……গুলাবী যখন বড় হয়েছে, তখন দিদি বিমূলির বিয়ে হয়ে চলে গেছে রাজমহলে। ততদিনে ছোট একটা বোন হয়েছে শালি। শালিকে দেখাশুনার কাজ বেশীর ভাগই করতে হয় গুলাবীকে। কাজে ভুল হলে জুতো দিয়ে তাকে মারতে পর্যন্ত ছাড়ে না জান্ধী । একটু বড় হতেই গুলাবীর সারা শরীরের উদ্ধত যৌবন এসে বাসা বেঁধেছে। বিনা অন্তর্বাসেই একপর্দা শাড়ীর শাসন অমান্য করে তার যৌবনপুষ্ট দেহটা পাড়ার বজ্জাত ছোঁড়াদেরও অস্থির করে তোলে । রাতের নিদ্ হারাম হয়ে যায় সদ্য গোঁফ ওঠা পাড়ার ছেলেগুলোর ।……
…..ঘর থেকে দ্রুত বার হয়ে গেল গুলাবী। কিন্তু তাঁর আগেই সে বুঝে নিয়েছে তার উদ্ধত যৌবন যেন দৃষ্টি দিয়ে চেটে চেটে খাচ্ছে তার বাপবয়সী একটা লম্পট কামুক বৃদ্ধ। বুকের কাপড়টা সামলে নিয়ে ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায় গুলাবী ।….
…..ভিতরে ঢুকলো গুলাবী। খর রৌদ্রে তার শ্যামলা বরণ যেন রক্তিমাভ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। আঁটোসাঁটো করে শরীরে জড়ানো শাড়ীটার জায়গায় জায়গায় ঘামে ভেজা। ফলে তার শরীরের সমস্ত ভূগোল যেন জানান দিচ্ছে যে, গুলাবী এখনো পুরুষের চোখে সমান আকর্ষণের দাবী রাখে।….
…..নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে না গুলাবী। রঘুর অনাবৃত পেশল বুকে নিজের মুখটা সজোরে চেপে ধরে সে। সমস্ত শরীরে কেমন একটা উদ্ভ্রান্ত অস্থিরতা। তার দশ আঙুলের নখ যেন রঘুর বুকের দুপাশের কঠিন মাংসপেশী ভেদ করে বসে যাচ্ছে। রঘুর ধমনীতেও রক্ত দ্রুত ধাবমান। তার বলিষ্ঠ দুটি ঠোঁট তীব্র আসঙ্গ লিপ্সায় কামড়ে ধরেছে গুলাবীর ক্ষীণ দুটি অধর ওষ্ঠ । গুলাবীর ডান হাতটা তার অজান্তেই চলে গেছে রঘুনাথের প্যান্টের মাঝখানে। এক টানে বোতামগুলো খুলে ফেলে রঘুনাথের প্যান্টের ভিতরের অন্তর্বাসটার ওপর আঙুল বুলিয়ে তার হাতটা জাগিয়ে তুলতে ইন্দ্রিয়কে। রঘু ওর হাতটা ধরে বার করে এনে গুলাবীর কানে করে বলে— “তোকে আমি আমার মতো করেই, সেই বদমায়েস ওষুধ বেচা লোকটার মতো করে নয়। যেদিন আমার ঘরে তুই বৌ হয়ে আসবি, সেদিন যা হবার হবে, আজ নয়।”…..
…..রঘুনাথের বুকের ওপর মাথা রেখে তার সারা শরীরে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে গুলাবী। তার আঙুলের স্পর্শে রঘুর সারা দেহে যেন কেমন একটা করতে থাকে। হঠাৎ সে গুলাবীকে দুহাতে সজোরে জাপটে ধরে। তার শরীরের নীচে চাপা পড়ে যায় গুলাবীর শরীর। ভার লাগলেও কেমন যেন ভালো লাগে গুলাবীর। বালিশের ওপরে তার মাথাটা অস্থির হয়ে ডানদিকে বাঁদিকে বারে বারে যেতে আসতে থাকে। উদ্দাম যুবা রঘুনাথ তার দেহ নির্যাসটুকু আজ এই আঁধার রাতে বুঝি নিঃশেষে ফুরিয়ে দেবে গুলাবীর দেহ আঁধারে, তলানীটুকুও আজ বাকি রাখবে না রঘুনাথ যাদব। একটুখানিও নয় ৷…..
….হঠাৎ আলোটা নিভিয়ে দিয়ে তাকে বিছানায় টেনে নেয় চিরঞ্জি। নিজের ধুতিটা সে খুলে ফেলেছে। গুলাবীর শাড়ীটাও খুলে দিয়েছে চিরঞ্জিলাল। নিজের ভারী দেহটা দিয়ে শরীরের তলায় চেপে ধরেছে গুলাবীকে। মাংসল মুখ আর মাথাটা ঘসছে গুলাবীর গলায়, ঘাড়ে, কপালে, মাথায়। ঘন ঘন শ্বাস পড়ছে চিরঞ্জির। মুখের কষ বেয়ে লালা গড়িয়ে নামছে। গুলাবীর নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে। চিরঞ্জি তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ঘড়ঘড় আওয়াজে বলছে –“আমাকে একটা ছেলে দে, গুলাবী। আমি তোর কেনা গোলাম হয়ে থাকবো রে! সাবিত্ৰী যা দিতে পারেনি – তা তুই আমাকে দিবি…” গুলাবীর দম বন্ধ হয়ে আসছে চিরঞ্জির অস্থির পেষনে। হঠাৎ স্থির হয়ে যায় চিরঞ্জিলাল। গুলাবীর শরীরের ওপরেই তার দেহ। একটু পরেই নেমে যায় চিরঞ্জি। তারপর বালিশে মুখ গুঁজে চাপা কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। বলে –“আমার একি হলোরে, গুলাবী? আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না…..ছেলে পাওয়া আর বোধহয় হবে না রে আমার!”
বিমূঢ়ের মতো অন্ধকারে নীরবে শুয়ে থাকে চিরঞ্জি আর গুলাবী। গুলাবীর হাতটা নিয়ে তার শিথিল অঙ্গটা ধরিয়ে দিয়ে চিরঞ্জি বলে— “দেখ গুলাবী, একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে আছে। তুই একটা কিছু করে দে,গুলাবী……নিজে থেকে আমি কিছু পারছি না।” ব্যর্থতায়, হতাশায় শিশুর মতো কাঁদতে থাকে চিরঞ্জিলাল নিজের শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে
–“আপনি ভাবছেন কেন, কাকা! কত রকম জড়িবুটি, ওষুধ আছে এসবের জন্যে বলে শুনেছি। আপনিও খোঁজ করুন, আমিও দেখবো।” মানুষটার জন্যে হঠাৎ কেমন যেন একটা কষ্ট হতে থাকে গুলাবীর। মনে পড়ে যায় রঘুর উদ্ধত যৌবন আর সক্ষমতার কথা। সেসব কত সুখের দিন ছিল গুলাবীর। তার দেহ, মনের সব ক্ষিদে মিটিয়ে দিত রঘু কত সহজে, কত প্রেম, কত ভালবাসায় কত অনায়াসে।….
…..চলে গেছে দশরথ। ঘরের মধ্যে এখন শুধু দুজন— গুলাবী আর চিরঞ্জিলাল ।
ধুতি আর জামাটা খুলে নিয়েছে সে। সন্দেশ থেকে একটা দলা নিয়ে কোঁৎ করে গিলে নিল চিরঞ্জিলাল। তারপর বিছানায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকা গুলাবীর শরীর থেকে টান দিয়ে খুলে নিল তার শাড়ীটা। নেশায় আচ্ছন্ন গুলাবীর নিরাবরণ শরীর। সেদিকে লুব্ধ পশুর মতো তাকিয়ে আছে চিরঞ্জি । দুই কানের মধ্যে দিয়ে যেন আগুন বের হয়ে আসছে চিরঞ্জিলালের। ঘরের আলো সে জ্বালেনি। অন্ধকারে দীর্ঘ একটা স্তূপের মতো লাগছে গুলাবীর শরীরটা। নিজের শিথিল অঙ্গটাকে সহসা তার সুদৃঢ় মনে হতে থাকে । উত্তপ্ত অঙ্গটাকে একবার দুহাতে স্পর্শ করে দেখে নেয় চিরঞ্জিলাল। তারপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ে গুলাবীর আচ্ছন্ন নগ্ন দেহটার ওপরে। দাঁত দিয়ে যেন সে ছিন্নভিন্ন করে দিতে চাইছে গুলাবীর অধরোষ্ঠ। চিরঞ্জির অস্থির দংশনে ক্ষত তৈরী হচ্ছে গুলাবীর গ্রীবা, স্কন্ধ, বক্ষে। পরপর দু’বার সে উন্মত্তের মতো ভোগ করে গুলাবীকে। তারপর তার শরীরের ওপর থেকে নেমে বিছানায় গুলাবীর পাশেই অজ্ঞানের মতো ঘুমিয়ে পড়ে ক্লান্ত দেহে। ঘুমাতে ঘুমাতে চিরঞ্জি স্বপ্ন দেখে— গুলাবীর শরীরের মধ্যে তার প্রাণবীজ থেকে উপ্ত হয়েছে একটি প্রাণবন্ত শিশু— পুরুষ শিশু, তার বংশধর।
একটা পরিতৃপ্ত ক্লান্তি শরীরে নিয়ে অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে চিরঞ্জিলাল চৌধুরী। ভোরের আগে সে ঘুম আর ভাঙ্গবে না।…..