অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু
…………“আরে, ভয়ের কিছু নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক ব্যাপার হল সেক্স। লারা দেখছে ম্যাকআলিস্টার জামাকাপড় খুলে ফেছেন। হোঁৎকা, স্থুল শরীর। কাপড় খােলাে,’ হুকুম দিলেন ম্যাকলিস্টার। ধীরগতিতে ব্লাউজ, স্কার্ট এবং জুতাে খুলে ফেলল লারা। পরনে শুধু ব্রেসিয়ার এবং প্যান্টি।
ম্যাকআলিস্টার চোখ দিয়ে গিলছেন লারাকে। হেঁটে এলেন ওর সামনে। তুমি যে কী দারুণ সুন্দরী তা কি তুমি জাননা?”
লারা টের পেল শক্ত পুরুষাঙ্গ ওর শরীরে ঠেসে ধরছে বুড়াে। তিনি ওর অধরে চুম্বন করলেন । গা ঘিনঘিন করে উঠল লারার।
‘এগুলােও খুলে ফেলো, ঘ্যাসঘেসে গলায় বললেন ম্যাকলিস্টার । বিছানায় গেলেন তিনি। খুলে ফেললেন শর্টস। তার পুরুষাঙ্গ খাড়া এবং লাল টকটকে। অতবড় জিনিসটা আমার শরীরে কিছুতেই ঢুকবে না, আঁতকে উঠল লারা। আমি ঠিক মরে যাব।
লার ব্রা এবং প্যান্টি খুলে ফেলল। ‘মাই গড,’ বললেন ম্যাকআলিস্টার। ‘তুমি ফ্যান্টাস্টিক। এখানে এসাে।
লারা হেঁটে গেল বিছানায়। বসল। ম্যাকআলিস্টার ওর নরম বুক সজোরে মুচড়ে দিলেন। ব্যথায় ককিয়ে উঠল লারা । | মজা পাওনি? পুরুষ কী জিনিস এবার তুমি দেখৰে। লারাকে ধাক্কা মেরে চিৎ করে শুইয়ে ফেললেন ম্যাকলিস্টার। ফাক করে ধরলেন দুই পা হঠাৎ আতঙ্ক বােধ করল লারা। আমি কিছু পরিনি। মানে…যদি প্রেগনেন্ট হয়ে যাই…’
‘ভয় নেই,’ বললেন ম্যাকআলিস্টার। “আমি তােমার ভেতরে ঢালব না।’
একমুহূর্ত পরে লারা টের পেল ব্যাংকার ওর শরীরের ভেতরে প্রবেশ করছেন। ব্যথা পেল ও।
‘দাড়ান?’ চিৎকার দিল লারা। “আমি…’
কিন্তু দাঁড়াবার সময় নেই ম্যাকলিস্টারের। তিনি সজোরে লারার শরীরে ঢুকে গেলেন। অবিশ্বাস্য ব্যথায় চোখ মুখ কুঁচকে গেল লারার। তিনি এখন জোরে জোরে কোমর নাড়তে শুরু করেছেন। দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে উঠল গতি। চিক্কার থামাতে মুখে হাত চাপা দিয়ে রাখল লারা। এক মিনিটের মধ্যে এটা শেষ হয়ে যাবে, ভাবছে ও। তারপর আমি একটি বিল্ডিঙের মালিক হয়ে যাব। তারপর আমি আরেকটি বিল্ডিঙে হাত দেব। তারপর আরেকটা..
ওহ, কী অসহ্য ব্যথা! ‘কোমর তােলাে,’ গাক গাক চেঁচালেন ম্যাকআলিস্টার। ‘মূর্তির মতাে শুয়ে থেকো না। মুভ ইট!’ কোমর তােলার চেষ্টা করল লারা। পারল না। অসহনীয় ব্যথায় কোমর ধরে গেছে।
হঠাৎ ম্যাকআলিস্টার গুঙিয়ে উঠলেন, তার শরীর প্রবল ঝাঁকি খেল। তিনি পরিতৃপ্তির নিশ্বাস ফেলে এলিয়ে পড়লেন লারার পাশে।
আতঙ্কিত লারা বলল, “আপনি বললেন না যে ভেতরে ফেলবেন না…’
কনুইতে ভর দিয়ে উঁচু হলেন ম্যাকলিস্টার। ‘ডার্লিং, নিজেকে সামাল দিতে পারিনি। তুমি এত সুন্দর। তবে ভয় নেই। ……….
……..লারার অ্যাপার্টমেন্টে চলে এল ওরা । খুব নার্ভাস লাগছে পল মার্টিনের।
‘নিজেকে আমার স্কুলছাত্রের মতো লাগছে, বলল সে। অনেকদিন এসব থেকে দূরে সরে আছি।’
‘এ যেন বাইসাইকেল চড়ার মতাে,’ বিড়বিড় করল লারা। প্রাকটিসটা তােমার কাছে ফিরে আসবে। এসাে, কাপড় খুলে দিই।’
পল মাটিনের গা থেকে জ্যাকেট খুলে নিল লারা। তারপর টাই। এরপর শার্টের বােতাম খুলতে লাগল।
‘তুমি জাননা, লারা, আমাদের সম্পর্কটা কখনও সিরিয়াস কিছু হবে না।’
‘আমার বয়স বাষট্টি। তােমার বাবার বয়সী।’
এক সেকেন্ডের জন্য স্থির হয়ে গেল লারা, স্বপ্নের কথা মনে পড়ে গেছে। আমি জানি।’ পলকে নগ্ন করে ফেলেছে ও। ‘তােমার শরীরটা চমৎকার।’
‘ধন্যবাদ,’ পলের স্ত্রী পলকে কখনও এ কথা বলেনি। লারার পলের উরুতে হাত বােলাতে লাগল । তােমার গায়ে অনেক শক্তি, না?’
পলের পুরুষাঙ্গ সরসর করে দাঁড়িয়ে গেল নরম হাতের প্রেলব ছোঁয়ায়। আমি বাস্কেটবল খেলতাম। যখন…’
পলের ঠোটে ঠোট রাখল লারা, বিছানায় উঠে এই দুজনে। পল এমন কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করল যার কথা কল্পনাও করেনি। মনে হল তার শরীরে আগুন ধরে গেছে। ওরা প্রেম করছে। এর যেন শুরু বা শেষ নেই। একটা নদীর স্রোতে পল ভেসে যাচ্ছে তাে যাচ্ছেই, হঠাৎ স্রোত ওকে ধরে টানতে শুরু করল। টেনে নিচে এবং গভীরে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ, মখমল কোমল এক আঁধারের রাজ্যে যেটা বিস্ফারিত হয়ে সহস্রাধিক নক্ষত্রে পরিণত হল । মিরাকলটা আবারও ঘটল, আবারও। শেষপর্যন্ত দুজনে শুয়ে হাঁপাতে লাগল । বিধ্বস্তু।…………