অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্যারাডাইজ
……….তিনি ছােটোখাটো আকৃতির এবং সােনালি-বাদামি চুল, ঘন নীল চোখ ও বিশাল স্তনবিশিষ্ট অতি আকর্ষণীয়া মহিলা ছিলেন। ……..আমার বাবার মতােই আমি দীর্ঘ, মায়ের সােনালি-বাদামি চুল, গাঢ় নীল চোখ ও বিশালাকৃতির স্তন। স্কুলে সবচেয়ে সুদর্শনা বালিকা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম এবং ছেলেদের দারুণ কাঙ্খিত ছিলাম আমি। স্কুলের বেসবল টিমের ক্যাপ্টেনের কাছে আমি যখন আমার কুমারীত্ব হারালাম তখন আমার বয়স ছিল ষােলাে বছর। কয়েক মাস পর্যন্ত আমাদের ডেটিং অব্যাহত ছিল। এরপর সে অন্য মেয়েদের বাইরে নিয়ে যেতে শুরু করে এবং আমিও অন্যান্য ছেলেদের সাথে ডেটিং-এ গিয়ে সুখী ছিলাম।…….
………পানিতে দ্রুত নামার আগে আমি ড্রেসিং গাউনটা খুলে পুরাে নগ্ন অবস্থায় দাড়ালাম। পানি বরফ শীতল । আমি আমার হাত, উরু, পেট ও স্তন ডললাম গলা পর্যন্ত পানিতে ডুব দেয়ার আগে। নামার পরই চিৎকার করে উঠলাম, “এখানে আর একটু সময় থাকলেই আমি একেবারে জমে যাব, এবং দৌড়ে পানি থেকে উঠলাম টাওয়েল নিতে। ……..
……..”মার্গারেট বেহেন, কী অপরূপ তােমার শরীর,’ সে বলল এবং তার ছােট্ট দুই হাত যুক্ত করে তা আমার হিম শীতল স্তনে স্থাপন করল। কী বিরাট ও সুন্দর। আর আমার করুণ স্তন দেখাে।’
সে স্তনের ওপর থেকে শাড়ি সরিয়ে দিয়ে আমার হাত নিয়ে তার স্তনের ওপর রাখল। এত ক্ষুদ্র, কাঁচা আমের মতাে।’
‘এতে সমস্যার কিছু নেই, আমি তাকে বললাম, “ক্ষুদ্র হলেও সুগঠিত। তুমি শিগগির শাড়ি পরে নাও, তা না হলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে।’……..
……একবার প্রায় এক ডজন লােককে অতিক্রম করে যাই, যারা পুরােপুরি দিগম্বর। যখন তারা ধূলিময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তাদের লিঙ্গ দুই উরুর মাঝখানে দুলছিল। বাসে আমার পাশে বসা লােকটির কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে লােকগুলাে কারা। সে উত্তর দিয়েছিল, নাগা। নগ্ন সাধু।।
“তাতাে দেখতেই পাছি’, আমি বলি, “কিন্তু কেন?’ লােকটি মাথা নাড়ে, ‘আমি জানি না।’
ভারতীয়রা কোনােকিছুই জানতে আগ্রহী নয়। আশ্রমে ফিরে আসার পর জার্মান দম্পতি আমাকে নাগা সাধুদের বিষয়ে এবং ধর্মীয় উৎসবে বিপুল সংখ্যায় তারা সমবেত হলে কর্তৃপক্ষের জন্যে কী সমস্যার সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে বলে। আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম যে, যখন তারা মহিলাদের দর্শন করে তখন তাদের লিঙ্গ দণ্ডবৎ হয়ে যায় কি না। কিন্তু কৌতূহলটা নিজের মাঝে রাখাই উত্তম বিবেচনা করলাম।………….
………..আমি হাতব্যাগ খুলে তাকে একশাে টাকার একটি নােট বের করে দিলাম। | সে হাতে নিয়ে পরখ করল এবং এরপর তার নেংটিতে গুঁজে রাখল। আমার পানে তাকিয়ে ছিল সে, লম্পটের দৃষ্টিতে দেখছিল আমার চুল, স্তন। অতঃপর তার নেংটি শিথিল করে তার উত্থিত লিঙ্গ বের করল। আমি তার কোলে মাথা নামিয়ে তার লিঙ্গে চুম্বন করে দৃঢ়তার সাথে বললাম, এখন আমি যাচ্ছি। আমি স্খলিত পায়ে উঠে দাড়ালাম এবং পিছনের দিকে না তাকিয়ে ‘হর কি পৌদির দিকে এগিয়ে গেলাম ।………
………‘আমি কিছুক্ষণের জন্যে তােমার সাথে শুয়ে তােমার শরীর উষ্ণ করে দিচ্ছি, বলে পুতলি আমার চারপায়ার এসে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। আমি ওর জন্যে। জায়গা করে দিলাম। তখনাে আমি কাপছিলাম এবং ওর উষ্ণ দেহের স্পর্শ আমার ভালাে লাগল। অতএব, আমি পুতলিকে দুহাতে জড়িয়ে ধরলাম।
‘আমার আদরের পুতলি, আমার বিরাট শরীরের নিচে তুমি গুড়াে হয়ে যাবে।’ ‘আমাকে গুড়িয়ে ছাতু করে ফেল। খেয়ে ফেল আমাকে, গোঙানির মতাে কবে সে বলল। বাের্ডে পিন দিয়ে আটকানাে প্রজাপতির মতাে পড়ে রইল সে। আমি ওর ওপর উঠলাম। দুপা দিয়ে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরল পুতলি, আমার নিতম্বে নখ বসিয়ে ওর দেহের সাথে যেন আমাকে মিশিয়ে ফেলতে চাইল। আমি জানি না যে কতক্ষণ আমরা এভাবে ছিলাম। আমাদের দুজনের দেহেই আগুন জুলছিল, নিভাননার অসাধ্য ছিল তা। আমরা একে অন্যের দেহ মর্দন করছিলাম, বুননা জানােয়ারের মতাে জড়াজড়ি করছিলাম এবং দুজনেই চরম অবস্থায় উপনীত হওয়া পর্যন্ত মুখ দিয়ে অবােধ্য শব্দ উচ্চারণ ও গােঙাচ্ছিলাম। আমি ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। মনে হল, বেচারি পুতলি আধমরা হয়ে গেছে। তুমি কি সুস্থ আছ, ছােট প্রিয় পুতলি?’ জানতে চাইলাম আমি।
“খুব ভালাে আছি। তােমার সাথে আছি, এবং এখনাে তােমার বিছানায়, সে উত্তর দিল।
আমরা পাশাপাশি শুয়ে রইলাম। নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লাম আমি। পুতলি যে আমার হাতের বেষ্টনী থেকে বের হয়ে গেছে আমি তা টের পাইনি। কয়েক ঘণ্টা পর আমি অনুভব করলাম যে, আমার পুরো শরীরে সে চুমু দিয়ে যাচ্ছে। পায়ের আঙুল থেকে শুরু করে তার মুখ স্পর্শ করছে আমার পা, উরু, পেট ও স্তন। ‘আমার ঠোটে আবার চুমু দাও,’ সে অনুনয় করল । অর্ধ ঘুমন্ত অবস্থায় আমি তার ইচ্ছা পূরণ করলাম। শিগগিরই আমরা দ্বিতীয় বারের মতাে আগের প্রক্রিয়াগুলাের প্রয়ােগে লিপ্ত হলাম। প্রতিটি প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হল, আরাে দক্ষতার সাথে প্রয়ােগ করলাম এবং যেটুকু শক্তি আমাদের মাঝে অবশিষ্ট ছিল তা নিঃশেষ করলাম। ………….
জীবনের হস্তরেখা
………মদন মােহনও কোনাে কথা বলছে না। সে মেহিনীকে আড় চোখে দেখছে, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লক্ষ করছে। অহিন্দুদের রক্তের সাথে মিশে না যাওয়া অধিকাংশ ব্রাহ্মণের মতে’ সে ফর্সা। সে ছােটোখাটো আকৃতির, দীর্ঘ কুচকুচে কালাে চুলে ভালাে করে তেল মাখা এবং মাথার পিছন দিকে বিরাট খােপা বাঁধা। তার স্তন চমৎকার গােলাকৃতির, ফুলহাতা ব্লাউজের মধ্যে নির্বিঘ্নে অবস্থান করছে। যখন সে তার পা স্পর্শ করার জন্যে নত হয়েছিল তখন সে লক্ষ করেছে যে, হিন্দুদের প্রাচীন বিবরণীতে যে ধরনের নিতম্বকে ‘শুভ ও সন্তানধারী নিতম্ব বলে বর্ণনা করা হয়েছে তার নিতম্বও অনুরূপ। মােহিনী তার পায়ের আঙুলে লাল রং লাগিয়েছে এবং এক পায়ে রূপার পাতলা নূপুর পরেছে। ……
………..মদন মােহনের বয়স চব্বিশ বছর এবং এখনাে কুমার, যৌন সংসর্গের অভিজ্ঞতাহীন। এখন সে গৃহস্থালির জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে–একজন গৃহকর্তার জীবন—একটি স্ত্রী গ্রহণ, সন্তান লাভ, জীবিকা অর্জন। এজন্যে বিধিব্যবস্থা আছে এবং সে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সেসব অনুসরণ করছে। কামসূত্রে বর্ণিত আছে যে, একজন পুরুষের উচিত তার চাইতে বয়সে অন্তত তিন বছরের কম বয়সী নারীকে বিয়ে করা ; মােহিনী তার চাইতে পাঁচ বছরের ছােটো। কামসূত্র পুরুষ ও মহিলাদেরকে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে তাদের যৌন অঙ্গের আকৃতির ওপ-নির্ভর করে, এবং এ থেকে বুঝা যায় যে কোন শ্রেণীর মহিলা আদর্শ স্ত্রী হইতে পারে। মদন মােহন মােহিনীর যে সামান্যটুকুই প্রত্যক্ষ করেছে তাতে সে মােটামুটি নিশ্চিত যে মােহিনী মৃগিনী শ্রেণীর অর্থাৎ হরিণী, ছােটোখাটো আকৃতিবিশিষ্ট, লাজুক বধূ হিসেবে উপযুক্ত। সে নিশ্চয়ই অশ্বিনী হতে পারে না। কিংবা হস্তিনীও নয়, যাদের যোনিমুখ বিশাল এবং যৌনক্ষুধাও অসীম ।………
…….এই সুযােগে মদন মােহন কামসূত্র পড়ল এবং বারবার পড়ল । সাধু বাৎসায়ন পুরুষ ও নারীর যৌন পার্থক্য নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এবং কীভাবে তারা একে অন্যের কাছ থেকে সর্বোত্তমটুকু পেতে পারে সে সম্পর্কে বীস্তারিত উপদেশ দিয়েছেন, এ বিষয়গুলাে তাকে বিস্মিত করল। পুরুষ ও নারীর যৌন অঙ্গের আকৃতিনির্ভর তাদের তিনটি শ্রেণী সম্পর্কে জানা ছিল তার। অতি সম্প্রতি সে টেপ দিয়ে তার লিঙ্গের পরিমাপ করেছে নেতিয়ে থাকা ও উথিত অবস্থায়। এবং এই পরিমাপ তাকে নিশ্চিত করেছে যে, সে হয় বৃষ অথবা অশ্ব এবং সম্ভবত শেষেরটাই। কিন্তু কারাে পক্ষে কী করে কোনাে মহিলার যােনির গভীরতা মাপা সম্ভব ? সে একটি উপসংহারে পৌছল যে বাৎসায়নের সময়ে হিন্দু বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই এ উদ্দেশ্যে গভীরতামাপক কোনাে কাঠি বা দণ্ড উদ্ভাবন করেছিলেন, যে ধরনের কাঠি দিয়ে গাড়ির ট্যাংকে তেলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। শত বছর আগেই তারা প্রয়ােজনীয় সকল হিসাব ও মাপজোক করে গেছেন, যার ফলে তার মতাে লােকও এসব বিবরণী পাঠ করার পর শুধুমাত্র কোনাে মহিলাকে একটু দেখেই তার যােনির আকৃতি সম্পর্কে বলতে পারে। অতি বিস্ময়ের সাথে সে যৌন মিলনের চৌষট্টি বিভিন্ন আসনের বিষয় পাঠ করল। এবং নারী দেহের অতি যৌনস্পর্শকাতর স্থানগুলাে সম্পর্কেও জানতে পারল যে কোথায় ও কীভাবে চুম্বন করতে হবে, কামড় দিতে হবে, নখের আঁচড় বসাতে হবে এবং যৌন কাতরতায় ও চরম সুখ লাভে নারী কেমন শব্দ উচ্চারণ করবে। ভিসায়ন তার গবেষণায় অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন এবং যারা তার সাথে মতানৈক্য পােষণ করেছে সেইসব যৌন বিশারদদের উদ্ধৃতিও দিয়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন পণ্ডিত, ও সাধু ছিলেন এবং তার প্রশংসায় মদন মােহন অকাতর।……….
…………যৌন বিষয়ক পবিত্র গ্রন্থে যা লেখা রয়েছে এ আচরণ সে বিবরণীর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সম্ভবত মােহিনী এসব পড়েনি। মদন মােহন উত্তর দিল, “হ্যা, তুমি দেখতে অতি সুন্দরী তরুণী। মৃগিনীর অনুপম এক দৃষ্টান্ত।
‘কিসের দৃষ্টান্ত ?’
‘মৃগিনী–একটি হরিণীর। কামসূত্র অনুসারে তিন ধরনের নারী রয়েছে। মৃগিনী, অশ্বিনী এবং হস্তিনী ; এই প্রকরণ নির্ভর কবে তাদের গােপন অঙ্গের আকৃতির ওপর। তুমি ছােটোখাটো আকৃতির ও সুগঠিত। তুমি অবশ্যই মৃগিনী ।
তুমি কি কামসূত্র পাঠ করােনি? আমি তােমাকে বলব বিয়ের ওপর পবিত্র হিন্দু বিবরণী পাঠ করতে।
হরে রাম হরে রাম ! আমি কেমন পরিবার থেকে এসেছি বলে তােমার ধারণা ? আমার বাবা মা কখনাে বাড়িতে নােংরা বই সহ্য করেন না।’
এটা কোনাে নােংরা বই নয়, মদন মােহন কঠোরভাবে বলল এটা হচ্ছে বিয়ে ও প্রেমের কলাকৌশল সম্পর্কিত বিশ্বের প্রাচীনতম একটি গ্রন্থ।
আমি এ ধরনের কোনােকিছু জানি না। কিন্তু আমি তােমাকে জানাতে চাই | যে, আমি যখন কলেজে ছিলাম তখন সেখানে সুন্দরী প্রতিযােগিতা হয়েছিল। সে বছর আমি সর্বসম্মতভাবে ‘বিউটি কুইন’ নির্বাচিত হয়েছিলাম।’
‘তুমি সুন্দরী প্রতিযােগিতায় যােগ দিয়েছিলে?চমকে উঠার মতাে প্রশ্ন করল মদন মােহন । ছি ! ছি ! ওসব পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি, হিন্দু মহিলাদের জন্যে একেবারেই অবাঞ্ছিত। এমন একটি অশ্লীল কাজে অংশ নেয়াকে কীভাবে মেনে নিয়েছিলেন তােমার বাবা মা ?’
মােহিনী দ্বিধাগ্রস্ত হল । সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমি মা ও পিতাজিকে ব্যাপারটা জানতে দেইনি। আমাকে প্রদর্শন করানাে এবং আমার স্তন, কোমর, নিতম্বের পরিমাপ নেয়ার বিষয়গুলাে পছন্দ করবেন এমন কোনাে কারণ নেই। কিন্তু প্রতিযােগিতার ফলাফল জানার পর সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমার ফিগার চমৎকার। কলেজে আমার বন্ধুরা বলত যে, আমার শরীরের কোনাে কোনাে পরিমাপ গত বছর মিস ইউনিভার্স শিরােপা লাভকারী সুইডিশ মেয়েটির অনুরূপ । ব্যতিক্রমের মধ্যে আমি খাটো, মাত্র পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতা আমার।’
‘এটাই উপযুক্ত উচ্চতা। আমি পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। একজন মহিলাকে তার স্বামীর চাইতে কিছুটা খাটো হওয়াই সঙ্গত, দৃঢ়তার সাথে বলে মদন মােহন চুপ করল।
“তুমি আমার ওপর রাগ করােনি, বলাে, রাগ করেছ?’ মােহিনী অনুনয়ের সুরে বলল। | ‘না, আমি রাগ করিনি। যা হবার তা হয়ে গেছে। কিন্তু আর কোনাে সুন্দরী প্রতিযােগিতা নয়। এসব অহিন্দু আচরণ,’ কঠোরভাবে উত্তর দিল সে।
“ভগবান সহায়!’ মােহিনী নাটকীয় ভঙ্গিতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল এক হাত বুকের ওপর রেখে। আরেক হাতে মদন মােহনের হাত আঁকড়ে ধরল। সে স্বামী, তারই উদ্যোগী হওয়ার কথা, কিন্তু মােহিনীকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। মদন মােহন রীতিমতাে দ্বিধান্বিত। কয়েক মুহূর্ত অস্বস্তিকর নীরবতার পর মদন মােহনের মনে পড়ল পরবর্তী পদক্ষেপের কথা। সে তার রূপার পান দান থেকে একটি পান বের করে বলল, আমার কাছে তােমার জন্যে এই বিশেষ পানটি রয়েছে।’ পানের একটি অংশ সে মােহিনীর ঠোটের কাছে তুলে ধরল। ‘এই পানের অর্ধেকটা আমার কাছে থেকে তােমাকে নিতে হবে’, বলেই মােহিনী পানের অর্ধেক নিজের মুখে পুরল। বাকি অর্ধেক তার মুখের বাইরে বেরিয়ে আছে। মদনের উরুর ওপর একটি হাত রেখে তার দিকে ঝুঁকল সে মদন মােহন তার ধৃষ্টতায় স্তম্ভিত হল। সে যখন মােহিনীর মুখের বাইরের পানে কামড় দিচ্ছিল, মােহিনী তখন তার গলা জড়িয়ে ধরে তার মুখে প্রবল চুম্বন দিল।
এটা চরম দৌরাত্ম ! সকল পবিত্র বিধি লঙ্ঘন করছে সে। ছোটোখাটো আকৃতি হওয়া সত্ত্বেও সম্ভবত সে মৃগিনী নয় !
‘তরুণী, তুমি কি কোনাে কারণে হস্তিনী ?’ ক্ষীণ কণ্ঠে প্রশ্ন করল সে।
‘আমি কী ? তােমার কাছে আমাকে দেখতে কিংহাতির মতাে লাগছে? মােহিনী রেগে জানতে চাইল।
“আরে না, না। তােমার শরীরের আকৃতির সাথে এর কোনাে সম্পর্ক নেই,’ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে বলল সে। কিন্তু, কিন্তু…।’
কী কিন্তু, কিন্তু করছ ? প্রথমে বললে মৃগিনী, এরপর হস্তিনী দেখাে, আমি অত্যন্ত নিরীহ একটি মেয়ে। এসবের কিছুই বুঝি না আমি।’
‘না বুঝার কারণ হচ্ছে, তুমি কখনাে কামসূত্র পাঠ করােনি।’
“আমি তােমাকে বলেছি যে পিতাজি আমাদের বাড়িতে এ ধরনের বই সহ্য করেন না।’
করুণা করার মতাে ব্যাপার। এটা পাঠ করলে তুমি প্রেমের ছলাকলা সম্পর্কে কিছু শিখতে পারতে।
প্রফেসর সাহেব, কী করে ভালােবাসতে হয় তা শেখার জন্যে কেতাব পড়ার প্রয়ােজন পড়ে না। আমরা বিবাহিত। আমি তােমাকে ভালােবাসব, তুমি আমাকে ভালােবাসবে। এটা কি সহজ নয়?’
“না, মােটেও কোনাে সহজ ব্যাপার নয়, সে উত্তর দিল। “তুমি কি জান, মিলনের জন্যে চৌষট্টি পদ্ধতি আছে?’
‘চৌষট্টি !’ চোখ বড়াে বড়াে করে সে বিস্ময় প্রকাশ করল। আমি তাে মাত্র একটি পদ্ধতির কথা জানি। তুমি আমাকে চৌষট্টি কলা শিখিয়ে দাও। প্রতিজ্ঞা করছি, আমি তোমার নিষ্ঠাবান শিষ্যে পরিণত হব। মদন মােহনের ঠোটের ওপর সে আরেকটি চুমু দিল। কিন্তু আমরা যদি এই ক্লাসরুমে থাকি, তাহলে আমাদের পক্ষে বিয়ের প্রথম রজনী কাটানাে সম্ভব হবে না। সােহাগ রাতের অর্থ তাে এটা হতে পারে না।’
‘না, তা নয়। সে মােহিনীকে ঠেলে একটু সরিয়ে ছিল। প্রথম রাত কাটানাে উচিত পরস্পরকে জেনে। তুমি আমাকে তােমার ব্যাপারে বল, আমি তোমাকে আমার কথা বলব। দ্বিতীয় রাতে আমরা একই কাজ করব, কিন্তু আরাে একটু এগিয়ে আরাে ঘনিষ্ঠ বিষয়ের খুটিনাটি ব্যক্ত করব। এ বিষয়ের ওপর হিন্দু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, তৃতীয় রাতের পরই যৌনমিলন শুরু করা উচিত।’
উফো !’ মােহিনী যেন রাগে বিস্ফোরিত হল। কী আজব মানুষ তুমি । সােহাগ রাতে আমরা যদি কিছু না করি তাহলে আমরা ঘুমিয়ে পড়তে পারি। এসব আজেবাজে কথা বলে লাভ কী! আমি খুবই ক্লান্ত।………
……..“আমি একটি চুম্বনের মাধ্যমে শুরু করব।’ কামসূত্রে বর্ণিত বহু ধরনের চুম্বনের কথা বুঝানাের মাধ্যমে সে চমকে দিতে চেয়েছিল মােহিনীকে। কিন্তু মােহিনী তার চাইতে অগ্রণী।
‘তােমার যত খুশি চুম্বন করতে পার,’ উত্তর দিয়ে মােহিনী তার ঠোট মদনের ঠোটের সাথে আঠার মতাে লাগাল।
দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় থাকলাে উভয়ে। অতঃপর মদন মােহন। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করল। মােহিনীর সারা মুখে চুমু দিল সে। তার হাত মােহিনীর স্তন খুঁজে ফিরছিল। সে নিশ্চিত ছিল না যে মােহিনী তাব এতটা স্বাধীনতা গ্রহণকে পছন্দ করবে কি না। মােহিনী ব্লাউজের বােতাম খুলে ব্রার হুক ছুটিয়ে দিল। আমার এখানে চুমু দাও’, মদনের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল সে। কয়েক বারের চেষ্টায় মদন মােহন অনুভব করল যে সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছে। নিজের ওপর তাকে ভরসা রাখতে হবে। কিন্তু স্তন দর্শনে তার হাঁটু যেন দুর্বল হয়ে পড়ল। মহিলাদের স্তন সে শুধু দেখেছে ছবিতে ও পাথরের মূর্তিতে, বাস্তবে কখনাে নয়। সে স্তনে মুখ লাগিয়ে সিক্ত করে তুলল, যদিও বুঝতে পারছিল না যে, দুটির মধ্যে কোনটি অধিক মুনােযােগ দাবি করছে। ফ্যাসফেসে গলায় সে বলল, এগুলাে চমৎকার। তােমাকে যে বিউটি কুইন হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল তাতে আমি অবাক হচ্ছি না।’
শেষ পর্যন্ত তুমি পাশ্চাত্য পদ্ধতিকে অনুমােদন করছ?’ হেসে বলল সে। ‘তােমার জ্ঞাতার্থে বলছি। সুন্দরী প্রতিযােগিতায় শুধু স্তনই মুখ্য নয়। সেখানে কোমর, নিতম্ব, পা সবকিছুর পরিমাপ নেয়া হয়। সকল বিভাগেই আমি প্রথম হয়েছিলাম।’
‘আমাকে দেখাও’, মদন মােহন বলল এবং নিজেই বিস্মিত হল যে শব্দগুলাে কে উচ্চারণ কবল।
মােহিনী দাঁড়াল। শাড়ি খুলল, ব্লাউজ ও ব্রা থেকে নিজেকে মুক্ত করল এবং লাজুক ভঙ্গিতে ফিতা খুলে পেটিকোটকে মেঝের ওপর পড়ে যেতে দিল। দুই হাত দিয়ে সে তার উরুসন্ধি ঢেকে পিছন ঘুরে দাঁড়াল মদন মোহনকে তার মসৃণ ও সুগােল নিতম্ব প্রদর্শন করতে। এরপর তার মুখােমুখি হয়ে দুহাত বাড়িয়ে বলল, ‘চল আমরা শুয়ে পড়ি।’
– মদন মােহন আতংকে জড়সড় হয়ে গেল। তাঁর দুই উরুর মাঝখানে কুৎসিত কালাে চুলের গুচ্ছ কী করছে। কামসূত্রের সচিত্র কপিতে অথবা মর্মর পাথরের কোনাে নারীমূর্তিতে সে এমনটি দেখেনি। তার নিজের যৌন অঙ্গের ওপরিভাগে চুল আছে। কিন্তু সেটা কি পুরুষালী লক্ষণ নয়? কেন একটি সুন্দরী মহিলার, একজন মৃগিনীর যৌন কেশ থাকবে? সে দ্বিধান্বিত। অবশ্য সে চেগিয়েও উঠেছে।
তার পরিকল্পনা অনুসারে সবকিছু এগুচ্ছে না। মােহিনী তার হাত ধরে বিছানার দিকে নিয়ে গেল । তােমার কাপড় খুলে ফেল । তুমি আমার যতটা দেখেছ, আমিও তােমাকে সেভাবে দেখতে চাই, সে নির্দেশ দিল । শান্তভাবে মদন মােহন নির্দেশ পালন করল। এবং আবিষ্কার করতে সক্ষম হল যে তারও মধ্যাঙ্গ জুড়ে কদাকার কালাে চুল আছে। কোনাে কারণে প্রকৃতি এখানে চুলের সমাবেশ ঘটিয়েছে। সে এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছে যে, জ্ঞানের অগম্য বিষয় নিয়ে ভাবতেও পারছে না। তারা উভয়ে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ এবং সেভাবেই বিছানায় গেল। চুম্বনের ঝড় বয়ে গেল। আসল কাজ শুরু করার এখনই সময়। মদন মােহন তার তরুণী বধূর উরু হাতড়ে ফিসফিসিয়ে বলল, “আমার ছােট্ট হরিণী, এটা তােমাকে ব্যথা দেবে, কিন্তু শুধু প্রথম বারের জন্যে। এরপর তুমি এর সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে এবং উপভােগ করবে। বিশ্বাস করাে, আমি সত্যি বলছি !’ মােহিনীর মাঝে কোথায় প্রবিষ্ট হতে হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে যখন মদন মোহন আবােল তাবােল বলার সাথে সাথে তড়পাচ্ছিল, তখন মােহিনী তার লিঙ্গকে হাত দিয়ে ধরে সঠিক পথের নির্দেশনা দিল। কুমারীর সাথে সদয় আচরণ করা সম্পর্কিত ব্যৎসায়নের সতর্কবাণী মনে পড়ল মদনের। মােহিনী অধৈর্য হয়ে বলল, ‘শুরু করাে, চাপ দিয়ে ভিতরে প্রবিষ্ট হও। মদন মােহনের মাথায় তখন আগুন লেগেছে, তার লিঙ্গ মােহিনীর যােনিমুখ স্পর্শ করতে না করতেই প্রচণ্ড ঝাকুনিতে তার উরুর ওপর সকল বীর্য ঢেলে দিল । তার জন্যে এটা ছিল চমৎকার ও সুখকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু মােহিনীর জন্যে নয়। সে তার হতাশা ও ব্যাকুলতা ধরে রাখতে পারল না। মদন মােহনের চুল আঁকড়ে ধরে ভৎসনা কবল, গাধা। আমি শুরুই করিনি, আর তােমার শেষ হয়ে গেল। সে নিজেকে মদনের শরীরের নিচ থেকে মুক্ত করে দৌড়ে বাথরুমে প্রবেশ করল পরিচ্ছন্ন হতে এবং নিজেকে শীতল করতে।
যখন সে বের হয়ে এল তখন অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখল। মদন মােহন মাথায় ভর দিয়ে দাড়িয়ে আছে, তার নেতিয়ে পড়া লিঙ্গটি ভাঙ তীরের তাে তার মুখের ওপর ঝুলে আছে।
কী করছাে তুমি ?’ সে চেঁচিয়ে উঠল।
বিন্দু (বীর্য) হচ্ছে একজন মানুষের জীবনীশক্তি। মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেহের সকল অংশের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় এটা। পুনরায় বিন্দু সঞ্চয়ের জন্যে যৌনকর্মের পর একজন মানুষের শীর্ষাসন করা উচিত সে যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকেই ব্যাখ্যা দিল।
‘তুমি এটাকে যৌনকর্ম বলছ ? ওটা তােমার করা উচিত ছিল তােমার মুণ্ডুর সাথে, তাহলে বরং অধিকতর তৃপ্তিদায়ক হত,’ গাল ফুলিয়ে বলল । সে বিছানায় নিজের পাশে শুয়ে বাতি নিভিয়ে দিল।……
………..মােহিনীকে বিছানা ছেড়ে উঠতে লক্ষ করেনি মদন মােহন। সে বাথরুমে পানির শব্দ শুনল এবং তার মনে হল বেশ কিছুক্ষণ আগেই উঠেছে মােহিনী । বাথরুমের দরজা খুলে গেল এবং সে পুরাে নগ্ন অবস্থায় বেরিয়ে এল টাওয়েল দিয়ে শরীর মুছতে মুছতে । সত্যিই অত্যন্ত সুন্দরী সে, কোমর পর্যন্ত ঝুলে আছে চুল এবং শুধুমাত্র যােনিদেশের চারপাশ ঘিরে চুলের গুচ্ছ ছাড়া তার ফিগারও চমৎকার । সে কি এটার ব্যাপারে কিছু করতে পারে না এবং তার স্থল আচরণের ব্যাপারে ? তার শাড়ি, পেটিকোট, ব্লাউজ বিছানার ওপর ছড়ানাে। কাপড় চোপড় পরে সে তাচ্ছিল্যের সাথে মদন মােহনের পা ছুঁয়ে নিচে নেমে গেল শ্বশুর শাশুড়িকে প্রণাম করতে । মদন উঠে বাথরুমে গেল । স্নান করার সময় সে ভাবল, মহা মূল্যবান বীর্যের কী অপচয় ! নতুন একটি জীবনের সৃষ্টির লক্ষ্যে এগুলাে মােহিনীর দেহের ভিতরে যাওয়া উচিত ছিল। রাতের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ায়………….
জোরা সিং
…….. জোরা তার মুখ ধুয়ে পাঠকক্ষের এয়ার কন্ডিশনারের সুইচ অন করে সােফা-কাম বেডে শরীর এলিয়ে দিল। সে আশা করেনি যে দীপু তার ক্লান্ত অঙ্গ টিপে দেয়ার জন্যে আসবে, তবুও দরজা খােলাই রাখল, যদি সে আসার সিদ্ধান্ত নেয় সেজন্যে । তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় সে দরজা দিয়ে কারাে প্রবেশের ও দরজা বন্ধ করার শব্দ শুনল। দীপু একটি মােড়া টেনে নিয়ে বিছানার পাশে বসল এবং পায়ের তলায় মালিশ করতে লাগল। বেশ আরাম লাগছে তার। সে তার হাত দিয়ে পায়ের গােড়ালি ও হাঁটু ডলতে লাগল। জোরা তার উরু প্রসারিত করে দীপুর হাতও ওপরের দিকে টানল। দীপু তার মনিবের হাঁটু সংযােগ স্থলের কাছে মালিশ করছিল এবং অনুভব করল যে জোরার সঙ্গী উথিত হচ্ছে। সে নিজের সালােয়ার খুলে ফেলে জোরার দুই পায়ের ফাঁকে প্রবেশ করল। পনেরাে মিনিট ধরে তারা একে অন্যের ওপর দাপাদাপি করল। অবশেষে জোরা দীপুর ওপর কয়েক দফা বিপুলভাবে আছড়ে পড়ে বিছানায় এলিয়ে পড়ল। দীপু যেমন নীরবে এসেছিল ঠিক সেভাবেই পাঠকক্ষ থেকে বেরিয়ে গেল।………
একটি পুত্র সন্তানের জন্যে
…….দেবীলালের স্ত্রী হিসেবে জানকী গর্বিত। সে বাড়িঘর গুছিয়ে রাখে এবং স্বামীর প্রয়ােজনের ব্যাপারে খুবই সতর্ক ও যত্নশীল। হিন্দু স্ত্রী হিসেবে সে কখনাে বেশি কামুকতা প্রদর্শন করে না, কিন্তু তার স্বামী যৌনকর্মের জন্যে আগ্রহ দেখালেই সে বিছানায় শুয়ে সালােয়ার খুলে ফেলে ও দুই পা প্রসারিত করে তার আগ্রহে সাড়া দেয়। জানকী যৌনকর্ম তেমন উপভােগ করে না, কিন্তু তার মা তাকে বলে দিয়েছে যে, স্বামী মিলিত হওয়ার আকাক্ষা ব্যক্ত করলে তাকে সাড়া দিতে হবে। সে এসেছিল কুমারী হিসেবে এবং স্বামীর সাথে প্রথম মিলনে তার সতীচ্ছেদ ভেদ করার ব্যথা সহ্য করার জন্যে প্রস্তুত ছিল। প্রথম রাতের পর তার জন্যে সবকিছু সহনীয় হয়ে গেল। যৌনকর্মে মহিলাদেরও যে পরিতৃপ্তি ঘটে সে সম্পর্কে কেউ তাকে বলেনি এবং সে কোনাে তৃপ্তি লাভ করেনি। বিয়ের চতুর্থ মাসে সে গর্ভবতী হল । ……….
…….মাজারের কাছে শুয়ে পড়ল বলজিৎ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ল সে। কিছুক্ষণ পর সে অনুভব করল যে লােকটির হাত তার শরীর স্পর্শ করছে। বেশ সুখকর অনুভূতি। সে বুঝতে পারছে, লােকটির আঙুল তার সালােয়ারের ফিতার গিট খুলে সালোয়ার পায়ের গােড়ালি পর্যন্ত নামিয়ে নিয়েছে। কিছু মনে করল না বলজিৎ। সে টের পেল যে, খাদেম তার কামিজ কাধ পর্যন্ত তুলে ব্রা খুলে মুখে পুরে নিয়েছে স্তন। ক্ষুধার্ত ব্যাঘ্র শাবকের মতাে সে স্তন চুষতে লাগল এবং তার স্তনের বোঁটা দৃঢ় হয়ে উঠল। লােকটিকে তার মুখ ও গলার সর্বত্র চুম্বন করছে অনুভব করল সে। লােকটির দাড়ি ও গোঁফ কামানাে ঠোটের ওপরের অংশ ভালাে লাগছে। এরপর সে তার উরু মর্দন করল খসখসে হাত দিয়ে এবং উক্ত প্রসারিত করল । কাপড়ের খসখস শব্দ পেল বলজিৎ এবং লােকটির দৃঢ় ভারি দেহ অনুভব করল তার ওপর। আঁধাে ঘুমে সে অনুভব করল যে লােকটি তার সালােয়ার কোমর পর্যন্ত টেনে তুলে ফিতায় গিট কষল, ব্রা ঠিক করে হুক লাগিয়ে কামিজ নামিয়ে দিল। আধ ঘন্টার আগে বলজিৎ চোখ খুলল না। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,’ মিথ্যা বলল সে। আশা করি আমার অপরাধ মার্জনা করা হবে।’……….
………তেলের প্রদীপ জ্বালানাের ফলে ঘিঞ্জি রুমে বিবর্ণ আলাে ছড়িয়ে পড়ল । তেমন কোনাে ভূমিকা ছাড়াই বলজিতের পাশে বসল সে। দুহাতে জড়িয়ে ধরে তার ঠোটে ঠোট রাখল। তার দাড়িও সামান্য বেড়ে উঠা গোঁফের খোঁচা লাগায় বলজিৎ তাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘তােমার চুল দাড়ি কাটার মতাে !’ সে হাসল এবং তার হাত দুই পায়ের মাঝখানে রেখে উরুসন্ধি মর্দন করতে লাগল। সালােয়ারের গিট খুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠল সে। বলজিৎ তাকে সাহায্য করল গিট খুলে সালােয়র পদপ্রান্তে পতিত হতে । খাদেম পা থেকেও খুলে নিল সালােয়ার। বলজিৎ বুঝতে পারল এবং কামিজ, ব্রা খুলে এক পাশে ছুড়ে দিল। পুরােপুরি নগ্ন সে। দরগাহ শরিফের খাদেম বিস্ময় প্রকাশ করল, সােবহান আল্লাহ ! বেহেশতের কোনাে হুরিও এত সুন্দরী হতে পারে না।’ সে তার কুর্তা খুলে ফেলায় তার চওড়া, রোমশ বক্ষ নগ্ন হল। লুঙ্গি খুলে দূরে নিক্ষেপ করল। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা উভয়েই সক্রিয় ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না বলজিৎ গােঙাতে শুরু করল। সে খাদেমের মাথায় নখ বসিয়ে চিৎকার করল, তুমি তাে আমাকে মেরে ফেলছ।’ এরপর চরমে উঠল। খাদেমের শরীর ঘামে ভিজে গেছে, কিন্তু সে তার প্রচণ্ড উত্থান পতন অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয় বার চরমে উঠল সে এবং এরপর টের পেল যে, লােকটির উত্তপ্তস্বর্য তার মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। লােকটি উঠল। কলসি থেকে পানি ঢেলে তার অঙ্গ ধৌত করল। বলজিৎ তার দেহের নগ্নতা ঢাকার চেষ্টা না করে যেভাবে শুয়ে ছিল সেভাবেই রইল। খাদেম এসে তার পাশে শুয়ে পড়ল। সে উপলব্ধি করল যে, মহিলাটি আরাে সুখ পেতে চায় এবং সেও জানে যে সে তাকে আরাে সুখ দিতে চায়। ঘণ্টা খানেক পর বলজিৎ লােকটির অঙ্গ নিয়ে খেলতে শুরু করল। আবার চেগিয়ে উঠল সে। দ্বিতীয় বারের মতাে তারা সক্রিয় হল। উভয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়ার আগে এক ঘণ্টার ওপর স্থায়ী ছিল তাদের যৌনকর্ম।………
How can i download to this book?
From here : https://www.banglabook.org/paradise-and-other-stories-banglabook/