে। পাঁচটা বাজে। পকেটে হাত দিয়েই চমকে উঠলাম আমি। আমার পকেটে একটা পাই পয়সাও নেই। ট্যাক্সি ভারা কোথেকে আসবে এখন? সামান্য পয়সার জনাে শেষে ফরি-লাইনড ওভার কোটটা ট্যাক্সিড্রাইভারকে দিয়ে বৈতরনী পার হলাম। বাড়ি ফিরতেই তেড়ে এলো বউ। সারাটা রাত এমন বাইরে কাবাড় করে এলে তেড়ে আসবেই না বা কেন ? ঝগড়া তুঙ্গে উঠলাে শিগগীরই। এক সময় রাগে অগ্নি শর্মা হয়ে আমি তাকে এমন একটা ধাক্কা মারলাম যে, সে মেঝেয় পড়ে চীৎকার করে উঠলো। তার সারা শরীর কাপছে। মায়ের চীৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেছে বাচ্চাটার । সে ব্যাপার কি তা জানার জন্যে দৌড়ে এলো এই ঘরে। মায়ের অবস্থা দেখে এমন জোরে কেঁদে উঠলো যে, মনে হলো ওর সফুসটা ফেটে যাবে। ওপর তলার মেয়েটা পর্যন্ত দৌড়ে এলো ব্যাপার। কি তা দেখবার জন্যে। তার পরণে ছিলো কিমােনন। চুলগুলাে পড়ে আছে পাছার উপর। উত্তেজনাবশত সে আমার এতােটা কাছে ঘেসে এসেছিলো। তার ফলে আমাদের মধ্য যা ঘটলো তার ওপর আমাদের কারো হাত ছিলােনা। আমরা দুজন আমার স্ত্রীকে ধরাধরি করে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। একটা ভিজে তােয়ালে জড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো তার মাথায়। এবং দোতালার মেয়েটি যখন তার উপর বুকে আছে—আমি পেছন থেকে তার কিমোেনােটা তুললাম। তারপর একটুও দেরী না করে তারটার মধ্যে ঢুকিয়ে দিলাম আরামটা। সে ওভাবেই দাড়িয়ে থাকলাে দীর্ঘ সময় এবং আবােল তাবোল প্যাচাল পাড়লাে বউয়ের সঙ্গে এবং আমার সঙ্গেও। বিস্ময়ের ব্যাপার, আমি বিছানায় গেলে আহত বউটা আমাকে জড়িয়ে ধরে হামলে পড়লাে আমার ওপর। তার মুখে একটা কথাও নেই। আমরা আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থাতেই কাটালাম’ সেই ভাের অব্দি। …….

……একটু পরে দরজার ওপাশে থেকে কার জড়ানো গলার আওয়াজ। সেই সঙ্গে দরজা খুলে গেলো। আমি ভেতরে ঢুকে দেখি, ঘর অন্ধকার। কিমােনাে পরা মেয়েটির অর্ধনগ্ন দেহের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়েই পড়েছিলাম। মনে হলাে তার ঘুমের ঘাের ভালাে করে কাটেনি এবং কে যে তার হাত দুটো ধরে আছে, তাও বোধহয় সে পরিষ্কার আচ করতে পারছে না। চটকা ভাঙ্গতেই কিন্তু মেয়েটি ধড়মড়িয়ে উঠে ছুটে যেতে চাইলো আমার হাত ফসকে। কিন্তু পারলো না। আমি আরো শক্তভাবে তাকে জাপ্টে ধরে চুমো খেলাম এবং টানতে টানতে নিয়ে গেলাম জানালার ধারে রাখা কৌচটার দিকে। সে তখন হাত-ইশারা করে বােঝালো যে, “দরজা খােলা রয়েছে। কাজেই কিন্তু পাছে সে পিছলে বেরিয়ে যায় মুঠো থেকে, সেই আশঙ্কায় আমি ওকে জাপ্টে ধরেই এগিয়ে গেলাম দরজার কাছে। তার নরম পাছাটা আলতাে ভাবে গিয়ে লাগলো দরজার পাল্লায়। ব্যাস্—সিসেম, বন্ধ। দরজায় তালা লাগলাম আমিই। অবশ্য এক হাতে ওকে ধরে অন্য হাতে। তারপর ওকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে ফেললাম রুমের মাঝ খানটায়। ক্ষিপ্র হাতে খুলে ফেললাম ফ্লাইয়ের বোতাম । আর আমার গুপ্ত দণ্ডটি বের করে ঢুকিয়ে দিলাম যথাস্থানে। 

মেয়েটি তখনো এতাে নিদ্রাতুর ছিলো যে আমার মনে হচ্ছিলো একটি যন্ত্র-মানবীর সঙ্গে আমি রতি ক্রিয়ায় লিপ্ত। আমি এটাও লক্ষ্য করিছিলাম যে, অর্ধ জাগ্রত অবস্থায় ধর্ষিত হতে কীরকম লাগে, মেয়েটি তা উপভোগ করছিলাে। তবে দুশ্চিন্তার ব্যাপার এই, আমি যতােবার তাকে সজোরে চেপে ধরছিলাম, ততােবারই সে বেশী নড়াচড়া করছিলো। যতােই সে চেতনা ফিরে পাচ্ছিলাে, ততােই যেন সে ভীত হয়ে উঠছিলাে। এখন চমৎকার ভাবে মৌজ লোটায় ব্যাঘাত না-করে তাকে আবার ঘুমই বা পড়াই কি করে ! আমি তার দেহের অর্ধেকটা কৌচের ওপর নিয়ে ফেললাম। বাকি অর্ধেক মেঝতেই আছে। মাগির সে কি তড়পানি-বাপস! যতােবার চেপে ধরি ততোবারই বায়েন মাছের মতাে সে খালি পিছলে যেতে চায় আমার বাহুবন্ধন থেকে। আমি যতােক্ষণ থেকে তাকে লাগাচ্ছি, সে তার দু’চোখের পাতা একটি বারও খুলেছে কিনা, সন্দেহ। লাগাবার সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে মনে বারবার বলছিলাম, মিশরের মজা, মিশরের মজা ! ……..আমি শেষবারের মতাে পিষে ফেলতে যাচ্ছি মেয়েটাকে। আচমকা দরজায় তীব্র করাঘাত। সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথম বারের মতাে চোখ খুলে গেলো ওর। ভয়ে সারাটা মুখ মুহুতে সাদা হয়ে গেছে। প্রায় কঁপতে কাপতে আমার দিকে চোখ তুললো সে! আমি তাড়াতাড়ি ওকে ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করতেই—আশ্চর্য, ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। সাবধান, একটুও নড়াচড়া কোরাে না–মেয়েটি নিচু গলায় আমার কানে কানে বললো—অপেক্ষা করো! কিন্তু তক্ষুণি আবার কড়া নাড়ার আওয়াজ। এবং সঙ্গে সঙ্গে শােনা গেলাে ক্রনস্কির গলা। সে বলছে—থেলমা, আমি এসেছি লক্ষ্মী! দরজা খােলো! শােনার সঙ্গে সঙ্গে আমি উচ্চ হাসিতে ফেটে পড়লাম। এবং আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আমাদের একটুও দেরী হলোনা। আবার সবকিছু স্বাভাবিক। এবং আবার ওর চোখ দুটো বুজে এলো আস্তে আস্তে। এবার আর তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। জীবনে আশ মিটিয়ে যতোবার করেছি, এটা ছিলো তারই একটা। মনে হচ্ছিলাে, এই ভাবেই চলবে অনন্তকাল। এর বুঝি আর বিরতি নেই। ওদিকে বাইরে পায়ের আওয়াজ শােনা যাচ্ছে। উত্তেজিত পায়চারীর স্পষ্ট শব্দ। ক্রনস্কি নিশ্চয়ই চলে যায়নি। সঙ্গমের শেষে মেয়েটি আমার মুখের দিকে পরিপূর্ণ চোখে তাকালাে। আমি একটি কথাও বললাম না। আমার মাথার মধ্যে এখন চিন্তা একটাই। তাহলো, যতাে তাড়াতাড়ি সম্ভব, এখান থেকে কেটে পড়া। ……….

………খবরটা পেয়ে আমি চুপ করে রইলাম। ম্যাক্সি অবিরাম বক্ বক, করছিলো। কিন্তু এ সংবাদে শােকগ্রস্ত না হয়ে বরং কিছুটা উল্লসিতই হলাম আমি। যাক বাওয়া, পথের কাঁটা দুর হলাে। ব্যাটার অত্যাচারে ওর বােনটার ধারে কাছে ঘেসা যেতােনা। এবার ? এবার কাকে আগলবি যখের মতো! লটিকে আমি অনেকবার শােয়াতে চেয়েছি। কিন্তু একটা কারণে আমি বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। এবার দুপুরের দিকে আমি সহজেই ওর বাসায় যেতে পারবাে–অন্ততঃ ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করতে। হয়তাে ওই সময়ে ওর স্বামীটা অফিসেই থাকবে। গ্যাঞ্জাম করবার মতাে কেউ আশে পাশে থাকবে না বলেই তাে মনে হয়। আমি কল্পনার চোখ দিয়ে দেখলাম, লটিকে আলিঙ্গন করে আঁচ দিচ্ছি । শোকাকুলা রমনীকে ম্যানেজ করার মতো সহজ কাজ আর হয় না। মেয়েটি সত্যি সুন্দরী। চোখ দুটি বেশ বড়ো বড়ো। কি বলে ? না—আয়ত নেত্র, কল্পনা করলাম ওকে কৌচে শােয়াচ্ছি আমি খুব আস্তে আস্তে। লটি হচ্ছে সেই ধরনের মেয়ে মানুষ, যারা ধর্ষিত হবার সময় গান বা যন্ত্র-সঙ্গীত শুনতে ভালােবাসে। আর বীর্যপ্লাবনে যাতে কৌচ নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ থাকে, পাছার নীচে আগে থেকেই তােয়ালে বিছিয়ে রাখে । ……

……মুক্ত হবার আগে একটি বা দু’টো সিগারেট তাকে খেতেই হয়। সে নির্বিকারে আমাকে জানায় তার বউয়ের পচন-ধরা ডিম্বকোষ থেকে কীভাবে উঞ্চ লাভা স্রোত বেরিয়ে আসে। এবং ব্যাধিগ্রস্ত রমনী-রমণে যে আলাদা রোমাঞ্চ সে তার সবিস্তার ব্যাখ্যা করে। তার মতে, রোমাঞ্চ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মােটকথা হাইম আছে ওই নিয়েই। নৈশাহারের শেষেই, নিজেদের পায়রার খােপের মতাে ছােট্ট ঘরে তারা সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়ে। হাইম বিভিন্ন সময়ে তাদের বহু-বিচিত্র রমন-রীতির চমকপ্রদ বিবরণ আমাকে দিয়েছে। যেমন, তার বউয়ের যােনিটা নাকি ঠিক ঝিনুকের মতো আচরণ করে। লাগাবার সময়, নুনুটা যখন এক বিশেষ জায়গায় পৌছে, তখন যােনির দু’টি পাল্লা তার ওপর ঝিনুকের দু’টো কপাটের মতােই মৃদু মৃদু চাপ দিতে থাকে। ওই—তখন অবস্থাটা দাড়ায় ঠিক পাগল হয়ে যাবার মতাে! মাঝে মাঝে তারা সঙ্গমরত হয় কাচির কায়দায়। এবং সিলিংয়ের সঙ্গে আটকানাে আয়নার তা আনুপূর্বিক অবলোকন করে। হাইম একথাও অকপটে জানায়, যে প্রতিবার লাগাবার সময় সে এক একটা নতুন মেয়েকে ধর্ষণ করছে বলে কল্পনা করে। ফলে সঙ্গম হয় জোরালো এবং টাটকা। আর এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে বীর্যপাত আটকে রেখে কাজ করে যায়। ওর বউতাে অবাক! হাইম বলে —এই দামী জিনিষ অমন বাজে খরচ করে লাভটা কি ? অবশ্য সময়ের দিক থেকে এখনাে শীর্ষে আছে স্টিভ রেমেরো। ওর শরীরটা ঠিক যাড়ের মতাে। সে যত্রতত্র তার বীর্য ছিটিয়ে বেড়াচ্ছিলো। আমরা অফিসের লাগােয়া রেস্তোরাতে বসেই এসব আলোচনা করতাম। জায়গাটার পরিবেশ ছিলাে অদ্ভুত। হয় তাে ওখানে মদ ছিলােনা বলে ওরকম মনে হতাে। অথবা হাস্যকরভাবে ক্ষুদ্র ব্যাঙের ছাতা ওখানে পরিবেশিত হতাে বলে। যাই হােক কুকথার শুরু করতে এখানে কোনাে অসুবিধে হতাে না। স্টিভ হয়তাে ইতিমধ্যে তার কাজকর্ম সেরেই এসেছে। তবে হ্যা, স্টিভ লোকটার ভেতরে বাইরে সমান পরিষ্কার। বস্তুত ; খাটি মানুষের সে ছিলাে এক মুতিমান দৃষ্টান্ত। খুব উজ্জ্বল নয়—অবশ্যই। তবে একটা ভালো ডিম এবং চমৎকার সঙ্গী। অন্যদিকে হাইম ঠিক তার বিপরীত। যৌনতার লালসা যেন তার চোখে মুখে লেগে থাকতাে আঠার মতাে। খাবারের প্লেটের দিকে তাকালে সে তার মধ্যেও যেন দেখতে পেতাে বীর্য। যখন গরম পড়তে, সে বলতাে, আবহাওয়াটা অণ্ডকোষের জন্যে ভালো। ট্রলি চেপে কোথাও যাবার সময় সে ওই ট্রলির চলার ছন্দে পেতে সঙ্গমের সাদৃশ্য। সে মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে নিতে এজন্যে যে, আমরা নিশ্চয়ই একটা সাদালো মাগি পাকড়াও করবাে। একা-একা সে তেমন ভালাে মাল ম্যানেজ করতে পারতাে না ! আমাদের সঙ্গে থাকলে তার একটা বড়ো সুবিধে ছিলাে এই যে, সে ভদ্র-যােনির স্বাদ পাবার সুযোগ পেতে ইহুদি হয়ে। সে বলতো ভদ্র যোনির গন্ধই আলাদা! আহ, সে বড়ো চমৎকার। এমনকি সঙ্গমের মাঝামাঝি এসেও সে খুশিতে হাসতে শুরু করে দিতে ছেলেমানুষের মতো। যাকে বলা যায়, একেবারে আহলাদে আটখানা। ….

….সিগারেট ধরিয়ে তাতে কষে একটা টান দিয়ে ভুস, করে এক গাল ধোয়া ছাড়তে তার দুপায়ের ফাক দিয়ে। একবার বীর্যপাত হয়ে গেলে সে মেয়েটির যােনির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাে মস্ত একটা গাজর : কী অমানুষিক কাণ্ড! সময়টা ছিলাে এমন, মনে হতাে আমি নিজেও বাসা বেঁধেছি এক যৌন-ভবনে। ওপর তলার মেয়েটির কথাই বলি। মেয়েটা. মাঝে মধ্যেই নিচে, আমাদের ফ্ল্যাটে আসতাে। আমার স্ত্রী প্রায়ই ওকে ডাকতাে আমাদের বাচ্চাটাকে দেখা শোনা করার জন্যে। হাবা গোবা মেয়ে। আমি তাকে কোনো রকম ইঙ্গিত দিইনি প্রথমে। কিন্তু অন্যদের মতে, তারও তো একটা যোনি আছে । তবু, এ ব্যাপারে ও বােধকরি খুব একটা সচেতন ছিলােনা। সে যতো আমাদেয় ফ্ল্যাটে আসতে লাগলো, ততোই তার অবচেতন মন দিয়ে ভাব করতে লাগলাে যে ওই বস্তুটি তার সত্যিই আছে ! একদিন। অনেক্ষণ হয়ে গেলো, মেয়েটি বাথরুমে ঢুকেছে—আর বের হবার নাম নেই। আমার সন্দেহ হলো। আমি দরজার চাবির ফুটোয় চোখ লাগালাম এবং যা দেখার, দেখলাম। সে উবু হয়ে তার ছোট্ট পুষির ওপর টোকা মারছে আঙুল দিয়ে। কেবল টোকাই যে দিচ্ছে তা নয়—সে তার সঙ্গে যেন কথা বলছে। আমি এতােটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম যে, কি করবো, প্রথমটায় তা ভাববারও শক্তি ছিলোনা আমার। পরক্ষণেই যেন চেতনা ফিরে পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে পেছনের বড়ো ঘরে ফিরে এলাম আমি। নিভিয়ে দিলাম সব ক’টা আলো। তারপর একটা সােফার ওপর বসে রইলাম, বাথরুম থেকে ওর বেরিয়ে আসার অপেক্ষায়। আমার চোখে এখনও যেন ভাসছে ছােট্ট রোমশ যােনিটা, যার ওপর সে অাঙ্গলি চালনা করছে। আমি আমার ফ্লাইয়ের বোতাম খুলে দিলাম। যেন কৌচে বসেই তাকে সম্মােহিত করতে উদ্যত হয়েছি। বলা যায়, আমার লিঙ্গের মাধ্যমেই আমি সম্মােহিত করতে চাইলাম তাকে। মনে মনে মন্ত্রোচ্চারণের মতো বলতে শুরু করলাম, আয়, আয় আয় ! এখানে এসে তোর যােনি ফাক করে আমার সামনে দাড়া। আশ্চর্য, মেয়েটা সঙ্গে সঙ্গেই যেন অনুভব করতে পেরেছে এই বার্তাটি। সে বাথরুমের দরজা খুলে, এই অন্ধকার ঘরে ঢুকে, যেন অনুমান করে দ্রুত এগিয়ে অাসতে লাগলাে কৌচের দিকে। আমি টু-শব্দটিও করিনি। নড়িনি এক চুলও। আমি কেবল আঁধারের মধ্যে কাকড়ার মতো ঘুরতে থাকা যােনির কথাই ভাবছি তখন। শেষে মেয়েটি হাতড়াতে হাতড়াতে ঠিক কৌচের পাশে এসে থেমে গেলো। তার মুখেও কোনাে কথা নেই। চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। আর যেই আমি হাত বাড়িয়ে তার পা দুটিকে ধরেছি, সে ফুটখানেক এগিয়ে এলো তার রস গড়াতে থাকা যোনি টিকে উন্মক্ত করে। জীবনে এরকম ভিজে যােনিতে আমি হাত দিইনি। আঠার তো পিচ্ছিল রস গড়িয়ে পড়ছিলো তার পা বেয়ে বেয়ে। এবং দেয়ালে যদি কেউ পোষ্টার লাগাতে চাইতো, এ আঠায় নির্ঘাৎ ডজনখানেকের ও বেশি সাটা যেতো। মুহুর্তের মধ্যে গাইগরু যেমন ঘাসের মধ্যে মুখ নামায়, ঠিক সেই ভঙ্গীতে সে আমার নুনুটা মুখে তুলে নিল। আর আমি আমার এক হাতের সবগুলো আঙুল একত্রিত করে ওর পুষির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে প্রাণপণে ঘাটাঘাটি করতে লাগলাম। মেয়েটার মুখ ভরে গেলো রসে। পা বেয়ে তাে অবিরল গড়াচ্ছে। কারো মুখে তখনো কোনাে কথা নেই। দু’জনকে মনে হচ্ছে অন্ধকারে কর্তব্যরত দুই উন্মাদ গৌর খোদাকের মতাে। সঙ্গমের স্বর্গসুখ বুঝি একেই বলে। আমি ভাবলাম, লাগাতে লাগাতে যদি আজ মগজও বেরিয়ে আসে, তবু ক্ষান্ত দেয়া চলবে না। আমি জীবনে যতো মাগি করেছি, এমন গভীর আনন্দ আর পাইনি। কিন্তু হায়, মেয়েটি আর একবারও তার কাপড় খােলেনি। সে রাত্রে নয়। তার পরের রাত্রে নয়। কোনো রাত্রেই নয়! যেন পুরাে ঘটনাটাই ছিলো আমার কাছে স্বপ্ন। যেন সে রাতে আমি বিচরণ করেছিলাম স্বপ্নের দেশে। ……..

….মাগিটা ম্যালা সময় লাগতাে ওকে ভাও করতে। কেন? সে এরকম করতো কেন? মুলতঃ সে ছিলো এক উডডীন পায়রা যার, পা লোহার দাড়ে বাঁধা আছে শিকল দিয়ে। কিন্তু তুমি তার পায়ের শিকলী খুলে দিলে সে কি রে ? উড়ে গিয়ে তোমার কোলেই ঠাঁই নেয়।

……ওর পাছাটা যা দুদন্তো ছিলো উষ্ণভাবা যায়না। ………যাহােক ভেরোনিকাও ছিলো একই নায়ের নাইওরী। সে তার সুন্দর পাছা জোড়াযর ব্যাপারে এতো মনােযােগী ছিলো, যার বিনিময়ে অন্য কিছুর কথা চিন্তাও করতে পারতাে না মনে হতো, মরবার সময় সে তার পাছা নিয়েই স্বর্গে যাবে। তার যােনির ব্যাপারে ও একই বৃত্তান্ত। তাকে বিদ্ধ করো কিন্তু চোখ নিয়ে তা দেখতে পারবে না। ওসব করলে তো ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও। বস্তুত এ ছিলাে এক বিদঘুটে অ্যালজেব্রারাত ফুরােলে একটা ‘এ’ অথবা ‘বি’ ছাড়া যার কাছে আর কিছুই পাওয়া যেতাে না। তুমি তােমার পরীক্ষায় পাশ করলে। তুমি ডিপ্লোমা পেলে। এবং তার পরেই ঢিলে হতে শুরু করলে। তার মানে তুমি তােমার পাছা। নিয়ে বসতে শুরু করলে–তােমার যােনি রসায়িত হতে শুরু করলো। …….. আমার ধারণা, ভেরোনিকার যােনি কথা বলতাে। অর্থাৎ বাঙময় যােনি। পক্ষান্তরে ইভলিনের যােনি ছিলাে হাস্যমুখর। ইভলিনও থাকতো ওপর তলাতেই—তবে ভিন্ন একটি বাড়িতে। ……..

…..বিশ্বটাকে একত্রিত করে রেখেছে কে ? আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে এর যে জবাব আমি পেয়েছি, তা হলো যৌনসঙ্গম। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গম আর বাস্তবের যােনি এমন কিছু ব্যাপার সদেহে ধারণ করে আছে যা নাইট্রোগ্লিসারিণের চেয়ে সাংঘাতিক। …….

–এই হচ্ছে প্রাচীন হেলেনীয় পৃথিবীতে সঙ্গম নামক আচরণের প্রথম দিন। এই ঘটনাকে বর্ণাঢ্য এবং বিশ্বাস যােগ্য ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত করার জন্যে জেইস ভ্রাতৃদ্বয়কে ধন্যবাদ। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত চরিত্রগুলো কি চেহারায় এই রকম ? দেব প্যারিপাস আসলে দেখতে কীরকম তা কে বলতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিন্তা করছি অন্যরকম। আমার মতে ভুলশে পার্থেননের ছায়ায় দাড়িয়ে প্যারিপাস ভাবছিলেন এক দুরান্তিক যােনির কথা। ………হঠাৎ তিনি শুনলেন, তার দু’পায়ের মাঝখান থেকে একটা অদ্ভুত শব্দ উঠে আসছে। নিজের দীর্ঘ শিশ্নের সাহায্যে তিনি এমন মােহনীয় সঙ্গীত সৃষ্টি করলেন, যে ঐশী পবিত্রতাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে আকাশ থেকে নেমে এলাে কন,ওর শকুনের পাল। তাদের অসংখ্য বিশালাকৃতি ডিমে ভরে গেলাে সমস্ত জলাভূমি। আর এই আনন্দময় দৃশ্য অবলােকন করে, পাথরের বিছানায় শুয়ে থাকা আমাদের প্রভু যীশু খৃষ্ট লাফিয়ে উঠে ধেই ধেই করে নাচতে লাগলেন পাহাড়ী ছাগলের মতাে। শৃংখলিত ফেলহীনরা মিশর থেকে এলো যুযুধান ইগোরেট আর জাঞ্জিবারের মানুষখেকোদের আগে আগে ! আমার বিবেচনায়, এই হচ্ছে প্রাচীন হেলেনীয় পৃথিবীতে যৌন সঙ্গমের প্রথম প্রহর ! অবশ্য তখন থেকে আজ পর্যন্ত—পৃথিবীর সবকিছুই ব্যাপক ভাবে বদলে গেছে। এখন আর নিজের শিশ্নের ভিতর দিয়ে গান গাওয়া যায়। কিংবা জলাভূমি জুড়ে ডিম পাড়ানাে যায়না কনডর শকুনদের। সঙ্গম-সাম্রাজ্যের কথা এখন পুথির পাতায় বন্দী পৌরানিক কাহিনী। আমার অধুনিক কল্পনার সঙ্গে তাই পুরানের মশলা কিছু মেশাতেই হয়েছে। ফেলাহীনরা বালির মধ্যে মিশে যাচ্ছে। তাদের শরীরের শেষ অংশটুকু উদরস্থ করছে ক্ষুধার্ত শকুনেরা। চারদিকে ধীর স্থির শান্ত ভাব। দশ লক্ষ সােনালি ইদুর খুবলে খাচ্ছে অদৃশ্য পনির। চঁদের আলাে পড়েছে নীল নদের পানিতে। ”এটা এরকম দেখা যাচ্ছে হাস্য মুখর এবং বাঙময় যােনি। ভুমিকম্প-লেখা যােনি, ক্ষ্যাপা যােনি, নরখাদক যােনি, যা নাকি হাঁ করে তেড়ে আসছে তিমির মতো। তােমাকে জ্যান্ত চিবিয়ে খাবে। অাসছে ঝিনুক-যোনি, যার মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি বা দুটি মুক্তো। আছে নৃত্যপরা যােনি, যা শিশের সঙ্গে আন্দোলিত হবার এক পর্যায়ে প্লাবিত হয় ভয়াবহ ভাবে। আসছে সজারু-যােনি, খৃষ্টমাসের সময় যা ছােট ছােট পতাকা নাচায়। আসছে টেলিগ্রাফিক-যােনি যা ব্যবহার করে মােস কোড .. এবং মনের মধ্যে ফেলে রেখে যায় একরাশ বিন্দু আর ড্যাশ। রয়েছে রাজনৈতিক যােনি ও নিরামিষ যোনি। এমনকি মিসসেলেনিয়াস বা বিবিধ-যােনিও রয়েছে। যােনির অভাব নেই। চারদিকে অগনিত যােনি। কিন্তু প্রকৃত আনন্দময় সেই যােনিগুলো কোথায় অদৃশ্য হয়েছে, কে জানে! জীবনটা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকে শাে-উইণ্ডোর ভেতরে। …..

…….যদি ম্যাক্সি আর ম্যাক্সির বােন রীটার সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা খুলে বলি। তখন আমি আর ম্যাক্সি দু’জনেই খেলাধুলােয় খুব উৎসাহী। আমরা সাঁতরাতে খুব ভালোবাসতাম। এমন সময়ও গেছে, যখন আমাদের সম্পর্ণ দিন ও রাত একটানা কেটে গেছে সমুদ্র-তীরে। ম্যাক্সির বােন রীটাকে এর আগে আমি একবার কি দু’বার দেখেছিলাম। প্রথম দেখার পর ওর নাম কি জিজ্ঞেস করলে ম্যাক্সি অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়েছিলো সঙ্গে সঙ্গে। ……. কিন্তু বলাে তাে দেখি, রীটার কি হয়েছে ? ওকেও তো মাঝে মধ্যে সঙ্গে আনতে পারো। ম্যাক্সি তাে আমার কথা শুনে- হ্যা ! আমি বললাম—ওকে সঙ্গে আনলেই আমি ভালো করে ওর কুইম, -হা কুইমটা দেখতে পারি। আশা করি, জিনিষটা কি, তা তুমি বুঝতে পেরেছে। ওডেসা থেকে আসা ইহুদী হিসেবে শব্দটা তার চেনা নয় । যাই হােক, শব্দের মর্মোদ্ধারে তার দেরী হয়নি। সে খুবই দুঃখিত হয়ে বললাে–দ্যাখো হেনরী, তোমার কাছ থেকে ঠিক এই ধরনের ব্যবহার অাশা করিনি।

: কেন নয়?’—আমি বললাম, তােমার বােনের তো একটি যােনি আছেই। নাকি নেই? আমি আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ সে প্রচণ্ডভাবে হেসে উঠলো। ……..তাও যদি অন্যান্য মেয়েদের মতো ওর বােনেরও একটা যােনি থাকে । …… ইচ্ছে ছিলো, ম্যাক্সির নাকের ডগায়, ওদের নিচের বারান্দাতেই ওর বোনের কুইম দেখবাে। এবং আমি আমার ইচ্ছা পূরণ করতে বাকিও রাখলাম না। আমার মনে পড়ে গেলো জানালায় ম্যানিকিন পরে দাড়িয়ে থাকা ম্যাক্সির কথা। সমুদ্রতীরে তার রাগ ও অট্টহাসির কথা। কিন্তু তখন আমরা আলিঙ্গনাবদ্ধ। আমি আমার আঙুলের ডগা রীটার পুষির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করছি। যখন ওর অবস্থা সর্থি, ধরাে ধরো-তখন ওকে মেঝে থেকে উঠিয়ে আমি খুব ভদ্রভাবে, বেশ জায়গা মতো আমার জিনিষ ঢুকিয়ে দিলাম। কিন্তু কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে সে যে তাণ্ডবলীলা শুরু করলাে, তাতে আমার মনে হলো ওর যােনি ছিড়ে উড়ে যাবে। আমি কিন্তু বীর্যপাত ঘটালাম এবং ওই রমন ক্লান্ত রমনীকে আবার শুইয়ে দিলাম মেঝের ওপর। টুপিটা ওর চিৎপাত হয়ে পড়ে আছে এক কোনায়। ব্যাগ খানা মুখ-খােলা অবস্থায় ধরাশায়ী। সেখান থেকে কিছু খুচরাে পয়সাও ছড়িয়ে পড়েছে বাইরে। যাই হােক, ঘটনাটা ঘটলাে বাথ-হাউসে ম্যাক্তিকে তার কুইম, দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। এরকম রোমহর্ষক ও চিত্ত-উদ্দীপক সঙ্গম সংসারে কটা হয়। রীটার যােনির তুলনা হয়না সত্যি। যখন লাগাচ্ছিলাম শেষ দিকে তো আমার মনে হয়েছিলাে, আমার শিশ্নটা এক অথবা দু’ইঞ্চি বেশি লম্বা হয়ে গিয়েছে। আমি তাকে উপুড় করে শােয়াতে চেয়েছিলাম এক পর্যায়ে। কিন্তু সে আপত্তি জানিয়েছিলো। কিন্তু তখন তার বাঁধ ভাঙ্গলো—সে অস্ফুট গলায় বলতে লাগলো—করো করাে লাগাও, লাগাও লাগাও! •••আমিও তখন প্রায় উন্মত্ত । আমি ক্ষ্যাপার মতাে ঘা মারতে শুরু করলাম সেই গভীর দামামায়।। এতাে কিছুর মধ্যেও আমার মগজ কুরে কুরে খাচ্ছিলো বাসায় ফেরার গাড়ি ভাড়ার চিন্তা। রীটা আমাকে কয়েক ডলার ধার দিলো। কিন্তু হায়—তখনো কিন্তু শেষ হয়নি খেলা। রীটা আমার নুনু মুখে নিলাে। এবং তাতে আলতােভাবে জিব বুলােতে লাগলাে। আমি তখন চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশের তারা দেখছি। তার দুটি পা প্রসারিত ছিলাে আমার কাধের দু’পাশ দিয়ে। এবং যােনি আমার জিহবার ডগায়। আমি আবার তার ওপর চড়াও হয়ে তাকে বিদ্ধ করতে চাইলাম। কিন্তু সে বায়েন মাছের মতােই পিছলে যেতে শুরু করলাে। আর তারপর সেই গুহামুখ যেন বিস্ফারিত হলাে আমার চোখের সামনে। সেখান থেকে তীব্র বেগে বেরিয়ে এলো যেন তপ্ত লাভাস্রোত। অবিস্মরণীয় সেইগহবর। জীবনেও সে অভিজ্ঞতার কথা ভোলা সম্ভব নয়। আহ, কী দুর্দান্ত যােনি-মুখ । ………..

……..সত্যি বলতে কি লােলাকে ঠিক সুন্দরী বলা যায়না। বরং খানিটা বাদরীর মতােই ছিলাে তার মুখের আদল। তবে ওর মাথার একরাশ কালো চুলই আমাকে আকর্ষণ করছিলো। লােলা আমাকে গান শেখাতে। পিয়ানাের সামনে, ওর পাশে একটা টুলের ওপর যখন আমি বসতাম—পারফিউমের গন্ধ নাকে আসতাে আমার। আমি উত্তেজিত হয়ে পড়তাম ওই গ্রাণ নাকে আসবার সঙ্গে সঙ্গে। গরমের দিনেও ও পরতো ঢিলে-হাতার পাতলা জামা। যার ফাক দিয়ে স্পষ্ট দেখা যেতো ওর বগলের লােম ! এই লােমগুলো যেন হন্যে করে তুলতো আমাকে। মনে হতো, লােলার সারা শরীরেই আছে ওইরকম লােম—এমনকি নাভির ভেতরেও। আর আমি তখন কি চাইতাম ? আমি চাইতাম সেখানে গড়াগড়ি খেতে, সেখানে দাত বসাতে । আমি যেন স্বপ্নের মতােই অবলােকন করতাম একটা রজঃস্বলা মাদী গরিলাকে। এবং এরকম ভাবতে ভাবতেই শিকেয় উঠেছিলাে আমার সঙ্গীত সাধনা। আমি ওর রোমশ যােনি প্রত্যক্ষ করবার আশায় এতো ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম যে একদিন এটেই ফেললাম একটা মতলব। ওর ছােট ভাইটাকে কিছু ঘুষ দিলাম, যাতে সে বাথরুমে স্নানরতা তার বােনকে এক পলক দেখবার একটা ব্যবস্থা আমাকে করে দেয়। আমি-যেরকম ভেবেছিলাম, জিনিষটা তার চেয়ে অনেক সুন্দর! একবার ভাবুন তাে! নাভির নিচ থেকে তলপেটের শেষ মাথা পর্যন্ত ঘন মসৃন রোমরাজি। হাতে বোনা কম্বলের মতো তা পুরু। যখন সে এই জায়গাটিতে পাউডার ছড়াতে শুরু করলাে, মনে হলো, আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো। কয়েক দিন পর লােলা অামাকে গান শিখাচ্ছিলো যথারীতি! আমি ফ্লাইয়ের একটা বােতাম খুলে টুলের ওপর বসেছিলাম। ব্যাপারটা তার নজর এড়িয়ে গেলাে খুব সম্ভব। এর পর আমি খুলে ফেললাম সবগুলো বােতাম। এবার সে দেখতে পেলো। এবং বললাে, মনে হচ্ছে তুমি কিছু ভুলে গেছো হেনরী!—আমি তার মুখের দিকে তাকালাম। তারপর প্রায় জড়ানাে গলায় জিজ্ঞেস করলাম, কী ? সে আমার ফ্লাইয়ের দিকে না-তাকিয়ে স্রেফ তর্জনি তুলে দিক নির্দেশ করলো। তবে তার আঙুলটা তখন আমার ফ্লাই প্রায় ছোয় ছোয়। আমি আর নিজেকে ঠেকিয়ে রাখতে পারলাম না। খপ করে তার হাতটা ধরে সােজা ঢুকিয়ে দিলাম ফ্লাইয়ের ফাকে। কিন্তু সে তড়াক করে লাফিয়ে উঠেছে সঙ্গে সঙ্গে। তার সারা মুখ ফ্যাকাশে। ভয়ে থর থর করে কাপছে সে। ইতিমধ্যে যেন লাফ দিয়েই বাইরে বেরিয়ে এসেছে আমার নুনুটা এবং আহলাদে ব্যাটা যেন ডগমগ করছে। আমি লোলাকে জাপ্টে ধরলাম। তার গোপন লােমের নাগাল পেতেও আমার দেরী হলােনা। …এই সেই হাতে বোনা কম্বল, যা আমি সেদিন দেখতে পেয়েছিলাম বাথরুমের কী-হােলে চোখ রেখে। হঠাৎ প্রচণ্ড ধমকে চমকে উঠলাম আমি। চমক ভাঙ্গতে দেখি, লোলা আমার কান ধরে আছে এবং মলছে—ফ্লাইয়ের বােতাম লাগা ডেপপা ছোকরা ! আবার আমি গিয়ে বসলাম পিয়ানাের সামনে। কিন্তু আপনারাই বলুন, এ অবস্থায় সঙ্গীত-চর্চা সম্ভব ? লােলা কট মট করে তাকাচ্ছে মাঝে মাঝেই। আমি অগত্যা রীড টিপতে থাকলাম সুবোধ বালকের মতােই। আমার ভয় করছিলো, যদি কথাটা ও মার কাছে বলে দেয়! সৌভাগ্যের ব্যাপার এসব কথা অন্যের কাছে বলা সহজ নয়। ভেবেছিলাম, লোলা আমাকে গান শেখাবার পাট চুকিয়ে ফেলবে। কিন্তু তার বদলে আমি দেখলাম, আরো সাজগোজ করে সে আসছে আমাকে তালিম দিতে। পারফিউম আরাে বেশি বেশি করে ছড়াচ্ছে শরীরে। ওর ভাবসাব যেন কীরকম কীরকম। কিন্তু আমি আর আমার প্যান্টের বোতাম খােলবার সাহস পাই না। যদিও বুঝতে পারতাম, গান শেখাবার সময় সে চকিতে আমার কোন জায়গাটা দেখে নিচ্ছে। আমার বয়স তখন বােধ হয় পনেরাে টনেরো হবে। আর ওর বয়েস পচিশ থেকে আঠাশের মধ্যে। এ অবস্থায় কী করা যায়—তা অনুমান করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলােনা। তবে আমি কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমি ওৎ পেতে রইলাম সুযােগের অপেক্ষায়। ……

……লােলা ! আমাকে এরকম জায়গায় এভাবে দেখে সে সত্যি খুব অবাক হয়ে গেছে বলে মনে হলো।

এখানে কি করছো জিজ্ঞেস করলো সে আমাকে। এবং জিজ্ঞেস করতে করতেই যেন সে আমার পাশে বসে পড়লাে। আমি কোন জবাব দিলাম না তার প্রশ্নের। একটি শব্দও উচ্চারিত হলো না আমার মুখ থেকে। আমি কেবল উঠে, তার পাশে বসে তাকে সটান শুইয়ে ফেললাম ঘাসের ওপর।

এখানে না, এখানে না প্লিজ!—কাতর গলায় বললো লােলা। কিন্তু আমার ভ্রূক্ষেপ নেই। আমি তার দুপায়ের ফাঁকে হাত চালিয়ে দিলাম বিদ্যুত-বেগে। সে রস ছাড়তে শুরু করেছিলাে ইতিমধ্যেই। আমার অাঙুল ভিজে সপসপে হয়ে গেলো মুহুর্তে। এটাই ছিলো আমার প্রথম সঙ্গম। ঘটনাটি আরো এক কারণে স্মরনীয় যে, সে সময় একটা ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে দ্রুত ছুটে আসছিলাে। অল্পের জন্যে ইঞ্জিনের ফুলকি এসে আমাদের গায়ে লাগেনি। লােলা তাে ভয়ে একদম সিটিয়েই গিয়েছিলাে। কিন্তু এটা ছিলো তার জীবনের প্রথম সঙ্গম। ধর্ষণ করার সময় যা বুঝছিলাম, তাতে আমার মনে হচ্ছিলো, ব্যাপারটা আমার চেয়ে তারই ছিলো বেশি দরকার। কিন্তু ইঞ্জিনের ফুলকি দেখে আমার নিচ থেকে বেরিয়ে যাবার জন্যে সে কি তড়পানি তার। আমি এমনভাবে তাকে জাপ্টে ধরেছিলাম, মনে হচ্ছিলো একটা বন্য ঘােটকী সামলাচ্ছি। সবকিছু শেষ হলে লােলা হঠাৎ বললো, শিগগীর বাড়ি যাও আমি জবাব দিলাম–কিছুতেই যাচ্ছিনা। তারপর লোলার হাত ধরে আমি হাটাহাটি করতে লাগলাম। আমরা একদিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দুজনের কেউই জানিনা, গন্তব্য কোথায় ? শেষে বড়ো রাস্তা থেকে খানিকটা তফাতে একটা পুকুরের পাড়ে এলাম আমরা। দু’দিকে ডালপাতা ছড়ানাে গাছ। মাঝখানে কঁচা রাস্তা। হাঁটতে হাঁটতে আমি খানিকটা এগিয়ে এসেছি—হঠাৎ লােলা আমাকে আকড়ে ধরলাে। তারপর আমাকে সুদ্ধ গড়িয়ে শুয়ে পড়লো পথের ওপর। আমি ওর ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়লাম । তারপর আমার প্যান্টের ভিতরে ওর একটা হাত নিয়ে গেলাম। ওর হাতের মুঠোয় আমার লিঙ্গ। মৃদু মৃদু আদর করছে সে। কিছুক্ষণ পর সে নিজেই তার যােনির ভেতর সেটাকে চমৎকার ভাবে ঢুকিয়ে দিলাে। আমার অবস্থা তো বলাই বাহুল্য। চালিয়ে দিলাম পুরোদমে। এক পর্যায়ে সে তার পা দুটি দুদিকে ছড়িয়ে দিলাে। আমি এখন স্বর্গ রাজ্যের তােরণে। প্রায় উন্মাদের মতাে আমি তার গোপন লোমের প্রতিটিতে একটি করে চুমু খেলাম। তার নাভির মধ্যে জিহবা ঢুকিয়ে দিলাম এবং চেটেপুটে সাফ করে ফেললাম সেখানকার প্রতিটি ধুলিকণা। অনেকক্ষণ পর যখন তার যোনি ফোয়ারার মতাে রস উগরে দিলাে, আমি অন্ধের মতাে আমার মুখ ডুবিয়ে দিলাম সেই সরােবরে । কামার্ত গুঞ্জণে সে আচ্ছন্ন হয়ে উঠেছিলাে। তার চুলগুলাে ছড়িয়ে পড়েছিলাে স্তনের ওপর। বস্তুতঃ আমরা দুজনেই ছিলাম বাহ্যজ্ঞান শূন্য। অনেক রাতে বাসায় ফিরেছিলাম একটা ঝোড়াে কাকের মতাে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে তার প্রমাণ পেলাম আমি । যা ছিরি হয়েছে কাপড় চোপরের। ওহ, ভাবা যায়না।…….

……কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকেই সঙ্গীতে আমি পেতাম কাম-গন্ধ ! পিয়ানো বাদনকে মনে হতাে যৌন-সঙ্গম। সঙ্গীত আর সঙ্গম এক দেহে একাকার! এই বােধটা আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে আরো অন্ততঃ দুটি বছর। ……….নােংরা হােটেলের একটি খুপড়ির মতো রুমে সে ছিলাে এক বিরক্তিকর যৌনাচরণ । আমি আর আমার এক বন্ধু পাশাপাশি দু’টি কক্ষে দুটি মেয়েকে করতাম। কিন্তু কেঠো-যােনির ঠাণ্ডা মেয়েটার সঙ্গে আমার রতিক্রিয়া হতাে খুবই অল্পক্ষণের। আমি মেয়েটার ওপর থেকে উঠেই চলে যেতাম পাশের রুমে, যেখানে ওরা দু’জন দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। এই মেয়েটা চেক। বেশ টাটকা। অল্পদিন হলাে এ লাইনে এসেছে। ফলে মজাও আছে লাগিয়ে। বন্ধুর শেষ হলে আমি ঐ চেক মেয়েটিকে করতাম। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ওর কাছ থেকেও একটা ছেক খেতে হলো আমাকে। পরের একটি বছর নিজেকে তালিম দিলাম আমি। এবং ভাগ্যই বলতে হবে, আমার গানের ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা গড়ে উঠলাে আমার। সে যে আসলে একটা নিগ্রোর সঙ্গে বসবাস করে তা আমি পরে টের পাই। মনে হচ্ছিলো, কালো লােকটা ওকে পুরো তৃপ্তি দিতে পারছিলাে না। যাই হোক, মেয়েকে গান শিখিয়ে ফেরার পথে একদিন সে আমাকে করিডােরের মধ্যে জাপ্টে ধরেছিলাে। এবং আমার নুনু ওর যােনির মধ্যে ঠেসে ধরেছিলো। তারপর থেকেই সমানে চললাে। কিন্তু আমার একটা ভয় ছিলাে। বলাবলি হতাে, তার সিফিলিস আছে। কিন্তু ওই রকম হাভাতে কুত্তিকে যখন তুমি লাগাও এবং সে যখন তোমার লিঙ্গটি মুখে নিয়ে চুষতে থাকে তখন ওসব সিফিলিস টিফিলিসের কথা কি খেয়াল থাকার কথা। তাকে বারন্দায় দাড়িয়ে লাগাতেও কোনাে অসুবিধে হলো না আমার। কেননা তার গড়নটা ছিলো হালকা পলকা অনেকটা পুতুলের মতে। যাই হােক একদিন রাত্রে অামি মউজ করছি হঠাৎ দরজার কী-হােলে একটা চাবি ডোকাবার শব্দ পেলাম বাইরে থেকে। ভয়ে কাঠ হয়ে গেলাে সে। আত্মগােপন করার মতো কোনো জায়গা নেই। ভাগ্যক্রমে বন্ধ দরজায় টাঙানো একটা পর্দার আড়ালে আমি নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে পারলাম। একটু পরে আমার কানে এলাে চুমাের আওয়াজ। কালামিয়া সশব্দে আমার গানের ছাত্রীর মায়ের গালে চুমম খাচ্ছে এবং বলছে, ভালো আছো তাে হানি! আর মেয়েটি জানাচ্ছে সে তার জন্যে কতােই কাতর ভাবে অপেক্ষা করছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি। …….আমি গানের মাস্টারীটা ছেড়েই দিলাম একদিন। লেকিন কমলি নেহী ছোড়তা। আমার ছাত্রী এসে আবার পাকড়াও করলাে আমাকে। স্যার, আমাকে পড়াতে হবে। আমাদের বা আপনার বাসায় অসুবিধে হয়—আমার কোন বন্ধুর বাড়িতেই হয় শেখান। মেয়েটি পনেরো পেরিয়ে ষোলোয় পড়েছে। আমি বলি কোন মুখে ! আমি তাকে সবক দিতে শুরু করলাম । কেবল সঙ্গীত বিদ্যাই নয়, শরীরের বিদ্যাতেও। টাটকা যােনির গন্ধই আলাদা। আর স্বাদটাও সম্পূর্ণ অন্য রকম। এবং ওইভাবে চালিয়ে যেতে যেতে অকস্মাৎ বজ্রপাত। মেয়েটির পেট হয়ে গেলো। এখন উপায়? এ ব্যাপারে আমার উপদেষ্টা হিসেবে এগিয়ে এলাে, ইহুদী ছােকরা। তবে এজন্যে সে দাবি করলাে পচিশ টাকা। আমি তখন পঁচিশ টাকা একত্রে দেখিনি। তাছাড়া মেয়েটিও অপ্রাপ্ত বয়স্কা। গর্ভপাতের কারণে রক্ত দুষিত হবার আশঙ্কা ষােলাে আনা। আমি ছোকরাটাকে পাঁচ টাকা দিলাম। সে যাই হােক, শেষ পর্যন্ত বৈতরনী পারও করে দিলো সে আমাকে। ছুটির দিনে চারদিকে আমি ছড়াছড়ি দেখতাম যােনির। আমি সারা বছর তীর্থের কাকের মতােই অপেক্ষা করতাম এই সময়টার জন্যে।

যােনির কারণে নয় এ সময়টায় কাজের ঝামেলা থাকে না বলে। …… ফ্রানসি নামের এক স্কচ মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো আমার। মেয়েটার দাঁতগুলো ছিলাে ঝকমকে সাদা। যেন ঝিলিক মারতো। তা ঘটনা একটা ঘটে গেলো সাতারবার সময়। আমি সাত্রাচ্ছি ; হঠাৎ পাশের নৌকা থেকে পা ফসকে মেয়েটা পড়ে গেলো পানির মধ্যে। তার পায়ের সঙ্গে আমার পা ঠোকাঠুকি হতেই দুজনের মধ্যে দ্রুত ভাব বিনিময় ঘটে গেলাে। যেন আমরা ডুব-সাঁতার দিয়ে দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে ছোয়াছুয়ি করতে লাগলাম পানির নিচে-যাতে কারো নজরে না পড়ে ব্যাপারটা। নৌকার ওপর বসে থাকা অন্য মেয়েটা একটু বেজার হয়েছে মনে হলো। মেয়েটি ব্লণ্ড। চোখে তীব্র চাউনি। আমরা তার অভিমান ভাঙ্গাতে তাকেও পানির মধ্যে টেনে নামালাম। এবং তিন জনে খেলতে লাগলাম ডলফিনের মতাে। কিন্তু ওই ঠোকাঠুকি পর্যন্তই। ওদেরকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিলাে না—কেননা দু’জনেই বারবার পিছলে পিছলে যাচ্ছিলো বায়েন মাছের মতো। সাঁতরে সাতরে ক্লান্ত হবার পর আমরা তিন জন তীরে উঠে এগিয়ে গেলাম বাথ-হাউসের দিকে। সাঁতারুদের বিশ্রাম নেবার ঘরটা ছিলো একটা মাঠের মধ্যে। দেখতে অনেকটা পুলিশ—ঘেরাটোপের মতো। কী? না, তিন জন মানুষ এমন একটি ঘরের মধ্যে পােষাক পরবে ! ভাবুন একবার ব্যাপার খানা। প্রচণ্ড গরম পড়েছে। কেমন একটা গুমােট, দমবন্ধ করা ভাব চারদিকে। আকাশে মেঘ জমেছিলাে ঘন হয়ে । মনে হচ্ছিলাে, ঝড় আসতে আর দেরী নেই। ফ্রান্সির বন্ধু অ্যাগনেস তাড়াহুড়া করে পােশাক পরছিলো। নগ্ন অবস্থায় আমার সামনে দাড়িয়ে তার লজ্জা করছিলো বলে মনে হলো। কিন্তু ফ্রানসি এসব ব্যাপারে বেশ স্বাভাবিক। সে ন্যাংটা পুটুং হয়ে পায়ের ওপর পা তুলে, একটা বেঞ্চে বসে সিগারেট টানছিলাে নির্বিকারে। যাই হােক, অ্যাগনেস যেই তার শেমিজটা পরতে যাবে-হঠাৎ বিদ্যুত চমকালাে আকাশ চিরে। সঙ্গে সঙ্গে খুব কাছেই কোথাও প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়লাে। অ্যাগনেস অার্থনাদ করে হাত থেকে ছেড়ে দিলো শেমিজটা। পর মুহুর্তে আবার বজ্রপাত। এবার আরো কাছাকাছি। আমরা সবাই বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। বিশেষ করে অ্যাগনেসটা এতাে বেশি ঘাবড়ে গিয়েছিলো যে সে তল্পিতল্পা গুটিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হবার প্রস্তুতি নিলো। আর যেই না সে তার কাপড় চোপর গুটিয়ে বুকের কাছে নিয়ে তৈরী হয়েছে—-মুষলধারে বৃষ্টি নেমে এলাে। আমরা ভেবেছিলাম বৃষ্টি শিগগীরই থেমে যাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মনে হলো, না, এ সহজে যাবার নয়। বৃষ্টি ক্রমশ তুমুল আকার ধারণ করছে। সেই সঙ্গে চলছে বিদ্যৎচ্মক আর বজ্যপাত। অ্যাগনেস দু’হাত জোড় করে চড়া গলায় প্রার্থনা করতে শুরু করলাে। …….

………অ্যাগনেসকে শান্ত করবার জন্যে নিজের দোষ স্বীকার করলাম । বললাম আরে, ও তাে আমি ফাজলামাে করছি। আরো বললাম, তবু আমি এইসব আবােল তাবোল বকবক করার জন্যে অনুতপ্ত । —বলতে বলতে হাত ছেড়ে দিয়ে ওর পাছায় আলতাে করে একটা টোকা দিলাম। সে আসলে এটাই চাইছিলাে। আবেগের সঙ্গে বলতে লাগলো, সে কতোটা সৎ ক্যাথলিক এবং পাপ থেকে কীভাবে দুরে থাকতে চায়। কাজেই আমার ওই সব বিদঘুটে কথাবার্তা ভাবচক্কর তার একটুও পছন্দ হয়নি। আমি ততােক্ষণে সাধু বনে গেছি একেবারে । যতাে রাজ্যের সৎ কথা বলতে বলতে আমি তার তলপেটে হাত দিলাম । ধর্ম, ঈশ্বর এবং ভালােবাসা সম্পর্কে বাছা বাছা গৎ আউড়ে আমি ওকে জানিয়ে দিলাম আমার বিশ্বাসের দৃঢ়তার কথা—এমনকি আমার গির্জায় যাতায়াতের সুসমাচারও! লক্ষ্য করলাম, এক ধরণের মুগ্ধতা নিয়ে সে সব কথা যেন গােগ্রাসে গিলছে অ্যাগনেস। সে এতােটাই তদগত হয়ে আমার আদর্শের বুলি গিলছিলো যে, বক্তিমা দিতে দিতে আমি তার যােনির মধ্যে তিনটে আঙুল ঢুকিয়ে দিলেও সে কোনরকম আপত্তির আভাস দিলাে না। ও আমাকে জড়িয়ে ধরে অ্যাগনেস।’—আমি নরম গলায় বললাম। বলতে বলতে যােনির ভেতর থেকে তিনটে আঙুল বের করে ওকে পাটাতনের ওপর শুইয়ে দিয়েই, ওর ওপর শুয়ে পড়লাম।
: এই, এই তত লক্ষ্মী মেয়ে। এই ভাবে। এই একটু খানি। এ কিছু না। যতাে রাজ্যের ধর্মের কথা, ঈশ্বরের মহিমার কথা 
এবং শপথের কথা বলতে বলতে আমি ওকে কায়দা করে ফেললাম।
: তুমি কতাে ভালো!–গাঢ় স্বরে বললাে অ্যাগনেস। যেন সে আদৌ জানেনা, আমার কোন জিনিসটা তার কোন জিনিসের মধ্যে ইতি মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

আমি মস্ত বড়াে আহাম্মকি করেছি তখন। তুমি যাই বলাে! –আমি অনুতাপের স্বরে উচ্চারণ করি। তারপর আরাে একটু ঘনিষ্ঠ গলায় বলি । … এই তাে, এই রকম–এইভাবে। ঠিক আছে ঠিক আছে। অ্যাগনেস, আমাকে আরাে একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরো না। হুঁ হুঁ এই রকম ভাবে !••• : নৌকাটা আবার উল্টে না যায়।—চিন্তিত স্বরে বললো অ্যাগনেস। আশ্চর্য, সে ধর্ষিত হতে হতেও এক হাতে দাড় টানছিলাে। আমি বললাম, “চলো না হয় পাড়েই গিয়ে উঠি। সেখানেই যাহােক এটুকু বলে যেই না আমি একটু নড়ে উঠিছি, অ্যাগনেস আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো—আমাকে ফেলে যেয়ােনা, আমাকে ছেড়ে দিয়েনা, আমি পড়ে যাবো।’ বলতে বলতে সে আমাকে নিবিড়ভাবে ঠেসে ধরলো তার নরম তুলতুলে বুকের সঙ্গে। ঠিক তক্ষুণি মুর্তিমতী রসভঙ্গের মতােই ঘটনাস্থলে ফ্রানসির আবির্ভাব। ফ্রানসি দৌড়ে আসছিলো নৌকার দিকে। আর অ্যাগনেস তখন জুড়ানাে গলায় বারবার বলছে : অামাকে ধরো, আমাকে ধরো, আমি ডুবে যাবাে !

ফ্রানসি চমৎকার মেয়ে–আমি একশো একবার একথা বলবো। সে অবশ্যই কাথলিক নয়। মুলত সে ছিলো এমনি এক মেয়ে, যাদের জন্মই হয়েছে সঙ্গমের জন্যে। তার কোন মহৎ উদ্দেশ্য ছিলো ছিলোনা কোনাে আকাঙ্খা, হিংসা এমনকি অভিযােগও। সে ছিলাে সদা-আনন্দময়ী এবং বুদ্ধিহীন অবশ্যই নয়। অন্ধকার রাত্রে আমরা যখন বাড়ির সামনে আত্মীয়-কুটুম্ব কিংবা পাড়া পড়শিদের সঙ্গে গল্প সল্প করতাম, তখন সে আমার কোলে এসে বসতো পাছা উদলা করে। তার গায়ে জামা থাকতো ঠিকই কিন্তু –পরণে কিসসু না। সে যখন অন্যদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে হাসি মস্করা গল্প গুজব করছে—আমি তখন ওটাকে ঢুকিয়ে দিয়েছি জায়গা মতাে। শহরে ফিরে, খবর পেয়ে হয়তাে ওর বাসায় গিয়েছি-ও একই কাণ্ড করলাে মায়ের সামনে, যিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। নাচতে গিয়ে ও যখন বেশি গরম হয়ে যেতো-টানতে টানতে আমাকে নিয়ে ঢুকতাে কাছাকাছি কোন টেলিফোন-বুথে। বস্তুত লােকের নাকের ডগায় কুকর্ম করে ফ্রানসি এক ধরণের অমোদ পেতাে। এ ব্যাপারে তার অভিমত হলো, এ কাজে তুমি অনেক বেশি আনন্দ লাভ করবে যদি একে খুব সহজভাবে নাও। ধরা যাক, সমুদ্র তীর থেকে শহরে ফিরে ভীড়ে-ভীড়াঙ্কার সাবওয়ে দিয়ে পাশাপাশি হাঁটছি। হঠাৎ সে তার পােষাকের মাঝামাঝি জায়গায় আমার হাতটা টেনে নিয়ে আমার আঙুল ঢুকিয়ে দিলো তার পুষির মধ্যে। কিংবা বাদুড়-ঝোলা ট্রেনে কোথাও দু’জনে একসঙ্গে চলেছি। সে দম বন্ধ গাদাগাদি ভীড়ের মধ্যেও হয়তাে আমার ফ্লাই খুলে সে দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো আমার নুনু। যেন পাখির বাচ্চা ধরে রেখেছে অঞ্জলিতে। মাঝে মধ্যে অবশ্য সাবধানতা হিসেবে ঘটনাস্থলের ওপর একটা ব্যাগ ফেলে রাখতাে, যাতে কারো নজরে না পড়ে। আর একটি ব্যাপারে সে অকপট ছিলো যে, আমিই ওর একমাত্র যৌন-সঙ্গী নই। ওর ভেতরের সমস্ত কথা—আকাম কুকামের যাবতীয় ফিরিস্তি আমার সামনে ও পেশ করতো খুব সহজ, স্বাভাবিক ভাবে। সে যখন আমার ওপর চড়াও হয়েছে, আমি যখন ওকে লাগাচ্ছি কিংবা ওর যখন বেরিয়ে আসছে—তখনও সে অন্যের সঙ্গে নিজের কায়কাবারের বিবরণ দিয়ে চলতো কবে সে কার সঙ্গে কী কী করলো, তা এমন বিশদ ভাবে আমাকে শোনাতো—যেন আমি এই বিষয়ের ওপর একটা পাঠ্য বই লিখতে যাচ্ছি। বস্তুতঃ নির্বিকার সমস্ত তথ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে ওর জুড়ি ছিলোনা।

– ফ্রানসি, তুমি কেবল ওটাই বোঝো কেবল ওই সমস্তই যেন। দুনিয়াতে মানুষের আর কিছু করবার নেই। কোনো নীতি বোধ নেই তোমার, পচা মাগি কোথাকার!

—আমি বলতাম। : কিন্তু তুমি আমাকে পছন্দ করো করোনি সে জবাবে বলে

—“পুরুষরা লাগাতে পছন্দ করে–মেয়েরা করবে না কেন বলাে? এতে তাে কারো কোনাে ক্ষতি হয়না। এরকম কোনাে নিয়মও এখানে নেই যে, যাকে যাকে তুমি লাগবে, তাদের সব্বাইকে তােমার ভালো বাসতে হবে ! আমি চাই না কেউ আমাকে ভালােবাসুক। একই লোক চিরকাল লাগাবে—মা গো মা-ভাবতেই গা-টা শিউরে উঠে আমার। তােমারও কি খারাপ লাগেনা একথা চিন্তা করতে? শোনাে, তুমি যদি অন্যদের তফাতে রেখে কেবল আমাকেই অনবরত করতে থাকো তবে শিগগীরই আমার ওপর ঘেন্না এসে সালে তোমায় ! এক ঘেয়েমী জন্মালে । জন্মাবে না? মাঝে মাঝে এমন মানুষের কাছে ধর্ষিত হওয়া দরকার সে বিলকুল অচেনা। হ্যা আমার মনে হয়, এটাই সবচে ভালাে । এখানে নেই কোনাে ধানাই পানাই, নেই টেলিফোন-নম্বর, নেই প্রেমপত্র কিসসুটি না। শোনাে, তোমার কি মনে হয়, এটা খুব খারাপ!

আমি একবার আমার ভাইটাকে একটু টেস্ট করতে চেয়েছিলাম। তুমি তাে জানােই—সে কেমন লালটু মার্কা? কিন্তু এটা বােধ হয় জানােনা, অন্যকে আঘাত দেওয়াতে তার কীরকম বিমল আনন্দ ? সেবার সবাই বাইরে গেছে। বাড়িতে কেবলও আর আমি। সেদিন আবার আমি ছিলাম খানিকটা আবেগাক্রান্ত। সে আমার ঘরে এসে কি যেন একটা দিতে বললো। আমি তখন আলুথালু পােশাকে শুয়ে আছি। যৌন-সঙ্গমের জন্যে কাতর হয়ে পড়েছিলাম আমি এবং ক্ষ্যাপার মতােই ছটফট করছিলাম। সে যখন আমার ঘরে এসে ঢুকলো তখন তার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক, সে সব চিন্তা চুলােয় গেলো। আমার ভাই নয়, আমি তখন তাকে ভাবলাম একজন পুরুষ হিসেবে। স্কার্ট এলোমেলাে রেখে আমি তেমনি শুয়েই রইলাম এবং ওকে বললাম, আমার ভালাে লাগছে না। পেট ব্যথা করছে। একথা শুনেই সে সম্ভবত ডাক্তারের কাছে যাবার জন্যে পা বাড়ালো। আমি তাকে বললাম, ওসব কিছুই লাগবে না। বরং সে যদি অামার পেটটা একটুখানি ডলে দেয়, ভালাে হয়। আমি ওর হাতটা এনে আমার তল পেটের ওপর রাখলাম এবং তা ঘষতে লাগলাম নগ্ন চামড়ার ওপর। কিন্তু দেয়ালের দিকে তাকিয়ে গবেটটা এমন ভাবে আমার তলপেট টিপতে লাগলো, যেন এক টুকরো কাঠ নাড়াচাড়া করছে। ? ওখানে নয় । –আমি বললাম। আমার এই নিচের দিকটাতে ব্যথা করছে। তুমি ভয় পাচ্ছো কেন ? বলে আমি ওকে আসল জায়গাটাই দেখিয়ে দিলাম এবার। আর সে-ও সেইখানেই স্পর্শ করলো। আমি চীৎকার করে বললাম—হ্যা এই জায়গায়, এই জায়গায়। টিপে দাও, টিপে দাও। ওহ, যা ভালো লাগছে আমার। •••জানাে–ফ্রানসি আমার দিকে তাকিয়ে এবার বললো, ‘পাঁচ মিনিট টিপবার পরও গবেটটা অাচ করতে পারেনি, কেসটা কি? আমি এতােই হতাশ হয়ে পড়লাম যে, তাকে বেরিয়ে যেতে বললাম আমার রুম থেকে। বললাম, তুমি একটা নপুংসক। কিন্তু ছেলেটা এমন হাবা ছিলো যে ওই শব্দটার অর্থ সে জানে কিনা সন্দেহ। –বলতে বলতে হেসে উঠলাে ফ্রানসি।

আমি চিন্তিত গলায় বললাম, তুমি যাদের সঙ্গে শোও—সবাইকে কি একথা বলেছো? মাথা নেড়ে ও জানালো–না !

: একথা কউকে বললে ও তােমাকে পিটিয়ে তোমার পিঠের চামড়া ‘তুলে নেবে ! আমি বললাম।

……

……..ধরা যাক ট্রিক্স মিরাণ্ডা আর তার বােন মিসেস কস্টেলের কথাই। দু’টি বোন তো নয় যেন সুন্দর এক জোড়া পাখি। ট্রিক্স মিশতাে আমার বন্ধু ম্যাকগ্রেগরের সঙ্গে। কিন্তু সে তার বােনকে বােঝাতো যে এটা স্রেফ নির্মল মেলামেশা—কাম গন্ধ নাহি তায়! কেননা যৌন সম্পর্ক নেই ওদের মধ্যে। মিসেস কস্টেলে ছিলো ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ। তার দেহের গড়ন ছিলো বেঁটে মতো। হাবভাবে সন্দেহ করাও সম্ভব ছিলো না যে কারুর সঙ্গে তার আবার সম্পর্ক থাকতে পারে। এই বামনীর সঙ্গে পিরিত করবে কে? কিন্তু হায়, আমার বন্ধু ম্যাকগ্রেগর তাকেও লাগাতো হরদম। অর্থাৎ সে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হতো দু’বােনের সঙ্গেই। দু’বােনেই ব্যাপারটা জানতো। কিন্তু এক সঙ্গে বসবাসে তাদের কোনাে বিপত্তি ঘটেনি তাতে। কী করে এটা সম্ভব হয়েছিলো কে জানে। ব্যাপারটা কোনােদিনই মাথায় আসেনি আমার । কষ্টেলে কুত্তিটার আবার ছিলাে ফিটের ব্যামো যখনি সে অাচ করতে পারতো, যে ম্যাকগ্রেগরের সঙ্গে ফষ্টি নষ্টিতে তার ভাগ কম পড়ে যাচ্ছে—সে কপট মুচ্‌রোগে আক্রান্ত হতাে। তার মানেই হলো, ওকে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে পাজাকোলা করে ওপর তলায় নিয়ে যাও এখন! ম্যাকগ্রেগর সেখানে ওর সেবা করবে এবং ‘ঘুম’ পারিয়ে রাখবে মিরাকে। কোনাে দিন দু’বােন উপভােগ করতো দিবানিদ্রা। ম্যাগগ্রেগর গিয়ে শুয়ে পড়তাে তাদের পাশেই। ভাবখানা, তারও বড় ঘুম পাচ্ছে। দু’চোখ আধ বোজা অবস্থায় সে হাই তুলতো। তারপর দেখা যেতো সে অঘোরে ঘুমােচ্ছে। ঘড় ঘড়, শব্দে নাক ডাকছে তার। তারপর দু’বোনের একজন নিদ্রিত হলে ম্যাক তার চোখের পাতা সামান্য ফাক করে দেখে নিতে, কে জেগে আছে। তার কপট-নিদ্রা ছুটে যেতাে সঙ্গে সঙ্গে। সে ‘বিনিদ্র বােনের পাশে শােয়া ‘দিনিন্দ্র বোনকে সামাল দিতাে। এসব ক্ষেত্রে সে অগ্রাধিকার দিতো মূর্ছা রোগিনী মিসেস কস্টেলােকেই। বেচারার স্বামী থাকতো দুরের কর্মস্থলে এবং স্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হতো দু’মাস অন্তর অন্তর । যাই হোক, এই নাটকে ম্যাক যতাে বেশী ঝুকি নিতো মজা পেতাে ততই বেশী। যেমন টিকে পাবার সময় সে এমন ভাব দেখাতো যে, ওর বোন টের পেয়ে গেলে মহা হেনস্থা হবে। কিন্তু আসলে ওদের একজন আর এক জনের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ুক, এটা সে কামনা করতো মনে প্রাণে। তবে হ্যা, ওই বাঁটকুল বামনীটা ছিলাে পারি পা-ঝাড়া। ছােট বােনের কাছে ধরা পড়বার আগ মুহূর্তে সে মুর্ছা যেতো। ভাবখানা এই, ফিট হওয়া মেয়ে মানুষের ওপর কোন পুরুষ মানুষ কি হস্তক্ষেপ করেছে তা মেয়েমানুষটার জানা থাকবার কথা নয় ! আমি ওকে হাড়ে হাড়ে চিনতাম। কেননা আমার কাছে কিছু দিন ও গান শিখেছিলো। তাকে আমি বহুবার বুঝিয়েছি যে তার যােনিটা খুবই স্বাভাবিক মাপের। যৌন সঙ্গমে সুখ পেতে কোনাে অসুবিধে নেই। আমি তাকে গরমাগরম গল্প বলতাম। একদিন কিঞ্চিৎ তরলিত হয়ে সে আমাকে তার ছােট্ট ফুটোয় আঙুল ঢোকাতে দিলো। মাগির পুষিটা সত্যিই ছােট্ট আর শুকনাে খটখটে। কিন্তু তাতে কি? তাকে অনতিবিলম্বে মুছগ্রস্ত করতে আমার বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়নি। সে সচ্ছন্দে কাপড়ের বােঝা তুলে ফেলে বলতো দ্যাখো, আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমার শরীরের গড়ন ঠিক নয় ! কেমন ঠিক বলিনি ।…..

…….-তুমি কি জানােনা, মেয়েমানুষ মাত্রেরই যােনি থাকে এবং মাঝেমধ্যে তা ব্যবহারও করতে হয় ? তুমি কি চাও, সব সময় জিনিসটা শুকনাে থাকুক।

: কী ভাষা। ভাষার ছিরি।– ঠোট উল্টে বলতাে মিসেস কস্টেলে। তারপর নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরতে ‘লজ্জায়। তার সারা মুখ লাল। আমি ভেবেছিলাম, তুমি ভদ্রলােক তার ক্ষোভের উচ্চারণ।

আর তুমি ভদ্রমহিলা! আমি সঙ্গে সঙ্গে যােগ করি।এবং সেইরকম ভদ্রমহিলা, যারা যখন তখন অবৈধ সঙ্গম কামনা করেন এবং নিজেদের রন্ধে অঙুলি চালনা করে ভদ্রলোকদেরকে তাঁর গঠণ রীতির জরিপ করার অনুরােধ জানান।

: আমি কখনাে তােমাকে আমার শরীর স্পর্শ করতে বলিনি ! বললো মিসেস কস্টেলো। বললো—আমি কখনো বলিনি যে আমার গোপন অঙ্গে হাত বুলিয়ে দাও। আমি ডাক্তারকে যেমন দেখাতে হয়, তেমনি মানসিকতা নিয়েই—! তার কথা শেষ হবার আগেই আমি চিবিয়ে চিবিয়ে বললাম,—তাহলে আমরা এই সিদ্ধাস্তেই আসছি যে, অতীতে এরকম কিছু ঘটেনি। এবং যা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে, তা আসলে ভূল। সে যাক, বলতে বলতে আমি মিসেস কস্টেলােক টেনে নিলাম কাছে এবং বললাম, ধরো তুমি আমার কোলে এভাবে এসে বসলে। এবং আমি তাকে সত্যি সত্যি আমার কোলের ওপর তুলে নিলাম আলতো ভাবে। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলাম, কি খুব খারাপ লাগছে ? মিসেস কস্টেলে আমার প্রশ্নের কোন জবাব দিলাে না। কিংবা আমার বাহুবন্ধন থেকে ছাড়া পাবারও কোন আগ্রহ দেখা গেলো না তার মধ্যে। সে বরং আরো একটু ঘেষে এলো আমার দেহের সঙ্গে। এবং চোখ বুজলো। শেষে খুব আস্তে আস্তে আমি হাত বুলােতে শুরু করলাম ওর পায়ের ওপর ! খুব নিচু গলায় কথা বলতে আরম্ভ করলাম ওর সঙ্গে। আমি আমার হাতের আঙুল যখন ওর যােনি-দরজার দুটো পাল্লা আস্তে ফাক করলাম, সে ভেজা চাদরের মতো নরম হয়ে গেলো। আমি আস্তে আস্তে ওর যােনিটা ফাক করছি–হঠাৎ জায়গাটা ভিজে গেলাে এবং ফুটোটার ভেতরে আমি চারটে আঙুল ঢুকিয়ে দিলাম। ভেতরে জায়গা ছিলো আরো। আমি ইচ্ছে করলে আরো বড়াে কিছু, বেশি কিছু জিনিস সেখানে ঢোকাতে পারি এখন! চমৎকার যােনি ! সুন্দর গোল ফুটো। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি, তখনাে চোখ বুজে আছে সে। তার মুখ খােলা। কিন্তু চোখ বন্ধ ! মনে হচ্ছে, আমি স্বপ্ন দেখছি। আমি এবার কিছুটা জোরালো ভাবেই তাকে আমার দিকে টানলাম। সামান্য প্রতিরােধের আভাস দেখা গেলো তার আচরণে। সে ছিলো পালকের মতাে হালকা। সােফার শক্ত হাতলে মাথা ঠকে গেলেও তার কোনো ভাবান্তর দেখা গেলাে না। যেন ধর্ষণ করার জন্যে তার ওপর অ্যানেসথেশিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমি তার সমস্ত পােশাক খুলে মেঝের ওপর ছুড়ে ফেললাম। সোফার ওপর কিছুক্ষণ কর্মরত থেকে আমি ওকে নামিয়ে আনলাম মেঝের ওপর ওর পােশাকের বিছানায়। তারপর নুনুটা ওর যােনির ভেতর আবার ঢুকিয়ে দিলাম। আর সে তার মধ্যচ্ছদার মধুর উষ্ণতা দিয়ে আপ্যায়িত করতে লাগলো আমার শিশ্নকে।

রাত্রে বাইরে বেরুলে আমি একটা না একটা মেয়ে যােগার করে নিতামই। মেয়েটা হতে পারে না, নাচের আসর থেকে ফেরা নাচুনী মেয়ে, একটা সেলস-গল—মােটকথা স্কার্ট পরা যে কোন কিছু। বন্ধু ম্যাকগ্রেগর এ নিয়ে আমাকে কতাে ঠাট্টা তামাশা করেছে। কিন্তু আমি গায়েই মাখতাম না এসব। …….

……… ম্যাকের দ্বিতীয় দুশ্চিন্তা, মেয়েটা পয়-পরিস্কার ছিলো তাে? সারাটা রাস্তা ওর মাথায় কেবল এই চিন্তাটাই ঘুরপাক খেতাে। : যীশু আমাদের অারো হুশিয়ার হওয়া উচিত !—সে বললো। —তুমি জানাে না, ও তােমার ভেতরে কি ঢুকিয়ে দিয়ে গেলাে। শোনাে, এ নিয়ে আমি অনেক ভবেছি, মানে লোকে একটি যােনিতে তৃপ্ত থাকে না কেন। ……. আচ্ছা শােনো, নিজের আবােল তাবােলের এক পর্যায়ে সে বললো, ধরো, টিক্সকে বললাম, এই মেয়ে ওটা বের করে এবং দু’পা ফাক করো ! কোনাে কথা নয়! এরকমটা শুনে ওর মুখের অবস্থা কীরকম হয়, তুমি কল্পনা করতে পারো ? ……….একবার পেয়ে গেলাম মাতাল আইরিশ কুত্তিকে। ওর ছিলো বিদঘুটে স্বভাব। কিছুতেই বিছানায় শোবে না। তাকে লাগাতে হবে টেবিলে শুইয়ে। তা, এক আধবার টেবিলে এসব চলতে পারে । তাই বলে বারবার ? ধুত! একদিন রাত্রে আমার খুব টাইট অবস্থা। আমি ওকে বললাম, মদ খাবি মাগি? যতো পারিস খা! কিন্তু আজ তােকে আমার সঙ্গে বিছানায় গিয়ে শুতেই হবে। আমি বিছানায় ফেলেই লাগাবাে তােকে। ওহ, কতােদিন এই টেবিলের খেলা চালাচ্ছিস তুই ! বললে বিশ্বাস করবে না বিছানার প্রস্তাবে রাজি করাতে ঝড় এক ঘণ্টা সময় লেগেছিলো আমার সেদিন। কিন্তু কি শর্তে সে রাজি হয়েছিলো শুনবে ? শর্তটা হলো লাগাবার সময় আমাকে টুপি মাথায় দিয়ে থাকতে হবে। ভাবো একবার। যেখানে পায়ের জুতাে থেকে শুরু করে গলার টাইটা পর্যন্ত থাকবে না সেই উদোম শরীরে মাথায় রাখতে হবে টুপি ! আমি জিজ্ঞেস না করে পারলাম না, তা এসময় আমাকে হ্যাট মাথায় দিতে বলছে কেন ? বলো তাে, একথার জবাবে সে কি বললো। বললো এতে অনেক ভদ্র মনে হয়। শুনলে মাগির কথা। …….

Leave a Reply