দ্য কম্প্যানি অফ ওম্যান – খুশবন্ত সিং

›› অনুবাদ  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

…….একদফা বিবাদের পর তারা সহজে বাক্য বিনিময় করত না। অতঃপর দৈহিক বাধ্যবাধকতা সকল দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতাে। তারা যৌনকর্মে লিপ্ত হত। প্রেমহীন সঙ্গম এবং এরপর নতুন করে কথাবার্তার শুরু। তাও মাত্র কয়েকদিনের জন্য।……

……..বিয়ের সম্মতি দেয়ার সময় তারা হতবুদ্ধি থাকে। তখন তাদের যৌন তাড়না থাকে প্রবল ও বিস্ফোরণােন্মুখ এবং উদগ্রীব থাকে কখন একে অন্যের দেহের অন্ধিসন্ধি আবিষ্কার করবে। এভাবে কয়েক মাস কেটে যায়। এরই মধ্যে গতকালের নববধু অনুভব করে সে গর্ভধারণ করেছে। তখন যৌন আকাঙ্ক্ষায় বাধা পড়ে। যদি তারা জন্মনিরােধক কিছু ব্যবহারও করে তাহলেও ‘চাহিবামাত্র’ যৌন সুখ লাভের আগ্রহ কমে আসে। যৌনকর্ম নিয়মিত একটি ব্যাপারে পরিণত হয়। তাদের প্রবল শারীরিক সম্পর্কের দিনগুলােতে যাদের এড়িয়ে চলতাে তাদের যৌন বিষয়গুলােও তখন মনের কোণে চাড়া দিতে থাকে। একটি দম্পতি পরস্পর কতটা ঘনিষ্ঠ তাও কোনাে ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না, একটি মধুর ব্যভিচারী সম্পর্কের কথা মন থেকে খুব দূরে সরে যায় না। যখনই গােপনীয়তার নিশ্চয়তা সম্পর্কে আর কোনাে সন্দেহ থাকে না তখন তারা পরপুরুষ বা পরনারীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।
মােহন নিশ্চিত, মাঝে মধ্যে ব্যভিচার একটি বিয়েকে ভাঙ্গতে পারে না। বরং দেখা গেছে, কোনাে স্বামী তার স্ত্রীর চাহিদামতাে যৌনতৃপ্তি দিতে পারছে
অথবা কোনাে ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে আনন্দ দিতে অক্ষম, সেসব ক্ষেত্রে ব্যভিচার দাম্পত্য সম্পর্ককে যে সুদৃঢ় করে তা প্রমাণিত সত্য। ব্যভিচারকে পাপ বলে নিন্দা করা হাস্যকর ছেলেমানুষি, এতে বিয়ে ভাঙ্গার চাইতে বরং রক্ষা পায়।…….

………তিনি জানতেন একজন নারী সঙ্গী ছাড়া তিনি খুব বেশিদিন থাকতে পারবেন না। বন্ধুপত্নীদের সঙ্গে গােপন সম্পর্ক স্থাপনের কোনাে অভিসন্ধি তাঁর ছিল না। অথবা কুমারী মেয়ের চিন্তাও নয়—কারণ তারা অল্পদিনের মধ্যে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়ে উঠবে। একই কারণে স্বল্পবয়স্কা বিধবাদের সঙ্গে সম্পর্কের চিন্তাও মাথা থেকে তাড়িয়ে দিলেন। তিনি আকাঙ্ক্ষা করছিলেন তাঁর প্রায় সমবয়সী একজন মহিলাকে, যার বয়স চল্লিশের কোঠায় বা তারও কিছু কম। রুচিশীল এবং তার সাথে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস থাকতে আগ্রহী। মােহন তার জন্য ড্রাইভারসহ একটি গাড়ি, তার বাড়ির আরামদায়ক ব্যবস্থা, ক্লাব, সিনেমা, রেস্টুরেন্টে একসাথে খাওয়া ইত্যাদি উপভােগের সুযােগ দিতে পারেন। একজন নারীর এর চাইতে বেশি আকাঙ্ক্ষা আর কি থাকতে পারে? এতে কোনাে ব্যভিচার নেই বা বেশ্যা গমনের মতাে কিছু নয়। আবার বৈবাহিক সম্পর্কও নয়। পরস্পরের যৌনসুখ উপভােগের সম্মানজনক সাহচর্য।…….

…….রােববারের এখনাে চার দিন বাকি। এদিনেই অধিকাংশ সংবাদপত্রের পাত্রপাত্রী বিষয়ক বিজ্ঞাপনগুলাে ছাপা হয়। বিজ্ঞাপন ছাপা হবার পর আরও এক সপ্তাহ বা দশদিন লেগে যাবে কারাে পক্ষ থেকে সাড়া পেতে। তবু মােহন সতর্কতার সঙ্গে মাঝ সপ্তাহের বিজ্ঞাপনের পাতাগুলাে দেখেন কেউ সে ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়েছে কি না। কিন্তু তার চোখে পড়ল না। নাশতার পর হাভানা চুরুট ধরিয়ে বসার পর জমাদারনী প্রবেশ করল ঝাড়, ফিনাইল মিশানাে পানির বালতি ও ন্যাকড়া হাতে নিয়ে। মেঝে ঝাড়পােছ করবে কি না জানতে চাইল। কোন্ রুম আগে ঝাড় দিতে হবে সনুর কাছ থেকে সেই নির্দেশ নিত তাদের বেডরুম, বাচ্চাদের রুম, বাথরুমের কাজ আগে-এরপর ড্রয়িংরুম, ডাইনিংরুম। তার দিকে চোখ না তুলেই মােহন মাথা নাড়লেন।

ফিনাইলে ভেজানাে ন্যাকড়া দিয়ে যখন সে মেঝে মুছছিল হঠাৎ মােহনের দৃষ্টি পড়ল জমাদারনীর সুডােল নিতম্বের উপর। সে দৃষ্টি নিতম্বের মাঝ বরাবর সরল বিভাজনও পরখ করল। তার সুপুষ্ট পশ্চাদদেশ থেকে মোহন কুমার তাঁর চোখ ফেরাতে পারছিলেন না। এর আগে কখনাে তার দিকে তাকাবার ফুরসত হয় নি এবং তার নামও তিনি জানেন না। সে সামান্য জমাদারনী-সুইপারের স্ত্রী। মাঝে মধ্যে সে তার তিন সন্তানকে সাথে নিয়ে আসে। ওদের মা যখন বাড়ির ভিতরে কাজে ব্যস্ত থাকে তখন মােহন ওদেরকে বাগানে খেলতে দেখেছে। জমাদারনী উঠে দাঁড়ালাে। মােহনের দিকে তাকিয়ে কপালের উপরে নেমে আসা চুলের গুচ্ছ হাত দিয়ে সরালাে। মােহন লক্ষ্য করলেন তার স্তনযুগল পরিপূর্ণভাবে স্ফীত এবং কোমর সরু। কালাে হলেও দেখতে সে কুশ্রী নয়। সে আবার পাছায় ভর দিয়ে বসলাে রুমের আরেক অংশ মুছতে। মােহন পত্রিকার দিকে চোখ ফেরালেন। তিনি ভারতে তার কলেজের দিনগুলাের কথা স্মরণ করলেন। তাঁর এক সহপাঠী বলেছিল, মেথরাণীরা বিশ্বের সর্বোত্তম প্রেমিকা। শয্যায় তারা আদিম, উদ্দাম ও উত্তপ্ত। দৃশ্যতঃ একজন মেথরাণীর সাথে যৌনকর্মের কথা ভাবা ছাড়া দৃষ্টিকে কাতর করে লাভ নেই। মােহনের চোখে কোনাে অসুখ নেই। কিন্তু নিজের প্রখর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণের পর ভাবলেন যে, শ্রেণি বা জাত হিসেবে এই অস্পৃশ্য রমণী সম্পর্কে কি ভাবা উচিত? অন্যান্য চাকরেরা যখন তাদের কোয়ার্টারে থাকে অথবা কেনাকাটার জন্য বাইরে যায় তখন একে বেডরুমে আসতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে অসুবিধার কিছু নেই। তার বেতন তিনি দ্বিগুণ করে দিতে পারেন। তার বাচ্চাদের খেলনা, মিষ্টি কিনে দিতে পারেন। মনিব-ভুত্যের এ ধরনের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। স্বল্প আয়ের গৃহভৃত্যেরা বাড়তি আয়ের সুযােগ পেলে বর্তে যাবে এবং বিশ্বাস ভঙ্গ বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যদি কিছু অর্থাগম হয় তাহলে তাদের স্বামীদের খুব আপত্তি করার কথা নয়। পুরুষ সঙ্গীর কাছে এরা অখণ্ড মনােযােগ বা মূল্যবান। উপহার দাবি করবে না কিংবা পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার বায়নাও করবে না। অতএব সবদিক থেকে ঝামেলা কম। বরং এদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সুবিধাও আছে। অন্যান্য উদ্যোগ যদি ব্যর্থও হয় তাহলে মােহন তাঁর জমাদারনীকেই মনে মনে তার সম্ভাব্য যৌনসঙ্গী হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখলেন। সে সঙ্গ দিতে পারবে না সত্য কিন্তু তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান তাে করতে পারবে অবলীলায়।……

…….সেক্রেটারি বিমলা শর্মাকে আগের চাইতে আরও বেশি আন্তরিক মনে হল; যখন সে কোনাে চিঠি সই করাতে বা ডিকটেশন নিতে কাছে আসে। বিগত বছরগুলােতে মােহন তার দিকে কখনাে ভালাে করে তাকাবার কথা ভাবেন নি। সে যদিও অবিবাহিতা, কিন্তু তার মাঝে দেখার মতাে কিছু নেই। গােলাকৃতি মুখ, খােপায় বাঁধা বাদামি চুল। বেটে মােটা দেহে স্তন, উদর, উরু এবং পশ্চাদদেশের বিশাল ফর্সা মাংসের পিণ্ড একাকার হয়ে আছে।……

…….ধান্নোকে যৌনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণের সম্ভাবনায় তার মন আচ্ছন্ন হয়ে উঠল। অফিসে, বাড়িতে ধান্নোর চেহারা, স্ফীত স্তন, গুরুনিতম্ব—পুরাে অবয়ব মােহন তাঁর মনের পটে দেখছিলেন। তিনি নিশ্চিত হতে চাইছিলেন যে তার চিন্তা হঠাৎ প্রকাশ করে না ফেলেন।…….

………সাহেবের মনের কথা ধান্নো ভালােভাবেই অনুভব করল। সাহেবই দিনক্ষণ এবং তাদের সম্ভাব্য যৌনকর্মের স্থান ঠিক করুক। তাকে খুব দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হল না।……

…….এই দুই ভৃত্য থাকতেই ধান্নো তার রুটিন মতাে কাজ সেরে চলে গেছে। নিজ বাড়িতে এসে সে দ্বিতীয় বার স্নান করল। ভালােভাবে সাবান লাগল গায়ে। খুব করে ঢাললাে। ভৃত্যদের যার যার নির্দেশিত কাজে চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সে সতর্কতার সাথে সাহেবের বাড়িতে ফিরে এলাে।

মােহন তার প্রতীক্ষায় ছিলেন। যখন সে দোতলায় এলাে তখন তিনি চেয়ার থেকে উঠে তার কাঁধে হাত দিয়ে অত্যন্ত মার্জিতভাবে তাকে বেডরুমে নিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তিনি পাগলের মতাে তার ঠোটে চুম্বন এবং স্তন মর্দন শুরু করলেন। ধান্নোও প্রবলভাবে তার সাহেবের তৎপরতার সাড়া দিল। তার স্তন দুটোর উত্তম ব্যবহারের জন্য তিনি কামিজের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ধান্নোর স্তন তার স্ত্রীর চাইতেও সুগঠিত। স্তনের বােটা দৃঢ়তর। সে কামিজ খুলে ফেললাে, এবং চোখ নামিয়ে পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলাে। মােহন ধান্নোর সালােয়ারের ফিতা খুলে দেয়ায় সে পুরাে নগ্ন হয়ে পড়ল।

ধান্নো বিড়বিড় করে বলল, ‘এভাবে হবে না সাহেব। আপনাকেও আমার মতাে হতে হবে।’ সে মােহনের বেল্ট আলগা করে তার ট্রাউজার নিচে নামিয়ে দিল এবং বিস্মিত হয়ে বলল, আমি কখনাে এত বড় কিছু দেখি নি।

‘তুমি কতগুলাে দেখেছাে’-একটু রসিকতার সুরে বলে মােহন ধান্নোর হাত নিয়ে তার উখিতে লিঙ্গ ধরিয়ে দিলেন। একটু বিব্রত ভাব এনে ধান্নো নিজের কথা শুধরানাের চেষ্টা করল, আমি শুধু আমার স্বামীরটাই দেখেছি। ওরটা আপনারটার অর্ধেক সাইজেরও ছােট। ভগবানের নামে বলছি, আমি আর কোনাে পুরুষেরটা দেখি নি।’

মােহন জানে, সে মিথ্যা বলছে। ধান্নোও জানে যে সাহেব তার কথা বিশ্বাস করছে না। কিন্তু এখন এই ফালতু বিতর্কে সময় নষ্ট করে কি লাভ?
মােহন তার সার্ট খুলে ফেলে ধান্নোকে বিছানায় ফেলে তার উপর উপগত হওয়ার প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি তার যন্ত্রে কনডম পরানাের চেষ্টা করছেন তখন ধান্নো বাধা দিল, এর কোনাে প্রয়ােজন নেই সাহেব। আমার তিন নম্বর বাচ্চা জন্মের পর লাইগেশন করিয়েছি। কনডম ছাড়া আরও বেশি মজা পাবেন।
যখনই মােহন কোনাে নতুন নারীর দেহ নিয়ে খেলেছেন, তার মনে হয়েছে নতুন ল্যান্ডস্কেপ আবিষ্কার করছেন। নারীদেহের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলাে সকল
ক্ষেত্রে প্রায় অভিন্ন। কিন্তু বিস্তারিত প্রয়ােগে নিঃসন্দেহে. ভিন্ন। ধান্নের দেহে মাদকতাময় এক ধরনের সুবাস। তাঁর স্ত্রীর শরীর থেকে সবসময় ফেঞ্চ কলােনের গন্ধ ভেসে আসত। মােহন বেশিক্ষণ নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। পরাজিতের মতাে নিজেকে প্রত্যাহার করলেন।

ধান্নোর ধৈর্যের শেষ নেই। সে অত্যন্ত আবেগের সাথে দক্ষ হাতে মােহনের মাথা থেকে পা পর্যন্ত মর্দন করল। কামকলায় সে পটু। মােহন দ্বিতীয় দফা উত্তেজিত না হওয়া পর্যন্ত সে তার কৌশলগুলাে প্রয়ােগ করল। এবার ধান্নো মােহনের চাইতে আগে নিঃশেষ হল। চরম তৃপ্তির উন্মাদনায় সে মােহনের মাথা আঁকড়ে নখ বসাতে চেষ্টা করল, তার ঠোটে কামড়ালাে এবং এক সময় জবাই করা গরুর মতাে গােঙানির দীর্ঘ শব্দ ছেড়ে সে এলিয়ে পড়ল। মােহন নিজেকে বিজয়ী মনে করলেন এবং নিজের পৌরুষে তার গর্ব হল।

বাড়ি থেকে ধান্নোর বের হয়ে যাওয়া কেউ দেখলাে না। মােহন চুরুটে অগ্নিসংযােগ করে ভাবলেন, দুনিয়ায় সবকিছু ঠিকভাবেই চলছে। তিনি সংবাদপত্রে যে ধরনের সঙ্গিনীর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, ধান্নো সেই বিবরণের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু কামনাও ভালােবাসার একটি দিক—সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন মন ও আবেগের বিনিময়ে সঙ্গী পাওয়া যাচ্ছে না তখন একজন পুরুষ যা চাইতে পারে সেরকম একটি বিকল্প থাকা উত্তম। …….

…….ধান্নোর সাথে সকালের যৌনমিলন পাক্ষিক বিষয়ে পরিণত হল। এই নতুন সম্পর্কে সে সমভাবে আগ্রহী এবং নিজের প্রয়ােজনগুলােও প্রকাশ করে। মােহন তার দেহের প্রতিটি অংশের সাথে এখন সুপরিচিত। এমনকি ধান্নোর ডান উরুর একটি বড় রােদে পােড়া দাগও তার প্রিয় হয়ে উঠেছে। মােহন আঙুল দিয়ে দাগটা অনুভব করেন এবং তার ঠোট ও চোখে চুমু দেয়ার আগে সেই দাগের উপর ঠোট স্পর্শ করেন। যৌনসঙ্গম যদিও মধুর, কিন্তু ক্রমে তা গরিমা হারাতে শুরু করল। ধান্নো তাদের মিলনের আসন পরিবর্তনের উদ্যোগে বাধা দিল। মােহন যখন ধান্নোকে তাঁর দেহের উপর উঠিয়ে সঙ্গমকে আরও বৈচিত্র্যময় করা যায় কি না দেখতে চাইলেন, ধান্নো প্রবল আপত্তি করল, ‘না সাহেব, তা কিছুতেই হবে না। আমার নিচে আপনাকে কখনাে থাকতে দেব না। আপনি আমার মালিক।’ মােহন জবরদস্তি করলেন না। ধান্নোর সাথে যে সমঝােতা হয়েছে তাতে সে তার দিক ভালােভাবে পূরণ করছে।…….

…….তাঁর মনে থাকা উচিত ছিল। রােববার পত্রিকার পাত্রপাত্রী কলাম পাঠ করা সনুর অভ্যাস। একটার পর একটা বিজ্ঞাপন পড়ে সে উচ্ছল হয়ে বলত, “আচ্ছা, তুমি কি জানাে গুড এট এইচত্রইচ অ্যাফেয়ার্স (Good at III affairs) মানে কি?’ নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই উত্তরটা দিত– ‘Household affairs’… 47 C & D no bar?’…Caste and Dowery no bar.’ সব পুরুষের চাহিদা ফর্সা ও কুমারী মেয়ে। সকল কুমারীর জীবনে বিয়ের মাধ্যমে যৌন অভিজ্ঞতার সূচনা। কিন্তু যাদের বিয়ে হয় তারা সকলে কুমারী নয়। এর ব্যাখ্যাও সে দিয়েছে স্বামী খুঁজছে এমন কোনাে মেয়ে কখনাে কোনাে মেয়ের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হয় নি এমন পুরুষের জন্য শর্ত দেয় না। একাধিক ঘটনায় সনু বিজ্ঞাপনের ঠিকানায় নিজের ছবির সাথে বান্ধবীদের ঠিকানা পাঠিয়ে সাড়া দিয়েছে। এ ছিল তার কৌতুক করার ধরন। মােহন নিজের যে বিবরণ দিয়েছে তাতে সনুর কোনাে সন্দেহ নেই যে, বিজ্ঞাপনদাতা তার অমানুষ লম্পট স্বামী ছাড়া আর কেউ নয়। যৌনসুখ কেনাবেচা করতে চায় সে।……

…..কয়েকবার ছবিটি দেখলেন তিনি। চিঠি পকেটে রাখার আগে আবার পাঠ করলেন। ধান্নো যদিও কালাে, কিন্তু চশমা পরা লেডি প্রফেসরের চেয়ে সে সুন্দরী। অপরদিকে অশিক্ষিত জমাদারনীর সাথে তিনি যা করছেন শিক্ষিত মহিলাদের কাছে তা পাবেন না। হতে পারে তাকে তিনি ক্লাবে, রেস্টুরেন্টে সিনেমায় নিয়ে যেতে পারবেন। যা হােক, এটাও ইনিও নারী এবং দুই নারী শয্যায় কখনাে এক রকম হবে না। মশল্লায় বৈচিত্র্য থাকে এবং তিনি যথার্থই এমনটি অনুসন্ধান করছেন।…..

……কিন্তু ধান্নোকে বুঝানাে কঠিন হবে। এরই মধ্যে সে সপ্তাহে একবার বা দু-বার তাকে শয্যায় আসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। অন্য এক মহিলা সারাদিন ঘরে থাকলে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে তার চলে না যাওয়া পর্যন্ত।……

……বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর অবৈধ নারী সংসর্গ আঁচ করে ফেলেন তাদের সন্দেহ সম্পর্কে স্পষ্ট বা বাস্তব প্রমাণ ছাড়াই। বিবাহিত পুরুষরা এতই আত্মমগ্ন থাকে যে তাদের স্ত্রীরা বছরের পর বছর স্বামীকে অন্ধকারে রেখেও ব্যভিচার চালিয়ে যেতে পারে।

কিন্তু এ ব্যাপারে ধান্নোর নৈতিক কোনাে অধিকারই নেই নাক গলানাের। সে তাে নিজেই তার স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করছে। মােহন তাঁর কাছে কিছুটা অবিশ্বস্ত তাে হয়েই আছে। কারণ তাকে স্ত্রী বা রক্ষিতা হিসেবে গ্রহণ করে নি। সে শুধু তার সাময়িক শয্যাসঙ্গী। সেজন্য তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে এখন তিনি ভাববেন কেন? তিনি দেখবেন পরিস্থিতি কোনাে দিকে মােড় নেয় এবং সেভাবে তার মােকাবেলা করবেন।

মােহন যখন রাতে ঘুমােতে গেলেন তখন কল্পনা করলেন লেভি প্রফেসর শয্যায় কতটা উপভােগ্য হবে। তিনি কি তার বেডরুমে যাবেন অথবা তাকে নিজের বেডরুমে আনবেন? দেখে তাকে কিছুটা লাজুক মনে হয়েছে এবং তার সাথে শােয়ার আগে নিশ্চয়ই বাতি নিভিয়ে দেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করবেন এবং তিনি প্রায় নিশ্চিত যে ভগবান তাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন তা দেখার জন্য তার কাপড় খুলতে জবরদস্তিই করতে হবে। তবু তিনি আস্থাবান যে লেডি প্রফেসর আকৃতিতে ছােট এবং স্বাস্থ্যও তেমন ভালাে নয়। অতএব সহজে তিনি তার উপর আরােহণ করতে সক্ষম হবেন। নিজের ইচ্ছা তার উপর চাপাতে পারবেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। কিন্তু তার কল্পনাগুলাে যখন স্বপ্ন হয়ে এলাে সে স্বপ্নে লেডি প্রফেসরকে নয় জমাদারনীকে দেখলেন। তার সামনে পুরাে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোমরে হাত দিয়ে। তার প্রতি অবিশ্বস্ত হওয়ার কারণে ভৎসনা করছে।……

……ধান্নোর সঙ্গে মােহনের দৈহিক সম্পর্ক অব্যাহত রইলাে-সপ্তাহে একবার। তার দেহ ইতােমধ্যে নতুনত্ব হারিয়েছে। নিঃসন্দেহে তার সঙ্গে যৌনকর্মের মুহুর্তগুলাে অত্যন্ত উপভােগ্য। কিন্তু প্রথম দিকের কয়েক দফার যে প্রবল উন্মত্ততা ছিল এখন আর তা নেই। কথার ছলে তিনি ধান্নোকে বলেছেন যে তাদের এই সম্পর্কে একটু ছেদ পড়তে পারে। কারণ তার এক কাজিন তার সাথে থাকতে আসছে ।……

…….মােহন তার কাঁধ জড়িয়ে ধরে বিছানার দিকে নিতে নিতে বললেন, “বেডরুমে তােমাকে দেখার সুযােগ দাও।’ সরােজনী তার মাথা মােহনের প্রশস্ত বুকে স্থাপন করে বিড়বিড় করলেন, “আমার প্রতি একটু সদয় হতে হবে। এগারাে বছর কোনাে পুরুষের কাছে যাইনি। আমি ভয় পাচ্ছি।’
মােহন তাকে আশ্বস্ত করতে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করলেন। ভয়ের কিছু নেই। আমি কামুক শ্রেণির লােক নই। তুমি না চাইলে আমরা বিরত থাকব। কিছু সময়ের জন্য শুধু তােমার সাথে শুয়ে থাকার অনুমতি দাও। এরপর আমি আমার রুমে চলে যাব।’
সরােজিনীর ভীতির ভাব কাটলাে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে থাকল। মােহন তাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেকেও তার পাশে ছড়িয়ে দিলেন। সে তার বুকে মুখ ঘষলাে এবং কোমর জড়িয়ে ধরে স্থির শুয়ে রইলাে। মােহন আস্তে তার গাউনের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তার কাঁধে, ঘাড়ে মৃদু চাপ দিতে থাকলেন। এরপর হাত নেমে এলাে সরােজিনীর শিরদাঁড়ায় এবং ছােট নিতম্বে। তার সারা দেহে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বললেন, ‘টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিন।
বাতি নিভানাের পর মােহন বললেন, আমাকে তােমার শরীর দেখতে দিতে চাও না?
‘দেখার মতাে তেমন কিছু নেই।’ তার সংক্ষিপ্ত উত্তর। আমার বয়সী যে কোনাে মহিলার মতােই দেখতে। তবে সহজ সরল। আমার দেহ তেমন সুগঠিত নয়।’ তার গাউনের বেল্ট খুলতে খুলতে মােহন বললেন, “দেখা যাক।’
তিনি সরােজিনীর একটি স্তন হাতে নিলেন। সরােজিনীর স্তন তার স্ত্রী, ধান্নো অথবা অন্যান্য যেসব মহিলাকে তিনি শয্যায় নিয়েছেন তাদের স্তনের মতাে সুগঠিত নয়। এই পার্থক্য তাকে আরও কাক্ষিত করে তুলল। মােহন তার স্তনের বােটায় চুমু দিলেন এবং ক্রমে স্তনটি মুখে পুরলেন। শিহরণ ও তৃপ্তিতে সরােজিনীর মুখ দিয়ে অদ্ভুত শব্দ বের হতে লাগল। বিড়বিড় করে উচ্চারণ করল, “আরেকটিকে অবহেলা করবেন না।’ মোহন অন্য স্তনেরও কাক্ষিত ব্যবহার করলেন। এর মধ্যে তিনি ট্রাউজারের চেন খুলে ফেলেছেন। এবং সরােজিনী তার পেটে মােহনের উত্থিত লিঙ্গের চাপ অনুভব করছে।

বিস্মিত আতংকে সরােজিনী বলল, ও ভগবান, আপনার যন্ত্র এত বিশাল। এটা তাে আমাকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলবে।’ সে উরু চেপে রেখে তাকে বিদ্ধ করা থেকে বিরত করার প্রাণপণ চেষ্টা করতে করতে বলল, “দিব্যি করে বলুন, আমাকে ব্যথা দেবেন না। অন্তত এটুকু মাথায় রাখবেন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির এবং বহু-বহুদিন কেউ আমাকে সঙ্গম করে নি।

মােহন নিজেকে গর্বিত, সক্ষম এবং বিপুলভাবে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করলেন। তবু অন্যান্য মহিলার সাথে যে ধরনের ব্যবহার করেছেন তার চাইতে সরােজিনীর ক্ষেত্রে ধৈর্ঘশীল হলেন। মােহন অনুভব করলেন, সরােজ তাকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। সে তার উরু ফাক করল এবং মােহন আস্তে আস্তে তার মধ্যে প্রবেশ করলেন। সে দু-হাতে তার গলা পেচিয়ে জড়ানাে কণ্ঠে বলল, ও ভগবান, আপনি তাে আমাকে দু-টুকরা করে ফেলবেন।’ সে পুরােপুরি উত্তেজিত। খসখসে আওয়াজে বলল, আমাকে মেরে ফেলুন। মােহন সজোরে তাকে বার বার বিদ্ধ করতে থাকলেন।

সরােজিনী চিৎকার করল। আতংকে বা ব্যথায় নয়। একাধিকবার চরম তৃপ্তির আনন্দে। এ ধরনের তৃপ্তি লাভের পূর্ব অভিজ্ঞতা তার নেই অথবা বিশ্বাসও ছিল না যে এমন সুখ সম্ভব। তার দেহ শিহরণে কেঁপে কেঁপে উঠে একসময় অবসাদগ্রস্ত হল। এরপর এক ধরনের কম্পন। মূৰ্ছা যাওয়ার মতাে। সে মােহনের মুখ, হাত, বুকে পাগলের মতাে আঁচড় বসাতে বসাতে কাঁদতে শুরু করল, আমি একজন বেশ্যা। বাজারের সামান্য পতিতা। আমি একটি কুত্তী।’ মােহন তাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিল, ‘তুমি সে ধরনের কেউ নও। তুমি চমৎকার ভদ্রমহিলা। কিন্তু তুমি জানতে না, ভালােবাসা কাকে বলে।’
সরােজিনী জানে, মােহনের কথার কোনাে অর্থ নেই। তবু সে সান্ত্বনা পেল। তার মাথা মােহনের হাতের উপর রাখলাে। এবং দ্রুত নাক ডাকতে শুরু করল। দুজনের কেউ যার যার অঙ্গ ধৌত করার প্রয়ােজন অনুভব করল না এবং এক অন্যের বাহুতে ঘুমিয়ে পড়ল।…….

…….দুই মহিলা একে অন্যকে যাচাই করে নেয়ার চেষ্টা করল। সরােজিনী লক্ষ্য করল, অস্পৃশ্য এই মহিলা তার চেয়ে অনেক বেশি কাক্ষিত। তার স্তন বিশাল ও সুগঠিত, কোমর সরু এবং নিতম্ব আকর্ষণীয়। সে কালাে, মলিন কাপড় চোপড় পরা, কিন্তু যৌন আবেদনে ভরপুর। ধান্নো কলেজ শিক্ষিকাকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই বিবেচনা করল। তার মাঝে কোনাে যৌন আবেদন না থাকলেও মেধাবী। ধান্নোর যা আছে তার সবই এই মহিলার মধ্যে আছে, কিন্তু ছােট আকৃতির। পুরুষ মানুষ কোনাে বৈষম্য করছে না, যা পাচ্ছে তাই গ্রহণ করছে। এই মহিলাকে তিনি কাজিন বলছেন সারাক্ষণ সাহেব তাকে পাবেন। পুরুষ মানুষ বিশ্বস্ততার ধার ধারে না। এক নারীতে শিগগির ক্লান্ত বিরক্ত হয়ে আরেকটি খুঁজতে শুরু করে।…..

……সরােজিনী তার দিকে দুহাত প্রসারিত করল। তিনি হাত দুটো কিছুক্ষণ ধরে রেখে তাকে টেনে দাঁড় করালেন। ঘােষণা করলেন, এখন বিছানায় যাওয়ার সময়।’
সরােজিনী মােহনের সাথে তার বেডরুমে গেল। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যেভাবে সমীকরণ মিলেছে তাতে মােহন সন্তুষ্ট। গত সন্ধ্যায় তিনি ছিলেন আক্রমণকারী এবং সরােজিনী ছিল শিকারি তীরের ভয়ে ভীত হরিণীর মতো। আজ সন্ধ্যায় সে ডায়ানা, শিকারিনী শুয়ােরকে তার গর্তে ঢুকানাের চেষ্টা করছে।
এবার সে তার সাথে সদয় আচরণের অনুরােধ অথবা তার বিশাল যন্ত্রের ব্যাপারে কোনরকম আতংকও প্রকাশ করল না। বরং আঁকড়ে ধরে প্রশংসা করল, ভালােবেসে আঙুল ছােয়ালাে এবং সেই যন্ত্রের গন্তব্য নির্দেশ করে দিল। মােহন তার দ্বিতীয় দফা মােকাবেলা প্রথম বারের মতােই উপভােগ করল । প্রথমবার ছিল বিজয় অর্জন। দ্বিতীয় বারেরটা যা অর্জিত হয়েছে তা সুসংহতকরণ। তিনি এত আরামে ঘুমালেন যে সরােজিনী কখন তার বিছানা ছেড়ে নিজের বিছানায় চলে গেছে তা টেরও পেলেন না।
লেডি প্রফেসরের দেহের জন্য মােহনের ব্যাকুলতা কমে এলাে। প্রথম সপ্তাহে তিনি যেভাবে তার বেডরুমে গিয়ে তার সান্নিধ্য কামনা করতেন, এখন আর তেমনটা করেন না। ডিনারের আগে যখন তারা একসঙ্গে এসে পান করেন তখন সরােজিনীই প্রকাশ করে যে তার মনে কি পােষণ করছে। দু-হাত মাথার পিছনের দিকে প্রসারিত করে দেয়, শিথিল হয়ে আসা স্তনকে দর্শনীয় করে তােলার ভারতীয় রীতি হিসেবে। ক্রমে শেরী তার ভালাে লাগতে থাকে।…..

……ছিনালীপনার ভান করে সে উচ্চারণ করল, ‘নির্লজ্জ মানুষ।’ ব্যালকনিতে উঠে এসেছেন তিনি। | ‘নির্লজ্জ আমি, না তুমি? আমার কি আছে তুমিই তাে বললে দেখাতে। এদিকে দেখ, ভালাে করে দেখ।’
উপরে এসে চেয়ারে বসলেন। পা দুটো ফাক করা। সরােজিনীর কাছে নিজেকে মেলে ধরেছেন। ড্রেসিং গাউনের বেল্ট খুলে সে তার পাশে বসলাে। দু-হাত তার কাঁধে রেখে পিছনে ঝুঁকে পড়ল, যাতে দুজনই দেখতে পায় যে, তার একটি ক্ষুদ্র ছিদ্রপথ কি করে মােহনের বিশাল অঙ্গকে গিলে ফেলে। একেবারে পুরােটা, রােমশ গােড়া পর্যন্ত। তাদের আজকের এ দেহবিনিময় বেডরুমের অন্ধকারে নয়, বরং চন্দ্রালােকিত ব্যালকনিতে। দেয়ালের উপর দিকে কেউ দৃষ্টি ফেললেই মােহনের কোলে এলিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে দেখে ফেলবে। বিছানায় তাদের উভয়ের যৌনক্রিয়ার চাইতে অনেক বেশি উপভােগ্য লাগছে। উভয়ে নিঃশেষিত হওয়ার পর সরােজিনী উঠে ড্রেসিং গাউন ঠিক করতে করতে জানতে চাইল, এর আগে ব্যালকনিতে কখনাে এমন করেছেন?’
‘কখনাে না। তুমি কি আমাকে পাগল মনে করছাে?’
হাসতে হাসতে সে বলল, “আমরা দুজনই কিছুটা পাগল।’ সে রাতে তারা দুজন এক বিছানায় কাটালাে। কারাে দেহে এক চিলতে কাপড়ও ছিল না। পিছনের দরজার বাবুর্চির কড়া নাড়ানাের শব্দ মােহনকে জাগিয়ে দিল। তিনি দ্রুত ড্রেসিং গাউন পরে নীচতলায় এলেন। সরােজিনী তার গাউনটা হাতে নিয়ে নগ্ন অবস্থায়ই দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে ভিতর থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিল।……

…….সরােজিনী তার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বিছানায় গেল। সব কাপড় খুলে ফেলে বলল, আমাকে যা করতে বলবে আমি তােমার জন্য তাই করব।’
‘এলার্ম আমাদের জাগিয়ে দেয়া পর্যন্ত আমার সাথে শুয়ে থাকা ছাড়া আমি তােমাকে কিছুই করতে বলব না।’ দুজন গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হল। সরােজিনী লক্ষ্য করল মােহনের কোনাে যৌন আকাঙ্ক্ষা নেই। তার শরীরের উষ্ণতা শুধু চায়। আলিঙ্গনের মাঝেই হালকা ঘুমিয়ে পড়ল এবং আলিঙ্গন শিথিল হওয়ায় দুজন দুদিকে ফিরে শুলাে। আবার মুখােমুখি হয়ে একে অন্যের গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমালাে। চারটায় ঘড়ির এলার্ম বেজে উঠায় মােহন উঠল। দেখলাে সরােজিনীও জেগেছে এবং তাকে গ্রহণ করতে আগ্রহী। উভয়েই উত্তেজিত এবং তাদের জীবনের শেষ মিলন বলে প্রবলভাবে একে অন্যের দেহের উপর বিজয়ী হওয়ার জন্য লড়লাে। দুজনের জন্যই এটা ছিল বিদায়ী উদ্যাপন।…….

……তার বহুকিছু রােমন্থন করার আছে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার সময় মেয়েদের সাথে যে সন্ধ্যাগুলাে অতিবাহিত করেছেন সেসব। এছাড়া সেইসব মেয়ের কথা—যাদেরকে শয্যায় নিয়েছেন আমেরিকান, ল্যাটিন আমেরিকান, স্ক্যান্ডেনেভীয় মেয়েরা। তিনি কখনাে এসব নিয়ে মাথা ঘামাননি। তখন তাদের সাথে নিজেকে চমৎকারভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। তারা ছিল অনেক কৌশলী এবং শয্যায় অনতিক্রম্য। কিন্তু কি অদ্ভুত যে, এতদিন পরও কোনাে নারীর সঙ্গে তার প্রথম যৌন অভিজ্ঞতার বিস্তারিত স্মরণ করতে পারেন। কিভাবে একটি নির্দিষ্ট মেয়ের প্রণয়াকাক্ষী হয়ে উঠেছিলেন, প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরা এবং এরপর যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া। কিন্তু তাদের পরবর্তী সাক্ষাৎ এবং শয্যায় গমনের ঘটনাগুলাে তার স্মৃতি থেকে ম্লান হয়ে গেছে। এতে একটি বিষয়ই প্রমাণিত হয়েছে যে, নতুন কোনাে মহিলার সাথে প্রথম যৌনকর্ম সত্যিই উপভােগ্য। একই মহিলার সাথে বার বার মিলন ক্রমেই আবেগহীন হয়ে যায়।

বহু নারীর সঙ্গে তার প্রেম ও যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আরও একটি উপসংহারে উপনীত হলেন যে, মহিলারাও তাদের পছন্দের পুরুষদের সাথে যৌনকর্মে সমান আগ্রহী, তারা চায় পুরুষ মানুষ তাদেরকে সঙ্গম করুক। পুরুষ যেমন বিভিন্ন মহিলার সাথে মিলিত হতে চেষ্টা করে, মহিলারাও সুযােগ। (পেলে বিভিন্ন পুরুষের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে অনুরূপ চেষ্টা করতে সমানভাবে উৎসাহী হয়। যাদের সাথে তার প্রেম হয়েছে, সেসব মেয়েকে শয্যায় নিতে তার কোনাে সমস্যা হয়নি। অনেকে তাে এত বেপরােয়া ছিল যে, যখন তখন যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার জন্য নিজেদের নগ্ন করে ফেলত। অন্যেরা শুরুতে একটু লাজুক ভাব দেখাতাে। কিন্তু মেয়ে দ্রুত চরমে পৌছে যেত, অনেকের চরম অবস্থা আসতে দীর্ঘ সময় লাগত। দ্বিতীয় শ্রেণির মেয়ের জন্য তিনি খুব যত্নশীল ছিলেন না। কারণ এরা প্রথম দিকে তাকে পুরােপুরি সক্ষম বলে ভাবতাে না। এছাড়া কমবেশি সকলে একই রকম। বৃহৎ বা ক্ষুদ্র অন্যধারী, মােটা বা ক্ষীণদেহী, গুরু নিতম্বের অধিকারী অথবা দৃশ্যমান নয় এমন নিতম্বের; কিন্তু আসল ব্যাপারে এসব পার্থক্য সামান্যই। ভারতীয়রা বিষয়টি এভাবে প্রকাশ করে, মহারাণী হােক, মেথরাণী হােক, বিছানায় সবাই সমান।……

……ধান্নোকে চাকুরিচ্যুত করার কোনাে ইচ্ছা মােহনের ছিল না। তাকে শুধু ভয়ের মধ্যে রাখার জন্য ধমক দিয়েছেন। কয়েকদিন পর তিনিই ধান্নোকে বললেন যে, পরদিন সকালে তিনি দুই চাকরকেই বাইরে পাঠাচ্ছেন এবং ফ্লোরের কাজ শেষ করার পর তাকে পেতে চান।……ধান্নো ফ্লোর মুছছিল এমন মনােযােগের ভানে যেন সাহেবকে দেখতেই পায়নি। মােহন ঝুঁকে তার কোমর আঁকড়ে ধরলেন এবং আলগে ধরে তাকে বিছানায় নিয়ে এলেন। তিনি তার সালােয়ার কামিজ খুলে ফেলে প্রবলভাবে তার উপর উপগত হলেন। অতি পরিচিত একটি দেহের সঙ্গে দীর্ঘ বিরতির পর মিলনে নতুনত্বের স্বাদ অনুভব করলেন মােহন। ধান্নো তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য আরও বেশি আগ্রহী। মােহন ক্ষিপ্তভাবে প্রতিবার আপতিত হচ্ছিলেন এবং ধান্নো তাকে পিষ্ট করার জন্য আঁকুতি জানাচ্ছিল। তিনি তাই কামনা করছিলেন। তাদের পুনর্মিলন সফল প্রমাণিত হল। ধান্নো বিছানা থেকে উঠল। কাপড় পরতে পরতে সে জানতে চাইল, আচ্ছা সাহেব, আমাকে সত্যি করে বলুন তাে, আপনার ওই প্রফেসর মেমসাহেব কি আমার চেয়ে ভালাে?……

…….সরােজিনী চলে যাবার দিন পনের পর মােহন দুটি দম্পতিকে ডিনারে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তারা জানত যে, মােহন তাঁর স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। অতএব এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। যখন তারা এলাে তিনি পুরুষ বন্ধুদের সাথে হাত মিলালেন এবং তাদের স্ত্রীদের দু-গালে চুম্বন করলেন। স্ত্রীদের চুম্বন শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, তাদের স্বামীরা যদি তাকিয়ে থাকে তাহলে, আর স্বামীদের অনুপস্থিতিতে ঠোটে চুম্বন করাই রীতি।……

…….নর্দান রেলওয়ে অফিসে সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন আমার বাবা। নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের কাছেই কেরানিদের কোয়ার্টারে বাস করতাম আমরা। এক তরুণী চাকরানি আমাদের খাবার রান্না করে দিত এবং ঘরদোর পরিষ্কার করত। দিনের বেলায় বাবা যখন কাজে চলে যেতেন তখন সে আমাকে দেখে রাখতাে। পড়শীদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতাম আমি। মাঝে মাঝে আমরা যখন একা থাকতাম এবং তাকে জ্বালাতন করতাম তখন সে তার কামিজ গলা পর্যন্ত তুলে আমাকে তার স্তন চুষতে দিত। আমি তখন একেবারেই শিশু। কিন্তু আমার স্মৃতি প্রখর-আমি এখনাে স্মরণ করতে পারি যে তার স্তন ছিল মসৃণ, দৃঢ় এবং বিশাল। গরমের দিনগুলাে ঘামে স্তন স্যাতস্যাতে থাকত এবং মুখে নােনতা স্বাদ লাগত।……

…….ছেলেদের কাছ থেকে আমার লিঙ্গের আকৃতির কাহিনি তাদের মেয়ে বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে পড়ল। এটি আমার সে ধরনের কোনাে জিনিস নয়, যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত হওয়াটা আমি পছন্দ করতে পারি। কিন্তু এর ভালাে মুনাফা পাওয়া গেল। মেয়েদের বন্ধুরা যা দেখেছে তারা তা দেখার ব্যাপারে উৎসুক হয়ে উঠল।……

…..জেসিকা ব্রাউনী নামে এক মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা হল। সে আমার চেয়ে এক বছরের সিনিয়র। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের মধ্যে সেরা টেনিস খেলােয়াড়। একদিন বিকেলে আমার খেলা শেষ করার পর পাশের টেনিস কোর্টে কোচের সাথে তার অনুশীলন দেখছিলাম। মেয়েটির দেহের গঠন চমৎকার। দীর্ঘাঙ্গী, মেদহীন এবং চকোলেটের মতাে গায়ের রং। বিরাট স্তন, সরু কোমর, স্ফীত নিতম্ব এবং ক্রীড়াবিদের দীর্ঘ দৃঢ় মসৃণ পা। কোর্টে বলে আঘাত করার সময় সে প্যান্থারের মতাে লাফ দিচ্ছিল। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে হা করে তাকে দেখছিলাম।……

…..টেনিস কোর্টের পর প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় ডিনারের পর আমরা হাঁটতাম। হাত ধরে ছবি দেখতাম। রাতে ‘গুডনাইট’ বলে বিদায় নেয়ার আগে আমরা গালে গাল মিলাতাম, যা অল্প সময়ে ঠোটে চুম্বন এবং এরপর জড়িয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ চম্বনে গড়ালাে। সে তার জিহবা আমার মুখের মধ্যে ঘুরাতাে। শীঘ্রই তার ধারণা হল যে, এর বেশি অগ্রসর হবার ক্ষেত্রে আমার সাহস বা আস্থার ঘাটতি আছে। অতএব সে নিজেই উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল। সে তার রুমে গিয়ে মদ পান করার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানালাে। এরই মধ্যে আমি দু-এক গ্লাস বিয়ার পান করতে শুরু করেছি। তার রুমে গেলাম। কামনাব্যগ্র চুম্বন দিয়ে সে আমাকে অভ্যর্থনা জানালাে। আমি উত্তেজিত হয়ে উঠছি। বললাম, “জেসিকা তােমার দেহের গঠন অত্যন্ত সুন্দর। এরকম আকর্ষণীয় দেহ আগে কখনাে দেখিনি।’

সে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কি দেখতে চাও সত্যি সত্যি আমি কেমন? আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই সে তার ব্লাউজ ও স্কার্ট খুলে ফেললাে। আমি কখনাে কোনাে নগ্ন নারী দেখিনি। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সে নিঃসন্দেহে সুন্দরী। ঘন কালাে কোকড়ানাে চুল, কামনাপূর্ণ চোখ, বড় কালাে বােটাসমৃদ্ধ বিরাট স্ফীত স্তন। তার কোমরের নিচের দিকে তাকাতে আমার ভীষণ লজ্জা লাগছিল।

আমার বিব্রত ভাব দেখে সে বলল, তুমি কি কখনাে নগ্ন মেয়ে মানুষ দেখোনি?’
উত্তর দিলাম, কখনাে না। তােমাকেই প্রথম দেখছি।’ সে নির্দেশ দিল, তােমার কাপড়ও খুলে ফেলাে।’ আমার কাছে এলাে সে। তার স্তন উঠানামা করছিল। আমি তার নির্দেশ পালন করলাম। সকল বস্ত্র উন্মােচন করে আমিও নগ্ন হলাম।
‘ওয়াও! আমি একি দেখছি!’ বিস্ময়ে তার চোখ বড় বড় হল। পৃথিবীর কোথা থেকে তুমি ওই বস্তু ক্রয় করেছাে? কৃষ্ণাঙ্গ বালকদের অঙ্গ শ্বেতাঙ্গদের চাইতে বড়। কিন্তু আমি যেগুলাের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি সেগুলাের মধ্যে তােমারটাই বৃহৎ। সব হিন্দুর যন্ত্রই কি এমন?’
আমি উত্তর দিলাম, আমার কোনাে ধারণা নেই।’ দুই হাত দিয়ে সে এটা আঁকড়ে ধরল এবং জানতে চাইল, ‘বেবী, তুমি কি এখনাে ভার্জিন?
আমি প্রতিবাদ করলাম, ‘আমি একজন পুরুষ। মেয়েরাই শুধু ভার্জিন (কুমারী) হয়।’
সে হাসলাে, কোন মেয়ের সঙ্গে যদি কখনাে না শুয়ে থাকো তাহলে তুমি ভার্জিন, বুঝলে বাপু। চিন্তা নেই, খুব শিগগির আমরা ব্যাপারটা চুকিয়ে ফেলব।’

জেসিকা আমাকে ওর বিছানায় নিল। ওর বুকের উপর টেনে তুলল এবং তার মধ্যে আমার অঙ্গের পথনির্দেশ করল। আমাকে ভিতরে গ্রহণ করার শিহরণে আমার মনে হল দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি সরাসরি তার ভিতরে পৌছামাত্র সে পরম সন্তোষে মুখে নানা শব্দ উচ্চারণ করছিল। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। জীবনে এটা ছিল আমার প্রথম নারীদেহের স্বাদ গ্রহণ। তার মধ্যে প্রবেশ মাত্রই আমি অসহায়ের মতাে নিঃশেষিত হলাম। কখনাে কল্পনাও করতে পারিনি যে যৌনকর্ম এত আনন্দদায়ক হতে পারে। মনে হল, এটা আরও দীর্ঘতর হওয়া উচিত ছিল।

জেসিকা আমাকে সান্তনা দিল, ‘মন খারাপ করাে না। প্রথম বার সবসময় এমনই হয়। কিন্তু খেলা এখনাে শেষ হয়নি।

‘সত্যি বলছাে? আমি দম নিলাম এবং তার স্তনের মাঝখানে আমার মুখ ডুবিয়ে দিলাম। বেশিক্ষণ কাটেনি, অনুভব করলাম আমার সঙ্গী দৃঢ়তর হয়ে জেসিকার উরুর মাঝে তার পূর্ণ আকৃতি লাভ করছে। আমি লােভীর মতাে তার উপর হামলে পড়লাম। আমার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজটা পুনঃ পুনঃ করার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলাম এবং আমি তাই করলাম।

রাত ন’টার পর মেয়েদের রুমে ছেলেদের অবস্থানের কোনাে অনুমতি নেই। এ সময়ে পর ধরা পড়ার পরিণতি গুরুতর হতে পারে। দুজনের কেউই
সেই পরিণতির তােয়াক্কা করলাম না। একত্রে শুয়ে থাকলাম সারাটা রাত। ক্লান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমরা চার দফা মিলিত হলাম। পরদিন সকালে আমি জেসিকার রুমে থেকে বের হলাম হাতে একগাদা বই নিয়ে, মেয়েদের হােস্টেলে উপস্থিতির একটা ব্যাখ্যা হিসেবে। আমি মােহন কুমার, বিশ বছর বয়সে আমার কৌমার্য হারালাম।……

…..ঈর্ষাপরায়ণতাকে আমেরিকানরা মধ্যযুগীয় আবেগ বলে তাচ্ছিল্য করে। একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছুটে গেছে, আরেকজনের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলাে। এরপর আরেকজনের সঙ্গে। প্রিন্সটনে অনেক মেয়ে-সুন্দর দেহের সােনালি মেয়ে, যাদের বিপুল স্তন, সােয়েটার ফেটে বেরুবার মতাে, ফিটফাট কালাে কোকড়ানাে চুলের ইহুদী মেয়ে এবং প্রাচ্যদেশীয় ধাচের। এছাড়া ইউরােপের, মেক্সিকো ও ল্যাটিন আমেরিকার মেয়েরাও আছে। বহু মেয়ে আমার সাথে প্রেম করতে আগ্রহী। অতএব আমি আমার প্রেমিকার তালিকা থেকে জেসিকার নাম কেটে দিলাম এবং গরম হওয়া গাভীর পালে আমি ক্ষ্যাপা ষাড়ের মতাে অভিযানে নেমে পড়লাম। পরবর্তী বসন্ত ও গ্রীষ্মে অগুনতি মেয়েকে আমি শয্যায় গ্রহণ করলাম। এখন, এমনকি তাদের নামও আমার মনে পড়ে না। শুধু একটি নামই স্মরণে আছে, কারণ তার সাথে ছিল আমার সবচেয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা।……

…….হিন্দুদের জন্য হাম, গুটিবসন্ত, প্লেগের দেবতা আছে। তাদের সবচেয়ে প্রিয়। দেবতা কৃষ্ণ, যার জীবন শুরু হয়েছিল চুরি করার মধ্য দিয়ে। ধরা পড়ে সে মিথ্যা কথা বলে। মেয়েরা যখন গােসল করছিল তখন কৃষ্ণ তাদের কাপড় চুরি করে, যাতে সে তাদের উলঙ্গ শরীর দেখতে পারে। এক হাজারের বেশি মহিলার সাথে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। তার সারা জীবনের সঙ্গী রাধা তার স্ত্রী ছিল না। বরং সে ছিল তার মামি।……

…….অনেক কাশ্মীরী মেয়ের মতোই ইয়াসমিনের গায়ের রং ককেশীয় মেয়েদের মতাে অতি ফর্সা, মসৃণ | বাদামের রং এর মতো তার চুল, হরিণীর মতো টানা বড় চোখ । ……তাকে পাঞ্জাবী ভাষায় বলা চলে, “পােরি চিত্তে পালে মােটলে- ফর্সা সুন্দর গােলগাল মােটাসােটা। ……..

…….সেই সন্ধ্যায় আমি এমনটি আশা করিনি। এছাড়া ইয়াসমিনকে কখনাে আমার যৌনসঙ্গী করার কথা ভাবিনি বা আমার দৃষ্টিতে সে কাংখিত বলে বিবেচিত হয়নি। কিন্তু প্রতিবাদের কোন সুযােগই দিল না সে। আমাকে টেনে নিয়ে গেল বেডরুমে। সে তার অলংকার ছাড়া সবকিছু খুলে ফেললাে। তার ত্বক মসৃণ এবং তুলতুলে, তার বিরাট স্তন ঝুলে পড়েছে। সে গােপন স্থানের কেশ মুন্ডন করেছে। যেসব মেয়ের সাথে আমি শয্যায় গেছি, তাদের কেউই অবাঞ্চিত কেশ মুন্ডন করতাে না। আমি দেখে খুবই বিস্মিত হলাম যে, বিশালদেহী এই মহিলা, যে দু’টি সন্তানের জন্ম দিয়েছে; তার যােনী এতো ক্ষুদ্র। খুব নিরীহ দর্শন মনে হচ্ছিল। আমি যখন তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখছিলাম সেই মুহূর্তে সে আমার শার্ট খুলে ফেলেছে এবং ট্রাউজার নামিয়ে দিয়েছে। সে আমার সঙ্গীকে দেখে রিতিমত বিশ্বিত; মাশাল্লাহ! তােমার ওখানে ওটা কি? সব হিন্দুর অঙ্গ কি এই আকৃতির? তারা যে লিঙ্গ পূজা করে, এটা নিশ্চয়ই তার পুরস্কার। সে তার মােটা হাতে আমার অঙ্গ নিয়ে খেললাে। তার ঠোট আমার ঠোটে আঠার মতো লাগিয়ে রেখেছে।

বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে সে আমাকে তার উপরে নিল এবং উরু যতটা সম্ভব প্রসারিত করলাে আমাকে স্বাগত জানানাের জন্যে। আমি তার মধ্যেপ্রবেশ করলাম। তৃপ্তিতে সে গােঙাতে শুরু করেছে এবং দুপা দিয়ে আমার কোমর বেষ্টন করে রেখেছে। আমার মুখে সে কামড় এবং চুম্বন দিচ্ছিল। একসাথে আমরা চরমে উঠলাম। সে ক্লান্ত অবসন্ন ও নিস্তেজ হয়ে পড়লাে। ……. আমরা খেতে বসলাম। লক্ষ্য করলাম, সে সালােয়ার পারেনি। হাঁটুর কাছে তার কামিজ ঝুলে আছে। যখন সে উঠছিল বা বসছিল তার প্রশস্ত উরু পুরােপুরিই প্রকাশ পাচ্ছিল। আমি বুঝতে পারলাম তার শারীরিক চাহিদা পূরণ হয়নি এবং ডিনার শেষে আরেক দফা আকাংখা করছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে, এরই মধ্যে আমি তার সাথে পেরে উঠবাে কিনা। ভাবনাহীন সৌজন্যের মতাে আমি তার আহবানে সাড়া দেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম। যে যখন বাসনকোসন পরিষ্কার করছিল, আমি শুকনাে কাপড়ের টুকরা দিয়ে সেগুলাে মুছে রাখছিলাম। আমি ডান হাত তার কামিজের নিচে গলিয়ে তার বিশাল নিতম্বে চাপ দিলাম। যেন দুটি তানপুরার লাউ একত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিশাল, গােলাকৃতির এবং সুমসৃণ। সে ইঙ্গিতপূর্ণ হাসলো এবং আমার ঠোটে চুমু দিল। তুমি দ্বিতীয় দফা এটা করতে চাও ? আমিও চাই। এবার ভিন্নভাবে কাজটা করবাে।’ ভিন্নভাবেই হলাে। সে দাড়িয়ে উপর দিকে হাত উঠিয়ে হাই তুললাে । আমার হাত ধরে টানতে টানতে বললাে, এখন শােস্ত্রার সময়। বিছানায় ঠেলে দিয়ে বললাে, এবার তুমি শুয়ে আরাম কর পুরো কাজটা আমিই করবাে।’

আমার ট্রাউজার টান দিয়ে খুলে ফেলে কাজের জন্যে প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত সে আমার সঙ্গীকে নিয়ে খেললাে। আমার দেহের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে বসলাে। তার বিশাল দেহ আমার উপর ছড়িয়ে দিয়ে আমার উথিত অঙ্গ তার মাঝে গ্রহণ করলাে । সে সিক্ত এবং আগ্রহী ছিল; অতএব খুব সহজে সেটি তার দেহে বিলীন হলাে। তার বিশাল স্তন যুগল আমার মুখ আচ্ছাদন করে ফেলেছে। সে একটা একটা করে বােটা আমার মুখে পুরে দিয়ে চোষার জন্যে মিনতি করছিল। ক্ষুধার্তের মতো চুম্বন করছিল ওর মুখে নাকে ও গলায়। তার লালায় আমার সারা মুখ, গলা ভিজে গেছে। সে যখন চরমে উঠছে, তখন তার গুরু নিতম্বের ভার আমার উপর আছড়ে পড়ছে। তার উথ্থান পতনে যখন চরম উন্মাদনা তখন সে বললাে, “ছ’মাস ধরে আমি ক্ষুধার্ত, বলতে পারাে ক্ষুধায় মৃত প্রায়। তােমার যা আছে তার সবটা দিয়ে আমাকে পূর্ণ করাে ঘৃণ্য কাফির। অতপর দর্শনীয় একটি ঝাঁকুনি দিয়ে আর্ত চিৎকার করে মৃতদেহের মতো আমার উপর আপতিত হলাে। বাস্তবিকপক্ষে পুরাে কাজটি সেই করলাে। আমি শুধু তার দ্বারা ব্যবহৃত হলাম।…….এরপর ইয়াসমিন ওয়ানচোর সাথে আমার আর সাক্ষাৎ হয়নি।………….

……কল্পনা আমাকে নিয়ে গেল ইয়াসমিনের কাছে। যত মহিলাকে আমি শয্যায় নিয়েছি তাদের মধ্যে ইয়াসমিনই ছিল মােটা, মাঝবয়সী, বিবাহিতা মুসলিম মহিলা, তিন সন্তানের মা। সে আমাকে বেশি ভাবাচ্ছে। সে আমাকে পি করেছিল যে, হিন্দুরা গঙ্গায় ডুব দিয়ে তাদের পাপ ধুয়ে ফেলে। সন্দেহ নেই যে, ভারতীয় হিন্দু কাফিরের সঙ্গে তার ব্যভিচারী সঙ্গমের পাপ মক্কা ও মদিনায় গিয়ে ধর্মীয় রীতি পালনের মাধ্যমে মােচন করে ফেলেছে।……

……আমি দু,তিনটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছি। এবং আমার এমন কোনাে প্রেমিকা নেই যাকে আমি বিছানায় নেইনি। যখনই আমার মনে হয়েছে যে, কোনাে মেয়ে আমার সাথে আবেগী হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে, তার সাথে সম্পর্ক এড়িয়ে চলেছি। এর ফলে বহু অগ্রন্থিত স্মৃতি আমার কাছে ফিরে ফিরে আসছে। সেসব মহিলাদের ছায়া শুধু ভাসছে- একজনের হয়তাে তরমুজের মতাে স্তন, আরএকজনের বিশাল নিতম্বের ভুয়সী প্রশংসা করতাম আমি। যখন আমরা দুজন তার বা আমার রুমে মিলিত হয়েছি, সে তার পুরাে দিগম্বর হয়ে তার অঙ্গগুলাে প্রদর্শন করত ফ্যাশন শাে’এর মডেলের মতাে হেঁটে হেঁটে। সেই মেক্সিকান মেয়ের কথা মনে পড়েছে, যার উপর পিছন দিক হতে উপগত না হওয়া পর্যন্ত সে তৃপ্ত হত না। তৃপ্তিতে যখন তার গলা দিয়ে এক ধরনের আওয়াজ বেরুতাে তখন তার পশ্চাদদেশ উচুতে তুলতাে এবং মুখ গুঁজে দিত বালিশে। নীল ছবির মতাে এ ধরনের দৃশ্যগুলাে যখন আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে ……

…….ইন্টারভিউ পর্ব চলেছে। আমি শুধু বােবা দর্শকের মতাে একটির পর একটি মেয়ের উপর আমার দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছি। আমার তীক্ষ্ম দৃষ্টি তাদের শাড়ি বা সালােয়ার কামিজ উন্মােচন করেছে। এবং প্রত্যক্ষ করেছি যে তাদের প্রত্যেকে বিভিন্নভাবে শয্যায় উপযুক্ত এবং উপভােগ্য। রাতের কল্পনায় তারা আমার শয্যায় এসেছে। এবং তাও আমি উপভােগ করেছি। ……

……আমি বিয়ের খুঁটিনাটি বিষয় ভেবে দেখলাম। ভালােবাসা বা সাহচর্যের চাইতে এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়ােজন হচ্ছে যৌনবাসনা পরিতৃপ্ত করা। দীর্ঘদিন আমরা আহম্মকের মতাে বিশ্বাস করেছি যে, সুখী পুরুষ ও নারীর সুখের ভিত্তি হচ্ছে প্রেম। প্রেম হচ্ছে এক মায়াময় বা কাল্পনিক ধারণা এবং ভিন্ন ভিন্ন মানুষের কাছে এর অর্থ বিভিন্ন রকম। কিন্তু কামনার ক্ষেত্রে কোনাে কল্পনা নেই। কিন্তু সব মানুষের কাছে কামনার অর্থ অভিন্ন। কামনা হচ্ছে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি দৈহিক প্রকাশ। জড়াজড়ি, চুম্বন এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলােতে হাতের ব্যবহারের অনিবার্য পরিণতি যৌন মিলন। কামনাবিহীন প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কামনা কখনাে সময়ের সীমারেখায় আবদ্ধ নয় এবং প্রেম ও ভালােবাসার বাস্তব ভিত্তিই হচ্ছে কামনা।
আমেরিকায় আমার কাঙ্ক্ষিত সব ধরনের যৌন তৃপ্তি আমি লাভ করেছি এবং সবই দীর্ঘ স্থায়িত্বের প্রতিশ্রুতি ছাড়া। কিন্তু ভারতে এটা সহজ নয়। বেশ্যালয়ে গমণ বা কল গার্লের অপেক্ষা করা আমার কাছে রুচিকর মনে হয়নি। যদি কোনাে কর্মজীবী মহিলাকে আমার শয্যাসঙ্গী হওয়ার ব্যাপারে সম্মত করাতেও সক্ষম হই তাহলে তাকে কোথাও নিয়ে মিলিত হওয়ার জায়গা আমার নেই। ভারতবাসীরা ব্যক্তিগত গােপনীয়তায় বিশ্বাস করে না। তারা যেখানে সেখানে নাক গলায় এবং নিজের কাছে সন্তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে অন্যের ব্যাপারে বেশি মাথা ঘামায়। সকল বিবেচনায় অন্তত বিয়ের মাধ্যমেই আমার শয্যায় একজন নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত হতে পারে।……

…….ড্রেসিং রুমে আয়নার সামনে বসে আস্তে আস্তে সে তার সব অলংকার খুলছিল। হাতির দাঁতের চুড়ি সে খুলল না। নববিবাহিতা এই চুড়ি কমপক্ষে পনের দিন খুলতে পারবে না। বাথরুমে গিয়ে শাড়ি পাল্টে সে ড্রেসিং গাউন পরল। আমি বুঝতে পাচ্ছি সে বিচলিত হয়ে উঠছে। তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম। তুমি খুব সুন্দরী।’ তার স্তন, পেট ও পায়ের দিকে তাকালাম। সে মুখ খুলল, তুমি তাই মনে করাে। আমাকে আগে কেউ বলেনি। একমাত্র আমার মা ছাড়া।’
‘আমি বলছি, সেটাই কি যথেষ্ট নয়?
আমি বিছানায় বসলাম। তখনাে আমার পরনে বিয়ের সাজ, শেরােয়ানি, চুড়িদার পায়জামা। সনুর হাত ধরে টেনে আমার কোলে বসালাম। সে বলল, ‘তুমি কি আমাকে ব্যথা দেবে?
আমি তার গলার পিছনে চুমু দিয়ে বললাম, প্রথম বার সামান্য ব্যথা লাগতেও পারে।’

সে তার মুখ ফিরিয়ে আমার নাকে চুমু দিল। আমি বললাম, এভাবে নয়।’ তার মাথা বালিশে স্থাপন করে ঠোটের উপর চুমু দিতে শুরু করলাম। সে ঠোট শক্ত করে চেপে রেখেছে। দু-হাতে তাকে জড়িয়ে ধরে রাখলাম । সে শক্ত হয়ে আছে। আমি আস্তে আস্তে তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। তার স্তনের উপর হাত রাখলে সে আবার নিশ্চল হয়ে আমার হাতটা সরিয়ে দিল এবং বলল, ‘প্রথম রাতের জন্য যথেষ্ট হয়েছে। এখন তুমি তােমার বিছানায় ঘুমাও। আমি আমার বিছানায় ঘুমাবাে। আগে কখনাে আমার বিছানা কারাে সাথে শেয়ার করিনি।’
সে উঠে তার বিছানা বিছালাে। আমি বাথরুমে গেলাম। দাঁত ব্রাশ করলাম এবং নাইট ড্রেস পরলাম। কামনা আমাকে পীড়িত করে তুলেছে। তার সতীত্ব মােচনের আকাক্ষা আমার মধ্যে। সােহাগ রাতের অর্থই তাই। কাজটা একদিন বা দুদিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে। বাতি নিভিয়ে দিলাম। জেসিকা এবং অন্য যে মহিলাদের উপর উপগত হয়েছি তাদের শরীর নিয়ে কল্পনায় মেতে উঠলাম। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ল মােটা ইয়াসমিন ওয়ানচোর কথা যার গােলাকৃতির লাউ এর মতাে বিশাল নিতম্বের উত্থান পতন ছিল আমার উপর।…..

…..আমরা পাশাপাশি বসলাম। সে ক্যামপারি পান করছে, আমি স্কচ হুইস্কি। এক হাতে তাকে কাছে টেনে দুই হাতে মুখটা ধরে আবেগের সাথে চুম্বন করলাম । ভগবানের দোহাই, তােমার মুখটা খুলাে, যাতে আমি জিহ্বা দিয়ে অনুভব করতে পারি যে তােমার মুখে কি আছে?

নিস্পৃহভাবে সে মুখ খুলল। আমি চুমুর পর চুমু দিয়ে যাচ্ছিলাম, ওর সারা মুখে এবং বারবার ফিরে আসছিলাম ঠোটে। ক্রমে সে আমার উদ্যোগে সাড়া
দিতে শুরু করল। আমি একটি হাত ওর ব্লাউজের মধ্যে গলিয়ে দিলাম। এক মুহুর্তের জন্য তার দেহ শক্ত হল, এরপর মর্দন করতে দিল। অনুভব করলাম তার স্তন আমার হাতের নিচে উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং বােটা চেরীর মতাে শক্ত হয়েছে। আমি এখনাে নিশ্চিত নই যে ওকে গ্রহণ করার এটাই উপযুক্ত সময় কি না। বেয়ারার যে কোনাে সময় এসে পড়তে পারে ডিনারের অর্ডার নিতে। আমাদের পরনে এখনাে দিনের কাপড় চোপড়ই রয়ে গেছে। অতএব সিদ্ধান্ত নিলাম। ডিনার শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমি মােটামুটি নিশ্চিত যে, সে আজ মানা করবে না।……

……আমি তাকে জায়গা করে দিলাম। ভীত শিশুর মতাে সে আমাকে আঁকড়ে ধরল। প্রতিবার বিদ্যুতের চমকও বজ্রের শব্দের সাথে সে আমার আলিঙ্গনের গভীরতায় ডুবে যেতে চাইছিল। আমি গভীরভাবে তাকে জড়িয়ে ধরে থাকলাম। আমি তাকে চুম্বন দিতে শুরু করলাম। এবার সে মুখ খুলল যাতে আমি জিহবা দিয়ে এর গভীরতা আবিষ্কার করতে পারি। সে তার স্তন মর্দন করতে দিল। স্তন মুখে পুরলাম। ক্ষুধার্ত শিশুর মতাে চুষলাম। এবার সে যথার্থই জেগে উঠছে। উরুর মাঝে হাত দিয়ে তার আর্দ্রতা পরীক্ষা করলাম এবং মর্দন অব্যাহত রাখলাম। সে গােঙাতে শুরু করল, ও ভগবান! তুমি থেমাে না।’ ভাবলাম উপযুক্ত সময় এসেছে। কিন্তু আমার উপগত হওয়ার পূর্বেই সনু চরম অবস্থায় পৌছে মৃতদেহের মতাে এলিয়ে পড়ল।

আমি প্রতিবাদ করলাম, এটা তােমার উচিত হয়নি। তুমি একা সব মজা লুটলে আমাকে উত্তপ্ত এবং শুষ্ক রেখে।’
‘তুমি কি বুঝাতে চাও? তােমার কি ভালাে লাগেনি?’
‘এটার দিকে তাকাও।’ আমি তার হাত ধরে আমার উত্তেজিত ক্ষিপ্ত অঙ্গ ধরিয়ে দিলাম। সে নিশ্চয়ই বিস্মিত হয়েছে, এটা তাে লােহার রডের মতাে শক্ত। খুব বড়সড়াে লােহার রড। এটি আমার মধ্যে দিলে আমার মৃত্যু ঘটবে।’
তার পিঠে ঢলতে ঢলতে বললাম, এখন শান্ত হও। তুমি নিশ্চিত নির্ভয়ে এটা গ্রহণ করতে পারবে। প্রথম বারের পর তুমি এটি পছন্দ করবে।’ এক ঘণ্টা পর আমরা আবার চুম্বন শুরু করলাম। আবার তার স্তন মর্দন করলাম। আবার উরুর মাঝখানে হাত দিলাম। সে আবার সিক্ত হয়ে উঠেছে। তাকে সতর্ক করলাম, এবার কোনাে ছলনা নয়, প্রতারণা নয়। ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক আর নয়।’
সে বিড় বিড় করে বলল, “ঠিক আছে। কিন্তু ধীরে, খুব ধীরে।’
আমি ধীর এবং ভদ্র। আমি জানি সে কুমারী। এর আগে কোনাে কুমারীকে শয্যায় নেইনি। যখন তার মধ্যে প্রবেশের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি, প্রতিবার সে ঝাকুনি দিয়ে উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। প্রবলভাবে তার মাঝে প্রবেশ করলাম। ব্যথায় সে আর্ত চীৎকার করে উঠল এবং পিন দিয়ে গেঁথে রাখা প্রজাপতির মতাে বিছানা চাপড়াতে লাগল। কয়েক মাস বিরত থাকায় আমার মাঝে বীর্যের যে মজুত গড়ে উঠেছিল, সবই তার মধ্যে ঢেলে দিলাম।
কিছুক্ষণ পর্যন্ত সে বিলাপ করল, ‘তুমি নিষ্ঠুর। দেখাে তুমি আমার কি করেছাে।’ সুইচ টিপে সে টেবিল ল্যাম্প জ্বালালাে। সাদা বেডশীটে ছােপ ছােপ রক্ত। উপচানাে বীর্য। ‘বেয়ারার যখন সকালে বিছানা ঠিক করতে আসবে তখন সে কি ভাববে?’
আমি উত্তর দিলাম, ওরা এসব দেখে অভ্যস্ত। এটা হানিমুন স্যুট এবং যারা কুমারী তাদের সতীচ্ছদ ফেটে গেলে রক্তপাত হবেই। যাহােক আমি বেডশীট পানিতে রেখে দাগগুলাে উঠিয়ে দিচ্ছি।’ আমরা উঠলাম। বেডশীট তুলে নিয়ে গরম পানিভর্তি বালতিতে রেখে দিলাম। আমি নিজেকেও পরিষ্কার করলাম। কারণ আমার শরীরেও সনুর রক্ত লেগেছে। সে তার উরু থেকে রক্ত এবং বীর্য অপসারণ করল।……

…..বিকেলের মধ্যে তার ব্যথা চলে গেল। যা ঘটেছে তার স্মৃতি সনুর মধ্যে জীবন্ত এবং যে তৃপ্তি সে লাভ করেছে পুনরায় তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সে ভালাে করে ভ্যাসেলিন ব্যবহার করেছে কোন ব্যথা নেই, শুধুই আনন্দ ও সুখের অনুভূতি। তৃতীয় দিবসে সে বিকেলে এবং রাতেও সে মিলিত হল। চতুর্থ দিবসে সে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সকালে, লাঞ্চের পর ঘুমানাের আগে এবং রাতে ঘুমানাের আগে মিলিত হবার জন্য আমাকে দিব্যি দিয়ে রাখলাে। তার মধ্যে আর ক্লান্তির লেশমাত্র নেই। সে জেনে গেছে কিভাবে আমাকে উত্তেজিত করতে হবে। বাথরুম থেকে বের হয়ে আসবে সবকিছু দেখা যায় এমন পাতলা হাফ সার্ট পরে। আমি স্পষ্ট তার স্তন দেখতে পারি এবং অর্ধ উন্মুক্ত নিতম্ব। বড় আয়নার সামনে সে এমনভাবে চুল আচড়ায় যে তার স্তন লাফাতে থাকে। তার মধ্যাঙ্গে কলােন স্প্রে করার জন্য যখন ঝুঁকে পড়ে তখন আধ ঢাকা নিতম্ব পুরােটাই বিকশিত হয়। সে জানে এরকম ধীর প্রদর্শনে ফল লাভ অবশ্যম্ভাবী। সে সােজা আমার সামনে এসে সরাসরি তাকিয়ে বলে, ‘আমি জানি তােমার মনের মধ্যে কি আছে। এসাে, মনের মধ্যে পুষে রেখে কি লাভ।’ পঞ্চম দিবসের সন্ধ্যায় তাকে খুব উচ্ছ্বসিত মনে হল। পাহাড়ের উপরে পূর্ণিমার চাঁদ। সে সব বাতি নিভিয়ে দিল। চাঁদের আলােতে রুম উদ্ভাসিত। জানালা খুলে দিল সে। জানালা দিয়ে কৌশলা উপত্যকা দেখা যাচ্ছে। জানালায় ঝুঁকে সে মনােরম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করবে। পাতলা শেমিজে তার গােলাকার নিতম্ব স্পষ্ট। আমাকে ডাকলাে, মােহন, এসাে, দেখাে কি চমৎকার।

আমি তার কাঁধে হাত রেখে পিছনে দাঁড়ালাম। সে পিছনে আমার উদরের তলদেশে ধাক্কা দিল। আমি নাইট গাউনের বােতাম খুলে পিছন দিকে থেকে
তার মধ্যে প্রবিষ্ট হলাম । এটা খুব সুবিধাজনক পদ্ধতি না হলেও উপভােগ্য। আমার অভিজ্ঞতা হতে জানি যে, পিছন দিক থেকে প্রবিষ্ট হলে অধিকাংশ মহিলা দ্রুত চরমে উঠে। দৃশ্যাবলী অবলােকনের জন্য সনু তখনো জানালায় দাঁড়িয়ে। আমি নিজেকে ধরে রাখতে প্রায় অক্ষম হয়ে বললাম যে, “চলাে বিছানায় ভালাে হবে।’ সন্ত আমার অঙ্গ থেকে নিজেকে মুক্ত করে বলল, “র্ণিমার চাঁদকে আমাদের মিলন দেখতে দাও।’ সে তার শেমিজ খুলে কার্পেটে শুয়ে পড়ল । পূর্ণিমার চাঁদ তার দেহের উপর খেলা করছে। আমি তার দেহের উপর উঠলাম। যতক্ষণ সম্ভব আমাদের দেহবিনিময় ধরে রাখলাম। যখন আমরা উভয়ে নিঃশেষ হলাম, চাঁদের আলাে আর রুমে পড়ছিল না । শীতল বাতাসে রুম ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। আমরা একই বিছানায় শুয়ে নিজেদের উত্তপ্ত করলাম ।……

……আমরা মাঝে মাঝে মিলিত হতাম । পাঁচ দিনের হানিমুনে যেভাবে ঘটেছে সেরকম নয়। খুব শান্ত, খােড়া ব্যাপার স্যাপার। পূর্ণ উন্মাদনার সাথে না হলে আমি যৌনকর্মে তৃপ্তি পাই না এবং বিশেষ করে যেখানে এত সতর্কতা এবং সারাক্ষণ ভদ্র মার্জিত থাকতে হয় । সনু দিনে দিনে আরও স্ফীত হতে লাগল। তার স্তন ফুলে উঠল, পেট সামনের দিকে বাড়লাে, যেন সেখানে কলসি বেঁধে নিয়েছে। যথার্থই যৌন আকর্ষণহীনা নারীতে পরিণত হল সে। আমি নিজেকে লক্ষ্য করলাম, আমার চোখ অন্য নারীর উপর ঘুরছে। কেউ আমাকে বলল, একজন পুরুষের ব্যভিচারী মন তখনই প্রবল হয় যখন তার স্ত্রী গর্ভবতী থাকে। কিন্তু নিজেকে দমন করলাম। সনুর প্রথম গর্ভধারণের সময়ে আমি ব্যভিচারী সঙ্গম হতে বিরত থাকলাম।……

…..বয়স্কা নার্স বলল, স্যার, আমার নাম মেরী জোসেফ। আমি রােমান ক্যাথলিক। বাড়ি তামিল নাড়ুতে। তার গায়ের রং কালাে। ত্রিশাের্ধ মহিলা একটু মােটাসােটা। তার পুরুষ্ট স্তনের উপর একটি সােনার ক্রস ঝুলছে। অপেক্ষাকৃত তরুণী নার্স বলল, আমার নাম ইত্তিয়ারা ম্যাথুস। কেরালার কোট্টায়াম থেকে এসেছি এবং আমি সিরীয় খ্রিস্টান।’ সে কালাে নয়, অন্যজনের মতাে মােটাসােটা গড়নের নয়।…….

…… বেডরুমে এলাম। মেরী জোসেফ এলাে আমাকে ‘গুডনাইট’ জানাতে। আমি জানি না আমার উপর হঠাৎ কি ভর করল, আমি তাকে দুহাত দিয়ে কাছে টেনে উন্মত্তের মতাে চুম্বন করতে লাগলাম। সে বাধা দিল না, “স্যার, কেউ চলে আসতে পারে। এখানে নিরাপদ নয়। আমি ভিতরে থেকে পাঠকক্ষ বন্ধ করে দিলাম এবং মেরী জোসেফকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। সে যথেষ্ট আগ্রহী মনে হচ্ছিল। সে তার সাদা স্কার্ট উপরের দিকে টেনে তুলে প্যান্টি খুলে ফেললাে। তার ব্লাউজটা আমি টেনে ছিড়ে ফেললাম এবং ক্ষুধার্তের মতাে তার বিশাল স্তন মুখে পুরলাম। সে তার দুই উরু যথাসম্ভব প্রসারিত করল। তার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র সে বিস্ময়ে উচ্চারণ করল, ‘আই আই ও! স্যার, আপনারটা এত বড়! আমি খুব পছন্দ করেছি। আমার উন্মত্ততায় সে নিজেও সক্রিয়ভাবে সাড়া দিল। আমরা উভয়ে একসাথে নিঃশেষ হলাম। সে বলল, “মােটেই নিরাপদ নয়।’ তার জামাকাপড় দ্রুত ঠিকঠাক করল। আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়লে ব্যাপারটা ভালাে হবে না। আমি একজন ক্যাথলিক। আমাদের তালাক নেই। অবৈধ সন্তান গ্রহযােগ্য নয়। প্রভু যীশু যদি এবারের মতাে আমাকে ক্ষমা করেন তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আমি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করব। স্যার বাঁচার জন্য জীবন তাে একটাই।’
আমার মধ্যে কি অপরাধ বা পাপের বেদনা আছে? না, নেই। মেরী জোসেফের সাথে যা করেছি তার যৌক্তিকতা মেরী জোসেফের মতােই গ্রহণ করলাম, ‘বাঁচার জন্য জীবন তাে একটাই। মানুষের জীবনে যৌনকর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে অস্বীকার করা হলে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ধর্মীয় বিধান এবং নৈতিক মূল্যবােধের চেতনার চাইতে শারীরিক চাহিদা অনেক উপরে।

প্রভু যীশু মেরী জোসেফকে তার ভয় থেকে মুক্ত করলেন। দুদিন পর তার পিরিয়ড শুরু হল। ছয় দিন পর সে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করল। প্রতি রাতে সে একই বিস্ময় উচ্চারণ করত ‘আই আই ও! আপনারটা এত বড়। এবং পুরােমাত্রায় আনন্দ উপভােগ করত। তার দেহের উপর আমার উত্থান
পতনের তালে তালে সে তার নিতম্ব উর্ধ্বে তুলে ধরে আমাকে সন্দেহাতীতভাবে বুঝাতাে যে, পুরাে প্রক্রিয়াকে সে ভালােভাবেই গ্রহণ করছে।
কিন্তু আমাদের এ আনন্দ ও দৈহিক উপভােগ দীর্ঘদিন স্থায়ী হল না। দৃশ্যত আমাকে কিছুদিন পূর্বের চাইতেও বেশি স্বাভাবিক ও সুখী মনে হচ্ছিল এবং তাতে সনুর খটকা লাগল। সে খুবই সন্দেহপরায়ণ। আমার অবিশ্বস্ততার কোনাে প্রমাণ তার কাছে নেই। দুই নার্সের মধ্যে বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে কেরালার তরুণী। সে রাতে সনুর রুমেই কাটায়। তামিল নার্স মােটা এবং কদর্য। তার স্তনের উপর ঝুলানাে সােনার ক্রস প্রমাণ করে সে একজন নিষ্ঠাবান খ্রিস্টান এবং স্বামীর সঙ্গে ছাড়া কারাে সঙ্গে যৌনকর্ম করেনি বলেই মনে হয়।……

…….আমি তাকে ধরলাম এবং ক্ষুধার্তের মতাে চুম্বন দিতে শুরু করলাম। তার ব্লাউজের নিচে হাত ঢুকিয়ে তার সুবিশাল স্তন মর্দন করলাম যতক্ষণ পর্যন্ত বােটা শক্ত না হল। আমরা উঠে বিছানায় গেলাম। প্রথমে সে তার নেকলেস খুলে ক্রসের উপর চুমু দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে টেবিলে রাখলাে। এরপর শাড়ি খুলে ফেললাে এবং ভাজ করে চেয়ারের উপর রাখলাে। সে ব্লাউজ খুলে ফেলার সাথে তার স্তন প্রায় লাফিয়ে বের হল। অত্যন্ত লাজুক ভঙ্গিতে সে নিজের স্তনের দিকে তাকালাে। আমি তার পেটিকোটের ফিতার গিট খুললাম। পেটিকোট মেঝের উপর পড়ল। দুহাত দিয়ে সে উরুর সংযােগস্থল ঢাকলাে। আমি জোর করে হাত সরিয়ে দিয়ে দেখলাম সেখানে কোঁকড়ানাে যৌনকেশের মনােরম বিস্তার। তার উরুদ্বয় বেশ প্রশস্ত এবং রেশমের মতাে মসূন। মুখে বলল, ‘আপনিও স্যার আমার মতাে হােন। গায়ে কিছুই থাকতে পারবে না।’
আমিও আমার সব কাপড় খুলে ফেললাম এবং বিছানায় দুজন পাশাপাশি শুয়ে পড়লাম। স্যার, আপনারটার মতাে এত বিরাট অঙ্গ আমি আর দেখিনি। আর কারাে এত বড় নেই।’
‘তুমি কতগুলাে দেখেছাে?’ আমি জানতে চাইলাম এবং তার যত্নশীল হাতে ধরিয়ে দিলাম।
‘কি দেখবাে? আমার স্বামীরটা এর অর্ধেকও হবে না এবং খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় । ভিতরে দেয়া আর বের করার মধ্যেই শেষ । একবার তার ছােটভাই আমাকে বিছানায় নিয়েছিল। তারটাও ছােট এবং ক্ষণস্থায়ী। আমাদের গ্রামের চার্চের পাদ্রী বরং ভালাে ছিল। কিন্তু কাজটা করার পর তিনি অনুতাপ করেছেন। শেষ করার পরই আমাকে বলেছেন ক্ষমা করে দিতে এবং তার সাথে আমাকে যীশুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে। আমি কল্পনা করুন, তখন আমরা নগ্ন, ঘামছি এবং হাঁটু গেড়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি। তিনি আমাকে একজন বেশ্যার চাইতেও নিকৃষ্ট ভাবতে বাধ্য করেছেন, যে বেশ্যা টাকা না চেয়ে কাজটা করেছে। আমাকে বলুন স্যার, যাকে আপনি ভালােবাসবেন তার সাথে শয্যায় যাওয়ায় কি পাপ আছে?’ মেরী জোসেফের মুখ বন্ধ করার একটা উপায় হচ্ছে তার মুখে আমার মুখ লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়া। বারবার তার মুখে চুম্বন করলাম। তার উরুর মাঝে যখন উপগত হবে তার আগে তিনটি আঙুল ব্যবহার করে জটবাধা যৌনকেশ সরাতে হল। সে উত্তপ্ত এবং সিক্ত। তৃপ্তিতে সে গােঙাতে শুরু করল, “এমন সুখকর কাজ কি করে পাপ হতে পারে? বলুন স্যার, আমাকে বলুন।’ সে আমার হাতটা সরিয়ে দিয়ে তার ভারি মসৃন উরু উচু এবং প্রসারিত করল। আমি তার উপর উঠে উপগত হলাম এবং আমার মুখ তার মুখে চেপে রাখলাম। তার বয়সের ও আকৃতির কোনাে মহিলার কাছে আমার যা কাম্য ছিল তার চাইতেও অনেক বেশি সক্রিয় সে। যখন সে চরমাবস্থায় তখন আমার গলা আঁকড়ে ধরল এবং আমার ঠোট কামড়ালাে। এরপর সে তার হাত পা বিছানায় ছড়িয়ে এলিয়ে পড়ল।…….

……সরােজিনীর পর শুধু ধান্নোই রইলাে। যখনই তাকে কামনা করেছি সে তখনই সাড়া দিয়েছে। আমি তাকে চেয়েছি বটে, কিন্তু সে কোনো সঙ্গী হতে পারে না। খুব কম সময়েই আমরা দুটি শব্দের বেশি উচ্চারণ করি। যখন চারদিক সুনসান নিরাপদ আমি ধান্নোকে বলি, “চলাে, সে ভেড়ার মতাে আমাকে অনুসরণ করে বেডরুমে আসে। সালােয়ার কামিজ খুলে বিছানায় শুয়ে পড়ে । আমি তৃপ্তি লাভ করা পর্যন্ত আমার কাজটা সেরে ওর উপর থেকে নেমে পড়ি। সবশেষে সে বলে, ‘ব্যস্ সাহেব, যথেষ্ট হয়েছে।’ নিজেকে ধৌত করে, টাকা নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সতর্কভাবে বের হয়ে যায়। ধান্নো থাকলে আমি আর কোনাে মেয়ে মানুষকে আনতে পারি না, তাছাড়া তাকে চাকুরিচ্যুত করার কোনাে কারণও ঘটেনি। কিন্তু খুব অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই সে আমার জীবন থেকে বেরিয়ে গেল।……

………‘তুমি কি শুধু মহিলাদের মালিশ করাে, নাকি পুরুষদেরকে ও?’

অধিকাংশই মহিলা। কখনো কখনাে বৃদ্ধ লোকদের। তরুণদের মালিশ করার প্রস্তাব এড়িয়ে চলি। কারণ তাদের মাথায় নানা চিন্তা আসে এবং আমার সাথে স্বাধীন আচরণ করতে চেষ্টা করে। আমি তাদের বাধা দিয়ে বলি, ‘মিস্টার, এটা ব্যাংকক বা টোকিও নয়; যেখানে তুমি মেয়েদের দিয়ে মালিশ করিয়ে নেবে, আবার সঙ্গমও করবে।” বৃদ্ধদের মালিশ করতে কিছু মনে করি না। কখনাে অবশ্য এমন হয় যে, কোন বুড়াে আমার হাতটা ধরে তার করুণ দর্শন প্রাচীন অঙ্গটা ধরিয়ে দেয়। আমি বলি তুমি কি চাও, আমি এটাও মালিশ করি। এর মধ্যে তাে আর জীবন নেই। অতপর আমি নুয়ে পড়া অঙ্গটায় ঝাকি দিয়ে তাকে দেখিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করি যে আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। সে হেসে যোগ করে, অনেকে আমাকে অনুনয় করে আর একটু ঢলে দাও, তাহলেই এটা জীবন্ত হয়ে উঠবে। আমি তাদের বলি “আমি একটি রাজ্যের অভ্যুদয় পর্যন্ত এটিকে ঝাকাতে পারি। কিন্তু তাতেও এর কিছু হবে না। তারা এমন করুণভাবে আমার দিকে তাকায় যেন আমি তাদের দাঁতে লাত্থি মেরেছি। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, একই বৃদ্ধ বারবার তাদের মালিশ করার অনুরােধ করে। একই ধরনের আচরণ করে এবং মােটা অংকের বখশিশ দেয়।’…….

……..আমাদের কথা ফুরিয়ে আসছিল। মলি চেয়ার থেকে উঠে অামার পাশে এলো। কোন কথা না বলে মাথার উপর দিয়ে টিশার্ট খুলে ফেললাে এবং ব্রা’র হুকও খুললাে। দুটি সুন্দর গােলাকৃতির স্তন দৃশ্যমান। তার দুহাত আমার কাঁধে এবং মুখটা কাছে আনলাে। আমার ঠোট তার মুখে আঠার মতাে লাগিয়ে আমার উষ্ণ দু’হাতে স্তন মর্দন শুরু করলাম। সে তার স্কার্ট খুলে ফেলায় সেটি ফ্লোরে পতিত হলাে। এরপর আমার বেল্ট খুলে ট্রাউজার টেনে নামালাে। এখন সে আমার অঙ্গ অনুভব করছে এবং অন্যান্য মহিলার মতাে সেও বিস্ময় ও আতংক প্রকাশ করলাে, আমি আগে এরচাইতে বড় আকৃতির কিছু দেখিনি। বিশ্বাস করুন, আমি দেখেছিও খুৰ কম।

এই মহিলা আমার মধ্যে প্রচুর আস্থার জন্য দিল। আমার কোন তাড়া নেই। আমরা কার্পেটে শুয়ে পরস্পর জড়াজড়ি ও মর্দন করলাম। নিশ্চিত ই সে দক্ষ মালিশকারিনী। আমার কানের কাছ দিয়ে বিলি কেটে সে আমার ঘাড়ে বৃদ্ধাঙ্গালির চাপ দিল। পেটের উপর দিয়ে আঙ্গুল চালনা করলাে। একইভাবে মালিশ করলাে আমার মধ্যাঙ্গ, উরু হাঁটুর নিচের অংশ এবং পায়ের পাতা পর্যন্ত। পায়ের গােড়ালিও মর্দন করলাে সে। আমার দেহের কোন অংশই তার স্পর্শহীন থাকলাে না। তার স্পর্শ অবসাদ এনে দেয়ার মতাে এবং যথার্থই উপভােগ্য।

আর্মি বিড়বিড় করলাম, তুমি এমন মালিশ অব্যাহত রাখলে আমার ঘুম এসে যাবে।’ সে আমার উপরে এলাে এবং আবেগ ভরে চুম্বন দিয়ে বললাে, “প্রিয়তম, তুমি ঘুমিয়ে পড়াে। আমি তােমাকে পুরােপুরি ভালােবাসবাে।’

বাস্তবিক দীর্ঘক্ষণের চেষ্টা ছাড়াই সে আমার অঙ্গ তার মাঝে নিয়ে নিল। আমার উপর মলি গােমেজের উত্থান পতন এবং শেষ পর্যন্ত আমাকে শুষে নেয়ার প্রক্রিয়ায় শুধু টের পেলাম যে, আমরা জেগে আছি। অনুভূতিটা চমৎকার। প্রক্রিয়াটা দীর্ঘস্থায়ী । সংযুক্ত অবস্থায় আমরা একে অন্যের উপর উঠেছি। আমার আগে সে এক ঘন্টা টিকে ছিল। নিচে আসার পর শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি প্রস্তুত ?

মাথা নেড়ে সে উত্তর দিয়েছিল, “আমি অনেক আগে থেকে প্রস্তুত।”

আমি তার মধ্যে বীর্য নিক্ষেপ শুরু করি। দু’পা দিয়ে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরে সে একং আশার প্রতিবারের পতনের সময় সে নিজেকে উঠু করতে চেষ্টা করে। সে চেঁচিয়ে বলে, আরাে জোরে। ঈশ্বরের দোহাই, থেমাে না। আমার যা ছিল সব তার মাঝে ঢেলে দিলাম। সে দু’হাতে কার্পেট চাপড়ালো ‘ওহ্ ঈশ্বর।

আমাদের চরম অবস্থা একসাথে এসেছে। তার পা শিথিল হয়েছে। পুরােপুরি অবসাদে সে গা ছেড়ে দিয়েছে। পুরুষ ও নারীর তৃপ্তিদায়ক সঙ্গমের চাইতে জীবনে আর কোন কিছুতেই পরিপূর্ণতার এমন বােধ আসতে পারে না।

দীর্ঘক্ষণ আমরা পাশাপাশি শুয়ে থাকলাম । একসময় সে বললো, তুমি উঠো না। মুহূর্তে ফিরে আসছি আমি।

সে তার বেডরুমে গেল পুরাে নগ্ন অবস্থায়। ফিরে এলাে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ানাে টাওয়েল হাতে। অত্যন্ত যত্নের সাথে আমার মধ্যভাগ, উরু মুছে নিল। ………

আপনি কি অনেককে পেয়েছেন?’ ‘অল্প সংখ্যক। আর তুমি অনেক পুরুষ? ‘অনেক নয়, কিছু। আমি কঠোর ক্যাথলিক সমাজে বাস করি। ফাইভ স্টার হােটেলে কাজ করার সময় আমি কখনাে কখনাে কিছু বিদেশীর সঙ্গে যৌনকর্মে রাজি হয়েছি। কিন্তু খুব উপভােগ্য ছিল না সেগুলাে। তাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার হাতে যখন ডলার গুঁজে দিতাে তখন, বিশেষ করে প্রথম দিকে নিজেকে খুব নােংরা মনে হতাে। কিন্তু কিছুদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। নিজেকে আর বেশ্যার মতাে মনে করি না। তবে আপনার মতাে ভালােবেসে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা নেই। আপনি কি কনডম ব্যবহার করেন ?” ‘তা করি। কিন্তু আজ রাতে ব্যবহার করতে ভুলে গেছি। আমি দুঃখিত।…..

সে আমার গালে আদর করলাে। আমি পিল খেয়েছি এবং যতদিন আপনার কাছে থাকবাে, পিল বাবাে। কনডমের প্রয়ােজন নেই।

আমি আগুনে লাকড়ি দিচ্ছিলাম। কার্পেটের উপরই সারারাত শুয়ে কাটালাম। তিনবার আমরা যৌন সুখ উপভােগ করলাম।……….

……….আমি তাকে জেসিকা ব্রাউনি সম্পর্কে বললাম।

মলি বাধা দিল, সে দেখতে কেমন ছিল ?

“গায়ের রং তােমার মতােই কফি ও ক্রিমের মিশ্রণ। ……..মলি আর বাধা দিল। সেই কি প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছিল, না আপনি?

জেসিকাই উদ্যোগী হয়েছিল। …….একদিন সন্ধ্যায় সে আমাকে তার রুমে গিয়ে পান করতে বলে। আমি তার ফিগারের প্রশংসা করলে সে পান করতে করতে বলে, দেখতে চাও, আমি আসলে দেখতে কেমন?’ সে জানতে চায় এবং আমি কিছু বলার আগেই কাপড় বুলে নগ্ন হয়ে দাঁড়ায়। সে ধীরে ধীরে ঘুরে আমাকে তার পিছন দিকটাও দেখায়। এর অাগে আমি কখনাে নগ্ন নারী দেখিনি। তাকে হাত দিয়ে ধরতে চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমাকে পিছনে ঠেলে দিয়ে বলে যে, আমার কাপড়ের আড়ালে কি লুকানাে আছে তা বলা না সে পর্যন্ত তাকে স্পর্শ করতে পারবাে না। আমার কাপড় খুলে ফেলার পর সে আমার অঙ্গের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমাৱ মেদহীন পেট, প্রশস্ত বুকের দিকে নয়, শুধু এটার দিকে আমি মুখ ভেঙ্গিয়ে আমার মধ্যাঙ্গে ধাপ্পড় দিলাম। মলি চাপা হেসে আমার মধ্যাঙ্গ স্পর্শ করলাে। সেটা সম্পূর্ণ উথিত এবং আমার ট্রাউজারের উপর চাপ সৃষ্টি কছে।

সে জানতে চায়, আপনারা কি মিলিত হয়েছিলেন? হ্যা। ‘কবার?

সারারাত আমার যদুর মনে পড়ে চার বার সংক্ষিপ্ত বিরতি দিয়ে। তখন আমার বয়স ছিল বিশ বছর। তার বয়স আমার চেয়ে এক বছর বেশি। যাক, যথেষ্ট বলেছি। এবার তুমি তােমার প্রথম বারের অভিজ্ঞতার কথা বলাে।

‘হ্যা, বলছি। তখন আমার বয়স চৌদ্দ বছর। স্কুলছাত্রী। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে পার্ধক্য ভালােই বুঝি। অনেক দূর সম্পর্কের ভাই ছিল আমার। শৈশবে আমরা একে অন্যকে দেখাতাম যে, আমাদের দুই উরুর মাঝখানে কি আছে। ছেলেরা ভালাে করে দেখাতে পারতাে। আমাদের দেখাতাে যে, তাদের অঙ্গটা কতো বড় করতে পারে । একবার কোন এক মুহূর্তে তাদের অঙ্গের উথ্থিত অবস্থা এবং কিভাবে সেটি আমাদের উরুর সংযােগস্থলে প্রবিষ্ট করানাে যায় তা দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তা ঘটার জন্যে আমরা অপেক্ষা করিনি। আমি ছােট্ট নােংরা অবুঝ মেয়ে ছিলাম। কিন্ত এই ছেলেদের কেউ শেষ পর্যন্ত ঘটনাটা ঘটায়নি। আমার আপন মামা, আমার মায়ের ছােট ভাই, আমার চেয়ে বিশ বছরের বড়, সে কান্ডটা ঘটায়। জানােয়ার। ছােট নিরীহ বালিকার দুর্বলতার সুযােগ নিয়েছিল। সে আগের মতোই হাসে। নিষ্প্রাণ হাসি। যাক, একদিন বিকেলে ঘটনাটা ঘটে, যখন লােকটি বাবা মার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং তারা কেউ বাড়ি ছিলেন না। তখনাে আমার পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম -খাটো ফ্রক, আমার হাটুর উপর পর্যন্তু। ভালো করে আমার উরু ঢাকে না। সে বরাবরের মতো আমাকে চুমু দেয়। কিন্তু এবার আমার ঠোট । সােফার উপরে বসে সে আমাকে তার কোলে টেনে বসায় এবং গলার পিছনে, কানে চুমু দিতে শুরু করে। আমি টের পাচ্ছিলাম, তার অঙ্গ শক্ত হয়ে উঠছে। সে আমার স্তন মর্দন শুরু নির্দয়ভাবে। তার দম ফুরিয়ে যাচ্ছিল। আমি বুঝতে পাচ্ছিলাম, তার মতলব ভালাে নয় এবং আমার উচিত তাকে থামিয়ে দেয়অ। কিন্তু তার তৎপরতায় আমিও কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম এবং ‘তাকে বাধা দিলাম না। সে আমাকে সোফার উপর শুইয়ে দিয়ে ফ্রকটা উঠালাে, প্যান্টিটা টেনে খুলে ফেললো। এরপর সে দ্রুত নিজের ট্রাউজারর খুলে তার মােটা অঙ্গটা বের করে আমার মাঝে চালান করে দিল। একবারের চেষ্টায়। লােকটা অধৈর্য হয়ে পড়েছিল। ব্যথায় আমি চিৎকার করছিলাম। কয়েকবার প্রবল চাপ দিয়ে সে নিজেকে প্রত্যাহার কৱে নিল এবং তার নােংরা বর্জ আমার উরুর উপর ঢেলে দিল। আমাকে প্রতিজ্ঞা করালাে যে, আমি বাবা মাকে ঘটনাটা বলবাে না। তাহলে তারা আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। আমি তাদের বলিনি। আমি কিছু বুঝিনি। আমি চার্চের পাদ্রীকেও বলিনি। কাউকে না। আজ আপনাকেই বললাম।”

বললাম, এতে তাে তুমি মােটেই কোন আনন্দ পাওনি । তােমার উপভোগ করার মতো ঘটনা কখন ঘটেছে ?

সে উত্তর দিল, আজকের সন্ধ্যার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট। আপনি যখন আপনার অন্যান্য মহিলার কথা বলবেন, তখন আমিও আমার জীবনে আসা পুরুষদের সম্পর্কে বলবাে।’

আগুন নিভে গেছে। আমি নিচে বাগানে গেলাম প্রস্রাব করছে। দরজাগুলাে লাগালাম এবং উপরে উঠে এলাম। মলি হাত উপরের দিকে উঠিয়ে শরীর টন টন করে হাই তুলছে। আমি তার বগলে হাত দিয়ে তাকে উপরে তুললাম। সে ভীত হওয়ার ভান করে স্কুল পা ছুড়তে লাগলাে। সেভাবেই তাকে তার রুমে নিয়ে বিছানায় ছেড়ে দিলাম। ঠোটে চুমু দিয়ে বললাম, গুড নাইট! …………

………মেয়েরা অন্তত; এটা জানে যে, তাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে তাদের আর সন্ধান হবে না। তাদের যৌনক্ষুধাও হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনতাড়না বাড়ে। এমনকি যদি তাদের অঙ্গ উথ্থিত নাও হয়, তবু তারা মহিলাদের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আপনি কি পঞ্চাশাের্ধ পুরুষের কামনা প্রত্যক্ষ করেছেন। খুব করুণ দৃশ্য!…..

……মলি বললাে, সূর্য স্নানের উপযুক্ত পরিবেশ। আপনার ড্রেসিং গাউন খুলে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার নির্দেশ পালন করলাম। সে তার সুতিৰর নাইটি খুলে ফেলে একদিকে ছুঁড়ে দিল। পায়ের গােড়ালিতে সােনার হালকা চেন ছাড়া তার শরীরে এক খন্ড সূতাও নেই। সে আমার পিঠের উপর এমনভাবে বসলে, যেন ঘােড়ায় বসেছে। আমার শিরদাড়ায় তার যৌনকেশের স্পর্শ অনুভব করছি। তার দুহাত দিয়ে শিরদাঁড়া ডলতে শুরু করলাে। নিচ থেকে উপরের দিকে। বারবার । দুই কাঁধে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ দিল জোরে এবং এরপর মর্দন করলাে। আমার সকল উদ্বেগ যেন সে নিয়ে নিচ্ছে। দু’হাতে,হারবাল অয়েল নিয়ে আমার পিঠে মাখলাে। বারবার তেল মালিশ করলাে, মান্ধা থেকে শিড়া পর্যন্ত। সে পিছন ঘুরে বসলাে, সেভাবে আমার নিতম্ব, উরুতে তেল ডলল। পায়ের গােড়ালি, আঙ্গুলের প্রতিটি ফাকে তেল দিল।…….

আমি চিৎ হলাম। তার মসৃন দুটি উরু এবং উরু দিয়ে ঢাকা অঙ্গ দেবার সুযােগ পেলাম। সে আমার পেটের উপর বসলাে। আমার স্তনের বোঁটায় অঙ্গুিল ঘুরালাে। আমি জানতাম না যে, পুরুষের বোটা মেয়েদের স্তনের বােটার মতোই স্পর্শকাতর হতে পারে। সে আমার বুকের উপর তেল ঢেলে তা ছড়িয়ে দিল এবং হাতের তালু দিয়ে যত্বের সাথে মালিশ করলাে। আবার সে তার অবস্থান পরিবর্তন করলাে। এবার তার নিতম্ব আমার চোখের সামনে। তার সামনের দিকে ঝুকে পড়া এবং পুনরায় সােজা হওয়ার মধ্যে তার যৌনকেশের ক্রিয়ায় সুড়সুড়ি অনুভব করছিলাম । মলি খানিকটা তেল আমার অন্ডকোষে মেখে দিল এবং উরুর ভিতরের অংশ মালিশ করলাে। তার দেহ সঞ্চালন এবং সবকিছু দৃশ্যমান থাকায় আমার মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি কয়েছে। আমার মধ্যাঙ্গ পূর্ণ প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবং তার উরুতে লাগছে। সে ধাপ্পড় দিয়ে এটাকে নিম্নগামী করার চেষ্টা করলাে, ধৈর্য্য ধরাে।

এক ঘন্টা ধরে মালিশ চললাে। আমি এ ধরণের উপভােগ্য এবং অনুভূতি জাগানিয়া কোন কিছুর অভিজ্ঞতা জানি না। এমনকি যৌনকর্মের চাইতে তৃপ্তিদাযক মনে হলাে আমার কাছে। সে হাতে তেল তার দেহে মুছে ফেললাে এবং মুখটা নিচ দিকে দিয়ে ম্যাট্রেসের উপর শুয়ে পড়লাে। এবার আমি তার পিঠে বসলাম। আমার অন্ডকোষ তার পিঠের উপর। যদিও আমি কাউকে কখনাে মালিশ করিনি, আমি আমার উপর প্রয়োগ করা মলির কৌশলগুলােই প্রয়ােগ কলাম । তার গলা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত পুরাে শরীর মালিশ করলাম। আমার ঠোট তার স্তনের বােটায় আঠার মতো লাগিয়ে ধীরে ধীরে তার মধ্যে প্রবিষ্ট হলাম। স্বর্গীয় সুখ অনুভূত হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ আমি তার মাঝে থাকলাম নড়াচড়াহীন অবস্থায়। এরপর নিজেকে প্রত্যাহার করে তাকে উপুড় হয়ে শুতে কললাম। সে তার পা প্রসারিত করে উপুড় হলাে। আমি তার নিতম্ব মর্দন করতে শুরু করলাম । নারীর যে কোন অঙ্গের চাইতে তার নিতম্ব পুরুষকে বেশি উত্তেজিত করে। মলির নিতম্ব চমৎকার গােলাকৃতির এবং সুদৃঢ়। আমি পুনরায় তার মধ্যে উপগত হলে সে আমাকে তার মাঝে যতােদূর সম্ভব গ্রহণ করলাে । আমাদের সুখকে দীর্ঘভর করতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। যখনই মনে হয়েছে আমি চরমে উঠে যাচ্ছি, তখনই প্রত্যাহার করে নিয়েছি এবং সংকটটা না কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এরপর আবার আমরা দৈহিক অস্তিত্বের অনিবার্য সত্যের সন্ধানে অবতীর্ণ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের চরম অবস্থাও এতাে দীর্ঘতর হলাে যে, আমাদের দুজনের সেই অভিজ্ঞতা আর হয়নি। আমরা কথা বলিনি। কথা কৃত্রিম ব্যাপার। ম্যাট্রেসে শুয়ে থেকে আমাদের শরীরে মাখা তেল সুর্যকে শুষে নিতে দিলাম। প্রায় তিন ঘন্টা আমরা এ অবস্থায় ছিলাম। ……..

…….. ফ্লাইটটি দিল্লি ছেড়ে যায় বেলা সাড়ে এগারটার পর। যখন তার হাতে টিকেট তুলে দিলাম সে আমাকে জড়িয়ে ধরলাে। আমরা মিলিত হলাম। যে একটি সপ্তাহ আমাদের হাতে ছিল প্রতিটি দিন আমরা পরস্পরের দেহ উপভােগ করলাম।……..

…..আমি লক্ষ্য করলাম সু তার সালােয়ারকামিজ ছেড়ে কোমরে টাওয়েল জড়িয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ব্রা রেখেছেন। অনেক মহিলার চাইতেও তার স্তন আকৃতিতে ছােট। সবগুলাের মধ্যে ক্ষুদ্রতম বলা চলে।……

……আমি ঘাড় ফিরিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম, সু’ কি করছেন। তিনি পেটিকোট পরেছেন এবং একটা টাওয়েল কাঁধে জড়ানাে। তাতে তার স্তন ঢাকা পড়েছে। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি কিছুটা সাহস সঞ্চয় করেছেন এবং পানিতে ডুব দেয়ার পূর্বে ব্রা খুলে ফেলেছেন। দ্বিতীয় টাওয়েল দিয়ে তিনি তার দু-পায়ের মাখখানে ডলছেন। স্নানরত অনেক রমণীর বিভিন্ন পর্যায়ের নগ্নতার মধ্যে সে নিরাপদ অনুভব করছেন। টাওয়েল দিয়ে তার ক্ষুদ্র স্তন শুকিয়ে আবার ব্রা পরে নিলেন।……

……সে তার হুইস্কির গ্লাস একপাশে রেখে আমার কোলে এসে বসলো। হাত দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে চুমু দিল। কয়েক মিনিট আমরা সেভাবে থাকলাম। এরপর আমি উদ্যোগী হলাম। তার মাথা আমার কাঁধে স্থাপন করে তার মুখ খুলে প্রবল চুম্বন করলাম এবং জিহবা দিয়ে তার মুখ অন্বেষণ করলাম। আমার হাত তার ব্রার মাঝে চালান করে দিলাম। খুব আঁটসাট ব্রা। পিছনের হুক খুলে দেয়ায় স্তন দুটো বন্দিদশা থেকে মুক্ত হল। তার ছােট্ট, দৃঢ় স্তন আমার মুখে পুরলাম। প্রথমে একটি, তারপর অন্যটি। সে তার মাথা পিছন দিকে দিয়ে চোখ বন্ধ করল এবং তৃপ্তিতে ‘আহ্ ওহ্, শব্দ উচ্চারণ এবং হাত দিয়ে আমার চুল বিলি কেটে দিচ্ছিল। সে অনুভব করতে পেরেছে যে, ইতােমধ্যে আমার সঙ্গী তার নিচে ধাক্কা দিচ্ছে। সে উঠে দাড়ালাে এবং আমার ট্রাউজারের উপর দিয়ে এর অস্তিত্ব অনুভব করল। এটা অস্থির হয়ে উঠেছে। আমার হাত ধরে তার বিছানায় নিয়ে গেল এবং চিৎ হয়ে শুয়ে শাড়ি কোমর পর্যন্ত টেনে তুলল। তার পরনে কোনাে প্যান্টি নেই। সবই পরিকল্পিত। তার মধ্যাঙ্গ আমাকে বিস্মিত করল। সুপ্রশস্ত। সে নিশ্চয়ই বহু যৌনকর্মের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আমি যখন তার উপর উঠলাম আমার সঙ্গীর আকৃতি দেখে অন্যান্য অধিকাংশ মহিলার মতাে বিস্ময় প্রকাশ করল না। সে শুধু হাত দিয়ে ধরে তার পথ নির্দেশ করে দিল। সে শুধু বলল, মনে হচ্ছে আমার মাঝে অশােক স্তম্ভ প্রবেশ করছে। তােমার যতটুকু আছে সবই দাও।’ আমি তাই করলাম। সে তৃপ্তির ধ্বনি উচ্চারণ করল। যখন বুঝতে পারল সে চরমে উঠে যাচ্ছে, তখন জিজ্ঞেস করল, “তােমার কাছে কি কনডম নেই?’
আমি উত্তর দিলাম, না, তােমার সাথে কনডম ব্যবহার করতে হবে বলে আশা করিনি।’
‘তাহলে ঈশ্বরের দোহাই, তাহলে আমার মাঝে বীর্যপাত করাে না। আমি প্রেগন্যান্সির ঝুঁকি নিতে চাই না। জানি, এতে তােমার আনন্দটাই মাটি হবে। কিন্তু এবারের জন্য, আমার দিকে তাকিয়ে ক্ষমা করাে।’
সে তার চরমানন্দের প্রকাশ ঘটালাে আমার গলায় দাঁত বসিয়ে এবং দুহাতে আমার মাথায় চুল আঁকড়ে ধরে । আমি যথাসময়ে দ্রুত প্রত্যাহার করলাম এবং আমার বীর্য তার উরু ভাসিয়ে দিল।
সে বলল, ‘আমার উরু আঠালাে, শাড়ি উপরে তােলা, ব্রার হুক খােলা, কিন্তু দারুন উপভােগ্য।’
সে বাথরুম থেকে চান করে এসে বিছানায় আমার পাশে নগ্ন অবস্থায় শুয়ে থাকল। সে আমার নুয়ে পড়া সঙ্গীটিকে তার হাতে নিয়ে বলল, ‘এটি বিশাল। অবাক হবার কিছু নেই, এজন্যই মেয়েরা তােমার জন্য পাগল হয়। চলাে, কাপড় পরি। আমি রুমেই ডিনার সার্ভ করতে বলি।’……

…….এখন তুমি নাক গলাতে শুরু করেছাে দেখতে পাচ্ছি। তবু আমি তােমাকে বলব। এখন আমার বয়স ষােল বছর। কুমারীত্ব ঘোচার ব্যাপারে রােমান্টিক কোনাে ঘটনা নয়। আমার নিজের চাচা—আমার বাবার ছােট ভাই। তুমি তাে জানাে, স্বাভাবিক সম্পর্ক হচ্ছে, ঘনিষ্ঠ আপনজনের উপর আস্থা। প্রথম দিকে একেবারে দৃশ্যত নিস্পাপ বিষয়-চুমু, জড়াজড়ি, এসব আর কি। এক সময় তার মনে হয়েছে আমাকে সে তৈরি করে ফেলেছে এবং আমার স্তন নিয়ে খেলতে শুরু করে এবং আমার মধ্যাঙ্গ তার কাছে টানতে থাকে। আমি ভীত হয়ে পড়ি। কিন্তু তার জবরদস্তির এক পর্যায়ে আমি বুঝতে পারি যে আমি তার দেহের নিচে চাপা পড়েছি এবং সে আমাকে ছিন্ন করে ভিতরে প্রবেশ করেছে। আমি প্রায় বাবা মাকে ঘটনাটি বলেই ফেলেছিলাম। কিন্তু নিজেকে দমন করলাম আমার মনে হয়েছিল, তাকে একটা শিক্ষা দেয়া উচিত। তার চৌদ্দ বছর বয়সী পুত্রকে আমার প্রতি আকৃষ্ট করে যথার্থই শিক্ষা দিয়েছিলাম আমার চাচাকে। তার ছেলে আমার স্বেচ্ছা প্রশয় পেয়ে যথাশীঘ্র বিগড়ে গেল। আমাকে প্রেমপত্র লিখতে শুরু করল এবং কবিতা পাঠাতাে। তাকে আমি
যৌনকর্মেও উৎসাহিত করেছিলাম এবং কয়েক দফা আমরা মিলিত হই।……

…..আমরা কাপড় খুলে বাথরুমে গেলাম। শাওয়ার ছেড়ে দিলাম। সুগন্ধী সাবান তার সাড়া শরীরে মাখলাম—মুখ, গলা, স্তন, পেট, উরুর সংযােগস্থল, ক্ষুদ্র নিতম্ব থেকে পায়ের গােড়ালি পর্যন্ত। পানির ধারার মধ্যে সে আমার মধ্যঙ্গ দু-হাতে ধরল এবং মন্তব্য করল ‘আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এত বিশাল আর নেই। আমি হরিদ্বারে লক্ষ্য করিনি। আমি সাবান লাগিয়ে দিচ্ছি।’
সে আমার গলায় সাবান লাগিয়ে দেয়ার মতাে দীর্ঘ সে নয়। সে আমার দেহের মধ্যবর্তী স্থানেই সাবান মাখতে ব্যস্ত হল, সামনে ও পিছনে। চমৎকার
অনুভূতি। শাওয়ার নেয়ার পর আমরা একে অন্যকে শুকিয়ে দিলাম টাওয়েল দিয়ে। এরপর আমরা বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
‘ফ্রিজ থেকে কয়েক টুকরাে বরফ এনে দাও। আমি তােমাকে শ্রীলংকার কৌশল দেখাবাে আজ।’
আমি জানি না, তার মনের মধ্যে কি আছে। তবুও এক ট্রে ভর্তি বরফের টুকরাে এনে দিলাম। যে কয়েকটা টুকরা রুমালে পেচিয়ে আমার হাতে দিয়ে তার স্তনে ঢলতে বলল। তার কথামত বরফ প্রয়ােগ করতেই তার স্তন শক্ত হতে শুরু করল এবং স্তনের বােটা শক্ত কালােজামের মতাে হল।

‘আমি জানি, তােমরা পুরুষরা শক্ত স্তন পছন্দ করাে। এখন তুমি এগুলােকে তােমার মুখ দিয়ে উষ্ণ করতে পারাে। আমি তাই করলাম। চুম্বন, চোষণ এবং মৃদু কামড় ও দিলাম। সে ক্রমে উত্তেজিত হল এবং আমার ঠোটে প্রবলভাবে চুমু দিতে শুরু করল। আমরা পাশিপাশি শুয়েছিলাম। একটি পা আমার উপর তুলে দিয়ে একটি শীর্ণ হাতে আমাকে তার মধ্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিল। এ ধরনের অবস্থানে আমার সুবিধা হচ্ছিল না। সে চিৎ হয়ে বলল, ‘আমার উপরে এসাে।’ সে দুই পা উচু করে তুলে ধরল। আমি আবার তার মাঝে প্রবিষ্ট হলাম। সে ফ্যাসফ্যাসে কণ্ঠে বলল, ‘পুরােটা দাও। পুরােটা। এবার আর ভয়ের কিছু নেই।’ | আমি উন্মত্ত। সে ছােট্ট আকৃতির হলেও আমার যা আছে তা গ্রহণে তার কোনাে অসুবিধা হচ্ছিল না। যতবার তার উপর আপতিত হচ্ছিলাম, ততবার সে তার নিতম্ব উচু করে আমাকে গ্রহণ করছিল। অভদ্রের মতাে তার ক্ষুদ্র স্তনে কামড় বসালাম। সে প্রার্থনা করল, আরও জোরে কামড় দাও, আর তােমার যা আছে সবই দাও।’
আমরা চরম উন্মত্ততায়। সে বলল, আমার জীবনের সেরা সঙ্গম এটা। ‘নেতিয়ে পড়ল সে।
আমিও বললাম, সত্যিই সেরা মিলন।’ যে নারী আমাকে তৃপ্তি দেয় তার প্রতি আমি অবিশ্বস্ত হতে পারি না। তার আগে আমার শয্যাসঙ্গী মলি গােমেজ। তার কথা মনে পড়ল। আমি আবার বললাম, সত্যিই সেরা মিলন। সম্ভবত সে উপলব্ধি করল যে এটা শ্রেষ্ঠতম নয়।

আমরা বিছানায় যাওয়ার আগে ঠাণ্ডা বিয়ার ও ঠান্ডা বাক গ্রহণ করব, নাকি বিছানার কাজ শেষ হবার পর। আমরা নগ্ন হয়ে এক সাথে শাওয়ার নিতাম এবং একে অন্যকে শুকিয়ে দিতাম। এরপর তাকে দুহাতে উচু করে তুলে ধরতাম –পালকের ওজনের মতাে হালকা সে। বিছানায় এনে আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে নিজেকেও তার পাশে ছড়িয়ে দিতাম। আমরা খুব অলস ভঙ্গিতে নিজেদের ভালােবাসাতাম প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জড়াজড়ি ও চুম্বন, মর্দনের পর সে বলত, এসাে আমি তৈরি।’ আমি তার মধ্যে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে আনন্দ নেয়ার চেষ্টা করতাম যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার নখ দিয়ে আমার গলা ও মাথা খামচে ধরে। এরপর সপ্তাহ জুড়ে আমার মধ্যে যা মজুত হয়েছে তা তার মাঝে ঢেলে দিতাম। অনিবার্যভাবে আমাদের চরম অবস্থা আসত একই সাথে। পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য আমরা আরেক দফা শাওয়ার নিতাম এবং কাপড় পরতাম। আমি যতক্ষণ চুরুট টানতাম ততক্ষণ সে আমার পাশে বসে থাকত।…..

…..পরিণত বয়সে এসে মােহন কুমারের সবচেয়ে যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল তা হচ্ছে, তার যৌন ক্ষমতার বিলুপ্তি। সুশান্তিকা গুনাতিলেকের সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্কের ইতি ঘটার পরই তিনি এই অবস্থার শিকার হন। এমনকি তিনি যে সব রমণীকে ভােগ করেছেন তাদের নিয়ে যৌন কল্পনা করার পরও তার অঙ্গ আর চেগিয়ে উঠে না। তিনি অঙ্গকে সজীব করার পুরনাে কৌশল হিসেবে ‘প্লেবয়’ ও ‘ডেবােনেয়র’ এর নগ্ন নারীর ছবি দেখে কল্পনায় তাদের উপভােগের চেষ্টা করেন। তাতেও কাজ হয় না। তার ভালাে লাগছিল না। যৌনকর্ম তার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—সেই যৌন আকাক্ষাই যদি আর না থাকে তাহলে তার জীবনে চাওয়া পাওয়ার সামান্যই অবশিষ্ট থাকে। তবু কিছুদিন পর তার চিন্তায় সামান্য উন্নতি ঘটল—নিজের ব্যবসায় আগের চেয়ে মনােযােগী হলেন এবং আগের চাইতে বেশি সামাজিক মেলামেশা করতে শুরু করলেন।

কিন্তু একটি সক্রিয় এবং দুর্দান্ত যৌনজীবন কাটিয়েছেন যিনি এবং বয়স এখনাে পঞ্চাশ পূর্ণ হয়নি তার পক্ষে ধ্বজভঙ্গকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া কঠিন। তিনি আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার আশায় টনিক সেবন করলেনআয়ুর্বেদীয়, ইউনানী। বিভিন্ন ধরনের মালিশের জন্য হেলথ ক্লাবগুলােতে গেলেন, আয়ুর্বেদীয়, কেরালাইট, সুইডিশ। এছাড়া পালােয়ানদের সাধারণ মালিশ তাে ছিলই। এসব মালিশে তিনি উত্তম অনুভব করলেও তার লিঙ্গকে পুনঃকর্মক্ষম করতে পারল না। ব্যবসায়িক কাজে মােহন কুমার বােম্বে গেলেন। গেটওয়ে ইন্ডিয়ার নিকটবর্তী তাজমহল হােটেলে উঠলেন। সাধারণত বােম্বে গেলে এখানেই উঠেন তিনি। ব্যবসায়ী অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দিনের কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় হােটেল লবিতে বসে লােকজন, দর্শনার্থীদের আনাগােনা লক্ষ্য করছিলেন। সুন্দর করে পরা শাড়ি বা টাইট ফিটিং জীনস পরা অনেক মেয়েকে তার অত্যন্ত কাক্ষিত মনে হচ্ছিল, যারা তাদের বিশাল স্তন ও নিতম্ব দুলিয়ে তার সামনে দিয়ে যাচ্ছে, আসছে।……

…….‘তােমার সব কাপড় খুলে ফেলাে এবং আমাকে দেখতে দাও তুমি কেমন।’ সে আমার আদেশ পালন করল : ব্লাউজ ও স্কার্ট খুলল আগে। এরপর ব্রা ও প্যান্টি। মােহনের অঙ্গ দৃঢ় হয়েছে। তিনি খুশি হলেন। এক মুহূর্তে তার বিগত কয়েক মাসের দুঃশ্চিন্তা ও হতাশা মুছে গেল। তার পুরনাে দিনে ফিরে এলেন তিনি। নিজের প্যান্ট খুলে ফেলে এবং তার অঙ্গটি প্রদর্শন করলেন। মহিলাটি বলল, ওটার জন্য আমাকে দ্বিগুণ অর্থ দেয়া উচিত।’ মােহন কৌতুক করে বললেন, “যে মহিলারা এটা দেখেছে তাদের অধিকাংশ বিনা মাশুলে এটা গ্রহণ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।’ | মহিলার নড়াচড়ার মধ্যে কোনাে আবেগ উত্তেজনা নেই। মােহন তার ঠোটে চুমু দেয়ার চেষ্টা করলে সে তার মুখ সরিয়ে নিল। কিন্তু স্তন চুম্বন ও চুষতে দিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সত্ত্বেও তার স্তনের বােটা শক্ত হল না। মােহন তার মধ্যে প্রবেশ করলেন। মহিলাটি নিচ থেকে কোমর দোলাচ্ছিল, যাতে মােহন দ্রুত নিঃশেষ হয়। কিন্তু মােহন তার সময় নিলেন। কয়েক মাস তিনি যৌনকর্ম করেননি। তিনি যখন চরমে পৌছলেন মহিলাটিও তখন তৃপ্তি লাভের ভান করল। পুরাে ব্যাপারটাই যান্ত্রিক মনে হলেও মােহন পরিতৃপ্ত এবং সন্তুষ্ট যে তিনি এখনাে ধ্বজভঙ্গ নন। বাথরুমে গিয়ে মহিলা তার মধ্যাঙ্গ ধুয়ে এসে কাপড় পরল।……

……গতকালের নির্লিপ্ত মহিলা সে নয়—যত শিগগির পারাে কাজে লিপ্ত হও এবং যত দ্রুত পারাে কাজ শেষ করাে, এই মনােভাব নেই। সে মার্জিত এবং প্রতিটি আচরণে ভালােবাসার ছাপ। চুম্বনে তার স্তন সাড়া দিল। যখন মােহন প্রবেশ করলেন তখন সে সিক্ত ছিল। সঙ্গম প্রলম্বিত করার আগ্রহ দেখাচ্ছিল সে এবং মােহন যখন চরমে, একই সময়েও সেও চরমে উঠে পরিতৃপ্তির আবেশে দেহ এলিয়ে দিল। মােহন তাকে একশাে টাকা বখশিশসহ যখন পুরাে টাকাটা দিলেন, সে আগের দিনের মতাে বসে গুনলাে না। বরং তার ঠোটে একটি চুমু দিল।…..

Leave a Reply