দি উইন্ডো – গী দ্য মপাসাঁ

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প

অনুবাদঃ তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত

এবারের শীতে মাদাম দ্য জাদেল নামে এক মৃতভর্তৃকা মহিলার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুব খুশী হয়েছিলাম। তিনি অশেষ গুণের আকর-নম্র, সংস্কারমুক্ত, সাহসী-এক কথায় তিনি অসামান্য মহিলা। দোষের ভেতর সামান্য ক্রটিতে অসন্তুষ্ট হতেন তিনি, একটুতেই রেগে যেতেন। তিনি স্পর্শকাতর, রােমান্টিক, অফুৰন্ত তাঁর ভাবােচ্ছাস।

আমি দীর্ঘসুত্রী। বিধবাদের ওপর আমার বেশ একটা দুর্বলতা ছিল । মাদাম দ্য জাহেলের সঙ্গে মেলামেশা করে, তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়লাম। স্থির করলাম তাকে বিয়ে করব। বিয়ের আগে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ভালােবেসে ফেলে তাহলে তার মতাে নির্বোধ পৃথিবীতে আর দুটো নেই, আর পরিণয়ােত্তর প্রথম রজনীতে যদি কোন পুরুষ তার যৌন কামনা, বেগকে নিয়ন্ত্রনে না রাখতে পারে তাহলে পরবর্তীকালে তাকে অশেষ লাঞ্ছনা পোয়াতে হয়।

একদিন আমি মাদাম দ্য জাদেশের বাড়ি গিয়ে তাকে প্রেম নিবেদন করলাম। জাদেল বললেন, মানুষ হিসাবে তােমাকে ভালাে বলেই মনে হয়। কিন্তু বিয়েটা তাে ছেলেখেলা নয়। বিয়ে করতে হলে তােমায় পরীক্ষা করে নেব। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিবাহােত্তর জীবনে যে ব্যর্থতা আসে তার একমাত্র কারণ, বিয়ের আগে পরস্পর পরস্পরকে ঠিক মতাে যাচাই করে নেয়ার সুযােগ পায়না। সেজন্য বিয়ের পর তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে বিরােধ-বিসংবাদ লেগেই থাকে। অসন্তোষের আগুন জলের অনিবার্য পরিণতি বিবাহ বিচ্ছেদ। তুমি তাে জানাে ল্যাভিলে আমার জমিদারী রয়েছে। দশ-ই মে আমার সঙ্গে বেশ কিছু দিন সেখানে থাকবে তুমি। কাছ থেকে তােমায় দেখার সুযোেগ মিলবে। অধিকাংশ পুরুষ ভালােবাসা সম্পর্কে যে ধারণা পােষণ করে আমি তা জানি। আর এ ধরণের ভালােবাসাকে আমি অবজ্ঞার চোখে দেখি। কি রাজী ? মাদাম ন্য জাদেলের প্রস্তাবে রাজী হলাম। তার কোমল করে চুম্বন করলাম।

মাস খানেক পরে জাদেলের প্রাসাদে হাজির হলাম। সুখে-সাচ্ছন্দ্যে অবািহিত হচ্ছিল আমাদের আনন্দোজ্জল দিনগুলি। বনেবনান্তরে ঘােড়ায় চেপে আমরা বেড়াতাম। কিন্তু এক দিন বুঝতে পারলাম পাশের ঘরে মাদাম তার পরিচারিকা সিজারীকে আমার প্রহরার জন্যে রেখেছেন, সে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে আমার ওপর-নিদ্রার মাঝে আমার নাসিকার গঞ্জন শােনা যায় কিনা, স্বপ্ন দেখে প্রলাপ বকি কিনা। বিরক্তিতে ভরে ওঠে সারা মন।

সিজারীকে পাঁচ ফ্রা ঘুষ দিয়ে তাকে জানালাম আমার মনােবেদনার ইতিবৃত্ত । তাকে বললাম, আমার সম্পর্কে সবকিছু জানবেন জাদেল আর আমি তার সম্পর্কে জানবনা কিছুই-চমৎকার ব্যবস্থা! এদিকে দুদিন পরেই তাকে আমি বিয়ে করব। তুমিই বল, এটা কি ঠিক? আচ্ছা তুমি তাে মাদামকে সাজিয়ে দাও, ‘পােষাক পরিয়ে দাও। তার দেহের খবর তাে তােমার অজানা নয়। বাইরে থেকে তাকে তাে বেশ গােলগাল দেখায়-বলতে পার, স্তন আর নিতম্বকে লােভনীয় করার জন্যে তিনি কি প্যাড ব্যবহার করেন ?

সিজারী ছুড়িটা বেশ রসিক। কথায় কথায় খিলখিল করে হাসে। বললে, “মসিয়ে, কি কি জানবার আছে বলুন আমি একসঙ্গে উত্তর দেব।’ প্রশ্ন করি, তার হাঁটু দুটি কেমন ? বাঁকা, নয় তাে? স্তন দুটি কেমন? দেখে লােভ হয় তাে? নারীর শরীর বড় বিচিত্র। কারাে শরীরটা ছিপছিপে কিন্তু সে তুলনায় বাহুগুলো বেশ স্ফীত। কারােকে আবার সামনে দিক থেকে বেশ সুন্দর লাগে, কিন্তু পেছনটা বড় অসুন্দর। তা তােমার মাদাম কেমন এবার বল।

হাসতে হাসতে সিজারী বলে, মাদামের শরীরটা হুবহু আমারই মতন, শুধু রংটা একটু অন্যরকম।

নিশীথ রাতে সিজারী যখন আমার হাল চাল লক্ষ্য করার জন্য ঘরে ঢুকল আমি আলতাে করে তার মুখ টিপে ধরে বললাম, তাহলে তােমার মাদাম সত্যি সত্যিই খুব সুন্দরী, কি বল! একেবারে তােমার মতাে, তাই না? আমি তন্নতন্ন করে তার শরীর দেখলাম, স্পর্শ করলাম তার তপ্ত মধুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটুও বাধা দিল না সে। হ্যাঁ, সত্যই রুপসী সে। খুশীর আতিশয্যে এক শিশি ল্যাভেন্ডার দিলাম তাকে।

এদিকে মাদাম দ্য জাদেলকে দেখে ইদানীং মনে হচ্ছে আমার ওপর তিনি তুষ্ট হয়েছেন—অর্থাৎ কিনা পরীক্ষায় জয়ী হয়েছি আমি। আর এরপরেই একটা অঘটন ঘটে গেল। এখানে এসে সকালে ছাদে দাঁড়িয়ে ধূমপান করাটা আমার নিত্যনৈমিত্তিক একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ঘোরানাে সিড়ি দিয়ে সেদিনও আমি ছাদে উঠেছিলাম। ওপরে গিয়ে দেখি সাদা রঙের একটা খাট সায়া পরে একতলার জানালা দিয়ে কিছুটা ঝুকে পেছনে ফিরে দাঁড়িয়ে আছে সিজারী। চুপিসারে এগিয়ে নতজানু হয়ে বসে অতিসন্তপনে তার সায়াটি তুলে ধরলাম। চোখ ধাঁধিয়ে গেল তার মাংসল উরুর উজ্জ্বল সৌন্দর্ষে। সাহসে ভর করে যেই না সেখানে চুমু দিয়েছি, ল্যাভেন্ডার নয়। ভার্বেনার মিষ্টি গন্ধে মদির হয়ে উঠল মন আর সেই মুহুর্তেই প্রচণ্ড একটা ঘষি এসে লাগল মুখে। সিজারী নয়—মহিলাটি মাদাম দ্য জাদেল।

কিছুক্ষণ পরে সিজারী এসে মার হাতে একটা চিঠি গুজে দেয়-মাদাম দ্য জাদেল আমায় নির্দেশ দিয়েছেন পত্রপাঠ অমি যেন এখান থেকে চলে যাই। অনেক বােঝাবার চেষ্টা করেছিলাম তাকে, কিন্তু কিছুতেই তাকে শান্ত করতে পারলাম না এখনও আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ভার্বেনার এর মধুর সৌরভ।

One thought on “দি উইন্ডো – গী দ্য মপাসাঁ

  1. The hero failed in the test since he could not restrain himself from looking into the inner beauty inside that short frock.

Leave a Reply