……….ক্লীণ্ট দেখলাে পাথরের ওপর একটা নগ্ন মেয়েকে চেপে ধরেছে একটা পুরুষ। মেয়েটা সবেগে হাত পা ছুড়ছে। সন্ধ্যার আবছা আলােয় ওদের চিনতে পারলাে না ক্লীণ্ট। তরতর করে নিচে নেমে এলো ও। মেয়েটা সিলাে। ছেলেটিকে চিনতেও দেরি হলােনা ওর। অ্যাপাচিদের বুড়াে সর্দার ডেজার্ট লায়নের ছেলে বিগবিয়ার।………..ক্লীন্টের পায়ের শব্দে সিলেকে ছেড়ে উঠে দাড়ালো বিয়ার। দু’জনই নগ্ন। সিলের বুকের ওপরে, ওর কামড়ের দাগ। সুন্দর স্তন দুটোকে দলে মুচড়ে কামড়ে রক্তাক্ত করে ফেলেছে জানােয়ারটা।……….
……তাকে জড়িয়ে ধরলাে প্রচণ্ড আবেশে। সিলাের প্রতিটি অঙ্গের স্পর্শে স্বর্গীয় আনন্দ পাচ্ছে ক্লীণ্ট। পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলাে সে সিলাের ঠোটে, গলায়, ঘাড়ে, বুকে। ……..তারপর এক এক করে খুলে ফেললাে মেয়েটির সমস্ত পােষাক । ক্লীন্টের সামনে এখন পরিপূর্ণ এক রমণী—সিলো।……….
……….‘হু’,’ বলে ফাকটুকু পুরাে করে নিলো মিরিয়াম। ক্লীণ্ট ওর শার্টের বােতাম খুললাে। গা থেকে নামিয়ে আনলাে। তারপর নিচেরটাও। প্রথমে মাথার চুলে নাক ঠেকালাে। পুরো শরীরের সৌরভ টেনে নিচ্ছে যেন। থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে ঘঁটু মুড়ে বসে পড়লাে মিরিয়াম। ওর পাশে বসলাে ক্লীণ্ট। দু’হাঁটুর ভেতর লুকোনাে মুখ তুলে ধরলাে ক্লীণ্ট। গালে চকচক করছে চোখের পানি। আলতাে করে ওর শক্ত আঙুল ছুলাে গাল। কেঁপে উঠলাে ফের মিরিয়াম। হাত দিয়ে ঠেলে দিলো ক্লীণ্ট । শুয়ে পড়লাে মিরিয়াম। দু’হাত আলগােছে চলে গেলে মাথার পেছনে। অবাক চোখে দেখছে ক্লীণ্ট ওর নগ্ন বগলের সৌন্দর্য।……..ক্লীণ্ট আমাকে অন্তহীন বিরহ থেকে মুক্তি দাও। খুন করো আমায়।
ক্লান্টও মাতাল হয়ে গেলাে খানিকক্ষণের মাঝেই। মিরিয়ামের স্তন ছুলাে ক্লীন্টের শক্তিশালী দশটা আঙুল। বেদনায় দুমড়ে গেলো মুচড়ে উঠলাে মিরিয়াম। ওর আর্ত, বিরহ কাতর চিৎকারে থেমে গেলো বাতাস। প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা ছুয়ে যাচ্ছে ক্লীন্টের ঠোট, জিভ। কতাে সময় চলে গেলাে। ক্লীন্টের চৌদ্দগুষ্ঠি তুলে গাল দিলাে মিরিয়াম। খামচালাে। রক্তের ধারা নামছে জায়গা জায়গা থেকে। যখন মাটির গভীরে একটি শিকড় ধীরে ধীরে ঢুকে গেলে তখন জ্ঞান হারানাের দশা মিরিয়ামের। প্রথম পুরুষ ছোয়ায়। ……….চিৎকার দিয়ে উঠলাে মিরিয়াম। তিরিশ মিনিট ধরে মিরিয়ামের চিৎকারে, শীৎকারে পুরো বন, উপত্যাকা, বাতাস, আকাশ স্তব্ধ হয়ে গেলাে যেন।………….