তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….এ-পাড়ার কুমারীরা কোনকালে অরক্ষণীয়া হয় না। তাদের বুকের উপর ঢেউ জাগিবার আগে, মন যখন থাকে খেলার খেয়ালে রঙিন, তখনই একদিন ঢেল সানাই বাজাইয়া তাদের বিবাহ হইয়া যায়।…….

……..বেদিনী তরুণী। স্বাস্থ্যবতী। তার স্তনদুইটি দুর্বিনীতভাবে উচাইয়া উঠিয়াছে। তার কোমল উন্নত স্পর্শ কিশােরের সর্ব-শরীরে বিদ্যুতের শিহরণ তুলিল। বাঁশের গুড়ি হইতে পড়িয়া গিয়া, হাত পা ভাঙ্গিয়া সে হয়ত একটা কাণ্ড করিয়া বসিত। বেদিনী এক হাত ডান বগলের তলায় ও অন্য হাত বাম কঁাধের উপরে দিয়া বুক পর্যন্ত বাড়াইয়া কিশােরকে নিজের বুকে চাপিয়া ধরিল। অবলম্বন পাইয়া কিশাের পড়িয়া গেল না। কিন্তু দিশা হারাইল। বেদেনীর বুকটা সাপের মত ঠাণ্ডা।……..

………..অবিবাহিত মেয়ে। দেহে যৌবনের সব চিহ্ন ফুটিয়াছে। সেসব ছাপাইয়া বহিয়াছে রূপের বান। বসন্তের এই উদাত্ত দিবসে মনে লাগিয়াছে বাসন্তী রঙ। প্রাণে জাগিয়াছে অজানা উন্মাদনা। পঞ্চদশী। বড়ই সাংঘাতিক বয়স এইটা। মনের চঞ্চলতা শরীরে ফুটিয়া বাহির হয়। হইবেই। মালাের মেয়েরা বিবাহের আগে অত বড় থাকে না। অতখানি বড় হয় বিবাহের দুই তিন বছর পরে। ……..

……….মেয়েটার চুলগুলি আলগা হইয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়াছে। গলা টান হইয়া মাথাটা এলাইয়া পড়িয়াছে। বুকটা চিতাইয়া এতখানি উচু হইয়াছে যে, কিশােরের নিঃশ্বাস লাগিয়া বুঝিবা আবরণটুকু খসিয়া যায়।………

Leave a Reply