ফুলমতি – কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..ভিতর থেকে যদি ডাকের ব্যবস্থা থাকে এই গুঁফো কুতকুতে চোখের লােকটার কোনও সাধ্য নেই ওকে আটকানাের। কিন্তু এই শিকার তাে নিজেকেই ধরতে হবে। লােকটাকে যেভাবে ম্যানেজ করে, সেভাবেই আজকে করল। চোখ মটকে একটা ইশারা করল। দু’পয়সা মাইনে পাওয়া লােকটার পুরুষাঙ্গ শক্ত করে দেওয়ার জন্য ওই চোখের মটকানিই যথেষ্ট। লােকটার চোখমুখই পাল্টে গেল। কিছু বলতে পারল না।…..

…..ভুড়িওয়ালা লােকটা বিনা পয়সায়, বিছানায় অনেক পিষেছে। তবু কেস পেলে চোখ রাঙায়। আবার কেসের শেষে বখরাও চায়। ক্যাবলা কার্তিকের কোনওটার সাহস নেই। তবে চোখ দিয়ে যেভাবে শরীর চাটে একবার বিছানায় তুলতে পারলে সারা জীবন গােলাম হয়ে থাকবে।…..

…..শার্টের দুটো বােতাম খুলে বিভাজিকাটা বিপজ্জনক ভাবে স্পষ্ট করে রিসেপশন ডেস্কের ওপর দুটো টোকা মেরে চুইংগাম একটু বেশি চিবােতে চিবােতে মিতালি বলল, “হাই।”…..

…..ছেলেটা কিছু বলতে পারল না। টাইয়ের নট টানটানি করে এপাশ-ওপাশ করল। মিতালি আপনমনে হাসল। এই হােটেলের টেকো বুড়াে, ছােট পুরুষাঙ্গের ভুড়িওয়ালা লােকটাকে বিনে পয়সায় ব্যবসার খাতিরে শরীর অনেকবার দিয়েছে। শুধু রগড়ের জন্য এই ক্যাবলা কার্তিককেও একদিন বিছানায় নিতে হবে।……

…..মিতালি একটু ঝুঁকে বসল যাতে বিভাজিকা আরও গভীর থাকে। স্তন দুটো আরও সম্মােহনী হয়।…..

……এমন সময় পিছন থেকে দুটো নিটোল ফর্সা হাত কাঁধের ওপর দিয়ে আলডার্টের বুকের ওপর পড়ল। পিঠে লিজার স্তনের স্পর্শ পেলেন। মেয়েটা যেন বয়সটাকে বাঁক ঘুরিয়ে যৌবনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।……

…..মিতালি হাতটা আবেলের গলায় জড়িয়ে রেখেই বলল, “সে কী! তুমি তােমার ট্যাবে আমাদের ছবি তুললে না? নাকি তােমার নম্বরটা আমাকে দেবে, হােয়াটসঅ্যাপ করে দেব? তােমার কাছে আমার ছবি থাকলে আমাকে মনে থাকবে কীভাবে?”

আবেল আলতাে করে মিতালির হাতটা ছাড়ানাের চেষ্টা করতেই মিতালি দু’হাতের তালু দিয়ে জোরে আবেলের গালদুটো ধরে ঠোঁটে গভীর একটা দীর্ঘ চুমু দিল। তারপর আবেলের একটা হাত উঠিয়ে নিয়ে নিজের স্তনের ওপর রাখল।

‘মাত কর মাঈ…”।

মিতালি একটু চমকে উঠল! নিজের কানে ঠিক শুনল কী? সাহেব ছেলেটা শিউচরণের ‘ভাষায় কথা বলে উঠল। আবেলকে একটু ঠেলে সরিয়ে দিল। বিছানায় যেতে চায় না। কিন্তু ঠোঁটে ঠোঁট দিয়েছে, স্তনে হাত দিয়েছে। এটা ভাঙিয়েই গােলাপি নােটগুলাে নিয়ে নিতে হবে। একটাই শুধু সাবধানতা… বেশি জোরাজুরি করে ভয় দেখিয়ে টাকা নিলে ইন্টারনেটে হােটেলগুলাের ওয়েবসাইটে ছেলেটা যদি উল্টোপাল্টা কিছু লিখে বসে, আর সেটা যদি ওই উঁড়িওয়ালা কামুক ম্যানেজারটার চোখে পড়ে, আর কোনদিন এই হােটেলে ব্যবসা। করতে আসতে পারবে না।……….

Leave a Reply