দ্য টাইডস অব মেমােরি – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু, কাহিনীবিন্যাসঃ টিলি ব্যাগশ

…………..“ওহ্, মাইকেল! ওহ, মাইকেল! আই লাফ যু, আই লাফ য়ু সাে মাচ! প্লিজ ডােন্ট টপ?’।

প্রাচীন স্পাের্টস কার এমজি কনভারটিবলের পেছনের আসনে অস্বস্তিকর পজিশনে থাকা মাইকেল ডি ভিরি ভাবছিল মেয়েরা এ কথা বলে কেন? ‘ডােন্ট স্টপ’ এমন বিশেষ সময়ে কি কেউ থেমে যেতে পারে, নিশ্চয় কিছু কিছু পুরুষ থেমে যায় নইলে মেয়েরা এ কথা বলত না। মাইকেলের মনােযােগ অন্যদিকে প্রবাহিত হওয়ার কারণে তার পুরুষাঙ্গ প্রায় নেতিয়ে যেতে লাগল। তবে যখন একবার শুরু করেছে আর থামাথামি নেই। লেংকা, তার লেটেস্ট বিজয়, মাইকেল কী করবে তা ও কী জানে?

তুমি থেমে গেলে কেন?’ ভৎসনা করল লেংকা। ‘বিরতি দিয়েছি, ডার্লিং বিরতি।’

এখন বিকেল সােয়া চারটা। মে মাসের এক চমৎকার বিকেল। মাইকেল ডি ভিরির দেরী হয়ে গেছে। এক ঘণ্টা আগেই ডিডট রেলওয়ে ষ্টেশনে লেংকাকে পৌছে দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু গাড়ি চালাতে চালাতে ফুরফুরে হাওয়া আর লেংকার অসম্ভব খাটো মার্ক জ্যাকবস মিনি স্কার্টের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা পেলব বাদামী | উরু জোড়া মাইকেলের রক্তে বান ডাকিয়েছে । তাই সে রাস্তার এক নির্জন কোনে গাড়ি থামিয়ে লেংকার ওপর চড়াও হয়েছে। লেংকাও সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।………..

………‘এজন্য আমার চাকরি চলে যেতে পারে, আমার জেল হতে পারে গুঙিয়ে উঠল জুয়ান। আলেক্সিয়া পার্কারের জন্য স্টেট রেকর্ডসে ভুয়া তথ্য টাইপ করছিল সে আর তখন টেবিলের নিচে বসে তাকে মুখ মেহনের সুখ দিচ্ছিল আলেক্সিয়া।

আমারও, ডুয়ানের পুরুষাঙ্গ মুখ থেকে বের করে বলল আলেক্সিয়া। এর মানে হলাে আমরা দুজনেই কথাটা গােপন রাখব কেম!

‘তুমি করছ কী? এখন থেমাে না।’ ও ‘আমি বললাম আমরা দুজনেই কথাটা গোপন রাখব, ঠিক ডুয়ান? ‘ঠিক, হঁা, অবশ্যই। ইউ গট ইট। আমি এ কথা কাউকে কোনােদিন বলতে যাব । শুধু দয়া করে থেমাে না, থেমােনা প্লিজ।………

……….সামার মেয়ার ছাদের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে হাসছে। ওর নগ্ন শরীর জড়িয়ে ধরে রেখেছে মাইকেল ডি ভিরি । ও হাসছে কারণ চাড় মেটসের সঙ্গে আজ থেকে ওর আর কোনাে সম্পর্ক রইল না।

মাইকেলের নিঃশ্বাসে সামারের কানে সুড়সুড়ি লাগছে। ওর গরম শরীরের ওজন চেপে বসে আছে পিঠে। মাইকেলের গায়ে ঘাম, কোলন এবং সেক্সের গন্ধ। কোনাে পুরুষকে এত নিবিড়ভাবে কোনােদিন চায়নি সামার।

মাইকেল একটা হাত বাড়িয়ে তর্জনী দিয়ে সামারের স্তনবৃন্তের চারপাশে ঘােরাতে লাগল। সুখের আতিশয্যে গুঙিয়ে উঠল সামার । ও বলল, তােমার পরিবার সম্পর্কে আমি অনেক কথাই জানি। কিন্তু তােমার সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানি না। সত্যি ।’

সামারের বুকের ওপর থেকে হাত সরিয়ে নিল মাইকেল । চিৎ হয়ে শুল। দুই হাত দু’দিকে ছড়িয়ে দিয়ে বলল, তুমি আমাকে যা খুশি জিজ্ঞেস করতে পার। ……….

Leave a Reply