অনুবাদঃ সা’দউল্লাহ
…..আয়েশা মা-বাপের এগারােটি সন্তানদের মধ্যে প্রথম । তার মা পিতার একমাত্র বৈধ স্ত্রী। স্বামীর সাথে বিরামহীন ঝগড়া লেগেই আছে। কারণ তার বাবা সউদী আরবে ক্ষীণভাবে প্রচলিত মুতা’ বিবাহের ফায়দা গ্রহণ করে বহু নারীর সঙ্গ লাভ করে। মুতা বিবাহ, অস্থায়ী চুক্তিতে হয়ে থাকে। নর-নারীর মধ্যে কোন দায়িত্ব নেই। মেয়াদ শেষ হলেই সম্পর্ক চুকে যায়। এ বিয়ে শুধু অস্থায়ীভাবে নারীভােগের ব্যাপার। এই বিয়ে এক ঘণ্টা থেকে নিরানব্বই বছর পর্যন্ত চুক্তিতে করা যায়। পুরুষ যখন মেয়েটিকে ছাড়ার ইঙ্গিত দেয়, তখন অস্থায়ী অবস্থার সমাপ্তি ঘটে–এতে তালাকের প্রয়ােজন হয় না। মুখে মুখে কারবার। সউদী আরবে সুন্নি সম্প্রদায় এই বিয়েকে অবৈধ জ্ঞান করে—মেয়েদের জন্য আইনগত বেশ্যাগিরি ছাড়া আর কিছু নয়। তবুও কোন আইনি কারবার এই অবৈধ বিবাহে সউদী আরবে নেয়া হয় না। যার জন্য সউদী পুরুষ চরিত্র এর ফায়দা নিয়ে থাকে।…..
……আয়েশার মা সউদী রমণী হিসেবে এর বিরুদ্ধে স্বামীর আচরণের প্রতিবাদ করেও কোন ফল পায়নি। তার স্বামী সব প্রতিবাদ ও আপত্তির মােকাবিলা করেছে—জায়েজ করেছে কোরানের আয়াত দিয়ে। কোরান বলছে—“You are permitted to seek out wives with your wealth, indecorous conduct, but not fornication, but give them a reward for what you have enjoyed of them in keeping with your promise”—অর্থাৎ তােমার সম্পদ থাকলে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে পার, অমার্জিত আচরণ করতে পার, তবে ব্যাভিচার না, কিন্তু তাদের ভােগ করার জন্য তােমার প্রতিজ্ঞা মতে উপযুক্তভাবে পুরস্কৃত করাে। | এই আয়াতকে শিয়া সম্প্রদায় প্রথা হিসেবে গ্রহণ করলেও সাধারণভাবে সুন্নি মুসলিমরা একে বৈধ মনে করে না। আমাদের দেশের আইনের ব্যতিক্রম আয়েশার বাবা—তাই যৌন তৃপ্তির কারণে যুবতী মেয়েদেরকে অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের স্বাধীনতা ভােগ করছে।
আমাদের দেশের মেয়েদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে আয়েশাকে প্রশ্ন করলাম এই অশালীন প্রথা সম্বন্ধে যা সারা শুনেছিল ইংল্যান্ডে বাহরানের এক শিয়া রমণীর কাছ থেকে। মনে হলাে আয়েশার বাবা একসাথে চারটে স্ত্রীর সমদায়িত্ব পালন করার ঝক্কি থেকে এবং তাদের সন্তানদের ব্যয়ভার বহন করার চেয়ে শিয়া তরুণীদের সাথে স্বল্পকালীন বিয়ের মাধ্যমে নিজের কামনা চরিতার্থ করা পছন্দ কুরে। এই উদ্দেশ্যে সে তার এক বিশ্বস্ত অনুচরকে শিয়া এলাকায় পাঠায় এবং গরিব ঘরের তরুণী কুমারী মেয়েদের নিয়ে এসে ফুর্তি করে।……
……সউদী আরবে নারীদের এক নিয়ন্ত্রিত সম্মেলন হয়েছিল কড়া পারফিউম মেখে । সারা হলটা পারফিউমের সুবাসে মৌ মৌ। সাধারণ সউদী মেয়েরা কামতাড়িত, প্রেম-বুভুক্ষু। সেই সম্মেলনে যে নাচের উৎসব ছিল তা উন্মাদনাপূর্ণ, যৌন আবেদনমূলক। ছিল নিষিদ্ধ প্রেমের গান ও কামনাদীপ্ত লাস্যময় সুন্দরী মেয়েদের কোমর দোলানাে। নাচের মুদ্রার চেয়ে যৌন ও সঙ্গম-সূচক অঙ্গভঙ্গি উপস্থিত নারীদের উত্তেজিত করে। নেচে বুকে বুকে বুক লাগিয়ে, দেহে সংঘর্ষের আবেদন জানিয়ে একে অন্যের প্রতি যেন সমকামিতায় মগ্ন। আমি শুনেছি নারী নারীদের সাথে প্রেমের কথা ইঙ্গিতে, ইশারায় বলে গােপনে নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হয় সমকামিতায়। আর তাদের ড্রাইভাররা অপেক্ষা করে পার্কিং লটে। তারপর স্ত্রীরা বাড়ি গিয়ে দেখে তাদের স্বামীরাও সমকামিতায় লিপ্ত।…..
…..যখন আমি মাহার আয়েশার সাথে সম্পর্কের কথা পাড়লাম, সে জানালাে যে সে জানতাে না যে মেয়ে মেয়েকে ভালবাসতে পারে, আর পুরুষ পুরুষকে। এ সম্ভাব্যতা তার মনেই জাগেনি যতক্ষণ না আয়েশা তার বাবার ঘর থেকে সরিয়ে কিছু সমকামিতার ছবিসহ মেগাজিন তাকে দেখায়। সেই মেগাজিনে সুন্দরী রমণীদের সমকামিতার বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবির পর ছবি ছিল। প্রথমে ফটোগ্রাফ তার দেখতে ভালই লেগেছিল, কিন্তু পরে তার মনে বদ্ধমূল হল ও আরাে ভাল লাগলাে এই জেনে যে সুন্দরী নারীদের সমকামিতার এ্যাকশন পুরুষদের আক্রমণাত্মক ও বেদনাদায়ক এ্যাকশন থেকে অনেক আদরনীয়, উপভােগ্য ও তৃপ্তিদায়ক।
আয়েশা আমার কন্যার সাথে সম্পর্ক গড়ার পূর্বে বহু অসামাজিক কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞ ছিল। সে তার বাবার ঘরে উঁকি মারার জন্য একটা ছিদ্র করেছিল বাবার যৌন কুকর্ম দেখার জন্য। সেই ফুটো দিয়ে আমার মেয়ে ও তার বন্ধু আয়েশা উভয়ে দেখতাে আয়েশার বাবা একটার পর একটা কুমারী কন্যার কৌমার্য ভেদ করছে। মাহা জানালাে যে সেই কন্যাদের আর্তচিৎকারে তার মনের দ্বার পুরুষের জন্য চিরকালের তরে বন্ধ হয়ে যায়। সে আমাকে বললাে, সে নিজে না প্রত্যক্ষ করলে হয়তাে অন্যকারাের কথায় আমি বিশ্বাস করতামনে।
ঐদিন আয়েশার বাবা সাতটি কুমারী কন্যা সংগ্রহ করে ঘরে তুলেছিল। মাহা জানতাে না যে আয়েশার বাবা তাদের বিয়ে করেছে, তবে উপপত্নী হিসেবে রেখেছে।
আমার মেয়ে দেখলাে সাতটি কন্যা উদোম হয়ে ঘরে ঘুরছে, প্রত্যেকের পিছনে একটা ময়ূর পুচ্ছের পাখা এঁটে লাগানাে আছে। এই পুচ্ছ দিয়ে মেয়েদের আয়েশার বাবার মুখে বাতাস দিতে ও সুড়সুড়ি দিতে আদেশ দেয়া হয়। রাতের ঐ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আয়েশার বাবা সাত কন্যার মধ্যে পাঁচটিকে ধর্ষণ করে।
পরে মাহা আর আয়েশা একটা ময়ূর পুচ্ছের পাখা চুরি করে এনে আয়েশার বিছানায় ঐ দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করে। এরই মধ্য দিয়ে আয়েশা মাহাকে সমকামিতার আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়ার অভিনব পন্থা বাতলে দেয়।…….