বাথবাসিনীর কাহিনী – জেওফ্রি চসার

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প

উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত

বাথবাসিনীর কাহিনীঃ রাজা আর্থার ছিলেন একজন উপকথার রাজা। তার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের কাহিনী সারা ব্রিটেনে লােকমুখে প্রচারিত ছিল। তার সময়ে পরীরা দলেদলে নেচে বেড়াত। সেইসব দিনের সুখের স্মৃতি আজ অবলুপ্ত।

মধ্যযুগীয় উপকথার রাজা আর্থারের রাজসভায় একটি কামুক ও লম্পট পার্শচর ছিল। একদিন নদীর ধার দিয়ে সে যাচ্ছিল। যেতে যেতে নিঃসঙ্গ পথে সে একটি মেয়েকে দেখতে পেল। মেয়েটিও একই পথে একাকি হেটে চলেছে। রাজার পার্শচরটি মেয়েটির সাথে ভাব জমাবার চেষ্টা করল। মেয়েটি কিন্তু ছেলেটিকে প্রশ্রয় না দিয়ে একা একা হাঁটতে লাগল। ছেলেটির মৎলব স্বাভাবিক ভাবে মেয়েটিকে আতঙ্কিত করল। কিছুক্ষণ চলতে চলতে ছেলেটি মেয়েটিকে আবার ধরবার চেষ্টা করল। এবার মেয়েটির বাধা দান সত্বেও ছেলেটি মেয়েটিকে ধরে আদর করতে লাগল। মেয়েটি নানাভাবে নিজেকে মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করল। কিন্তু ছেলেটির দৈহিক বলের নিকট মেয়েটি পরাজিত হল। ফলে ছেলেটি পথে ঘাসের উপর মেয়েটিকে ফেলে জোর করেই তাকে উপভােগ করল। মেয়েটি এই ঘটনার কথা সকলকে জানিয়ে দিল। ফলে সকলেই রাজার এই উৎশৃংখল পার্শচরটির বিরুদ্ধে রাজার নিকট নালিশ জানাল। রাজার আদেশে ছেলেটির প্রাণদণ্ড হল। কারণ একটি নিস্পাপ বালিকাকে এইভাবে ধর্ষণ করায় সকলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল। যুবকটির প্রাণদন্ডের সমস্ত ব্যবস্থা পাকা হচ্ছে দেখে রাজার যুবতী স্ত্রীর মনে এর প্রতি সহানুভূতি জাগল। ফলে রাণী ও অন্যান্য সভ্রান্ত ভদ্রমহিলাগণ রাজার নিকট আবেদন করলেন যে লোকটির শাস্তি দানের দায়িত্ব রাজা যেন রাণীর হাতে ন্যাস্ত করেন। রাজা রাণীর অনুরোধ মঞ্জুর করলেন। ফলে রাজাকে রাণী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন। এরপর সুযােগমত এক সময় এই লােকটিকে ডেকে রাণী বললেন যে সে যদি রাণীকে বলতে পারে যে মেয়েরা সব থেকে বেশী কি কামনা করে, তবে সে মুক্তি পাবে। কেউ তার গায়ে হাত দেবে না। এ এক কঠিন প্রশ্ন। লোকটিকে রাণী বললেন যে এ প্রশ্নের উত্তর সে এক বছর ধরে ভাবনা চিন্তা ও আলােচনা করে দিতে পারে। রাণী বললেন তুমি দেশ ভ্রমণ করে নানা মানুষের সাথে আলোচনা করে বৎসর ঘুরলে অবশ্যই এ প্রশ্নের উত্তর দেবে।

লোকটি তখনকার মত মুক্তি পেল। এক বছর পরে ফিরে এসে মেয়েরা সবচেয়ে বেশী কি কামনা করে তা রাণীকে জানাবে। নইলে তার প্রাণদণ্ড হবে।

প্রায় একবছর এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য লােকটি বহু মহিলার স্মরনাপন্ন হয়। কেউ বলল মেয়েরা আমােদ আহমাদ ও ফুর্তি ভালবাসে। কেউ বলল মেয়েরা টাকা পয়সা খুব ভালবাসে। কেউবা বলে মেয়েরা ভালবাসার জন্য সব ত্যাগ করতে পারে। কেউ আবার বলে যে মেয়েয়া সব থেকে বেশী পছন্দ করে তোসামোদ। তোসামোদ পেলে যে কোন মেয়ে যে কোন লোককে দেহ দান করতে পারে। কেউ বা বলে মেয়েরা শৃঙ্গার রসাত্মক গল্প শুনতে ভালবাসে। আর ভালবাসে পুরুষ দেহকে দেহে ধারণ করতে। কেউ বলল মেয়েরা স্বাধীনতা পছন্দ করে। কেউ বা বলল মেয়েরা বুদ্ধিমতী একথা প্রমাণ করতে সব চেয়ে বেশী পছন্দ করে। কেউ বলল মেয়ের কথা গােপন করতে ও গােপন রাখতে পারে খুবই। কিন্তু অনেকেই একথা মানতে রাজি নয়। কারণ মেয়েদের পেটে কথা থাকে না বলেই প্রসিদ্ধ আছে।

ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বলা যায় যে মেয়েদের পেটে ব্যথা থাকে না। এ সন্বন্ধে ডেভিড লিখেছেন যে মিডানের লম্বা চুলের নীচে তার মাথায় দুটো গাধার কান গজিয়েছিল ; সে খুব বিচক্ষণতার সাথে এটির ব্যাপারটা কাউকেই জানতে দেয়নি। কারণ এটা তার পক্ষে খুবই অসম্মানের। তবে সে তার বিশ্বস্ত স্ত্রীকে এটা বলে ফেলেছিল। তার স্ত্রী খুবই বুদ্ধিমতী ও স্বামী পরায়ণ। তাই সে এটা প্রকাশ করেনি। কারণ প্রকাশ করলে তারও অপমান স্বামীরও অসমান। কিন্তু এই না প্রকাশ করার জালায় তাকে প্রতিনিয়ত এমনই জলতে হল যে শেষ পর্যন্ত সে সেখান থেকে চলে গিয়ে এক হ্রদের তীরে বসে ঠিক ” করল যে, যখন কাউকে না বলার জন্য তার মনে এত জালা হচ্ছে, তখন কাউকে বলতেই হবে। অথচ যাকেই বলবে সাত কান হয়ে তাতে তাদের নিজেদেরই অসম্মান। ফলে দুইকুল রাখতে সে ঠিক করল হ্রদের এই জলে মুখ ডুবিয়ে জলরাশিকেই সব কথা বলবে। এতে তার পেটের কথা পেট থেকে বের হল। কিন্তু জলকে সে অনুরােধ করল যে জলরাশি যেন একথা ঘােষণা না করে। ফলে এইভাবে জলে মুখ ডুবিয়ে সে জলের তলায় কথাটি প্রকাশ করল। স্ত্রীলােকের পেটে কথা যে থাকে না তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ এই ঘটনা।

এইভাবে নাইট মশাই নানা বন্দে ভুগছেন, কিছুতেই স্ত্রীলােকেরা কি ভালবাসে, কি কামনা করে সব থেকে বেশী, তার সত্যিকারের গুরত্ব বুঝতে পারছেন না। অথচ আর সময় নাই। তাকে এবার রাণীর কাছে গিয়ে জানাতেই হবে। রাণীর প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতেই হবে। নচেৎ তার মৃত্যুদণ্ড হবে। অতএব বিভ্রান্ত এই নাইট মরিয়া হয়ে ফিরে চলেছেন রাজবাড়ীর দিকে। ভাবছেন সঠিক উত্তর কি। এমন সময় চলার পথে জঙ্গলের ধারে দেখছেন অনেক সুন্দরী নারী। প্রায় দুইডজন রপসী মেয়ে নাচছে। মরিয়া হয়ে লােকটি তাদের কাছেই গেল। কিন্তু যাওয়া মাত্র দেখল। সেখানে কেউ নাই। সকলেই উধাও। কেবল এক কুৎসিৎ বৃদ্ধ বসে আছে। সে বলল, তুমি কি চাও। নাইট তার সমস্যার কথা বলতেই মেয়েটি হেসে বলল এই প্রশ্নের উত্তর ত খুবই সহজ। সে উত্তর জানে। তবে একটা শর্তে। উত্তর সে যা বলবে তা যদি রাণী গ্রাহ্য করে মেনে নেয় তবে তাকে সে যা চাইবে তাই দিতে হবে। যুবকটি তাতেই রাজি হল। কারণ তার প্রাণে বাঁচার জন্য এই বধার সাহায্য একান্ত দরকার। বৃদ্ধর বিজ্ঞ উত্তর হয়ত তার জীবন রক্ষা করবে। বন্ধ খুব জোরের সাথেই বললেন যে, সে যে উত্তর বলবে রাণী নিশ্চয়ই তার সাথে একমত হবেন।

এবার বৃদ্ধ তার কানে কানে উত্তরটি বললেন।

এবার নাইট যুবকটি তার সাথে রাজদরবারে চলে এলেন । রাণী তার পার্শচরী ও অন্যান্য সম্রান্ত কুমারী ও বিধবা মহিলাদের সমভিব্যাবহারে সিংহাসনে বসলেন ও নাইটকে বললেন তার প্রশ্নের উত্তর দিতে।

সারা সভাগৃহ নিস্তব্ধ। রাণী সিংহাসনে বসে আছেন। এবার নাইট সেই বৃদ্ধর বলা কথাটি সজোরে ঘােষণা করলেন। যুবকটি বললেন, মেয়েরা চান তাদের ভালােবাসার ব্যাপারে প্রেমের ব্যাপারে ও স্বামীর সম্বন্ধে পূর্ণ কর্তৃত্ব আর লােকজনের উপর প্রভুত্ব করতে। সেটাই আপনার ও সকল নারীর শ্রেষ্ঠ কামনা। যদিও একথা বলার জন্য হয়ত আপনি আমাকে দোষী ঘােষণা করবেন অসন্তুষ্ট হয়ে, তবুও এটাই ঠিক। এটাই অন্তরে অন্তরে আপনার শ্রেষ্ট কামনা। সকল নারীর শ্রেষ্ঠ কামনা এই কর্তৃত্ব পরায়ণতা। বিশেষ করে বামী ও প্রেমের উপর।”

রাণী একথা শুনে চুপ করে গেলেন। সকলেই বুঝলেন উত্তর ঠিকই হয়েছে । রাণী ঘােষণা করলেন যে প্রাণদণ্ড মউকুব হল। তবে এই কথা শুনে বৃদ্ধা ছুটে রাণীর নিকট গেলেন এবং বললেন যে এই উত্তরটা সে-ই লােকটিকে শিখিয়েছে। এবং তাও একটি শর্তে যে উত্তর দানের পর প্রাণ ফিরে পেলে নাইট মহােদয় তাকে সে যা চাইবে তাই দেবে । এখন সে বৃদ্ধ স্ত্রীলােক হলেও এই সুপুরুষ যুবকটিকে সে বিবাহ করতে চায়। এছাড়া আর কোন সর্ত্তে সে রাজি নয়। সে কোন কিছুর বিনিময়ে নাইট মহােদয়কে ছাড়তে রাজি নয়। নাইট এই কথা শুনে আৎকে ওঠে। তার সব কিছু টাকা পয়সা ধন দৌলতের বিনিময়ে সে বৃদ্ধাটির হাত থেকে মুক্তি চায়। সে এক কথায় বলে হায় আমার মত উচচ বংশের মানুষের এক অসম্মান একজন বৃদ্ধ ও দরিদ্র মেয়েকে বিবাহ করতে হবে। কুৎসিত প্রেমহীন এক বৃদ্ধির সাথে সারা জীবন কাটাতে হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে নাইটকে সেই কুৎসিত মহিলাকেই বিবাহ করতে হল।

ফলে অনেকে হয়ত বলবেন যে এত বড় নাইটের বিয়ে হল অথচ তার আনন্দ অনুষ্ঠান ও ভােজসভার সম্বন্ধে আমি কিছুই বলছি না। নাইট মশাই বিয়ে করলেন। তবে তার মনে আনন্দের বদলে দুঃখ ও বেদনা তাকে পীড়িত করতে লাগল। সেদিন সেখানে রাত্রে বা দিনে না ছিল আনন্দ না ছিল ফুর্তি।

বিছানায় শুয়ে নাইট কোন উত্তাপই বােধ করল না নববধুর সাথে সহবাসের। ফলে মেয়েটি রাত্রে শুয়ে নাইটের ব্যবহারে ও ঔদাসীন্যে খুবই মম্মাহত হল। মেয়েটি বলল, “হে নাইট তুমি যদি কোন কারণে আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে থাক তবে সে কথা বল। আমি সেটি সংশােধন করব।” নাইট বলল, “তুমি যে নীচ বংশের কুরুপা মেয়ে তােমার সাথে আমার কোন দিনই মিল হবে না। তুমি কোন দিনই আমার প্রেমাস্পদা হতে পারবে না।

মেয়েটি বলল, “দেখ তুমি যা বলছ তা সম্পূর্ণ ভুল। ধনীরাই একমাত্র ভদ্রলােক ও গুণবাণ একথা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। ধনের সাথে গুণের কোন সম্পর্ক নেই। যিনি গুণী ও গুণবান তার কথাই আমাদের পালন করা উচিৎ। যীশুর ইচ্ছা তার কাছ থেকেই যেন আমরা শিক্ষা লাভ করি। উচ্চ বংশজাত ব্যক্তিরা যে উচ্চচিতা করেন এমন কথা বলা যায় না। সাধারণ মানুষের ঘরেতেই ত যিশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বংশপরম্পরায় ধন সম্পত্তি ভোগ করা যায় কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান শিক্ষা উচচ বংশােদ্ভূতদের একচেটিয়া কারবার নয়।”

ফ্লোরেন্সের পণ্ডিতপ্রবর দান্তে বলেছেন ঈশ্বর চান আমরা যেন তার কাছ থেকে মহত্ব শিক্ষা করি। চারিত্রিক মহত্ব কোন বিশেষ বংশের উত্তরাধিকার হলে সে বংশের সকলেই সৎ ও মহৎ হতাে। কিন্তু তা সর্বদা বাস্তবে দৃষ্ট হয় না। বড় বংশের ও মহৎ বংশেও বহু কুলঙ্গার জন্মগ্রহণ করে। আবার গােবরেও পদ্মফুল ফোটে। সাধারণ চাষাভুষার ঘরেও বহু মহৎপ্রাণ সশিক্ষিত সন্তান দেখা যায়। দারিদ্র মানুষকে পরিশ্রমী করে। অধ্যাবসায়ী করে। ধৈর্যের সঙ্গে চললে দারিদ্র মানুষকে জ্ঞানী করে, ঈশ্বর অনুরাগী করে। আমার ত মনে হয় দারিদ্র এক মহান চক্ষ। যার চশমার ভিতর দিয়ে আমরা প্রকৃত বন্ধ ও শত্রু চিনতে পারি।

তারপর কুৎসিত দরিদ্র মেয়েটি বলল যে, “বয়সের জন্য তুমি আমাকে অবজ্ঞা করছ। কিন্তু কি জান না যে সব বিষয়ে বয়স্কের অধিকার ও সম্মান আগে। বয়ােবৃদ্ধ হওয়া গৌরবের। যুবতী ও সুন্দরী স্ত্রীর স্বামীরা বহু বিপদে পড়ে। বহু লােক তার স্ত্রীর রুপে ও যৌবনে মুগ্ধ হয়ে তার বাড়ীতে আসা যাওয়া করে। তাকে হিংসা করে। তার ক্ষতি সাধনে ব্রতী হয়। যুবতী ও রপবতী স্ত্রী মানেই ত অসতী হওয়ার সম্ভাবনা। যৌবনের উন্মাদনায় যুবতী পরপুরুষকে প্রশয় দেয়। পরকীয়া প্রেম সুন্দরী যুবতীদের অভ্যাস ওখেলা।

আমার মত দরিদ্র ও বৃদ্ধার স্বামী হলে তােমাকে এরকম কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। বার্ধক্যই সতীত্বের রক্ষাকবচ। যৌবনই সতীত্বের সঘারক। ফলে যুবতী স্ত্রী অপেক্ষা বয়স্কা স্ত্রী নিরাপদ।

ফলে তুমি কোনটা চাও। রপবতী যৌবনবতী পিনপয়ােধরা স্ত্রী চাইলে তােমার বাড়ীতে সদাসর্বদা বহু লােক গােপনে তার সঙ্গ লাভের জন্য আসা যাওয়া করবে। আর আমি যেহেতু কুরপা আমি সারাজীবন সাধী ও বিনীত স্ত্রী হয়ে তােমার সেবা যত্ন করব।

নাইট কিছুটা চিন্তা করে বলল, “হ্যা আমি তােমাকেই তােমার মতাে বিজ্ঞ নারীকেই স্ত্রী হিসেবে পেতে চাই।

এবার মেয়েটি বলল “এবার থেকে আর কোন কথা নয় শুধু প্রেম আর প্রেম।”

“এবার তুমি আমাকে চুমাে দিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দাও। আমি তােমার মনােরমা সতী সাধ্বী স্ত্রী হিসাবে জীবন কাটাব। সষ্টির আদিকাল থেকে যত স্ত্রী পৃথিবীতে এসেছে আমি তাদের থেকেও শ্রেয় ও প্রিয় হয়ে থাকব তােমার কাছ। তােমার মনরঞ্জনের জন্য সদা সর্বদা সচেষ্টা হয়।

এবার স্ত্রী বলল যে শুধু তাই নয় আমি এখন থেকে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের যে কোন সুন্দরী নারী এমনকি রাণীদের থেকেও অনেক মনােলােভাও সুন্দরী হব। এবার আমার ঘােমটা খােল। দেখবে ঠিক তাই কিনা।” নাইট তার স্ত্রীর ঘােমটা খুলে অবাক হয়ে দেখে তার স্ত্রী যেন প্রকৃতই এক সুন্দরী ও মনোলােভা পীনােদ্ধোতা যুবতী নারী। “খুশিতে ভরপুর হয়ে সে ডগমগ হয়ে তাকে আলিঙ্গন করল। চুমুতে চুমুতে তার সারা শরীর ভরিয়ে দিল। সম্ভােগ করল। শৃঙ্গার চলতে লাগল নানা যৌন অঙ্গে। একে অপরকে জড়িয়ে বলতে লাগল এবার সকল অঙ্গভরে চলক যৌনরঙ্গ।

মেয়েটি প্রার্থনা করল যে যীশু যেন পথিবীতে কেবল বিনীত, যৌবনােচ্ছল ও কানা স্বামীদের পাঠান।

Leave a Reply