দইজ্যা বুইজ্যা
দু’হাঁটুর মাঝখানে মাথা গুঁজে ভেঙেচুরে বসে আছে পারুলবালা । চুল আলুথালু। একহারা গড়ন তার, মাঝারি উচ্চতা – শ্যামলা। ষােল বছরের যৌবন তার মুখে, স্তনে, কোমরে তীব্র আলাে ফেলেছে। ভরা নদীর থৈ থৈ অবস্থা তার সমস্ত শরীর জুড়ে। তা এখন ম্লান। কারণ, কিছুক্ষণ আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।………
সুবিমলবাবু
……..সুজলা নামের এক বাল-বিধবা, যার বয়েস সাতাশ থেকে তিরিশের মধ্যে,…….পাশের গায়ের এই অসহায় নারীটি বছর পাঁচেক আগে যখন সুবিমলবাবুর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল, সেদিন প্রথমেই যে প্রশ্নটি সুবিমলবাবু করেছিলেন তা হল, কী জাত? | সুজলা লম্বা ঘােমটা টেনে বলেছিল, আজ্ঞে ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণকন্যা আমি, বালবিধবা ।………
……..বিছানার মাঝখানে রসায়নের বইটি নিয়ে বসেছেন। কলেজে ফিরে ক্লাস নিতে হবে। অধ্যয়নে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। সম্বিৎ ফিরল সুজলার ডাকে, “দাদা, আপনার নাস্তা। শরৎদিদি পাঠিয়েছেন। আপনি খেয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর আমি চা নিয়ে আসছি।’
চোখ তুলে তাকালেন সুবিমলবাবু। সুজলা তখন অনেকটা উপুর হয়ে পাশটেবিলে ঝালমুড়ির প্লেটটি নামিয়ে রাখছিল। সুবিমলবাবুর চোখটি আটকে গেল সুজলার পুরুষ্ট ডান স্তনে। উপুর হবার কারণে সাদা ব্লাউজটির ওপরের অংশ একটু ঢিলে হয়েছিল। সেই ঢিলে অংশ দিয়ে সুবিমলবাবুর চোখ সুজলার ডান স্তনে ধাক্কা খেল। দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে নিতেও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন তিনি, সুজলা সােজা হয়ে না দাঁড়ানাে পর্যন্ত তাকিয়েই থাকলেন। সুজলা ঘুরে দাঁড়াল এবং দরজার দিকে হাঁটা শুরু করল । সুবিমলবাবু সুজলার যাওয়ার পথে তাকিয়ে থাকলেন। কেন জানি তার দষ্টি কিলবিলিয়ে উঠল । সুজলার নিতম্ব যে এত সুন্দর সুবিমলবাবু আগে কখনাে খেয়াল করেননি। তার বুকের ভেতর একটা সরীসৃপ এদিক থেকে ওদিকে দ্রুত যাতায়াত শুরু করল। একটুক্ষণের জন্যে মাথাটা একটু চক্কর দিল তার। চোখের দৃষ্টিটাও সামান্য সময়ের জন্যে ঝাপসা হয়ে এল। সুবিমলবাবু হঠাৎ বলে উঠলেন, নারায়ণ, নারায়ণ, নারায়ণ। তিনি চোখ বন্ধ করলেন। শিরদাঁড়া সােজা করে বসে থাকলেন বিছানায়।………
………বিছানায় যােগাসনে বসেছেন তিনি। দরজার পাশে বারান্দায় মাছ কুটছে মালতি। বিছানা থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে। মাছ কুটতে কুটতে বুকের আঁচলটা সরে গেছে মালতির। টুটাফাটা ব্লাউজ ভেদ করে ডান পাশের পুষ্ট স্তনটি বেরিয়ে আসতে চাইছে তার। বাম পাশের স্তনটি মালতির বাঁ হাঁটুতে চাপা পড়ে আছে। সুবিমলবাবু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। তার চোখে মালতির আড়াল-স্তনের সঙ্গে সুজলার খােলা-স্তন একাকার হয়ে যাচ্ছে।
মাছটা সেরে মালতি দু’পায়ের উপর ভর দিয়ে ঘর মুছছে। কখনাে সামনে ফিরে, কখনাে পিছন ঘুরে ঘর মুছে যাচ্ছে মালতি। সুবিমলবাবু স্নান করতে যাবেন যাবেন করেও গেলেন না। একধরনের অব্যক্ত আলস্য তাকে ঘিরে ধরল । তিনি বসা অবস্থা থেকে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। শুয়ে শুয়ে মালতির ঘরমােছা নিবিড় চোখে দেখতে লাগলেন। মালতি পেছন ফিরে ঘর মুছছে। তার পাছা। কখনাে ডাইনে বাঁকাচ্ছে, কখনাে বাঁয়ে, কখনাে উপরে উঠছে, কখনাে মেঝের একেবারে কাছাকাছি। হঠাৎ করে মাতাল হাওয়া লাগল সুবিমলবাবুর মনে। শরীরটা মোচড় দিয়ে উঠল তাঁর। ভেতরটা এলোমেলোভাবে ভাঙ্গতে শুরু করল তাঁর। নাক দিয়ে গরম হাওয়া বেরোতে লাগল। ধীরে, অতি ধীরে বিছানা থেকে নামলেন তিনি। দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন। ভেতর থেকে হুড়কো তুলে দিলেন দরজার ।
ঘরের ভেতর থেকে মালতির কণ্ঠ ভেসে এল, কিরেন কি, করেন কি ছার? তারপর চুপচাপ।
কিছুক্ষণ পর আবার মালতির কণ্ঠ, ‘আপনি শুদ্ধ ব্রাহ্মণ ছার, আমি সামান্য জলদাসী।
তারপর খাটের শুধু কোঁৎ কাঁৎ আওয়াজ। ………..
ঢেন্ডেরি
……
৩.
রাইগােপালের বউ লক্ষ্মীবালার পাছা মােটা, ভারি স্তন, চোখের রং কটা, নাক বােচা। নাকবােচা মেয়েরা নাকি কামুক হয়। দোহারা গড়নের শ্যামলা এই মেয়েটি কামুক নয়। তবে সমুদ্রযােদ্ধা অসুর ধরনের রাইগােপালের চাহিদা মেটাতে সে কখনাে পিছপা হয় না। সে সক্ষম ও সক্রিয়। তার সক্ষমতার কাছে একটা সময় রাইগােপাল হার মানতে বাধ্য হয়।…..
…..স্বামী মথুরার …… ঘর-সংসার সামলাতে সামলাতে নিজের ওপরই ঘেন্না ধরে গিয়েছিল রসবালার! স্বামীর সঙ্গে নিষ্ক্রিয় জীবন কাটাতে কাটাতে তার মন এক সময় বিদ্রোহী হয়ে উঠল। শরীরে চোখ ধাঁধানাে চেকনাই তার । এই শরীর তার দীর্ঘ দীর্ঘ দিন অমথিত; অনেকটা অস্পর্শিত জীবনই কাটাচ্ছিল রসবালা। ঠিক এই সময় রাইগােপাল কানের কাছে গুন গুন করে উঠল
–মনে বড় ছিল আশা, পাব তাহার ভালবাসা
সে আশা মাের হল না পূরণ
সে আশা হল নৈরাশা
হল না বঁধুয়ার আসা
এইভাবে কী যাবেরে জীবন!
রাইগােপালের জীবন এইভাবে যেতে দিল না রসবালা। সে সাড়া দিল। রসের সাগরে রসিক গােপালের নৌকা ভাসাতে দিতে রাজি হয়ে গেল রসবালা । রাইগােপাল রসবালার দুর্বলতা বুঝে গিয়েছিল অনেক আগে। রসবালার রস আছে, রসিক নেই। শরীরে দৌলত আছে, লুটে নেয়ার লােক নেই। রসবালার দুটো জিনিস আছে – দারিদ্র্য ও যৌবন। রাইগােপাল রসবালার দারিদ্র ঘুচিয়ে যৌবন চাকবার অধিকার পেল।
যে-রাতে রাইগােপাল সাগরে মাছ ধরতে যেত না, সে-রাতে লক্ষ্মী বিছানায় আসা পর্যন্ত বড় ছটফট করে কাটাত রাইগােপাল । হান্ডি-বাসন গুছিয়ে, থালাগ্লাস ধুয়ে, পাকঘর ঝাড় দিয়ে ঘরে আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে যেত লক্ষ্মীর। রাইগােপাল বেজার মুখে চিৎ হয়ে শুয়ে ঘরের চালের দিকে তাকিয়ে থাকত।
কী রাগ গইয্যো না? গায়ে সােহাগের ঠেলা দিয়ে জিজ্ঞেস করত লক্ষ্মী । লক্ষ্মীর ঠেলাতে গােপালের শরীর আরও চঞ্চল হয়ে উঠত । কিন্তু বউয়ের কাছে দাম পাবার জন্যে কোনাে জবাব না দিয়ে ওপাশ ফিরত রাইগােপাল।
লক্ষ্মী পুরুষ্ট স্তনের সকল ভার রাইগােপালের শরীরে চাপিয়ে দিয়ে চিবুকে মৃদু ঠেলা দিয়ে বলত, কী, এখনাে রাগ নাে-পড়ে? আঁর মিক্কে ফির।
বউকে দু’হাতে জড়িয়ে বুকের কাছে টেনে নিতে নিতে রাইগােপাল বলত, রান্না ঘর এত দেরি কা গর উঁই। তুই আইতে দেরি অইলে আঁত্তোন ভালা নাে লাগে।……..
……..সে স্বামীকে কাছে টানতে চেয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীর সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। একরাতে ব্লাউজ খুলে বুকের আঁচল সরিয়ে রাইগােপালের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী বলেছে, ‘এই বুগল্লাই, এই যৌবনল্লাইই তাে উঁই রসবালার কাছে যাও। তুই ঠাহর গরি চাও রসবালাত্তোন যা আছে, আঁত্তোনাে তা-ই আছে । ঘর যদি পাও তইলে বাইরে যাইবা কিয়ল্লাই। হিয়ান ছাড়া সমাজত্ তোয়ার সন্মান ধুলা মিশি যারগই। তোয়ার সন্মানর মিক্কে চাই অইলেও তুই ফিরি আইও, কুকাম ছাড়ি দও।
রাইগােপালের আচরণে এখন ঢাক ঢাক গুড়গুড় নেই। রসবালার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের ব্যাপারে তার এখন কোনাে লজ্জাবােধ নেই। সমাজকেও সে এখন তােড়াই কেয়ার করে। বউ লক্ষ্মীর কথায় সে তেড়ে ওঠে। বুক থেকে চোখ সরিয়ে রাইগােপাল বলে, “অই বেড়ি, আঁরে লােভ দেখাচ্ছে না? আঁর কাছে ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর। তাের বিয়াপ্পিন আঁর জানা, আঁর দেখা অই গেইয়েগই। আর আঁরে সমাজর ডর দেখাওন্দে কিয়ল্লাই? সমাজ আঁর চনু কাডি লইবাে না?………
চরণদাসী
………চোখ বুজে থাকলেও রামচরণ ঘুমায়নি। তার চোখে সােহাগীর দেহ ভেসে ভেসে উঠছে। দেহ মানে চোখ, ঠোট, গাল, সুডৌল দুটো স্তন। গতরাতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ছিল, কখনাে মেঘ কখনাে বৃষ্টি – এই রকম। ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। সােহাগী বঅর ঠাণ্ডা লাগের’ বলে একেবারে বুকের কাছে চলে এসেছিল রামচরণের। রামচরণও সােহাগীর সােহাগিপনা বুঝতে পেরেছিল। সজোরে বুকের সঙ্গে লেপ্টে ধরেছিল সে সােহাগীকে। রামচরণ সােহাগীকে দলনে মলনে যখন ব্যস্ত, তখনই বাবা মঙ্গলচরণ ডাক দিয়েছিল ‘অ রাম, রামাইয়ারে উঠ উঠ । ………
……চরণদাসীর শরীরে একটা আয় আয় ভাব আছে বয়স পনেরাে হলে কি হবে তার চোখে-মুখে-বুকে যৌবনের পূর্ণ আলাে। বাহু পেলব, কোমর চিকন, নিতম্ব পুরুষ্ট । ভরাট স্তন দুটো ব্লাউজের বাধা মানতে নারাজ।………
মােহনা
…..মােহনা, কুন্তি, সুবর্ণা, দময়ন্তী, অঙ্গনা, মেনকারা এও জানে যে, সমাজে তাদের কদর ওইটুকু সময় পর্যন্ত, যতদিন তাদের গতরে যৌবন আছে। তাই তারা স্তনের পরিচর্যা করে, অধরের পরিচর্যা করে। শরীরের ভঁজে ভাঁজে মহুল মদ গরম করে ডলে । উষ্ণ মদে গতরের ব্যথা সারে।…….জানকি বলেছিল, “এই পাড়ার অক্ষতযােনীদের গাছ বা লােহার সাথে বিয়া দেওয়ার নিয়ম। গাছ ত অমর, লােহার ক্ষয় নাই।……
….সকালে চণ্ডক চলে গেলে বড় যত্ন করে কালিন্দীজলে স্নান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মােহনাকে। বড় ব্যথা উঠতি স্তনে, গুপ্তস্থানে। চণ্ডক অস্পর্শিত রাখেনি কোনাে স্থান। বারবার দলিত মথিত করেছে। জানকি বলেছে, এই-ই শুরু মােহনা।……
…..মােহনার ওপর অহল্যারই চোখ আটকে থেকেছিল অনেকক্ষণ। মােহনার সুডৌল স্তন দেখে অহল্যা ঈর্ষাতুর হয়ে উঠেছিল। চণ্ডক ঘরে ঢুকেই বাকহারা; অনেকক্ষণ পরে বলেছিল, ‘তুমি এত সােন্দরী, আগে ত তেমন ভাল করে খেয়াল করিনি মােহনা । ……রতিক্লান্ত চণ্ডক বিশাল শয্যায় শুয়ে আছে। বিবস্ত্র । ধীবরকন্যা মােহনা আজ ভীষণ তৃপ্তি দিয়েছে তাকে। মােহনার অতলে আগেও ডুব দিয়েছে বহুবার, কিন্তু এবারের সুখ স্বতন্ত্র । পাশে অনাবৃত শরীর আর সুডৌল স্তন নিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে মােহনা। মুগ্ধ চোখে মােহনার শরীরের দিকে তাকিয়ে আছে চণ্ডক । ভাবছে। – মােহনা, তুমি আমার । শুধুই আমার। আমি ছাড়া আর কারাে নও তুমি।……….