দি সেনসেট ক্লাব – খুশবন্ত সিং

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

……….বুটা একটু দমে যান। ইংল্যান্ডে কলেজ জীবনের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করেন, প্রচন্ড আবেগে মেয়েদের জড়িয়ে চুম্বন করার সময়ই তার বীর্যপাত হয়ে যেতাে। এমনকি পরে যখন হুইস্কি পান করে একটু মাতাল অবস্থায় থাকতেন তখন তার যৌনমিলন পনের থেকে বিশ মিনিট স্থায়ী হতাে এবং হঠাৎ কখনাে কোন মেয়েকে তার চরম পরিতৃপ্তির পর্যায়ে নিতে সফল হয়েছেন ।…….

……..লক্ষী তার দিকে তাকান এবং শর্মার ঠোঁটে চুমু দেন। কিছুটা চমকে গেলেও তিনি অত্যন্ত আবেগের সাথে সাড়া দেন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত তাদের ঠোঁট আঠার মতাে লেগে থাকে। শর্মার যন্ত্র শক্ত দন্ডের মতাে উৎক্ষিপ্ত। নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না তিনি। তার হাত লক্ষ্মীর দুই উরুর ফাঁকে ঢুকিয়ে দেন। “আজ নয়,” লক্ষী ফিসফিসিয়ে বলে, “আমার শরীর ভালাে নেই, পিরিয়ড চলছে আমার ।” শর্মা পিরিয়ড সম্পর্কে কিছু জানেন না, অতএব ভাবলেন সে একটা অজুহাত দেখাচ্ছে। তিনি তার হাত আরাে খানিকটা ঠেলে দিলেন এবং প্যাডের প্রতিবন্ধকতা বুঝতে পারলেন, সেটি রক্তে ভেজা। “আমি তাে তােমাকে বলেছি ডার্লিং, ধৈর্য্য ধরাে। আমাদের বিয়ের পর তুমি যতাে খুশী চাও পাবে।”……….

………গভর্নেসের পদশব্দ শুনতে পেলেন, সে তার রুমে যাচ্ছে। তার চোখে ঘুম এলাে না । আস্তে আস্তে পা ফেলে তিনি গভর্নেসের বেডরুমে গেলেন। সে তার জন্য জায়গা করে দিল, যেন তাকে আশা করছিল। তিনি তার ওপর উঠে তার ঠোঁটে ঠোট চেপে ধরলেন। সে তার উরু প্রসারিত করলে তাকে প্রবেশের সুযােগ করে দিতে। তিনি তার মাঝে প্রবেশ করলেন। তারা দুজনই নিরবে শুয়ে রইলাে, যা তাদের কাছে মনে হচ্ছিল স্বর্গীয় চিরন্তনতা। দীর্ঘক্ষণ পর প্রচন্ড এক ঝাঁকুনির সাথে কোন পরিণতির কথা চিন্তা না করে গভর্নেসের ভিতরে ঢেলে দিলেন আধা গ্যালন পরিমাণ বীর্য । ঈশ্বরের কৃপা যে সেখানে কেউ ছিল না। তার বিশ্বাস জন্মালাে যে যারা ইংলিশ মহিলাদের শীতল দেখেছে, তারা আসলে কোন ইংলিশ রমণীর স্বাদ পায়নি। তারা বিভিন্ন স্থানে সাক্ষাৎ অব্যাহত রাখলাে এবং প্রতিবার মিলিত হতাে।……….

…….তাই তাে, কোথায় পালিয়ে গেল তার যৌবন? বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনগুলাের কথা মনে পড়লাে বরকতউল্লাহ বেগের। তখন তার বয়স আঠার বছর, আর সকিনার যােল বছর। শৈশবে তারা একসাথে খেলেছেন, যৌবনের প্রারম্ভের দিনগুলােতে একজন আরেকজনকে উত্যক্ত করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেছেন সকিনার স্তন ক্ৰমে সুডােল হয়ে উঠছে এবং নিতম্ব গােলাকৃতি ধারণ করছে। তারা একা থাকার সুযােগ পেয়ে প্রথম রাতেই আসল কাজে লিপ্ত হয়।

কি প্রচন্ড এক আবেগের আগ্নেয়গিরি ছিল ছােটখাট আকৃতির সকিনার মাঝে! যখনই তারা দু’জন একাকি থাকতেন প্রতিবার মিলিত হতেন। কখনাে একদিনে ছয়বার পর্যন্ত মিলিত হয়েছেন। বেগকে অত্যন্ত ভারি দেখে সকিনা বললেন যে তিনিই তার ওপরে থাকবেন। বেগ দেখলেন যে এই প্রক্রিয়া অধিকতর তৃপ্তিদায়ক, অতএব চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতেন তার খতনা করা বিশাল লিঙ্গটি কুতুব মিনারের মতাে খাড়া করে। সকিনা তার ওপর উঠে বেগের উৎক্ষিপ্ত লিঙ্গটি নিজের মাঝে নিয়ে নিতেন পুরােটা তার দুই উরুর মাঝখানে হারিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। ওপরে থেকে বেশির ভাগ কর্ম সকিনাই করতেন, বেগের চোখে, ঠোঁটে চুমু দিতেন, ওপর নিচ করতেন। এক পর্যায়ে তার আবেশের গােঙানির সাথে বেগও চরম অবস্থায় পৌছে যেতেন। এটা কি যে পরিতৃপ্তি ছিল! যেমনটি আশা করা হয়েছিল, দ্বিতীয় মাসেই সকিনা গর্ভবতী হয়ে পড়লেন। বমি ভাব ও সকালে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এক সপ্তাহের জন্য পিত্রালয়ে গেলেন সকিনা । বেগের জন্য স্ত্রীর এই অনুপস্থিতকাল ছিল দীর্ঘ। অতএব তিনি সকিনার পরিচারিকাদের পালা করে শয্যায় নিতে শুরু করলেন — একজনের ওপর উপগত হতেন যখন সে সকালে তার জন্য চা আনতাে, অন্যজনকে শয্যাগত করতেন যখন সে রাতে তার জন্য এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে আসতাে । মেয়েগুলাে ব্যাপারটিকে নিয়েছিল তাদের কর্তব্যের অংশ হিসেবে। এতে তার বিবেকের কোন দংশন ছিল না। গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবের কারণে যখনই তার স্ত্রী পিত্রালয়ে গেছেন, বেগ তার নিজের কর্ম চালিয়ে গেছেন।

কখনো না কখনাে তিনি চৌরি বাজারে গেছেন বাঈজিদের মুজরা ও নাচ দেখতে। তাদের একজনের সাথে যৌনমিলনের মধ্য দিয়ে তার সন্ধ্যার পরিসমাপ্তি ঘটতাে। বাঈজিদের মােটা রকমের বখশিশ দিতেন তিনি। স্বামীর অবিশ্বস্ততার ব্যাপারে সকিনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ ছিল, কিন্তু স্বামীকে এ নিয়ে কখনাে প্রশ্ন করেননি। যতােদিন তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ না করছেন, ততােদিন এসব ব্যাপারে মাথা না ঘামানােই ভালাে। নওয়াব, রাজা ও ধনী ব্যবসায়ীরা এসব করেই থাকে। তিনি একদিকে একজন নওয়াব এবং বিত্তবান ব্যক্তি।………..

…….‘হিন্দুস্থান টাইমস’ ও টাইমস অফ ইন্ডিয়া’য় তিনি শুধু হেডলাইনগুলাের ওপর চোখ বুলান, এরপর সাপ্লিমেন্ট পেজে চলে যান বলিউড নায়িকাদের স্তন ও নিতম্ব দেখতে ।……

……..“ইশক-ভিশক, লাভ-শাভ, অল বুলশিট,” বুটা সিং বলে উঠেন, “বেগ সাহেব, আসল হচ্ছে কাম লালসা, প্রেম হচ্ছে লালসার ওপর প্রলেপ দেয়ার জন্য স্রেফ রােমান্টিকতা। কাম লালসা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষের মধ্যে এটি গড়ে উঠতে থাকে তার শৈশব থেকে, কৈশােরে অতিমাত্রায় তাড়নার সৃষ্টি হয় এবং তা বার্ধক্য পর্যন্ত টিকে থাকে। ছেলেদের বিশেষ অঙ্গ যখন খাড়া হতে শুরু করে তখন তা অন্য ছেলেদের পশ্চাদদেশে কিংবা মেয়েদের যােনিতে প্রবেশ করায়, মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যাঙ্গ সিক্ত হতে থাকে। প্রকৃতি তাদের সকলকে বাধ্য করে দুই উরু চেপে রাখতে যতােক্ষণ পর্যন্ত না তারা চরম অবস্থায় উন্নীত হয়। আমার কাছে শুনুন যে বিশননাঈ ও সেই ব্রাক্ষ্মণ মহিলার মধ্যে কি ঘটে থাকতে পারে। বিশননাঈ একটা নতুন মহিলা চেয়েছিল এবং সুস্বাদু আহারের জন্য শিকারের সন্ধানে ছিল। ব্রাক্ষ্মণীর বয়স ত্রিশ ও চল্লিশের মাঝামাঝি, ফর্সা, কালাে কোকড়ানাে চুল কাঁধ পর্যন্ত লম্বিত, হরিণীর মতাে টানা চোখ । তাদের চার চোখের মিলন হলাে, আর কাম লালসা চেগিয়ে উঠলাে। অতপর তারা সােজা কাজে নেমে পড়লাে, ব্যস এটাই তাে ব্যাপার।”…….

……..যখন তরুণ ছিলেন তখন যেসব মেয়ের সাথে তার সাক্ষাত ও মেলামেশা হয়েছে তাদের নিয়ে কল্পনা করেছেন। তিনি যখন হস্তমৈথুন করতেন তখন সেসব মেয়ের কথা তার মনে পড়তাে। তিনি আশা করতেন যে ওই মেয়েগুলাে তার স্বপ্নে ফিরে আসুক এবং স্বপ্নকে আরাে মধুর করে তুলুক। কিন্তু তারা কখনাে আসেনি; যখনই তার স্বপ্নদোষ হয়েছে, তা এমন এক মহিলার সাথে জড়িয়ে, যাকে তিনি কখনাে কল্পনা করেননি।…..

……..“সরদারজি তার সামনের টেবিলের ওপর থেকে এক টুকরা কাগজ তুলে নিল, তাতে মহিলাদের মধ্যাঙ্গের একটি ছবি আঁকলাে এবং বাের্ড সদস্যদের বললাে, ‘আপনারা কি বলতে পারেন, এটা কি?”
“অবশ্যই,” তারা উত্তর দিলেন। এটা হচ্ছে, মহিলাদের যৌনাঙ্গ অথবা তােমরা শিখরা যাকে বলাে ‘ফাদ্দি।”
“ঠিক বলেছেন, সরদারজি বললাে। এবার আমাকে বলুন, এটা কি আপনাদের মায়ের, না আপনাদের বােনের?”……..

……..“হােলি নয়, হুল্লারবাজি। গােলমাল করা। মানুষের ওপর রং ছিটানাে, মেয়েদের গালে রং লাগিয়ে দেওয়া এবং সুযােগ পেলে তাদের স্তন স্পর্শ করা, জুয়া খেলা ও ভাং পান করা, বুটা সিং মন্তব্য করেন। এর মধ্যে কোন্ কাজটি ধর্মীয়?”…….

……..“কয়েক পেগ হুইস্কি পান করার পর নর্তকি মেয়েগুলাের পানে ভালাে করে তাকালাম। প্রত্যেকেই সুন্দরী, কিন্তু একজন এমন যে চোখ ফিরানাে যায় না। সাইপ্রেস গাছের মতাে দীর্ঘ, সরু দেহ, টানা আয়ত চোখ, ভরাট স্তন, ক্ষীণ কোমর এবং দৃষ্টিনন্দন গুরু নিতম্ব। তার কালাে চুল কোমর পর্যন্ত লম্বিত।……..

……..“কথা বলতে বলতে তার গাল লাল হয়ে উঠেছে। সে তার কামিজ খুলে গালিচার ওপর ছুঁড়ে দিল এবং দুই হাত দিয়ে চোখ ঢাকলাে। এটুকুই যথেষ্ট নয়,’ বলে আমি তাকে আমার কাছে টেনে নিলাম। দ্রুততার সাথে তার সালােয়ারের ফিতা ধরে টান দিলাম এবং সালােয়ার তার পায়ের কাছে পড়লাে। সে তার গােপনাঙ্গের কেশ মুন্ডন করেছে — ওই স্থানে কেশের উপস্থিতি আমার পছন্দনীয় নয় — নিখুঁত শরীরের অধিকারী মেয়েটিকে মনে হচ্ছিল যেন শত মর্মরের একটি মূর্তি।”

“আমি তাকে টেনে বিছানায় আমার পাশে শশায়ালাম। এরপর চুমু দিতে শুরু করলাম, চোখ থেকে গাল, গলা, স্তন, পেট, নাভিজ্ঞ নিমাংশ, উরু বেয়ে নিচের দিকে তার পায়ের পাতা পর্যন্ত, আবার একইভাবে চুমু দিতে দিতে কপাল পর্যন্ত। সে তার হাত বাড়িয়ে আমার প্যান্টের বেল্ট খুলে আমার লিঙ্গ ধরে বিস্ময়ে বললাে, ‘হায় খােদা, আমাকে সাহায্য করাে। এটাতাে বিশাল — আমার দেখাগুলাের মধ্যে সর্ববৃহৎ! এটা তাে আমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে। আমার সাথে দয়া করে সদয় আচরণ করবেন।”

“তার তােষামুদপূর্ণ কথায় আমি সন্তুষ্ট — সকল পুরুষই একইভাবে বিগলিত হবে যদি কোন মহিলা তাদের যন্ত্রের আকৃতির প্রশংসা করে। এটি তার ভিতরে প্রবেশ করানাের সময় আমি অত্যন্ত দ্র ছিলাম। সে তার ভিতরের পেশি দিয়ে এটিকে দৃঢ়ভাবে চেপে ধরে এমন কৌশলে খেলছিল যেন জিনিসটি গাভির ওলানের বাট। আমি তাকে থামতে বললাম, কারণ এতাে জলদি আমি নিঃশেষিত হতে চাইছিলাম না। সে দু’বার চরমে উঠা পর্যন্ত আমি তার ভিতরেই অবস্থান করলাম, তার মুখ দিয়ে পরমানন্দ লারে শব্দ বের হচ্ছিল। এরপর আমি যখন প্রবলভাবে আমার অঙ্গচালনা শুরু করলাম তখন সে তৃতীয় দফা পরিতৃপ্তি লাভ করলাে এবং আমি আমার বীজ তার মাঝে ঢেলে দিলাম। বুটাজি, সেই সন্ধ্যায় আমি যেভাবে সঙ্গম উপভােগ করেছি তেমনটি আর কখনাে করিনি।”………..

…….“ঠিক আছে, শুরু করুন।” “সে কার্পেটের উপর পদ্মাসনে বসে দীর্ঘ দম নিতে থাকে। এরপর ধনু আসন, গ্রীবা বাঁকিয়ে দৃষ্টি স্থির করে ঘরের ছাদে। আমি লক্ষ্য করি যে তার স্তন ছােট, স্তনের বােটা ব্লাউজকে স্ফীত করে রেখেছে। বুঝতে পেরেছেন? সে প্রশ্ন করলাে।………

…….“এটা তাে খুব সহজ এবং অত্যন্ত উপকারী,” সে বলে । আপনাকে দেখাচ্ছি । সে তার দুই হাতের তালুতে মাথা রেখে ধীরে ধীরে আকাশের দিকে পা তুলে। তার স্কার্ট পড়ে যায় মুখের উপর, কোমর থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ খােলা। তার প্যান্টির নিচে স্যানিটারি প্যাড গোঁজা । আমার পিরিয়ড চলছে,’ সে ব্যাখ্যা করে স্কার্টের নিচ থেকে।…….

………সে সাধারণ আসনগুলাের চর্চা করলাে, আবার তার স্কার্ট পড়ে গিয়ে তার মুখ ঢেকে ফেললাে । কিন্তু এবার তার পরনে কোন আন্ডারওয়্যার ছিল না। তার আঙ্গুলের ডগা থেকে যােনিসহ কোমর, পেট সবই আমার সামনে উন্মুক্ত। আমি তার মনের কথা বুঝে গেলাম। সে আবার পায়ে দাঁড়ালাে এবং আমার পাশে এসে বসলাে। হাত রাখলাে আমার মধ্যাঙ্গে। সে আমার অঙ্গের উৎক্ষিপ্ত অবস্থা টের পেয়ে বললাে, “ও, আমি বুঝতে পারছি যে আপনি যা দেখেছেন তা আপনার পছন্দ হয়েছে।” কথা আর না বাড়িয়ে সে তার পরনের সকল কাপড় খুলে ফেললাে। আমরা সােফার উপরই পরস্পরকে ভালােবাসতে শুরু করলাম। যখন শেষ হলাে সে তখনই কাপড় পরলাে না, পুরাে নগ্ন হয়ে সােফায় বসে রইলাে। ধূমপান ও মদের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছিল। “আপনি খাবারটা গরম করুন, এর মধ্যে আমি শাওয়ার নিয়ে আসছি,” বলে সে বাথরুমে গেলাে সােফার উপর কাপড়গুলাে রেখে। সে শাওয়ার নিয়ে ফিরে এসে আবার সােফায় বসলাে, আরেকটা সিগারেট ধরালাে এবং আরাে খানিকটা মদ পান করলাে ।

ডিনারের আগে আমরা দ্বিতীয়বারের মতাে মিলিত হলাম। এবার আমাদের মিলন আগের বারের চেয়ে দীর্ঘ ছিল। পরিতৃপ্তিতে তার দেহ কম্পিত হলাে, মুখ দিয়ে গােঙানির মতাে আওয়াজ বেরুলাে। এরপর ওর আনা মেক্সিকান খাবার খেলাম । সে তখনাে নগ্ন ছিল। আমরা দ্বিতীয় বােতল মদও শেষ করলাম। আমরা কিছুটা মাতাল হয়ে গেছি এবং বেশ ক্লান্ত। সে আমার পাশে সােফায় দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে থাকলাে যতােক্ষণ পর্যন্ত না আমরা দু’জনই ঘুমে কাতর হয়ে পড়েছি। টেবিল পরিস্কার না করেই আমি তাকে বেডরুমে নিয়ে গেলাম এবং আমিও ওর মতােই সকল কাপড় খুলে ফেললাম। নগ্ন অবস্থায়ই সে আমার হাতের উপর ঘুমালাে। ভােরের দিকে আমরা আবার মিলিত হলাম এবং তখনাে সে পরম তৃপ্তি লাভ করলাে। নাশতার জন্য আমি তাকে কফি ও বাটার টোস্ট তৈরি করে দিলাম। সন্ধ্যায় আমার কাছে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে কলেজে চলে গেল।

একটি রুটিনে পরিণত হয়েছিল এটি। ভারতে ফিরে আসার আগে আমার আর মাত্র এক মাস সময় ছিল। পুরাে মাসটাই সে আমার সাথে কাটালাে। আমরা মদ পান করতাম এবং প্রতিদিন মিলিত হতাম। নগ্ন অবস্থায় থাকতে সে পছন্দ করতাে। সে বলতাে, কাপড় পড়তে হয় বাইরে যাওয়ার জন্য, আর বাড়িতে নগ্ন থাকা উচিত। তার নগ্ন, বালকসুলভ দেহ এখনাে আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে ।

“বেগ সাহেব, আপনি শুধু কল্পনা করুন একটি সম্পূর্ণ নগ্ন মেয়ে সারাদিন, সারারাত আপনার পাশে অবস্থান করছে এবং দিনে দু’বার মিলিত হওয়া। বেগ সাহেব, আমি আপনাকে বলছি পিছন থেকে দেখা কোন মেয়ের চমৎকার সুডােল এবং মাঝখানে টোল পড়া নিতম্ব একজন পুরুষের কামনাকে যেভাবে জাগিয়ে তুলতে পারে, দীর্ঘ কোঁকড়ানাে কুচকুচে কালাে চুল, টানা চোখ বা লাল ঠোট কিংবা যেটি কোন পুরুষের আসল লক্ষ্য চুলে ঢাকা সেই যােনিও সেভাবে তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না।” বুটা তার হাতের তালু যুক্ত করে তিনি যে বর্ণনা দিলেন তার একটি কাঠামাে দেখাতে চেষ্টা করেন। এই দৃশ্য কোন ধ্বজভঙ্গ লােকের অঙ্গকেও খাড়া করে দিতে পারে । আর আমি তাে তখন ধ্বজভঙ্গ ছিলাম না। আমার দেহে যে পরিমাণ বীর্য ছিল তার প্রতিটি আউন্স সে শুষে নিয়েছে।”……

……….তার রুমের দরজাটা আধখােলা অবস্থায় দেখতে পেলাম । ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেল। তাকে বিছানায় শায়িত অবস্থায় দেখলাম, টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালানাে। চশমা ছাড়া তাকে কম গম্ভীর মনে হচ্ছিল। তিনি তার নগ্ন হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, “কাম, দরজাটা বন্ধ করে দিন। আমাকে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি তা পালন করলাম এবং তার শয্যার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। “আমার সাথে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন,” তিনি আদেশ করলেন। একজন মহিলা দেখতে কেমন সেইসব বিবেচনা ছাড়াই তখনকার দিনে আমার বিশেষ অঙ্গ উৎক্ষিপ্ত হতাে। আমি আমার ট্রাউজার খুলে তার পাশে শুয়ে পড়লাম। তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন। “আপনার পরনে তাে কোন কাছাও নেই,” আমি বললাম। “না, কাছা বা কৃপাণ কোনটাই নেই। আপনার যন্ত্রে একটু ক্রিম মেখে নিন। আমি শুষ্ক।” তার টেবিল ল্যাম্পের পাশে রাখা ক্রিমের কৌটা নিয়ে আমি আমার অঙ্গে মাখিয়ে তার মাঝে প্রবেশ করালাম। তিনি উচ্চারণ করলেন, “ওয়াহ গুরু” এবং চোখ বন্ধ করলেন। আপনি তাে জানেন যে আপনি যদি কোন মহিলাকে ভালােবাসেন তাহলে তার সাথে মিলনে যতােক্ষণ টিকতে পারবেন তার চেয়ে বেশি সময় টিকতে পারবেন যার সাথে আপনার আবেগের কোন সম্পর্ক নেই। আর মাতাল হলে তাে আরাে বেশি সময় টিকে থাকা সম্ভব।

অতএব, এটা যেন অনন্তকাল ধরে চলার ব্যাপার। হয়তাে এক ঘন্টা কেটেছে, আমি আমার নিচ থেকে তার কম্পন অনুভব করলাম এবং সেই সাথে ভেসে এলাে মৃদু চিৎকার, “হায়, মরে গেছি! ওয়াহ গুরু! ওয়াহ গুরু।” তার কেশবহুল যােনিতে আমার বীজ ঢেলে দিলাম। তিনি শরীর এলিয়ে দিলেন এবং বিড়বিড় করে বললেন, “খুব চমৎকার। এখন আপনি গিয়ে ঘুমাতে পারেন।”…….

…….যাকে আমি মাসি বলে ডাকতাম, প্রতি রাতে তিনি আমাকে এক গ্লাস দুধ পান করতে দিতেন, যাতে বাদামের গুড়া মেশানাে থাকতাে। খুবই সুস্বাদু! তার চেয়ে বেশী স্বাদের ছিল কামরা ছেড়ে যাওয়ার আগে যখন তিনি আমার কপালে চুমু দিতেন এবং এটা করার সময় আমার নাকে তার স্তনের ঘষা লাগতাে। কোন কোন রাতে তিনি আমাকে দু’বার বা তিনবারও চুমু দিতেন এবং আমার নাক তার স্তনের কোমল স্পর্শ অনুভব করতাে। এর ফলে তার ব্যাপারে আমার মধ্যে বাজে চিন্তার সৃষ্টি হলাে। আমার বিশেষ অঙ্গ খাড়া হয়ে যেতাে।……..

…….প্রথম রাতে মাসি আমার জন্য যখন দুধ নিয়ে এলেন, তখন ভিতর থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দিলেন। কপালে চুমু দেয়ার পর তিনি আমার ঠোঁটে চুমু দিলেন। উত্তেজনায় আমার পাগল হওয়ার অবস্থা। তাকে টেনে বিছানায় আনলাম । তখন আমার বয়স বড়জোর চৌদ্দ বছর এবং এর আগে কখনাে কোন মহিলার সাথে শুইনি । তিনি আমার উথিত অঙ্গকে তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। আমি উন্মত্ত হয়ে গিয়েছিলাম এবং তার মাঝে আমার বীজ ঢেলে দিলাম। তিনি একই অবস্থায় ছিলেন। কিছু সময় পর আমি আবার সক্রিয় হলাম। সেই রাতে তার সাথে কমপক্ষে ছয়বার মিলিত হয়েছি — প্রতিবারই শেষবারের চেয়ে দীর্ঘতর সময়ের জন্য। ভােরের ঠিক আগে আমরা শেষ করেছি। মধ্য সকালে আমি উঠে গরম পানিতে গােসল সেরে নাশতা করলাম। এরপর বাগানে গেলাম রােদ পােহাতে । মাসি জানতে চাইলেন যে আমি ঠিকমতাে ঘুমােতে পেরেছি কিনা। আমি উত্তর দিলাম, “কাঠের গুড়ির মতাে পড়ে ঘুমিয়েছি।” তিনি উপদেশ দিলেন ,“দুপুরে খাওয়ার পর আরাে কিছু সময় বিশ্রাম নিও। তােমার কাজে লাগবে।” আমি ধারণা করে নিলাম যে তার মনে কি ছিল। কোন পরিণতির কথা না ভেবে পরবর্তী দু’টি রাতেও একই কাজ করলেন।………

……বুটা সিং এর চেয়ে কয়েক ফুট দীর্ঘ জার্মান তরুণীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। তার সােনালি চুল, নীল চোখ এবং পরিপুষ্ট স্তন।……চতুর্থ দিবসে মেয়েটি তাকে দেখতে এসে তার ঠোটে চুমু দিয়ে বললাে, “আহা বেচারি! আশা করি তােমার একটু ভালাে লাগছে।”

বুটা তাকে সতর্ক করলেন যে তারও ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। উত্তরে মেয়েটি বললাে, “আই ডােন্ট কেয়ার । আমার কখনাে ঠান্ডা লাগে না।” পরে সে বুটার রুমে দু’জনের জন্যই ডিনার আনলাে এবং একসাথে খেলাে। রাতে সে আবার এলাে বিদায় জানাতে,“শুভরাত্রি । তােমার সুন্দ্রিা হােক।” | রাতে সুন্দ্রিার আশা ব্যক্ত করে মেয়েটি বুটার পাশেই শুয়ে পড়লাে। তারা যৌনকর্মে মিলিত হলাে। পরদিন সকালে দেখা গেল বুটার ঠান্ডা ও কফ সেরে গেছে আর জার্মান মেয়েটি হাঁচি দিতে শুরু করেছে ।……….

……..শর্মা তাকে সংশােধন করেন, “আসলে তার আশ্রমে চারটি জিনিসের অনুমােদন ছিল না—মাংস, মদ, তামাক ও যৌনকর্ম।”

“আমরা যা বলি আমাদের বন্ধু বুটা সিং সবকিছুর সাথে ভিন্নমত পােষণ করেন, বেগ বলেন। “গান্ধীর ব্যাপারে ত্রুটি দেখতে পান এমন আর কিছু কি রয়েছে?”

“অবশ্যই আছে। যৌন বিষয় সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে খুব একটা পরামর্শ না করেই তিনি যৌন নিবৃত্তির পথ ধরলেন অর্থাৎ ব্রক্ষ্মচারী হয়ে গেলেন। এরপর তাকে তার যৌনাকাঙ্খা নিয়ন্ত্রণ করতে সারাজীবন যুদ্ধ করতে হয়েছে। তার শরীর মালিশ করার জন্য মহিলা নিয়ােজিত থাকতাে। তিনি মেঝের উপর শয়ন করলে তার দু’পাশে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দু’জন তরুণী শুতাে, তাদের সাথে তিনি নগ্ন অবস্থায় স্নান করতেন। এসবই তিনি করতেন এটা নিশ্চিত হতে যে তার মনে নােংরা চিন্তা না আসে এবং তার অঙ্গ খাড়া না হয়। মাঝে মাঝে তার স্বপ্নদোষ হতাে এবং সবাইকে সে সম্পর্কে বলতেন। আমাদের তিনজনই তরুণ বয়সে যৌনকর্ম করেছি। সেজন্য কোন অনুশােচনা নেই। আমাদের পক্ষে সম্ভব হলে এখনাে আমরা তা করতাম, করতাম কি না?”…….

………যৌনকর্ম আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি এবং এটি আমাদের সকল কাজের উপর নিয়ন্ত্রণকারী। পুরুষদের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যখানে কেন্দ্রীভূত। বিকাশের চারটি স্তর অতিক্রম করে এটি, সবক’টি স্তরের নামকরণ হয়েছে ইংরেজি ‘এল’ অক্ষর দিয়ে। প্রথমে এটি থাকে ‘লাল্লি’ হিসেবে, প্রত্যেকের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের আকৃতিবিশিষ্ট। একটি ছেলে শিশু তার প্রস্রাবের ধারা নির্গত হওয়ার একটি ফুটো ছাড়া এ সম্পর্কে আর কিছুই জানে না। তার যদি কোন কোন আয়া বা পরিচারিকা থাকে তাহলে তাকে স্নান করানাের সময়ে এটি নিয়ে খেলে। তার বয়স যখন পাঁচ বছর হয়ে যায় তখন এর নাম হয়, ‘লাল’ এবং এটি সময়ে সময়ে খাড়া হতে থাকে। ওই বয়সের ছেলেরা অন্য কোন ছেলে অথবা মেয়েদের মাঝে এটি প্রবিষ্ট করার সুযােগ খুঁজতে থাকে। এর থেকে কিছুই বের হয় না। তৃতীয় স্তরে পৌছে ১২ বা ১৩ বছর বয়সে, যখন এর নাম হয়ে যায় ‘লুল্লা’ বা ‘লুন্ড। এর চারদিকে কেশের উদগম শুরু হয় এবং এক ধরনের অপ্রতিরােধ্য তাড়ণার সৃষ্টি হয় এটিকে কোন ছেলের পশ্চাৎদেশে বা মেয়ের মধ্যখানে প্রবিষ্ট করানাের —এটি কোন বন্ধু হতে পারে, ছেলে ভৃত্য, চাকরানী, জ্ঞাতি ভাইবােন বা খালা ফুফু ধরনের কেউ হতে পারে। এমন কাউকে যদি না পাওয়া যায় তাহলে সে বিষয়টিকে নিজের হাতে নিয়ে নেয় এবং হস্তমৈথুন করে নিজের বীজকে বাতাসে বিনষ্ট করে। এরপর সে একটি স্ত্রী লাভ করে এবং স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যখনতখন তার উপর উপগত হয়। তখন সে অন্যান্য মহিলার সন্ধানে থাকে যে মহিলাদেরকে তার পক্ষে পাওয়া সম্ভব এবং এভাবে চলতে থাকে সত্তর বছর এবং আশি বছর বয়স পার হলেও। চতুর্থ এবং শেষ ধাপ হচ্ছে লিন্দু অর্থাৎ এটির অক্ষম, স্থবির হয়ে যাওয়া । তখন এটি আর পুরােপুরি খাড়া হতে পারে না —কখনাে কোনমতে মাথা তুলতে চেষ্টা করে এবং সহসাই নেতিয়ে পড়ে। যেসব যৌনকর্ম এটির দ্বারা সংঘটিত হয়েছে সেগুলােই সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই চিন্তা কোন পুরুষ মানুষকে কখনাে ত্যাগ করে না। আমার কথা কি আপনাদের কাছে অর্থবােধক বলে মনে হয়?”

“তােমার উচিত এই বিষয়ের উপর একটি থিসিস লিখা,” শর্মা বলেন। “কোন বিশ্ববিদ্যালয় তােমাকে ‘লালােলজি’র উপর ডক্টরেটও দিতে পারে।”……….

……..“আমার কথা তােমার বিশ্বাস হবে না। ওই যে লক্ষ্মী, মনে আছে? যে মেয়েটি আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল? আজ সকালে সে এসেছিল। এখন সে বিবাহিতা এবং দু’টি বাচ্চা আছে। রুমে আর কেউ ছিল না। সে আমার বিছানায় বসে আমার ঠোঁটে চুমু দিয়েছে। এরপর ব্লাউজ খুলে তার স্তন আমার ঠোঁটের কাছে দিয়ে বলেছে, ‘আমার এখানে চুমু দাও’।” তুমি বিশ্বাস করতে পারাে?”………

Leave a Reply