…….সকলের দৃষ্টি গিয়ে পড়েছে খাটিয়ার এক পাশে ওই সজনের গায়ে পোঁতা মশালটার শিখার মতোই শুকালুর বিধবা বহুড়ি কুনতির উপর। আগুনের শিখাই বটে। মশালের আলোয় তার সারা দেহ আগুনের মতো জ্বলছে। শান্ত চোখের মণি দুটো শুন্যে স্থির নিবদ্ধ। দোলায়িত শিখার আলোকে কপালের টিপটা জ্বলছে দপদপ করে, ঠোঁট দুটো টেপা, বিদ্রূপের ভঙ্গিতে বাঁকা। উদ্ধত যৌবনের গরিমায় বলিষ্ঠ বুক মশালের আলো-আঁধারিতে যেন এক বিচিত্র উদ্দামতার রূপ নিয়েছে। কোলের ছেলেটা তার বারবারই বুকের কাপড়টা খুলে ফেলে স্তন মুখে পুরে দেওয়া চেষ্টা করছে। না, অবুঝ স্তন্যপায়ী ছেলেটা মানুকানা। মায়ের বুক ঢাকার গোপন লজ্জা তো সে জানে না! কুনতির ছ বছরের আর চার বছরের মেয়েটাও দু-পাশ থেকে ঘিরে বসেছে মাকে।……….
……..ধনিয়া তখন কুনতির চুলের মুঠি ধরে মাটিতে লুটোপুটি করছিল, আর কি শরম কি বাত! মাদীন এসে দেখল ধনিয়া লড়তে গিয়ে পা দুটো ঠেস মারার জায়গা না পেয়ে এমনভাবে শূন্যে পা ছুড়ছে যে পুরুষরা তো দুরের কথা ঝি বহুড়িরা লজ্জায় মুখ ফেরাবার চেষ্টা করছে।…….
…….ভিড়টা কেটে গেল প্রায়। কুনতি গায়ের ধুলো ঝেড়ে ওইখানে বসেই কোলের ছেলেটাকে স্তন পান করাচ্ছে। কিন্তু ছেলেটা বার বার স্তন থেকে মুখ তুলে মায়ের ঠোঁটের রক্তাক্ত ক্ষতটা নিরীক্ষণ করছে আর শিশুমনের কৌতূহলেই বোধ হয় তার ছোট আঙুলের ডগায় ক্ষত থেকে রক্তের ফোঁটা নিয়ে নিজের ঠোঁটের পাশে ঘষে দিচ্ছে। মেয়ে দুটো গালে চোখের জলের শুকনো দাগ নিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।
রাগে না ক্লান্তিতে বোঝা যায় না, কুনতির বুকটা তখনও ফুলে উঠছে। কাপড় ঢেকে ছেলেটাকে স্তন খাওয়াতে চাইলেও তার সুগঠিত বুক আনমনা অবহেলায় খানিক উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। কেঁপে কেঁপে উঠছে তার ঠোঁটের পাশের নিয়ত রহস্যময় বঙ্কিম রেখাটি। ………