……কাশ্মীরী চাদরের বিছানায়, মেহগিনির পালংকে অনেক আদর শেষে পীতাম্বর প্রশংসার সুরেই বলেছিলাে-কি ওষুধ-টষুধ খাচ্ছিস বলতাে!
-কিসের ওষুধ আবার! । রত্নাবাঈ নেশার সুরে জড়ানােগলায় বলেছিলো।
না, মানে, মেগে মেগে বয়েস তো তাের কম হলাে না। তবুও গতরটা এমন ‘ফাস্-ক্লাস রেখেছিস কি করে ? বুক দুটো দশ-পনের বছর আগে যেমন ছিল, তেমনিই আছে। এখনও এত টাইট।
–হ্যা গাে, সেই তাে বাহাদুরী–হি হি–
—কিন্তু ওযুধটা কি ?
ওষুধ-টষুধ নেই- ব্যায়াম করতে হয়গাে, ব্যায়াম। মাস্টার রেখেছি। মা হলুম না, বুকে দুধ আসেনি। ব্যায়ামের মাস্টারমশাই বললেন—দুবেলা একছারছাইজ কর-ঠিক থাকবে
—কি করতে বললে? ও, এসারসাইজ।
-হ্যা, ওই হলাে ব্যায়াম দেখবে একবার ? সাধুখা উৎসুক হলেও ক্লান্ত। এখন থাক। পরে দেখব।
রত্নাবাঈ ফিসফিস করলাে-তাছাড়া শেষ কোন মরদ বুকে হাত দিয়েছিলো মনে নেই। কিন্তু যখন জোয়ান ছিলুম, তখন রাক্ষসগুলােকে বুকে হাত দিতে দিতুম না। …..
……..রত্নাবাঈ দোল খেতে খেতে কোমর নাচায়। তার ফর্সা কোমরে মেকি সােনার চেনটা ঝলসে ওঠে। কাপড় সরে গিয়ে সুগভীর নাভি দৃশ্যমান। ঘাগড়ার বাধন নাভির অনেক নিচে। আগের মতােন চোখের দৃষ্টি থাকলে সাধুখাঁ রত্নাবাঈ-এর নাভির নিচের সরু পিঁপড়ের সারির মতাে লােমের রেখা দেখতে পেত।……..
…….রত্নাবাঈ এর সরু কোমর। সিফনের আড়ালে সুন্দর নাভি দেখা যাচ্ছে। তার তিন ইন্ঞি নিচে শাড়ির বাঁধন। কোমল কড়ির মতাে নাভি। এবার নাভির ওপরে কাপড় সরে যায়, কয়েক সেকেও পরে ফিরে আসে। রত্নাবাঈ বলেছে, সে সােজাসুজি কথা বলে।……..
…..ডনের গলা ছেড়ে দিয়ে সরে যায় রত্নাবাঈ। পরক্ষণেই বুকের আঁচল ফেলে একেবারে ডনের কোলের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। কাঁচুলিমার্কা ব্লাউজে উদ্ধত স্তন ফেটে পড়ছে। স্তনবৃন্ত যেন ডনের চিবুক স্পর্শ করতে চাইছে। রত্নাবাঈ-এর মাথার পিছন দিকে ডনের কঠোর পৌরুষ দৃঢ়ভাবে সাড়া দেয়।…..
……..একদম কাছে এসে রত্নাবাঈ-এর কাঁচুলির ছেড়া অংশটা ধরে টান মারে সাধুখা। ব্রা-কাটের কাঁচুলি, সুতরাং আর কোনাে বক্ষোবাস থাকার কথা নয়। তাই চোলি কা পিছে ক্যা হ্যায়, তাও অজানা থাকার কথা নয়। হ্যাচকা টানে কাঁচুলি এখন মেঝেতে লুটোয়, যেখানে সিফন শাড়ির আঁচল আগেই লুটিয়ে পড়েছিল। অন্ধকারেও ঝকঝক করে ওঠে রত্নাবাঈ-এর দুই উদ্ধত স্তন। শ্বেতপাথরের গ্লোবের গায়ে গােলাপী চুমকির মতাে মাঝারি সাইজের বোঁটা দুটো আধ-ইঞ্চি গজালের মতাে ঠিকরে পড়ছে।
হিংস্র সাধুখাকে এবার পুরনাে বিদ্যেয় বশ মানানাের শেষ চেষ্টা করে রত্নাবাঈ। দুই বাহু শূন্যে তুলে আরও উদ্ধত করে স্তনদ্বয়ের আমন্ত্রণ। কতবার এই যুগল অস্ত্রে কত রথী-মহারথীকে বধ করছে রত্নাবাঈ। তার বুক নিয়ে খেলা করতে এসে কুপােকাৎ হয়েছে কত বীরপুরুষ। রত্নাবাঈ এর শায়ার দড়িতে টান মারার আগেই তারা স্বহস্তে পুরুষাঙ্গ চেপে লজ্জিত মুখে বাথরুমে দৌড়েছে। আর খিল খিল করে হেসে বিদ্রুপ করেছে রত্নাবাঈকেয়া হুয়া মেরা মাশুক । এতনা জলদি আপনা কাপড়া খারাপ হাে। গিয়া! হাঃ হাঃ, কেইসা মরদ হাে!
আজ সেই বুকের অস্ত্র নিয়েই নিজেকে সাপিনী বানাতে চায় রত্নাবাঈ। সাধুখাঁ যদি ময়াল হয়, তাহলে রত্না ময়ালনি। দীর্ঘাঙ্গী রত্না, প্রয়ােজনে সেও সাধুখাঁকে গিলে খেতে পারবে না কেন। গােটা সাধুখাকে না গিলে তার অঙ্গবিশেষ গিললেও চলবে।
তাই সাধুখাঁ কাছে আসতেই তৈরি হয় রত্না। ভেবে নেয়, ঠিক সময় নিচু হয়ে বসে ধুতির অন্তরাল থেকে অর্ধশিথিল সাধু অঙ্গ—যাকে মুনিঋষির দল ‘সাধনদণ্ড’ বলে শাস্ত্রে তার নানা গুণ ও কর্তব্যের কীর্তন করে গেছেন, তাকে পলকে গ্রাস করতে হবে। দুই অণ্ডকোষ হাতের মুঠোয় নিয়ে এমনভাবে ধরতে হবে যাতে প্রয়ােজনে দুকাজই করা যায়। প্রথম কাজ, সাধুখাঁ পুলকে কাহিল হবে, আবার সে রত্নাবাঈ-এর পদযুগল বক্ষে ধারণের আকুতি জানাবে, কারণ রত্নার আঙুল তখন যাদু ছড়াবে সাধুখার শক্তির উৎস ভাণ্ডারে। আর যদি তাতেও ময়াল সাপ হিস হিস করে তাকে গিলে খেতে চায়, তাহলে দুই হাতের মুঠোর মধ্যে অণ্ডকোষকে প্রবলভাবে পিষে ছিড়ে টুকরাে করে নিয়ে একেবারে খাসি বানিয়ে ছেড়ে দেবে ময়ালকে। জন্মের মতাে খােজা বনে যাবে পীতাম্বর সাধুখাঁ ! এই কৌশল জানে রত্না। প্রথম যৌবনে এমন এক কাণ্ড করেছিল তার বেশ্যা বান্ধবী জাহিদ। এক অত্যাচারী পাঠানকে, যে প্রতিদিন সঙ্গমের আগে জাহিদাকে এক প্রস্থ ধােলাই দিত । কালশিটে ফেলে দিত সর্বাঙ্গে। অবশেষে ক্ষিপ্ত জাহিদা একদিন পাঠানের দুই অণ্ডকোষ ধারালাে নখ দিয়ে ছিড়ে ফেলেছিল। পাঠানের রক্তে পাষাণ ভেসে গিয়েছিল। সে এক বিশাল কেলেঙ্কারী!
তাই তেমন হলে তেমন কাজ! দেখা যাক! আপাততঃ আধবোজা চোখে দুই স্তনে দোল খাওয়াতে থাকে রত্নাবাঈ।
হা, মনে হচ্ছে, কাজ হবে। একটি বুকের ওপর সাধুখাঁর কঠোর হাত। নিষ্পেষণের আক্রোশে কাঁপছে, আরেকটি বুকে সাধুখাঁর পুরু মােটা মহিষাসুর মার্কা ঠোট জোড়া নেমে এসেছে। চুষতে চুষতে কামড়ে ধরছে বুকের বোটা। এই কামড়ও উত্তেজিত পুরুষের কামতাড়িত আক্রমণ বলেই মনে হয়। ধারালাে কামড়, যন্ত্রণা হচ্ছে। ঠিকই, আবার ভালাে লাগছে। রত্নাবাঈ তাহলে এই যাত্রা জিতে গেল।
আরেকটা হাত কোথায়। সাধুখার ডান হাত ? ভালাে করে চোখ খােলা যাবে না। এখন। কামনাবিকারের অভিনয় চালাতে হলে চোখ বুজে রাখতে হবে। সমস্ত লােমকুপ সতর্ক হয়ে আছে কোথায়, কোন অঙ্গে আসবে ডান হাত।। | হঁ্যা, অনুমান ভুল নয়। নাভির নিচে শাড়ি বাঁধনে সেই হাতের সামান্য স্পর্শ। শাড়ি ও ছায়া দুই-ই খসে পড়ে। সাধুখাঁর জানা আছে, কোন সুতােটায় টান দিলে ঘুড়ি উড়বে। সুতরাং শ্বেতপাথরের গায়ে এখন মর্মরমূর্তির মতাে রত্নাবাঈ সাধুখাঁর হারেমের বন্দিনী।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কি সম্ভব হতে পারে? অন্ততঃ এই বয়েসে সাধুখার পক্ষে দণ্ডায়মান মিলন অসম্ভব। তাই অবশ্যই আবার সেই সুবৃহৎ সােফায় শয্যা গ্রহণের মিনতি আসবে। রাগ-অভিমানের সঠিক অভিনয়ের পর রত্নাবাঈ শয্যাগ্রহণ করবে। শিথিল পুরুষাঙ্গ যতটুকু দৃঢ় হয় ততটুকু, নিয়েই নিজের গােপনাঙ্গের দ্বারদেশে। ধরে নিদারুণ তৃপ্তির ছটফটে অভিনয় করে বলতে হবে-আঃ, তুমি কি গাে, এই বয়েসেও যে দৈত্য হয়ে আছি! এ চরম মিথ্যা! কিন্তু বুদ্ধিমান সাধুখা এক্ষেত্রে চরম নির্বোধ বনে যাবে। বলবে— কেমন লাগছে ? তখন রত্নাবাঈ আর ও নির্লজ্জ হবে। সােনাগাছির পঞ্চাশ টাকা রেটের রেণ্ডিগুলাের ভাষায় খিলখিল করে হেসে বলবে— কেমন আবার! আমার গুষ্টির ষষ্ঠীপূজো করে ছেড়ে দিচ্ছ যে!
ব্যস, সাধুখা খতম । আনন্দে নিঃশেষ হয়ে পাশে ঢলে পড়বে। তখন মুখের মধ্যে মদের বােতল থেকে মাল ঢেলে ঢেলে নরকের কীট এই যমের অরুচিটাকে ঘুম পাড়িয়ে, ওর টাকে গোঁজা টাকার থলিটায় যা আছে নিয়ে, চুপিসারে পালাতে হবে। শয়তান ছােকরাটা হার ছিনতাই করেছে। তিন ভরির হার! তাই ব্যাগে যা আছে— দরকার হলে পুরাে থলিটাই—…….
……..‘ব্যান্ডিট কুইন’ ছবিটা ক্যাসেটে দেখেছিলেন সাধুখা। দুটো সিন খুব ভালাে লেগেছিল। সেই হােকা মােটা ডাকাত টা যখন ফুলনকে (অর্থাৎ সেই চরিত্রের অভিনেত্রীকে এক বাঙালী মহিলা খুব সম্ভব) চিৎ করে ফেলে স্পষ্ট দিবালােকে তার উপর চড়ে বসে দাপাদাপি করছিল, প্যান্টটা পাছার নিচে নামানাে ছিল এবং সেই অবস্থায় আরেক জনের গুলি তার পিঠ ফুটো করে দিল।………আরেকটা দৃশ্য ঃ যেখানে গ্রামের মণ্ডলের অধীশ্বর ফুলনকে ন্যাংটো করে চুলের মুঠি ধরে সকলের সামনে প্যারেড করাচ্ছে। চুল দিয়ে ফুলনের মুখ ফাকা, কি গােপনাঙ্গের অনেকটাই দৃশ্যমান। আকর্ষণীয় চেহারা মােটেই নয়, তবু মেয়ের শরীর তো……
……পরিকল্পনাটি অভিনব। দুজন গুণ্ডাসমেত উপপত্নীকে সেদিন নিজের ঘরে নিয়ে আসে স্বামী। গুণ্ডা দুটির কাজ ছিল শুধুমাত্র রতনমণিকে শােবার ঘরে একটি চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা। তার পর তারা চলে যায়। অতঃপর চোখের সামনে খাটের ওপর তার বেশ্যা প্রেমিকাকে নিয়ে আলাে জ্বেলে যৌনকামনা চরিতার্থ করে স্বামী, যাতে স্ত্রী সবকিছু দেখতে পায়। কতক্ষণ স্ত্রী চোখ বুজে থাকবে। ফলে কলিযুগের এক অদ্ভুত নিপীড়নের বলি হয়েছিল রতনমণি | সচক্ষে তাকে দেখতে হয়েছিল স্বামীর ও তার বেশ্যা উপপত্নীর কাণ্ড! সঙ্গে সঙ্গে শুনতে হয়েছিল স্বামীর অশ্লীল উক্তিগুলাে ? উঃ, আমার বৌটার চেয়ে তুমি হাজার গুণ মিষ্টি, যেন মধু-মধু! আঃ, তােমার বুক জোড়া এমন! পাছা জোড়া তেমন! তােমার প্রতি অঙ্গের জন্য আমার প্রতি অঙ্গ নবানে-আহ
এর সঙ্গে চলতে থাকে হি হি হাসি, রসিকতা আর মজা দেখা। বৌকে সামনে বসিয়ে বেশ্যাকে নিয়ে স্বামীর উলংগ দেহসঙ্গম, সত্যি একটা কীর্তি বটে । পত্নীকে টাইট দিয়ে উপপত্নীকে (?) সম্মানিত করার জন্য এর চেয়ে সুন্দর পথ আর কি হতে পারে?
লজ্জায়, অপমানে একবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল রতনমণি । কিন্তু না, তাতে লাভ কি! মরতে যদি হয়, তবে একটা উপযুক্ত বদলা নিয়ে মরাই ভালাে।……
……চেয়ারে বসা লম্পট স্বামী, পিছমােড়া করে দুহাত বাঁধা। চোখও বাঁধা ছিল, এবার চোখের বাধন খুলে নেওয়া হয়।
এবং, হারিকেনের আলাের সামনে খাটে বসা লালপাড় সাদা-শাড়ি পরা তার বিয়ে করা বৌ রতনমণিকে দেখে চমকে ওঠে লম্পট স্বামী। নিজের চোখকে বিশ্বাস হয় না। স্বপ্ন দেখছে না তাে! চোখ বুজে, মাথা ঝাকিয়ে আবার তাকায়। | একি! এত গয়না আর ফুলের সাজে কে বসে আছে এখানে? একি তার বৌ? এত সুন্দরী! আজ সিথির সিঁদুর বেশি সপষ্ট, চওড়া, লাল টকটক——-আধা অন্ধকারেও জুলজুল। মুখে মিষ্টি হাসি, ঠোটে রং, চোখে কাজল। গায়ে শুধু বডিস, লালরঙের ছােট জামা। সাদা শাড়িটা অবশ্য ফিনফিনে পাতলা, তলায় ছায়া নেই। সেটা এই অল্প আলােতেও বােঝা যাচ্ছে। লাল বডিসে বাঁধা দুই উদ্ধত স্তন—এক জোড়া সূর্য যেন রাত্রিবেলা আলাে ছড়াচ্ছে এই ছােট্ট ঘরের পৃথিবীতে। চোখ ধাধিয়ে যাচ্ছে লম্পট স্বামীর।………
……রতনমণি চোখ তুলে তার আগন্তক নাগরকে দেখে। মুচকি হেসে খাটের ওপর ইশারায় বসতে বলে নিজের পাশে।
–বসাে। রতনমণির পাশে শান্তভাবে বসে দৈত্যাকার কালুমিঞা। সহস্র রজনীর নয়, এক রজনীর নায়ক। লম্পট স্বামী এখন উপেক্ষিত চরিত্র । নাট্যে উপেক্ষিত, সিংহাসনচ্যুত রাজা, স্বভাবতঃই শয্যাচ্যুত । সেই সিংহাসন বা শয্যা আজ রাতের মতাে—চিরকালের মতােই কিনা জানা নেই—অন্যের দখলে।
লম্পট স্বামী দেখছে—এসব কি! পাতালে এক ঋতু, না নরকে এক রাত! এবার অ্যাকসন স্টার্টস!
কালু মিঞার গলা জড়িয়ে ধরে রতনমণি। তারকাসুরের পুরু কালাে বিষ ভােমরা ঠোটে চুমু খেতে থাকে। আওয়াজ করে, শব্দ করে । আঠালাে শব্দের মিউজিক চুচুক, চক চক্। বেশ্যা পট্টিতে কালু চুমুর প্রয়ােজনীয়তা বােধ করে না। সেখানে চুমু খাওয়া মানে আসলি কাজের সময় নষ্ট। কোন পক্ষেরই ওসবের ইচ্ছে হয় না। চুমু হচ্ছে উঠতি বাচ্চা বয়েসের লাভারদের জন্য। ফালতু এলেবেলে মেলামেশার সময়ে।
কিন্তু এখন পরিবেশ আলাদা। চুমুর অনেক ভ্যালু এখন। লিপিস্টিক আর পানের রসে রঙীন হয়ে ছাপ লাগে কালাে ভ্রমরের গায়ে। কালু মিঞা অস্থির হয়ে ওঠে। ওর গায়ের গেঞ্জিটা টান মেরে ছিড়ে ফেলে রতনমণি। নিখুঁত অ্যাকশন, ‘দশ পাকে ঘেরা সিনেমার নায়িকাও নায়কের পাঞ্জাবী এত নিখুঁত অভিনয় করে ছিড়তে পারেনি। | কালু মিঞার বিশাল থাবা এবার বস্ত্রহরণ পালায় মেতে ওঠে। লালপাড় শাড়ী, যা পরে বাঙালি নারী পুজো দিতে যায়, যা পরে স্টেজে আজকাল কোন কোন নাম করা ব্যালে গ্রুপ ক্যাবারে’ নাচে, সেই শাড়ি খসে আসছে। ফুলের সাজ নষ্ট হচ্ছে। | হঠাৎ ক্ষিপ্ত কালু রতনমণির লাল বডিল্টা হিংস্রভাবে ছিড়ে ফেলে। অবাক হয়ে দেখে—এ কৌন আউরৎ কোই জখমি আউরৎ কেয়া! কালু মিঞা জীবনে এত সুন্দর নারীকে কখনও কাছে পায়নি।
রতনমণি এবার পাল্টা আক্রমণ চালায়। এক ধাক্কায় কালুকে খাটে শুইয়ে দেয় ঠিক যেমনটি সেদিনের বেশ্যাটা করেছিল। কালুর বুকের ওপর চেপে বসে। কালু মিঞা অস্ফুট চিৎকার করে—আরিব্বাস!
কালুর চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকুনি দেয় রতনমণি। বলে—কেমন লাগছে গাে!
খাটের পাশে মেঝের ওপর গড়াগড়ি খায় লালপাড় শাড়ি, লাল বডিস, হেঁড়া গেঞ্জি, চেক-কাটা কালাে-সবুজ লুঙ্গি। শয্যার নিচে কাঠের পাটাতন দুটি ভারি দেহের ওজনে মচমচ করে ওঠে। রতনমণির খোঁপা খুলে যায়। কেশরাশি বুকে-পিঠে ছড়িয়ে।
লম্পট স্বামী তার চরম অবিশ্বাস্য আঘাতের মধ্যেও লক্ষ্য করে—বৌ রতনমণিকে কোনদিন তার এত সুন্দর মনে হয়নি। কিন্তু এখন এই ‘বৌ’ কথাটা বিতর্কিত। এই সুন্দরী নারীর দেহ এখন এক শায়িত দানব-সদৃশ পুরুষের শরীরের ওপর উন্মাদ নৃত্য করছে, যার বলছে—কেমন লাগছে গাে? উত্তর আসছে—সাবাস!
বুকে চড়া অবস্থাতেই হাত বাড়িয়ে পাশ থেকে দেশি মদের গেলাসটা টেনে নেয় রতনমণি। ঢকঢক করে আকণ্ঠ পান করে খালি করে গেলাসটা। গলায় বুকে মিষ্টি আগুনের হল্কা পেটের মধ্যে নেমে যায়। নৃত্য চলে । বােধ হয় দশ মিনিট কেটে গেছে।
কালু মিঞাদের নাকি প্রাচীন অনুশাসন আছে—শয্যায়, সঙ্গমে নারীর সদা অবস্থান পুরুষের নিচে, পুরুষ শরীরের নিচে। কিন্তু আজ সেই অনুশাসন’ মনে নেই কালু মিঞার । ভুলে গেছে, তাকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুলিয়ে দিয়েছে এক নারী, রতনমণি যার নাম, সে এখন উন্মাদিনী এবং উন্মাদিনী হলে ঈশ্বরীও স্বামীর বুকে পা তুলে দেয়—অজ্ঞাতসারে হলেও।
এখন অবশ্য স্বামীর বুকে পা নয়, মুখে পা । চেয়ারে বাঁধা লম্পট স্বামীর মুখের উপর যেন স্ত্রীর পদাঘাত পড়ছে—লাথির পর লাথি! তার চোখ যে এখনও অন্ধ হয়ে যাচ্ছে না, এটাই আশ্চর্য! হাত বাঁধা না থাকলে সে হয়তাে নিজের চোখ নিজের হাতেই উপড়ে নিত! ঈশ্বরী স্বামীর বুকে পা দিয়ে লজ্জায় জিভ কেটেছিল, তার রক্তপাতের নেশা ছুটে গিয়েছিল। আজ এক মানবী স্বামীর মুখে পা দিয়ে মাড়িয়ে চলেছে, এবং মােটেই লজ্জায় জিভ কাটছে না। বরং আনন্দে অট্টহাসি হাসছে। | আরও পাঁচ মিনিট কাটলাে। | কালু মিঞা এবার গর্জন করছে। আর হাসিতে ফেটে পড়ছে রতনমণি। জীবনে যত পাক-কাদা-বিষ-বিষ্ঠা সে দেখেছে, আজ সব নিজের গায়ে মেখে নিতে পাগলিনী হয়ে গেছে ও। ওকে পাগল করেছে ওরই ‘স্বামী’র আচরণ। | আরেক গেলাস মদ গিলে গেলাসটা ছুঁড়ে ফেলে দেয় রতনমণি। ঝনঝন করে চুরমার গেলাস। আনন্দে হাততালি দেয় সে–আঃ, কি মিঠে আওয়াজ—ঝনঝন ঝন্ঝন্!
রতনমণির চোখে রসালাে কৌতুক। এইবার তীব্রতম উদ্দামতা, দ্রুততম কঠিন নর্তন।
কালু মিঞার গলা টিপে ধরে একটি স্তনের বোটা ওর মুখে গুঁজে দেয় রতনমণি— খাও গাে, আমার মরদ, আমার বড় খােকাবাবু ডুডু খাও, যত খুশি, পেট ভরে। এ-ও আরেক মদ।
সন্তানহীনা রতনমণি, চিৎকার করে—ওই লম্পটটা নিজে বাঁজা, আর আমাকে দোষ দেয় ছেলে বিয়ােতে পারলুম না বলে। আহা-হা-হা-হা! তাের সেই খানকিটার পেটে বাচ্চা আননা যদি পারিস!……
অসুরের বিশাল মুখে বা স্তনটি চেপে ধরে রতনমণি।
-ও আমার নাগর, এমন জিনিস পেয়েছিস কখনও। হাঃ হাঃ, দুধ পাবি না, আমার বাচ্চা নেই । দুধকে মদ বললুম-“মাগাে, পাপ নিও না। তবে রক্ত পাবি—যদি জিভে দাঁতে জোর থাকে, কামড়ে রক্ত খারে শালা!
-আমি যেন একটা বাচ্চা পাই। পরক্ষণেই অগ্নিদৃষ্টি হানে চেয়ারে বাঁধা লম্পট স্বামীর দিকে।
–ওই হিজরেটাকে কিন্তু বাবা’ ডাকবে না আমার ছেলে। তুই মুসলমান, আমি লক্ষ্মীপূজো করি–ওরে কালু মিঞা, তুই-ই হবি আমার ছেলের বাবা, কেমন? | এবার কালু মিঞার তলপেটের ওপর চড়ে বসে রতনমণি। এক-দুই-তিন-চার, দশ-পনের-কুড়ি! উপর্যুপরি কটি নর্তন!
-আয় আয়, আমার সােনামণি আয়! আমায় মা বলে ডাক। আমার দুধ খা।। তাের বাবা আমার শুকনাে বোটা চুষেছে, কিন্তু তুই পেট ভরে দুধ খা সােনামণি।। আমার বাবা, বাছা, আমার বুক জুড়ানাে ধন, আমার মাণিক।
তিরিশ-পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ-চুয়াল্লিশ-পঞ্চাশ।
যেন বােমারু বিমানের আক্রমণ। নিজের দৈত্যাকার দেহকে কয়েক সেকেণ্ডের জন্য শূন্যে তুলে ধরে কালু। সিংহের মতাে গর্জন করে। তারপর স্থির হয়ে যায়। | রতনমণি পাগলের মতাে হাসতে থাকে—কেমন মজা! হাঃ হাঃ হাঃ, আমার । নাগর, আমার ছেলের বাপ, তােকে থ্যাংকু-
বদলা শেষ!………..