পৃ-৩৩ঃ
…কামিনী সেন (কামিনী রায়)…..
আলো ও ছায়া কাব্য গ্রন্থ….
কাব্য মহাশ্বেতা……
……..( অনুবাদ। ইন্দ্রিয়েরা যেন আমাকে তুলিয়া লইয়া যাইতেছিল, হৃদয় যেন আমাকে সম্মুখের দিকে আকর্ষণ করিতেছিল, পিছন দিক হইতে পুষ্পধনু যেন ঠেলা দিতেছিল, তবু কোনও প্রকারে উহা রােধ করিয়া নিজেকে স্থির | খিলাম। তারপর আমার হৃদয়ে স্থান করিয়া দিবার জন্যই যেন আমার নিঃশাসবায়ু আমার অন্তরস্থ মদনের দ্বারা বিস্তৃত হইয়া বাহির হইল। সাভিলাষ হৃদয়কে ডাকিবার জন্যই যেন আমার স্তনযুগল স্ফুরিতমুখ হইল।
যেন যেদপ্রবাহের দ্বারা ক্ষালিত হইয়া লজ্জা গলিয়া গেল। মকরধ্বজের তী | এর পড়িবার ভয়ে গাত্ৰযষ্টি কঁপিতে লাগিল। তাঁহার রূপ ভাল করিয়া
দেখিবার জন্যই যেন কুতুহলহেতু আলিঙ্গনাভিলাষী আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হইতে রোমাঞ্চজাল উদগত হইল। প্রচুর বেদজলের দ্বারা ধৌত চরণযুগল হইতে রাগ | যেন আমার হৃদয়ে প্রবেশ করিল।)
পৃ-৬১ঃ
…..‘ইম্প্রেসেরিও’রা কি করিত তাহার একটু পরিচয় দিব। তাহারা নাগরের নিকট গিয়া বলিত :
“কুলকামিনীর অঙ্গে কর নিরীক্ষণ।
সকল সুখের স্থান হবে নিরূপণ।
ভালে ভালে চন্দননগর শােভা পায়।
চুচুড়ার সং দেখ চুলের চূড়ায় ।
সিতীর বাগানে বাবু যাপ নিতি নিতি ।
কপাল জুড়িয়া আছে দেখ সেই সিতী।
ভুরুষুট পরগণা ভুরুতে নির্যাস।
তার গুণ কহিব কি ভারতে প্রকাশ ।
কানপুর শুনেছ কেবল মাত্র কানে।
স্বচক্ষে দেখহ বাবু যুবতীর স্থানে।
শােনা আছে দানাপুর দেখা নাই তায়।
সােনাদানাপুর পাবে নারীর গলায়।
নগরের মধ্যে এক কলিকাতা সার।
প্রতি পথে কতশত মজার বাজার ।
কিন্তু দেখ অঙ্গনার অঙ্গ সহকার।
বুকে দুই কলিকাতা অতি চমৎকার।
এ কলিকাতায় সব দেয় রাজকর।
সেই স্থানে রাজাকেও দিতে হয় কর।
কটি আভরণছলে দেখ কাঞ্চিপুর।
চন্দ্রকণা চন্দ্রহারে দেখিবে প্রচুর।
অপূৰ্ব্ব নগর দেখ যার নাম ঢাকা।
শিল্পবিদ্যা সেখানে কত আঁকাবাঁকা।
কি দেখেছ রসরাজ এ কোন্ নগর
রমণীর অঙ্গে আছে ত্রিকোণ নগর।
—ইত্যাদি।
………..