……….চুপ করে রইলাম আমি। একটু পর একপ্লেট ভর্তি মিটভেজিটেবল নিয়ে এলাে রিতা। আমি তখন ওর পুরুষ্টু বুক, ধূর্ত চোখমুখের নমুনা, ফ্যাকাশে ঠোট দেখছি। ও আমার একেবারে পাশে এসে দাঁড়ালাে। আমি এক হাতে কাঁটাচামচ দিয়ে প্লেট থেকে খাবার তুলতে লাগলাম আর অন্য হাতটা দিয়ে চেপে ধরলাম রিতার হাঁটুর কাছটা। তারপর হাতটা তুলে আনলাম ওর উরুর ওপর। স্বল্প পােশাকের ভেতর দিয়ে রিতার টানটান মাংশপেশির মৃদু স্পন্দন অনুভব করলাম আমি- প্রভুর আদুরে ঘােড়ার মাংশপেশিগুলাে যেমন কেঁপে কেঁপে ওঠে, সেরকম। কোনাে পরিচারিকার গায়ে এভাবে হাত দেবাে, একথা কখনাে কল্পনাও করিনি। নিরবে সরে গেলাে রিতা।…….
……..মেয়েটি গিয়ে ঢুকলাে সেখানে। আমি যতােটা সম্ভব ডিভানটা গােছালাম। ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিগারেটের টুকরােগুলাে পরিষ্কার করলাম। ভাবছি, আমি কী সত্যি তাই করবাে ওর সাথে ও যা চায়? হঠাৎ বাথরুমের দরজা খােলার শব্দে চমকে উঠলাম। সেদিকে তাকাতেই চক্ষুস্থির। নিরাবরণ। সম্পূর্ণ উলঙ্গ মেয়েটি। বুকের কাছে তােয়ালেটা দু’হাতে জড়াে করে ধরে পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে দিয়ে হেঁটে এগিয়ে এলাে। কঠিন পীনােন্নত স্তন! তার তুলনায় কমবয়েসী মেয়েদের মতাে বেশ সরু কোমর। পূর্ণ যুবতীর মতাে স্ফীত ভারি নিতম্ব। ও সহজভাবে ইজেলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাে। তারপর কেমন হেঁয়ালিভঙ্গিতে বললাে, আমি তাহলে কোথায় বসবাে? শান্তভাবে বললাম, কোথাও বসতে হবে না। সেকি! কেনাে? বেশ অবাক চোখে ও তাকালাে আমার দিকে। বললাম, ছবি আঁকার প্রস্তাবটা ছিলাে স্রেফ ছুতাে। আসলে কয়েকদিন হলাে ছবি আঁকা আমি ছেড়ে দিয়েছি। আর মডেলদের ছবি আমি আঁকিনি কখনাে।……….
………হ্যাণ্ডশেক করলাম উভয়ে। মনে হলাে, বড়াে বড়াে সুন্দর দু’চোখ দিয়ে যেনাে ও আমাকে বুঝতে চেষ্টা করছে। ঘুরে দাঁড়াবার সময় ওর ঢিলেঢালা স্কার্টটা হাওয়ায়
ভসন্যাম ফুলে উঠলাে। এবং বুকের কাপনে যেনাে নেচে উঠলাে স্তন দুটো। এটা স্বাভাবিক ছেনালিপনা ভঙ্গি। সম্ভবত তাই বড়াে বেশি সেক্সি। চলে গেলাে সিসিলিয়া। ………আমি ওর আসার উৎকণ্ঠায় থাকতাম বলেই শুনতে পেতাম। উঠে দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে সিসিলিয়া ঘরে ঢুকেই দু’হাতে জড়িয়ে ধরতাে আমাকে। তারপর গােগ্রাসে চুমু খেতাে। যদিও এব্যাপারটা আমার ভালাে লাগতাে না। এবং তা মিটে যেতাে কয়েক সেকেণ্ডে। এরপরে সিসিলিয়া ওর ব্যাগটা রাখতাে টেবিলের ওপর। সেটা রেখেই এক এক করে টেনে দিতাে জানালার পর্দাগুলাে। তারপর নিরাবরণ হতাে প্রতিবার একটি জায়গায়-ডিভান আর সােফার মাঝখানের জায়গাটাতে এবং একই কায়দায়। ভেতরে ব্রা পরার বালাই ছিলাে না ওর। এমনকি বিশেষ সময় ছাড়া পেন্টিও। আমি সিসিলিয়ার মধ্যে দুটো ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ দেখেছি সবসময়। ওর শরীরের সাথে চেহারার কোনাে মিল নেই। ওর চেহারায় ফুটে আছে অপাপবিদ্ধ কিশােরীর সরলতা অথচ সে গায়েগতরে পূর্ণযুবতী। সেক্সের শুরু থেকে একেবারে চরম আনন্দ বা পুলক পর্যন্ত বলিষ্ঠ পেষণ, চুম্বন, দেহের ছন্দোময় ওঠানামার মধ্য দিয়ে নিপুণভাবে সমস্ত ব্যাপারটা ও যেভাবে গ্রহণ করে সেটা ওর কিশােরীসুলভ চেহারার সম্পূর্ণ বিপরীত।
আমার মাথায় খেলে না, ব্যালেস্তিয়েরি কেমন করে পাগলের মতাে এমন সেক্সি। মেয়েকে সামলাতেন। জানি, কারাে এব্যাপারে নাকগলাবার অধিকার আমার নেই। ………
………গা থেকে সােয়েটারটা খুলতে শুরু করলাে সিসিলিয়া। মাথার ওপর সােয়েটার তুলতেই ওর ফর্শা বগল দেখা গেলাে। কিন্তু বুক তখনাে ঢাকা। পেট নাভি কিশােরী মেয়েদের মতাে। সােয়েটারের অবরণ সরে যেতেই স্তন দুটো ঝাকুনি খেয়ে বেরিয়ে এলাে। ও নিচে বা-ট্রা কিছু পরে না। অস্বস্তিকর ভাব এড়াতেই সম্ভবত এটা ও করে। আমি জিগ্যেস করলাম, তুমি কী ফিল্মে নামতে চাও? সিদ্ধান্ত নিইনি এখনাে।
পেট নাভি বুক খােলা অবস্থায় ডিভানে বসলাে ও। তারপর ধীরে ধীরে সােয়েটারের গােটানাে হাতা খুলতে লাগলাে। আমি জানতে চাইলাম, কফি খাওয়ার পর কোথায় গেলে দু’জন? এই বাগানে একটু ঘুরে বেড়ালাম, তারপর চলে এলাম এখানে। আমি সেক্স ফিল করলাম। কিন্তু সেটা ওর অর্ধনগ্নতার জন্যে নয়, ও যে মিথ্যে কথা বলছে এজন্যে। সিসিলিয়া খুবই সাধারণভাবে বললাে, এখন কী সেক্স-গেইম হবে? নাে। আমি চিৎকার করে উঠলাম, আমি সত্য জানতে চাই।…….. যে চেয়ারটায় সিসিলিয়া ওর সােয়েটার খুলে রেখেছিলাে ও সেখানে চলে গেলাে, তারপর স্কার্টের পাশের জিপার টেনে খুলে, শরীর নাড়িয়ে সেটা খুলতে লাগলাে। ওর নিন্মাঙ্গ অনাবৃত হচ্ছে। ব্যাপারটা আমার কেমন যেনাে মনে হতে লাগলাে । আমার একঘেয়েমির জন্যেই হয়তাে এসব অবাস্তব মনে হচ্ছে। অবশ্য আমি নিজের পােশাক খুলছিলাম সত্যিকার কোনাে কামনা বােধ না করেই। এবং উলঙ্গ হয়ে আমি ডিভানের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লাম ডাক্তারের কাছে যেমন রােগীরা হয়ে পড়ে। এমন একটা বিরক্তিকর কাজের সঙ্গে ভালােবাসার কোনাে সম্পর্ক নেই। অতপর অবাক করা এক কাণ্ড ঘটলাে। নগ্ন সিসিলিয়া পা টিপে টিপে এগিয়ে জানালার পর্দাগুলাে টেনে দিলাে। তারপর সাগর দেখে আনন্দে আত্মহারা মানুষ যেমন সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়ে তেমনি ছুটে এসে ও ঝাপিয়ে পড়লাে আমার বুকের ওপর। আমি ওর উত্তেজিত কামনামদির লালচে মুখের দিকে চেয়ে রইলাম। ……..
…………এটা বাথরুম। স্বাভাবিক বাথরুম না বলে। লম্বাটে বারান্দার মতােই বলা ভালাে। একদিকের দেয়াল ঘেঁষে-ানের জায়গা, কমােড, বেসিন, দেয়ালে ঘােলাটে আয়না। আমি বেসিনের ওপর থেকে এক টুকরাে সাবান নিয়ে হাত ধুতে লাগলাম। এমন সময় দরজা খুলে বাথরুমে ঢুকলাে। সিসিলিয়া। আমাকে দেখে সামান্যতম আশ্চর্য হলাে না ও। অতি স্বাভাবিক কণ্ঠে কেবল বললাে, ও, তুমি এখানে? বলেই স্কার্ট তুলে সােজা গিয়ে বসলাে কমােডে। তারপর প্রাকৃতিক কাজ করতে লাগলাে। ওর নগ্ন হাঁটু দুটো উঁচু হয়ে আছে। মুখ তুলে তাকিয়ে রইলাে আমার দিকে। ওর সুন্দর ভাবলেশহীন কালাে চোখের দৃষ্টি আমার ওপর। জন্তুর মতাে নিরীহ সে চাহনি। একটু আগেও ওর ঘরটাকে বন্য পশুর গুহার মতাে মনে হচ্ছিলাে আমার! সিসিলিয়ার হয়ে গেলাে ততােক্ষণে। জল দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে তােয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পুছলাে জায়গাটা। তারপর কাছে এগিয়ে এসে বললাে, একটু সরে দাড়াও তাে চুল আঁচড়াবাে। ………
……..ও সহজভাবে উত্তর দিলাে, কারণ ওটাও সত্যি।
কী সত্যি?
আমি নিজে ব্যালেস্তিয়েরিকে মা’র সাথে যৌন-সহবাস করতে বলেছিলাম। তাহলেই তার সঙ্গে আমার সেক্সচুয়াল রিলেশনটা মা বুঝতে পারবে না।
চমৎকার। মজার চালাকিটাই করেছে। কিন্তু তােমার মা কী ব্যালেস্তিয়েরির সঙ্গম করাকে বিশ্বাস করতাে?
নিশ্চয়ি করতাে। কিন্তু তােমার বাবা করতেন না? না।
কেনাে? কারণ একদিন আমি আর ব্যালেস্তিয়েরি বাবার চোখে পড়ে গিয়েছিলাম।
কী অবস্থায়?
ব্যালেস্তিয়েরি তখন আমাকে চুমু খাচ্ছিলােন।
তােমার মাকে বলেন নি তিনি?
হ্যা বলেছিলেন। কিন্তু মা বিশ্বাস করেনি। কারণ ব্যালেস্তিয়েরি নিয়মিত মা’র সঙ্গে সেক্স করতাে। তাই বাবাকে বলেছিলাে, তুমি ঈর্ষাকাতর তাই এসব ভাবছাে।
ব্যালেস্তিয়েরি তারপরাে তােমাদের বাড়ি আসতেন?
হ্যা, প্রায়ই। তবে আমরা সাবধান হয়ে গিয়েছিলাম। বাবাও প্রায় বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন যে, তিনি ব্যাপারটা ভুল ভেবেছেন। ……..
…….এবং সেক্সের সময়ও এরকম কথাকাটাকাটি হয়েছিলাে? সংসর্গের সময় নয়, আগে। তারপর সবসময় যেভাবে শেষ হয়। কী বলতে চাইছাে? একসময় আমিই আর কোনাে প্রশ্নের জবাব দিতাম না। কোনাে কথাই বলতাম না। তারপর সে সঙ্গম করেত চাইতাে। জাস্ট লাইক মি! বিস্ময়ের কণ্ঠে কথাটা বললাম আমি।
তুমি ঠিক উলটো। তুমি হুট করে সংসর্গ চাও না। যাহােক , এসাে তাহলে…. বলে স্তন ঝাকিয়ে লােভ দেখানাে কামনার ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকালাে সিসিলিয়া। ভাবখানা এমন যেনাে ও ঋণ শােধ করতে চাইছে – যাতে এসব নিয়ে আমি আর না ভাবি ।………
………ফিল্ম কোম্পানির দোরগােড়ায় গাড়ি থামালাম আমি। সিসিলিয়া প্রবেশ পথের আলাে-আঁধারি হলঘরে অদৃশ্য হয়ে গেলাে। লক্ষ করলাম ওর হাঁটার স্টাইল । বুক পাছা দুলিয়ে হেঁটে গেলাে ও। মনে হচ্ছে, ফিল্ম প্রযােজকের সাথে ওর সাক্ষাৎকারটা মিথ্যে নয়। কিন্তু এমনও তাে হতে পারে ওই যুবক অভিনেতাটা।…….
……..সিসিলিয়ার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করার চে’ এখানে অপেক্ষা করা বড়াে বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়ালাে। ওখানে অপেক্ষা করছিলাম শূন্যমনে। সিসিলিয়া হয়তাে। তখন খাচ্ছিলাে অথবা পােশাক পরছিলাে নয়তাে গল্প করছিলাে মায়ের সঙ্গে। কিন্তু এখানে আমি অপেক্ষা করছি এই চিন্তা মাথায় নিয়ে ও কখন সেক্সচ্যুয়াল খেলা শেষ করবে তার জন্যে। ওই এ্যাক্টোরের ফ্ল্যাটে এখন কী ঘটছে সেটা কল্পনা করা কঠিন। কোনাে কাজ নয়। কারণ আমি তার সবই জানি। যেমন এখন সিসিলিয়া গা থেকে ওর সােয়েটার খুলে ফেললাে। কেঁপে উঠলাে ব্ৰাহীন স্তনযুগল। এখন ও উলঙ্গ হলাে। উদ্ভাসিত হলাে ওর সেক্সক্রেজি দেহ। এখন ও বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাে। মিলনে রত হলাে লুসিয়ানির সাথে। এখন ও ওর পেট উঁচিয়ে প্রথম চরমানন্দ লাভ করলাে। এখন ও ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছে।……..
……..জোরাজুরি শুরু করলাে ও। আমিও জোর করে ওকে ডিভানে বসালাম। ও মুখ ফিরিয়ে বসে রইলাে। তখনি একটা চিন্তা এলাে আমার মাথায়। সকালেই ড্রয়ার থেকে দশ হাজার লিরার দু’টো নােট পকেটে রেখেছিলাম। মনে পড়তেই ওকে প্রচণ্ডভাবে নিজের দিকে আকর্ষণ করলাম। ঠোটে চুমু খেতে গেলে মুখ সরিয়ে নিলাে। ওর গলায় আমার মুখ নেমে এলাে। নােট দু’টো আমি ওর হাতে দিলাম। ও নুইয়ে এক ঝলক তা দেখে হাতের মুঠি বন্ধ করলাে। ওর দেহ শিথিল হলাে। দেখলাম চোখের পাতা বুজে ফেললাে ও। এটা সিসিলিয়ার দৈহিক মিলন সম্মতির ভঙ্গি। কেবল নিমাঙ্গ উন্মুক্ত করে আমি ওকে গ্রহণ করলাম। পােশাক ছাড়বারও সময় দিলাম না। খানেকটা হিংস্র ভাবেই ভােগ করলাম ওকে দ্রুত চালে। নিঃশব্দে। চরমপুলক কালে ওর কানে একটা গালি ছুড়ে দিলাম-কুত্তি। মৃদু হাসির ঢেউ ফুটে উঠলাে ওর ঠোটে। অপমান না সুখ বােধ, কেননা এই হাসিবুঝলাম না।……..
……….ও মাঝে মাঝে ঘােড়ার মতাে চার হাত-পায়ে হামা দিয়ে মেঝের ওপর বসতাে আর মেয়েটি নগ্নাবস্থায় ঘােড়ায় চড়ার মতাে ওর ওপর উঠে বসতাে। ও সারা মেঝময় বাচ্চা ছেলেদের মতাে ঘুরে বেড়াতাে। তারপর এক সময় মেয়েটিকে উলটে ফেলে দিতাে। একদিন এসব আমি নিজ চোখে দেখেছি। এতে ওরা দারুণ মজা পেতাে। ভদ্রমহিলা কিছুক্ষণ ছবিটার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, এ ছবিটা যদি আপনি কিনতে চান তাহলে আপনার কাছে বিক্রি করতে পারি।……..
…..কিন্তু তারপরাে একটা অপরিবর্তিত উলঙ্গ সত্য থেকে যাচ্ছে। তা হচ্ছে-সিসিলিয়া লুসিয়ানির সাথে যখন তখন সঙ্গম করে। যতােদিন ও এই যৌনক্রীড়া চালিয়ে যাবে ততােদিন ওকে সম্পূর্ণভাবে পাবাে না আমি। অসম্পূর্ণভাবে পাওয়াটাকে পাওয়া বলে না। এই অসম্পূর্ণরূপে পাওয়ার। হতাশা থেকেও আমাকে বাঁচাতে পারতাে একমাত্র সিসিলিয়াই। কিন্তু ওর বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিলাে যে, ওর জীবনে একই সঙ্গে দু’জন পুরুষের আবির্ভবের সমস্যা ও একাই সমাধান করেছে। তাই এ্যাক্টোর লুসিয়ানি সম্পর্কে ও আমার সঙ্গে কথা বলে সহজ- স্বাভাবিক ভঙ্গিতে। লুসিয়ানির সঙ্গে ওর সম্পর্ক কেমন এ নিয়ে কথা বলতে ওর কোনাে সংকোচ নেই। এমন কি ওর সাথে যৌন-সহবাসকালে ওর দৈহিক অনুভূতি কেমন হয় তাও খােলামেলা বর্ণনা করে। কিছুই লুকোয় না। কোনাে। অত্মপ্রসাদ বা ক্ষোভে নয়, যেনাে তেমন কিছু না গােছের ভঙ্গিতে ও আমার প্রশ্নের জবাবে বলে , ‘ও! এটা লুসিয়ানির কাণ্ড । দুষ্টটা এ জাগায় কামড়ে দিয়েছে। অথবা। ‘লুসিয়ানিই আমার পােশাকে এ দাগটা ফেলেছে কারণ আমরা পােশাক না খুলেই। | সঙ্গম করেছিলাম।’ এসব সিসিলিয়া বানিয়ে বলতাে না। খুব সহজ ভঙ্গিতেই এধরণের সত্যি কথাগুলাে বলতাে ও।
……….মাথার কোকড়ানাে চুলের গুচ্ছ ওর মুখে এসে পড়ছিলাে। হাত দুটো কোলের ওপর রাখা। মাঝে মাঝে আমি ওর দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিলাম। ওর যে রহস্যময়তা সেটা আবার লক্ষ করলাম। এজন্যেই ও একই সাথে কামনা জাগায় আবার ছলনাও করে! চেহারাখানা ওর শিশুসুলভ ঠিকই কিন্তু সরু মুখের রেখা তার বিপরীত। রােগাটে কঁাধের সঙ্গে ওর বড়ােসড়াে স্তনের কোনাে মিল নেই। কোলের ওপর পড়ে থাকা হাত দুটো দীর্ঘ। ফর্শা। আকর্ষণীয় হলেও সুন্দর যদি বিশ্রীকে সুন্দর বলা যায়। তবে সরু কোমরের সাথে ওর সুগােল ভারি পাছা ও মাংশল উরুর কোনাে মিল নেই। আগে কখনাে এতাে খুশি ওকে দেখিনি। ও ঠিক যেনাে ওর মতােই হয়ে উঠেছে। এখন। একই সঙ্গে বিরক্তিকর এবং ছলনাময়ী।……….