প্লেক্সাস – হেনরি মিলার

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আবু কায়সার

…….. মেয়েটাকে হাত ইশারায় উঠতে বললাে। আমিও উঠবে কিনা—এই রকম ভেবে জিজ্ঞাসু চোখে তার দিকে তাকাতেই নেড বলে উঠলো—উঠতে হবে তােমাকেও তবে এক্ষুনি নয়। আপাততঃ ওইখানেই লক্ষ্মী ছেলেটির মতাে বসে বসে তুমি নুড অাকা দেখবে। দেখেছো কি, এর আগে ? যাই হােক একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নাও এই ফাকে। কিন্তু আসল কাজ হবে পরে তাতে অংশ নিতে হবে তােমাকেও। এখন তুমি নেডের নুড অাকা দেখাে মুড নিয়ে। হাঃ হাঃ হা।’ বলে মেয়েটির দিকে চেয়ে মাথাটা ঝকানি দিলাে। মেয়েটি তার সােনার তারের মতো চুলগুলােকে ক্লিপের বাধন থেকে মুক্ত করে দিয়ে ইয়েলের কাছে গিয়ে দাড়ালো। তার পর একটা একটা করে পােষাক খুলতে লাগলাে অভ্যস্ত ভঙ্গীতে। সবগুলো পােশাক কার্পেটের ওপর রেখে সে যখন লীলায়িত দেহে ঘুরে দাড়ালাে-শরীরটা ঝাকি দিয়ে উঠলো আমার। এমন নিখুত নিতম্ব কি করে হয়, আমার মাথায় এলােনা। সাধারণ মাপের চেয়ে বেশ খানিকটা উচু। দুটি গােলাপী রাবারের পর্বতের মাঝখানে অন্ধকার সরু গিরিখাত । ওখানে সামান্য একটু স্পর্শ করলেই যেন আগুন জ্বলে উঠবে। উরু এবং গােড়ালীর গড়ন দুর্দান্ত। আগে যা ধারনাও করা যায়নি। ওর শরীরের একটা অদ্ভুত ঘ্রাণ মুহর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো সারাটা কক্ষে। নেড উল্লসিত কণ্ঠে বলে উঠলো, “বাঃ বেৰি বাঃ। এবার একটু ঘুরে দাড়াও না সুন্দরী। অতো শরম কিসের। মস্ত বড়ো একজন লেখকের সামনে ন্যাংটো হয়েছো আজ তুমি। এতো গর্বের কথা। বলতে বলতে সুইং ডােরের মতো সে ঘুরিয়ে ধরলো মেয়েটাকে। পাছার তুলনায় স্তনযুগল নাতিবৃহৎ । কিন্তু তলপেটটা ঠিক মরুদ্যানের শান্ত সবুজ চাতালের মতোই। যেখানে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করতে পারে চাঁদে পাওয়া লেমিং হরিণেরা। চিয়ান্তির নেশায় মেয়েটার চোখ দুটি ঢুলু ঢুলু। সে অল্প অল্প ঢুলছিলো নেড ওর একটা পা ছােট টুলের ওপর রেখে, কোমর বেকিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেখিয়ে দিলাে, কীভাবে পােজ দিতে হবে। মেয়েটি হাসলো। তারপর গিয়ে দাড়ালাে নেডের দেখিয়ে দেওয়া ভঙ্গীতে। রক্তের মধ্যে যেন আগুন ধরে গেছে আমার। ঝা ঝা করছে কান দুটো। মনে হচ্ছিলাে, হয় এক লাফে উঠে গিয়ে সােনালী চুলের মেয়েটাকে ঝাপটে ধরি অথবা স্টুডিওর দরজা খুলে সবেগে রাস্তায় গিয়ে নামি। কিন্তু নেড কেমন আশ্চর্য রকম নির্বিকার। সে ক্যানভাসের ওপর সৎ সৎ তুলি চালাচ্ছে। ম্যাজিকের মতো ফুটে উঠছে নগ্ন শরীরের আউট লাইন। হুবুহু ওই মেয়েটা। মেয়েটাকে নানাভাবে বসিয়ে, দাড় করিয়ে, শুইয়ে ছবি অাঁকতে লাগলাে নেড ক্ষ্যাপার মতো। যেন ওর কোনাে হিতাহিত জ্ঞান নেই। যেন বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেছে। ছবি অাকার সঙ্গে সঙ্গে নেড অবিরাম টিপে চলেছিলাে তার ক্যামেরার শাটার। এক ঢিলে দুই পাখি মারার এমন কায়দা আমি কখনাে দেখিনি। …ছবি আকা শেষ হলে নেড পকেট থেকে এক গােছা নােট বের করে গুজে দিলো মেয়েটার হাতে। মেয়েটা মুহর্তের মধ্যে টাকাগুলো নিয়ে খুলে রাখা পােশাকের নীচে রাখা হাত ব্যাগের ভেতর রাখলো। যেন তার গুণে দেখার সময় নেই। অথবা জানাই আছে কতাে টাকা আছে সেখানে। খুবই অভ্যস্ত এবং পরিচিত ভঙ্গী তার। নেড ক্যামেরাটা নিয়ে আলমারির ভেতরে আটকে রাখলাে। তারপর নিচের তাক থেকে বের করে আনলো দুই জিনেযর বােতল। চোখ দুটো জ্বল জ্বল কয়ে উঠলো মেয়েটার। সে ওপাশের ডিভানের ওপর আধ শােয়া অবস্থায় বােতলটার দিকে তাকালো তৃষ্ণার্তের মতো আমার গলাটাও শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়ে ছিলো একেবারে। ……. তিনটে পেয়ালার বরফও এনে দিলে তিন টুকরাে মেয়েটায় পাশে গিয়ে বসলো সে তারপর। দু’হাতে দু’টো গবলেট। মেয়েটা স্তন জোড়া উদ্ভাসিত করে হা করলো। তারপর নেডের হাত থেকে পাত্রটা নিয়ে এক চুমুকে খেয়ে ফেললো সবটুকু জিন। একটা মৃদু ঢেকুর উঠলো তার। তলপেটটা ঝুঁকি মেরে উঠলো একটু খানি। নেড ওখানে বসেই মেয়েটায় স্তনের বোটায় চুমু দিলাে। মেয়েটা ককিয়ে ওঠে চোখ মুদে। খানিকটা নেশা হয়েছে মনে হয়। নেড মেয়েটার নাভির ওপর চুমু খেলো আর একটা। আরো শব্দ করে ককিয়ে ওঠে ব্লন্ড মেয়েটা। সাদা আলাের নিচে সােনালী চুলগুলো ঝলমল করে ওঠে ওর। হঠাৎ নেডের প্যান্টের জিপ টেনে ফাক দিয়ে ডান হাতটা সাপের মতো ঢুকিয়ে দেয় সে। তারপর হ্যাচকা টানে বাইরে বের করে আনে ওর মােমবাতির মতো সাদা ও শক্ত শিশ্নটাকে। নেড সামলে ওঠার আগেই সেটি খপ করে মুখের মধ্যে পুরে প্রাণপণে চুষতে থাকে মেয়েটা। তার সারা শরীর কাপছে । যেন হিস্টিরিয়া রােগী। যেন আইসক্রিম খাচ্ছে সে মনের আনন্দে। একটা আওয়াজও সে করছে থেকে থেকে। হিংস্র ক্ষুধার্ত শাপদের মতাে। কিন্তু মিনিট তিনেকের মধ্যে কাতর আনন্দময় শব্দ করে কার্পেটের ওপর গড়িয়ে পড়লো নেড। মেয়েটা তখনাে মুঠোয় ধরে আছে নেডের নুনু। এবং নুনুটার মুখ থেকে অগ্নেয়গিরির লাভার মতাে সাদা আঠালাে বীর্যের স্রোত উৎক্ষিপ্ত হয়েছে শুন্যে। মেয়েটা হা করে সেই বীর্ষ খেতে লাগলাে ক্ষুধাতের মতো। যেন কতােকাল অনাহারে থাকবার পর সে প্রাণ ভরে অমৃত পান করছে। দৃশ্যটায় বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করলাম আমি! যৌনতার ব্যাপারে নেড আমার কাছে নেহাৎ নাবালক । কামলীলার অ আ ক খ ও সে শেখেনি এ পর্যন্ত। নইলে নুড একে এবং একই সঙ্গে সেই অবয়বকে ক্যামেরাবন্দী করে যে যৌনাচরণ সে শুরু করেছিলাে, তাতে মুন্সিয়ানার লক্ষণ থাকলেও, এক ক্ষণস্থায়ী নবিশী ছাপ দেখলাম আমি । অবশ্য মেয়েটা সাড়া দেবার ব্যাপারে বেশ গ্রহণযােগ্য। ঠাণ্ডা পাথরকে তাতিয়ে তােলার ক্ষমতা সে রাখে। কিন্তু নেড একেবারে আনাড়ী। আদেখলাও বলা চলে তাকে। নইলে এমন রাজসিক আয়োজনের এক দুর্লভ আগুনে এমন করে কেউ পানি ঢেলে দেয় । নেড উঠে বসে প্যান্টের জিপ ফাসটা টেনে দিয়েছে। মেয়েটাকে ডিভানের ওপর উপুড় করে শুইয়ে পাছার ওপর আলতােভাবে কামড় দিলাে সে। মেয়েটা কপট আর্তনাদ করে উঠলো কুকুরীর মতাে। তারপর নেডের শুকনাে গালে সশব্দে চুমাে খেলাে। নেড চোখ-ইশারায় ডাক দিয়েছে আমাকে। কিন্তু আমি যেন হঠাৎ কেমন শিটিয়ে গেছি। ……… অনেকটা সেই ক্ষতিটকু পুষিয়ে নেবার জন্যেই আমি মেয়েটির পাশে গিয়ে বসলাম। মেয়েটা মুখ গম্ভীর করে আধ শােয়া হয়ে বসেই আছে ডিভানের ওপর। আমি পাশে গিয়ে বসতেই মুখখানায় আলাে ফিরে এলো ওর। একটু ঘুরে বসলো। ফলে ওর সুচালো স্তনের নরম ধাক্কা লাগলো আমার উরুর ওপর। গরম হয়ে উঠলো শরীরটা। আমি ওর একটা হাত তুলে নিলাম আমার কোলের ওপর। হাতের আঙুলগুলােও ওর সুন্দর। নখের হালকা গােলাপী পালিশ যেন ওর গায়ের রঙের সঙ্গেই মিশে আছে । ওর মুখটার চারদিকে নোংরা লেগে আছে। আমি পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখটা মুছে দিলাম ওর। তারপর হাত রাখলাম তলপেটের ওপর। বলতে গেলে ওর তল পেটটাই আমাকে মারাত্মকভাবে টানছিলাে প্রথম থেকেই। আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কিছুতেই যে, নেড ওর নাভিতে চুমু দিলেও এক – বারও কেন তল পেটের ওপর হাত রাখলাে না কিংবা সেখানে আঙ্গুল বুলিয়ে দিলোনা। যাহোক, আমি ডিভানে বসে আমার উরুর ওপর মেয়েটার স্তনের স্পর্শ অটুট রেখেই ডান হাত ঘুরিয়ে রাখলাম ওর নাভির নিচে। শিউরে উঠলাে মেয়েটা। একটা অস্পুট ধ্বনি শােনা গেলাে যেনাে ওর অস্তসুলের ভেতর। আমি ওকে কোলে এনে বসালাম। তারপর উপুড় করে শােয়ালাম আমার দুই উরুর ওপর আড়াআড়িভাবে। ওর তলপেটটা থাকলো আমার শিশ্নের ঠিক ওপরেই।

আর কি চাই ? আমি পরম তৃপ্তিতে দু’চোখ বুজে যেন জীবন্ত শবের আরাধনায় নিমগ্ন হলাম। নেড কাপেটের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে জিরােচ্ছে ; ঘাড় বাঁকা করে সে আমাদের লক্ষ্য করছিলাে থেকে থেকে। তার মুখটা বেশ খুশি খুশি। যেন মাছ যে এবার টোপ গিলবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। একবার আমাদের দিকে আর একবার ইজেলের স্কেচের দিকে তাকিয়ে ফুর্তিতে শিস দিয়ে তুড়ি বাজাতে লাগলো ভবিষ্যতের আর্ট ডিরেকটর। জানালার বাইরে মেয়েগুলোর নড়াচড়া এখন আর চোখে পড়ে না। আমি প্যান্টের হিপ পকেট থেকে এক গােছা নােট বের করে মেয়েটার হাতে দিলাম। এবার কিন্তু টাকা নেবার ব্যাপারে ব্যস্ত সমস্ত ভাব দেখালাে না সে। বরং ডালারগুলাের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো। আমি তখন ওর চোখের সামনে থেকে টাকাগুলাে সরিয়ে এনে পরম স্নেহে, মেয়েটির তুলতুলে পাছার ওপর চুমু খেলাম। উষ্ণ, মসৃন বিচিত্র ঘ্রানময় নিতম্বটি যেন ঈষৎ কেঁপে উঠলো। আমি আবার চুমু দিলাম। একই জায়গায়, অন্য পাশে । আবার আমার উরুর ওপর ওর শরীরের মৃদু ঝাকানি অনুভব করলাম আমি আশ্চর্য, এই কম বয়েসী কুত্তীটার দেহমন এখনও অসাড়, গতানুগতিক ও যান্ত্রিক হয়ে ওঠেনি। এখনো শিহরণ জাগে এই দেহে। হাতের সীমার মধ্যেই স্কার্টের নিচে ওর হাতব্যাগটা। আমি ডলারগুলাে রেখে দিলাম সেই হ্যান্ড ব্যাগের মধ্যে। ম্যাকফারল্যাণ্ড বেশ কিছু টাকা আগাম দিয়েছেন। পুরাে টাকা মােনার হাতে তুলে দেবার পর মােনা আমাকে যা দিয়েছে, তার সব ক’টাই ছিলো আমার প্যান্টের পকেটে। পুরাে টাকাই দিয়ে দিলাম মেয়েটাকে। ও আজ আমাদের যা দিয়েছে তার তুলনায় কিছুই নয়। ফেরার সময় রাস্তা খরচাটা নেডের কাছ থেকে দিব্যি চেয়ে নেয়া যাবে। ব্লণ্ড মেয়েটা হঠাৎ উঠে বসে গলা জড়িয়ে ধরলাে আমার। পরপর দু’তিনটে চুমু খেলাে আমার দুগালে। তারপর আমাকেই তুলে নিয়ে বসলাে ওর কোলের ওপর। মিনিট খানেক বােকার মতো থেকে আমি নেমে যেতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু দুষ্টু মেয়েটা আমায় প্যান্ট খুলে ফেলেছে ত্রস্ত হাতে। এবং আমি বাধা দেবার চেষ্টা করার আগেই সে মুখােমুখি বসে আমার লৌহ দণ্ডের মতো টান টান পুরুষাঙ্গটি ঢুকিয়ে দিলো নিজের দপ, দপ করতে থাকা যােনীর মধ্যে। চুম্বকে যেমন আলপিন টানে, ঠিক সেইভাবে আমার লম্ফমান নুনুটি মুহুর্তে অদৃশ্য হয়ে গেলাে এক উষ্ণ অন্ধকার ও পিচ্ছিল রন্ধের ভেতর। সত্যি বলতে কি কয়েক মিনিট আমার কোনো চেতনাই যেন ছিলােনা। নিজেকে ফিরে পেলাম সর্গীয় সঙ্গীতময় রামধনুর এক অলৌকিক প্রকোষ্টে কোনাে উলঙ্গ পরির সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায়। সঙ্গম মাত্রই সুখ হয়না। রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া বড়ই রহস্যময়। আমি নিশ্চয়ই আমার জীবনে এই সময়টুকু পর্ষন্ত অনুমানিক পনেরো হাজার বার নারীসঙ্গে লিপ্ত হয়েছি। কে যেন বলেছিলো, একটি মানুষ তার জীবনে ত্রিশ হাজার বারের বেশি বার রমন করতে পারেনা। আমি, তাহলে আছি মাঝামাঝি পর্যায়ে। বহু বিস্ময়কর সঙ্গমের স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমার তৃষ্ণার্ত শিঙ্গে। বহু আনন্দ এবং বেদনাবহ ঘটনার ছাপ। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা কেমন যেন অন্য রকম। কেমন অল্পসুলভ, কীরকম অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। সঙ্গমে এতাে গভীর পুলক কবে পেয়েছি স্মরণে আসেনা। আধঘন্টা কোথা দিয়ে কেটে গেছে জানিনা। এর মধ্যে তিনবার বীর্যস্খলন হয়ে গেছে আমার। মেয়েটাও খুব সম্ভব দু’বারের কম শীৎকার করে ওঠেনি চরম পুলকে। কিন্তু আমাদের উভয়ের ক্ষুধাই যেন আজ সর্বগ্রাসী। আমরা ব্যাত্যাতাড়িত তরণীর মতাে ওলট পালট হতে হতে কখন যে কার্পেটের ওপর গড়িয়ে পড়েছি, জানিনা। চমক ভাঙ্গলো, নেডের দিকে চোখ পড়তে। আশ্চর্য ব্যাপার। চোখের ওপর এমন আদিম লীলা দেখতে দেখতে কেউ ঘুমিয়ে পড়তে পারে, তা বিশ্বাস করতে বাস্তবিক কষ্ট হচ্ছিলাে আমার।…….

………চাইলে তাও পাৰে আমার হাত ব্যাগে। কথায় বলে, অসুখ বিসুখের সঙ্গে কোনাে খাতির নেই।’ এইবার খানিকটা চমক লাগলো আমার। এ পর্যন্ত বহু নারীর সংসর্গে আসার সুযােগ হয়েছে। কিন্তু শুরু করার আগে সুস্থতা-অসুস্থতা সম্পর্কে এহেন পরীক্ষা দেয়া এবং নেয়ার ঘটনা কখখনাে দেখিনি। নিজের শরীরের সমস্ত পােশাক খুলে ফেললো লিজি। লাল আলাের নিচে ঝলমল করে উঠলাে সে একটা জলপরী মতােই। নিখুত গড়ন ওর। বেশ পরিস্কার বলেও মনে হচ্ছে। সন্ধে থেকে মাঝরাত অব্দি ক’টা ক্ষেপ মেরেছে, জানিনা। কিন্তু একটু আগেই তো ওমরা লাগিয়ে গেলাে। ওর মােমের মতাে সাদা শরীরে একটা লালচে অচড়ের দাগও নেই। আমি বেশির ভাগ রমনীকেই দেখেছি যােনি ঢেকে রাখে অবাঞ্ছিত কেশরাশিতে। কিন্তু লিজির যৌনাঙ্গের ওপর দিকটা যেন ছােট একটা শান্ত চাতাল। মার্বেল পাথরের তেকোনা টুকরো কোনাে রাসায়নিক উপায়ে নরম করে নিলে যা দাড়াবে, অবিকল তাই। পরিপাটি করে বাল এবং যােনির ওপরকার বাল কেটেছে সে। এক কথায়, লাল আলাের তীব্র উচ্ছাসের ভেতর লিজি এখন দাড়িয়ে আছে যৌনআবেদনময় একটা স্ট্যাচুর মতো। আমি বিছুক্ষণ দেখলাম ওর আপাদমস্তক। ও-ও দেখছিলাে আমাকে। কিন্তু আমাদের দু’জনকেই মনে হলো ব্যস্ত সমস্ত । ওর আছে আরেক মক্কেল পাকড়াবার ধান্দা। আমার রয়েছে ঘুম। লিজি চট করে উবু হয়ে পড়লো মেঝের ওপর। হাটু এবং হাত দুটোর ওপর ভর দিয়ে একটা মাদী হরিণের ভঙ্গীতে প্রস্তুত হয়ে সে নিরব শীৎকারে আহবান জানালাে আমাকে। ওর পাছার নিচে অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে স্ত্রী-অঙ্গের। নিটোল নিমর্ম সেই মরনাস্ত্রটি যেন মৃদু মৃদু কম্পিত হচ্ছে বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। এই কম্পন স্বতস্ফূর্ত নয় খুব সম্ভব। জীবিকার ক্ষেত্রে উপযােগিতা বাড়াবার ইচ্ছায় বহু সাধনার পর হয়তো এই শারীরিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে মেয়েটির পক্ষে। সাধনায় যে সে সফল হয়েছে সে কথা স্বীকার না করে উপায় নেই। ওই ভয়াবহ অস্ত্রটির দিকে তাকিয়ে মনে হলাে, আমার তলপেটের নিচে মাংসল দণ্ডটি পরিণত হয়েছে ইস্পাত খণ্ডে। যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জিনিসটা এক্ষুণি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেঝের ওপর ছিটকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। অথবা একটা বাত্যা-তাড়িত চড়ুইয়ের মতাে তা পাশের খােলা জানালা দিয়ে উড়ে চলে যাবে অজানার দিকে। নিতম্ব এবং উরুর মাঝামাঝি সেই ত্রিকোন জায়গাটা গড়ে উঠার সঙ্গে সংগে কীরকম একটা আশ্চর্য গন্ধও যেন ছড়িয়ে পড়ছে চার পাশে ! না, এ কোনাে সেন্টের গন্ধ নয়। কোনো ফুলের গন্ধও নয়। বিশেষ সময়ে বিশেষ ধরনের এই ঘ্রানটি ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। গন্ধটা যে যোনির ফুটো দিয়েই বাইরে বেরিয়ে আসছে, তাতে আর সন্দেহ কি ? 

আমি অবিলম্বে চেপে বসলাম মেয়েটির ওপর। চেপে বসলাম, মানে, ও যেমন পশুর ঢঙে বসেছে। আমিও সেরকম পশুর আদলেই চড়াও হলাম ওর ওপর। কোনাে ফালতু ধানাই পানাইয়ের ধারে কাছেও না গিয়ে সরাসরি মুন্ড ঢোকালাম ওর পুষির মধ্যে। চপ, করে একটা শব্দ হলাে একবার। তারপর শুরু হলো এক প্রলয় কাণ্ড। মুলত সারাটা হল ধরেই বিচরণ করলাম আমরা পরস্পর সংলগ্ন অবস্থায়। যেন বিরতিহীন এক সংগম প্রতিযােগিতায় শেষ পর্যন্ত টিকে আছি আমরা দু’জন। কেউ হার মানতে রাজি নই-এই দু’জনের মধ্যেও। ঘােরের মধ্যে একবার কেবল আমার নুনুটা ভীষণ জোরে চিবুতে দেখলাম লিজিকে। এবং তারপর আর কিছুই মনে নেই আমার।.….

……..মােনা আমার ঠোটের ওপর আঙুল রাখলো। তারপর অন্য হাতে খুলে ফেললো আমার প্যান্টের জিপার । সোনার চাদ ইতিমধ্যে গরম হয়েই আছেন। রাদা করা গেল কাঠের টুকরাের মতো শক্ত হয়ে উঠেছে শিশ্ল। ফুলছে সে আস্তে আস্তে। শিরদাড়ার একদম নিচের দিকে থির থির করে কাঁপছে। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। মোনা এক হাতে আমার প্যান্ট ও অন্যহাতে নিজের নাইটি খুলে পায়ের কাছে ছুড়ে ফেললো। সৃষ্টির আদিম প্রভাতে দুই আদিম নরনারীর মতোই এখন আমরা বাহুল্য বর্জিত। মােনার স্তন যুগােল পুরনাে হবে না কখনো। এখন সে আমার স্ত্রী। আমি তাকে নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারি। করিও। সে-ও করে। কিন্তু অাশ্চর্যের ব্যাপার এটাই যে তার বিবসনা দেহ প্রত্যেকবারই আমার কাছে নতুন মনে হয়। মােনা এক সময় ঘুরে গিয়ে আলতােভাবে চুমাে খেলো আমার নুনুর মাথায়। তারপর বিড়ালীর মতাে কামড়ে দিলো আস্তে করে। আমি ওকে ঘুরিয়ে এনে ঠিক আমার বুকের ওপর বসালাম। শিশ্লটা যেন আমার তলপেটের তলা থেকে রকেটের মতো ছিটকে বেরিয়ে যাবে। মােনার নাভি জ্বল জ্বল করছে আমার চোখের সামনে। ঘাড়টা বাঁকা করে চোখ দুটো রাখলাম ওর যােনির দিকে। শেত পাথরের ত্রিকোন সরােবরের মতাে ঝলমলিয়ে উঠলাে পৃথিবীর সবচেয়ে কাঙ্খিত কেন্দ্রটি। আমি বারবার বলি, জনন্দ্রিয়ের চারপাশে রোমরাজির অস্তিত্ব খুব স্বাভাবিক। মরুভূমিতে যেমন মরুদ্যান থাকে, এগুলােও ঠিক তেমনি। এর দরকার আছে । কিন্তু ঈশ্বর প্রদত্ত এই সৌন্দর্যের এই স্বাভাবিক উপকরণকে মােনা সহ্য করতে পারেনা। সে নিজে লােমনাশক সাবানের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমাকেও সে সময় হলেই নিজ হাতে পরিস্কার করে। পরিস্কার করে এ জন্যে যে, আমি তাহলে ফাঁকি দেবো আমিও মাঝেমধ্যে মােনাকে সাফসুতরাে করি। কিন্তু, কাজেকর্মে পরিপাটি নই বলে নিজেও আবার হাত লাগায় সেখানে। দামী ক্রীম এবং লােশন মাখে। আমাকেও মাখিয়ে দেয়। মােটকথা এ ব্যাপারে তার বিশুদ্ধবাদিতা প্রায় শুচিবাইয়ের মতােই মনে হয় আমার কাছে। মনে হচ্ছিলাে, ওর যোনিটা অল্প অল্প কাঁপছে। যোনি মুখটা ঈষৎ ফাক হয়ে আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পিচ্ছিল একটু ক্ষুদে মাংস পিন্ড। সুচালো এবং কম্পমান। জীবন্ত আগ্নেয়গিরির অালীমুখের মতােই ফুটোর ভিতরটা লাল। যেন আগুন জ্বলছে সেখানে ধিকি ধিকি। আমি হ্যাচকা টানে ওকে আনলাম সামনের দিকে। ওর নিতম্বটা এখন আমার গলার ওপর। ও দু’দিকের পায়ের ওপর ভারসাম্য রেখে ধপাস হওয়া থেকে মুক্ত রাখলাে আমাকে। আমি আর সহ্য করতে না পেরে ওর যােনির ফুটোয় ঢুকিয়ে দিলাম আমার তৃষ্ণার্ত জিহ্বাটাকে। যেন একটি সাপ ঢুকে পড়লাে নিজের গর্তে। আবেগে একটা শীৎকার ধ্বনি করে উঠলাে মোনা। সেই সংগে আমার গলা থেকেও বেরুলো একটা বিচিত্র আওয়াজ। সংগমকালীন এই শব্দ যেন পশুদের শব্দের মতোই দুর্বোধ্য এবং সমশ্রেণীর! জিহবাটা ওর যােনির ভেতর ক্রমাগত নড়ছিলাে। আর সেই সংগে থর থর করে কাপছিলাম আমরা উভয়েই। হঠাৎ একটা অস্ফুট চীৎকার দিয়ে মােনা ছিটকে পড়লাে বিছানার ওপর। আমিও সংগে সংগে ঝাঁপ দিয়ে পড়লাম ওর ওপর। স্তনের বােটায় কামড় দিয়ে তলপেটে চাটতে চাটতে পিঠের নিচ দিয়ে একটা হাত ঢুকিয়ে দিলাম ক্ষিপ্র গতিতে। তারপর আমার ত্রিগুন বর্ধিত শিস্নটি সরাসরি ঢুকিয়ে দিলাম ওর হা হয়ে থাকা জনন-রন্ধে, । এক মিনিট পর মনে হলাে, আকাশ ভেংগে পড়ছে আমার মাথায় ওপর। সমুদ্র ফুসে উঠছে। প্রচণ্ড ঝড়ে আন্দোলিত হচ্ছে গাছপালা। একশোটা বাজ একসঙ্গে গর্জে উঠছে অকল্পনীয় আওয়াজে। মুছিত হয়ে পড়লাম খুব সম্ভব আমরা দুজনই।…….

……..কিন্তু ওদিকে আমার নজর নেই। আমি তখন জড়িয়ে ধরে আছি নীল জলাশয় থেকে সদ্য উঠে আসা একটা জলজ্যান্ত জল বন্যাকে। এক ধরনের অদ্ভূত উত্তাপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আমার শরীরে। বিচিত্র একটা ঘ্রান পাচ্ছি আমি। যা কোনাে সেন্টের নয়। সুন্দরী রমনীদের দেহ থেকেই সাধারণত এরকম অষ্টত গন্ধ পাওয়া যায়। মােনার শরীরেও এক ধরনের ঘ্রান আছে। তবে সেই ঘ্রান অন্য়রকম। দশ মিনিটের মধ্যে ডায়ানা দখল করে নিলাে আমাকে। আমার ইষ্টানিষ্ট ভূতভবিষ্যত সবই এখন তার হাতে। পনেরাে মিনিটের ভেতর আমি দেখলাম, ডায়ানা আমাকে কোলে নিয়ে বসে আছে। অর্থাৎ কার্পেটের ওপর, সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় পা ছড়িয়ে বসে আছে সে। আর তার সুডোল সুঠাম উরুর তাকিয়ায় শায়িত আমি। বিশ মিনিটের মাথায় শুরু হয়ে গেলাে টর্নেডো। ডায়ানা আমাকে কোলে নিয়ে বসে ছিলাে লীলায়িত ভঙ্গীতে। হঠাৎ এক ঝটকায় নিজেকে বের করে নিলাে আমার শরীরের নিচ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে ডান স্তন দিয়ে চেপে ধরলাে আমার মুখে। এটা সুগন্ধী বলের মতো স্তনের তলায় রুদ্ধস্বাশে মরতেও যেন রাজি আমি। কিন্তু মেয়েটি ডান স্তন নিয়ে স্তনে চেপে ধরলাে আমার প্রকম্পিত পুরুষাঙ্গ। মনে হলাে, একটা বেলুন ভেদ করে চলে গেলাে একখানা ধারালাে ছুরি। স্তন সরিয়ে ডায়ানা মুখের ভেতর তুলে নিলে আমার শিস্ন।  চুষতে লাগলাে অবিরাম। ‘ৰাঃ মেয়ে বহ।’  সমস্বরে বাহবা দিয়ে উঠলাে ও মারা আর নেড। ‘কামকলার দেবীর দয়া হয়েছে তােমার ওপর হেনরী।’ বললাে নেড। ভাগ্যবান পুরুষ তুমি। দাওয়াত করে আনলাম আমরা—আর মজা লুটছে হেনরী মিলার।’ ও মারা ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে বললাে। আধ ঘন্টার মধ্যে আমার নুনু – ডায়ানার পুষির ভেতরে ঢুকে গেছে। আমরা গড়াগড়ি খাচ্ছি নরম কার্পেটের ওপর ওই অবস্থাতেই। কাটা স্যামন মাছের মতো ছটফট করছি আমরা। বস্তুতঃ বাহ্যজ্ঞান শূন্য। প্রচণ্ড অন্ধ কামবেগে উন্মত্ত দুটি প্রাণ ছাড়া এই গভীর নিশীথে পৃথিবীর আর কেউ জেনে নেই। আমার নিমীলিত চোখের সামনে এক কালো সমুদ্র। সেখানে অনুভূতির প্রগাঢ় ফসফরাস জ্বলজ্বল করছে পরমানবিক জোনাকি মতাে। …… চমক ভাঙলাে ডায়ানার গলার আওয়াজে। হাই, রাইটার।’ খসখসে, ভাঙ্গা ভাঙ্গা যৌনাতুয় গলায় সে বলে উঠলাে, ‘আমাকে ওঠাও তো। আমি উঠে বসতে পারছি না।’ আমি আস্তে আস্তে উঠে বসে ডায়ানাকে তুললাম। তার যােনিটা তখনাে ফাক হয়ে আছে ইঞ্চিখানেক। সেখান থেকে গড়িয়ে পড়ছে তরল ও পিচ্ছিল যৌনরস। ডায়ানা মাঝে মাঝে মাথা নিচু করে দেখছে-সেই অবিস্মরণীয় দৃশ্য। এ ধরনের ঘটনা সৰ সময় ঘটে না। যান্ত্রিক রতিক্রিয়া সম্পন্ন হয় খুবই সাধারন, সাদামাটা ভাবে। সংক্ষিপ্ত এবং ছক বাধা। কিন্তু কোনাে কোনাে সময় এই জৈবিক-মিলন হয়ে ওঠে একটা ঘটনা। …..কিন্তু ডায়ানা আমাকে ধরে নিয়ে বেডরুমে এলাে। তারপর শুইয়ে দিলাে বিছানায়, আলতােভাৰে। গাঢ় গভীর চুম্বনে আমাকে নতুনভাবে রােমাঞ্চিত করে সে স্খলিত পায়ে হেঁটে গেলে ড্রইংরুমের দিকে। জানি, সেখানে মুখব্যাদান করে বসে আছে দুই ক্ষুধার্ত কুকুর। এও জানি, সেই দুই ক্ষিপ্ত সারমেয়কে শান্ত করবে অনতিবিলম্বে। ডায়ানার বিষন্ন নগ্ন হেঁটে যাওয়া দেখে বুকটা দুলে উঠলাে আমায়। বড়াে মায়া হলাে ওর জন্যে। ইচ্ছে হলো, এক্ষুনি বিছানা থেকে উঠে গিয়ে বাধা দিই ওকে। যাতে ও ড্রইংরুমে যেতে না পারে। ……

…….যতােদূর জানি, তাতে পৃথিবীর কান্না কাছেই আমাকে ক্ষুদ্র করার প্রবৃত্তি তার কোনােদিনও হবেনা। তাহলে কোন অনুপ্রেরনায় সে উপকূল অঞ্চল থেকে উড়ে আসা কাকের মতো ওই এলােমেলাে মেয়েটাকে নিয়ে নাচানাচি শুরু করেছে। স্বর্গীয় রমনীরা নাকি পুরুষদের প্রতি যৌনগত ভাবে নিরাসক্ত হয়। কিন্তু মােনার সঙ্গে দৌহিক মিলন কালে এরকম কোনাে অনুভূতি জাগেনি আমার মনে। অত্যন্ত স্পর্শকাতর তার প্রতিটি যৌনাঙ্গ। তার গালে একবার চুমো খেলে, সেখানে রক্তিম আপেল জেগে থাকে অন্তত তিন ঘন্টা। ঠোট চুষলে, সেখানে ফুটে থাকে অনন্য গোলাপ। তা সারাদিন তাে বটেই। তার নিতম্বের সামান্য একটু ছোয়ায় জন্যে আমি আত্মহত্যা করতে পারি হাসতে হাসতে। সঙ্গমকালে মােনার নাভির চারদিকে যে আলাের বলয় ফুটে উঠতে দেখি–তা কেবল সূর্য গ্রহনের সময় সুর্যের চতুর্দিকেই দেখা যায়। ……..

Leave a Reply