অনুবাদঃ দিলওয়ার হাসান
……..অন্ধকারের ভেতর লোকটা যখন আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। | সারা শরীর আমার তখন শিথিল আর নিস্তেজ হয়ে পড়ছিল। আমাকে সে তার বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করলে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমি। আমার স্পন্দিত ঠোঁট রাখলাম তার হাতে। একটা নরম কয়লার বস্তার ওপর সে আমাকে চিৎ করে ফেলে দিল। নিজেকে উজার করে দিলাম আমি। এই প্রথম কোন পুরুষের আছে আত্মনিবেদন করলাম আমি। নিজের কাজ শেষ করে গিয়েভান্নি ছেড়ে দিল আমাকে। কয়লার বস্তার উপর শুয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। অবাক লাগছে আমার। আবার খুব ভালোও লাগছে। সেসব দিনের কথা মনে পড়ল যখন স্বামীর হাত ধরে এসেছিলাম রোম নগরীতে। এমনি সুখানুভূতির কথা কল্পনা করেছিলাম মনে মনে। আজ যা পেয়েছি তা আর পাইনি কখনাে। আমি উঠে তার কাছে গিয়ে বললাম, “দোহাই আপনার আজ যা ঘটে গেল তা কাউকে বলবেন না।” মৃদু হাসল সে বলল, “কি বললে তুমি কিছুই যে বুঝতে পারছি না। ……….দরজা পর্যন্ত সে এগিয়ে দিল আমাকে। তারপর একটুখানি হেসে নিয়ে আমার পাছায় একটা চাপড় মারল। প্রতিবাদ করার আর কিছুই ছিল না। আমি আর এখন সতী সাধ্বী নারী নই। যুদ্ধ মানুষকে এমনি করেছে। …………
………কলিংবেল বাজার শব্দে ধড়মড় করে জেগে উঠলাম। আধো আলাে আধাে অন্ধকারের মধ্যে দরজা খুলে দেখলাম গিয়ােভান্নি দাড়িয়ে। “এত ঘুমাও, কখন থেকে বেল বাজাচ্ছি” বলল সে। আমার পরণে শুধু সেমিজ। আমার স্তনযুগল এখনও বেশ সুগঠিত, ব্রেসিয়ারের সাহায্য ছাড়াই দৃঢ় থাকতে পারে। এক সময় এগুলাে ছিল আরও সুন্দর আরাে মনােহর। সেমিজের আড়ালে আমার স্তন দুটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যাকুল যেন। গিয়ােভান্নির দৃষ্টি আমার স্তনের দিকেই। তার চোখেমুখে আমি যে কামনার আগুন দেখতে পেলাম তাতে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়তে একটুও দেরী করবে না সে। কয়েক পা পিছিয়ে বললাম, “এ হতে পারে না মিঃ গিয়ােভান্নি। ……….
……সবশেষে টমাসিনাে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। অসম্ভব ফরসা মহিলা, চেহারায় সন্ত্রস্ত ভাব, চোখের নীচে কালি জমে আছে, প্রকাণ্ড একজোড়া স্তন। হাঁপানিতে ভুগছে সে, আমার ধারণা কী একটা ভয়েও সিটকে আছে।……
……….একদিন সকালে সে এমনি করে স্নান করছিল আর একটা তােয়ালে দিয়ে গা রগড়াচ্ছিল। তার কমনীয় চেহারা, ডাগর ডাগর চোখ, উন্নত নাসিক। আর পরিপূর্ণ মুখমণ্ডলের তুলনায় তার শরীর ছিল একটুখানি বেশি হৃষ্টপুষ্ট। তার স্তন অবশ্য খুব উন্নত নয় তবে পরিণত বয়সের মেয়েদের মতই। সাদা ধবধবে তার রঙ। মনে হচ্ছে যেন তার স্তনযুগল দুধে টইটুম্বর, কোন শিশুর মুখের জন্যে অপেক্ষমান। তার পেটের দিকটা ছিল কুমারী মেয়েদের মত মসৃন, পেলব ও সমতল। তার চমৎকার সুগোল দুটি উরুর মাঝখানের কোকড়া কেশদাম দেখতে অনেকটা সুন্দর একটা ছােট্ট পিন কুশনের মত। তার পেছনের দিকটাও খুব সুন্দর। তাকে দেখতে মনে হয় মার্বেল পাথরের মূতির মত।
আমার সব সময়ই মনে হয়েছে গাত্র মার্জনারত নগ্ন রােসেতাকে দেখে কোন পুরুষ উত্তেজিত ও উদ্দিপ্ত না হয়ে পারবে না। এমন কি কারও পক্ষে কল্পনার রাজ্যে ভেসে বেড়ানােটাও অস্বাভাবিক নয়। একদিন রােসেতা ওমনিভাবে উলঙ্গ অবস্থায় আমাদের ঘরের কোনাটায় গােসল শেষে গা মুছছিল। এমন সময় মাইকেল এল আমাদের সাথে দেখা করতে। দরজায় কড়া না নেড়েই সে ঢুকল ঘরের ভেতর। আমি ঘরেই ছিলাম।
আমি হয়ত মাইকেলকে তখন ঘরে ঢুকতে বারণ করতে পারতাম। কিন্তু একথা আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, মাইকেলের আসাতে আমি কিছু মনে করিনি বা রাগ হইনি কারণ আমি নিজেই চাইছিলাম ও আমার মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় দেখুক এবং তার দেহজ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হােক—সব মা-ই মেয়েদের সৌন্দর্যে গর্বিত। আমি ভাবছিলাম দেখুক না, কি হয়েছে তাতে, ওতাে কোন কিছু করতে এখানে আসেনি। এমনি এসেছে। অতএব মাইকেল ঢুকেই উলঙ্গ রােসেতার মুখোমুখি হলাে। রােসেতা তাে তড়িঘড়ি করে একটা তােয়ালে দিয়ে নিজের লজ্জা ঢাকল। আমি দেখলাম মাইকেল অবাক, বিস্মিত, লজ্জিত ও হতভম্ভ। ……..আমি কথার প্রসঙ্গ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বললাম, “মাইকেল সত্যিই তুমি অন্য দশটা যুবকের থেকে আলাদা প্রকৃিতির।” “কেন? এ কথা বলছেন কেন? রােসেতার মত সুন্দরী মেয়ে আছে আপনার তাই ?” বলল মাইকেল। আমি বললাম, “ওহে মাইকেল ছােড়া তােমার নাকের ডগায় একটা জলজ্যান্ত ন্যাংটা মেয়ে, আর তমি কিনা পড়ে আছ রুশ আর জার্মানদের লড়াই নিয়ে, এমন কি ওর দিকে একটিবার তাকিয়েও দেখলে না? আজব মানুষ তুমি।” সে ভীষণ লজ্জায় পড়ল – রাগ ও করল বেশ। বলল, “কি সব যাতা বলছেন আপনি, মা হয়ে আপনার পক্ষে এ ধরণের কথাবার্তা খুবই অশােভন।” “সব মায়ের কাছেই তার মেয়ে সুন্দর এ কথাটাও জানিস না বোকা কোথাকার? সে থাকগে হয়েছে। কি বললাে, এত সকালে দরজার কড়া না নেড়ে সাড়া শব্দ না দিয়ে কেন এসেছ তাই বলো শুনি। তুমি যদি নগ্ন রেসেতার দিকে একটি বারও মুখ ফিরে তাকাতে তবুও আমার রাগ করার কারণ থাকত, তুমি বাপু তাও করনি।”………..
……..জানতে পারলে ওরা এসে এসে নিয়ে যাবে, হ্যা জার্মানদের কথাই বলছি আমি। প্রায়ই আসে ওরা। শেষবার যখন ওরা এল, তখন কি বলেছিলাম, জানেন? আমার কিছু নেই। না ময়দা, না মটরশুটি, না চৰি-একদম নেই। থাকার মধ্যে বাচ্চাটার জন্যে শুধু দুধ। ওটা যদি চান তাে এই নিন । আমার দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে থেকে, সে তার বডিসের বােতাম খুলতে শুরু করল। হতভম্ব হয়ে গেছি। রােজেটা আর মাইকেলও ঘাবড়ে গেছে। তাদের দিকে চোখ রেখে ঠোট নাড়ছে মেয়েটা, যেন নিজের সঙ্গে কথা বলছে। মধ্যে বডিসটা খুলে কোমর পর্যন্ত নামিয়ে ফেলেছে। তারপর শিশুকে দুধ যাবার ভঙ্গিতে স্তনটা একহাতে ধরে সামনে ঠেলে দিল। শুধু এটাই আমার আছে…নিন, নিচু গলায় একই কথা বারবার বলছে। ওর উন্মুক্ত স্তনটা এত ভরাট আর নিরেট, রঙটা এত সুন্দর, হাঁ করে তাকিয়ে আছি আমি।……..
……….এখন রোসেতার প্রেমিক ভালােয় ভালােয় যুগােস্লাভিয়া থেকে ফিরে এলেই হয়, তারপর বিয়ে দেব ওদের। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি ওই আনন্দটা আগে ভাগেই অনুভব করতে লাগলাম। এ যেন স্বপ্নের ঘাের। আমি দেখলাম বিয়ের পোশাকে সজ্জিতা রােসেতা। আমার ভাবনা এগিয়ে গেল আরও। একটা ফুটফুটে বাচ্চা রোসেতার কোলে। ও খুব কাদছে। রোসেতা স্তন অনাবৃত করে দুধ খাওয়াতেই বাচ্চার কান্না থামল। তারপরই দেখলাম আমি, রেসেতা ও তার স্বামী একই টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করছি।
স্কার্ট আর ব্রেসিয়ার খুলে রেখে তখনও রােসেতা পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। অথচ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। রােসেতার নগ্ন পুরুষ্ট শরীর আমার চোখে পড়ল। তার অাবাস সরে গিরে দু’গোছা সুন্দর পদযুগল বেরিয়ে আছে। আমি তাকে ডেকে বললাম, সে কিছু খাবে কিনা। ও মানা করল। ……..
………এক সময় সৈন্যটিকে নিয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম। সৈন্যটি এখন অামার ওপরে উঠে বসেছে। সে হাত দিয়ে আমার পোশাক খুলে ফেলার চেষ্টা করছে। সৈন্যটি সজোরে আমার চুল ধরে শুইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। আমার শক্তি শেষ হয়ে আসছিল, নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। আমি জানি পুরুষরা একটা স্থানে এসে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে অতএব আমি আমার পেটের নীচের নরম মাংসল স্থানে যেখানে সৈন্যটির হাত ছিল তার ওপর হাত রাখলাম। সে মনে করল আমি তাকে তার সঠিক স্থান খুজে পেতে সাহায্য করছি।………..