দংশকদের দেশে – সায়ন দাস

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..“টপটাও প্লিজ” সোহিনীর বুকের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট চেটে মিহিসুরে বললো টাকমাথা দাঁতে দাঁত চিপে কোনোরকমে টপটা খুলে দুহাত নিজের সাদা অন্তর্বাসের ওপর দিতেই…
“উঁহু। সোজা হয়ে দাঁড়াও মামণি! লেট মি ইন্সপেক্ট..ওটা কি?” সোহিনীর নাভির ওপরে কাটা লম্বা দাগটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো।
“তিন বছরের পুরোনো” অন্যদিকে তাকিয়ে জবাব দিল সোহিনী।
পিস্তলটা কোমরে গুঁজে সোহিনীর দিকে এগিয়ে এল সে। সামনে দাঁড়িয়ে ভালো করে খুটিয়ে দেখে পেছনে গিয়ে আরো খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল টাকমাথা। অনেকক্ষণ ধরে দেখল সোহিনীর পেছনে ডান কাঁধের উপরে আঁকা গ্রীম রিপার ট্যাটুটা।
“নাইস বডি” ক্রপ টপ বনেটে হেলান দিয়ে বললো।
“হুম” বলে সোহিনীর কানের একেবারে সামনে মুখ এনে বললো, “নিচেরটা কে খুলবে সোনা?”
রাগ-ঘেন্না সব গলা বেয়ে উঠতে চাইলেও চুপ করে থাকল সোহিনী। কাঁপা হাতে জিন্সের হ্রকে যেই হাত দিল তখনই “দাদা বাড়াবাড়ি করিস না,আপনি জামা পরে আসুন” জোর গলায় বলে লম্বাচুল গাড়িতে ঢুকে গাড়ি স্টার্ট করল।
আরো কিছুক্ষণ সোহিনীর বুকের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে একবার থুতু ফেলে অপর মেয়েটার কাঁধে হাত দিয়ে টাকমাথা উঠলো একেবারে পেছনের সিটে। অন্য ছেলেমেয়ে দুজন মাঝের সিটে বসলো।……

……আবার এগিয়ে এলো ভাসু, ডান হাত পিঠে আর বাঁ হাত দিয়ে কোমর চেপে ধরে মুখ ডুবিয়ে দিল সোহিনীর ঘাড়ে,নাকে এলো সদ্য ব্যবহৃত শ্যাম্পুর মিষ্টি সুবাস। সোহিনী দুহাতে গলা জড়িয়ে দু পা দিয়ে চেপে জড়িয়ে ধরল ভাসুকে। টের পেলো সোহিনীর সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
কিছুক্ষণ পর দুজন সরে আসতেই সোহিনীর হাত চলে এলো ভাসুর টি শার্টের দুই প্রান্তে,টেনে খুলে ফেলল সেটা। সোহিনীর চোখের ইশারায় ভাসুও হাত দিল ওর শার্টের বোতামে। শরীরের গরমভাবটা এখন তার বুকে উঠে এসে হৃদযন্ত্রের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। শার্টটা সামনের সিটে ছুঁড়ে এক হাত সোহিনীর সাদা অন্তর্বাসের ওপর জেগে ওঠা স্তনবৃন্তের ওপর চেপে ধরে অপর হাত কোমরের তলায় জিন্সের ওপর রেখে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল তিরতির করে কাঁপতে থাকা নরম ঠোঁটের মাঝে।
সময় যেন আবার গেছিল থমকে,যখন তারা একে অপরের সাথে মিশে গেছিল গাড়ির দরজায়,যেন গোটা পৃথিবীতে কারোর অস্তিত্ব নেই৷ মৃত্যুভয়,ক্রীপার,রোগ,ভাইরাস সব বিদায় নিয়েছিল সেই মুহূর্তে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর অচেনা বৃষ্টির মতো সুখের এক প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ছিল দুজনের ওপর বেশ কিছুক্ষণ পর পিছিয়ে গেল ভাসু। প্রাণভরে দেখতে লাগল সোহিনীকে। দরজায় হেলান দিয়ে বসে আছে সে! তার বুকের ওঠানামা স্পষ্ট দেখতে পেল সে। মনে হল এই প্রথম সে দেখছে তাকে, কোনো রাগ নেই,ঘৃণা নেই,শুধু আছে একরাশ অনুভূতি ওই দুই ঘন কালো চোখের মণিকোঠায়। নিচু হয়ে সোহিনীর জিন্সের হুক খুলে টানল কিন্তু পারল না,আবার চেষ্টা করতেই সোহিনী বলে উঠলো কোনোরকমে, “ওয়েট! কন্ডোম..কন্ডোম” “হ্যাঁ হ্যাঁ” বলে সামনে এগিয়ে গ্লোভবক্স হাতড়াতে লাগল,কাজের সময় কোনো জিনিস পাওয়া যায়না। ওদিকে সোহিনী এক এক করে খুলে ছুঁড়ে ফেলল হোলস্টার সহ পিস্তল,ছুরি,বুট।
কন্ডোমের প্যাকেটটা পাশে রেখে এগিয়ে এসে দুহাতে কোমর ধরে মুখ ডুবিয়ে দিল সোহিনীর পেটের কাটা দাগের ওপর। শিউরে উঠলো সোহিনী,গলা দিয়ে অন্যরকম এক আওয়াজ বেরিয়ে এলো তার।…..

……সবে ভোর হয়েছে পূব আকাশে আলো লাগতে শুরু করেছে সবে। ঘরের ভেতর দুই প্রাণীই জেগে। ঘুমিয়েছে তারা খুব অল্পই,তবে তাদের মধ্যে কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই,চোখমুখ জুড়ে ঝরে পড়ছে এক অপার তৃপ্তি। বিছানার ধারে উপুর হয়ে শুয়েছিল ভাসু নিচে মাটিতে খাটের একেবারে ধার ঘেঁষেই ক্রাঞ্চিং করছিলো সোহিনী। কিন্তু মন বসাতে পারছিলো না,বারবার হেসে ফেলছিলো,কারণ ওপর থেকে ভাসুর তর্জনী আর মধ্যমার অগ্রভাগ বারবার বুলিয়ে যাচ্ছিল সোহিনীর পেটের পেশীর ওপর।সোহিনী হাসছিল খুব,তবুও করে যাচ্ছিল ব্যায়াম। ভাসু অবশ্য কাজ করে যাচ্ছিল একমনে,নেশাধরা চোখে ঠোঁটের কোণে সামান্য হাসি এনে দুই আঙুল বুলিয়ে যাচ্ছিল সোহিনীর অন্তর্বাসের শেষপ্রান্ত থেকে নিকারের অগ্রভাগ পর্যন্ত।…..