দূর দিগন্তে উঁকি – জাকির তালুকদারের অনুবাদে অন্য ভাষার গল্প

›› অনুবাদ  ›› গল্পের অংশ বিশেষ  

যুদ্ধের মেয়েরা – চিনুয়া আচেবে

…….মেয়েটি এমন সহজভাবে তার সাথে বিছানায় গেল, আর এমন সব ভাষা ব্যবহার করল যে আনখাে একটু মর্মাহত না হয়ে পারল না। ‘আপনি কি এখনই শুরু করতে চান? প্রশ্ন করল গ্ল্যাডিস। এবং উত্তরের অপেক্ষা না -করেই বলল— ‘শুরু করতে পারেন। কিন্তু দয়া করে আমার ভেতরে বীর্যপাত করবেন না।

আনখাে নিজেও তা চায়নি। ফলে সবকিছু ঠিকঠাক মতােই ঘটল । কিন্তু মেয়েটা চাক্ষুষ প্রমাণ চাইল। তখন তাকে দেখাতেও হল ।

যুদ্ধকালীন অর্থনীতি শিখিয়ে দিয়েছে যে একটা রবারের কনডম বার বার ব্যবহার করা যায়। আপনাকে এটা ধুতে হবে, ছায়ায় রেখেই শুকাতে হবে, তারপর প্রচুর ট্যালকম পাউডার মেশাতে হবে যাতে এটা সিটিয়ে না যায়। এটুকু কষ্ট করলেই জিনিসটা থাকবে একবারে নতুনের মতােই আবার ব্যবহারযােগ্য। আর এটা হচ্ছে একেবারে ইংরেজদের তৈরি একেবারে আসল কনডম । লিসবন থেকে আনা সস্তা জিনিস নয়।…..

….তার আনন্দ হল ঠিকই। কিন্তু সঙ্গমশেষে মনে হল সে নিছক একটা বেশ্যার সাথে শুয়েছে। তার কাছে দিনের আলাের মতাে পরিষ্কার হয়ে গেল যে মেয়েটা কোনাে
না কোনাে আর্মি অফিসারের রক্ষিতাগিরি করেছে। মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কী ভয়ানক পরিবর্তন! তার পুরনাে স্মৃতি যে সব মুছে যায়নি, সে যে নিজের নামটাও ভুলে যায়নি, এটাই বরং আশ্চর্যের। যদি ওই মাতাল রেডক্রস অফিসারের ঘটনাটি আবার ঘটে, আনখাে নিজেকে বলে, সে তাহলে নিঃসঙ্কোচে পার্টির মধ্যে ওই লােকটার পাশে দাঁড়াবে, এবং বলবে যে লােকটা সত্যি কথাই বলছে। একটা পুরাে প্রজন্মের কী পরিণতি! এই জাতির আগামী দিনের মা এইসব মেয়েরাই!…….

হে পুত্র – গ্রাহাম সুইফট

………আনার শরীর থেকে ভেসে আসছে গ্রিজ আর পাউডারের গন্ধ । ভাবতে অবাক লাগে তার শরীর আজ আমার ভেতরে কোনাে অনুভূতিই জাগায় না। আর এমন মাংসের স্তুপ কীভাবেই-বা তা পারে! অথচ আমি যখন টগবগে আঠারােয়, তখন তাকে হাইমেটোর ঝােপভর্তি মাঠে টেনে নিয়ে গিয়েছিলাম কী প্রচণ্ড আবেগে, আর আনা সেদিন রাক্ষস! আস্ত রাক্ষস!’ বলতে বলতে আমার হাত টেনে নিয়েছিল দুই উরুর মাঝখানে।………

……ব্যাপারটা আরাে খারাপ দিকে মােড় নিল যখন আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে ক্রিস্টিনের নিতম্বে হাত বােলাতে শুরু করলাম । কখনাে কখনাে আমার আঙুল ক্রিস্টিনের ব্লাউজের ফাকেও ঢুকতে চাইত। কেউ অবশ্য ব্যাপারটা জানতে পারেনি। কারণ ক্রিস্টিন এ নিয়ে কোনাে হৈ চৈ না করে স্রেফ নিঃশব্দে চাকরিটা ছেড়ে দিল।…….

মা – নাতালিয়া গিনসবার্গ

…….ধূসর আলাে ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা ছাড়ত মা । কোমরের খুঁজে পেটিকোটের ফিতার গভীর দাগে, গলায় আর হাতে সাবান মাখত সে বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে। চেষ্টা করত এসময় বাচ্চারা যেন তাকে দেখতে না পায়। কিন্তু আয়নায় তারা ঠিকই দেখতে পেত মায়ের বাদামি কাধ আর ছােট ছােট দুই স্তন। দুই হাত উঁচু করে সে। বগলে পাউডার ছড়াত অকৃপণভাবে । কাপড় পরার পর শুরু হত তার ভ্রু প্লাক করা । দাঁতে ঠোট কামড়ে আয়নাতে নাক ঠেকিয়ে দারুণ যত্নে কাজটি করত সে। ………

Leave a Reply