তিন নায়কের কলঙ্ক – পৃথ্বীরাজ সেন

›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

……..কেউ চাইছেন শারীরিকভাবে কবিকে আকর্ষণ করতে। ইচ্ছে করেই যৌবনদীপ্ত শরীরের অনাবৃত অংশগুলি উন্মুক্ত করছেন। কবিচিত্তকে নানাভাবে কাছে আনার চেষ্টা করছেন।……….

মহাত্মা গান্ধী

……….বয়সের বিচারে তখন মােহনদাস সদ্য কিশাের হয়েছেন। কিন্তু সাড়ে তেরাে বছরের কস্তুরবা ছিলেন যৌনবিজ্ঞানের দিক থেকে যথেষ্ট সাবালিকা। তাই দেখা গেল মােহনদাস দেহসর্বস্বা কস্তুরবার দ্বারা আকৃষ্ট হচ্ছেন। পড়াশােনায় মনােযােগ নষ্ট হল। তিনি বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেন। অবশ্য মনােবল হারালেন না।….

……….মােহনদাসের যােলাে বছর বয়সে পিতার মৃত্যু হয়। কঠিন ফিসচুলায় ভুগছিলেন তিনি। মােহনদাস তার কাকার সঙ্গে পালা করে পিতার সেবা করতেন। কিন্তু ওই অভিশপ্ত রাতে তিনি নিজের শারীরিক উত্তেজনাকে দমন করতে পারেননি। হয়তাে দীর্ঘদিন স্ত্রী কস্তুরবার সাথে শারীরিক মিলনে অংশ নিতে পারেননি। তাই সেই রাতে মৃত্যুপথযাত্রী পিতার দায়িত্ব কাকার হাতে সমর্পণ করে তিনি চলে এলেন তঁার শয়নকক্ষে। ঘুমন্ত গর্ভবতী স্ত্রীকে ডেকে তুললেন সম্ভোগের জন্য। যদিও তিনি  জানতেন পাশের ঘরে তার পিতা যেকোনাে সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন।…….স্ত্রীর সাথে সঙ্গমরত অবস্থাতেই তিনি জানতে পারলেন যে পিতার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীকালে এর জন্য অনুশােচনা প্রকাশ করেছেন।…..

………..বিলেত থেকে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকাতে। সেখানকার রাজনৈতিক আকাশ তখন নানা ঘটনায় আবৃত হয়েছে। সেবার নিজের প্রতিষ্ঠিত আশ্রমে যৌনতা নিয়ে এক নতুন পরীক্ষা শুরু করলেন। এই আশ্রমের বালকবালিকাদের তিনি পুকুরে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন। এদের মধ্যে কয়েকজন উদ্ভিদযৌবনা কিশােরী থাকত। তাদেরও সর্বসমক্ষে প্রায় নগ্ন হয়ে স্নান করতে হত। কিছুদূরে দাঁড়িয়ে গান্ধী লােলুপ চোখে স্নানরতা কিশােরীদের সিক্ত দেহের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। এই প্রসঙ্গে | প্রশ্ন করা হলে তিনি অনায়াসে জবাব দিয়েছিলেন যে, তিনি মায়ের চোখ দিয়ে স্নানরতা কিশােরীদের পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু আমরা জানি, ভারতীয় রক্ষণশীল সমাজে মেয়েরা বড়াে হলে মায়েরা কখনাে তাদের স্নান করা দেখেন না।।………

…………বর্ননা করেছেন মহাত্মার এই ব্যাভিচারমূলক কাহিনি। অবশ্য চতুর মহাত্মা তার যৌন অভিযানের অন্তরালে বিজ্ঞান এবং ধর্মকে সংযুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছেন“ব্রহ্মচর্য পরীক্ষা করতে হলে উলঙ্গ নারী দেহকে নিয়ে নিবিড় অনুশীলন করা দরকার। না হলে আমি ইন্দ্রিয় সংযম করব কেমন করে?”

ভাবতে অবাক লাগে, তাই বােধ হয় তিনি প্রতি রাতে বিভিন্ন তরুণীদের নিয়ে শয্যায় শুতেন। তাদের সাথে কী ধরনের খেলা খেলতেন সেকথা হয়তাে আমরা কোনােদিনই জানতে পারব না।……

………কনকনে বাতাস। বৃষ্টিতে তিনি সম্পূর্ণ ভিজে যান। ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে থাকেন। এগিয়ে আসেন ডা. সুশীলা নায়ার। তিনি তখন গান্ধীজির একান্ত অনুগামিনী। তিনি তাকে মুছিয়ে দিয়ে শুকনাে কাপড় পরিয়ে কয়েকটি কম্বল চাপিয়ে দেন। তাতেও গান্ধীজির কাঁপুনি থামছে না দেখে গান্ধীর শরীরে নিজের দেহের উত্তাপ সঞ্চার করেন। সুশীলা তাকে অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে ধরে ঝাকাতে থাকেন। দূরজা খােলাই থাকল। তাই এসব দৃশ্য সকলের চোখের সামনেই ঘটল। তার জন্য গান্ধী বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত বা লজ্জিত হলেন না।

ঠিক সেই সময় গান্ধীজির স্টেনােগ্রাফার তামিল ব্রাহ্মণ পরশুরাম কিন্তু বলার জন্য ঘরে ঢুকেছিলেন। এমন একটা দৃশ্য দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। মনে হয় এবুঝি প্রেমিক-প্রেমিকার অন্তরঙ্গ সােহাগ দৃশ্য।

নির্মল কুমার এই ঘটনাটিকে ভােলা মনে মানতে পারেননি। গান্ধী যে অল্পবয়স্কা মেয়েদের বিছানায় স্থান দিতেন, এই ব্যাপারটিও তিনি সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করতে পারেনি। গান্ধীজি বলেছিলেন—“মেয়েদের সঙ্গে শয়ন করলে তাদের মধ্যে কামভাব জাগে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্যই আমি এমন বিস্ফোরক কাজ করে চলেছি।”……

………সুশীলার সাথে গান্ধী একসঙ্গে স্নান করতেন। এ এক নােংরা জঘন্য যৌনবিনােদন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন—“সুশীলা, আর আমি একই বাথটবে স্নান করতাম। তবে আমি স্নান করার সময় চোখ বন্ধ রাখতাম। সুশীলা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করত, নাকি আন্ডারওয়ার পরে থাকত, তা আমি কখনাে দেখেনি। সে যে সাবান গায়ে মাখত সেটা আমি বুঝতে পারতাম সাবান ঘষার শব্দ শুনে। তােমরা বিশ্বাস করাে, তার স্নানসিক্তা দেহের কোনাে অংশই আমার চোখে পড়েনি।”

কোনাে রগরগে অ্যাডাল্ট ছবিতেও যে দৃশ্য দেখা যায় না, গান্ধী ও সুশীলা নিয়মিত সেই দৃশ্যের অভিনয় করতেন। একই বাথটবে স্নান করতেন, অথচ মহাত্মা গান্ধী এই ঘটনাটিকে তার ব্রহ্মচর্যের পরীক্ষার এক উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরতে চাইতেন।………….

Leave a Reply