অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু
….তার দৃষ্টি আগের চেয়ে পরিষ্কার। অ্যাঞ্জেলা এলিসনকে দেখতে পেল। কুমিরের চামড়ার সােফায় হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে রয়েছে। তাকে | ঘিরে রয়েছে কতগুলাে লােক। ‘অ্যাঞ্জেলা জামা-কাপড় শতছিন্ন, দুধসাদা বুক বেরিয়ে পড়েছে ! গা থেকে রক্ত ঝরছে ।…..
…..অ্যাঞ্জি সাদা পােশাক পরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। দৃশ্যটা ওকে উত্তেজিত করে তুলল। অ্যাঞ্জিকে সেদিন ও পটানাের চেষ্টা করেছিল। আউটডাের সুইমিংপুলে অ্যাঞ্জির পেছন পেছন আসছিল লিওন। খেকিয়ে উঠে অ্যাঞ্জি বলেছিল, আমাকে নিয়ে কোনাে বদ মতলব থাকলে ছাড়াে, লিওন । আমার পেছনে বেহুদাই ঘুরঘুর করছ। আমি অন্য মেয়েদের মতাে ন্যাংটো হয়ে সুইমিংপুলে নামব না, আমার পরনে থাকবে বিকিনি।’
তবে অ্যাঞ্জি যে নাইট ড্রেসটি পরেছে তার মধ্যে ইরােটিক একটা ব্যাপার আছে। লিওন ওকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে চুম্বন করেছিল। আবার সুযােগ এলে সে অ্যাঞ্জির শরীরে যত্রতত্র হাত বুলাবে। অ্যাঞ্জি যত চিল্লাবে, ভােবােদা ততই পছন্দ করবে ব্যাপারটা।……
…..এরিক আর্মস্ট্রং আড়চোখে দেখল তার বধূকে। কিমের উচ্চতা টেনেটুনে পাঁচ ফুট হবে। তবে তার শরীরি সম্পদের কোথাও কোনাে ঘাটতি নেই। কিমের মাথা ভর্তি ঘন কালাে চুল, খাটো নীল চোখ জোড়া দিয়ে যেন জীবনের কাছ থেকে আহরণ করা দ্যুতি ছড়ায়। ওর নাকের ডগাটা সামান্য ওপরের দিকে বাঁকানাে। তবে এতে কিমকে খারাপ তাে লাগেই না বরং চেহারায় এনে দিয়েছে দুষ্টু একটা ভাব। সদ্য ধােয়া জিনস প্যান্ট খানিকটা কুঁচকে আছে, বেরিয়ে পড়েছে সুগঠিত গােড়ালি ।…..
…..বেডরুমের দরজা বন্ধ করে দিল ওরা। দু’জনেই কেমন আড়ষ্ট হয়ে আছে, যেন এবারই প্রথম মিলিত হতে যাচ্ছে ওরা। অস্বস্তি এবং লজ্জা নিয়ে কাপড় ছাড়ল।…..এরিক কাছে টেনে নিল কিমকে। শক্ত হয়ে আছে মেয়েটা। স্বাভাবিক হতে সময় লাগল। ও নিশ্চয় ক্যারােলিন চারটনের কথা ভাবছে। কোথাও ঠং করে একটা শব্দ হলাে, খড়খড় করে উঠল কিছু। হয়তাে ডাস্টবিনের ঢাকনিটা আবার শুরু করেছে তার ভ্রমণ । জানালার কাচে বাড়ি খাচ্ছে বৃষ্টির ফোটা, তারপর বেড়ে গেল গতি।……অবশেষে রিল্যাক্সড হলাে কিম, এরিকও স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল । ওরা মিলিত হলাে। তবে খুব দ্রুত যেন শেষ হয়ে গেল মিলন।……
……লােকটা রােজকে চার নম্বর হুইস্কি কিনে দিল এবং আরেকটা জোক শােনাল। আবার হাসির ঝর্ণাধারা ছােটাল রােজ । হাসতে হাসতে লােকটা রােজের উরুতে চাপড় কষাল এবং হাতটা সরাল না । রােজ বুঝতে পারছে লােকটা তাকে বিছানায় নিয়ে যেতে চাইছে এবং এতে ওর কোনাে আপত্তি নেই। বহুদিন রমণ সুখ থেকে বঞ্চিত রােজ।…..লােকটা রােজের নিতম্বে চাপ দিল। খিলখিল হেসে উঠল রােজ। লােকটার গায়ে প্রায় ঝুলে আছে ও। লােকটা ৩৬ নাম্বার রুমের দরজার তালা খুলল।
কে জানত তােমার মতাে সুন্দরী নারীকে একাকী পাব এ হােটেলে?’ দরজা বন্ধ করে ফিসফিস করল লােকটা। ব্লোজকে বসিয়ে দিল বিছানায় । চুমু খেতে শুরু করল। তারপর অভ্যস্ত হাতে খুলতে লাগল রােজের পােশাক। অনবরত কথা বলেই চলেছে সে। | রােজ এখন নগ্ন । দুই পা দুদিকে মেলে দিয়ে শুয়ে পড়েছে বিছানায় । কোটিপতির স্ত্রী নিজের শরীর ভােগ করার সুযােগ দিচ্ছে এক সেলসম্যানকে। রােজ উত্তেজিত এবং মাতাল। আজ রাতটা উন্মাদনায় কাটবে ওর । তারপর কাল সব ভুলে যাবে। লােকটার নাম পর্যন্ত জানে না রােজ, নিচতলায় বসে নামটা বােধহয় বলেছিল সে, তবে মনে পড়ছে না ওর । তাতে কি আসে যায় না। | লােকটা তুখােড় খেলােয়াড়, মনে মনে স্বীকার করল রােজ। জানে নারী অঙ্গের কোথায় স্পর্শ করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে মেয়েরা, সুখানুভূতি নিয়ে জাগ্রত হয়। ব্রেন্ট রােজকে কোনােদিন এত সুখ দিতে পারেনি। | অবশেষে শেষ হলাে খেলা; লােকটা চাদরটা টেনে নিল নিজেদের গায়ে, একে ……অপরকে জড়িয়ে ধরে তলিয়ে গেল ঘুমের রাজ্যে।……
আবার প্রেম করতে পারল ওরা । এটি একটি ভালাে লক্ষণ, ভাবল কিম আর্মস্ট্রং। অল্প সময়ের জন্য হলেও সে চসাইড হােটেল এবং তার প্রাসাদের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পেরেছে।……
……উপলব্ধিটা বিদ্যুতায়িত করে তুলল যেন কিমকে, ক্ষুদ্র কাঠামােটা ওর বুকের সাথে সেঁটে রয়েছে, মুখ খুঁজছে ওর স্তন। নিশ্চয় স্বপ্ন দেখছে কিম, কিন্তু কী সুন্দর স্বপ্ন! নাইট ড্রেসটা টেনে বুকের ওপর তুলে ফেলল কিম, ছােট্ট মুখটার মধ্যে ঢুকিয়ে দিল একটি স্তনের বোঁটা ।…..স্তন চুষছে বাচ্চা, ব্যথা পেল কিম। দাঁত দিয়ে কামড়াচ্ছে বোটা। কিন্তু একী করে সম্ভব? কিম জানে নবজাতক শিশুর মুখে দাঁত থাকে না। কিন্তু ও তাে দুধ খাচ্ছে না । কিমের বুকে কামড় দিয়ে ওকে ব্যথা দিচ্ছে । ব্যথায় কুকড়ে গেল কিম। অন্ধকারে বাচ্চার চেহারা দেখার চেষ্টা করল।……