অনুবাদঃ মােস্তফা মীর
…….যুবতী মেয়েটি সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় মরুভূমির বালির ওপর শুয়েছিল, দুই পা ছড়ানাে, দীর্ঘ চুল বাতাসে উড়ছে। মাথাটা পেছনদিকে কাত হয়ে আছে এবং চোখদুটো বন্ধ । মনে হয় সে ব্যক্তিগত চিন্তার ভেতরে হারিয়ে গেছে এবং পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এলিয়ে শুয়ে আছে মেক্সিকান সীমান্তের কাছাকাছি ক্যালিফোর্নিয়ার ঝাবিক্ষুব্ধ বালিয়াড়ির ওপর এবং তাকে শ্রীমণ্ডিত করে তুলেছিল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য। সে কোনাে অলংকার পরেনি। তার চুলে কোনাে ফুলও ছিল না। বালিতে ছিল না কোনাে পদচিহ্ন। উৎকর্ষতার দিক থেকে ছবিটা উঁচুমানের। আর এই ছবির দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সতেরাে বছর বয়সী এক স্কুলছাত্র তার বয়ঃসন্ধিকালের যৌনকাক্ষা নিয়ে ।……
……….বাড়ি ফিরে এসে কাগজের হারেমখানা থেকেই তার প্রিয় নারীকে বেছে নিয়ে তার বাসনা পূরণ করে। কিন্তু এটা ছিল যৌনকর্মের চেয়ে নিশ্চিতভাবেই আলাদা; যে অভিজ্ঞতা সে অর্জন করেছিল একটা মেয়ের সঙ্গে যখন সে মর্টন স্কুলের ছাত্র ছিল। মেয়েটির পিতামাতা যখন বাইরে থাকত তখন সে মেয়েটির সঙ্গে মেঝের ওপর যৌনসঙ্গম করত এবং সেসময় সে ঐ মেয়েটির চেয়েও যৌনপত্রিকায় দেখা অধিক পরিপক্ক নারীদের শরীর কল্পনা করত। অন্য সময় যখন সে এসব পত্রিকার সঙ্গে একা হয়, তখন সে তার মেয়েবন্ধুকে স্মরণ করে, স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনে পােশাক খুললে তাকে কেমন দেখাচ্ছিল, কী অনুভব করেছিল এবং কী করেছিল তারা একত্রে।…….
…….রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পত্রিকায় এখন যে-নারীকে সে দেখল সে বালির স্তুপের ওপর শুয়ে আছে। এই নারীকে সে কয়েক মাস আগে প্রথম একটা ত্রৈমাসিক পত্রিকায় দেখেছিল। এছাড়াও তার ছবি ছাপা হয়েছে পুরুষদের পত্রিকা, অভিযান সংক্রান্ত পত্রিকা ও নগ্নতাবাদীদের ক্যালেন্ডারে, যা তাকে আকর্ষণ করত তা শুধুমাত্র তার সৌন্দর্য নয়, সেগুলাে হচ্ছে তার শরীরের চমৎকার খাজ, ভাজ, চড়াই, উত্রাই ও অলিগলির আভাস এবং তার লাবণ্যময়ী মুখমণ্ডল, যৌবন ও স্বাস্থ্যে যা পরিপূর্ণ।……
……..তার নাম ছিল ডায়ানে ওয়েবার। বাড়ি মালিবু বিচের কাছাকাছি। সে ছিল ব্যালে নর্তকী। ফলে হ্যারল্ড বুঝতে পারত নিয়মের ভেতর দিয়ে গড়ে তােলা এই শরীরের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ ছিল পুরােপুরি। সে ক্যামেরার সামনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়াতে পছন্দ করত।………
………..তার হাতে ধরে রাখা পত্রিকার একটা ছবিতে ডায়ানে ওয়েবার এ্যাক্রোব্যাটের ভঙ্গিতে এক পা তুলেছে মাথার ওপর। পায়ের আঙুলগুলাে মেঘহীন আকাশের দিকে তাক করা এবং হাতদুটি সামনে প্রসারিত করে সে রক্ষা করেছে শরীরের ভারসাম্য। উল্টোদিকের পাতায় সে একদিকে কাৎ হয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে, পরিপূর্ণ গােলাকার ও মাংসল নিতম্ব, একটা পা সামান্য তােলা, যৌনকেশের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, স্তনদুটি পুরােপুরি ভােলা এবং তার বোঁটা গুলি খাড়া হয়ে আছে।……….
……..টেবিলের ওপর স্কুলের বইপত্র রেখে সে কোটটা খুলে ফেলে এবং পত্রিকাটা খুলে ডায়ানে ওয়েবার এর নগ্ন ছবির দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকায়। পত্রিকা তার ডানহাতে ধরা, চোখদুটো এখন প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে। সে কোমলভাবে তার বাম হাত বােলাচ্ছে তার ট্রাউজারের সামনের দিকটায় অর্থাৎ সে কোমলভাবে তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করছে। তার লিঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়। সে ভাবে ডিনারের আগে বেশ কিছুক্ষণ সময় আছে। ইচ্ছা করলে পােশাক খুলে নিজের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে নেয়া যায় অথবা নিচে গিয়ে হলঘরের বাথরুমে ঢুকে দ্রুত হস্তমৈথুন করা যায়। তার হাতে ধরা পত্রিকাটি প্রতিফলিত হচ্ছে পাশের আয়নায়। প্রতিফলিত হচ্ছে ডায়ানে ওয়েবারের নগ্নদেহ। যেন ডায়ানে ওয়েবারের সঙ্গে সে মরুভূমির বালির ওপর সূর্যালােকে স্নান করছে, আর ডায়ানে ওয়েবারের প্রেমময়ী কৃষ্ণকায় চোখদুটো তাকিয়ে আছে তার স্ফীত লিঙ্গের দিকে এবং সে কল্পনা করছে তার সাবান-মাখানাে হাত ডায়ানের শরীরের একটি অংশ।………..
……..সারাবছরই সে বাড়িতে কাটায় কিন্তু তার বাবা-মা কখনও কোনাে যৌন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেনি। সে তাদেরকে কখনও নগ্ন দেখেনি, কখনও শােনেনি তাদের যৌনমিলনের শব্দ কিংবা মিলনকালে খাটের আওয়াজ। তার ধারণা তারা এখনও যৌনকর্ম করে, কিন্তু সে নিশ্চিত নয়। সে আজও জানে না তার দাদা ষাট বছর বয়সে যৌনকর্মে কতটা সক্রিয় তার রক্ষিতার সঙ্গে। অবশ্য তার দাদি সম্প্রতি এক তিক্ত মুহূর্তে তাকে জানায় ১৯৩৬ সালের পর সে আর তার দাদার সঙ্গে শােয়নি। সে ছিল একজন অদক্ষ প্রেমিক।……….
………..কিন্তু হ্যারল্ড তার দাদির লাইব্রেরিতে একটা রােমান্টিক যৌন উপন্যাসের সন্ধান পায় যা তাকেও অবাক করে দেয়। কোনাে ফরাসি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি ছিল ব্রাউন কাগজে মােড়া এবং বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯০৯ সালে। কথা বলতে বলতে যখনই দাদি অল্প ঘুমিয়ে পড়েছে তখন হ্যারল্ড মেঝেতে বসে বইটি পড়েছে-একবার, দুবার, বহুবার-১০৩ পাতার উপন্যাস। কাহিনীটি পড়ে সে মুগ্ধ হয় এবং উপন্যাসে ব্যবহৃত ভাষাও অভিভূত হওয়ার মতাে। ইউরােপ এবং প্রাচ্যের কয়েকজন যুবতী নারীর অসুখী যৌনজীবনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে উপন্যাসে যারা হতাশার কারণে তাদের ছােট্ট শহর বা গ্রাম পরিত্যাগ করেছিল। তারপর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে ঘুরতে মরােক্কোতে এসে উপস্থিত হয় এবং বন্দি হয় এক পাশার হাতে। সে তাদেরকে হেরেমে নিক্ষেপ করে। একদিন যখন পাশা বাইরে গেছে, তখন এক যুবতী জানালা দিয়ে জাহাজের একজন ক্যাপ্টেনকে নিচে দেখতে পায়। ক্যাপ্টেন খুবই সুদর্শন। যুবতী তাকে প্রলুব্ধ করে উপরতলায় ডেকে আনে এবং তারা চুমােচুমি ও জড়াজড়ি শুরু করে। তা দেখে অন্যেরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। যৌনমিলনের মধ্যবর্তী বিরতির সময় তারা ক্যাপ্টেনের কাছে তাদের অতীতের সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে দেয়, যা তাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে। হ্যারল্ড যখনই দাদিকে দেখতে আসত তখনই সে বইখানা পড়ত এবং প্রায়ই সে পড়ত নির্দিষ্ট কিছু পাতা…
……মেয়েটির কোমল দুই হাত উত্তেজনায় আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল এবং আমাদের ওষ্ঠের দীর্ঘ চুম্বন ছিল খুবই তৃপ্তিকর। আমার লিঙ্গ বন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে খোঁচা মারছিল তার উষ্ণ মসৃণ তলপেটে। তারপর সে তার পায়ের আঙুলের ওপর উঁচু হয়ে দাঁড়াল। ফলে ঘন ও মােটা চুলের স্পর্শ পেল আমার লিঙ্গ যেখানে তলপেট বলে আর কিছু নেই। আমি একহাতে আমার লিঙ্গকে তার যােনিপথে চালিত করলাম এবং অন্যহাতে চেপে ধরলাম তার সুডৌল নিতম্ব……
………শিকাগাের কনকনে শীতরাত্রিতে সে পরিষ্কার শুনতে পেল ঝড়াে বাতাসের চাবুক পড়ছে জানালার শার্সিতে এবং সে শিহরিত হয়ে ঠাণ্ডা কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে। কয়েক মিনিট চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে, শরীর গরম করে, তারপর সে বালিশের তলা থেকে বের করে পত্রিকাটা, তারপর পাতা ওল্টাতে থাকে দায়সারাভাবে। সে তার আচ্ছন্নতার ওপর আলাে ফেলতে চায় না-তার আচ্ছন্নতা হল ডায়ানাে ওয়েবার, যে তাকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে প্রথম পাতায় বালির স্তুপের ওপরে। বায়ান্ন পাতার এই পত্রিকায় ৩৯টা নগ্ন ছবি রয়েছে ১১ জন বিভিন্ন নারীর। তারা প্রত্যেকেই কালাে এবং সােনালি চুলের কামােদ্দীপক সুন্দরী যুবতী। এরা আসল মজা নেয়ার আগে প্রাথমিক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে হ্যারল্ডের কাছে।
পরের পাতায় হেলান দিয়ে বসে থাকা কালাে চোখের মেয়েটির প্রতি হ্যারল্ড আকর্ষিত হয়; কিন্তু আলােকচিত্রগ্রাহক মােটেই লক্ষ করেনি যে এরকম অসমতল শাখার ওপরে শুয়ে কিংবা পা ফাঁক করে পােজ দেয়ার ব্যাপারে সে খুবই অপটু এবং হ্যারল্ড তার অস্বস্তিটা অনুভব করল। ছয় পাতার নগ্ন মেয়েটা পাদুটো আড়াআড়িভাবে রেখে বসে আছে স্টুডিওর মেঝেতে একটা ইজেলের কাছে। তার স্তনদুটি খুবই সুন্দর, কিন্তু মুখের অভিব্যক্তিতে কোনাে বিশিষ্টতা নেই। হ্যারল্ড একইভাবে শুয়ে থেকে কম্বলের নিচে তার হাঁটুদুটো সামান্য ফাঁক করে এবং ক্রমাগত পাতা উল্টে যায়। দেখতে থাকে বিভিন্ন আকারের পা এবং স্তন, শ্রোণীদেশ এবং নিতম্ব এবং সেইসঙ্গে যৌনকেশের আভাস, নারীর হাতের আঙুল, নগ্ন বাহু। সবকিছুই তার নাগালের মধ্যে, প্রত্যেকের চোখ তাকিয়ে আছে তার দিকে এবং যখন সে দেখা বাদ দিয়ে নিজের লিঙ্গে বাম হাত মৃদুভাবে ঘষতে থাকে তখন এসব মেয়েরা তার স্ফীত লিঙ্গের দিকেও তাকায়।
পত্রিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে সে ডায়ানে ওয়েবারের একটা অপরূপ সুন্দর ছবি (দেখতে পায়, কিন্তু সে না-থেমে দ্রুত পাতা ওল্টায়, কারণ এখনই সে নিজেকে তৃপ্ত •রতে চায় না। সে সাতাশ পাতায় একটা মেক্সিকান মেয়ের ছবির ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে যার নগ্ন ঊরুর ওপর আড়াতাড়িভাবে পড়ে আছে মাছধরার জাল। তারপর মনােযােগ দিয়ে দেখতে থাকে, বিশাল স্তনওয়ালী এক স্বর্ণকেশী একটা মার্বেল পাথরের স্কর্যের কাছে মেঝেতে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। ভাস্কর্যের নাম ‘ভেনাস দ্য মিলাে’। অন্য ৩ায় শূন্য থিয়েটার মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এক স্বর্ণকেশী। সে তার হাতদুটি আড়াআড়িভাবে রেখেছে তার থুতনির নিচে ঠিক উর্ধ্বমুখী স্তনদুটির ওপরে, যা মার্জিতভাবেই নিজেকে প্রকাশ করেছে এবং মঞ্চের অতিসূক্ষ্ম আলােয়, হ্যারল্ড নিশ্চিত যে এই মেয়েটির যৌনকেশও দেখতে পাবে এবং সে ঠিক তখনই কামােত্তেজনা অনুভব করল।
সে কম্বলটা গায়ের ওপর থেকে ফেলে দেয়। তার শরীর উত্তেজনায় গরম হয়ে ওঠে। সে তার খাটের তলা থেকে একটা স্ট্যান্ড বের করে আনে, যা সে স্কুলের আর্ট ক্লাসে তৈরি করেছিল। আজ রাতে সেই স্ট্যান্ডের ব্যবহার দেখলে আর্টের শিক্ষক নিশ্চিতভাবেই অবাক হতেন। সে স্ট্যান্ডের ওপর পত্রিকাটা রাখল তার মুখােমুখি ছড়িয়ে রাখা দুই পায়ের মাঝখানে। মাথার নিচে দুটি বালিশ দিয়ে মাথাটা উঁচু করে নিল। তারপর হাতে তুলে নিল ইটালিয়ান লােশনের বােতল। হাতের তালুতে লােশন ঢেলে ভালাে করে পুরাে হাত পিচ্ছিল করে নিল। তারপর সে কোমলভাবে স্পর্শ করল তার লিঙ্গ এবং অঙ্গকোষ। অনুভব করল দ্রুত উথিত হওয়া লিঙ্গে স্পর্শের আনন্দ। আধাখােলা দুই চোখে সে বিছানায় শুয়ে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তার যৌনাঙ্গের দিকে যা ছবির সামনে টাওয়ারের মতাে খাড়া হয়ে আছে। ছায়া ফেলেছে মরুভূমির বালিতে।
সে তার লিঙ্গে হাত বােলাতে থাকে। ওপর-নিচ করতে থাকে। হাতটা সামনে পিছনে দোলায়। সে তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে থাকে ডায়ানের বাঁকানাে পিঠের দিকে, তার উঁচু হয়ে থাকা পাছার দিকে পরিপূর্ণ গােলাকার পাছা। তাকিয়ে থাকে তার সেই উষ্ণ ও ভেজা জায়গাটার দিকে যা তার দুপায়ের মাঝখানে রয়েছে এবং সে নিজেকে কল্পনা করে তার কাছাকাছি; নিজেকে বাঁকা করে চড়িয়ে দিচ্ছে তার ওপর এবং নিশ্চিন্তে বিদ্ধ করছে তাকে পেছনদিক থেকে কোনাে প্রতিবাদ ছাড়াই। সে তার মুঠোর ভেতরে লিঙ্গটা উপরের দিকে ঠেলে ঠেলে দিতে থাকে। দ্রুত, খুব দ্রুত। ওপরের দিকে এবং দ্রুত; এবং হঠাৎ সে অনুভব করে ডায়ানের পাছাও। হ্যারল্ড শুনতে পায় তার আনন্দদায়ক দীর্ঘশ্বাস। লিঙ্গ ঠেলতে থাকে উপরের দিকে, দ্রুত এবং কিছুক্ষণের ভেতরে ডায়ানের কান্নামিশ্রিত শীৎকারের সঙ্গে সঙ্গে সে দ্রুত লিঙ্গ উপরের দিকে ঠেলতে ঠেলতে থুতু ছিটানাের মতাে লিঙ্গের মাথা দিয়ে ঝলকে ঝলকে বীর্য ছিটাতে থাকে ঘরের ছাদের দিকে। কয়েক মুহুর্ত শরীর শিথিল করে সে শুয়ে থাকে। তারপর সে চোখ খােলে এবং ডায়ানেকে নিজের সামনে দেখতে পায়, উপভােগ্য ও কাঙ্ক্ষিত চিরদিনের জন্য।……….
………একরাতে তিনটা শাে করে ডায়ানে এক সপ্তাহে রােজগার করে আশি ডলার। এক সপ্তাহে ছয় রাত। সে পরিধান করত মার্জিত পােশাক, যা শুধুমাত্র তার তলপেটকে দর্শকের সামনে উন্মােচিত করত, কিন্তু যখন পেছনের মঞ্চ পরিবর্তিত হত তখন সে দলীয় নাচের ভেতরে নগ্ন হত দলের অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে। সে দেখত তার শরীর তুলনামূলকভাবে অন্য মেয়েদের তুলনায় সুন্দর । ভালাে করে পরীক্ষা করার পর সে মনে মনে তুষ্ট হয়। এসময় তার এক নাচুনি বন্ধু ডায়ানেকে পরামর্শ দেয়, সে ইচ্ছা করলে মডেল হিসেবে অতিরিক্ত অর্থও আয় করতে পারে। সে তাকে বার্কলের চিত্রকলা বিষয়ক অধ্যাপকের নাম ও ঠিকানা দেয়, যে অন্যান্য নর্তকীদেরকে বিভিন্ন উত্তেজক ৩ঙ্গিতে এক সেশন নগ্নছবি তােলার জন্য বিশ ডলার করে দিয়ে থাকে।……
………খুবই লাজুক ভঙ্গিতে ডায়ানে সেই অধ্যাপকের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হয়। তার। যথাযথ ভদ্রোচিত আচরণে সে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করে এবং তার পােশাক খুলে ফেলে নগ্ন হয়ে অধ্যাপকের সামনে দাঁড়ায়। সে দেখতে পায় লােকটা পেছনের দিকে সরে যাচ্ছে, এবং শুনতে পায় ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ। সে বারবার এই শব্দ শুনতে পায় এবং কোনাে ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই সে ব্যালে-নর্তকীর মতােই চলাফেরা করতে থাকে। তার হাত আস্তে আস্তে নড়ছে। জেগে উঠছে তার শরীর, পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে সে তার শরীরটাকে ঘােরাচ্ছে, মােচড়াচ্ছে এবং সে অধ্যাপকের উপস্থিতি সম্পর্কে মােটেও সচেতন নয়। সে কেবলই সচেতন তার শরীর সম্পর্কে, যাকে সে উদ্দীপ্ত হওয়ার একটা যন্ত্র মনে করে, যা সে শৈল্পিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং এই শরীরের সঙ্গেই সে উঠে যেতে পারে তার সীমাবদ্ধতার ওপরে। যদিও উলঙ্গ হয়ে সে নিজে একবারও অনুভব করেনি যে তার গায়ে কোনাে পােশাক নেই। নাচতে নাচতে ডায়ানে মনে মনে অনুভব করে সে এখানে ব্যক্তিগতভাবে একাকী, গভীরভাবে আবেগের সঙ্গে যুক্ত, যা তার চলাফেরা ও অভিব্যক্তিতে বাইরে প্রদর্শিত হয়েছে, কিন্তু সে জানে না ক্যামেরার পেছনের ঐ অধ্যাপকের প্রতিক্রিয়া কী। সে শুধুমাত্র দূরে তার অস্পষ্ট অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারছে।…….
………..খাপছাড়াভাবে ছবিগুলাে পরীক্ষা করার সময় হেফনারের কোনাে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না। অথচ একসময় নগ্নতা দেখে সে কী পরিমাণ লজ্জা পেত অথবা যৌনমিলন সংক্রান্ত স্বপ্ন দেখে কী পরিমাণ অপ্রতিভ হয়ে পড়ত সেই বয়ঃসন্ধিকালে তার পিতার রক্ষণশীল গৃহের নির্জন শয়নকক্ষে। বর্তমানে যৌনপত্রিকার প্রকাশক হিসেবে সে বেশ সমৃদ্ধশালী, স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন, দুটো যুবতী মেয়ের সঙ্গে ঘুমায় এবং তারা তার কর্মচারী। হেফনার কল্পনা করত যৌনাকাঙ্ক্ষার ভেতর দিয়ে বাস্ত বতাকে উপলব্ধি করা সম্ভব। যে পত্রিকা সে সৃষ্টি করেছিল, সেই পত্রিকাই আবার তাকে নতুন করে সৃষ্টি করে।……..
………প্রথম ছবিতে একটা ব্যালে স্টুডিওতে ডায়ানে নাচছে। তার স্তন দুটি নগ্ন, নিম্নাঙ্গে কালাে টাইট পােশাক যা তার উরুর শক্তি ও সাবলীলতাকে প্রকাশ করছে। সেইসঙ্গে ফুলেফেঁপে ওঠা তার গােলাকার পাছা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তার তলপেট চ্যাপ্টা ও মসৃণ এবং নাচার সময় তার ত্বক ঘামে চিকচিক করছে। এটাই হেফনারের মনে দাগ কাটে। হেফনার যৌবনের শুরুতে খুবই ঘামত, বিশেষ করে স্কুলে পড়ার সময়। তখন কোনাে মেয়ের কোমর স্পর্শ করলেই সে ঘামতে শুরু করত।
ধীরে ধীরে সে ডায়ানে ওয়েবারের স্তনের দিকে তাকাল, যা বড়সড় আকারের এবং দৃঢ়। বোটগুলাে খাড়াখাড়া এবং তার রঙ বাদামি। যথাযথ আকার দেখে হেফনার অত্যন্ত বিস্মিত হয়—একেবারে নিখুঁত আকৃতির এবং সে কল্পনা করে তার হাতের ভেতরে স্তনদুটি টিপলে কেমন আনন্দ হবে। সে জানে এরকম একটা চিন্তা থেকে এই ছবিটা অসংখ্য পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তারা পছন্দ করতে শুরু করবে এই ছবিকে। একসময় তা প্রিয় হয়ে উঠবে এসব নিঃসঙ্গ পুরুষদের। সুতরাং এটা প্রকাশিত হলে পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়বে।……..
…….এসব নারী হচ্ছে নিঃসঙ্গ অথবা নারীসঙ্গ বঞ্চিত পুরুষের মানসিক হৃদয়েশ্বরী (রক্ষিতা)। সে নির্জনে তাদেরকে উত্তেজিত করে তােলে এবং অনেকে এসব নারীর নগ্ন ছবি দেখে স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলনকালে। সে (নারী) হল এক বিশেষ প্রজাতি যে তার দর্শকের চোখ ও মনের ভেতরে থাকে এবং সে পুরুষের কল্পনাযোগ্য সবকিছুই পুরুষের কাছে সঁপে দেয়। সবসময় তাকে বিছানার পাশেই পাওয়া যায়। সে পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণযােগ্য, সে জানে সবচেয়ে ব্যক্তিগত অঙ্গের স্পর্শকাতরতা এবং কখনও এমন কিছু করে না বা বলে না যা পরমানন্দে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
কিন্তু হেফনারের পরিকল্পনা ছিল আরও বড় আকারের। সে শুধুই এসব নারীর নগ্নছবি পত্রিকায় ছেপে তৃপ্ত হত না, সে এসব নারীকে পেতেও চাইত। তার যৌনক্ষুধা, দীর্ঘকালীন হতাশার জন্ম দিয়েছিল এবং তখনও তা ছিল অতৃপ্ত। সে কারণে সে শুধুই ফ্যান্টাসি উপস্থাপন করে ক্ষান্ত হতে চাইত না, সে চাইত এসব ফ্যান্টাসিকে বাস্তবে উপভােগ করতে অর্থাৎ সে ফ্যান্টাসির বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে চাইত। পরীক্ষা করে দেখতে চাইত তার সমৃদ্ধ যৌনজ্ঞান এবং শারীরিক উদ্যোগ এবং সে চাইত এমন একটা যৌনমিলনের দৃশ্য তৈরি করতে যা দেখা ও অনুভব করা যায়।……
………বিশ্বাসযােগ্য একজন যুবতী নারী যে তার বিয়ের পর কেবলই তার স্বামীর অধিকারে থাকবে। কিন্তু কয়েক মাস পার হওয়ার পর হেফনার নিজের যৌন উদ্যোগ এবং ঔৎসুক্য মেটানাের আকাঙ্ক্ষাকে নিবৃত্ত করতে পারে না এবং এক সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিকাগােতে হেফনার তাকে তার পিতার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং আদর-সােহাগের সঙ্গে প্রচুর চটকাচটকি হয়। তারপর পারস্পরিক হস্তমৈথুন এবং সবশেষে মুখমৈথুনের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। রােববার রাতে গ্ৰেহাউন্ড বাসে চড়ে ক্যাম্পাসে যাবার সময় বাসের অন্ধকার কোনায় চুমু খাওয়ার পর চাপাচাপি হয় এবং হেফনার তাকে পীড়াপীড়ি করে সিটে বসেই কম্বলের তলায় ঢুকে তার লিঙ্গ চুষে দিতে। তার অনুরােধে মিলড্রেড বিস্মিত হয় যে তার শরীরে উত্তেজনা জেগেছে। তারও ইচ্ছে করছে এবং সে কোনাে প্রতিবাদ ছাড়াই সেই মুহূর্তে তাকে তৃপ্ত করতে রাজি হয়। মিলড্রেড সবচেয়ে পেছনের সিটে আধাশােয়া হয়ে হেফনারের কোলের ওপর রাখা কম্বলের তলায় ঢুকে পড়ে। তারপর অন্ধকারেই সে মুখ নামিয়ে এনে হেফনারের লিঙ্গ মুখে পুরে নেয় এবং তা হফনারের প্রতি শুধুমাত্র ভালােবাসাই নয়, সে তার স্বাধীনতার একটা নাটকীয় গরমও অনুভব করে।….
……….মিলড্রেড নিয়মিত হেফনারের কাছে যেত না। সে হেফনারের সঙ্গে তার যৌনমিলনকে নৈতিকতার অবক্ষয় বলেও ব্যাখ্যা করত না, বরং সে মনে করত সে তার গ্রহ ও অঙ্গীকারের মূল্য দিচ্ছে সেই লােকটির আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করতে, যাকে সে একদিন বিয়ে করবে এবং এখন তার কাছ থেকেই সে দক্ষতার সঙ্গে শিখছে যৌন সুখ দেওয়া ও নেয়ার শিল্পকলা। সে চমৎকৃত হয় যে হেফনার যৌনতার ব্যাপারে কে জানে এবং যত্নশীল।
শিকাগােতে এক অপরাহ্বে যখন তার পিতা বাড়িতে ছিল না তখন সে মিলড্রেডকে নীচতলায় তার বেডরুমে নিয়ে যায়। তারপর আলমারি থেকে বের করে লাইট এবং কেমেরা এবং অল্প কিছুক্ষণ চুমােচুমি ও শরীর হাতড়ানাের পর, মিলড্রেড তার পােশাক খুলে ফেলে এবং পুরােপুরি নগ্ন হয়ে তার সামনে দাঁড়ায়। হেফনার উত্তেজিতভাবে ছবি তোলা শুরু করে, বিছানায় শুইয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে-চিৎ হয়ে, কাৎ হয়ে, উপুড় হয়ে বিভিন্ন ভাবে। আবার দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়েও কয়েকটা ছবি তুলল…….
……..মিলড্রেড বলে যে, প্রথম লােকটার সঙ্গে পরিচয় হয় তার গাড়িতে চড়ে শিকাগাে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে তারা পরস্পরের কথা উপভােগ করেছে এবং শিকাগােতে সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে আসার পর এক সাপ্তাহিক ছুটির রাতে তারা ব্রিজ খেলতে শুরু করে। মিলড্রেডএর স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও তখন উপস্থিত ছিল। অন্য একদিন গাড়ির ভেতরে সে মিলড্রেডকে চুমু খায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মিলড্রেড সাড়া দেয় এবং যতক্ষণ যৌনমিলনের সুখ পেয়ে সে শান্ত না হয় ততক্ষণ লােকটা চুমু খাওয়া থামায় না।…….
…সে স্মরণ করে তার যৌবনের মহামূল্যবান স্বপ্ন যা হারিয়ে গেছে এবং আরও হারিয়েছে স্ত্রীর প্রতি যৌনাকাঙ্ক্ষা। কিন্তু মিলড্রেড নিজেকেই এজন্য দায়ী করে। যৌনমিলনের ইচ্ছা তার খুব কমই হত। কারণ তাদের সঙ্গমকালীন শব্দ হেফনারের পিতামাতা সহজেই শুনতে পাবে পাশের রুম থেকে। এছাড়া মিলড্রেড আরও বিশ্বাস করত, অন্য পুরুষের সঙ্গে তার যৌনমিলনের কারণেই হেফনারের রােমান্টিকতা উবে গেছে এবং একই সঙ্গে মিলড্রেডের শৈশবের ক্যাথলিক ধ্যান-ধারণা তার ভেতরে যৌনবিষয়ক অপরাধবােধের জন্ম দিয়েছে। সে ঐ লােকটির সঙ্গে পাপপূর্ণ যৌনমিলনে অংশ নিয়েছিল এবং সেকারণেই তার এখন শাস্তি হচ্ছে।…….
……..ফটো-সাংবাদিকতার দোহাই দিয়ে ১৯৩০ সালের শেষদিকে লাইফ এবং লুক নিজেদের ন্যায্যতা তুলে ধরার চেষ্টা করে। তারা সেই বিতর্কিত ছবিটি ছাপে অভিনেত্রী হেডি কেইসলারের যেখানে সে উলঙ্গ হয়ে সাঁতার কাটছে এবং তার নগ্ন স্তনের বোঁটা স্তন্যবলয়সহ দৃশ্যমান-ছবিটি চেকোস্লোভাকিয়ার পরমানন্দ ছবির একটি দৃশ্য। এই ছবির প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই চাঞ্চল্যকর। ফলে তা নিষিদ্ধ করা হয়।……….
……..লাইফ পত্রিকা ১৯৪৩ সালে হাস্যরত এক স্বর্ণকেশী মডেলের ছবি ছাপে। তার নাম চিলি উইলিয়ামস, যার বড় বড় ফোটার ফুটকিওয়ালা স্নানের পােশাকটা তার উঁচু হয়ে ওঠা যােনিবেদির কাছে সামান্য ভেতরের দিকে গোঁজা।…….
………অনানুষ্ঠানিক পত্রিকাগুলােও একই অধিকার দাবি করে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, মডার্ন সানবাদিং এবং হাইজিন। পত্রিকা দুটির প্রকাশক হচ্ছে জর্জ ভন রােজেন। সে ডাকবিভাগের নীতিমালা মেনে যৌনকেশসহ মেয়েদের ছবি এখন আর ছাপে না। সে ছাপে বিশিষ্ট সুন্দরী স্বাস্থ্যবর্তী ও নধরকান্তি যুবতীদের পরিপূর্ণ স্তন বোঁটাসহ। এসব নারীর কেউ কেউ ঘরের ভেতরে ছবি তুলে তাদের নগ্নতাবাদী প্রথাকে লঙ্ঘন করেছে। তবে এরকম কথাও শােনা গেছে যে, আকর্ষণীয় নগ্নতাবাদীদেরকে জোগাড় করা সম্ভব না হলে সে স্ট্রিপার (নিজের পােশাক উন্মােচনকারী)-দের ছবি ছাপতেও অনীহা প্রকাশ করে না।…….
………….হেফনার বিভিন্ন আর্টবুকে নমস্য শিল্পীদের আঁকা নগ্ন ছবির রিপ্রােডাকশন পরীক্ষা করে দেখে। এসব শিল্পীদের ভেতরে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, রাফায়েল, টাইটান, ইনগ্রেস, রােনায়, রুবেন্স, মানে, কৌরবেট এবং আরও অনেক অখ্যাত শিল্পী, যারা প্রায়ই অনাবৃত যৌনাঙ্গসহ শরীরের ছবি এঁকেছে। এদের ছবিতে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে স্তন, আর চোখগুলাে সরাসরি দর্শকদের দিকে, বিশেষ করে ভন রােজেনের আর্ট পত্রিকায় যেসব ছবি ছাপা হত অন্তত তার চেয়ে। ১৮৬৫ সালে আঁকা মানে-এর একটা ছবিতে এক নগ্ননারীর কামলালসাপূর্ণ চাহনি খুবই উত্তেজক অথবা কৌরবেট-এর আঁকা নধরকান্তি উত্তেজক দুই নারী পরস্পরকে আলিঙ্গন করছে বিছানায় কিংবা রুবেন্সের আঁকা নগ্ন নারী হেলান দিয়ে আছে বালিশে, হাতদুটো মাথার পেছনে, স্তনের বোঁটা ঊর্ধ্বমুখী, সে স্থিরদৃষ্টিতে চেয়ে আছে দর্শকের দিকে এবং তার কালাে কুচকুচে যৌনকেশ দেখা যাচ্ছে।…….
………..এসব পত্রিকায় নগ্নছবি ছাপা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার দীর্ঘদেহী স্বর্ণকেশী আকর্ষণীয় নারী আইরিশ ম্যাককাল্লা এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির কর্তৃত্বপরায়ণ ফ্লোরিডার শ্যামাঙ্গিনী বেত্তি পেজ। অন্যান্য মডেলের চেয়ে এই দুই নারী ছিল যুদ্ধোত্তর সময়ে কয়েক হাজার পুরুষের হস্তমৈথুনের খােরাক এবং ডায়ানে ওয়েবারের আবির্ভাবের পূর্বপর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশের দশক জুড়ে তারা পুরুষকে উত্তেজিত করেছে। আর ডায়ানে ওয়েবার সানসাইন অ্যান্ড হেলথ এবং ভন রােজেনের পত্রিকায় নগ্ন হতে থাকে। যত দিন যায় তত তার পােশাক ছােট হতে থাকে। ফলে ৩ার গােপনাঙ্গগুলাে ক্রমান্বয়ে পুরুষের যৌনমিলনের লােভ বাড়িয়ে তােলে।……….
……….হেফনার পরিকল্পনা করত, তার পত্রিকার হেডলাইন সাম্প্রতিক সময়ের যৌনতাকে অধিক প্রকাশ করবে। এই পত্রিকায় ছাপা হত সাম্প্রতিক সময়ের যৌনতা পরিবর্তন সংক্রান্ত অপারেশনের খবর, ক্যাফে সােসাইটির পতিতাচক্রের খবর এবং আমেরিকার নারীদের ওপর ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত কিনযের প্রতিবেদন। কিনযের পরিসংখ্যান জানায়, সমস্ত নারীদের ভেতরে শতকরা ৫০ ভাগ এবং কলেজ ছাত্রীদের ভেতরে শতকরা ৬০ ভাগ বিয়ের আগেই যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং সমস্ত বিবাহিত নারীর ভেতরে শতকরা ২৫ ভাগ স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনবাসনা চরিতার্থ করে। মােট নারী জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী হস্তমৈথুন করে, শতকরা ৪৩ ভাগ মুখমৈথুনে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং মােট নারী জনসংখ্যার শতকরা ১৩ ভাগ কমপক্ষে একবার হলেও অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, যার ফলাফল ছিল রাগমােচন।…
…..প্লেবয়ের পাঠকের সংখ্যা প্রায় তিরিশ হাজার, যে সংখ্যাতে মেরেলিন মনরাের নগ্নছবি ছাপা হয়েছিল। কয়েকটি পিন-আপ ছবির মধ্যে এটি ছিল একটি এবং অন্য তিনটি নগ্ন ছবির জন্য সে পােজ দিয়েছিল ১৯৪৯ সালে যখন সে হলিউডে নায়িকা। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পড়ে হেফনার জানতে পারে, শিকাগাের এক ক্যালেন্ডার প্রস্তুতকারী এই ছবির মালিক এবং আগে থেকে যােগাযােগ না করেই সে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং প্রােপাইটারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সবচেয়ে উত্তেজক ছবিটি ৫০০ ডলারের বিনিময়ে কেনে। এই ছবিতে মনরাে তার দুহাত দুদিকে বাড়িয়ে রেখেছে, হাস্যরত মুখমণ্ডল, খােলা স্তনদুটি লাল বোঁটাসহ ঊর্ধ্বমুখী, যৌনকেশ অল্প অল্প দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে নধর নিতম্বের আংশিক।…….
…….রাতের বেলা শহরে ঘুরে বেড়ানাের অভ্যাস হেফনার পরিত্যাগ করেছে। সে এখন প্লেবয় ভবনের ভেতরেই থাকে সারাদিন, পুরাে সপ্তাহ। সে তার কাপড়চোপড় সেখানেই রাখে, সরবরাহকৃত খাবার খায় এবং অফিসের বেডরুমেই মেয়েদের সঙ্গে যৌনমিলন সম্পন্ন করে এবং তারপর নিজের টেবিলে বসে লেখার পাণ্ডুলিপি পড়ে, ছবির ক্যাপশন লেখে, হেডলাইন ঠিক করে এবং পরীক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত প্লেমেট (যৌনখেলার সঙ্গী)-এর রঙিন ট্রান্সপারেন্সি।…….
………তারা পরস্পরের সঙ্গ উপভােগ করতে থাকে এবং নিয়মিত নির্জনে সময় কাটায় এবং হেফনারের অফিসের বেডরুমে চলে যৌনমিলন। চার্লিন সবরকমভাবে এই পত্রিকাকে সাহায্য করতে চায় এবং নির্দিষ্টভাবে খুশি করতে চায় হিউ হেফনারকে, তােষামােদ করতে চায় তার মনােযােগ আকর্ষণ করতে, ভীত হয় হেফনারের সাফল্যে এবং তাকে যখন হেফনার প্রস্তাব দেয় প্লেবয় জুলাই সংখ্যায় প্লেমেট হওয়ার জন্য, তখন সে তাকে নিরাশ করে না।
এসময় হেফনার তাকে একটা ক্রিস্টমাস ট্রি’র নিচে পােজ দিতে বলে। সে তার নগ্ন শরীর গহনা দিয়ে সাজিয়ে দেয় এবং সবচেয়ে উজ্জ্বলতর করে তােলে তার বিশাল স্তনদুটো।…………
…………পুরুষটা মেয়েটির দিকে পেছন ফেরা অবস্থায়ই বিছানা থেকে নেমে গেল- নগ্ন, শুভ্র এবং ছিমছাম তার শরীর এবং সে হেঁটে গেল জানালার দিকে। একটু থামল, জানালার পর্দা তুলল এবং এক মুহূর্ত বাইরের দিকে তাকাল। পুরুষটির পেছন দিকটা ছিল সাদা এবং সুন্দর। তার ছােটখাট পেলব পুরুষালি পাছা অপরূপ। পেছন থেকে দেখেও তাকে বেশ শক্তিশালী মনে হচ্ছে।
পুরুষটা নারীর দিকে ফিরতে লজ্জা পাচ্ছিল, কারণ সে নগ্ন হলেও তার লিঙ্গ উত্তেজিত। সে তার শার্টটা মেঝে থেকে কুড়িয়ে নিয়ে লিঙ্গ ঢাকে এবং মেয়েটার দিকে এগিয়ে আসে। | ‘না’ মেয়েটা বলে এবং তার দুলতে থাকা নগ্ন স্তনদুটি তার হালকা-পাতলা হাতদুটো দিয়ে ঢাকতে চেষ্টা করে, দাঁড়াও, আমাকে দেখতে দাও আমি তােমাকে দেখব।
পুরুষটা তার শার্ট ফেলে দিয়ে খাড়া লিঙ্গ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল এবং দেখতে লাগল মেয়েটিকে। নিচু জানালা দিয়ে সূর্যালােক এসে আলােকিত করেছে তার উরু এবং পেট, লালচে সােনালি রঙের যৌনকেশের হালকা মেঘের ভেতর থেকে কালচে খাড়া লিঙ্গটা মাথা উঁচু করে তার দিকে চেয়ে আছে। দেখেই তার মনে হচ্ছে ওটা বেশ গরম। সে একই সঙ্গে উত্তেজিত ও ভীত হয়।
কী অদ্ভুত। মেয়েটা ধীরে ধীরে বলে, সে কী অদ্ভুতভাবে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে । কতাে বড়! কালাে কুচকুচে এবং অতিরিক্ত আস্থাভাজন। তাই নয় কি?
পুরুষটা মাথা নিচু করে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে হাসল। তার বুকের লােমগুলিও কালাে। কিন্তু তার তলপেটের নিচে অর্থাৎ লিঙ্গের ওপর ঘন ফুঞ্চিত লালচে সােনালি চুল যেন একটা ছােট্ট মেঘ। | মেয়েটি জড়ানাে গলায় বিড়বিড় করে বলে, তােমার ওটা খুবই গর্বিত এবং রাজকীয় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। এখন আমি বুঝতে পারলাম কেন পুরুষরা অন্যকে বশীভূত করে। কিন্তু এই জিনিসটা খুবই চমৎকার, সত্যিই । আলাদা একটা অস্তিত্বের মতাে! যদিও সামান্য ভয় পাইয়ে দেয়, তারপরও অপরূপ এবং সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। মেয়েটা ভয়ে এবং উত্তেজনায় দাঁত দিয়ে তার নিচের ঠোট কামড়ে ধরে…
‘নাও এবার শুয়ে পড়াে। পুরুষটি বলল, “শুয়ে পড়াে এবং আমাকে করতে দাও। পুরুষটা তখন খুবই ব্যস্ত।
তারা কিছুক্ষণ পর যখন শান্ত হয় তখন নারী আবার পুরুষটিকে নগ্ন করে তারা লিঙ্গের রহস্য আবিষ্কার করতে চায়।
মেয়েটি বলে, এখন সে ছােট এবং নরম, যেন জীবনের একটি মুকুল।’ সে নরম লিঙ্গটি হাতের মুঠোয় নেয় এবং আবার বলে, তােমার এখানকার চুলগুলি কী সুন্দর!
তােমার অন্যান্য চুলের থেকে আলাদা, একেবারে আলাদা!’
‘এটা হচ্ছে জন টমাসের যৌনকেশ, আমার নয়।’ পুরুষটি বলল। ‘জন টমাস, জন টমাস বলতে বলতে নারী পুরুষটির লিঙ্গে চুমু খেল যা আবার শক্ত হতে শুরু করেছে।
পুরুষটি বলল, “হ্যা সে তার শিকড় প্রবেশ করিয়েছে আমার আত্মায় এবং সে একজন ভদ্রলােক। কখনও কখনও আমি বুঝতেই পারি না তার সঙ্গে কীরকম আচরণ করা উচিত। হ্যা, অবশ্যই তার নিজের ইচ্ছা রয়েছে এবং এই ইচ্ছা তাকে উত্তেজিত করে তােলে এবং তাকে সন্তুষ্ট করে। যদিও আমি তার ইচ্ছাকে হত্যা করতে পারি না।’
‘এতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে মানুষ তার ব্যাপারে বরাবরই ভীত। সে সত্যিই খুব ভয়াবহ। মেয়েটি বলল ।
পুরুষটির সমস্ত শরীরে একটা আনন্দের শিহরণ বয়ে গেল। তার চেতনা পরিবর্তিত হতে লাগল এবং সে নিজের দুই উরুর মাঝখানে তাকাল। সে অসহায়ের মতাে দেখতে লাগল তার নরম লিঙ্গ ধীরে ধীরে জেগে উঠছে, শক্ত হচ্ছে এবং একসময় তা প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল, যেন একটা টাওয়ার। নারী এবার উত্তেজিত লিঙ্গ দেখে উত্তেজনায় শিউরে ওঠে।
“তােমার ওখানে এটাকে নাও। সে খুব বেশি মােটা নয়। পুরুষ বলল। একটা অব্যক্ত আনন্দ তখন নারীর শরীরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় যখন সে তার ভেতরে প্রবেশ করে এবং দুটি শরীরের ভেতরে যেন আনন্দ গলে গলে পড়তে থাকে যতক্ষণ নারীর কণ্ঠ থেকে শীৎকারমিশ্রিত কান্না বেরিয়ে না আসে।
এই দৃশ্য এবং কিছু অন্তরঙ্গ বর্ণনা সম্বলিত প্যারাগ্রাফের কারণে লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার তিরিশ বছর আমেরিকায় নিষিদ্ধ হয়ে আছে। ১৯৫৯ সালে এক বিচারপতি অশ্লীলতার নতুন সংজ্ঞার আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন এবং ডি এইচ লরেন্সকে মেধাবী মানুষ বলে স্বীকৃতি দান করেন।……….
………লরেন্সের আগে চিত্রশিল্পী ও পর্ণো-লেখকদের পক্ষে সম্ভব হয়নি নারীশরীরকে এত খােলামেলা করে প্রদর্শন করা, এমনকি লিঙ্গ এত প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়নি বিশেষ করে উত্থিত অবস্থায়, কিন্তু এটা ছিল লরেন্সের একটা সংকল্প-একটা লৈঙ্গিক উপন্যাস লেখা। এই উপন্যাসে লেডি চ্যাটার্লির দৃষ্টি সারাক্ষণ তার প্রেমিকের লিঙ্গের ওপর নিবদ্ধ। সে আঙুল দিয়ে তাতে টোকা দেয়, নিজের স্তন তাতে ঘষে ঘষে আদর করে, স্পর্শ করে তার ঠোট দিয়ে। সে হাত দিয়ে ধরে দেখে তার হাতের ভেতরেই এটা খাড়া হয়ে উঠেছে। সে তার প্রেমিকের শরীরের নিচেও উল্টো হয়ে পৌঁছে যায় অণ্ডকোষ আদর করার জন্য। সে অনুভব করে তার বিস্ময়কর কোমলত্ব এবং ওজন এবং তার হাজারাে বিস্ময়ের বর্ণনা লরেন্স যেভাবে দিয়েছেন তাতে অসংখ্য পাঠক উত্তেজনা অনুভব করবে এবং তারা কল্পনা করবে তাদের লিঙ্গে লেডি চ্যাটার্লির হাত, ঠোট, ও স্তনের স্পর্শ এবং হস্তমৈথুনের ভেতর দিয়ে কল্পনায় শিহরণ অনুভব করবে তার প্রেমিক হওয়ার জন্য।
কামােত্তেজক কাহিনী মানুষকে হস্তমৈথুনে নেতৃত্ব দেয়। সে কারণেই এই গ্রন্থ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।………
………..পর্ণোগ্রাফি সেইসব পুরুষের লিঙ্গকে উত্তেজিত করে তােলে যারা পতিতা বা উপপত্নী যােগাড় করতে পারে না অথবা লাজুক, কিংবা নিজে কুৎসিত অথবা যারা অল্পকালের জন্য নারীর কাছ থেকে আলাদা থাকে (বিশেষ করে জেল বা হাসপাতালে থাকার সময়) অথবা স্ত্রী বা প্রেমিকার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চায় এবং অন্য কারাে সঙ্গে যৌনকর্ম করতে চায় না, তারাই এসব নগ্নপত্রিকা দেখে কিংবা উত্তেজক কাহিনী পড়ে কল্পনায় যৌনতৃপ্তি লাভ করে থাকে। কেউ কেউ স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলনকালে এসব দেখে বা পড়ে। তারা নিজের স্ত্রীকে অন্য মেয়েমানুষ কল্পনা করে সুখ পায়। একে বলা হয় ‘সুপারইমপােজিশন’ অর্থাৎ একজনের ওপর অন্যজনকে চাপিয়ে দেওয়া। এটা পুরুষের খুবই সাধারণ এবং গােপন আচরণ। এই কাজের জন্য উত্তেজিত হতে পর্ণোগ্রাফির প্রয়ােজন পড়ে না। মানুষের কল্পনাপ্রবণতাই এই তৃপ্তির জন্য যথেষ্ট।
প্রতিদিনই লিঙ্গ প্রার্থনা করে যেন সে যৌনদৃশ্য দেখতে পারে রাস্তায়, স্টোরে, অফিসে, বিলবাের্ডের বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে। হয়তাে দেখা গেল লালসাপূর্ণ দৃষ্টিতে এক স্বর্ণকেশী মডেল টিউব থেকে টিপে ক্রিম বের করছে এবং হাসছে। ট্রাভেল এজেন্সিতে রিসিপশনিস্ট বসে আছে যার ব্লাউজ ফুটো করে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে তার বিশাল স্তনের বড় বড় বোঁটাগুলাে। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের চলমান সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে টাইট জিন্স পরা একঝাঁক ঢাউস পাছাওয়ালা নারী । কসমেটিকসে দোকানে পারফিউমের গন্ধ সঙ্গে নিয়ে এল লােকাট ব্লাউজ পরে অর্ধেক স্তন বের করা কোনাে যুবতী।
নগর এখন উপহার দেয় বিভিন্ন গােত্রীয় উর্বরতার নৃত্যকলা, তুলে ধরে যৌনশিকারের জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলি এবং বহু পুরুষ বারবার একটা চাপ অনুভব করে শিকারি হিসেবে নিজের জন্মগত প্রবৃত্তিকে পরীক্ষা করে দেখার। লিঙ্গ প্রায়ই বিবেচিত হয় একটা অস্ত্র হিসেবে। পুরুষের কাছে এটা একটা বােঝা, কখনও কখনও অভিশাপ । তাই লিঙ্গই তাকে ক্লান্তিহীন লম্পটে পরিণত করে, সে লুকিয়ে অন্যের যৌনক্রিয়া দেখে আনন্দ পায়, এই লিঙ্গই তাকে জনসমক্ষে হস্তমৈথুন করতে বাধ্য করে, এই লিঙ্গই তাকে পরিণত করে ধর্ষকে। এই লিঙ্গটি এক সৈনিককে কর্তব্যে অবহেলা করতে নেতৃত্ব দেয়, এই লিঙ্গের কারণেই বিবাহ-বিচ্ছেদ, সন্তানদের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং নিঃসঙ্গতার জন্ম। কখনও কখনও এই লিঙ্গই রাজনৈতিক নেতার জন্য কেলেঙ্কারির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।……….
…….মওরিস গিরােডিয়াস ছিল রসেটের মতােই ইহুদি পিতা ও ক্যাথলিক মায়ের সন্তান। রসেটের সঙ্গে প্যারিসে দেখা হওয়ার পর দুজনের একটা পেশাগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার প্রকাশনার নাম অলিম্পিয়া প্রেস। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। তার প্রথম প্রকাশনা হচ্ছে ভ্রাদিমির নবােকভের লােলিতা’র ইংরেজি অনুবাদ। তারপর প্রকাশ করে জে.পি, ডনলেভির দ্য জিনজার ম্যান, পাউলিন রেগির স্টোরি অব ও উইলিয়াম বাররােজ এর ন্যাকেড লাঞ্চ এবং টেরি সাউদান ও ম্যাসন হাফেনবার্গ এর যৌথভাবে লেখা উপন্যাস ক্যান্ডি। রসেটের মতাে গিরােডিয়াসও ছিল সাহসী ও বেপরােয়া। সে সাধারণত প্রকাশ করত রাজনৈতিক প্রবন্ধ এবং ফরাসি ভাষায় রাশিয়ান ক্লাসিকস। উত্তেজক গ্রন্থের মধ্যে তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হল, দ্য ওপেন মাউথ, দ্য চ্যারিওট অব ফ্রেশ এবং হােয়াইট থাই।………
……..নারীর নগ্নছবি তখন একচেটিয়াভাবে পুরুষদের পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। ১৯৬০ সালে হারপার বাজার এক উন্মুক্ত বক্ষা নারীর ছবি ছাপে, নাম ক্রিস্টিনা পাওলােজ্জি। তার সামাজিক সুনাম কিছুটা ক্ষুন্ন হলেও সে সংবাদমাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।…..
……….জুডিথের মুখেই শুনেছিল। কিন্তু এই মদ্যপান জুডিথের যৌনজীবনের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। যেদিন যে পার্টিতে অতিরিক্ত মদ্যপান করত সেদিন সে বিছানায় উন্মত্ত নারীর মতাে সাড়া দিত, এমনকি এসব রাতে সে বুল্লারাের লিঙ্গ চুষে দিত যা সে অন্যসময় করতে রাজি হত না। তাছাড়া জুডিথ ছিল যৌনমিলনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় এবং দিনে দিনে তা বাড়তে থাকল। যখন তারা বিয়ে করেনি তখন যৌনমিলন ছিল তাদের কাছে বিয়ে-বহির্ভূত নিষিদ্ধ আনন্দের মতাে এবং তখন তারা যৌনমিলন খুবই উপভােগ করেছে।………..
……..রুমের দরজা বন্ধ করার শব্দ শুনল। ঘুরেই দেখতে পেল বারবারা ক্র্যামার তার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং হাসছে।
হাসতে হাসতেই সে বলল, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই খেলাটা তােমার সাথে খেলব। সম্ভবত অ্যাসপিরিনের চেয়েও খেলাটা আমার বেশি প্রয়ােজন। আমার দরকার কিছুক্ষণ চমৎকার মৈথুন।’ বুল্লারাে জানে সে ভুল শােনেনি কিন্তু তার এরকম সরাসরি প্রস্তাবে সে বিস্মিত হয়। তার মনে পড়ে পাশের রুমেই আছে রিজিওনাল ম্যানেজার। সামনের রুমেই হল অন্য এক নির্বাহী; কিন্তু বুল্লারাে কিছু বলার আগেই সে তার জ্যাকেট ও জুতাে খুলে ফেলল এবং তারপর খুলতে লাগল ব্লাউজের বােতাম। | বারবারা জিজ্ঞাসা করল, তুমি নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে খেলতে চাও?’ বুল্লারাে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল এবং দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছিল ঘটনার আকস্মিকতায়। বারবারা জিজ্ঞাসুদৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। তার আঙুল ব্লাউজের বােতামের ওপর ।
অবশেষে বুল্লাররা বলল, আমার মনে হয় আমরা কী করছি তা আমার জানি। সে অ্যাসপিরিন আলমারিতে রেখে দিল এবং বারবারার দিকে তাকিয়ে থেকেই সে তার টাই এবং জুতা খুলল। বারবারা আবার কাপড় খুলতে শুরু করল। সে ব্লাউজ সযত্নে চেয়ারের ওপর রাখল। গহনাগুলাে রাখল টেবিলের ওপর এবং তারপর স্কার্ট খুলল। ব্রেসিয়ার খােলার পর বুল্লারাে তার বিশাল স্তনদুটো দেখতে পেল, তারপর দেখতে পেল গােলগাল সুঠাম উরু এবং ঘুরে দাঁড়াতেই চোখ আটকে গেল চওড়া ভরাট পাছায়। সে একেবারে ন্যাংটা এবং এগিয়ে যাচ্ছে বিছানার দিকে। সে বিছানায় উঠে বেড কভারের নিচে ঢুকে পড়ল, অপেক্ষা করতে থাকল বুল্লারাে কখন তার শর্টস খুলবে। বুল্লারাের লিঙ্গও খাড়া হয়ে গেছে পুরােপুরি এবং সে ঘরের ভেতরে ন্যাংটা হয়েই এটাওটা করতে লাগল। বারবারা দেখছে তার উত্তেজিত লিঙ্গের নড়াচড়া।।
বুল্লারাে বিছানায় এল, কিন্তু কেউ কোনাে কথা বলল না। বারবারার হাত সে অনুভব করল বুকের ওপর, তারপর পেটের উপর এবং তারপর তার লিঙ্গে। বুল্লারাে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে কিন্তু কিছুই করে না। বারবারা তার লিঙ্গ ধরে মুঠো করে, হাত বােলায় এবং তারপর সে বুল্লারাের ওপরে চড়ে। তাকে মনে হয় যৌন আগ্রাসী এক নারী, যে নিপুণভাবে তার কোমর নাচাতে পারে লিঙ্গের ওপর এবং বুল্লারাে উপভােগ করছে তার শরীরের কর্তৃত্বপরায়ণরতা। অন্য নারী ও তার স্ত্রীর চেয়ে বারবারাকে একেবারে আলাদা মনে হয়-সে কোনাে কথা বলছে না, তাকে জড়িয়ে ধরছে না, চুমু খাচ্ছে না, তাকেও চুমু খেতে বলছে না। এর অর্থ হচ্ছে শুধুই শারীরিকভাবে সে বুল্লারােকে চায়। মুক্ত থাকতে চায় যেকোন ধরনের মানসিক আবেগ থেকে। তারপর হঠাৎ করেই সে তার দুই পা ফাক করে বুল্লারাের লিঙ্গ নিজের যােনিতে পুরে নেয় এবং পাছা নাচাতে থাকে উপরে-নিচে। দুই চোখ বন্ধ । দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে ঠোট। দুই হাতে খামছে ধরে বুল্লারাের পাছা। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবং থামে।
‘চমকার। খুবই চমৎকার।’ বলে বারবারা।
‘এ্যাসপিরিনের চেয়ে অবশ্যই ভালাে বলে বুল্লারাে। তারপর সে বুকের ওপর থেকে নেমে চিৎ হয়ে শােয় অর্থাৎ বােঝাতে চায় সে তখন বুল্লারােকে তৃপ্তি দিতে প্রস্তুত। বুল্লারাে তার বুকে চড়ে এবং কিছুক্ষণের ভেতরে খেলা শেষ করে।
দশ মিনিট তারা একসঙ্গে বিছানায় শুয়ে থাকে। তারপর বারবারা কাপড় পরতে শুরু করে। বারবারার শরীর উত্তেজক এবং পরিপক্ক। কিন্তু তার মুখখানা ছেলেদের মতাে, এমনকি তার চুলের স্টাইলও। যৌনমিলনের ক্ষেত্রেও তার আচরণ পুরুষের মতাে। এরকম নারীর সঙ্গে এর আগে আর বুল্লারাের দেখা হয়নি।………..
………..নিকটবর্তী শহর ক্যামােয়েস থেকে প্রায় সাত মাইল দূরে ছিল এই খামার এবং খামার এলাকায় কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের ভেতরেই তার জীবন সীমাবদ্ধ ছিল। কিশােরী বয়সে সে ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করেছে সবচেয়ে বেশি এবং তাদের কাছে সে যৌনতা সম্পর্কে জেনেছে খুবই স্বাভাবিক ও খােলামেলা পদ্ধতিতে। তার বয়স যখন দশ বছর তখন একদিন সে দেখতে পায় দুটো ছেলে গােলাঘরের ভেতরে দাঁড়িয়ে দুই হাত সামনে ও পেছনে নাড়ছে। এদের একজন তাকে কাছে আসার আহ্বান জানায়। সে কাছে নিয়ে দেখে দুজনেই তাদের লিঙ্গ হাত দিয়ে নাড়াচ্ছে।
যদিও সে তার পিতাকে গােসল করার সময় উলঙ্গ দেখেছে কিন্তু উত্তেজিত লিঙ্গ সে আগে কখনও দেখেনি। ফলে তার ঔৎসুক্য বাড়ে। যখন বড় ছেলেটি, যার বয়স তেরাে, তাকে জিজ্ঞাসা করে সে তার লিঙ্গটা ধরে দেখতে চায় কিনা, তখন সে মাথা নেড়ে সায় দেয়। তারপর সে তার লিঙ্গ বের করে তাকে দেখায় এবং বলে এটা ম্যাসেজ করলে তার খুব ভালাে লাগে। সে তাই করে এবং বিস্মিত হয় যখন অনুভব করে লিঙ্গের স্পন্দময় কম্পন এবং দেখতে পায় লিঙ্গের মুখ দিয়ে আঠালাে তরল পদার্থ চুইয়ে পড়ছে।
ছােট ছেলেটা হস্তমৈথুন করে নিজে নিজে এবং বড় ছেলেটা বারবারাকে চুমু খায়। বারবারার খুব ভালাে লাগে। মনে হয় ছেলেটা তাকে আরও চুমু খাবে। তারপর থেকে প্রায়ই সে এবং বড় ছেলেটা দুজন দুজনকে হস্তমৈথুন করে দিয়েছে খড়ের গাদার ভেতরে বসে। কিন্তু কখনও তারা এসব নিয়ে কোনাে আলােচনা করেনি। তারা ভেবেছে এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পেলে বিপদ হতে পারে, তাই তারা আর অগ্রসর হয়নি।………..
………বারবারার বয়স যখন ষােলাে বছর তখন সে এক যুবকের কাছে তার কুমারিত্ব হারায় যাকে সে ভালােবাসত বলে তার মনে হত। সে ছিল খুবই বুদ্ধিমান এবং সব সময়ই যৌনমিলনকালে কনডােম ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকত।……..
……..জন বুল্লারাের সঙ্গে বারবারার সম্পর্কটা ১৯৬৬ সালের বসন্ত পর্যন্ত গড়ায়। এ সময়ে অফিসের কাছাকাছি একটা মােটেলে সে দ্রুত মধ্যদিনের যৌনমিলন সেরে নিত।……বারবারা আনন্দিত ছিল তার এই যৌনসম্পর্কের ভেতর দিয়ে সে পেশাগতভাবে উৎসাহিত হয়েছে। তাছাড়া বুল্লারােও খুশি এ কারণে যে প্রেম অথবা বিয়েতে জড়িয়ে পড়ার চেয়ে যৌনমিলনের ব্যাপারেই বারবারা ছিল সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।….
…..নিউ ইয়র্কে আসার পর প্রথম রবিবার বিকেলে ওয়াশিংটন স্কোয়ারে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াল, শুনল কলেজের ছাত্ররা ঝরনার পাশে লােকসংগীত গাইছে এবং প্রশংসা করছে সেইসব যুবতী মেয়েদের যারা মিনিস্কার্ট পরে বড়সড় পাছায় ঢেউ তুলে হাঁটছে এবং যাদের বৃহদাকার স্তনের বোঁটা দুটো তাদের টিশার্ট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।………
………বুল্লারাে ভাবে একদিন তাকে লাঞ্চের নিমন্ত্রণ জানালে হয়তাে আবার আগের মতাে সম্পর্কটা যৌনমিলনের ভেতর দিয়ে জোড়া লাগতে পারে।
কয়েকদিন পরই লাঞ্চের সময় বারবারা তার চিরাচরিত অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তাকে প্রস্তাব দেয় মােটেল ভাড়া করে যৌনমিলন উপভােগ করার। বুল্লারাে ভাবে সে রসিকতা করছে, কিন্তু যখন বারবারা আবার একই কথা পুনরাবৃত্তি করে তখন বুল্লারাে রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে তাকে নিয়ে বেরােয়। বারবারার আবেগের তাড়না ও দৃঢ়তা বুল্লারােকে উত্তেজিত করে তােলে। সে বুঝতে পারে এটা হল যৌনমিলনের পূর্বাভাস। দুজনে মােটেলে পৌঁছানাের পর বারবার গিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করে। বুল্লারাে গাড়িতে বসে থাকে। বারবারা চাবি নিয়ে ফিরে আসে কিন্তু দুজনের কেউই তার বিয়ে সম্পর্কে একটা কথাও উচ্চারণ করেনি।
রুমে ঢুকেই বারবারা দ্রুত পােশাক খুলে ফেলে এবং বুল্লারাে আবার তার মনে রাখার মতাে উত্তেজক শরীরটা দেখতে পায় এবং ন্যাংটা অবস্থায় বিছানায় শুয়েই দ্রুত সে বারবারার শরীরের আগ্রাসী স্পর্শ অনুভব করে এবং সে বুল্লারাের ওপরে চড়ে। যৌনমিলনকালে বারবারা এভাবেই সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়ে থাকে। আবার ক্ষিপ্রগতিতে নিজের শরীরকে তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন না করে বারবারা পাক খেয়ে উল্টে যায় এবং বুল্লারাে এবার চড়ে বারবারার বুকের ওপর। বুল্লারাে যৌনমিলন চালিয়ে যেতে যেতেই বুঝতে পারে বারবারার আচরণই নিশ্চিত করছে যে বিয়ে তার এই খেলােয়াড়ি স্বভাবের কোনাে পরিবর্তন করতে পারবে না। একই সঙ্গে পারবে না। অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে। | যৌনমিলন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা জড়াজড়ি করে বিছানায় শুয়েছিল। বুল্লারাে জানতে চাইল তার বিয়ে সুখের হয়েছে কিনা। উত্তরে বারবারা বলে, এ পর্যন্ত যত লােকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে তার মধ্যে তার স্বামীই সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য মানুষ তার কাছে।……….
………গাড়িতে আরলিন তার খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে বসেছিল, একেবারে গা ঘেঁষে, উল্লসিত এবং মনােযােগী। বাড়িতে পৌছে আরলিন তাকে ভেতরে আহ্বান জানায় এবং এক পেগ মদ খেতে অনুরােধ করে। বাড়িটা ছিল একেবারে নির্জন। আরলিন রান্নাঘর থেকে মদের বােতল ও বরফ নিয়ে এসে তার খুব কাছে দাঁড়াল এবং এমনভাবে তার দিকে তাকাল যে বুল্লারাের মনে হল, মেয়েটা চাচ্ছে যেন পুরুষটা তাকে চুমু খায় এবং যখন বুল্লারাে সত্যি সত্যিই চুমু খেল তখন তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিল আরলিন তার পুরাে শরীরটা বুল্লারাের শরীরের সাথে প্রবলভাবে চেপে ধরে। বুল্লারাে অনুভব করে আরলিনের হাত তার গলা জড়িয়ে ধরল, তারপর তার হাত পিঠ বেয়ে নামতে লাগল তার পাছাতে, উরুতে এবং হাত দিয়ে চেপে ধরল তার উত্তেজিত লিঙ্গ এবং এক সময় আরলিন বলল, চলাে আমার শােবার ঘরের বিছানায় গিয়ে জমিয়ে খেলি।’
বুল্লারাে সব সময়ই সতর্ক চরিত্রের মানুষ হলেও এ মুহূর্তে লিঙ্গের ক্ষুধার কাছে তার সেই সতর্কতা পরাজিত হল এবং সে নির্দ্বিধায় তাকে অনুসরণ করল। বেডরুমে ঢুকেই আরলিন কাপড়চোপড় খুলে ফেলল এবং দ্রুত চোখের সামনে সে দেখল আরলিনের অপূর্ব মাধুর্যময় এবং নর্তকীদের মতাে তাজা নগ্ন শরীর এবং কিছুক্ষণ পর তার ভেতরে ঢুকে গিয়ে বুল্লারাে অনুভব করল তার লম্বা পা দুখানা তার কোমর জড়িয়ে ধরেছে এবং তলপেট ঠেলে ঠেলে ঘষছে তার তলপেটের সাথে। বুল্লারাে পরমানন্দের ভেতরে উত্তেজিত হতে হতে বীর্যপাতের সময় আরলিনের চিৎকার মেশানাে দীর্ঘশ্বাস শুনতে পায় এবং অনুভব করে নারীশরীরের অস্থির তােলপাড়। বুল্লারাে বুঝতে পারে আরলিন যৌনমিলনের ক্ষেত্রে বারবারার মতােই অত্যন্ত কামুকী এবং সে আরও অনুভব করল তাদের এই যৌন আচরণ সত্যিই উদ্ভট অথবা তাদের বিয়ের ভেতরে কোনাে সমস্যা তৈরি হয়েছে।…..
………গত দুমাস অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বহুবার বুল্লারাে আরলিনের বাড়িতে গেছে এবং তার ওপরে চড়েছে। সে আবার বারবারার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে শুরু করে। সে দেখতে পায় বারবারাকে তার অবস্থান থেকে সরানাে খুবই কঠিন, তার ওপর তার সঙ্গে যৌনমিলন খুবই উত্তেজক ও উপভােগ্য। তাকে প্রত্যাখ্যান করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে বুল্লারাে যখন তার বান্ধবী আরলিনের শরীরের খোঁজ-খবর নিয়মিত নিচ্ছে। এই দুই বান্ধবীর কেউই তার কাছে পরস্পর সম্পর্কে কোনাে আগ্রহ প্রকাশ করে না। জানতে চায় না কার সঙ্গে কী সম্পর্ক, এমনকি জানতে চায় না কারাে সঙ্গে বিছানায় গেছে কিনা অথবা যেতে ইচ্ছে করে কিনা। কিন্তু একটা বিষয় সে মােটেই পাত্তা দেয় না, তা হল ওদের স্বামীরা এসব জানে কিংবা জানেনা-সে বিশ্বাস করে এদের স্বামীরা তাদেরকে সন্দেহ করে না।…..
………বারবারা সবসময় বলে থাকে কম দুশ্চিন্তা করাে এবং বেশি বেশি যৌনমিলন উপভােগ করাে। কারণ তােমার যৌনমিলন উপভােগ করার ভেতর দিয়ে কারাে কোন ক্ষতি হয় না।’ আরলিন এবং বারবারা দুজনের সঙ্গেই বুল্লারাে তার গােপন যৌনমিলনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায়, কারণ এই দুজনের সঙ্গে নিয়মিত যৌনকর্ম করায় তার স্ত্রীর শরীর ভােগ করার আকাঙ্ক্ষা তার আরও বেড়ে গেছে। বুল্লারাে এই আনন্দদায়ক ও সুখী যৌনমিলনের পরিবেশকে জীবন থেকে নির্বাসন দেওয়ার কোনাে যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পায় না।…….
……….আর অবসরগুলিতে একান্তে কোন ঝােপঝাড় বা গাছের ছায়ায় যুবক-যুবতীরা মেতে থাকে যৌন অভিযানে এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসী মানুষের মতােই জ্ঞাতি সম্পর্কের ভাইবােনের মধ্যে যৌনসম্পর্ক ছিল সবচেয়ে সহজ ও সাধারণ বিষয়। জন উইলিয়ামসন ১২ বছর বয়সে প্রথম যৌনমিলন উপভােগ করে তার থেকে সামান্য বড় এক জ্ঞাতি বােনের সঙ্গে। মােট কথা অজাচার এসব পরিবারে ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা।…..
…….ম্যারিওন উইলিয়ামসন অত্যন্ত টাইট পােশাক পরত এবং তার বয়স যখন ১৪ বছর তখন বনভূমিতে এমন একজন পুরুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না, ম্যারিওনের যােনি উপভােগ করার আকাক্ষা যার ছিল না এবং এটা সে জানত।….
…….ম্যারিওন তার মাকে তত পছন্দ করত না, যতটা পছন্দ করত তার দাদিকে। তার দাদি ছিল সুগন্ধিযুক্ত আকর্ষণীয়া নারী যার চুলগুলাে কালাে রঙ করা এবং তার বিশাল বিশাল স্তনদুটো তার গাউনের ওপর দিয়ে উঁচু হয়ে থাকত।……….
………বনভূমি থেকে চলে গিয়ে ম্যারিওনের ক্লান্তিহীন এই যৌন অভিযান যেন একটা গন্তব্যহীন যাযাবর পাখির যত্রতত্র ইচ্ছে মতাে উড়ে বেড়ানাে নিজের যৌবনের পাখার ওপর ভর করে। সে আমেরিকা, ইউরােপ ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ডজন খানেক শহরে বসবাস করেছে এবং গ্রহণ করেছে বিভিন্ন ধরনের পেশা। রিও ডি জেনিরােতে সে ট্যুরিস্টদের গাইড হিসেবে কাজ করে এবং এই কাজ করতে গিয়ে সে অনেক ট্যুরিস্টের সঙ্গে রাতে বিছানায় যেত। কারও কারও সঙ্গে দিনেও। যতদিন সেই ট্যুরিস্ট কোন শহরে থাকত ততদিন এক রাতেও সে লােকটার সঙ্গে যৌনমিলন সম্পন্ন না করে ঘুমাতাে না। ফলে ট্যুরিস্টরা তাকে পছন্দ করত। এভাবে সে প্রায় ডজন তিনেক টুরিস্টের সঙ্গে শুয়েছে গাইড হিসেবে কাজ করার সময়। এ সময় সে মাঝে মধ্যে বাসায় আসত, কিন্তু রাতে থাকত না। তখন কখনও কখনও ম্যাকেল্লিগট তাকে দুপুর বেলায় উপভােগ করত। রিও ডি জেনিরােতে যৌন সুখের পাশাপাশি ম্যারিওন অর্থও প্রচুর আয় করত।……
……..তারামােলিনাস-এ বারে মদ পরিবেশন কারিনীর কাজ করার সময় সে টাইট পােশাক পরত। ফলে খদ্দেরদের আকর্ষণ করতে তাকে খুব বেশি বেগ পেতে হত না। শুধু সে রাজি হলেই হত এবং সে রাজিও হত। প্রতি রাতে অচেনা পুরুষের সঙ্গে যৌনসুখ উপভােগ করে সে বাড়ি ফিরত। তারপর সে আরও একবার যৌনসুখ দিত তার স্বামীকে।…….
………..ম্যারিওনকে সবচেয়ে ভালাে বুঝতে পারত তার ছােট ভাই জন উইলিয়ামসন, বিশেষ করে তার যাযাবর প্রকৃতি সম্পর্কে। নিজের এই বােন সম্পর্কে জন বহুবার চিন্তা করেছে। অজাচার হলেও বয়ঃসন্ধিকালে এই বােনই তাকে ঝােপঝাড় ও বনভূমির ছায়ায় বহুদিন শরীরের সুখ দিয়েছে। যখন তার বয়স আঠারাে বছর তখন সে তার বােনের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ পায়। ম্যারিওন তখন আর তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছে।
সময়টা ১৯৪৩ সাল। ম্যারিওনের স্বামীর বস্টনে পােস্টিং হয়। সে বস্টনে চলে যায়। উইলিয়ামসন তখন বস্টন পাবলিক স্কুলে লেখাপড়া করছে। তখন সতেরাে বছর বয়সী উইলিয়ামসন কেমব্রিজে ম্যারিওনদের অ্যাপার্টমেন্টে থাকে। এ সময় প্রতিদিন স্কুল থেকে আসার পর দুপুরবেলা ম্যারিওন তার নগ্নশরীর জনকে উপভােগ করতে দিত। এক দুপুরে জন তার নগ্নছবি তুলতে চাইলে সে সানন্দে রাজি হয় এবং সেইদিন যৌনমিলনের পর সে বিভিন্ন উত্তেজক ভঙ্গিতে পােজ দেয়। জন ছবি তুলতে তুলতে আবার উত্তেজিত হলে ম্যারিওন অনেকক্ষণ ধরে জনের লিঙ্গ চুষেছিল। এই ছবিগুলাে আজও জনের কাছে আছে। সে প্রায়ই রাত্রিবেলায় ওগুলাে বিছানায় বিছিয়ে তারপর নগ্ন হয় এবং ছবিগুলি দেখে ভয়ানক উত্তেজনায় সে অন্তত দুবার হস্তমৈথুন করে। জনের মনে হয় ম্যারিওন একটা খাসা জিনিস।……….
…………এ সময় সে কাছাকাছি খামার এলাকার কিছু মেয়ের সঙ্গেও যৌনমিলন উপভােগ করে কিন্তু তা ম্যারিওনকে জানায় না। এসব মেয়ের একজন নেংটা হয়ে ছবি তােলার জন্য পােজ দিয়েছিল। ম্যারিওনের ছবির মতােই জন ছবিগুলাে আজও মাঝে মাঝে বের করে দেখে, উত্তেজিত হয় এবং কাম লালসায় উন্মত্ত হয়ে হস্তমৈথুন করে থাকে। জনের হস্তমৈথুনের খােরাক জোগাত সেই এলাকার তাগড়া মেয়েগুলাে যাদের মধ্যে এক সময় ম্যারিওনও ছিল ।……
…………যখন ঈশ্বরনিন্দা বাড়তে লাগল, বাড়তে লাগল নগ্নবক্ষা নারীদের ক্লাব ও বার, তখন অর্থাৎ ষাটের দশকে প্রচার মাধ্যমে তা গুরুত্ব পেতে থাকে এবং বিপুল সংখ্যক বিবাহিত মধ্যবিত্ত মুক্ত মানসিকতা প্রদর্শনের জন্য তৈরি হয় এবং তাদের নিজের ওপরে রয়েছে অধিক নিয়ন্ত্রণ। ভিয়েতনামের সেসব নারী নিয়মিত চার্চে যাওয়া-আসা করে তারাও ধর্মের নিষেধ অমান্য করে জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ব্যবহার করে অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের দায় এড়াতে থাকে গর্ভপাতের মাধ্যমে। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ছয় মিলিয়ন নারী এবং তার ভেতরে অধিকাংশই ক্যাথলিক, নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ব্যবহার করে এবং এসময় নগ্নবক্ষা নারীদের বার, মিনি স্কার্ট পরা, ব্যবসায়ী ও আইনজীবীদের দীর্ঘচুল রাখা প্রভৃতি থেকে মনে হয় মানুষের পােশাক-পরিচ্ছদ ও চুলের ওপর সরকারি সংস্থাগুলাের নিয়ন্ত্রণ হাস পেয়েছে। মাইকেলেঞ্জেলাে তার ব্লো-আপ’ ছবিতে যৌনকেশ দেখিয়েছে, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পুরুষের লিঙ্গের মতাে ভাইব্রেটর বহু শহরের ওষুধের দোকানের জানালায় প্রদর্শন করা হচ্ছে নারীদের কাছে বিক্রির জন্য, যদিও নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বিজ্ঞাপনের কলামে ওগুলাে সম্পর্কে কোনাে তথ্য ছাপা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।………
………শারীরিকভাবে যৌনতৃপ্তি একটি আনন্দ, প্রজনন নয়- মধ্যবিত্তের ভেতরে এখন প্রায় সবাই স্বীকার করে এটা হল যৌনমিলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য এবং এই আনন্দকে পুরােপুরি উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে একটি উদ্যোগ এবং যারা আনন্দ অনুসন্ধান করছে তারা যেন যৌনমিলনের সময় শারীরিক প্রতিক্রিয়া ও ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করতে লজ্জা না পায়। সেন্ট লুইসের যৌনবিষয়ক গবেষক মাস্টারস অ্যান্ড জনসন সর্বপ্রথম প্লাস্টিকের তৈরি উত্তেজিত লিঙ্গসদৃশ আট ইঞ্চি লম্বা একটা যৌনমিলনের মেশিন উদ্ভাবন করেন। বেশ কয়েকজন পতিতাকে নিয়ােগ করা হয় এই মেশিন পরীক্ষা করার জন্য, তারপর তা ব্যবহার করতে দেয়া হয় কয়েকজন ধার্মিক স্ত্রীকে তাদের যৌনসঙ্গী হিসেবে।
এইসব স্ত্রীদের একজনের স্বামী মাস্টারস অ্যান্ড জনসন সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মেশিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে সংবাদপত্রে অবজ্ঞাসূচক ধারণা তুলে ধরা হয়। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দেয় এর যাবতীয় উপাত্ত নষ্ট করে দিতে, যদিও এইসব ধার্মিক স্ত্রীরা অন্য ক্লিনিকে গিয়ে ঠিকই সেক্সথেরাপি গ্রহণ করবে, যা পরােক্ষভাবে মাস্টারস অ্যান্ড জনসনের সাফল্য ও খ্যাতির ফলাফল। এসব ক্লিনিকের কোনাে কোনােটিতে দম্পতি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয় উত্তেজক ম্যাসেজ দেয়ার শিল্পের ছদ্মবেশে এবং আরাে দেখানাে হয় লিঙ্গচোষণ যােনিচোষণ এবং পারস্পরিক হস্ত মৈথুন সম্পর্কে নির্দেশনামূলক চলচ্চিত্র, যা পুরােপুরি উত্তেজক ।……….
……….আমেরিকায় যারা স্বামী বা স্ত্রী বা যৌনসঙ্গী বদলাবদলি করে তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত বিবাহিত। বর্তমানে এ-ধরনের দম্পতির সংখ্যা এক মিলিয়নেরও বেশি।……
…..যেসব নারীর কথা জন উইলিয়ামসন ভেবেছে তার মধ্যে একজন হচ্ছে আরলিন গফ। হিউজেস এয়ারক্র্যাফটে তার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে একটা চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। একটা সংক্ষিপ্ত যৌনমিলনও জন উপভােগ করেছে তার সাথে । সে এখনও পর্যন্ত খুবই বন্ধুসুলভ। আরও দুজন নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যার একজন কাজ করে তার ইলেকট্রিক ফার্মে। অন্যজন হচ্ছে বিমানবালা এবং খুবই আকর্ষণীয়া। কিন্তু সে মনে করে এই কর্মসূচির জন্য বারবারা ক্র্যামার হল অপরিহার্য যাকে জন বলেছে ‘প্রকল্পের সাফল্য-বারবারা ক্র্যামার ।
………জন তার বিয়ের অল্প কিছুদিন পর ১৯৬৬ সালের গ্রীষ্মকালে, তখনকার সমাজে প্রচলিত নয় এরকম একটি যৌন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে, কারণ সে তার বিয়ের ভেতর দিয়ে যৌনবৈচিত্র্য সম্পর্কে বারবারার সহ্যক্ষমতা পুরােপুরি পরীক্ষা করে দেখতে চায়।…..
……..বারবারা গাড়িতে অস্বস্তিবােধ করতে থাকে। তার মনে হয় তিনজনে মিলে যৌনখেলার ক্ষেত্রে সে খুবই উদ্ভট এক নারী, অথচ জন ও ক্যারােল মিলে সেরকম ব্যবস্থাই করেছে। বারবারা তার স্বামীর উদ্দেশ্য বুঝতে পারে, কারণ কিছুক্ষণ পরই জন বলে ক্যারােলে তাদের সঙ্গে খেলায় অংশ নেবে। বারবারা ইচ্ছে করলে তাদের সঙ্গে ক্যারােলের শয্যাশায়ী হওয়ার প্রস্তাব মেনে নিতে পারে আবার প্রত্যাখ্যানও করতে পারে অথবা সে পাশে থেকে দেখতে পারে তার স্বামী ক্যারােলকে আলিঙ্গন করছে, নিজ হাতে পােশাক খুলেছে ক্যারােলের নিজের স্ত্রীর সামনে। অবশ্য বারবারা বুঝতে পারে এ থেকে একটা বিষয় প্রমাণিত হবে যা সে প্রায়ই বলে থাকে বন্ধুদের সঙ্গে খােলামেলা যৌনমিলন বিয়ের গভীরতর অর্থ উপলব্ধির ক্ষেত্রে কোনাে বাধা সৃষ্টি করে না।……….
……..বারবারা অনুভূতিহীন ও হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে এবং সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করে উঠে দাঁড়ায় এবং অন্য কেবিনে গিয়ে ঢােকে। দরজা বন্ধ করে। মধ্যরাত পার হয়ে গেছে এবং সে ভয়ানক ক্লান্তি ও ঠাণ্ডা অনুভব করে। তার মনে পড়ে, পাশের কেবিনে তার সুটকেস ফেলে এসেছে, কিন্তু সে তা নিয়ে আসার কোনাে আগ্রহ অনুভব করে না। সে ধীরে ধীরে পােশাক খুলে তার চেয়ারের ওপর ভাজ করে রাখে। তারপর বিছানায় যায় এবং ঘুমাতে চেষ্টা করে, কিন্তু তার ঘুম আসে না। সে ভাের না-হওয়া পর্যন্ত কাঁদতে কাঁদতে শুনতে থাকে তাদের যৌনমিলনের শব্দ, শীৎকার এবং ফেঁপানি।………
………..দ্রুত বারবারা বলে, না ডেভিড, তুমি যাবে না। আমি চাই তুমি আমার সঙ্গে থাকো। সে দ্রুত ডেভিডের কাছে যায়। দুহাতে তাকে জড়িয়ে ধরে এবং তাকে বলে, তার স্বামী চায় ডেভিড তার সাথে সারারাত থাকুক। সে নিজেও চায়। বারবারা লিভিংরুমের আলাে নিভিয়ে ডেভিডের হাত ধরে নিজের বেডরুমে নিয়ে যায়। তারপর দরজা বন্ধ করে এবং শুরু করে কাপড় খুলতে। | ডেভিডের সঙ্গে রাতে ও পরদিন সকালে দুবার যৌনমিলন সম্পন্ন করে বারবারা এক বিশাল চাপ থেকে মুক্তি পায় এবং একই সঙ্গে সে নির্লজ্জ শারীরিক আনন্দ উপভােগ করে। স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সে এক ধরনের রােমাঞ্চকর আনন্দ অনুভব করে ডেভিডের সঙ্গে যৌনমিলনের সময়, কারণ জন জানে ডেভিড সারারাত ধরে বারবারাকে কী করছে। সে আরও বিশ্বাস করে যে জনের সঙ্গে আবেগজনিত ঘনিষ্ঠতার এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার সম্পর্ক, যেখানে তারা আলাদা বেডরুমে আলাদা যৌনসঙ্গীর সঙ্গে রাত কাটাচ্ছে এবং তারা উভয়েই তা জানে। এটা হচ্ছে ভালােবাসার বিশ্বাসের উপহার।………
……..অন্য লােকের সঙ্গে যৌনকর্ম করে জনকে তার কম ভালােবাসার কথা, কিন্তু বারবারা নিশ্চিত ছিল যে, সে তাকে অধিক ভালােবাসে। যখন সে সকালে ঘুম থেকে ওঠে, ডেভিড তখনও ঘুমাচ্ছে। সে নাস্তা খাবার জন্য রেস্তোরায় প্রবেশ করতেই জন এগিয়ে এসে তাকে অভ্যর্থনা জানায়, হাসে অনুমােদনের হাসি এবং চুম্বন করে।…………
…………এক সন্ধ্যায় বুল্লারাে উপস্থিত হয় উইলিয়ামসনের উডল্যান্ড হিলের বাড়িতে। প্রবেশ পথেই অভ্যর্থনা জানায় স্বচ্ছ নেগলিজি (স্বচ্ছ ঢিলেঢালা পােশাক) পরা কালাে চোখের এক স্বর্ণকেশী, যার মুখের হাসি প্রশান্তি ছড়াচ্ছে চারদিকে। যুবতীর নাম ওরালিয়া লীল। প্রবেশ পথের আলােতে স্বচ্ছ পােশাকের ভেতর দিয়ে তার উর্ধ্বমুখী স্তন ও স্তনের কালাে বোটা বুল্লারাে পরিষ্কার দেখতে পায় এবং প্রশস্ত কক্ষের ভেতর দিয়ে তাকে অনুসরণ করার সময় দুচোখ দিয়ে উপভােগ করে তার বড়সড় সুশােভন নিতম্বের মার্জিত ঢেউ এবং প্রকৃত ঘটনা হল, তার স্বচ্ছ ঢিলেঢালা পােশাকের নিচে সে ছিল একেবারে নগ্ন।
শুধুমাত্র ওরালিয়ার পােশাক দেখে মনে হয় বেডরুমে উলঙ্গ হয়ে ফুর্তি করার চমৎকার একটা প্রস্তুতি নিয়েছে সে অথবা সে এমন একটা দৃশ্যে অভিনয় করার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা হবে খুবই উত্তেজক এবং অন্যেরা তা চেয়ে চেয়ে দেখবে এবং উপভােগ করবে কল্পনায় তার নগ্ন শরীর।
বারবারা খুশি হয় এবং তার হাত ধরে লিভিংরুমের দিকে যেতে থাকে। হঠাৎ বুল্লারাে থমকে দাঁড়ায়; তার নিশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসে। সে দেখতে পায় লিভিংরুমে কয়েকজন নারী ও পুরুষ নগ্ন অবস্থায় চেয়ারে, সােফায় এবং কার্পেটে বসে আছে। ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে এবং কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। বুল্লারাে তাদের নগ্ন চামড়া দেখে বিস্মিত হয়। | জন উইলিয়ামসনের সঙ্গে সেই স্মরণীয় লাঞ্চের সময়ই এই নগ্নতার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে বুল্লারাে জেনেছিল। বারবারার সঙ্গে লিভিংরুমে প্রবেশ করার পর সে অনুভব করল তার নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হচ্ছে, হাতের তালু ঘামছে এবং লিঙ্গ খাড়া হয়ে ওঠার জন্য অস্থির হতে শুরু করেছে। সে বারবারার দিকে ফিরল একটা ব্যাখ্যার জন্য কিছু সামান্য কথা অথবা কোনাে ভঙ্গি কিংবা অভিব্যক্তি যা তার মানসিক চাপ কমাতে পারে এবং থামাতে পারে তার লিঙ্গের উত্থান। কিন্তু বারবারা তাকে একটা সােফার দিকে টেনে নিয়ে যায়, সেখানে লাল চুলওয়ালা এক নধরকান্তি যুবতী বসে ছিল নগ্ন হয়ে। তার অসংখ্য কালাে কালাে তিলসমৃদ্ধ স্তনদুটি ঢেকে রেখেছে কেবল একগুচ্ছ মুক্তা। | ‘এই হল জন বুল্লারাে। সেদিন তােমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। মনে নেই? বারবারা যুবতীকে জিজ্ঞাসা করে । যুবতী মাথা নাড়ে, হাসে এবং বুল্লারাের দিকে দুই হাত প্রসারিত করে যখন সে এগিয়ে যায় তখন বিশাল স্তনও ঊর্ধ্বমুখী হয়। বুল্লারাে তাকে আলিঙ্গন করে। তার খুব ইচ্ছে হয় যুবতীর বড় বড় স্তন চুষতে। বারবারা তাকে রুমের অন্যান্য লােকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে প্রত্যেককেই চোরাচোখে দেখতে থাকে। চারদিকে দুলতে থাকা স্তন, পুরুষের লােমে ঢাকা বুক, নারী ও পুরুষের নগ্ন নিতম্ব, সাদা ঊরু, বিভিন্ন রঙের যৌনকেশ, বিভিন্ন আকারের লিঙ্গ-ছােট, বড় ও মাঝারি, কোনাে কোনােটা খত্না করানাে, কোনােটা খৎনা করা হয়নি এবং উল্লেখযােগ্যভাবে প্রতিটি লিঙ্গই উত্থানহীন।
রুমের কোনার দিকে বুল্লারাে আরলিন গফের পরিচিত শরীর শনাক্ত করে। সে পােশাক-পরা এক দম্পতির সঙ্গে কথা বলছিল। বুল্লারাে তাদের কাছে গিয়ে বসে পড়ে। সেখানে আরও ছিল ডেভিড স্কুইন্ড। এই প্রকৌশলীর সঙ্গে তার প্রথমদিনই পরিচয় হয়েছিল। রুমের মাঝখানে একদল নারী-পুরুষের সঙ্গে গভীর আলােচনায় ব্যস্ত ছিল সে। প্রত্যেকেই তার কথা মনােযােগ দিয়ে শুনছিল। জন উইলিয়ামসনকেও বুল্লারাে দেখতে পায় সেই দলের সঙ্গে যার লিঙ্গ খুবই ছােট, চওড়া বুক এবং যার পায়ের কাছে বসে ওরালিয়া তার পা ম্যাসেজ করে চলেছে, যার চামড়ার রঙ বাদামি, একজন নেংটা নেফারতিতি (মিশরীয় পুরাণের ঈশ্বরী), যার যথাযথ খাজ, ভজ ও উঁচুনিচু সম্বলিত শরীর এই ঘরের যে কোনাে নারীর ঈর্ষার বস্তু।
উইলিয়ামসন তার সঙ্গে যােগ দেবার জন্য বুল্লারােকে আহ্বান জানায়। সে বারবারা ও ডেভিডকে একত্রে রেখে দ্রুত তাকে অনুসরণ করে এবং ওরালিয়ার পাশে গিয়ে বসে কার্পেটের ওপর। ওরালিয়া তার দিকে তাকিয়ে হাসে এবং জনের পা ম্যাসেজ করতে থাকে। বুল্লারাে রুমের অন্যান্য লােকদের দিকে মনােযােগ দেয় এবং মাঝে মাঝে এমনভাবে মাথা নাড়ে যেন সে মনােযােগ দিয়ে তাদের কথা শুনছে যা তারা আলােচনা করছে। বুল্লারাের চোখ মাঝে মাঝেই পর্যবেক্ষণ করছে ওরালিয়ার পুরাে শরীর। তার কৃষ্ণকায় চামড়ায় কোনাে দাগ ছিল না, তার স্তন ঝােলা নয়, তার পেট মসণ, তার কালাে যৌনকেশ ছিল চমৎকার করে ছাটা যেখানে চোখ পড়লে চোখ আটকে থাকে। বুল্লারাে অনুভব করে তার লিঙ্গ আবার খাড়া হয়ে উঠতে চাচ্ছে। ধাক্কা দিচ্ছে সর্টস-এর জীপারে। সে একটু নড়েচড়ে আরাম করে বসার চেষ্টা করে এবং আস্তে আস্তে ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দেয়।
পেছন দিকে হাসির শব্দ শুনে বুল্লারাে বড় ঘরটার দিকে তাকায়। দেখে বারবারা ও আরলিন খুব উৎফুল্ল হয়ে এক নতুন দম্পতিকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। আরলিন একটা ন্যাপকিন দিয়ে তার যােনি ও যৌনকেশ ঢেকে রেখেছে। লদলদে নিতম্ব এমনভাবে নাড়াচ্ছিল যেন কোনাে স্ট্রিপার দর্শকদের দিকে উঁচু করে তুলে ধরা নিতম্বে ঢেউ তুলছে। বারবারা আজ চমৎকার পােশাক পরেছে। কারণ আজ অভ্যর্থনার দায়িত্ব তার। সে বুল্লারােকে আহ্বান জানায়। এই সুযােগে জন উইলিয়ামসনের ক্ষুদ্র সেমিনার ও ওরালিয়ার নধর শরীরের সুগন্ধ পরিত্যাগ করে বারবারা ও অন্যান্যদের সঙ্গে যােগ দেয়।
বাড়ি ফিরে বুল্লারাে দেখে জুডিথ ঘুমিয়ে পড়েছে। সুতরাং দেরি হওয়ার কোনাে ব্যাখ্যা দিতে হল না। কিন্তু ঘুমিয়ে না পড়লে সে জুডিথের সঙ্গে যৌনমিলন উপভােগের চেষ্টা করত; কারণ তার যৌনাকাঙ্ক্ষা এখন খুবই তীব্র হয়ে উঠেছে। সে অবশ্য এখন অন্ধকারে শুয়ে অথবা বসে ওরালিয়ার ন্যাংটো শরীরকে উপভােগ করতে পারে। কিন্তু বুল্লারাে হস্তমৈথুন করে খুব একটা মজা পায় না।………..
………..সে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে উইলিয়ামসনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। বারবারা প্রবেশ পথেই তাকে অভ্যর্থনা জানায় একটা দীর্ঘ চুম্বন ও উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে এবং কোনােরকম দ্বিধা না করেই সে বারবারার পরামর্শ মেনে নেয়, তারা লাঞ্চের আগেই যৌনমিলন উপভােগ করবে।
বারবারা তাকে এমন একটি ঘরে নিয়ে যায় যেখানে দেয়াল ও সিলিং-এ আয়না ফিট করা রয়েছে। ফলে নগ্ন অবস্থায় অনেকগুলাে বুল্লারােকে সে দেখতে পায়। দেখতে পায় অনেকগুলাে নেংটো বারবারা হামাগুড়ি দিয়ে তার শরীরের ওপর উঠে আসছে। তার মুখে বিজয়ীর হাসি। সে তার ঝুলন্ত স্তনগুলাে ঘষছে বুল্লারাের বুকে। বারবারা তার লিঙ্গ মুখে পুরে চুষতে থাকে। আর উত্তেজিত বুল্লারাে আয়নার ভেতরে দেখতে পায় বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বারবারা তার লিঙ্গ চুষছে। এটা খুবই বিরল দৃশ্য যা বুল্লারাে এখন দেখছে-বারবারার যৌনতৃপ্তিদানকারী শরীরের খাঁজভঁজ, উঁচুনিচু, ঢিবি ও গহ্বর সবকিছুই দৃশ্যমান এবং তার সােনালি চুল ভরা মাথাটা বুল্লারাের তলপেটের ওপর ঝুঁকে আছে। মনে হচ্ছে বারবারার অনেকগুলাে হাত ও মুখ আদর করছে বুল্লারাের লিঙ্গকে। বুল্লারাের লিঙ্গও একটা নয়, অনেকগুলাে এবং সবগুলােই সে দেখছে এবং সবগুলােই আনন্দ পাচ্ছে, কাছে এবং দূরে-এ যেন এক যৌন উৎসব। বুল্লারাে তার শরীরের ভেতরে এক ধরনের আনন্দ অনুভব করল, কাঁপতে থাকল থরথর করে এবং অনুভব করল স্থলনের প্রচুর আনন্দদায়ক শিহরণ । তারপর চোখ খুলে সে দেখতে পেল চারপাশে অসংখ্য বুল্লারাে স্থির হয়ে আছে। সে বারবারার সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বিছানায় কাটায়। তার সংক্ষিপ্ত যৌনমিলনের ইতিহাসে এটা একটা দীর্ঘসময় কাটানাে। এদিন খাবারের চেয়েও বেশি ক্ষুধার্ত ছিল তারা যৌনমিলনের জন্য। তারা একে অন্যকে উত্তেজিত করার মাধ্যমে নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যের আকাক্ষা মিটিয়েছিল।
কারণ জুডিথ তাকে ভয় পেত। এখন স্বামীর সঙ্গে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সে তা অতিক্রম করতে চায়। উইলিয়ামসন বলেছে সে এবং তার দলের অন্যান্য সদস্যরা তাকে সাহায্য করতে পারে যদি সে খােলাখুলিভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সে একটা পরামর্শও দেয় তার বাড়িতে এসে অনায়াসে পর্যবেক্ষণ করতে পারে যে তার স্বামী অন্য এক নারীর সাথে যৌনমিলন উপভােগ করতে তাকে নিয়ে বেডরুমে প্রবেশ করছে এবং সম্ভবত এভাবে সে উপলব্ধি করতে পারবে যে, অন্য নারীর সঙ্গে খােলাখুলি শারীরিক আনন্দ উপভােগ করাটা তেমন হুমকির কিছু নয়।……….
……….সে এই দলটাকে নিজের আত্মমুক্তির অনুঘটক হিসেবে দেখে। সে নিজেকে ভারমুক্ত করতে চায় কিছু ব্যক্তিগত গােপনীয়তাকে প্রকাশ করে, যা তার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অপরাধবােধের কারণ। সে তার যাবতীয় গােপনীয়তা প্রকাশ করতে চায় কারণ বিবাহিত জীবনে সেও বিশ্বস্ত ছিল না। উইলিয়ামসনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সেই প্রথমদিনই সে প্রলুব্ধ হয় স্বামীকে তার অবিশ্বস্ততার কথা জানাতে। কিন্তু সে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে, কারণ তার যৌনসম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না এবং তার যৌনসঙ্গী ছিল একজন কালাে যুবক।
এসময় জুডিথের বিয়ের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। যৌনমিলন পরিণত হয়েছে সপ্তাহ শেষের উদ্দীপনাহীন একটা বিরক্তিকর রুটিনে। অবশ্য এজন্য সে নিজেকেই দায়ী করেছে, কিন্তু কোনাে বিকল্প পথ দেখতে পায়নি। প্রকৃতঅর্থে বিয়ের পর সে বুল্লারাের সঙ্গে যৌনমিলন উপভােগ করে না, এমনকি সেই প্রথম জীবনে যখন সে তার কলেজ জীবনের প্রেমিকদের সঙ্গে শুয়েছে তখনও নয়। অবৈধ যৌনমিলন জুডিথকে ভয়ানক উত্তেজিত করে তােলে। তখন সে খুবই কামুকী নারীর মতাে আচরণ করে। যখন ১৯৫৮ সালে যৌনমিলন তার কাছে বিয়ের মাধ্যমে বৈধ হয় তখন মনে হয় রান্নাবান্না ও গৃহকর্মের অন্যান্য কাজের মতােই যৌনমিলনও একটি গৃহকর্ম।
মিডডা এবং জুডিথ হাসপাতাল থেকে কাছাকাছি অন্য এক পরিচারকের অ্যাপার্টমেন্টে যেত, বিশেষ করে দিনের বেলায় যখন বুল্লারাে অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকত এবং কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা পরিতৃপ্ত করত লাগামহীন যৌনাকাঙ্ক্ষা এবং তা জুডিথকে শিহরিত করত। এটা ছিল একটা চূড়ান্ত আনন্দের খেলা। আবেগজনিত অঙ্গীকার না থাকায় এই সম্পর্কের ভেতরে কোনাে জটিলতা ছিল না, কারণ সে জানত মিডােকে সে কখনও বিয়ে করবে না।
একগামী যৌনসম্পর্কের বছরগুলােতে জুডিথের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু যখনই মাঝে মাঝে তার অবৈধ যৌনমিলনের ইচ্ছা জেগে উঠত সে তখন মিডাের কাছে চলে যেত এবং যৌনমিলন উপভােগ করত। মাঝে মাঝে সে আতঙ্ক অনুভব করত বিয়ে এবং পারিবারিক জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। আরও আতঙ্ক অনুভব করত যদি তার স্বামী জেনে ফেলে। কিন্তু এর মধ্যে পট পরিবর্তন হয় এবং সে অনুভব করতে শুরু করে তার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে যৌনমিলন উপভােগ করছে।……….
……….উইলিয়ামসনের বাড়িতে এসে বুল্লারাে ও জুডিথ লিভিংরুমেই একটা দলের সঙ্গে যােগ দেয়। ওদের প্রত্যেকেই তার আগের চেনা শুধুমাত্র একজন ছাড়া । এই আকর্ষণীয় সুশােভন সুন্দরী যুবতীর নাম গেইল। তার চুলগুলাে লাল, মুখখানা ডিমের আকৃতির। সে নিজেই বুল্লারাের সঙ্গে পরিচিত হয়, কিন্তু সরাসরি জুডিথের দিকে তাকায় না । জুডিথ মনে মনে ভাবে সে হয়তাে তার স্বামীকেই আজ সন্ধ্যার যৌনসঙ্গী হিসেবে বেছে। নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুডিথ দ্রুত অনুভব করল তার আত্মবিশ্বাস ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। একই সঙ্গে সে আরও লক্ষ করে গেইল-এর হাসির সঙ্গে সঙ্গে তার স্বামী প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং কার্পেটের ওপর তার পাশে বসার জায়গা করে দেয় এবং বুল্লারাে নিজের প্রতি গেইল-এর মনােযােগ আকর্ষণ করে। | জুডিথ সােফাতে ডেভিড স্কুইন্ড ও আরলিন গফের পাশে বসল । ওয়াইনের গ্লাসে অল্প অল্প চুমুক দিচ্ছিল এবং অমনােযােগের সঙ্গে শুনছিল তার চারপাশের আলােচনা তার নিজের দুশ্চিন্তার কারণে। জন উইলিয়ামসন তার পায়ের কাছে কার্পেটের ওপর বসল। সে তার সম্পর্কে এমনভাবে কথা শুরু করল যেন সে জানে সে কী চিন্তা করছিল। তারপর সে তার গােড়ালিতে ম্যাসেজ করতে থাকে। জুডিথ বাধা দেয়া তাে দূরের কথা, সে তার পা জন উইলিয়ামসনের দিকে এগিয়ে দেয়। যদিও তখন সে তার সঙ্গে যৌনমিলন কামনা করছিল না, কিন্তু তার মনে হল জনের কিছু অস্বাভাবিক গুণ আছে যা তাকে নারীর কাছে বিশিষ্ট ও রহস্যময় করে তােলে এবং একই সঙ্গে সে জন উইলিয়ামসনের প্রভাবেও মুগ্ধ হয়, যে প্রভাবে এই ঘরের প্রতিটি মানুষ প্রভাবিত। জুডিথ বুঝতে পারে যেভাবে সে কথা বলে তা তার ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য খুবই জরুরি। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সে তার অতিরিক্ত আধিপত্য প্রবণতা পরীক্ষা করার জন্য নিজেকে যথেষ্ট শক্তিশালী মনে করে কিনা, তখন সে একমুহূর্তের জন্য দ্বিধান্বিত হয় এবং তারপর দৃঢ়কণ্ঠে জবাব দেয়, ‘হ্যা, সে যথেষ্ট শক্তিশালী।
ঘরের ভেতরে তখন নীরবতা। জন কথা বলতে শুরু করে। সে প্রত্যেককে ব্যাখ্যা করে বােঝায় এখন বুল্লারাে তােমাদের সহযােগিতা অনুসন্ধান করছে জুডিথের মালিকানা সমস্যা’ সাফল্যের সাথে সমাধান করতে। তারপর সে গেইল-এর দিকে ফিরল এবং জিজ্ঞাসা করল, তুমি যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে বুল্লারােকে যে-কোনাে একটা বেডরুমে নিয়ে যাবে? গেইল তক্ষুনি উঠে দাঁড়ায় এবং হাত বাড়িয়ে দেয় বুল্লারাের দিকে, সে এখন পুরােপুরি আত্মসচেতন। সবাই তার দিকে তাকায়, এমনকি জুডিথ পর্যন্ত। যদিও জুডিথ মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। বুল্লারাের হৃদয় পাখা ঝাপটাতে থাকে কিন্তু হাঁটুগুলােকে দুর্বল মনে হয়। সে গেইলকে অনুসরণ করে বেডরুমের দিকে যেতে থাকে। লক্ষ করে গেইলের নিতম্বের দোলা। তার সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার আগ্রহ বুল্লারাের তীব্র হয়ে ওঠে।
গেইল তাকে এমন একটা বেডরুমে নিয়ে যায় যা সে আগে দেখেনি। ছােট একটা বাতির কারণে ঘরে আলাে খুবই কম। দরজা বন্ধ করে দিয়ে গেইল একমুহূর্ত নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, যেন সে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এবং এ ব্যাপারে তার অনীহা রয়েছে। আর বুল্লারাে ভাবছে, জুডিথের ঈর্ষা পরীক্ষা করার জন্যই উইলিয়ামসন একটা অভিনয়ের ব্যবস্থা করেছে, প্রকৃত যৌনমিলন নয়। কিন্তু গেইল কিছুক্ষণ পরই ব্লাউজের বােতাম খুলতে শুরু করে এবং একই সঙ্গে উল্লেখ করে কী অদ্ভুত আনন্দ সে অনুভব করছে কয়েক বছর আগে সে ছিল সাতাশ বছর বয়সী একজন কুমারী। এখন সে তার ব্রেসিয়ার খুলতে খুলতে জানায়, সে এই প্রথম কোনাে বিবাহিত লােকের সঙ্গে যৌনমিলন উপভােগ করতে যাচ্ছে না। আগেও সে বিবাহিত লােকের সাথে বিছানায় গেছে, কিন্তু কারাে স্ত্রী বাইরে বিশগজ দূরে বসে আছে এবং সে তার স্বামীর সঙ্গে এখন যৌনমিলন উপভােগ করবে, এরকম ঘটনা এটাই প্রথম।………….
……..সেনাবাহিনীর অন্তত কয়েকশত কুচকাওয়াজের ছবি তুলেছে, পদক-প্রদান উৎসবের ছবি তুলেছে এবং একবার এক সার্জেন্টের অনুরােধে সে এক পতিতার ছবি তােলে। ছবি তােলার আগে পতিতা তার লিঙ্গ চুষে তৃপ্তি দিয়েছিল।…..
………..মেয়েটির আকর্ষণ ছিল আলভিনের শরীরের প্রতি। এক রাতে আলভিন তার নগ্ন শরীর কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে, যখন যুবতী তার সঙ্গে ছিল না। সে কল্পনা করে তার চমৎকার শরীর চিৎ হয়ে পড়ে আছে এবং দীর্ঘ দুটো পা জড়িয়ে ধরেছে তার ওপরে সঙ্গমরত পুরুষের শরীর-এই কল্পনা তাকে উন্মাদ করে তুলেছিল।
আলভিনের ওজন বরাবরই বেশি ছিল। সুতরাং যেসব নারীর ওজন বেশি তাদেরকে সে পছন্দ করত না। উল্লেখ্য, তার মারও ছিল বিশাল দুটো স্তন। সম্ভবত সে কারণেই মােটা মেয়ের প্রতি সে বিরক্ত হত। আলভিন প্রলুব্ধ হত সুগঠিত ছােট স্তন দেখলে। ফলে তার সহপাঠিনীর প্রতি সে আকর্ষিত হয় এবং তার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে থাকে। তাকে জয় করাটা ছিল আলভিনের কাছে ডিবেট জেতার মতাে একটা চ্যালেঞ্জ। সে বিশ্বাস করত শেষপর্যন্ত সে এই ধূর্ত নারীকে জয় করবে, জয় করবে তার যােনি-চোষণে পারদর্শী ঠোট ও জিভ দিয়ে।
এই যুবতীর হৃদয়ে প্রবেশ করার একটাই পথ ছিল এবং সম্ভবত তা হল তার যােনিদ্বার ও যােনিওষ্ঠ চুম্বনের মাধ্যমে। এক রাতে পরীক্ষামূলক ভাবে হঠাৎ করেই ঘটনাটা ঘটে। যুবতী তার মাথাটি নিজের দুই উরুর মাঝখানে চেপে ধরে বলে এভাবে সে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায়, এটা তার সবচেয়ে বড় পছন্দের কর্মকাণ্ড। দু’একবার সে এ ব্যাপারে শুনেছে কিন্তু আগে কখনও করেনি। এই কর্মকাণ্ড একজন পুরুষকে নারীর বশীভূত করে ফেলে। অনেকের কাছে শুনেছে সে, যারা যৌনবিকৃতিতে ভুগে থাকে তাদের ভেতরে এই আচরণ লক্ষ করা যায়। তারপরও সে রাতে আলভিন দীর্ঘ সময় ধরে সেই যুবতীর যােনি চোষণ করেছিল।
বস্তুতপক্ষে আলভিন বিভিন্ন গ্রন্থাগারে যৌনবিষয়ক এনসাইক্লোপেডিয়া ঘাটাঘাটি করে আবিষ্কার করে যােনি-চোষণ ও লিঙ্গ-চোষণ সম্পর্কে আলােচনা যা সরকার অশ্লীল বলে নিষিদ্ধ করেছে, এমনকি সমকাম পর্যন্ত এবং আমেরিকার অধিকাংশ রাজ্যে এটা নিষিদ্ধ ছিল। কোনাে বিবাহিত দম্পতির এ জাতীয় কর্মকাণ্ড প্রকাশিত হলে তাদেরকেও শাস্তি দেয়া হত। কানেকটিকাটে মুখমৈথুনের শাস্তি ছিল তিরিশ বছর জেল । জর্জিয়াতে মুখমৈথুনকে বলা হত ‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ।’ এর সাজা ছিল কঠিন পরিশ্রমসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মুখমৈথুনকে পশুর সঙ্গে যৌনমিলনের চেয়েও অধিক অপরাধ বলে মনে করা হত। জর্জিয়াতে পশুমৈথুনের শাস্তি ছিল পাঁচ বছরের জেল। | মুখমৈথুনের বিরুদ্ধে আইন বিকশিত হয় খ্রিস্টান যাজকদের প্রভাবে। মধ্যযুগে এধরনের আচরণকে বলা হত অস্বাভাবিক, কারণ এই কর্মকাণ্ডে প্রজনন ব্যাহত হয়।……..
……..মুখমৈথুনের উত্তেজক ভাস্কর্যের আবির্ভাব ঘটে ভারতের মন্দিরগুলােতে এবং প্রথম শতাব্দীতে রােমান ব্যঙ্গনবিশ জুভেনাল প্রায়ই যােনি ও লিঙ্গ চোষণের কথা উল্লেখ করতেন এবং তিনি আরও বলেছেন বিষমকাম ও সমকাম চর্চার পাশাপাশি উভয় অনুশীলনই চালু ছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্বীকারােক্তি যারা করেছে। তাদেরকেই মধ্যযুগের চার্চগুলাে প্রচুর পরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে এবং তাদেরকে চিহ্নিত করেছে অপরাধী হিসেবে যারা নিজে পাপকে স্বীকার করে না। ফলে মুখমৈথুন শতাব্দীর পর শতাব্দী চলে এসেছে খুবই গােপনীয়তার সঙ্গে, একমাত্র নিষিদ্ধ গ্রন্থ ও চিত্রকলা ছাড়া। যেমন আঠারাে শতকের উপন্যাস ফানি হিল এবং হেনরি মিলারের যাবতীয় রচনা।
হেনরি মিলারের সমস্ত রচনার ভেতরে যােনি চোষণের বর্ণনা পড়েই আলভিন শুধু মুগ্ধ হয়নি, সে মুগ্ধ হয়েছে মিলার একজন নারীর জন্য এই পদ্ধতিতে আনন্দ বহন করে আনতে গিয়ে কী পরিমাণ আনন্দ উপভােগ করেছে। ফলে আলভিনও তার মেয়েবন্ধুর কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে পুরােদমে কাজে লেগে যায়। দুপায়ের মাঝখানে যখন তার মেয়েবন্ধু তার মাথাটা ঠেসে ধরে তখন প্রথমেই সে উত্তেজক গন্ধ পায় এবং তার ঠোট যােনিওষ্ঠ চুম্বন করে। তারপর আপনাআপনিই তার জিভ বেরিয়ে এসে আদর করতে থাকে তার ভগাঙ্কুর এবং যােনির ঠোটদুটো। তারপর সে যােনিওষ্ঠ চুষতে শুরু করে এবং শক্ত করে চেপে ধরে নিতম্বের কোমল মাংস। সে অনুভব করে তার জিভ, তার লিঙ্গের চেয়ে অধিক শক্তিশালী একটা অস্ত্র, অধিক বিশ্বস্ত, সহজে নিয়ন্ত্রণযােগ্য, প্রতিটি নির্দেশে সে সাড়া দেয়। আর লিঙ্গ নরম বা নিস্তেজ হয়ে থাকতে পারে, কামােত্তেজনা নাও অনুভব করতে পারে, কিন্তু তার জিভ সবসময় যােনির ভেতরে প্রবেশ করতে ও প্রবেশ করার পর যােনির চতুর্দিকে ঘােরাফেরা করতে সক্ষম ইচ্ছা অনুযায়ী। ফলে আলভিন তার মেয়েবন্ধুর যােনি চুষতে চুষতে হেনরি মিলারের সঙ্গে একটা যােগাযােগ তৈরির চেষ্টা করে।………
……..অল্প কিছুদিনের ভেতরেই পশ্চিম চুয়ান্নতম স্ট্রিটের এক নতুন অ্যাপার্টমেন্টে আলভিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। আড়াই বছর তাদের এই বিয়ে টিকেছিল। অধিকাংশ সময়ই তারা বাদানুবাদে ব্যস্ত থাকত এবং কদাচিৎ তারা যৌনমিলন সম্পন্ন করত। তখন আলভিন স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলনের পরিবর্তে প্রায়ই গভীর রাতে বাথরুমে হস্তমৈথুন করত ডায়ানে ওয়েবার, বেত্তি পেজ ও ক্যান্ডি বার-এর নগ্নছবি দেখে দেখে। ক্যন্ডি বার ছিল একজন সুন্দরী স্ট্রিপার । বসবাস করত টেক্সাসে । ১৯৫৩ সালে স্মার্ট এ্যালেক নামে একটা নীলছবিতে অভিনয় করে বিখ্যাত হয়েছিল । এছাড়া আলভিন হস্তমৈথুন করার জন্য আরও ব্যবহার করত অন্তর্বাস পরিহিত মডেলদের ছবি যা নিউ ইয়র্ক সানডে ম্যাগাজিনে ছাপা হত অথবা লাইফ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মেরেলিন মনরাের ছবি, অন্তর্বাস পরে সুইমিং পুল থেকে উঠে আসছে অথবা অর্ধেক স্তন ও প্রায় সম্পূর্ণ নিতম্ব বের করে সি বিচে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাকুলিন কেনেডির ছবি দেখে দেখে।…..
………প্রায় এক ডজন যুবতী চাকরির জন্য আবেদন করে। তারা ভেবেছিল চাকরিটা হয়তাে হবে ফটোগ্রাফারদের স্টুডিওতে অথবা কোনাে হেলথ ক্লাবে, কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারল যে তাদেরকে পুরুষের নগ্ন শরীর মর্দন করতে হবে এবং মুখােমুখি হতে হবে উত্থিত লিঙ্গ ও যৌন প্রস্তাবের, তখন তারা অন্য জায়গায় চাকরির সন্ধান করতে লাগল ।…….
……ম্যাসেজ পার্লারকে স্বাগত জানিয়েছিল শুধুমাত্র স্কু পত্রিকার সদস্যরা, যারা সাউনা বাথের ব্যাপারে কোনাে আপত্তি করেনি। তবে এর জন্য যে মূল্য নেয়া হয় তা অনেক বেশি বলে মনে করছে তারা। তাদের দাবি তেল দিয়ে শরীর মর্দন করতে করতে পুরুষটিকে বীর্যপাতের আনন্দ দেবে একজন উন্মুক্তবক্ষা নারী।……..
…….এই বিজ্ঞাপন দেখে নিউ ইয়র্কের অন্যান্য ম্যাসেজ পার্লারগুলােও স্কু’র সঙ্গে যােগাযােগ করতে শুরু করে। এদের কেউ কেউ আবার বিজ্ঞাপনে নগ্নবক্ষা নারীর ছবি প্রদর্শন করতে থাকে। দর্শকদের প্রলুব্ধ করে যে, এরা খরিদ্দারের কাছে পুরােপুরি সহজলভ্য ম্যাসেজের মূল্যের ভেতরেই । আলাদা করে কোনাে অর্থ ব্যয় করতে হবে না। কিন্তু কিছুদিনের ভেতরেই ভ্রু পত্রিকার পাঠকরা অভিযােগ করে চিঠি লিখতে শুরু করে। তারা জানায়, এই বিজ্ঞাপন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতারণামূলক, কারণ কোনাে কোনাে ম্যাসেজদানকারী ম্যাসেজকালে সেইসব উত্তেজিত খরিদ্দারের কাছে টিপস হিসেবে ১৫ ডলার দাবি করে লিঙ্গ চুষে দিতে অথবা হস্তমৈথুন করে দিতে, যারা আধাঘণ্টার ম্যাসেজের জন্য ইতিমধ্যেই পঁচিশ অথবা তিরিশ ডলার প্রদান করেছে। পাঠক আরও অভিযােগ করে কোনাে কোনাে ম্যাসেজদানকারী সরাসরি পুরুষের লিঙ্গ স্পর্শ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তারা এটা করবে? এ ধরনের বিজ্ঞাপন আইনবিরােধী।…..
……….মেডিক্যাল অ্যাসােসিয়েশনের কাছেও এসব বিষয় গােপন ছিল না। বহু চিকিৎসক সুবিধাভােগী শ্রেণীর কিছু রােগীর গর্ভপাতের ব্যবস্থাও করেছে, যারা ম্যাসেজের সময় যৌনমিলনের গােপন প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আবার দেখা গেছে, অনেক মনােচিকিৎসক কখনও কখনও রােগীর যৌন প্রস্তাবের পর তাকে নিয়ে সােফায় শুয়ে আছে তার উলঙ্গ শরীরকে জড়িয়ে ধরে অথবা দেখা গেছে রাতে কোনাে নার্স এবং মহিলা থেরাপিস্ট দুজনে মিলে হাসপাতালে থাকা পুরুষ রােগীদের যৌনাঙ্গের হতাশা দূর করতে ব্যবহার করেছে তাদের হাতগুলাে, বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে যৌনক্ষুধায় কাতর হয়েছিল।……
……ম্যাসেজ দানকারীরা সব মার্জিত চেহারার নারী। তারা কখনও কখনও নার্সদের মতাে পােশাক পরে, বিশেষ করে যখন তারা একজন নগ্ন পুরুষের শরীর মালিশ করে। চূড়ান্তভাবে ম্যাসেজ গ্রহণ করা অর্থাৎ সাদা পােশাক পরা পেশাজীবী নারীদের হাত দিয়ে লিঙ্গকে মৈথুন করিয়ে নেয়া খুবই উত্তেজক একটি অভিজ্ঞতা। এসব হস্তমৈথুনের সময় পুরুষরা কৈশােরের বহু ধরনের ফ্যান্টাসিকে এই ম্যাসেজদানকারী নারীর মাধ্যমে চরিতার্থ করে থাকে। যেমন, শৈশবকালে কাছে থাকা। তাগড়া আয়া অথবা স্কুলনার্স, অথবা মঠবাসিনী সুন্দরী সন্ন্যাসিনী অথবা অন্যান্য নারী, যাদের কাউকেই তার লিঙ্গমর্দনকারী হিসেবে এই পার্লারে মােটেও আশা করতে পারে না, কিন্তু উত্থিত লিঙ্গে ম্যাসেজদানকারী নারীদের তৈলাক্ত আঙুলের চটকাচটকির ভেতর দিয়ে সে অনায়াসে সেইসব নারীদের সবকিছুই উপভােগ করতে করতে বীর্যপাত করে একটা ছােট্ট তােয়ালেতে অথবা ন্যাপকিনে।……
…….কিন্তু এসব লিফলেট রাগমােচনের তৃপ্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় না, এগুলাে নিশ্চয়তা দেয় একজন উন্মুক্তবক্ষা নারীকে দিয়ে ইন্দ্রিয়কে সুখদানকারী ম্যাসেজ প্রদানের। এসব নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ আগের মতাে আর মাথা ঘামায় না, কারণ ইন্দ্রিয়সুখদানকারী ম্যাসেজ এবং নগ্নশরীর প্রদর্শন আমেরিকার মানুষের গ্রহণযােগ্যতা পেয়েছে ১৯৭০-এর দশকে কতগুলাে শর্তসাপেক্ষে। ব্রডওয়ের নাটক হায়ার এবং ও ক্যালকাটা-তে পুরােপুরি নগ্নতা অনুমােদিত হয়। কিছু শহরে তখন উন্মুক্ত বক্ষ ও উলঙ্গ নিম্নাঙ্গ প্রদর্শন করার অনুমােদন পায় কিছু কিছু বার ।……
…..ফরটিন্থ স্ট্রিটের পিঙ্গ অর্কিড ছিল কোলাহলমুখর স্থানে। জায়গাটা বেশ গরমও। এখানে কোনাে স্নানঘর বা এয়ার কন্ডিশনার নেই। ১৪ ডলারে বিনিময়ে আলভিন ম্যাসেজ করিয়ে নিল উত্তেজক ছােট্ট-প্যান্ট-পরা এক স্বর্ণকেশীকে দিয়ে এবং আরও ১৫ ডলার বকশিশ দিয়ে হস্তমৈথুন ও মুখমৈথুন করিয়ে নিল। অবশ্য যুবতী তার লিঙ্গ চুষে দেবার সময় বারবার নিজের ঘড়ি দেখছিল। আলভিন তার পরের সংখ্যার স্কু’তে তার ছবি ছেপেছিল। ছবির নিচে ক্যাপশন লেখা ছিল এর সম্পর্কে সুপারিশ করার কোনাে প্রয়ােজন নেই।…..
……..মিডল আর্থ স্টুডিও তখন ৮৩৫ থার্ড এভিনিউ-এর একটা ইটের তৈরি ভবনের তিনতলায় অবস্থিত। আলভিন এর ম্যানেজারকে ১৮ ডলার দিয়ে নীলনয়না এক স্বর্ণকেশী ম্যাসেজদানকারীকে ঠিক করে, যার চুল দীর্ঘ এবং গায়ের রঙ খুবই চমত্তার। সে ছিল খুবই মাধুর্যময় এক নারী এবং ম্যাসেজরুমের গােপনীয়তায় সে আলভিনকে সহজেই উত্তেজিত করে তুলত। দীর্ঘ আঙুলসহ তার ছিল দুখানা চমৎকার হাত এবং আলভিনের মনে হত যা সে করছে তা সে খুবই উপভােগ করে। তার উত্তেজিত লিঙ্গের ওপর থেকে সে এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরায় না যখন সে লিঙ্গকে হাত দিয়ে আদর করে। এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, অধিকাংশ পুরুষই দেখতে পছন্দ করে নারীরা তার এই অদ্ভুত জিনিসটি অত্যন্ত অন্তরঙ্গতার সাথে আদর করছে। আলভিন খুব বেপরােয়াভাবে চাইল যুবতী তার লিঙ্গ মুখে পুরে নিক এবং সে তাকে তা করতে বলল তখন অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। সে জানায় যে মিডল আর্থ-এর নীতিমালায় এটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র হাত দিয়ে লিঙ্গ মৈথুন করার অনুমােদন রয়েছে এবং তা ম্যাসেজ-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। তারপর সে হঠাৎ দেখতে পায় দেয়ালের গায়ে একটা ছােট্ট জানালা খুলে গেল এবং সে শুনতে পেল এখানে কী কী নিয়ম চালু আছে এবং তা যেন যথাযথভাবে মেনে চলা হয়। এ-ধরনের আচরণে আলভিনের মেজাজ বিগড়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় ম্যাসেজদানকারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতার অনুভূতি, তারপরও সে হস্তমৈথুনের আনন্দ উপভােগ করে।………..
………জন এক এক করে যে আধাডজন নারীর ভেতরে নিজেকে প্রবেশ করিয়েছে তারা এখন এই দলের অংশ এবং তার স্ত্রী বারবারাকেও সে অন্য পুরুষদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছে। তৈরি করেছে অনুমােদনকারী একটা পরিবেশ যেখানে দলের সদস্যদের ভেতরে খােলামেলা যৌনমিলনকে উৎসাহিত করা হয়।……
……জুডিথ তারপর তার হাত ধরে টানতে টানতে একটা বেডরুমে নিয়ে যায়। বুল্লারাের পােশাক খুলতে সাহায্য করে এবং সে রাতে সে এমন আবেগ ও ভালােবাসার সঙ্গে বুল্লারাের সঙ্গে যৌনমিলন সম্পন্ন করে যে, বুল্লারাের মনে হয় সে। প্রথমজীবনের যৌনমিলনের তীব্র আনন্দ অনুভব করছে।…..
……….একদল নারী ও পুরুষ একসঙ্গে কাজ এবং বসবাস করে এবং নিয়মিত একে অন্যের সঙ্গে যৌনমিলনে লিপ্ত হয় এবং তাদের ভেতরে সন্তানের জন্ম হলে, এসব নারী ও পুরুষ হয় তাদের সম্মিলিত পিতামাতা বা সম্মিলিত অভিভাবক। শিশুর জন্মের পর তার লালনপালন ও ভরণপােষণের দায়িত্ব নেয় কমিউন। অনাকাক্ষিত গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মের ভয় দূর করে নারীদের যৌনমিলন উপভােগের আনন্দ বাড়ানাের উদ্দেশ্যে নােয়েজ তার এখানকার প্রতিটি পুরুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে যৌনমিলনকালে যােনিগর্ভে বীর্যপাত না করতে। শুধুমাত্র সেই সময়গুলােতেই তারা যােনিতে বীর্য নিক্ষেপ করবে যখন তারা সন্তান কামনা করবে অথবা যখন নােয়েজ বংশবিস্তারের উদ্দেশ্যে কোনাে আগ্রহী দম্পতিতে নির্বাচন করবে।
ওনিয়েডার অর্থভাণ্ডারে যখন প্রচুর পরিমাণ অর্থ জমা হয় তখন সদস্যদেরকে জানানাে হয় যে এখন অধিক সংখ্যক সন্তান জন্ম দেওয়া যেতে পারে এবং নারী স্বেচ্ছাসেবিকাদের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাদের শরীর ভাড়া দেওয়ার জন্য। একই লক্ষে নােয়েজ তাদেরকে প্রভাবিত করে পছন্দমতাে পুরুষ বেছে নিতে যারা তার সন্তানের জনক হবে যে সন্তান তারা উৎপাদন করবে।
ওনিয়েডাতে যৌনমিলনের যে খােলামেলা পদ্ধতি চালু ছিল তাতে যেকোনাে পুরুষ নির্দিষ্ট একটি নারীর সঙ্গে বিছানায় যেতে পারত, কিন্তু প্রথমে তাকে নােয়েজ কর্তৃক নিযুক্ত প্রতিনিধির কাছে অনুরােধ জানিয়ে আবেদনপত্র দাখিল করতে হত। তারপর একজন বয়স্কা নারী কাক্ষিত নারীর কাছে তাকে পৌছে দিত। যদি কোনাে নারী কোনাে পুরুষের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয় অথবা সব পুরুষের আমন্ত্রণে যৌনমিলনে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তা বসতির নীতিমালা অমান্য করার শামিল বলে গণ্য করা হয়। নােয়েজ নিযুক্ত প্রতিনিধিরা জানায় যে, ওনিয়েডার মতাে ইতিবাচক যৌনপরিবেশে গড়সংখ্যক নারীরা সপ্তাহে দুই অথবা চারজন পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনে অংশ নিয়ে থাকে এবং কিছু কিছু যুবতীকে দেখা যায় তারা সপ্তাহে সাতজন আলাদা আলাদা পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনে অংশ নিচ্ছে। নােয়েজের প্রতিনিধিদের খতিয়ান বইতে হিসাব রাখার অর্থ ঘনঘন যৌনমিলনকে নিরুৎসাহিত করা নয়, কারণ ওনিয়েডাতে প্রচুর যৌনমিলনকে যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হত। তবে একটা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তা হল: কেউ কারও প্রতি কোনাে বিশেষ ভালােবাসা প্রদর্শন অথবা উৎকর্ষবাদী পুরুষদের সঙ্গে সে তার শরীর ভাগাভাগি করছে কিনা তা পরীক্ষা করা। প্রেম ভালােবাসা অথবা কারাে সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তােলার বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করত নােয়ােজর প্রতিনিধিরা।……..
……..লাল কার্পেট পাতা ফ্লোরে নেমে আসার পর অতিথিরা একটা আধা-অন্ধকারময় ঘরে প্রবেশ করে। ঘরটা বিশাল। মেঝেতে পাতা কুশনগুলি ফায়ারপ্লেসের কমলা রঙের আলােতে ভেসে যাচ্ছে। তারা দেখতে পায় অসংখ্য মুখের ছায়া, আলিঙ্গনাবদ্ধ শরীর, অসংখ্য গােলাকার স্তন এবং তার ওপর নড়াচড়া করতে থাকা আঙুলগুলি, আন্দোলিত পাছা, চকচক করতে থাকা পিঠ ও পশ্চাৎদেশ, কাঁধ, স্তনের বোঁটা, নাভি, বালিশের ওপর ছড়িয়ে থাকা দীর্ঘ সােনালি চুল, মােটা মােটা হাতগুলি খামচে ধরেছে নরম সাদা পাছা, খাড়া হয়ে থাকা একটা লিঙ্গের ওপর উবু হয়ে আছে একজন নারী, পরমানন্দের দীর্ঘশ্বাস ও কান্নার শব্দ, সঙ্গমরত শরীরের চামড়ায় মৃদু চড়-থাপ্পড় ও চাটাচাটির শব্দ, হাসি, আনন্দমিশ্রিত গুঞ্জন ও চিৎকার ধ্বনি, স্টেরিও থেকে ভেসে আসা গান এবং সেইসঙ্গে ফায়ারপ্লেসে কাঠ পােড়ার শব্দ। | ঘরের অন্ধকার চোখ সয়ে আসার পর দর্শকরা আরও পরিষ্কারভাবে দেখতে পায় বিভিন্নরকম আকার ও আকৃতির শরীর, বিভিন্নরকম রঙ, লাবণ্য ও আকর্ষণ কিছু কিছু দম্পতি গােল হয়ে পা মুড়ে বসে আছে, আয়েশ করে বসে গল্প করছে স্বস্তির সঙ্গে। মনে হয় তারা সি-বিচে পিকনিক করতে এসেছে। অন্যেরা জড়াজড়ি করে আছে বিভিন্ন ভঙ্গিতে। নারীরা পুরুষের কোলে পা ঝুলিয়ে বসে আছে, দম্পতিরা কেউ কেউ শুয়ে আছে পাশাপাশি, কোথাও দেখা যাচ্ছে নগ্ন নারী শােয়া অবস্থায় দুই পা তুলে দিয়েছে তার পুরুষ সঙ্গীর কাঁধের ওপর। কাছাকাছি একজন নারী তার নিশ্বাস বন্ধ করে রেখেছে, তারপর তা ছেড়ে দিয়ে হাঁপাচ্ছে, যেভাবে পুরুষটা হাঁপাচ্ছে তার যােনিতে বীর্য ফেলতে ফেলতে, কাছাকাছি অন্য নারী সেই ধ্বনির উত্তর দিতে গিয়ে দ্রুত কোমর নাচিয়ে নিজের রাগমােচনকে দ্রুত করছে, তার শরীরের চামড়ায় ঢেউ উঠছে এবং মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাচ্ছে।………
………ঘরের এককোণে নগ্ন হয়ে ডিসকো ডান্সাররা নেচে চলেছে। রুমের অন্যদিকে একটা টেবিলের ওপর চিৎ হয়ে এক নগ্ন নারী শুয়ে আছে। তাকে ঘিরে পাঁচজন পুরুষ ক্রমাগত তার শরীরে তেল মালিশ করছে এবং একই সঙ্গে চটকে চটকে আদর করছে তার পুরাে । শরীর। ঠিক সেসময় একজন বলিষ্ঠ লােক ধীরে ধীরে টেবিলের কাছে এগিয়ে আসছে নারীর খােলা উরুর মাঝখানে জিভ দিয়ে তার যােনি আদর করতে।……..
………..কোথাও দেখা যাচ্ছে তিনজনের একটি দল যৌনক্রিয়ার ব্যাস্ত, আবার দেখা যাচ্ছে। চারজন একসঙ্গে উপভােগ করছে পরস্পরের শরীর ও যৌনাঙ্গ। কিছু উভকামীও রয়েছে। মনে হচ্ছে এরা সব নগ্ন মডেল। শরীরে সাঁতারুর দ্রুততা, উল্কিআঁকা বাহু, হাঁটুতে বালা, কোমরে সােনার চেইন, তাগড়া লিঙ্গ, নারীর কোঁকড়ানাে যৌনকেশ সুন্দর ঝােপের মতাে কিন্তু চমৎকার করে ছাটা। কারাে কারাে কালাে কুচকুচে, কারােটা লাল রঙের এবং কারােটা সােনালি রঙের।…….
………..গোঁড়া আমেরিকানরা এতদিন কোনােকিছুই বাইরে প্রকাশ করেনি সেন্সরের ভয়ে। তারা তাদের যাবতীয় আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে রেখেছিল তাদের বেডরুমের দরজার পেছনে। কখনও তারা বয়স্কদের সামনে তা প্রদর্শন করেনি। স্যান্ডস্টোন হল সেই জায়গা যেখানে প্রথম একজন পুরুষ অন্য পুরুষের উত্থিত লিঙ্গ দেখছে এবং ঘুরেফিরে বহু দম্পতি একজন আরেকজনের দ্বারা বহুবার উত্তেজিত হচ্ছে। শিহরিত হচ্ছে, আনন্দিত হচ্ছে, অথবা বেদনার্ত হচ্ছে তার সঙ্গীকে অনেক নতুন নারী বা পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় দেখে। এরকম এক সন্ধ্যায় জন উইলিয়ামসন দেখেছিল বারবারার শরীর ও যৌনাঙ্গ উপভােগ করেছে সুদর্শন ও স্বাস্থ্যবান এক কালাে পুরুষ। | প্রায়ই নগ্ন জীববিজ্ঞানী এ্যালেক্স কমফোর্ট এরকম সন্ধ্যায় ঘুরে ঘুরে স্যান্ডস্টোনের সদস্যদের যৌনমিলন উপভােগ করতেন। মনােযােগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতেন যৌনমিলনে মগ্ন দম্পতিদের এবং পরস্পরের যৌন উন্মাদনা ও বাসনা পূরণের আকাক্ষা। উৎসাহ দিতেন তাদের যৌনমিলনে এবং কখনও কখনও উৎফুল্ল হয়ে আঁকড়ে ধরতেন তাদের শরীর, চুম্বন করতেন শরীরের যত্রতত্র। ফলে সেই দম্পতির আনন্দ আরও বৃদ্ধি পেত এবং কখনও কখনও তারা শিহরিত হত। | কমফোর্ট নগ্ন নারী ও পুরুষের ভিড়ে খুবই উৎফুল্ল হয়ে উঠতেন। কাউকে কাউকে যৌনমিলনের আয়েশ দিতেও কুণ্ঠিত হতেন না। তবে তিনি আনাড়িদেরকে দলীয় নগ্নতা ও যৌনমিলনে সহায্য করতেন সবচেয়ে বেশি, বিশেষ করে যারা বিচলিত এবং ভীত । দলীয় যৌনমিলনেও উৎসাহ দিতেন তিনি। নিজ হাতে ম্যাসেজ করতেন নারীর সুগঠিত স্তন, ঊরু ও নিতম্ব । যৌনশিক্ষার ব্যাপারে কমফোর্টের অনুমতিদায়ক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে ইংল্যান্ডে বিতর্কিত চরিত্রে পরিণত করেছিল দ্য জয় অব সেক্স গ্রন্থ প্রকাশের আগে।……..
……….স্যান্ডস্টোনে মানুষ অন্য মানুষের বহু ধরনের কৌশল পর্যবেক্ষণ করে, শােনে মানুষ কীভাবে যৌন আহ্বানে সাড়া দেয়, দেখে মানুষের মুখমণ্ডলে আনন্দের অভিব্যক্তি, মাংশপেশির নড়াচড়া, ত্বকের ভাঁজ, বিভিন্ন ধরনের স্পর্শ, জিভ দিয়ে যৌনাঙ্গ আদর করা, সুড়সুড়ি দেওয়া, নখ দিয়ে শরীর খুঁটে দেওয়া; চিমটি কাটা, যৌনাঙ্গে চুমু খেয়ে উত্তেজনা বাড়ানাে, পায়ুছিদ্রে উত্তেজনা বাড়ানাে ও অণ্ডকোষের চামড়ায় মৃদু মৃদু আঘাত করা । নারীদের ভেতরে যারা যথেষ্ট সময় ও উত্তেজনা কামনা করে রাগমােচনের আনন্দ পাওয়ার জন্য, যদি সে তা দ্রুত অর্জন করে তাহলে প্রায়ই বিস্মিত হয়। কারণ নারীরা রাগমােচনের অভিজ্ঞতা সবসময় অর্জন করে না। স্যান্ডস্টোনে নারীর প্রতি নারীর আকর্ষণকে মােটেও খারাপ চোখে দেখা হয় না। তবে শুধুই দুজন নারী সমকামে লিপ্ত হয়েছে এরকম দেখা যায় না। কিন্তু বিষমকামী নারী ও পুরুষের যখন তিনজন অথবা চারজন মিলে যৌনকর্ম করে তখন দেখা যায় এক নারী অন্য নারীর স্তন আদর করছে, ভগাঙ্কুর চুম্বন অথবা জিভ বুলিয়ে দিচ্ছে, ভাগাভাগি করছে একজন অন্যের সঙ্গে কিছু নারী, সম্প্রতি যাদের বিরক্তিকরভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটেছে এবং তারা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে তখনও প্রস্তুত নয়, তারা স্যান্ডস্টোনকে তাদের দ্বিতীয় গৃহ হিসেবে গ্রহণ করে, সেখানে তারা ইচ্ছেমতাে পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে পারে এবং নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে উপভােগ করতে পারে যৌনমিলন এবং সঙ্গ। বিশেষ করে যেসব নারী কিছুটা কামুক ও সামান্য আগ্রাসী আচরণ করে থাকে, তাদের জন্য স্যান্ডস্টোন হচ্ছে একমাত্র জায়গা, যেখানে তারা দৃঢ়তার সঙ্গে পুরুষকে প্ররােচিত করতে পারে আনন্দ লাভের বস্তু হিসেবে। যে কোনাে কাঙ্খিত আগন্তুককে সে যৌনমিলনের প্রস্তাব দিতে পারে সামান্য কিছু আলােচনার পরই, তুমি কি আমার সঙ্গে নিচতলায় যাবে?
কেউ কেউ মনে করে নারীর যৌনক্ষমতা পুরুষের চেয়ে বেশি। কিনযে বলেছেন, পরিপূর্ণভাবে উথিত একটা পুংলিঙ্গ গড়ে দুই থেকে আড়াই মিনিট চাপাচাপি করতে পারে যােনির ভেতরে প্রবেশ করার পর। তারপরই সে বীর্যপাত করে ফেলে। তবে যে রাত্রিগুলিতে স্যান্ডস্টোনে পার্টি হয় তখন সেখানে আসা যে-কোনাে অতিথিই দেখতে পাবে শ্যালি বিনফোর্ডের মতাে উত্তেজক নারীর শরীর দোলানাের দৃশ্য। শ্যালি বিনফোর্ড হচ্ছেন ৪৬ বছর বয়সী চমকার শারীরিক সৌন্দর্যের অধিকারী ধূসর চুলের এক অভিজাত নারী, তিনবার যার বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটেছে এবং পুরুষরা একের পর এক যার যােনি উপভােগ করতে চায়, যদিও তার উজ্জ্বল কালাে চোখদুটি কোনাে পুরুষের দিকেই তাকায় না নিজের আকাঙ্ক্ষা মেটানাের নিশ্চয়তা নিয়ে তিনি যেমন মানসিকভাবে নিরাপদ তেমনি শারীরিকভাবে প্রলুব্ধকর। তিনি ছিলেন উৎসর্গীত নারীবাদী ও যৌনমিলনের ব্যাপারে অভিযানপ্রিয়।……..
……..তার সবগুলি বিয়েই ছিল কলহে পরিপূর্ণ এবং অস্থায়ী এবং শ্যালি ছিল একাকী এবং ক্লান্তিহীন। তার যৌনক্ষুধা সে মেটাতে পারে না। বহু নিঃসঙ্গ সন্ধ্যা তখন সে কাটিয়েছে উদ্ভট সব পুরুষের প্রতিমূর্তি কল্পনায় এনে হস্তমৈথুন করে। সে কল্পনা করেছে অচেনা পুরুষদের সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে ট্রেনে, এয়ারপাের্টে অথবা অচেনা কোনাে শহরের রাস্তায়, অচেনা কোনাে পুরুষ অনুসরণ করছে তাকে খুবই দক্ষতার সঙ্গে এবং তারপর তাকে জোর করে নগ্ন করেছে কোথাও নিয়ে, তারপর সারা শরীর চটকাচটকির পর সবশেষে সে তার লিঙ্গ দিয়ে তার যােনি উপভােগ করছে সেইভাবে, যেভাবে সে একটা পর্ণোগ্রাফিতে একজন নারীর যােনি উপভােগের বর্ণনা পড়েছিল। কখনও সে কল্পনা করত তার হাইডপার্কের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে অচেনা কোনাে পুরুষ তার যােনি উপভােগ করছে।………
………এসব উত্তেজনাদানকারী পুস্তক ১৯৫০ সালেই শিকাগােতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এগুলি সাধারণত আমেরিকায় আসত প্যারিস ভ্রমণ করতে যাওয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য ও ফুস্প্রাইট স্কলারদের মাধ্যমে। এগুলাের মধ্যে ছিল লেডি চ্যাটারলিজ লাভার, কামসূত্র, মাই সিক্রেট লাইফ, দ্য পারফিউমড গার্ডেন, হেনরি মিলারের ট্রপিকস এবং বহু উত্তেজক ফরাসি উপন্যাস, যা পড়ে শ্যালি খুবই মজা পেত। ফরাসি ভাষাটা জানার কারণে শ্যালি এসব গ্রন্থের মূল সংস্করণ পড়তে পারত। এসব গ্রন্থে যৌনমিলনের বর্ননা পড়ে সে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে উঠত। তার খুবই ইচ্ছে করত বর্ণনা অনুযায়ী যৌনমিলনে অংশ নিতে, কিন্তু বাস্তব জীবনে তা সম্ভব ছিল না। তার ইচ্ছা করত যৌনসঙ্গী ভাগাভাগি করা, পায়ুমৈথুন প্রভৃতি। যখন সে এ-ধরনের কল্পনাগুলিকে প্রশ্রয় দিত তখন সে নিজেকে কল্পনা করত যৌনমিলনরত একদল নারী ও পুরুষের ঠিক মাঝখানে। তাকে ঘিরে আছে একদল ভদ্রোচিত প্রেমিক, যারা তার যাবতীয় রসিকতার জবাব দিচ্ছে, উত্তেজিত করে তুলছে তকে মুখ ও যৌনাঙ্গ দিয়ে এবং মিটিয়ে দিচ্ছে তার শরীরের প্রতি ইঞ্চির আকাঙ্খ, বিশেষ করে যখন সে তাদেরকে বীর্যস্থলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায় ।……….
………১৯৭০ সালের নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রেসিডেন্টের প্রতিবেদনের অননুমােদিত বিস্তৃত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন আকারে বিশাল এবং গ্লোসি পেপারে ছাপা ৩৫২ পৃষ্ঠার এই পেপারব্যাক গ্রন্থের দাম ১২.৫০ ডলার। এই গ্রন্থে শুধু কমিশনের প্রকল্পের বর্ণনা এবং কিটিং-এর প্রত্যুত্তরই ছাপা হয়নি আরও ছাপা হয়েছে অসংখ্য ছবি এবং রেখাচিত্র। এসব ছবি ও রেখাচিত্রের ভেতরে রয়েছে যৌনমিলনরত নারী ও পুরুষ, দলবদ্ধ। যৌনমিলন, নারী পুরুষের লিঙ্গ হাত দিয়ে মৈথুন করছে, কেউ কেউ মুখে নিয়ে চুষছে, পুরুষ মৈথুন করছে ভাইব্রেটরের সাহয্যে নারীর যােনি, পুরুষ জিভ দিয়ে নারীর যােনি আদর করছে, সমকামী পুরুষ পায়ুমৈথুন করছে, সমকামী নারীরা পরস্পরের যােনি চোষণ করছে, মধ্যযুগে মঠে বসবাসকারী সন্ন্যাসিনীরা (নান) মােমবাতি প্রবেশ করাচ্ছে যােনির ভেতরে, বিস্তৃত লাম্পট্যের প্রাচ্যদেশীয় প্রাচীন চিত্রকলা, অশ্লীল ও উত্তেজক ভঙ্গির কার্টুন, পাবলাে পিকাসাের কামােত্তেজক চিত্রকলা, হাতকড়া পরানাে পুরুষের ওপর এলিয়ে পড়ে থাকা নগ্ন নারীরা, বিভিন্ন জাতির নারী ও পুরুষের উন্মত্ত যৌনমিলন, বিভিন্ন আকারের যােনির ক্লোজ-আপ ছবিসহ দু’আঙুল দিয়ে মেলে ধরা যােনির ভয়াবহ উত্তেজক ছবি এবং লাল চুলের এক নারীর জিভ দিয়ে একটা ঘােড়ার উত্তেজিত লিঙ্গ আদর করার দৃশ্য। সবরকম কল্পনাযােগ্য পদ্ধতিতে প্রায় ৫৪৬টি যৌনমিলনের ছবি ও রেখাচিত্র এই বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেন প্রকাশকরা এর যথার্থতা প্রমাণ করতে পারে, পাশাপাশি এটাও প্রমাণিত হয় যে প্রতিবেদন সম্পন্ন করার আগে এসব ছবি ও রেখাচিত্র কমিশনের সদস্যরা তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেছে।………
………ইরােজ, পত্রিকার চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালের শীতকালে। সেখানে বেশকিছু ছবি ছাপা হয়—গনজবার্গ একে বলে, রঙের ভেতের সাদা কালাে। এই ছবিগুলােতে দেখানাে হয়েছে একজন পেশিবহুল নগ্ন কালাে পুরুষ ও একজন আকর্ষণীয় সাদা নারীর অন্তরঙ্গতা এবং ষােলােটা ছবির কোনােটাতেই যৌনাঙ্গ অথবা যৌনকেশ প্রদর্শন করা হয়নি। ছবি দেখে বােঝা যায় এরা প্রেমিক-প্রেমিকা। কোনাে কোনাে ছবিতে দেখা যায় তারা পরস্পরকে চুমু খাচ্ছে, অন্য ছবিতে দেখা যাচ্ছে তারা পরস্পরকে আদর করছে পাশাপাশি শুয়ে। কোনাে কোনাে ছবিতে তারা মুখােমুখি পরস্পরকে জড়িয়ে ধরছে। এমনভাবে যে তাদের উরু ও যৌনাঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেছে। এত জোরে তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছে যে সাদা নারীর স্তন কালাে পুরুষের শক্ত বুকের চাপে একেবারে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে।……….
………..মারভিন মিলারের মামলা সুপ্রিমকোর্টে আসার আগে ওয়ারেন বার্গার লক্ষ করে আসছিলেন যে আমেরিকার বই ও পত্র-পত্রিকা, চলচ্চিত্র এবং লাইভ শাে-তে যৌনতার প্রতিনিধিত্ব ব্যপক হারে বেড়ে চলেছে এবং তা শুধুমাত্র পূর্ব ও পশ্চিম তীরবর্তী বড় শহরগুলিতেই নয়, মিনেসােটার মধ্য-পশ্চিমের ছােট ছােট বসতিগুলিতেও তা প্রকট হয়ে উঠেছে, যেখানে নৈতিকভাবে সৎ ও বিবেকবান একটি পরিবারে তিনি লালিতপালিত হয়েছিলেন। গত বছর বলতে গেলে প্রত্যেক রাজ্যেই ম্যাসেজ পার্লার, টপলেস ও বটমলেস বারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন প্রায় সর্বত্রই ডিপগ্রট নামে ৬২ মিনিটের একটা ছবি দেখানাে হয়ে থাকে যার পঞ্চাশ মিনিট ধরেই দেখানাে হয় দলীয় যৌনমিলন, মুখমৈথুন, যৌনসঙ্গী ভাগাভাগি, নারীদের হস্তমৈথুন, নারী ও পুরুষ উভয়ের পায়ুমৈথুন, নারী ও পুরুষের যৌনমিলন এবং পুরুষের বীর্যপাতের দৃশ্য। লাখ লাখ মানুষই শুধু এই ছবি উপভােগ করে না, তারা সঙ্গে নিয়ে যায় তাদের স্ত্রী ও মেয়েবন্ধুদের । ডিপথট ছিল আমেরিকার প্রথম নিরেট পর্ণো চলচ্চিত্র যা অসংখ্য দম্পতি উপভােগ করেছে। অনেকে দেখার জন্য প্রলুব্ধ হয়েছে। যদিও প্রদর্শনীর স্থানগুলিতে নিয়মিত পুলিশের হামলা হত। কিন্তু তা হাতেনাতে ধরতে এবং নিষিদ্ধ করতে কর্তৃপক্ষ পুরােপুরি ব্যর্থ হয়।……….
……….লস এঞ্জেলেসে ফ্লেশম্যান এক সরাইখানার মালিককে সফলভাবে রক্ষা করেছিল। যেখানে নারীরা তাদের নগ্ন স্তন প্রদর্শন করত। আরও রক্ষা করেছিল এক ডাকসরবরাহকারী ব্যবসায়ীকে যে মেরেলিন মনরাের নগ্নছবি সমুদ্রবন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত এবং বেভারলি হিলের একজন দোকান মালিককে, সে তার দোকানের জানালায় মাইকেলেঞ্জেলাের ছবির রেপ্লিকা (হুবহু নকল) প্রদর্শন করত এবং তা ছিল পুরােপুরি নগ্ন ।………
………..একটা মানুষের চার বছরের জেল ও ৮৭ হাজার ডলার জরিমানা হবে শুধুমাত্র একটা ব্রোশিয়ুর ডাকে পাঠানাের অপরাধে, যেখানে প্রেসিডেন্টের কমিশনের প্রতিবেদনের প্রশংসা করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে সমালােচনা করা হয়েছে কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতি প্রেসিডেন্ট নিক্সনের প্রত্যাখ্যানকে এবং সেই ব্রোশিয়ুরে আরও ছাপা হয়েছে কিছু রঙিন ছবি যেখানে নগ্ন মানুষেরা হস্তমৈথুন করছে, পুরুষের লিঙ্গ চুষছে বিভিন্ন ভঙ্গিতে নগ্ন নারীরা এবং দলীয় যৌনমিলনের কিছু দৃশ্য।……….
………নিজের পরিকল্পনা মতাে সাজানাের কারণে হেফনার কদাচিৎ এই প্রাসাদ পরিত্যাগ করত। তার প্লেবয়-ভবনের প্রায় সব রুমেই ক্যামেরা ও সাউন্ড ইকুইপমেন্ট এমনভাবে বসানাে হয়েছি যে বিছানায় শুয়েই সে সবার সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করতে পারত। সে বােতাম টিপে তার ঘূর্ণায়মান বিছানাকে ইচ্ছেমতাে ব্যবহার করত। এটা দোলানাে যেত, কম্পন তােলা যেত, আবার হঠাৎ করেই ফায়ারপ্লেসের সামনে থামানাে যেত অথবা টেলিভিশনের দিকে কিংবা প্রদর্শিত হতে থাকা সিনেমার পর্দার দিকে। তার বিছানার কাছেই থাকত টেলিফোন, স্টেরিও সেট এবং রেফ্রিজারেটর। তাতে ভর্তি থাকত শ্যাম্পেন ও তার পছন্দ পায় পেপসি কোলা। প্রায় এক ডজন বােতল প্রতিদিন এই ফ্রিজে ঢােকানাে হত। তার আয়না-লাগানাে বেডরুমেও একটা টেলিভিশন-ক্যামেরা রয়েছে, নারীদের সঙ্গে র যৌনকর্মের আনন্দঘন মুহূর্তগুলি এই ক্যামেরাতে ধারণা করা হয়। কখনও কখনও সে তিন থেকে চারজন নারীর সঙ্গে এই বিছানায় যৌনকর্ম করত। এক রাতে এই ম্যানশনে আসা নতুন এক দম্পতি হেফনারের ফ্লাটের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে এবং আবিষ্কার করে যে, সে বিছানায় নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে ঘিরে রয়েছে প্রায় আধাডজন নগ্ন মডেল এবং তারা তার শরীরে তেল মালিশ করছে। এই দম্পতি মনােযােগ দিয়ে তা দেখতে থাকে। তাদের চোখমুখ দেখে মনে হয় তারা এই দৃশ্য দেখে খুবই আনন্দ পাচ্ছে। মনে হচে এটা প্লেবয়-পত্রিকার কোনাে ছবি, আজ রাতের বেলায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে হঠাৎ করে ।………
……….ভালােবাসার নিদর্শন হিসেবে হেফনার বারবি বেন্টনকে গাড়ি, দামি অলঙ্কার ও চমত্তার পােশক উপহার দিত। একবার সে এক ভাস্করকে দিয়ে নারীর স্তন তৈরি করিয়ে তাকে উপহার দেয়, যা ছিল হেফনারের কাছে বারবি’র প্রাণচঞ্চল স্পর্শকাতরতা ও তার পিনােন্নত দৃঢ় স্তনের প্রতীক।………
……….হেফনারের বয়স তখন পঁয়তাল্লিশ এবং পত্রিকা প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় কয়েকশত সুন্দরী নারীর সঙ্গে সে মিশেছে, উপভােগ করেছে নারীর সঙ্গ, উপভােগ করেছে নারীর যােনি এবং সম্ভবত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই উপভােগের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রতি মাসে হেফনার একজন নতুন নারীকে উপভােগ করেছে। যা তার জন্য একটা অভিনব অভিজ্ঞতা তার সব সময়ই মনে হত সে এই প্রথম কোনাে নারীকে ন্যাংটো করছে, নাংটো মেয়েমানুষ দেখছে এই প্রথম, উল্লাসের সঙ্গে পুনরায় আবিষ্কার করছে নারীর শরীর, শ্বাসরুদ্ধকর আনন্দের সঙ্গে খুলে ফেলছে নারীর প্যান্টি এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃদু কম্পন তুলে বেরিয়ে পড়ছে মসৃণ চকচকে পাছা। সে ছিল এমন একজন যৌনাসক্ত ব্যক্তি যে সবসময় অতৃপ্ত থাকে।……..
……..দরজার কাছে পৌছেই ক্যারেন শুনতে পেল জল পড়ার শব্দ, সেইসঙ্গে উচ্চহাসি। আরও কানে এল হেয়ার ড্রায়ারের শব্দ এবং রেডিওতে বাজতে থাকা গান। হলের ভেতরে যখন সে দাড়িয়ে ছিল তখনই কয়েকজন নগ্ন যুবতীকে রুমের ভেতরে ঢুকতে ও বেরুতে দেখেছে। সম্ভবত তারা ক্লাবে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্যারেন বিস্মিত এবং একই সঙ্গে ব্রিত বােধ করতে থাকে তাদের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতায়। সে রুমে প্রবেশ করার সময়ই অত্যন্ত সচেতন হয়ে যায়। নিজের জন্য নির্ধারিত ঘরে প্রবেশ করার সময় সে দেখতে পায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এক নগ্ন স্বর্ণকেশী চুল আঁচড়াচ্ছে এবং কাছেই অন্য এক স্বর্ণকেশী নগ্ন অবস্থায় বসে নখ পরিষ্কার করছে নেইলপপালিশ লাগানাের জন্য। ক্যারেন নিজের পরিচয় দিল। অন্য দুজনও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করল তার সাথে এবং অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে তার প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিল সেই কাজ প্রসঙ্গে যা সে কাল থেকে শুরু করবে। ক্যারেন বুঝতে পারল কথা বলতে বলতে তারা তার শরীর জরিপ করছে এবং প্রশংসা করছে শরীরের বিভিন্ন অংশের, যদিও তার শরীর পােশাকে ঢাকা । যাহােক ক্যারেন তার ব্লাউজ খুলে ফেলে, কিন্তু ব্রেশিয়ার খােলে না। নগ্ন নারীদের একজন মৃদু হেসে বলল, আমরা এখানে ওগুলি পরি না।’ ক্যারেনও মৃদু হাসল কিন্তু ব্রেশিয়ার নাখুলেই সে তার স্যুটকেস খালি করতে শুরু করল। মেয়েগুলি কাজে চলে যাওয়ার পর ডরমিটরি খালি হয়ে গেলে সে তার কাপড় খুলে ফেলে এবং স্নানঘরে প্রবেশ করে।………
…….বারবি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে হেফনারের মা, স্ত্রী ও কন্যার মতােই। তবে সে একেবারেই ভিন্ন চরিত্রের নারী-সাধারণ নারীদের মতাে নয়, কিছুটা অস্বাভাবিক এবং তার আবেদনও এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। এছাড়াও অন্য একটি কারণে সে হেফনারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বেডরুমে-বারবি’র জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি ক্যারেন ছিল কিছুটা লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু বিছানায় সে ছিল বন্য এক নারী। হেফনার তার দীর্ঘজীবনে এমন কোনাে নারীকে দেখেনি যে যৌনমিলনের সময় তার উষ্ণতা ও দক্ষতাকে অতিক্রম করে যেতে পারে। ক্যারেনের পােশাক খােলার দৃশ্যে হেফনার শিহরিত হত এবং ক্যারেন শিহরণ অনুভব করত যখন হেফনার তার সমস্ত শরীরে তেল মালিশ করে দিত। শরীর মর্দন ক্যারেনের খুবই পছন্দের একটা কর্মকাণ্ড। তার চামড়ার মসৃনতা ও চকচকে ভাব হেফনারকে ভয়ানক উত্তেজিত করে তুলত তার যােনি উপভােগ করার জন্য।……….
……….স্যান্ডস্টোন পরিদর্শনকালে সে তারই মতাে নারীবাদীর সাক্ষাৎ পায় যারা উত্তেজিত লিঙ্গ ও ক্লিটোরিচ ভালােবাসে। সে তার আন্দোলনের পক্ষে কাজ করার জন্য তার নিউ ইয়র্কের অ্যাপার্টমেন্টে নারীদের জন্য সেমিনারের আয়ােজন করে। সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক এই সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা কোনােরকম লজ্জা ছাড়াই নিজের ও অন্যের যৌনাঙ্গ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে উৎসাহিত হয়। অনেক নারী আয়না ব্যবহার করে নিজের যােনি পরীক্ষা করতে। তারপর এমনভাবে পা ছড়িয়ে বসে যেন অন্যেরাও তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। নারীরা খুবই বিস্মিত হয় যে তাদের যৌনাঙ্গের আকৃতি, বয়নবিন্যাস, প্যাটার্ন ও রঙের দিক থেকে অন্য নারীদের যৌনাঙ্গে তুলনায় কী পরিমাণ আলাদা। কোনাে কোনাে যােনির আকৃতি হার্টের মতাে, কোনটা ঝিনুকের মতাে, কোনটা মােরগের ঝুঁটির মতাে অথবা আর্কিডের মতাে এবং যখন যৌনকেশ ও যােনির ওপরের বাড়তি চামড়া সরানাে হয় তখনই আত্মপ্রকাশ করে ক্লিটোরিচ। বহু নারী জীবনে এই প্রথম দেখছে তাদের উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু এবং তারা বিস্মিত হয়েছে তাদের ক্লিটোরিচ আবিষ্কার করে যা একেক জনের একেক রকম—মুক্তার মতাে থেকে শুরু করে বুলেটের মতাে আকৃতি।………
……..নারীরাও শিক্ষাগ্রহণ করে যে এই ক্লিটোরিচের অবস্থানও একেক নারীর একেক রকম। এটা নির্ভর করে মূলত যােনির আকৃতির ওপর, এমনকি যােনির বাইরের ও ভেতরের ঠোটের রঙ পর্যন্ত। কারাে কারােটা ঘন বাদামি রঙের, কারাে কারােটা গােলাপি। ডডসনের পরামর্শ হল নারীদের উচিত শুধু তাদের যােনি দেখা নয়, তা স্পর্শ করা, ঘ্রাণ নেয়া, এমনকি স্বাদ গ্রহণ করা নিজের যােনির অথবা বন্ধুদেরকে দিয়ে এসব করিয়ে তাদের কাছ থেকে জেনে নেয়া। এটা হল কৈশােরের দমননীতি এবং বাইবেলের সনাতন প্রথাকে অতিক্রম করা যা তাদের শরীরের এসব জায়গাকে খারাপ, অপরিচ্ছন্ন, নােংরা ও অভিশপ্ত বলে চিহ্নিত করেছে।…….
……….বেটি ডডসনের অ্যাপার্টমেন্টের দেয়ালে ঝােলানাে রয়েছে নারীর বিভিন্ন যৌনাঙ্গের ড্রইং এবং সে তার গ্রুপের সদস্যদের নৈতিক উন্নতির জন্য দেয়ালে টাঙানাে পর্দার ওপর মাঝে মাঝেই প্রদর্শন করে নগ্ননারীদের রঙিন স্লাইড, যারা বিষন্ন নয়। এসব নগ্ন নারীরা প্রকাশ এবং প্রদর্শন সেই দৃষ্টিভঙ্গি, বেটি যাকে বলেছিল যােনির ইতিবাচকতা’। তার সেমিনারে অংশ কারী অধিকাংশ নারীই ছিল তার মতাে মধ্যবিত্ত, বিষমকামী অথবা মধ্য তিরিশ বা চল্লিশে পৌছানাে ডিভাের্সি উভকামী অথবা এখনও বিয়ে টিকে আছে। এসব নারীরা যখন নারীবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করে তখন তারা তাদের সক্রিয় বােনদের সঙ্গে অযৌন অথবা পুরুষবিরােধী প্রবণতাকে ভাগাভাগি করে না।………..
………আকর্ষণীয়া ও প্রচুর প্রাণশক্তির অধিকারী এবং কালাে চুলের ব্যায়ামপুষ্ট ছােটখাটো শরীরের বেটি ডডসন প্রায়ই নগ্ন হয়ে অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানাতেন। ডসনের জন্ম ১৯২৯ সালে কানসাসে এবং সে লালিপালিত হয় বিয়ে এবং বিয়ে-পরবর্তী আনুগত্য সম্পর্কিত ধারণার ভেতর দিয়ে। বয়ােসন্ধিকালে সে হস্তমৈথুন করতে শুরু করে তার অনাগত বিবাহ-উৎসবের প্রথম রাত্রির কথা কল্পনা করে। সে নিজেকে কল্পনা করত কনের বেশে চমকার পােশাক পরে আছে সে। বেডরুমের ভেতর একটা অস্পষ্ট ও আগন্তুক পুরুষ তার বিছানায় বসে আছে। যখন সে তার পুরাে পােশাক খুলে তার নগ্ন শরীরের সৌন্দর্য সেই অচেনা পুরুষকে দেখায় তখন সঙ্গে সঙ্গে সে রাগমােচনের অভিজ্ঞতা লাভ করে।……
…….হস্তমৈথুন করে নির্জনতার এই আনন্দ বয়ােসন্ধিকাল থেকেই উপভােগ করতে থাকে ডডসন। হস্তমৈথুন না করে সে থাকতে পারে না, এমনকি তার সন্দেহ হয় হস্তমৈথুনের অভ্যাসের কারণেই তার যােনির ঠোটের আকার বিকৃত হয়ে গেছে। একদিন সে সত্যি সত্যি এ সিদ্ধান্তে পৌছাল যখন সে তার মায়ের কাছ থেকে একটা বড় হাত-আয়না ধার করে এবং নিজের শােবার ঘরের দরজা বন্ধ করে জানালার সামনে পা ছড়িয়ে বসে নিজের যােনি পরীক্ষা করে। বিস্ময় ও ভয়ের অনুভূতি নিয়ে সে বুঝতে পারে যে, যােনির ভেতরের ঠোট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ক্ষুদ্র ভাজদুটি বাইরে বেরিয়ে এসে ঝুলছে। সুতরাং সে বুঝতে পারে যে হস্তমৈথুনের কারণে এ-ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সে প্রতিজ্ঞা করে সে আর হস্তমৈথুন করবে না। কিন্তু এই প্রতিজ্ঞা এক সপ্তাহের বেশি টেকে না । ফলে সে তার হস্তমৈথুনের কৌশলে কিছু পরিবর্তন আনে। দেখতে পায় তার বামদিকের যােনির ঠোট তার ডানদিকের ঠোটের চেয়ে ছােট। সুতরাং সে বামদিক থেকে যােনির ভেতরে আঙুল ঢােকানাে বন্ধ করে এবং আশা করে তার যােনির বাম দিকের ঠোট অল্প কিছুদিনের ভেতরেই স্বাভাবিক আকার ধারণ করবে। কিন্তু অবস্থার কোনাে পরিবর্তন হয় না। সে কানসাসে থাকাকালীন অবস্থায় সংবাদপত্রে আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করত। হস্ত মৈথুনের সময় সে আবার যােনিতে ডানদিক থেকে আঙুল ঢােকাতে শুরু করে। ১৯৫০ সালে নিউ ইয়র্কে চলে আসার পর সে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয় চিত্রকলার ছাত্রী হিসেবে এবং পরবর্তীকালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।…….
……পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে সে বিষমকামী যৌনমিলনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, এমনকি সে চিত্রকর হিসেবে তার পােশাকে অবহেলা করে স্বামীকে সন্তুষ্ট করার ও সার্বক্ষণিক গৃহবধূতে পরিণত হওয়ার জন্য। কিন্তু সে হস্তমৈথুনের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারে না। এটাই ছিল তার আনন্দের একমাত্র উৎস। যা হােক ১৯৬৫ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর, ডডসন মূলত পরিপূর্ণ আনন্দ উপভােগ করতে সক্ষম হয় তার পুরুষ প্রেমিকদের সঙ্গে যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭৪ সালে লিবারেটিং মাস্টারবেশন এ মেডিটেশন অব সেল্ফলাভ শিরােনামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় বেটি ডডসনের। এই গ্রন্থে একটি অধ্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে সে তার যােনির ঠোট সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়েছিল ?
‘বিবাহ বিচ্ছেদের পর যখন আমি পুনরায় প্রেম ও কামের জগতে প্রবেশ করলাম, তখন আমার দেখা হতে লাগল সুদর্শন আগন্তুকদের সঙ্গে। আমি তাদের সঙ্গে নৈশভােজে অংশগ্রহণ করতাম। মােমবাতির আলােয় ডিনার খেতে খেতে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়তাম এবং তারপর সেই পুরুষের সঙ্গে সেইসব করতাম যা করতে আমার ভালাে লাগত। আমি অন্য পুরুষের চোখে দেখতাম নিজেকে এবং আরও দেখতাম কীভাবে আমি যৌনকর্মের ভেতরে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছি।
আমার একজন প্রেমিক জুটেছিল যে ছিল নারীর যৌনাঙ্গের যথাযথ মূল্যায়নকারী । আমরা প্রথমদিন মুখমৈথুন করেছিলাম (আমি যে কোনাে কিছু করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতাম) এবং রাগমােচনের প্রচুর আনন্দ পাওয়ার পর সে আমাকে বলল, তােমার যােনিটা চমৎকার। আমাকে একটু ভালাে করে দেখতে দাও না। আমি প্রায় আর্তনাদ করে উঠি না না… একটা ভয়ের অনুভূতি আমার ভেতরে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং আমি তাকে বলি যে, যদি সে না দেখতে চায় তাহলেই আমি খুশি হব… সে জানতে চাইল কারণ কী, সব মেয়েই তার যােনি দেখাতে ভালােবাসে। আমি তখন তাকে আমার যােনির অদ্ভুত ঠোটের কথা বলি এবং আরও বলি বেড়ে যাওয়া চামড়াগুলাে ঝুলছে। আরও জানাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে বয়ােসন্ধিকালে হস্তমৈথুনের ফলেই এমন হয়েছে। আমি জানি আমার যােনি দেখতে মােটেও সুন্দর নয়, সে কারণে আমি চাই না কেউ আমার যােনি দেখুক। যে বলল, “তাই নাকি, তুমি কি জানাে অধিকাংশ নারীর যােনি এরকম? এটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং এ-ধরনের যােনি আমি খুবই পছন্দ করি।’ বলেই সে আমার যােনিতে চুমু খায় এবং ঝুলন্ত ঠোটটা মুখে নিয়ে সামান্য চোষে। তারপর সে আলমারির কাছে যায় এবং নারীর যােনির ক্লোজআপ ছবি সম্বলিত পত্রিকা এনে ডডসনের সামনে মেলে ধরে। থারটি সেকেন্ড স্ট্রিটের পর্ণোগ্রাফির দোকান ‘বিভার বুক’ এর একটি বই (বিভার হচ্ছে একটা গালি, যা নারীর যােনিকে বােঝায় এবং প্লিট বিভার’ শব্দদুটি ব্যবহার করা হয় যখন নারী তার যােনি ফাক করে ধরে)। ছবিগুলাে দেখে প্রথমে আমি ধাক্কা খেয়েছি কিন্তু আগ্রহ বেড়েছে। ঐসব মেয়েদের জন্য খুবই বেদনা অনুভব করলাম যারা শুধুমাত্র অর্থের জন্য আন্ডাওয়্যার, গার্টার বেল্ট, জালের তৈরি কালাে মােজা প্রভৃতি পরে নিজেদের শরীরের স্পর্শকাতর গােপন অঙ্গগুলাে দেখাচ্ছে। যা হােক তা সত্ত্বেও আমি ছবিগুলাে ভালাে করে দেখতে লাগলাম । বস্তুতপক্ষে ছবির মেয়েদের যােনি আর আমার যােনি দেখতে একইরকম। তখন আমরা দুজনেই একসঙ্গে অনেকগুলাে পত্রিকা দেখলাম। আমার ধারণা ছিল না অন্য নারীর যােনি দেখতে কেমন। এসব ছবি দেখে আমি দারুণ স্বস্তি পেলাম। আমার বারবার মনে হতে লাগল যে আমার যােনির ঠোট বিকৃত নয়; নয় হাস্যকর কোনােকিছু অথবা কুৎসিত…আমার যােনির ঠোট স্বাভাবিক ছিল এবং আমার প্রেমিক বলেছিল প্রকৃতঅর্থেই আমার যােনি সুন্দর ।………
……যৌন আস্থার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে ডডসনের ছবি ক্রমাগত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং ১৯৬৮ সাল—যে বছর নগ্নতা বেশিমাত্রায় প্রকাশিত হয় ভােগ পত্রিকায়, অগ্রসরমান নাটকগুলােতে, চলচ্চিত্রে এবং পরস্পরবিরােধী সংস্কৃতির ভেতরেও। সে মেডিসন এভিনিউতে অবস্থিত উইকারসহ্যাম গ্যালারিতে এক প্রদর্শনীর আয়ােজন করে। প্রায় দুই সপ্তাহ এই প্রদর্শনী চলে এবং আট হাজারেরও বেশি দর্শক, যারা বিমােহিত হয়ে এসব ছবি দেখে এবং লজ্জা মেশানাে প্রশংসা করে যৌনক্ষুধার এরকম সাহসী চিত্রায়নের। ছবিতে নগ্ন শরীরগুলাে পরস্পরকে স্পর্শ করছে, চুম্বন করছে এবং কোনাে কোনাে ছবিতে দেখা যাচ্ছে এরা যৌনমিলনে রত। এই প্রদর্শনী তাদের কাছে আবেদন সৃষ্টি করেছিল,……
…….একটা প্রদর্শনীর আয়ােজন করে। এই দ্বিতীয় প্রদর্শনী ছিল তার হৃদয় ও আবেগের কাছাকাছি। শৈল্পিকভাবে এটা ছিল অধিক প্রাসঙ্গিক এবং আপােষহীন। এখানে নির্জনতার কোনাে কর্মকাণ্ড নেই, নেই স্বাভাবিক পথ থেকে সরে আসার কোনাে বিষয়। তিরিশটা ছবির ভেতরে রয়েছে কিছু ড্রইং এবং কিছু তেলরঙে আঁকা ছবি— সবই নগ্নশরীর। নিজে নিজে যৌনক্ষুধা মেটাচ্ছে, মুখমৈথুনে পুরুষের অংশগ্রহণ, একজন কালাে পুরুষ নির্জনে তার উত্তেজিত লিঙ্গকে আদর করছে, ফর্সা দুই নারী খাড়া হয়ে ওঠা ক্লিটোরিচ আদর করছে একজন অন্যজনের ও একজন নারী একজন নগ্ন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গেছে যৌনমিলন উপভােগ করতে করতে শারীরিকভাবে কিন্তু মনের দিক থেকে নয়। কিছু কিছু মহিলা দর্শকের মুখের অভিব্যক্তি থেকে বােঝা যায় তারা আবেগমুক্ত; কাউকে মনে হয় যন্ত্রণাবিদ্ধ এবং কেউ ক্রোধে উন্মত্ত।……….
……..অনেক নারী ডডসনের কাছে স্বীকারােক্তি করেছে বিবাহিত জীবনে কদাচিৎ তারা রাগমােচনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তারা অবশ্য আরও স্বীকার করে যে তারা হস্ত মৈথুন করতে খুবই লজ্জা পায় অথবা তারা ভয় পায় হস্তমৈথুনকালে যদি ভাইব্রেটর ব্যবহার করে তাহলে তারা এতে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে। কিছু কিছু পুরুষ মেয়েদের হস্তমৈথুনের ছবিগুলাে পরীক্ষা করে দেখে। কিছু কিছু পুরুষ বৈরিভাবাপন্ন মন্তব্যও করে থাকে, বিশেষ করে তারা উডসনের আঁকা ছয় ফুট দীর্ঘ। ছবিতে স্বর্ণকেশী এক নারীকে চিৎ হয়ে শুয়ে দুই চোখ বন্ধ করে ভাইব্রেটর দিয়ে নিজের যােনি মৈথুন করার দৃশ্য উপভােগের পর। এই ছবি দেখে এক লােক বলে, ‘এটা যদি আমার মেয়েমানুষ হত তাহলে সে কখনও এসব করতে পারত না।’………
……….বেটি ডডসনের অ্যাপার্টমেন্টের যৌন সমাবেশে প্রায়ই স্বামী ও পুরুষ বন্ধুদেরকে নিমন্ত্রণ জানানাে হত এবং এখানে সংঘটিত কর্মকাণ্ডের ভেতরে ছিল যােগব্যায়াম থেকে শুরু করে দলীয় যৌনমিলন। এসব নারী ছিল যৌনমিলনের জন্য পুরােপুরি সক্ষম। ডডসনের ভাষায়, ‘যৌনমিলন উপভােগের জন্য তারা ক্রমাগত দৌড়াচ্ছে। ডডসনের নারীরা তার সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নতি করছে। তাদের আস্থা বাড়ছে এবং আরও বাড়ছে যৌন উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে সক্ষমতা। তারা এখন তাদের পুরুষ সঙ্গীকে বলে, তারা কীভাবে পুরুষের স্পর্শ চায়, কী পরিমাণ চাপাচাপি করলে তারা তা উপভােগ করে, কোন আসন কার ভালাে লাগে, পুরুষের মুখের সামনে যৌনি এনে পা ফাক করে দাঁড়াতে কে ভালােবাসে প্রভৃতি। তারা এখন ক্রমাগত আবিষ্কার করছে সেই পদ্ধতি যা পুরুষ পছন্দ করে। যােনির ইতিবাচকতাসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি যা সম্পর্কে ডডসনের বহু মেয়েবন্ধুর ধারণা হল, এই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের যৌনজীবনের আনন্দ বৃদ্ধি করে না কিন্তু তাদের আত্ম-মূল্যায়নের উপলব্ধিকে বাড়িয়ে দেয়। এক নারীর ধারণা ছিল তার যৌনাঙ্গ বিকৃত এবং কুৎসিত, ডডসন বহু বছর আগে যেরকম মনে করত। ডডসন তাকে পরদিন নিজের অফিসে এনে তাকে পূর্ণাঙ্গ বয়সী নারীর যােনির স্লাইড দেখায় এবং তাকে পুনরায় নিশ্চিত করে যে তার যােনি বিকৃতও নয় কুৎসিতও নয়, বরং খুবই আকর্ষণীয়। তখন সেই নারী দুশ্চিন্তামুক্ত হয়।………..
……..স্যান্ডস্টোনের সদস্যদের ভেতরে ডডসনের অনেক চেনামুখ ও শরীর ছিল যাদেরকে। সে তার নিউ ইয়র্কের অ্যাপার্টমেন্টে দেখেছে এবং এদের ভেতরে তার অন্তরঙ্গ বন্ধু ও নারীবাদী বােনেরাও রয়েছে। আরও রয়েছে নৃতাত্ত্বিক শ্যালি বিনফোর্ড। তারপরও ডডসন স্যান্ডস্টোনে নতুন বন্ধু তৈরি করে। স্যান্ডস্টোনে একনাগাড়ে অনেকগুলাে দিন ও রাত্রি কাটানাের সময় আকর্ষণীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়। ধূসর চুলের এক ইংরেজ ভদ্রলােক। প্রথম সে তাকে এক রাতে নিচতলার বলরুমে দেখতে পায়। সেসময় ডডসন নগ্ন হয়ে কার্পেটের ওপর শুয়েছিল এবং তার সঙ্গে ছিল দুজন নগ্ন পুরুষ এবং তারা তিনজনই পরস্পরকে ম্যাসেজ করছিল। সে খুবই আনন্দের মধ্যে ছিল তখন, কারণ দুই হাতে সে ম্যাসেজ করছিল দুই পুরুষের লিঙ্গ দুটি। এমন সময় সে লক্ষ করে রুমের অন্যপ্রান্তে বসে থাকা একটা লােক স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। লােকটাকে তার কিছুটা নির্জজ্জও মনে হল, কারণ লােকটি যে তাকে দেখছে এটা সে জেনে ফেলেছে এবং সে তাকিয়ে আছে লােকটার দিকে। তারপরও লােকটা চোখ সরাচ্ছে না। অবশেষে সে ইশারায় লােকটাকে ডাকে এবং তাদের সঙ্গে যােগ দিতে অনুরােধ জানায়। লােকটা নির্দ্বিধায় তাদের সঙ্গে যােগ দেয়। লােকটা এসে তার পাশে বসে এবং তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় অভ্যর্থনা জানাতে এবং তারপর সে তার হাত ধরে টেনে এনে তা স্থাপন করে নিজের দুই পায়ের মাঝখানে অর্থাৎ যােনির উপর। লােকটা তার হাতের আঙুল ডডসনের যােনিতে ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে। এটাই ছিল ঐ ভদ্রলােক সম্পর্কে বেটি ডডসনের ভূমিকা, যে লােকটি পরবর্তীকালে সফল লেখক ও আমেরিকার যৌন পর্যবেক্ষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল । লােকটার নাম ডাঃ অ্যালেক্স কমফোর্ট।………
………ম্যানেজার ট্যালেসিকে ইশারায় ডাকল। ট্যালেসি উঠে দাঁড়াল এবং দেখতে পেল হলরুমের দিকে যাওয়ার রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে এক স্বর্ণকেশী যার মুখে অনেকগুলাে তিল। ছবিতে দেখা জুনের সঙ্গে মেয়েটির মুখমণ্ডলের মিল রয়েছে। যা হােক সেছিল খুবই আকর্ষণীয়া। একবার তার মনে হয় এই মেয়েটিই জুন, আবার মনে হয় না, এটা অন্য মেয়ে । বৈঁচি ফলের মতাে নীলচে কালাে চোখ মেয়েটির। গােলাপি রঙের একটা ছােট স্কার্ট পরেছে। তার ওপরে একটা হলুদ টি-শার্ট এবং পায়ে স্যান্ডেল। মেয়েটা তাকে সঙ্গে করে নিচের হলরুমে নিয়ে যায়। তারপর নিয়ে যায় ৫ নম্বর কক্ষে। সে তার হাতে বহন করে একটা চাদর। তার কথায় দক্ষিণাঞ্চলের সুর পরিষ্কার বুঝতে পারে ট্যালেসি।
মেয়েটি বলে, সে আলাবামা থেকে এসেছে। এই প্রদেশেই ট্যালেসি কলেজে লেখাপড়া করেছে এবং এই অল্প সময়ের ভেতরেই সে আলাবামা সম্পর্কে অনেক কথা বলে। মেয়েটা অধৈর্য হয়ে পড়ে। কারণ এটা হচ্ছে ব্যবসার জন্য নির্ধারিত সময়। মেয়েটা আবার তাকে তা মনে করিয়ে দেয়। সময় গড়িয়ে যেতে থাকে এবং মেয়েটা ট্যালেসিকে পরামর্শ দেয় তার পােশাক খুলে ফেলতে এবং টেবিলের ওপর শুয়ে পড়তে, যেখানে সে ইতিমধ্যেই তার হাতের চাদরটা বিছিয়ে দিয়েছে। ট্যালেসি তার নির্দেশ পালন করার পর সে নিজে নগ্ন হতে শুরু করল । পােশাকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল তার সুগঠিত শরীর যা দেখে ট্যালেসি খুবই উত্তেজনা অনুভব করল।
মেয়েটা এবার এগিয়ে এল টেবিলের কাছাকাছি এবং জিজ্ঞাসা করল, ‘তেল না পাউডার?
ট্যালেসি হঠাৎ করেই রুমের চারদিকে তাকাল এবং জিজ্ঞাসা করল, এখানে কি গােসলের ব্যবস্থা আছে?’
মেয়েটি জানাল, না।’ ‘তাহলে পাউডার দিয়েই ম্যাসেজ করাে।
মেয়েটা এবার জনসন বেবি পাউডারের একটা বােতলের দিকে হাত বাড়াল এবং দ্রুত ট্যালেসি অনুভব করল মেয়েটির হাতের আঙুলের স্পর্শ তার কাঁধে ও বুকে। তারপর মেয়েটির হাত নেমে এল তার পেটে এবং তারপর ঊরুতে। যখন সে ট্যালেসির শরীরের ওপর ঝুঁকে আসে তখন তার বাহু ও স্তন নড়াচড়া করতে থাকে। তার দুই হাত পাউডারে মাখামাখি। ট্যালেসি মেয়েটার পারফিউমের গন্ধও পায়। সে আরও অনুভব করে যুবতীর ঘেমে যাওয়া করতল। তার লিঙ্গ খাড়া হতে থাকে। মেয়েটাও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে তার উত্তেজিত লিঙ্গের দিকে। ট্যালেসি চোখ বন্ধ করে শুনতে পায় পাশের রুমের খদ্দেরের দীর্ঘশ্বাস, লেক্সিংটন এভিনিউ এর গাড়ির শব্দ, রাস্তার কোলাহল, বাসের আসাযাওয়া, এবং কাউন্টারে খদ্দেরের দর কষাকষি…
মেয়েটি এবার জিজ্ঞাসা করে, তুমি কি বিশেষ কোনােকিছু চাও? ট্যালেসি চোখ খােলে। দেখে মেয়েটি মনােযােগ দিয়ে তার লিঙ্গ দেখছে। ‘আমি কি তােমার যােনি উপভােগ করতে পারি? ট্যালেসি জানতে চায়।
মেয়েটা মাথা নাড়ে। ‘আমি এসময় কখনও তা করি না। আমি কেবলই হাত দিয়ে পুরুষের লিঙ্গকে চটকাচটকি করে সুখ দিই।’ মেয়েটা বলে।
“কেবলই হাত দিয়ে নাড়াচাড়া? না, কেবলই হাতের কাজ। মেয়েটা ব্যাখ্যা করে । ‘ঠিক আছে, তাহলে হাতের কাজই করাে।’ তাহলে অতিরিক্ত পয়সা দিতে হবে।’ অতিরিক্ত কত? পনেরাে ডলার।’ ট্যালেসি ভাবে এটা খুবই বেশি। কিন্তু এরকম উত্তেজিত অবস্থায় তার দর কষাকষি করতে ইচ্ছা হল না। সে মাথা নেড়ে সায় দিল এবং ঔৎসুক্যের সঙ্গে লক্ষ করল মেয়েটা উডার দিয়ে কীভাবে তার লিঙ্গে হস্তমৈথুন করছে। একসময় তার বীর্য বেরিয়ে যায়। ময়েটা টয়লেট পেপার দিয়ে তার লিঙ্গ পরিষ্কার করে দেয়।………..
……….কিছু নারী আছে যারা পুরুষের খাড়া হয়ে ওঠা লিঙ্গ দেখলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে আর গড়পড়তা বিষমকামী নারীরা যৌনমিলন উপভােগ করে না যদি পুরুষটির সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় না থাকে, অথবা তার প্রতি যদি কোনাে আগ্রহ না জন্মায় । যদি এটা হয় শুধুই একটা রাগমােচনের ঘটনা যা সে অনুসন্ধান করছে তাহলে সে বেডরুমের ভেতরেই একটা লিঙ্গসদৃশ্য ভাইব্রেটর দিয়ে হস্তমৈথুন করাকে পছন্দ করতে পারে। বিয়ে সংক্রান্ত ও বিয়ে পরবর্তী সমস্যায় পরামর্শ দেয় এরকম এক ব্যক্তি একবার ট্যালেসিকে বলেছিল, এটা খুবই স্বাভাবিক যে, কোনাে নারী লিঙ্গসদৃশ কোনাে যন্ত্র সাধারণত তার যােনিতে ঢােকাতে চায় না। কারণ জিনিসটা তার অচেনা। এছাড়াও অচেনা লােকের লিঙ্গ একজন নারীর কাছে একটি বিদেশী যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। এমনকি যন্ত্র না ভেবে লিঙ্গ ভাবলেও তা একটা অচেনা জিনিস তার কাছে এবং সে এটা তার যােনির ভেতরে নিতে চায় না। আর যদি জোর করে ঢােকানাে হয় তাহলে সে মনে করে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু যদি তা অপরিচিত কারাে লিঙ্গ না হয়, এটা যদি হয় তার পরিচিত কোনাে ব্যক্তির শরীরের অংশ যাকে সে বিশ্বাস করে, আকাক্ষা পােষণ করে তার সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরির, সেক্ষেত্রে সে এই লিঙ্গ যােনিতে ঢুকিয়ে নিতে পারে, তাকে আলিঙ্গন করতে পারে এবং গাইতে পারে যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ ও যােনির যৌথ সংগীত।…..
…….নারী যখন বয়ােসন্ধিকালে পৌছায় তখন সে প্রায়ই অসচেতনভাবে পুরুষকে উত্তেজিত করে তােলে তারা আঁটোসাঁটো সােয়েটার পরে, ঠোট রঙ করে, পারফিউম দিয়ে শরীর সুরভিত করে, তারা তাদের পাছা দোলায় এবং যখন তারা পুরুষকে তাদের জন্য ক্ষুধার্ত করে তােলে তখন তারা হঠাৎ করে লাজুক হয়ে ওঠে। পুরুষ তা-ই চায় যা নারীর দেয়ার আছে। পুরুষের চরিত্রে মেনে নেয়ার প্রবণতা আছে, কিন্তু নারী প্রথমেই মেনে নেয় না।……
………একসপ্তাহ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের সঙ্গে কাটিয়েছিল। এই দলের পরিচালকসহ কয়েকজন সদস্য ডিপ থ্রট ও দ্য ডেভিল ইন মিস জোনস ছবি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ছবিদুটি তৈরি হয়েছিল পেনসিলভানিয়ায়। এসময় আরও একটি পর্ণোচলচ্চিত্র তৈরি হয়েছিল, শিরােনাম মেমােরিজ উইদিন মিস এগি। এই ছবিটা ডিপ থ্রট ও মিস জোনস-এর চেয়ে ব্যবসায়িকভাবে ছিল কম লাভজনক। তবে এই ছবির সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল এর কাহিনী, এর দলীয় যৌনমিলনের দৃশ্য, অসংখ্য লিঙ্গের বীর্যপাতের দৃশ্য ও নায়িকার আগ্রাসী যৌন আচরণ প্রভৃতি। ট্যালেসি সন্দেহ করে যে এগুলাে হল সেইসব দৃশ্য যেখানে প্রাণবন্ত নারীরা পুরুষদেরকে তাদের বিছানায় আমন্ত্রণ জানায় এবং নির্লজ্জের মতাে বিছানায় আবির্ভূত হয় যৌনকর্ম করতে, যা কিনা মধ্যবিত্ত পুরুষ খরিদ্দারদের ফ্যান্টাসিকে পূর্ণ করে তােলে।……….
………এসময় একদিন বিকেলবেলা তার গেস্ট হাউসের দরজা খুলে গেল এবং কোনােরকম শব্দ করা ছাড়াই হাসিমুখে ঘরে প্রবেশ করল উইলিয়ামসনের ন্যাংটা স্ত্রী বারবারা উইলিয়ামসন। কোমলভাবে হাত রাখল ট্যালেসির কাঁধে, তখন সে টাইপরাইটারের পেছনে বসে কাজ করছিল। বারবারা তার পিঠ ও ঘাড় ক্রমাগত ম্যাসেজ করতে থাকে কোনােরকম কথাবার্তা ছাড়াই এবং ট্যালেসির দিক থেকে কোনােরকম বাধা ছাড়াই বারাবারা তাকে বিছানায় নিয়ে যায় এবং তারা অগ্রসর হয় যৌনমিলনের দিকে। | এই প্রথম ট্যালেসি একজন নারীর সঙ্গে যৌনমিলনকালে আগ্রাসী আচরণের শিকার হয়। তার কোনাে সন্দেহ নেই যে এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তার শরীর সাড়া দিয়েছিল। যৌনমিলন সম্পন্ন করার পর বারবারা তার সঙ্গে খােলামেলাভাবে কথা বলতে শুরু করে। বলতে গেলে স্যান্ডস্টোনে আসার পর এই প্রথম।………..