অনুবাদঃ মাে. সাখাওয়াত হােসেন সৈকত
……….এখন নিজের কুটিরে পবিত্র ক্রশ-চিহ্নের সামনে নতজানু হয়ে পাফনুশিয়স থেইস সম্বন্ধেই ভাবতে লাগলেন, কেননা থেইসের চিন্তায় তার কাছে এখন পাপ-চিন্তা। পাপ ও অজ্ঞানের অন্ধকারের মধ্যে ডুবে থাকা তার সেই দিনগুলােতে এক নারী কীভাবে তার মনে যৌন-সম্ভোগের সুখলাভের ভয়ঙ্কর এক বীভৎস কামনা জাগিয়েছিল, অনেকক্ষণ ধরে সে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করল। কিছুক্ষণ গভীরভাবে ভাবার পর তার সামনে পরিষ্কার ভেসে উঠল থেইসের স্পষ্ট মূর্তি। সে তাকে আবার দেখল সেই মূর্তিতে, যে দেহসৌষ্ঠব আর সৌন্দর্য নিয়ে থেইস তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল। প্রথমে সে দেখা দিল মঞ্চে অভিনীত স্পার্টস-রাজ্ঞী লিডার সেই বেশে: সেই রক্তাভ নীল ‘হায়াসিনথ’ পুষ্পশয্যার আলতােভাবে তার দেহ রয়েছে এলিয়ে, তার মাথা নােয়ানাে, চোখ দুটো ভেজা, একটা অদ্ভুত ধরনের আলাে তা থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে; তার নাসারন্ধ্র দুটো কাপছে, মুখকর ঈষৎ উন্মুক্ত; তার স্তল যুগল যেন দুটি প্রস্ফুটিত পুষ্প আর দুটি বাহু যেন স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত নির্মল দুইটি নিঝরিণী। এ দৃশ্য দেখে পাফনুশিয়স নিজের বুক চাপড়ে বলে উঠল, “হে ঈশ্বর, তুমি সাক্ষী থেকো, আমার পাপ যে কত জঘন্য ছিল, আমি সেটাই ভেবেছি। ………..
……….থেইস‘দূর হও! আমি চাই দেহ-মনের মিলিত ভালােবাসা। এই দার্শনিকরা সবাই এক একটা আস্ত ছাগল। বাতিগুলাে নিভে যেতে লাগল এক এক করে। ভােরের আবছা আলাে। চিকের ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকছে। সকলের পাংশু মুখ আর ফোলা ফোলা চোখের উপর পড়ে তা চকচক করছে। অ্যারিস্টোবুলাস ঘুমােচ্ছে অকাতরে চেরেয়াসের পাশে শুয়ে। জেনথেমিস দু’হাতে চেপে জড়িয়ে ধরেছে ফিলিনাকে। ডােরিয়ন ঢেলে দিচ্ছে দ্রোসিয়ার খােলা বুকের উপর ফোটা ফোটা মদিরা; মুক্তোর মতাে তা গড়িয়ে পড়ছে হাসিতে আন্দোলিত দ্রোসিয়ার ফর্সা ধবধবে বুক বেয়ে, আর দার্শনিকপ্রবর চেষ্টা করছে মসৃণ মেদের উপর গড়িয়ে-যাওয়া সেই ফোটাগুলাে মুখ দিয়ে ধরতে। ইউক্রাইটিস উঠে দাড়াল, নিকিয়াসের কাঁধে হাত রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে গেল হলঘরের এক প্রান্তে।………..